Announcement

Collapse
No announcement yet.

“ফুরসান তাহতা রায়াতিন নাবিয়্যি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” সিরিজ-১৩

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • “ফুরসান তাহতা রায়াতিন নাবিয়্যি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” সিরিজ-১৩

    দ্বিতীয় অধ্যায়: সাদাত নিহত, অতঃপর আসামী- তৃতীয় পরিচ্ছেদ- ইসাম আল কামারি: মহত্ব, বীরত্ব ও শাহাদাহ

    (পূর্ব প্রকাশের পর)
    ৯- আল্লাহর ইচ্ছায় ইসাম গ্রেফতার হলেন। তাকে ভাগে পাওয়ার সাথে সাথেই গোয়েন্দা অফিসাররা তার উপর নির্মম নির্যাতন আরম্ব করে। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হল, তার সাথে সংশ্লিষ্ট অফিসারদের বিরাট সংখ্যকের ব্যাপারে তথ্য লাভ করা। যাতে তাদের সঙ্গে প্রতিযোগীতায় লিপ্ত সামরিক গোয়েন্দাদের উপর অগ্রগামিতা লাভ করতে পারে। ইসাম তাদেরকে অনেকগুলো অফিসারের নাম দিলেন, যারা তার সাথে একই ইউনিটে কাজ করেছিল। এমনিভাবে তাদের জন্য সাঁজোয়া কর্পসের আসন্ন অভ্যুত্থানের একটি ঘটনাও সাজান, যাতে সাঁজোয়ার বড় বড় কমান্ডারগণ অংশগ্রহণ করবেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ সকল সংবাদ নিয়ে প্রজাতন্ত্রের প্রধানের কাছে উড়ে গেল। সাঁজোয়া কর্পসের বহুসংখ্যক সিনিয়র অফিসারকে গ্রেফতার করল। ইসামের তদন্তের জন্য প্রেসিডেন্ট একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করার নির্দেশ দিল, যাতে প্রধান তিন নিরাপত্তাবাহিনীর প্রধানরা অংশগ্রহণ করবে। রাষ্ট্রীয় পুলিশী গোয়েন্দা বিভাগ, সামরিক গোয়েন্দা বিভাগ ও সাধারণ গোয়েন্দা বিভাগ। এটা হবে সাধারণ গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মেজর জেনারেল নিসারের সভাপতিত্বে, যে পূর্বে সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান ছিল।

    পুলিশী গোয়েন্দা বিভাগে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মেজর জেনারেল নিসার ইসামকে এ সকল তথ্যের বাস্তবতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। ইসাম উত্তর দেন: তিনি নিজের থেকে শাস্তি ঠেকানোর জন্য এ সকল তথ্য দিয়েছেন। তিনি যখনই পুলিশী গোয়েন্দা অফিসারদের নিকট একজন অফিসারের নাম বলতেন, তখনই তারা এর চেয়ে উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন আরেকজন অফিসারের নাম জানতে চাইত। এ সকল নামগুলো শুধুমাত্র বিভিন্ন ইউনিটে দায়িত্ব পালনকারী তার সহকর্মী অফিসারদের নাম। মেজর জেনারেল নিসার চাইলে এটা নিশ্চিত হয়ে নিতে পারেন।

    তখন মেজর জেনারেল নিসার তৎক্ষণাৎ ইসামকে সামরিক গোয়েন্দাদের নিকট হস্তান্তর করার নির্দেশ দেন। এটা ছিল রাষ্ট্রীয় পুলিশী গোয়েন্দাদের পিঠে থাপ্পর।

    পুলিশী গোয়েন্দা অফিসারগণ ইসামকে ভুলেনি। কর্ণেল মুহসিন হিফজি ইসামের তদন্তের সময় দ্বীনকে গালি দিত। তারপর নতুন করে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পুনরায় ইসামকে দূর্গের কারাগারে আনা হয়। সেখানে পুলিশী গোয়েন্দা অফিসাররা তার থেকে প্রতিশোধ নেয়।

    এ সময়টি সম্পর্কে ইসাম একটি বিরল ঘটনা আমার নিকট বর্ণনা করেন: একদিন তার তদন্ত শেষে কর্ণেল মুহসিন হিফজি তাকে ডেকে পাঠাল। তারপর তার ব্যাপারে ইসামের মতামত জিজ্ঞেস করল যে, সে কি মুসলিম, না কাফের? ইসাম আমাকে বলেন: তিনি আশঙ্কা করলেন, এ প্রশ্ন কোন চক্রান্তের কৌশল কি না বা কোন কিছুর প্রাথমিক ধাপ কি না। তখন তিনি তাকে বললেন: আপনি নিজেই তো নিজের ব্যাপারে ভালো জানেন। তখন সত্যিকারভাবেই তাকে বারবার প্রশ্নটি করতে থাকে। তাই ইসাম বললেন: আপনি কি শরয়ী হুকুম সম্পর্কে অজ্ঞ, নাকি তা বুঝেন? কর্ণেল হিফজি বলল: আমি সব শরয়ী দলিল সম্পর্কে অবগত এবং তা ভালোভাবে বুঝিও। তখন ইসাম বললেন: তাহলে আপনি কাফের। কারণ আপনি নিজ ইচ্ছায় মুরতাদ সরকারের সাথে থেকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধকারী অফিসার হিসাবে আছেন। তখন কর্ণেল মুহসিন হিফজি বলল: আচ্ছা ভালো। তারপর তাকে সেলে ফিরিয়ে নিতে আদেশ করে। ইসাম আমাকে বলেন: এ ঘটনার পর এক বছরের অধিক সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও তিনি এখনো বুঝতে পারেননি, কেন কর্ণেল মুহসিন হিফজি তাকে এ প্রশ্ন করেছিল?

    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা বলেন:

    وَجَحَدُوا بِهَا وَاسْتَيْقَنَتْهَا أَنفُسُهُمْ ظُلْمًا وَعُلُوًّا فَانظُرْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُفْسِدِين
    “তারা সীমালঙ্ঘন ও অহমিকা বশত তা সব অস্বীকার করল, যদিও তাদের অন্তর সেগুলো (সত্য বলে) বিশ্বাস করে নিয়েছিল। সুতরাং দেখে নাও, ফ্যাসাদকারীদের পরিণাম কেমন হয়েছিল।” (সূরা নামল: ১৪)

    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা আরো বলেন:

    قَدْ نَعْلَمُ إِنَّهُ لَيَحْزُنُكَ الَّذِي يَقُولُونَ فَإِنَّهُمْ لاَ يُكَذِّبُونَكَ وَلَكِنَّ الظَّالِمِينَ بِآيَاتِ اللّهِ يَجْحَدُونَ
    “আমি ভালো করেই জানি, তারা যা বলে তাতে তোমার কষ্ট হয়। কেননা তারা আসলে তোমাকে মিথ্যাবাদি বলছে না, বরং জালিমগণ আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করছে।” (সূরা আনআম: ৩৩)

    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা আরো বলেন:

    بَلِ الْإِنسَانُ عَلَى نَفْسِهِ بَصِيرَةٌ وَلَوْ أَلْقَى مَعَاذِيرَهُ
    “বরং মানুষ নিজেই নিজের সম্পর্ক সম্যক জ্ঞাত। যদিও সে বহু অজুহাত দেখায়।” (সূরা কিয়ামাহ: ১৪, ১৫)


    ১০- প্রসিকিউটর ইসামের নাম জিহাদ মামলার আসামিদের তালিকাভূক্ত করে দেয়। কিন্তু প্রথম ইজলাসে গোয়েন্দা বিভাগের সাথে যোগসাজস করে প্রসিকিউটর আদালতে উপস্থিত হল না। অতঃপর তারা তাকে ও ভাই রিফায়ী ত্বহাকে দূর্গের কারাগারে দ্বিতীয় ইজলাসে উপস্থিত করল। ইসাম আদালতে এই হীন ষড়যন্ত্র প্রকাশ করলেন এবং কেল্লার কারাগারে গোয়েন্দা অফিসারদের পক্ষ থেকে তিনি যে সীমালঙ্ঘনের শিকার হয়েছেন তার ব্যাখ্যা দিতে লাগলেন।

