Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ২৬শে জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪২ হিজরি | ৯ই ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ২৬শে জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪২ হিজরি | ৯ই ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ঈসায়ী

    মহা সংকটের মুখোমুখি কাশ্মীরের শাল শিল্প

    ভূস্বর্গখ্যাত কাশ্মীরের শালের খ্যাতি দুনিয়াব্যাপী। কিন্তু ভারতের নানা মাত্রিক দমন-পীড়ন ও আগ্রাসনে কাশ্মীরিদের জীবন ধারণের অন্যতম মাধ্যম এই শাল শিল্প বর্তমানে সংকটের মুখে।

    ভারতীয় হিন্দু মালাউনরা কাশ্মীরিদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পরিচয় নষ্ট করার পাশাপাশি তাদের অর্থনীতিও ধ্বংস করে দিচ্ছে। একদিকে কাশ্মীরি শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে জোর করে উচ্ছেদ করছে, অন্যদিকে কাশ্মীরের স্থানীয় শিল্পগুলো ধ্বংস করে দিচ্ছে।

    দখল করে রাখা জম্মু-কাশ্মীরে ১৯৯০ এর পর থেকে যেই অবর্ণনীয় নির্যাতন চালানো হচ্ছে এতে অনেক কাশ্মীরি নারী বিধবা হয়েছেন। নিরাশ্রয়, অসহায় বিধবাদের অধিকাংশই শাল তৈরির কারখানাগুলোতে আশ্রয় পেতেন; কিন্তু বর্তমানে কাশ্মীরের শাল শিল্প মহা সংকটের মুখোমুখি। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখে পাকিস্তানের সভা-সমাবেশগুলোতে কাশ্মীরিদের স্বাধীনতার শ্লোগানে আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে তোলা হয়; কিন্তু যেসব সমস্যার সমাধান না হওয়ার কারণে কাশ্মীরিদের জীবন প্রতি মুহূর্তে দুর্বিষহ হয়ে উঠছে তা নিয়ে কোন আলোচনা হয় না। কাশ্মীররের শাল শিল্পের সাথে ৭ লাখ মানুষের জীবিকা জড়িয়ে আছে, যার বড় একটি অংশ এই অসহায় বিধবা নারী।

    দুনিয়াব্যাপী খ্যাতি রয়েছে কাশ্মীরের তৈরি পাশমিনা ( কাশ্মিরী উল থেকে প্রস্তুত চাদর)ও শাহতোশ শালের।
    শত বছর আগে যখন শিল্পটি শুরু হয়েছিল, তখন এটি কাশ্মীর ও লাদাখের মানুষের মাঝে অর্থনৈতিক সম্পর্ক তৈরি করেছিল। কাশ্মীরের শাল তাঁতিরা লাদাখের পশমিনা ছাগলের দীর্ঘ পাতলা চুল ও কাঁচা পশম থেকে এই শাল তৈরি করেন।

    কাশ্মীরের তৈরি এই শাল ইউরোপে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করলে শালের জনপ্রিয়তা দেখে তৎকালীন ডোগরা শাসকরা শালের উপর প্রচুর কর আরোপ করেছিল। সর্বপ্রথম মহারাজা গুলব সিংহ এই শালের ওপর শুল্ক ধার্য করেছিল, তখন শাল তৈরিকারীরা লাহোর ও অমৃতসরে চলে যেতে চাইলে রাজা গুলাব সিংহ তাদের নিজেদের ঘরেই বন্দী করে রেখেছিল।

    এরপর মহারাজা রনবীর সিং ভ্যাটের পরিমান আরো বাড়িয়ে দিয়েছিল। এর প্রতিবাদে ১৮৬৫ সালে ২৪ এপ্রিল শ্রীনগরে শাল কারখানার শ্রমিকরা এক শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোকারীদের ওপর হামলা চালিয়ে ২৮ কাশ্মীরিকে শহীদ করা হয়েছিল। শ্রমিকদের পক্ষ থেকে অধিকার আদায়ে ভারতে এটিই ছিল প্রথম বিক্ষোভ সমাবেশ, যা অন্য সব আন্দোলনের মতো শক্তি প্রয়োগে দমন করা হয়েছিল।

