দ্বিতীয় অধ্যায়: সাদাত নিহত, অতঃপর আসামী- তৃতীয় পরিচ্ছেদ- ইসাম আল কামারি: মহত্ব, বীরত্ব ও শাহাদাহ
(পূর্ব প্রকাশের পর)
৬- আনওয়ার সাদাত হত্যার পর ইসাম আমাকে হত্যাকাণ্ড পরিচালনাকারী গ্রুপটির সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার আবেদন করলেন। আমি তাকে ভাই আবুদ আয যুমারের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিলাম। এই সংকটময় মুহূর্তগুলোতেও ইসাম আবুদের সাথে কাজের ব্যাপারে আলাপ করেন এবং যা উদ্ধার করা সম্ভব তা উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সময় হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল।
ইসাম আমেরিকান নেতৃবৃন্দ ও ইসরাঈলী সেনাকমান্ডারদের সহ আনওয়ার সাদাতের জানাযায় আক্রমণের প্রচেষ্টা চালানোর চিন্তা করেন। এমনিভাবে কিছু কিছু ট্যাংকের উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে সেগুলোকে কতিপয় জীবন্ত টার্গেটে আঘাত হানতে ও সাদাতের জানাযায় হানা দিতে ব্যবহার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাস্তব সম্ভাব্যতা তার উচ্চাভিলাসের চেয়ে অনেক কম ছিল। সময়ও চলে গিয়েছিল।
অবশেষে আমরা ভাই আবুদকে এই পরিস্থিতিতে মিশর থেকে বের হয়ে গিয়ে পরবর্তী সময়ে আবার আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করার নির্দেশনা দিলে আমাদের মাঝে ও তার মাঝে যোগাযোগ শেষ হয়ে গেল। কিন্তু আবুদ তার সাথীদের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার শপথ করার কারণে এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অপারগতা প্রকাশ করেন। যদিও তিনি কারাগারে থাকার সময় আমার নিকট স্বীকার করেছিলেন যে, তিনি আমাদের সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থাশীল, কিন্তু নিজ ভাইদের সঙ্গে প্রতিশ্রুতি তাকে তা গ্রহণ না করতে বাধ্য করল।
৭- আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতালার ইচ্ছায় আবুদ বন্দি হলেন। তদন্তকারীরা নির্যাতনের মাধ্যমে ভাইদের থেকে এ তথ্য উদঘাটন করল যে, তিনি আমার সাথে ও ইসামের সাথে সাক্ষাত করেছেন। এটা ছিল পিলে চমকানো তথ্য যে, ৮ মাস ধরে পলাতক অফিসার এ ঘটনাগুলোর মধ্য দিয়ে আরেকবার প্রকাশমান হয়েছে। অতঃপর প্রচণ্ড নির্যাতন ও তল্লাশির কারণে আমিও গ্রেফতার হলাম। তারপর পুলিশী ফোর্স কায়রোস্থ জামালিয়া মহল্লায় অবস্থিত ইসামের গোপন আস্তানায়ও হানা দিল। আর সেখানেই গুরুত্বপূর্ণ জামালিয়া যুদ্ধটি সংঘটিত হয়।
৮- ইসলামী জিহাদী আন্দোলনের ইতিহাসে এ যুদ্ধ অনেক গুরুত্বের অবস্থান অর্জন করেছে। কারণ এ ঘটনা মুজাহিদগণের মাঝে ও সরকারী বাহিনীর মাঝে মোকাবেলার কতগুলো ভয়াবহ বাস্তবতা প্রকাশ করেছে। এছাড়া ইসামের দৃষ্টিভঙ্গির সত্যতা ও দূরদর্শীতাও প্রকাশ করেছে।
এখানে এ যুদ্ধের বিস্তারিত ঘটনাবলীর সামান্য কিছু তুলে না ধরলেই নয়:
ক. এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে মনশিয়াহ নাসের অঞ্চলের জামালিয়া মহল্লায়। এটি একটি দরীদ্র এলাকা, যেখানে পাশাপাশি মিলিত অনেকগুলো দরীদ্র লোকের ঘনবসতি। আর মাঝে মাঝে কিছু পুকুর ও সংকীর্ণ গলি ব্যবধান সৃষ্টি করে আছে।
