Announcement

Collapse
No announcement yet.

“ফুরসান তাহতা রায়াতিন নাবিয়্যি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” সিরিজ-৪৫

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • “ফুরসান তাহতা রায়াতিন নাবিয়্যি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” সিরিজ-৪৫

    তৃতীয় অধ্যায়: ময়দানে প্রত্যাবর্তন- পঞ্চম পরিচ্ছেদ:দাগিস্তান: উপায় শেষ হওয়ার পর সাহায্য- প্রথম বিষয়: ককেশাসের পরিস্থিতি নিয়ে কিছু ভাবনা- চতুর্থ ভাগ:রাশিয়া ও ককেশাশি মুসলিমদের মধ্যকার লড়াই যে রাজনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক তাৎপর্যগুলো প্রকাশ করেছে


    (পূর্ব প্রকাশের পর)
    ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সালের যুদ্ধের সময় যখন আন্তর্জাতিক সমাজ চেচনিয়ার প্রতি ঝুঁকেছিল, তখন তারা মূলত জানত না যে, চেচনিয়া তাদের রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে কোন আদর্শ গ্রহণ করবে। সাম্রাজ্যবাদি খৃষ্টান রাষ্ট্রগুলোর নেতৃবৃন্দের আশা ছিল, তারা চেচেনদের উপর নিজেদের মতাদর্শ, মূল্যবোধ ও জীবনধারা চাপিয়ে দিতে সফল হবে এবং চেচনিয়াকে কথিত গণতান্ত্রিক জাতির গণ্ডির ভিতর অন্তর্ভূক্ত করতে পারবে। সংক্ষিপ্ত কথায়, তারা মনে করেছিল, তারা আজ পর্যন্ত সাবেক সেভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্গত অধিকাংশ ইসলামী জাতিসমূহের সাথে যে অবস্থায় পৌঁছেছিল, চেচনিয়ার সাথে সে অবস্থায় উপনীতি হতে পারবে।

    এতদসত্ত্বেও চেচনিয়া এই প্রমাণই দেয় যে, তারা তাদের লড়াই চালিয়ে যাবে, পিছপা হবে না। কারণ তারা প্রকৃত মুসলিম জনগণের পথ অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যারা জাতিকে, তথা মুসলিম সমাজকে জাগ্রত করার জন্য নিজেদের সকল চেষ্টা-পরিশ্রম কুরবানী করেছিলেন। যাতে তারা এক মুসলিম জাতি হিসাবে অন্যান্য মুসলিমদের সাথে মিলে নিজেদের জায়গাটি অধিকার করতে পারে। তারা শুধু এমন নাগরিক হিসাবে বেঁচে থাকার অপশন প্রত্যাখ্যান করেন, যারা শুধু ইসলামী আকিদাগুলো আঁকড়ে থাকে। তারা এর বিপরীতে সরল-সঠিক ইসলামের পথ অনুসরণ করার জন্য লড়াই করে যান। সরল-সঠিক ইসলামী পথের এই লড়াইয়ের একটি ফলাফল হল, তারা তাদের সেসকল মুসলিম ভাইদের স্বাধীনতার জন্য নিজেদের জীবনকে উৎসর্গিত করেন, যারা পৃথিবীর অন্যান্য প্রান্তে জুলুমের শিকার হচ্ছে। শুধু তাই নয়, তারা এর থেকেও সামনে বেড়ে ইসলামী খেলাফত পুনরুজ্জীবিত করার আবশ্যকীয়তা নিয়ে সুস্পষ্ট কথা বলেন। যেন পৃথিবীতে দ্বিতীয়বার এমন একটি শক্তি দাঁড়িয়ে যায়, যারা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলার দেওয়া আইন-কানুন অনুযায়ী কার্য পরিচালনা করবে।

    আজ চেচনিয়া এ সকল উন্নত দৃষ্টান্ত ও উচ্চ মনোবলের মূল্য দিচ্ছে। তারা তা বাস্তবায়নের জন্যও অনড়। কিন্তু তারা যার জন্য লড়াই করছে, তা তো এখনো আরো অনেক কুরবানী পাওয়ার উপযুক্ত।

