Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ১৮ ই রজব ১৪৪২ হিজরি ০৩ই মার্চ ২০২১ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ১৮ ই রজব ১৪৪২ হিজরি ০৩ই মার্চ ২০২১ ঈসায়ী

    সিরিয়ায় এখনো লাখো মানুষ নিখোঁজ, প্রত্যক্ষদর্শীদের বীভৎস নির্যাতনের বর্ণনা

    যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সিরিয়ায় এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। সিরিয়ায় গত দশ বছরের গৃহযুদ্ধের সময় আটক হওয়া লাখ লাখ বেসামরিক নাগরিক এখনো নিখোঁজ। এছাড়া আরও কয়েক হাজার মানুষ হয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বা নিরাপত্তা হেফাজতে থাকার সময়ই মারা গেছেন। খবর বিবিসির।

    দেশটির গৃহযুদ্ধকালীন যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধ বিষয়ে নতুন একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।বিভিন্ন সহিংসতার শিকার হওয়া লোকজন এবং এসব ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বিভিন্ন পরিস্থিতিকে বর্ণনা করেছেন ‘কল্পনাতীত দুর্ভোগ’ হিসেবে। এর মধ্যে ছিল মাত্র ১১ বছর বয়সী ছেলে ও মেয়েদের ধর্ষণের মতো ঘটনাও।

    ২০১১ সালে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বিরোধী এক বিক্ষোভের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী ব্যবস্থা নেয়ার মধ্য দিয়ে দেশটিতে যে সংঘাতের সূচনা হয় সেটাই পরে গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়, যা এখনো চলছে।

    এক দশকের বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতে কমপক্ষে তিন লাখ আশি হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং দেশটির অর্ধেক জনগোষ্ঠীই বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে সিরিয়ার অন্তত ৬০ লাখ মানুষ।

    জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের স্বাধীন আন্তর্জাতিক কমিশনের সিরিয়া বিষয়ক এই তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রণয়ন করা হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৬৫০ সাক্ষ্য আর আটকের পর একশ’র বেশি ঘটনার উপর ভিত্তি করে।

    ওই কমিশনের চেয়ারম্যান পাওলো পিনহেইরো বলেন, সরকারি বাহিনী একতরফাভাবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও বিক্ষোভকারীদের আটক করেছে যা এই সংঘাতের মূল উৎস।

    আগে আটক ছিলেন এমন কয়েকজন জানিয়েছেন তারা মাসের পর মাস দিনের আলো দেখেননি, নোংরা পানি পানে বাধ্য হয়েছেন, খেয়েছেন বাসি খাবার এবং ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত সেলে তাদের রাখা হয়েছিল। এসব সেলে টয়লেট সুবিধা যেমন ছিল না, তেমনি ছিল না কোনো চিকিৎসা সুবিধাও।

    সরকারি কারাগারগুলোতে যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তারা তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য অন্তত ২০টি উপায়ে সেখানে নির্যাতন করা হতো। এর মধ্যে ছিলো ইলেকট্রিক শক দেয়া, শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়িয়ে দেয়া, নখ ও দাঁত উপড়ে ফেলা এবং দীর্ঘ সময় ধরে ঝুলিয়ে রাখা।

    হোমস শহরে আটক হওয়া এক ব্যক্তি তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময়কার স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘প্রথমে আমাকে নির্যাতন করলো। তারপর বললো, আমরা তোমাকে এখনো এখনি মেরে ফেলতে পারি, কেউ জানতেই পারবে না।

    নির্যাতনের শিকার হয়েও ফিরে আসা ব্যক্তিরা বর্ণনা দিয়েছেন কিভাবে তাদের শরীর জুড়ে ব্যথার সাথে এখনো লড়াই করছেন তারা যা পরে মানসিক ট্রমায় রূপ নিয়েছে।

    হোমস ও দামেস্কে সামরিক হেফাজতে নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন এমন এক নারী বলেন, ‘আমার অবস্থা এখন এমন যে, আমি ডায়াপার ছাড়া থাকতে পারি না। পুরো শরীরে মারাত্মক ব্যথা। আমার আসলে আর কোনো আশাই নেই। জীবনটা পুরোপুরি শেষ হয়ে গেছে।’

    তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হায়াত তাহরির আল শাম পরিচালিত কেন্দ্রগুলোতে যাদের আটক রাখা হয়েছিল তাদেরকেও অত্যাচার করা হত। এই কথিত জিহাদিরা এখন বিরোধী দল নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ ঘাঁটিটি নিয়ন্ত্রণ করছে। বহু পুরুষ জানিয়েছেন যে, তাদের নগ্ন করে ইলেকট্রিক শক দেয়া, এমনকি ধর্ষণও করা হয়েছিল।

    নারী বন্দীরা জানিয়েছেন, তাদের প্রায়ই ধর্ষণের হুমকি দেয়া হতো এবং হামা চেকপয়েন্টে একজন নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল।

    জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, আটক অবস্থায় কত মানুষ মারা গেছে তার কোনো হিসেব নেই। তবে ধারণা করা হচ্ছে কয়েক লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে সরকারি হেফাজতেই।

    বেশ কিছু সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের বিভিন্ন গণকবরে দাফন করা হয়েছে যার অন্তত দু’টি দামেস্কের শহরতলীতেই।

    পাওলো পিনহেইরো বলেন, ‘পরিবারের লাখ লাখ সদস্যের জানার অধিকার আছে যে, তাদের প্রিয়জনের ভাগ্যে কি ঘটেছে। এটি একটি ন্যাশনাল ট্রমা যার দিকে সব পক্ষ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরিভাবে দৃষ্টি দেয়া উচিত।’
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ভারতের মাদরাসায় হিন্দুদের বেদ-গীতা-রামায়ণ পড়ানোর প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের

    ভারতের মাদরাসাগুলোতে এবার মুসলিম শিক্ষার্থীদের বেদ, গীতা ও রামায়ণ পড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জাতীয় ওপেন স্কুলিং সংস্থার (The National Institute of Open Schooling/NIOS) পক্ষে নতুন এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। খবর জি-নিউজের।

    NIOS-এর নতুন প্রস্তাবে ১৫টি নতুন কোর্সের কথা বলা হয়েছে। ভারতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নামে এই তালিকায় রাখা হতে পারে হিন্দুদের কাল্পনিক বেদ, যোগ, রামায়ণ ও মহাভারত। থাকছে সংস্কৃত ভাষাও। এরই সঙ্গে থাকবে কিছু ভোকেশনাল স্কিলও। পড়ানো হবে ভগবত গীতাও। প্রাথমিক ভাবে ১০০ মাদরাসায় এগুলো পড়ানো শুরু করা হবে। পরবর্তীতে ৫০০ মাদরাসায় তা চালু করা হবে।

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি স্বাধীন শিক্ষা সংস্থা হল এই ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ওপেন স্কুলিং।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      এক জেলাতেই টিকা নেওয়ার পর ১২ জনের করোনা শনাক্ত, একজনের মৃত্যু

      কিশোরগঞ্জের ভৈরবে প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার পর ১২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এই ১২ জনের মধ্যে ১ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার পর টিকা নিয়েছেন—এমন এক ব্যক্তির শরীরেও ফের করোনা শনাক্ত হয়েছে। টিকা নেওয়ার পর করোনায় আক্রান্ত ১২ জনের একটি তালিকা করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ ধরে এখানে করোনা আক্রান্তের হার বাড়ছে।

      জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার টিকা নেওয়ার পরও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে।

      গত মঙ্গলবার ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে উপজেলার ১০৬ জন করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছেন। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৯ জনের শরীরে। অথচ এক মাস আগেও বেশির ভাগ দিনেই আক্রান্তের সংখ্যা থাকত শূন্য। নমুনা দিতে আসা লোকজনের সংখ্যাও ছিল খুবই কম।

      স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, গত ৭ ফেব্রুয়ারিতে গণটিকা গ্রহণ শুরু হওয়ার পর ভৈরবে টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৭ হাজার ৮৬১ জন। আর গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ৫ হাজার ৪৬১ জন। ভৈরবে টিকাকেন্দ্র করা হয়েছে স্থানীয় ট্রমা সেন্টার হাসপাতালে। আক্রান্ত ১২ জনের সবাই ওই কেন্দ্রে থেকে টিকা নিয়েছেন।

      উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, টিকা নেওয়ার পর মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম শামিম আহমেদ (৬৭)। তিনি পৌর শহরের ভৈরবপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। শামীম আহমেদ টিকা নেন ৮ ফেব্রুয়ারি। ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি অসুস্থ বোধ করেন এবং শরীরে কোভিডের উপসর্গ দেখা যায়। ওই দিনই তিনি কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে পরীক্ষার পর ১৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর করোনা শনাক্ত হয়। ১৯ ফেব্রুয়ারি তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরদিন ওই হাসপাতালে তিনি মারা যান। প্রথম আলো
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ভারতের মাদরাসায় হিন্দুদের বেদ-গীতা-রামায়ণ পড়ানোর প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
        জিহাদ ছেড়ে জাতীয়তাবাদ নিয়ে পড়ে থাকার ফলাফল।
        বাংলার জমিনে এমন হতে বেশি দেরি লাগবে না।
        আল্লাহ আমাদের সহিহ বুঝ দান করুন। আমিন
        গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

        Comment


        • #5
          ইনশাআল্লাহ, এটা বাস্তবায়ন হবে না,শিক্ষার্থীরা এ সকল বই ছিড়ে ফুটবল বানিয়ে লাথি দিয়ে, সৃজনশীল প্রতিভার পরিচয় দিবে
          “দ্বীনের জন্য রক্ত দিতে দৌড়ে বেড়ায় যারা,সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর উত্তরসূরী তারা”–TBangla

          Comment

          Working...
          X