    বিচারক এ বিষয় পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেন। কিন্তু ইসাম অনবরত তার কথা চালিয়ে যেতে লাগলেন। বিচারক ইসামকে বহিস্কারের হুমকি প্রদান করেন। কিন্তু ইসাম তাতে ভ্রুক্ষেপ করলেন না। ফলে বিচারক তাকে বহিস্কারাদেশ দিয়ে দিল। কিন্তু ইসাম তা প্রত্যাখ্যান করলেন। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা অফিসাররা সতর্কতার সাথে ইসামের নিকট আসার চেষ্টা করলে ইসাম তাদেরকে জোরে ধমক দেন। ফলে তারা ভয়ে পিছিয়ে যায়।

    মজলিস নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যায়। আসামী ভাইদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় ভাইদের পক্ষ থেকে আমি মজলিস পরিচালনার দায়িত্বশীল ছিলাম। তাই আমি ভাইদেরকে চুপ করতে বললাম। তারপর আমি ধমকের সাথে উচু গলায় বললাম: যদি ইসামকে জোর করে বহিস্কার করা হয়, তাহলে এখানে কোন মুকাদ্দামা হবে না। তারা তাকে অন্যান্য অভিযুক্ত ভাইদের খাঁচা থেকে দূরে একটি খাঁচায় একাকী রেখেছিল।

    হলের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠল। বিচারক অনুভব করল, সে আজ এমন ঘটনা দেখছে, যা ইতিপূর্বে ঘটেনি। সে দেখল, তাকে আসামীদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে হয়েছে। তখনই পরিস্থিতি উদ্ধারের জন্য আইনজীবিরা প্রবেশ করে। তারা শোরগোলের মাঝেই বিচারকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে। ফলে তারা কী বলছে, বিচারক শুনতে পেল না। তখন বিচারক অনুমান করে বলল: আদালত আইনজীবিদের ওযর গ্রহণ করত: ইজলাস চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


    ১১- কারাবাসের দীর্ঘ সময়ে ইসাম কখনো শিক্ষাগ্রহণ, শিক্ষাদান বা পাঠদান থেকে নিবৃত্ত হননি। তার সবচেয়ে বড় ফিকির ছিল, কিভাবে মৃত্যুদণ্ডাদেশের অপেক্ষমান ভাইদের মুক্তির ব্যবস্থা করা যায়।

    আল্লাহর ইচ্ছায় লিমান তোরা কারাগারে কয়েক মাসের জন্য আমি তার সাথে একই সেলে থাকার সৌভাগ্য অর্জন করলাম। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি কখনো পরবর্তী ধাপের পরিকল্পনা প্রণয়ন থেকে বিরতি দেননি এবং অনেকগুলো বাস্তব সমস্যার থিওরিক্যাল সমাধান ও গবেষণার পথ তৈরী করেন।

    তারপর আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা পৃথক হয়ে গেলাম। কারণ আমাকে ৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হল, যার অধিকাংশটাই রায় প্রকাশিত হওয়ার পূর্বেই অতিবাহিত হয়ে গিয়েছিল। আর তার ব্যাপারে দশ বছরের দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি নিজ স্বভাবমত দৃঢ়তা ও অতুলনীয় প্রশান্তমনে তা গ্রহণ করে নেন। বরং তিনি আমাকে অটল থাকতে বলতেন, আমার মনোবল শক্তিশালী করার চেষ্টা করতেন। আমাকে বলতেন: আপনি অচিরেই নিজ ঘাড়ে যে বোঝা বহন করতে যাচ্ছেন তার জন্য আপনার প্রতি আমার করুনা হয়। বস্তুত আমার পাকিস্তান হিজরত শুধুমাত্র সে সকল ধাপগুলো বাস্তবায়ন করার জন্যই ছিল, যার ব্যাপারে কারাগারে ইসামের সাথে একমত হয়েছিলাম।


    ১২- ইসাম কারাগারে পলায়নের পরিকল্পনা প্রণয়ন থেকে একটুও নিবৃত্ত হতেন না। কয়েকটি প্রচেষ্টার পর ১৯৮৮ সালের ১৭ জুলাই তিনি এবং ভাই খামিস মুসলিম ও মুহাম্মদ আল উসওয়ানী ভয়ংকর লিমান তোরা কারাগার থেকে দু:সাহসিকভাবে পলায়ন করতে সক্ষম হন।

