Announcement

Collapse
No announcement yet.

তাকফির সংক্রান্ত প্রশ্ন

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • তাকফির সংক্রান্ত প্রশ্ন

    ১)যারা তাগুতের, কাফেরদের পক্ষ হয়ে, মুজাহিদদের কিংবা সাধারণ মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, অস্ত্র ধরে- তাহলে কী তা ব্যাক্তিগতভাবে মুরতাদ হয়ে যাবে?
    ২)সাধারণত মুরতাদ বাহিনীর সদস্যদের ব্যাক্তিগতভাবে তাকফির কেন করা হয় না?
    আশা করি, বিজ্ঞ ভাইয়েরা কুরআন-সুন্নাহর আলোকে উত্তর দিবেন ইনশাআল্লাহ।কারো কাছে "উসুলে তাকফির" সম্পর্কে বই থাকলে দেওয়ার অনুরোধ করছি।

  • #2
    ভাইজান অপেক্ষা করুন।
    اللهم انی اسلک الهدی والتفی والعفافی والغناء

    Comment


    • #3
      আল্লামা আনওয়ার শাহ কাশ্মীরি রহ. এর ‘ইকফারুল মুলহিদীন’ নামক কিতাবটি পড়তে পারেন ভাই।
      আর এই কিতাবটি অফলাইনেও কিনতে পাওয়া যায়।
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment


      • #4
        জী কাফের হয়ে যাবে দলীলوَمَن يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُّتَعَمِّدًا فَجَزَآؤُهُ جَهَنَّمُ خَالِدًا فِيهَا وَغَضِبَ اللّهُ عَلَيْهِ وَلَعَنَهُ وَأَعَدَّ لَهُ عَذَابًا عَظِيمًا
        Last edited by khaled123; 04-27-2021, 06:15 PM.

        Comment


        • #5
          ১. khaled123 ভাইকে বলব ! মাসআলা বয়ানে আরেকটু ধীরে অগ্রসর হই। যথাযথ অধ্যয়ন করি। কারণ উনার ইস্তিদলাল থেকে বুঝা যায় কতল দুই প্রকার। কতলে আমদ বা ইচ্ছাকৃত হত্যা হল ইরতিদাদ। আর কতলে খতা বা ভুলবশত হত্যা মাফ। আহলুস সুন্নাহর কোনো মুফাসসির বা ফকীহ এভাবে বলেন নি।
          ২. عمد বা ইচ্ছা দ্বারা টার্গেটেড হত্যা উদ্দেশ্য হলে আয়াতের ব্যাখ্যা হবে দীর্ঘ সময় জাহান্নামে থাকা। যেমন প্রতিবেশীকে দুনিয়াবী কারণে হত্যা করল। এর দ্বারা কাফির হবে না। এটাই আয়াতের আসল উদ্দেশ্য। তবে ২য় ব্যাখ্যা হল ঈমানের কারণে কাউকে হত্যা করলে কুফুরী। হত্যাকারী কাফির থাকলে ঈমান না আনলে আর মুরতাদ হয়ে গেলে পুনরায় মুমিন না হলে চিরস্থায়ী জাহান্নাম। এই মাসআলা ঠিক হলেও ব্যাখ্যাটি দুই নাম্বারে। কারণ, তখন আগে ও পরের আয়াতের সাথে মিল থাকে না। এর বিপরীতে خطأ বা ভুল দ্বারা উদ্দেশ্য মিস টার্গেটেড হত্যা। যেমন হরিণ মারতে গিয়ে মানুষ মারা গেল। এর জন্য দাসমুক্তি ইত্যাদি কাফফারা। আলী ওমুআবিয়া রা. এর যুদ্ধ তো টার্গেটেড ছিল। হরিণ মারার মত বিষয় ছিল না। এ জন্য তারা কেউ কাফফারাও দেননি। তাদের কারো ভুল থাকলে ইজতিহাদে। হত্যার বেলায় না।
          ৩. কুরআন ও সন্নাতে রসূল আমাদের উপর নাযিল হয় নি। তাই এদুয়ের সঠিক ব্যাখ্যার জন্য উলামায়ে উম্মাহর ধারাবাহিকতা যা সাহাবা পর্যন্ত পৌঁছেছে, একান্ত যরূরী। এটাই আহলুস সুন্নাহর পূঁজি।
          ৪. তাকফিরের কিছু মাসআলার প্রয়োগ জটিল। তারপরও মৌলিক কিছু বিষয় ভাইদের সামনে সহজে উপস্থাপন করার ইচ্ছা আছে। তাই দুআ প্রার্থী।