খ. ইসাম একটি লেদ মেশিনের ওয়ার্কশপে আত্মগোপনে ছিলেন। যেটা ভাই আব্দুর রহীম আশ শারকাবী ভাই ইবরাহীম সালামা ও নাবিল নাঈমকে নিয়ে আমাদের একটি ঘাটি হিসবে তৈরী করেছিলন। ওয়ার্কশপটি ছিল একটি নিচু ঘর, যা ছাদবিহীন একটি করিডোরের মত। তার ডান পাশে দু’টি কক্ষ, পাম পাশে দু’টি কক্ষ। করিডোরের শুরু পথে একটি লোহার দরজা।
ওয়ার্কশপটি একটি চিপা গলিতে ছিল, যার শেষ মাথা বন্ধ। তাকে বেষ্টন করে আছে কিছু সংখ্যক বাড়ি, যার কয়েকটি বহুতল।
গ. যখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানতে পারল, ইশাম এই ওয়ার্কশপে আত্মগোপন করে আছেন, তখন তারা পুলিশ ফোর্স ও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ফোর্স দিয়ে পুরো এলাকাটি ঘিরে ফেলল। আর ওয়ার্কশপে আক্রমণ পরিচালনার জন্য তাদের এলিট ফোর্স ব্যবহার করল, যারা হচ্ছে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বিভাগের সন্ত্রাস মোকাবেলা টিম। টিমটি কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত ওয়ার্কশপটি অবরোধ করে রাখল। এ সময় ওয়ার্কশপের চারপাশে নিজেদের বৃত্ত ছড়িয়ে দিল এবং নিজেদের আয়ত্বাধীন ছাদগুলো দখলে নিয়ে সেখানে কামান স্থাপন করল। এ ছিল রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাবাহিনীর দিক থেকে, যারা বন্দি করার অপেক্ষায় ছিল। তারপর সাধারণ পুলিশ ফোর্স এলাকাটি সম্পূর্ণ লকডাউন করে দেয়।
ঘ. ফজরের কিছুক্ষণ পূর্বে একজন ঘোষণাকারীর পক্ষ থেকে ভাইদের উদ্দেশ্যে ঘোষণা দেওয়া হল: ওয়ার্কশপ অবরূদ্ধ, তাদেরকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এর সাথে সাথেই অভিযান পরিচালনাকারী গ্রুপ, যেটা প্রতিরক্ষা ঢাল হিসাবে কেন্দ্রীয় মুরতাদ নিরাপত্তা বাহিনীর সর্বশ্রেষ্ঠ ফোর্স- ওয়ার্কশপের দরজায় আক্রমণ করে অবিরাম গুলিবৃষ্টি বর্ষণ করতে লাগল। আর তার সাথে ভাইদেরকে চিৎকার করে আত্মসমর্পণ করতে বলতে থাকে। এ ভয়ংকর শা শা শব্দে ভায়েরা ঘুম থেকে জেগে উঠলেন।
কিন্তু ইসাম ও তার সাথীগণ এই সম্ভাব্য পরিস্থিতির জন্য আগেই প্রস্তুত ছিলেন। এজন্য তারা লোহার দরজার কয়েক সেন্টিমিটার দূরত্বে বৈদ্যুতিক তার সেট করে রাখেন। তাদের সাথে ছিল অতি পুরতান দু’টি শর্টগান, দু’টি পিস্তল আর কয়েকটি হাতবোমা।
যখন অভিযান পরিচালনাকারী দলটি লোহার দরজায় প্রবেশ করল, অমনি তারা বিদ্যুতায়িত হয়ে আঘাতে ও ভয়ে পিছু হটল। ওই সময় ইসাম তাদেরকে সুযোগ না দিয়েই দরজার উপর দিয়ে হাতবোমা নিক্ষেপ করলেন। বোমা অভিযানকারী দলের মধ্যভাগে পতিত হলে তারা সকলে আহত-নিহত হয়ে পড়ে গেল। নিরাপত্তা ইউনিটের অফিসার ও সৈনিকরা অভিযানের শোরগোলের পর অভিযানকারী দলের চিৎকার শুনে ভয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেল। পুরো রাত্রিতে পিনপতন নিরবতা ছেয়ে গেল। তখনই ইসাম ও তার দুই সহকর্মী লাফিয়ে ওয়ার্কশপের উপর উঠলেন। অতঃপর ভগ্নপ্রায় বন্দুক দু’টির মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী ছাদগুলোতে এমনভাবে গুলিবৃষ্টি বর্ষণ করতে লাগলেন, যেন বন্দুক দু’টি থেমে গেলেও ইসাম ও তার সাথীদ্বয় থামছেন না। তারা সরকারী ফোর্সকে লক্ষ্য করে দশটি বোমা নিক্ষেপ করেন, যার মধ্যে ন’টি তাদের মাঝে গিয়ে বিস্ফোরিত হয়। ফলে ফোর্সের লড়াইক্ষমতা শেষ হয়ে যায়। তখন ইসাম বুঝতে পারেন যে, কথিত বাহাদুর সেনা ফোর্স খরগোশের দলে পরিণত হয়েছে। এভাবে ভায়েরা ওয়ার্কশপ থেকে বের হতেই দেখতে পান তাদের সম্মুখেই এক সৈনিক অস্ত্র উত্তোলন করে দাড়িয়ে আছে। কিন্তু সে ভয়ে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে পালিয়ে যেতে থাকে। ফলে ভাই নাবিল নাঈম তাকে মাথায় গুলি করে ফেলে দেন।
তারপর ইসাম তাদেরকে আদেশ করলেন, লুকিয়ে তার হাতবোমা নিক্ষেপের অপেক্ষায় থাকতে, অতঃপর বিস্ফোরণের শব্দের দিকে দৌঁড়াতে। ভায়েরা অবরোধের এরিয়ার ভিতর দিয়ে দৌড়াচ্ছিলেন। যেন তারা লাশ ও প্রেতাত্মাদের একটি বাহিনীর উপর দিয়ে দৌড়াচ্ছেন।
পালানোর সময় ইসাম বারবার শহরযুদ্ধ ও অবরোধ ভাঙ্গার ক্ষেত্রে হাতবোমার গুরুত্বের কথা বলছিলেন। আমি মাঝে মাঝে মনে করছিলাম, তার কথার মধ্যে কিছুটা অতিরঞ্জন আছে। কিন্তু তারপরই কয়েকটি ঘটনা ঘটল। তখন আমি বুঝতে পারলাম, তিনি একজন অভিজ্ঞ যুদ্ধপুরুষ। আল্লাহ তার প্রতি অবারিত রহমত বর্ষণ করুন!
ভায়েরা দৌড়াতে দৌড়াতে নিকটবর্তী মুকতাম টিলায় গিয়ে পৌঁছলেন। তারপর তারা আহত ও ভীত-সন্ত্রস্ত সেনা ইউনিটের প্রতি নজর রাখতে লাগলেন, যারা তাদের সৈন্যদেরকে গাড়ির দিকে নিয়ে আসছিল। ওই সময় ভাই ইবরাহিম সালামা প্রস্তাব করলেন: ভাইদের নিকট অবশিষ্ট যে অস্ত্রশস্ত্র আছে তার মাধ্যমে সেনা ইউনিটের উপর চূড়ান্ত আক্রমণ করার এটাই সর্বোত্তম সময়। কিন্তু ইসাম তাদের মধ্যে যতটুকু রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছেন তাতেই ক্ষান্ত থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন।
ঙ- ভায়েরা মুকতাম টিলার দিকে যাত্রা অব্যাহত রাখলেন। ভাই ইবরাহিম সালামার হাতে একটি হাতবোমা ছিল। তিনি তার সলিতা খুলে পুনরায় ঢুকিয়েছিলেন। কিন্তু সম্ভবত দৌড়ানোর কারণে সেটা আপন স্থান থেকে সরে গিয়েছিল। অতঃপর ভায়েরা একটি গর্তের নিকটে কিছুক্ষণ বিরতি নিলেন। ভাই ইবরাহিম সালামা তার প্রয়োজন সারার ইচ্ছা করলেন। তাই গর্তের প্রবেশ-মুখের দিকে যাওয়ার জন্য ঘুরলেন। ইসাম ও নাবিলের পিঠ ছিল তার থেকে কয়েক মিটার দূরে মাত্র। এ সময় ইবরাহিম সালামার হাত থেকে হাত-বোমাটি পড়ে গেল। সম্ভবত পড়ার কিছুক্ষণ পর সলিতাটি আপন স্থান থেকে সরে যায়। ভায়েরা ক্যাপসুল বিস্ফোরণের শব্দ পেলেন। তৎক্ষণাৎ ইবরাহিম সালামা বোমার উপর ঝাপিয়ে পড়লেন, যেন তার উভয় ভাইকে রক্ষা করতে পারেন। বোমার বিস্ফোরণে রাতের নিরবতা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেল। আর তা ইবরাহিমের নাড়িভুড়ি ছিন্নভিন্ন করে দিল, যা পুরো বোমা বিস্ফোরণকে বেষ্টন করে নিয়েছিল।
এটা ছিল সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত কুদরতী দুর্ঘটনা। কারণ ভায়েরা তাদের থেকে প্রায় এক শ’ গুণ বড় নিরাপত্তাবাহিনী থেকে নিরাপদে বের হয়ে আসার পর ইবরাহিম স্বীয় অদৃশ্যের লেখা মৃত্যুর স্থানে এসে শহীদ হয়ে পড়ে গেলেন। যেটা অদৃশ্যের মালিক আল্লাহ ব্যতিত কেউ জানেন না। ঘটনার আকস্মিকতায় ইসাম ও নাবিল হতভম্ব ও চৈতন্যহীন হয়ে দাড়িয়ে রইলেন।
