Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুফতি সাহেবদের প্রতি আবেদন

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুফতি সাহেবদের প্রতি আবেদন

    একলোক বিদেশ থাকা অবস্থায় কিছু টাকা বিমার মাধ্যমে জমা করে বহু বছর আগে মারা গিয়েছে এখন তার একাউন্টে জমা হয়েছে ৪২কুটি টাকা বিদেশি সরকারি ভাবে।
    এরপর ঔ বিমা এখন বন্ধ হয়ে গেল। এবং ঔ লোকের কোন সন্ধান নেই। বা তারা খুঁজ নেই নিয়ে।
    বিদেশি একলোক এ খবর জেনে আরেক বাঙালি কে তার আত্মীয় বানিয়ে ঐ টাকা ব্যংক থেকে নিয়ে পেলেছে। এবং অর্ধেক অর্ধেক ভাগ করে নিয়ে গেছে।
    তো বাঙালি যে আনতেছে তার এক আত্মীয় যিনি মাসআলাটা জিজ্ঞেস করেছে ওনি এক কুটি পাবে আত্মীয় হিসাবে ওনি আবার প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ঋনি।
    এখন জানার বিষয় হচ্ছে তৃতীয় এ ব্যক্তির জন্য ঐ সম্পদ খাওয়া জায়েজ হবে কিনা?
    এবং আনা -নেওয়ার মধ্যে কেহ যদি সাহায্য করে জায়েজ হবে কিনা?
    তৃতীয় ব্যক্তি বাঙালি যে টাকা আনতেছে তার আত্মীয়।

  • #2
    এই লেনদেন (খুবসম্ভব) দারুল কুফরে হয়েছে। তাই-
    ১. প্রথমে দেখতে হবে উক্ত টাকার উপর নিখোঁজ ব্যক্তির শরয়ী মালিকানা সাব্যস্ত হয়েছিল কিনা? (মালিকানা সাব্যস্ত না হওয়ার একটি কারণ হবে বীমা কোম্পানিতে কোনো মুসলিমের মালিকানা থাকা। অন্য কারণও হতে পারে।)
    ২. নিখোঁজ ব্যক্তির শরয়ী মালিকানা সাব্যস্ত না হলে (এবং কোম্পানি বেসরকারী হলে) দেখতে হবে, বীমা কর্তৃপক্ষের মাঝে (টাকা তোলার আগে যাদের মালিকানায় ছিল) কোনো মুসলিম আছে কিনা? থাকলে টাকা আনা জায়েয হয়নি। ফেরত দেয়া সম্ভব না হলে যাকাত গ্রহণের যোগ্য এক বা একাধিক ব্যক্তি কে (সওয়াবের নিয়ত ছাড়া) মালিক বানিয়ে দিতে হবে। কারণ, কোনো মুসলিম হারাম পন্থায় যেমন সুদ বা ঘুষ হিসেবে টাকা দিলে, যতই খুশি মনেই দিয়ে থাকুক না কেন; আরেক মুসলিমের জন্য নেয়া জায়েয নেই।
    ৩. যদি বীমা কর্তৃপক্ষের মাঝে মুসলিম না থাকে, আর কর্তৃপক্ষ সরকার হওয়া এর অন্তর্ভুক্ত। তবে গ্রহণকারীর জন্য গনীমততুল্য। তিনি এর মালিক গণ্য হবেন। কারণ, হরবীদের সম্পদ যেহেতু কেড়ে নেয়া বৈধ। তাই আবু হানীফা র. ও মুহাম্মাদ র. এর নিকট দারুল হরবে হরবী ও মুআহিদের সম্পদ তাদের খুশিতে নেয়াও বৈধ। সুদ হিসাবে হোক বা মাদকের বিনিময়ে হোক।
    ৪. মুসলিম অমুসলিম মিশ্র মালিকানা হলে আনা যাবে না। তবে এনে ফেললে মুসলিমের অংশ হিসাব করে তা থেকে দায়মুক্ত হলে বাকিটা বৈধ হবে।
    ৫. আর নিখোঁজ ব্যক্তির শরয়ী মালিকানা সাব্যস্ত হলে (সে ক্ষেত্রে বীমা কোম্পানিতে কোনো মুসলিমের মালিকানা থাকবে না।) তখন উক্ত অর্থে গ্রহণকারীর মালিকানা সাব্যস্ত হবে না। বরং সময় সাপেক্ষে নিখোঁজ ব্যক্তির মিরাস বলে গণ্য হবে। তখন, গ্রহণকারী ওয়ারিস হলে মিরাসে তার অংশ পাবেন, নইলে পাবেন না। তবে অর্থ উত্তোলনে সহযোগিতার কারণে পারিশ্রমিক নিতে পারেন, অতিরিক্ত নিলে ঘুষ হবে। আর ওয়ারিসরা চাইলে উপহার হিসেবে কিছু দিতে পারে।
    ওয়ারিস না পাওয়া গেলে যাকাতের খাতে দান করে দিবে। এক্ষেত্রে ঋণগ্রস্তকেও দেয়া যাবে, কিন্তু দরকারের বেশি দেয়া মাকরুহ। নিজে যাকাত নেয়ার যোগ্য হলে দরকার পরিমাণ নিতে পারবে, বেশি নেয়া ঠিক হবে না।
    মিরাসের মাসায়েলের বিবরণ এখানে নিষ্প্রয়োজন।

    Comment

    Working...
    X