          Comment


          • #6
            Originally posted by sunni jihaadi View Post
            ১. khaled123 ভাইকে বলব ! মাসআলা বয়ানে আরেকটু ধীরে অগ্রসর হই। যথাযথ অধ্যয়ন করি। কারণ উনার ইস্তিদলাল থেকে বুঝা যায় কতল দুই প্রকার। কতলে আমদ বা ইচ্ছাকৃত হত্যা হল ইরতিদাদ। আর কতলে খতা বা ভুলবশত হত্যা মাফ। আহলুস সুন্নাহর কোনো মুফাসসির বা ফকীহ এভাবে বলেন নি।
            ২. عمد বা ইচ্ছা দ্বারা টার্গেটেড হত্যা উদ্দেশ্য হলে আয়াতের ব্যাখ্যা হবে দীর্ঘ সময় জাহান্নামে থাকা। যেমন প্রতিবেশীকে দুনিয়াবী কারণে হত্যা করল। এর দ্বারা কাফির হবে না। এটাই আয়াতের আসল উদ্দেশ্য। তবে ২য় ব্যাখ্যা হল ঈমানের কারণে কাউকে হত্যা করলে কুফুরী। হত্যাকারী কাফির থাকলে ঈমান না আনলে আর মুরতাদ হয়ে গেলে পুনরায় মুমিন না হলে চিরস্থায়ী জাহান্নাম। এই মাসআলা ঠিক হলেও ব্যাখ্যাটি দুই নাম্বারে। কারণ, তখন আগে ও পরের আয়াতের সাথে মিল থাকে না। এর বিপরীতে خطأ বা ভুল দ্বারা উদ্দেশ্য মিস টার্গেটেড হত্যা। যেমন হরিণ মারতে গিয়ে মানুষ মারা গেল। এর জন্য দাসমুক্তি ইত্যাদি কাফফারা। আলী ওমুআবিয়া রা. এর যুদ্ধ তো টার্গেটেড ছিল। হরিণ মারার মত বিষয় ছিল না। এ জন্য তারা কেউ কাফফারাও দেননি। তাদের কারো ভুল থাকলে ইজতিহাদে। হত্যার বেলায় না।
            ৩. কুরআন ও সন্নাতে রসূল আমাদের উপর নাযিল হয় নি। তাই এদুয়ের সঠিক ব্যাখ্যার জন্য উলামায়ে উম্মাহর ধারাবাহিকতা যা সাহাবা পর্যন্ত পৌঁছেছে, একান্ত যরূরী। এটাই আহলুস সুন্নাহর পূঁজি।
            ৪. তাকফিরের কিছু মাসআলার প্রয়োগ জটিল। তারপরও মৌলিক কিছু বিষয় ভাইদের সামনে সহজে উপস্থাপন করার ইচ্ছা আছে। তাই দুআ প্রার্থী। ।।।।।
            ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্যে ধন্যবাদ

            Comment


            • #7
              Originally posted by sunni jihaadi View Post
              ১. khaled123 ভাইকে বলব ! মাসআলা বয়ানে আরেকটু ধীরে অগ্রসর হই। যথাযথ অধ্যয়ন করি। কারণ উনার ইস্তিদলাল থেকে বুঝা যায় কতল দুই প্রকার। কতলে আমদ বা ইচ্ছাকৃত হত্যা হল ইরতিদাদ। আর কতলে খতা বা ভুলবশত হত্যা মাফ। আহলুস সুন্নাহর কোনো মুফাসসির বা ফকীহ এভাবে বলেন নি।
              ২. عمد বা ইচ্ছা দ্বারা টার্গেটেড হত্যা উদ্দেশ্য হলে আয়াতের ব্যাখ্যা হবে দীর্ঘ সময় জাহান্নামে থাকা। যেমন প্রতিবেশীকে দুনিয়াবী কারণে হত্যা করল। এর দ্বারা কাফির হবে না। এটাই আয়াতের আসল উদ্দেশ্য। তবে ২য় ব্যাখ্যা হল ঈমানের কারণে কাউকে হত্যা করলে কুফুরী। হত্যাকারী কাফির থাকলে ঈমান না আনলে আর মুরতাদ হয়ে গেলে পুনরায় মুমিন না হলে চিরস্থায়ী জাহান্নাম। এই মাসআলা ঠিক হলেও ব্যাখ্যাটি দুই নাম্বারে। কারণ, তখন আগে ও পরের আয়াতের সাথে মিল থাকে না। এর বিপরীতে خطأ বা ভুল দ্বারা উদ্দেশ্য মিস টার্গেটেড হত্যা। যেমন হরিণ মারতে গিয়ে মানুষ মারা গেল। এর জন্য দাসমুক্তি ইত্যাদি কাফফারা। আলী ওমুআবিয়া রা. এর যুদ্ধ তো টার্গেটেড ছিল। হরিণ মারার মত বিষয় ছিল না। এ জন্য তারা কেউ কাফফারাও দেননি। তাদের কারো ভুল থাকলে ইজতিহাদে। হত্যার বেলায় না।
              ৩. কুরআন ও সন্নাতে রসূল আমাদের উপর নাযিল হয় নি। তাই এদুয়ের সঠিক ব্যাখ্যার জন্য উলামায়ে উম্মাহর ধারাবাহিকতা যা সাহাবা পর্যন্ত পৌঁছেছে, একান্ত যরূরী। এটাই আহলুস সুন্নাহর পূঁজি।
              ৪. তাকফিরের কিছু মাসআলার প্রয়োগকরেছি । তারপরও মৌলিক কিছু বিষয় ভাইদের সামনে সহজে উপস্থাপন করার ইচ্ছা আছে। তাই দুআ প্রার্থী।
              আমি এখানে সত্যিই তাড়াহুড়ো করেছি এর ফলে ভুল করেছি

              Comment


              • #8
                Originally posted by khaled123 View Post
                ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্যে ধন্যবাদ
                আমিতো নতুন ফরামের অবস্থা সম্পর্কে ভালো ভাবে জানিনা তাই এখন আমি সতর্ক হয়ে গেলাম সামনে থেকে পরিপূর্ণ تحقيقকরে পোস্ট করব যাতে কেহ ভুল না ধরতে পারে ইনশাআল্লাহ

                Comment

                Working...
                X