    আশা করি, অচিরেই আমরা মিথ্যা মূর্তির শাসন থেকে বৈশ্বিক স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে পারব, যখন বিশ্ব লড়াইয়ের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য অনুধাবন করবে এবং তাদের লড়াইয়ের ক্ষেত্রে চেচেন জনগণের আদর্শ অনুসরণ করবে।

    এছাড়াও- যেমনটা আমরা ইসরাঈলী রাষ্ট্রের আলোচনায় পূর্বে বলেছি- আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার লাভের আরো অনেক বিকল্প উপায়ও পাওয়া যাবে, কিন্তু তার জন্য শর্ত আছে: মুসলিম না হতে হবে।

    স্বাভাবিকভাবেই গণতন্ত্রের সমর্থক ও প্রকৌশলীরা বিতর্ক করে বলবে: “এমন কিছু বিশেষ পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট রয়েছে, যা ইসরাঈল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকে সম্ভব করে দিয়েছে।”
    অথচ রাষ্ট্র গঠনের আধুনিক উদাহরণও পাওয়া যায়। আমরা সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়া থেকে পূর্ব তিমুর পৃথক হতে দেখেছি। এটি এমন একটি বিভক্তি, যা পরিপূর্ণ ধর্মীয় ভিত্তিতে হয়েছে। পূর্ব তিমুরের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সমাজ দেশের নাগরিকদের বৃহৎ মুসলিম অংশ থেকে ছোট্ট একটি খৃষ্টান অংশকে পৃথক করার জন্য দাপট ও সামরিক শক্তির হুমকি ব্যবহার করেছে। তারা এটাকে একটি রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা দেয়। এ কাজের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আন্তর্জাকি খৃষ্টান সম্প্রদায় কয়েকটি লক্ষ্য বাস্তবায়ন করেছে: কারণ এ সম্প্রদায় একটি ইসলামী রাষ্ট্রকে ভাগ করে দিল। এর মাধ্যমে তাকে দুর্বল করে দিল। খৃষ্টান নাগরিকদেরকে সরাসরি নিজেদের তত্ত্ববাধানে নিয়ে নিল এবং এর মাধ্যমে অন্যান্য ইসলামী রাষ্ট্রগুলোর সামনে প্রকাশ হয়ে যাবে যে, তাদের আদেশ না মানা ও আনুগত্য না করার ফলাফল কী। এছাড়াও এর কিছু আপেক্ষিক উপকারিতা আছে। তা হল, এটা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদেরকে খৃষ্টধর্মে ধর্মান্তরিত হতে উৎসাহিত করবে, যেহেতু এতে বিশাল ফায়দা আছে।
    ................
    তাহলে কিভাবে একজন মানুষের জন্য চেচনিয়ায় রাশিয়ার যুদ্ধগুলোকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব? যা কয়েক শতাব্দি ধরে চলে আসছে এবং দুই ধর্ম, দুই সভ্যতা, দুই ভাষা ও সম্পূর্ণ ভিন্ন জীবনযাত্রার দু’টি জাতিকে যুক্ত করে নিয়েছে। যারা সম্পূর্ণ পৃথক ভূমিতে বসবাস করে। এতদসত্ত্বেও এ লড়াইকে বলা হয়, এটা রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আর একই সময়ে পূর্ব তিমুরে খৃষ্টান নাগরিকদের ছোট্ট একটি অংশের পৃথক করা হয়, যারা ভাষা, সংস্কৃতি ও রীতি-নীতির দিক থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের সাথে বিরাট অংশে মিল রাখে। আর এটিকে এমনভাবে চিত্রিত করা হয়, যে এটা আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপকে, এমনকি আন্তর্জাতিক অনুপ্রবেশকে দাবি করে। হয়ত স্বাভাবিকভাবেই আমাদের প্রশ্ন আসতে পারে: কেন পূর্ব তিমুরের বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক গুরুত্বের বিষয় বানানো হয়, অথচ চেচনিয়ার সমস্যাকে এমনটা গণ্য করা হয় না? এমনকি হয়ত প্রশ্নটিই একেবারে কৃত্রিম প্রশ্ন হয়ে যায়।