    এটা স্বাভাবিক পলায়ন ছিল না। কারণ পলায়নের পূর্বে পলায়নের জন্য দীর্ঘ জটিল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হয়। তাতে ছিল কারা দেয়ালে প্রবেশ করার যুদ্ধ, চতুর্পার্শ্বের প্রহরা বেষ্টনী লঙ্ঘন করা, অতঃপর নীল নদ পার হয়ে অপর তীরে গিয়ে উঠা।

    এর বিস্তারিত বিশ্লেষণে যদি নাও যাই, তবু শুধু এতটুকু বলি যে, এর কারণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতভম্ব হয়ে যায়, যারা প্রকাশ্যে পলায়নের এমন দু:সাহসিকতা কখনো আশা করেনি। যার শুরু হয়েছে সেলের জানালার কাঠ খুলে ফেলা, তারপর করিডোরের প্রহরীকে বন্দী করা, তারপর এদিক সেদিক ককটেল বোমা নিক্ষেপ করে প্রায় চার মিটার উচ্চতার দেয়ালে আরোহন করা, তারপর দেয়ালের একজন প্রহরীর সাথে ফাইট করে তার অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়া, তারপর মধ্যরাতে গণপ্রহরার মাঝে তোরা কারাগার এলাকা থেকে বের হয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে।

    ইসাম আল কামারি ও তার দুই সাথী কারাগার থেকে পলায়নের পর নীল নদ পারি দিয়ে পশ্চিম তীরে গিয়ে উঠেন। তারপর পায়ে হেটে কৃষি ক্ষেত-খামার মাড়িয়ে মধ্য ডেল্টায় গিয়ে পৌঁছেন।

    অধিক হাটার কারণে খামিস মুসলিমের পা ফাটা শুরু হল। তারপর পুঁজ বের হয়ে জ্বর ও কাঁপুনি সৃষ্টি হল। খামিস মুসলিমকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ভায়েরা ভাই খালিদ বুখাইতের নিকট যেতে বাধ্য হন। যিনি শারাবিয়ার ইডিয়াল বসতি এলাকায় তাদের জন্য নিজ বাড়ি ছেড়ে দেন।

    কিন্তু মহান আল্লাহর ইচ্ছা ছিল, তাই তিন ভাইয়ের পলায়নের পর শুরু হওয়া গণগ্রেফতার অভিযানের ধারাবাহিকতায় ১৯৮৮ এর ২৫ জুলাই ফজরের সময় পুলিশী গোয়েন্দা ফোর্স খালিদ বুখাইতের গৃহে হানা দেয়।

    সেখানে বীরত্ব ও বাহাদুরির আরেক যুদ্ধ সংঘটিত হল। ফোর্স কমান্ডার, যে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের একজন কর্ণেল ছিল- কামরার দরজায় করাঘাত করার সঙ্গে সঙ্গে ভাইদের ফিট করা ককটেল বোমা বিস্ফোরিত হল। তারপর ইসাম আল কামারি রান্নাঘরের ছুরি দিয়ে তার উপর হামলে পড়েন। ফলে সে তার পিস্তল রেখেই দৌঁড়ে পালাল। সাথে তার সৈন্যবাহিনী ও অফিসাররাও ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পিছনে ছুটে পালাল। ইসাম কমাণ্ডারের পিস্তলটি নিয়ে নিলেন। এবার ভায়েরা জনপদের পরিবর্তে মহাসড়ক ধরে দ্রুতপদে ছুটে পালালেন। দৌঁড়াতে শুরু করলেন।