    ১৯৯০-তে অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে যখন স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলন জোরদার হতে শুরু করে, নয়া দিল্লির ধূর্ত শাসকেরা লাদাখের অধিবাসীদের শ্রীনগরের বিরুদ্ধে উস্কিয়ে দিয়েছিল।

    শ্রীনগরে স্বাধীনতার পক্ষে স্লোগান উঠলে নয়াদিল্লি লাদাখের লোকদের লাদাখকে জম্মু-কাশ্মীর থেকে আলাদা করার দাবি তোলার পরামর্শ দেয়। নয়া দিল্লির পরামর্শে লাদাখ বৌদ্ধ সমিতি লাদাখকে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে আলাদা করার দাবিই শুধু তোলেনি, পাশাপাশি কাশ্মীরিদের সামাজিকভাবে বয়কট করেছিল এবং তাদের উলের তৈরি শাল বিক্রিতেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল।

    লাদাখের ছাগলের যেই কাঁচা পশম দিয়ে কাশ্মীরিরা শাল তৈরি করতো ভারতের শাসকেরা ষড়যন্ত্র করে লাদাখবাসীকে সেই কাঁচা পশম লুধিয়ানার মিলগুলিতে বিক্রি করতে প্ররোচিত করেছিল। এর ফলে কাশ্মীরের শাল শিল্প ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল।

    এই শাল তৈরিতে যেই উলের প্রয়োজন হয়, তা শুধু লাদাখেই নয়, চীন, নেপাল এবং মঙ্গোলিয়াতেও পাওয়া যায়। ভারতীয় যারা কাশ্মীরের শাল শিল্প থেকে উপকৃত হচ্ছিল,তারা শাল তাঁতের জন্য মঙ্গোলিয়া থেকে কাঁচা উল আমদানি শুরু করে। এতে কাশ্মীরি শালের চাহিদা কমে যেতে শুরু করে।

    বর্তমানে কাশ্মীরের শাল শিল্প সঙ্কটের মুখোমুখি। হাজার হাজার মানুষ কাজ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন।

    কাশ্মীরিদের সাথে সংহতি প্রকাশের সর্বোত্তম পন্থা হল, উগ্র হিন্দুদের হাত থেকে কাশ্মীরি সংস্কৃতি ও পশ্মিনা ও শাহতোশ উলের উৎপাদন ও তা রক্ষার প্রকল্প হাতে নেওয়া।

    জিও নিউজ ( ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১) লেখক:প্রখ্যাত সাংবাদিক হামিদ মীর
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ভারতে হিমবাহ ধসে মৃত বেড়ে ১৮ , এখনো নিখোঁজ ২ শতাধিক মানুষ

    ভারতের উত্তরাখণ্ডে বিশাল হিমবাহ ধসে ও বাঁধ ভেঙে আচমকা বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ।

    এর আগে, রোববার উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে হিমবাহ ধসে পাহাড়চূড়া থেকে কাদামাটি ও পানির বিশাল স্রোত নেমে আসে অলকানন্দা নদীর প্রবাহ বেয়ে। মুহূর্তেই এর নিচে চাপা পড়ে তপোবন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা।

    এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও এখনো নিখোঁজ অনেকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। ফলে ভয়াবহ এই দুর্যোগে শতাধিক প্রাণহানি হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    ওই এলাকায় একটি টানেলের ভেতর অন্তত ৩৯ জন শ্রমিক আটকা রয়েছেন বলে জানা গেছে।

    স্থানীয় প্রশাসন বলছে, বন্যা নামার সময় টানেলের ভেতরে কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। কিন্তু কাদামাটিতে মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা আর বের হতে পারেননি। তাদের সঙ্গে যোগাযোগও সম্ভব হয়নি।

    উদ্ধারকারী দলের এক কর্মকর্তা বলেছেন, টানেলের ঠিক কোন জায়গায় শ্রমিকরা আটকে রয়েছেন তা এখনো নিশ্চিত নয়।

    একই এলাকার আরেকটি ছোট টানেল থেকে রোববার ১২ শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছিল।

