যদি তুমি দুর্গন্ধযুক্ত বস্তু হও তাহলে তুমি তোমার আশে-পাশে অনেক জীবাণু বহনকারী মাছিকে দেখতে পাবে।

আবার, যদি তুমি সুগন্ধিযুক্ত ফুলও হও তবুও তুমি তোমার আশে - পাশে অনেক মৌমাছিকে দেখতে পাবে।

জীবাণু বহনকারী মাছি গুলো দুর্গন্ধযুক্ত বস্তু থেকে না নিজে যথার্থ উপকৃত হয় আর না অপরকে উপকার করে।

কিন্তু মৌমাছি ঠিকই ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে নিজে উপকৃত হয়েই আবার অপরকেও উপকৃত করে এবং পরাগায়নও করে।

দুর্গন্ধযুক্ত বস্তুকে অধিকাংশ মানুষ এড়িয়ে চলে যায় আবার কেউ কেউ তো লাথি দিয়ে দূরে সরিয়ে দেয়।

কিন্তু সুগন্ধিযুক্ত ফুলকে কিছু মানুষ আদর - যত্ন করে বেশি সময় ধরে উপভোগ করে চায় আর অধিকাংশই ছিঁড়ে ফেলতে চায়!


আপনিই বলুন এই সুগন্ধিযুক্ত ফুলকে এই কিছু মানুষ কি অধিকাংশের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে? পারলেও আর কতক্ষণ পারবে?

কিন্তু যদি এমন হয়, ফুলটি সুগন্ধিযুক্ত হওয়ার সাথে সাথে কাঁটাযুক্তও , আবার শুধু কাঁটা যুক্তই নয় বরং তার আশে - পাশের গাছ গুলোও কাঁটা যুক্ত! তাহলে কেমন হবে ?

আবার যদি ফুলটি সুগন্ধিযুক্ত হওয়ার সাথে সাথে বাহ্যিক সৌন্দর্যেরও অধিকারী হয় যা মানুষকে খুব বেশি আকর্ষিত করে তবে কি পাতার আড়ালে থাকাই উত্তম নয় ? নয় তো মানুষ কাছে না যেতে পারলেও ঢিল ঠিকই মারবে কেননা তারা যে অধিকাংশ !!

হে যুবক ! আমি চাই

তুমি এমন একটি ফুল হও যা হবে বহুগুণে গুণান্বিত।

তুমি এখন একা তাই তুমি নিজেই কাঁটাযুক্ত (একাকী মুজাহিদ) হও।

সুযোগ হলে কাঁটাযুক্ত দলে (মুজাহিদ দলে) শামিল হও।

তোমার সুগন্ধিতে (আখলাকে) বিগলিত করো সকলকে।

কখনও তুমি প্রস্ফোটিত হও সামনা-সামনি (সামনা-সামনি যুদ্ধ) আবার কখনও প্রস্ফোটিত হও পাতার আড়ালে (ওতপেতে)।

কখনও সূর্যের আলোয় ফোট (দিনে যুদ্ধ কর) আবার কখনও চাঁদের কিরণে (রাতে যুদ্ধ কর)।

কখনও সুগন্ধ ছড়াও আবার কখনও বা বিষাক্ততা (যুদ্ধ মানেই ধোঁকা)।