    ইসাম রাস্তার কোণে দাড়িয়ে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হলেন, যেন ভাইদের পলায়নের পথ ঢেকে রাখতে পারেন। ফলে তার পেটে একটি গুলি এসে বিদ্ধ হল। তিনি তৎক্ষণাৎ মাটিতে পড়ে গেলেন। তখন উভয় ভাই এসে তাকে বহন করার চেষ্টা করতে লাগলেন। কিন্তু তিনি তাদেরকে নিষেধ করলেন। নিজের অস্ত্রটি তাদেরকে দিয়ে এখনই পলায়ন করতে আদেশ করলেন। আর তার আত্মা আপন রবের সাক্ষাতে চলে গেল।
    মন্ত্রণালয়ের অযোগ্যতার প্রমাণ হিসাবে ওই ঘটনাটিই যথেষ্ট, যা ভাই নাবিল নাঈম আমার নিকট বর্ণনা করেছেন। তিনি আমার নিকট বর্ণনা করেন: তিনি উক্ত ঘটনার পর লিমান তোরা কারাগারের গোয়েন্দা অফিসারকে তার সুপরিচিত বিদ্রুপাত্মক ভঙ্গিতে বললেন: স্বভাবতই এখন তো আপনাকে মরুভূমিতে (দক্ষিণ মিশরে) পাঠিয়ে দিবে? তখন অফিসার খুব আত্মবিশ্বাসের সাথে তাকে জবাব দিল: কখনো নয়। তারা কখনো এটা করতে পারবে না। তাদের অবশ্যই আমাকে একটি বিশেষ সম্মান দিতে হবে। কারণ আমি এ কয়েক বছর কারাগারে ইসামের! দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করেছি। কার্যতই উল্লেখিত অফিসারকে তার চাকুরি থেকে ট্রান্সফার করা হয়নি।

    এ ছিল এই বাহাদুরের জীবনীর সামান্য চিত্র, যিনি তার দুনিয়ার হক গ্রহণ করেননি এবং যার ব্যাপারে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, বিগত ত্রিশ বছরে ইসলামি আন্দোলন তার মত ব্যক্তিত্ব দেখেনি। এটি সেই ব্যক্তির সাক্ষ্য, যে সবচেয়ে অন্ধকারময় পরিস্থিতিতে তার সঙ্গে জীবন কাটিয়েছে এবং কয়েক মাসের জন্য তার সাথে একই সেলে কাটিয়েছে। এটি এমন ব্যক্তির সাক্ষ্যও, যে বিভিন্ন উলট পালট পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ্য করেছে, অনেক যুগ অতিবাহিত করেছে, আল্লাহর প্রশস্ত জমিনের একস্থান থেকে আরেক স্থানে সফর করেছে, বিভিন্নরূপ মানুষের সঙ্গে মিশেছে, মুআমালা করেছে এবং তাদের সম্পর্কে জেনেছে ও বাস্তবে দেখেছে।

    আর যে বিষয়টি আমাকে গর্বিত করেছে: ভাই সাইয়িদ মূসা আমাকে জানিয়েছেন, ইসাম আল কামারি কারাগার থেকে তাদের নিকট একটি পত্র প্রেরণ করে বলেছেন: “আপনারা যান, আইমান আল জাওয়াহিরির সাথে কাজ করুন। কারণ তিনিই একমাত্র ব্যক্তি, যার প্রতি আমি আস্থা রাখি।” আমি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করছি তিনি আমাকে এর উপযুক্ত বানান!


    ১ম পর্ব
    https://82.221.139.217/showthread.ph...-%26%232535%3B

    ২য় পর্ব
    https://82.221.139.217/showthread.ph...-%26%232536%3B

    ৩য় পর্ব
    https://82.221.139.217/showthread.ph...-%26%232537%3B

    ৪র্থ পর্ব
    https://82.221.139.217/showthread.ph...-%26%232538%3B

    ৫ম পর্ব
    https://82.221.139.217/showthread.ph...-%26%232539%3B

    ৬ষ্ঠ পর্ব
    https://82.221.139.217/showthread.ph...-%26%232540%3B

    ৭ম পর্ব
    https://82.221.139.217/showthread.ph...-%26%232541%3B

    ৮ম পর্ব
    https://82.221.139.217/showthread.ph...-%26%232542%3B

    ৯ম পর্ব
    https://82.221.139.217/showthread.ph...-%26%232543%3B

    ১০ পর্ব
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232534%3B[/QUOTE]

    পর্ব-১১
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232535%3B[/QUOTE]