    আসুন, আমরা আলোচ্য বিষয়টিকে আরেকটু বিস্তৃত পরিসরে দেখি। তথাকথিত আন্তর্জাতিক সমাজ ও ইসলামী রাষ্ট্রগুলোর সাথে সম্পর্কের বিষয়টিকে আরো ব্যাপক আকারে লক্ষ্য করি। আমরা সংক্ষিপ্তভাবে পূর্বতিমুরের সাথে আন্তর্জাতিক সমাজের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইন্দোনেশিয়ার উদাহরণ দেখতে পেলাম। অন্যান্য আরো কিছু উদাহরণ আন্তর্জাতিক সমাজ ও ইসলামী রাষ্ট্রগুলোর মাধ্যকার সম্পর্কের প্রকৃতি ভালোভাবে স্পষ্ট করবে- যেমন:

    - ইন্দোনেশিয়ার মত সুদানের গৃহযুদ্ধও আন্তর্জাতিক সমাজের সমর্থনে ধর্মের ভিত্তিতে রাষ্ট্রকে বিভক্ত করার উদাহরণ।

    - আলজেরিয়ায় ইসলামপন্থীরা নির্বাচনের মাধ্যমে আইনী উপায়ে ক্ষমতায় গিয়েছে। কিন্তু তাদেরকে ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে এবং তখন থেকেই এমন একটি শাসনব্যবস্থা গঠন করা হয়েছে, যা ইসলামী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কাজ করবে!!

    - ইরানে ইসলামপন্থীরা ক্ষমতায় গিয়েছে, ক্ষমতা দখলও করেছে এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান প্রতিষ্ঠা করেছে। কিন্তু তাদেরকে সেই মুহূর্ত থেকে কথিত আন্তর্জাতিক সমাজের শত্রু বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে, যখন ইসলামী বিপ্লব তার প্রত্যক্ষ লক্ষ্যে গিয়ে পৌঁছেছে।

    - আফগানিস্তানে তালেবান সরকার দেশের ৯৫% ভূমি দখল করে ফেলেছে এবং পূর্ববর্তী সরকারগুলোর বিপরীতে এ সকল অঞ্চলগুলোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বাস্তবায়ন করেছে, অথচ পূর্ববর্তী সরকারগুলো অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে ও অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিরসন করতে অক্ষম ছিল। এতদসত্ত্বেও আজও পর্যন্ত তালেবান সরকার আন্তর্জাতিক সমাজের স্বীকৃতির অপেক্ষায় আছে। কারণ তারা প্রকাশ্যভাবে ইসলামী আদর্শ মোতাবেক রাষ্ট্র গঠনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

    আমরা আরো উদাহরণ উল্লেখ করতে পারি। কিন্তু যা উল্লেখ করেছি, তা-ই বিষয়টি পরিস্কার করার জন্য যথেষ্ট। তাই যখনই মুসিলম জনগণ ও ইসলামী রাষ্ট্রগুলো একেকটি জাতি ও রাষ্ট্র হিসাবে নিজেদের পরিকল্পনাগুলো তৈরী করে, তখনই সাম্রাজ্যবাদি খৃষ্টান জাতিগুলোর সাথে (যারা নিজেদেরকে কথিত আন্তর্জাতিক সমাজ বলে আড়াল করে) সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিজেদেরকে বৈষম্য, শত্রুতা ও জুলুমের পাত্র দেখতে পায়।

    তাই এ হল অবস্থা, যার দ্বারা প্রত্যেক জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের বিষয়টির প্রয়োগিক বাস্তবতা প্রকাশ পায়। তাই সাম্রাজ্যবাদি রাশিয়ার অগ্নিবোমা ও জুলুমের মধ্যে বসবাস করা মুসলিম গোষ্ঠীগুলো কখনোই নিজেদের সমস্যার ক্ষেত্রে কথিত আন্তর্জাতিক সমাজ বা তাদের বিভিন্ন সংগঠনের সমর্থন পাওয়ার আশা করতে পারে না, চাই বিষয়টি যেমনই হোক। এজন্যই স্বাভাবিকভাবেই কয়েক দশক ধরে জাতিসঙ্ঘের কর্মসূচির মধ্যে সাম্রাজ্যবাদ থেকে মুক্তিলাভের বিষয়টি বিদ্যমান, কিন্তু তা সত্ত্বেও আমরা সেই সম্প্রদায়ের মাধ্যমে কোন নির্ভেজাল পন্থায় আদর্শগুলো বাস্তবায়ন করার আশা করতে পারি না। কারণ ধর্মীয় সম্বন্ধ এবং কথিত গণতন্ত্রের মৌলিক নীতিগুলোর প্রতি আস্থাই সাম্রাজ্যবাদ প্রতিহত করার বিষয়টি নির্ধারণ করে। অন্য কথায়, সাম্রাজ্যবাদ প্রতিহত করা নির্ভর করে যেকোন জাতি চলমান বিশ্বব্যবস্থার প্রতি কতটুকু বন্ধুত্ব প্রকাশ করে তার উপর।