    খবর আনন্দবাজার পত্রিকার
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      এবার চাঁদাবাজি করে চেয়ারম্যান ধরা

      নাটোরের গুরুদাসপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পে হতদরিদ্রদের ঘর দেওয়ার নামে চাঁদাবাজির মামলায় উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শওকত রানাকে (৪৬) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

      এ মামলায় উচ্চ আদালতের আদেশে ৪২ দিনের জামিনে ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান শওকত রানা। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. নওয়াব আলী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

      আইনজীবী মো. নওয়াব আলী বলেন, ২০১৭ সালে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতাধীন হতদরিদ্রদের ঘর করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. নুরুল ইসলামের মাধ্যমে মামলার বাদী মো. জালাল উদ্দিনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন চেয়ারম্যান শওকত রানা। কিন্তু কয়েক বছর পার হলেও তাঁকে ঘর দেওয়া হয়নি। এমনকি ফেরত দেওয়া হয়নি পিএসের মাধ্যমে নেওয়া ৫০ হাজার টাকাও।

      এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জালাল উদ্দিন গত বছরের ১২ নভেম্বর থানায় শওকত রানা ও নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় নুরুল ইসলাম গ্রেপ্তার হয়ে জেল খাটলেও (এখন জামিনে) চেয়ারম্যান উচ্চ আদালত থেকে ৪২ দিনের জামিন নিয়েছিলেন।

      সোমবার নাটোরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চেয়ারম্যান শওকত রানার জামিন শুনানির দিন ছিল। আদালত শুনানি শেষে তাঁর জামিন বাতিল করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

      মামলার বাদী জালাল উদ্দিন বলেন, তিনি খেটে খাওয়া মানুষ। একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) থেকে ঋণ করে নুরুল ইসলামের হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দিয়েছিলেন ঘর পাওয়ার আশায়। টাকা দেওয়ার ৪ বছর কেটে গেলেও ঘর পাননি তিনি। উপরন্তু শ্রম–ঘাম ঝরিয়ে ঋণের টাকা শোধ করেছেন। কিন্তু ঘর পাননি তিনি।
      প্রথম আলো
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ফিলিস্তিনিদের জন্য অর্থ সহায়তা কমালো আমিরাত ও বাহরাইন

        মাজলুম ফিলিস্তিনিদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ সহায়তা বিপুল পরিমাণে কমিয়ে দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন।

        আল-জাজিরা জানিয়েছে, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে প্রতিবছর জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সহায়তা সংস্থায় আমিরাত ৫ কোটি ১৮ লাখ ডলার অনুদান দিলেও ২০২০ সালে মাত্র ১০ লাখ ডলার দিয়েছে।

        একইভাবে বাহরাইনও ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য সহযোগিতা কমিয়ে দিয়েছে বলে ইরনার খবরে বলা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানানো হয়নি।

        গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের মধ্যস্ততায় সন্ত্রাসবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় আরব আমিরাত। এরপরই জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের জন্য বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে দেশটি।

        ১৯৪৮ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চলে যাওয়া ৫৭ লাখ নিবন্ধিত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছে জাতিসংঘের ইউএনআরডব্লিউএ।

        সংস্থাটির অন্যতম দাতা দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে আমিরাত।

        শুক্রবার ইউএনআরডব্লিউএ’র মুখপাত্র সামি মাসাশা জানান, ২০২১ আমিরাত মাত্র ১০ লাখ ডলার বরাদ্দ দিয়েছে।

        এর আগে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য অর্থ সহায়তা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

        বর্তমানে প্রায় ৫০ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থী হিসেবে জাতিসংঘে নিবন্ধিত। তাদের বেশিরভাগই বাস করে জর্ডান, গাজা ভূখণ্ড, পশ্চিমতীর, সিরিয়া, লেবানন এবং পূর্ব জেরুজালেমে। তাদের এক-তৃতীয়াংশ বসবাস করে শরণার্থী শিবিরগুলোয়।
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          আল্লাহ মিডিয়ার ভাইদের মেহনতকে কবুল করুন এবং নির্যাতিত ও নিপীড়িত উম্মাহকে হিফাযত করুন। আমীন
          ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

          Comment

          Working...
          X