    পর্ব-১২
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232536%3B

  • #2
    ইসাম আল কামারি কারাগার থেকে তাদের নিকট একটি পত্র প্রেরণ করে বলেছেন: “আপনারা যান, আইমান আল জাওয়াহিরির সাথে কাজ করুন। কারণ তিনিই একমাত্র ব্যক্তি, যার প্রতি আমি আস্থা রাখি।” আমি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করছি তিনি আমাকে এর উপযুক্ত বানান!
    ইয়া আল্লাহ! আমাদের ভাই ইসাম আল-কামারি রহ. এর শাহাদাতকে কবুল করুন ও জান্নাতের সুউচ্চ মাকাম দান করুন এবং আমাদের প্রেরণার উৎস হিসাবে কবুল করুন। যাতে আমরাও আপনার রাস্তায় অবলীলায় জীবন বিলিয়ে দিতে পারি। আমাদেরকে তাওফীক দান করুন। আল্লাহুম্মা আমীন
    ইয়া রব্ব! শাইখ আইমান হাফিজাহল্লাহ এর নেক হায়াত খুব বেশী পরিমাণে বৃদ্ধি করে দিন! আমাদের উপর তাঁর ছায়াকে প্রলম্বিত করুন! তিনি আমাদের আস্থার প্রতীক, রাহবার, আমীর এবং মুরব্বী। যাকে আপনার সন্তুষ্টির জন্যই খুব মহব্বত করি ও শ্রদ্ধা করি এবং তার অশেষ কল্যাণ কামনা করি।
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      আল্লাহু-আকবার! ভাই ইসাম আল কামারি রহিমাহুল্লাহর
      বীরত্বপূর্ণ চিত্রটি যেন সচোক্ষে ভাসছে, আল্লাহ্ তায়া-লা
      ভাইকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন,আমাদের কেও ভায়ের
      মত কবুল করুন ও জান্নাতে একত্রিত করুন আমিন ইয়া রব্ব।

      Comment


      • #4
        Originally posted by Munshi Abdur Rahman View Post
        ইয়া আল্লাহ! আমাদের ভাই ইসাম আল-কামারি রহ. এর শাহাদাতকে কবুল করুন ও জান্নাতের সুউচ্চ মাকাম দান করুন এবং আমাদের প্রেরণার উৎস হিসাবে কবুল করুন। যাতে আমরাও আপনার রাস্তায় অবলীলায় জীবন বিলিয়ে দিতে পারি। আমাদেরকে তাওফীক দান করুন। আল্লাহুম্মা আমীন
        ইয়া রব্ব! শাইখ আইমান হাফিজাহল্লাহ এর নেক হায়াত খুব বেশী পরিমাণে বৃদ্ধি করে দিন! আমাদের উপর তাঁর ছায়াকে প্রলম্বিত করুন! তিনি আমাদের আস্থার প্রতীক, রাহবার, আমীর এবং মুরব্বী। যাকে আপনার সন্তুষ্টির জন্যই খুব মহব্বত করি ও শ্রদ্ধা করি এবং তার অশেষ কল্যাণ কামনা করি।
        জি আমিও শায়খের পুরো বইটি পড়ে শায়খকে অন্তরের গভীর থেকে সম্মান ও ভালোবেসে ফেলেছি। মহান আল্লাহর নিকট কাকুতি-মিনতির সাথে দু’আ করি, তিনি শায়খের ছায়া আমাদের উপর দীর্ঘায়িত করুন। শায়খকে নিজ সাহায্য ও তাওফিক দ্বারা শক্তিশালী করুন।

        Comment


        • #5
          Originally posted by salahuddin aiubi View Post
          জি আমিও শায়খের পুরো বইটি পড়ে শায়খকে অন্তরের গভীর থেকে সম্মান ও ভালোবেসে ফেলেছি। মহান আল্লাহর নিকট কাকুতি-মিনতির সাথে দু’আ করি, তিনি শায়খের ছায়া আমাদের উপর দীর্ঘায়িত করুন। শায়খকে নিজ সাহায্য ও তাওফিক দ্বারা শক্তিশালী করুন।
          আল্লাহুম্মা আমীন...
          আল্লাহুম্মা আমীন...
          আল্লাহুম্মা আমীন...
          আল্লাহুম্মা আমীন ইয়া রব্বাল আলামীন।
          “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

          Comment


          • #6
            প্রিয় ভাই- আপনার পোস্ট পড়ে খুবই অনুপ্রেরণা পাচ্ছি, আলহামদুলিল্লাহ।
            আল্লাহ আপনাকে উপযুক্ত বদলা দান করুন ও মুহতারাম আমীরের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু দান করুন। আমীন
            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

            Comment

            Working...
            X