    তাই খৃষ্টান জাতিগুলোর প্রেক্ষাপটে এটা স্পষ্ট যে, সাম্রাজ্যবাদ থেকে পরিপূর্ণ মুক্তির জন্য জাতিসঙ্ঘ কাজ করে। কিন্তু অন্যান্য জাতিগুলো, বিশেষত: মুসলিমদের ক্ষেত্রে জাতিসঙ্ঘ এমন কতগুলো শর্ত জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা করে, যা আধুনিক সাম্রাজ্যবাদি শাসনের বিবিধ কাঠামো থেকে কোন একটি কাঠামো প্রতিষ্ঠার জন্য উপযুগী। আমরা এটা সহজে এভাবে বলতে পারি, অ-খৃষ্টান জাতিগুলোর ক্ষেত্রে বৈষম্য করা হবে। তাদের অধিকারগুলো ক্ষমতাসীন খৃষ্টান সম্প্রদায়ের ইচ্ছেমত সকল উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

    অধিকাংশ ক্ষেত্রে আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রত্যাখ্যান করার জন্য যে উপায়গুলো ব্যবহার করা হয়, তা হচ্ছে এ সকল রাষ্ট্রগুলোকে ‘ব্যক্তি স্বাধীনতা’র মুখোমুখী দাড় করানো অথবা রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা রক্ষা ও রাষ্ট্রকে বিভক্ত না করার নীতির মুখোমুখী করা।

    বিগত ৩০ বছর যাবত আন্তর্জাতিক আইনের মধ্যে “রাষ্ট্রের ভূমিগুলোর নিরাপত্তা এবং তার ঐক্য রক্ষা”কে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। বিশেষ করে এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল, সেসকল রাষ্ট্রগুলোর সহযোগীতাকে বৈধতা দেওয়া, যারা সাম্রাজ্যবাদ থেকে মুক্তির অভিযানকে নিজেদের স্বার্থের জন্য হুমকি মনে করে। আর এটা সেসময় থেকেই বা তারও পূর্ব হতে ওই সকল মুসলিম জাতিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে, যারা নিজেদেরকে সাম্রাজ্যবাদি শাসন থেকে মুক্ত করতে চেষ্টা করছে।

    এই নীতির ব্যবহারকে আরো শক্তিশালী করে আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার বা স্ব-শাসন অধিকারের নিচের স্তরের কোন বিষয়ের জন্য সমঝোতা-সংলাপের আগ্রহ। তখন অধীনস্ত অনুগত জনগণকে সাম্রাজ্যবাদি রাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে স্ব-শাসনের কোন একটি রূপ গ্রহণ করতে বলা হয়। আর এই নীতির অধীনে অনুগত রাষ্ট্রের ভূমিগুলো সবচেয়ে ভালো অবস্থায়ও সাম্রাজ্যবাদি রাষ্ট্রটির অধীনস্ত ভূমি হিসাবে থাকে। এ পদ্ধতিতেই প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলো তাদের ‘দেশের ঐক্য ও শান্তি’ রক্ষা করে।

    এ জাতীয় পেশাদারি আইনী প্রক্রিয়াগুলো এমন আরো অনেক উপায়ে ব্যবহার করা হতে পারে, যা অখৃষ্ট জাতিগুলোকে প্রকৃত স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করার জন্য প্রয়োজন মনে হবে। বিশেষভাবে যখন স্ব-শাসনের লক্ষ্যটি বড় বড় খৃষ্টান রাষ্ট্রগুলোর স্বার্থ বা তাদের কৌশলগত টার্গেটগুলোর সাথে সাংঘর্ষিক হয়।