আল্লামা ইবনুল কায়্যিম রহ. বলেন:
(হাদিসে কুদসি)“আমার দাস তারাই, যারা শত্রুর সঙ্গে সংঘর্ষের সময়ও আমাকে স্মরণ করে-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ إِذَا لَقِيتُمْ فِئَةً فَاثْبُتُواْ وَاذْكُرُواْ اللّهَ كَثِيرًا لَّعَلَّكُمْ تُفْلَحُونَ
“হে মুমিনগণ! যখন তোমরা কোন দলের সম্মুখীন হবে, তখন অবিচলিত থাকবে এবং আল্লাহকে বেশি পরিমাণে স্মরণ করবে, যাতে তোমরা সফলতা অর্জন কর।” (সূরা আনফাল: ৪৫)
“কোন সুস্থ, অবসর ব্যক্তি খেদমতের সাথে লেগে আছে- এটা আশ্চর্যের বিষয় নয়। বরং আশ্চর্যের বিষয় হল, কোন দুর্বল অসুস্থ ব্যক্তি, যাকে বিভিন্ন ব্যস্ততা জড়িয়ে রাখে, বিভিন্ন রকম পরিস্থিতির শিকার হয়, তবু তার অন্তর খেদমতের সাথে লেগে থাকে আর যতটুকু করার সামর্থ্য থাকে, তা থেকে পিছিয়ে থাকে না।”
ইসাম আমার নিকট বর্ণনা করেন: পুলিশরা তার সঙ্গে গেল তাদেরকে ইবরাহিম সালামার মৃতদেহ দেখিয়ে দেওয়ার জন্য, তারা দাফন করবে। তারা কেন্দ্রিয় নিরাপত্তা বাহিনীর সেই ঘাটিতে থেমে গেল, যেখান থেকে ইসাম ও তার সাথীদ্বয়কে অবরোধকারী ফোর্সগুলো রওয়ানা হয়েছিল। কেন্দ্রিয় নিরাপত্তা বাহিনীর অফিসাররা তার চারপাশে জড়ো হয়ে আশ্চর্য ও হতবিহ্বল হয়ে বলল: কে এই কঠিন যোদ্ধা, যে তাদের এত সংখ্যককে হত্যা করল ও এত সংখ্যককে আহত করল। তাদের একজন তাকে প্রশ্ন করল: তুমি কেন আমাদেরকে হত্যা ও আহত কর? ইসাম তাকে জবাব দিলেন: কোন্ দলিলের ভিত্তিতে তুমি আমাকে হত্যা করা বৈধ মনে করছ? আর আমার সম্পর্কে কী জান, যার ভিত্তিতে গুরুজনদের আদেশের আনুগত্য করছ এবং আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছ? তখন সেই হতভাগা জবাবহীন হয়ে চুপ হয়ে গেল।
তিনি আমার নিকট আরো বর্ণনা করেন, যে গৃহে তার উপর হানা দেওয়া হয়েছিল, সেখানে তার ফেলে আসা একটি ব্যাগ ছিল। যাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও কিছু পরিমাণ টাকা ছিল, বেশি নয়। তদন্তকারীরা কখনো তার নিকট এই ব্যাগটির কথা উল্লেখ করেনি। তার বেশির ভাগ ধারণা হল, হয়ত কোন পুলিশ অফিসার এটা পেয়ে লুকিয়ে ফেলেছে। যেন এর ভেতরে থাকা টাকাগুলো নিয়ে নিতে পারে। এটা তাদের ঐতিহ্যগত অভ্যাস: যে সমস্ত ঘরে তল্লাশি করে, সেখানে ছিনতাই ও লুট করা।
১ম পর্ব
https://82.221.139.217/showthread.ph...-%26%232535%3B
২য় পর্ব
https://82.221.139.217/showthread.ph...-%26%232536%3B
৩য় পর্ব
https://82.221.139.217/showthread.ph...-%26%232537%3B
৪র্থ পর্ব
https://82.221.139.217/showthread.ph...-%26%232538%3B
৫ম পর্ব
https://82.221.139.217/showthread.ph...-%26%232539%3B
৬ষ্ঠ পর্ব
https://82.221.139.217/showthread.ph...-%26%232540%3B
৭ম পর্ব
https://82.221.139.217/showthread.ph...-%26%232541%3B
৮ম পর্ব
https://82.221.139.217/showthread.ph...-%26%232542%3B
৯ম পর্ব
https://82.221.139.217/showthread.ph...-%26%232543%3B
১০ পর্ব
https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232534%3B[/QUOTE]
পর্ব-১১
https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232535%3B
Comment