    কিন্তু এর বিপরীতে যখন আলোচ্য ব্যাপারটি এমন কোন জাতির অধিকারের ব্যাপারে হয়, যারা কোন অখৃষ্ট রাষ্ট্র থেকে পৃথক হবে, সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার সমাধান হয়ে যায় এবং তখন স্বভাবতই আন্তর্জাতিক আইনের মধ্যে আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের নীতিটির প্রাধান্য ফিরিয়ে আনে। একারণে কথিত আন্তর্জাতিক আইন মূলত প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোর স্বার্থ রক্ষা করা এবং বিশ্বের অখৃষ্ট জাতিগুলোর উপর নিজেদের কর্তৃত্ব ঠিক রাখার জন্য ব্যবহৃত একটি অস্ত্র মাত্র।

    আন্তর্জাতিক আইনের ধারাগুলো এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্যই প্রণয়ন করা হয়েছে। এ আইন প্রত্যেকটি মৌলিক পরিভাষার মধ্যে দু’টি বা তিনটি ব্যাখ্যা করার সুযোগ দেয়। আর এটা নির্ভর করে, যে রাষ্ট্র বা জাতির উপর এ আইনটি প্রয়োগ করা হবে, তারা কারা বা কোন রাষ্ট্র, তার উপর। তাই খৃষ্টান সাম্রাজ্য নির্মাতাদের স্বার্থই সর্বক্ষেত্রে চূড়ান্ত উদ্দীপক। এটাই নির্ধারণ করে যে, কোন ব্যখ্যাটি ব্যবহার করা হবে। অতঃপর খৃষ্টান রাষ্ট্রগুলো সে ব্যাখ্যাটিই ব্যবহার করে, যা তাদের জন্য মনোমুগ্ধকর।

    এমনকি যে সমস্ত জাতিগুলো তাদের সাথে একই ধর্মের অনুসারী, তারাও দেখতে পারবে যে, যখন তাদের অভিলাস এই স্বার্থগুলোর সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে যাবে, তখন তাদের মাঝেই বৈষম্য করা হচ্ছে। সুতরাং এটা কোন নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক আইন নয়। বরং এটা হল আইন না থাকার একটি অবস্থা, যা আইনের আবরণে কাজ করছে। তা প্রণয়ন ও সাজানো হয়েছে নির্দিষ্ট স্বার্থ সেবার জন্য। স্বভাবতই তা হল: প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোর স্বার্থ।”

  • #2
    একারণে কথিত আন্তর্জাতিক আইন মূলত প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোর স্বার্থ রক্ষা করা এবং বিশ্বের অখৃষ্ট জাতিগুলোর উপর নিজেদের কর্তৃত্ব ঠিক রাখার জন্য ব্যবহৃত একটি অস্ত্র মাত্র।
    সুতরাং এটা কোন নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক আইন নয়। বরং এটা হল আইন না থাকার একটি অবস্থা, যা আইনের আবরণে কাজ করছে। তা প্রণয়ন ও সাজানো হয়েছে নির্দিষ্ট স্বার্থ সেবার জন্য। স্বভাবতই তা হল: প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোর স্বার্থ।”
    আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে সহীহ বুঝ দান করুন এবং আন্তর্জাতিক আইনের ধোঁকা থেকে হিফাযত করুন।
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      আল্লাহ আপনার মেহনতকে কবুল করুন ৷
      ফুরসান থেকে আমাদের উপকৃত করুন ৷ আমিন
      গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

      Comment


      • #4
        দেশে দেশে খ্রিস্টান মিশনারীগুলো প্রধান কাজ হলো সেবার নাম দিয়ে মুসলিমদের খ্রিস্টান বানানো, এরপর যখন নির্দিষ্ট সংখ্যক খ্রিস্টান হয়ে যাবে তখন একটা মিথ্যা অজুহাত দিয়ে কুফরি সঙ্গের বাহিনী পাঠিয়ে দিবে।
        ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

        Comment


        • #5
          জনগণের সামনে জাতিসংঘের মুখোশ উন্মোচন করে দেওয়া সময়ের অপরিহার্য দাবি।
          আল্লাহ আপনার খেদমতকে কবুল করুন ও জাযায়ে খাইর দান করুন। আমীন।
          ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

          Comment

          Working...
          X