Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ# ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪২ হিজরি | ০১লা জুন ২০২১ ঈসায়ী |

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ# ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪২ হিজরি | ০১লা জুন ২০২১ ঈসায়ী |

    ইমামকে পেটালেন আ’লীগ নেতা, হেফাজতের নেতা বানিয়ে মামলার হুমকি

    সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য হাসান আলী ওরফে হাসান মেম্বার মাদকাসক্ত হয়ে প্রকাশ্যে সড়কের উপর গাড়ি থামিয়ে মসজিদের এক ইমামকে পিটিয়েছে।

    রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চাঁরাগাঁও সীমান্ত সড়কের উপর নিজ বাড়ির অদূরে হাসান মেম্বার মসজিদের ইমামকে পেটায়। হাসান উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও ওই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।

    শারীরিকভাবে মারধরের শিকার হয়েছেন উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বাঁশতলা দারুল হেদায়েত হাফিজুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানার মুহতামিম এবং মসজিদের ইমাম মাওলানা ওমর ফারুক।

    এ ঘটনার আগে একই দিন একটি সালিশ বৈঠকে মাদকাসক্ত হয়ে প্রবেশ ও কথা বলা অবস্থায় ওই ইউপি সদস্যের একটি ভিডিওচিত্র ভাইরাল করেন স্থানীয়রা। এরপর মসজিদের ইমামকে পেটানোর ঘটনায় বিচার চেয়ে সাধারণ লোকজন প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল করেন।

    মারধরের শিকার মসজিদের ইমাম গণমাধ্যমকে জানান, উপজেলার সীমান্ত এলাকায় কথিত একটি মাজারে করোনাকালীন গান-বাজনার আয়োজন বন্ধে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আমির উদ্দিনের সভাপতিত্বে জঙ্গলবাড়ি মোড়ে সালিশ বৈঠক বসে। মাদকাসক্ত হয়ে হাসান মেম্বার সালিশে আলোচনা চলাকালীন প্রবেশ করে বেসামাল কথাবার্তা বললে সালিশে থাকা লোকজন তাকে সালিশ বৈঠক থেকে বের করে দেন।

    এদিকে সালিশ বৈঠকে থাকা মসজিদের ইমাম মাওলানা ওমর ফারুক ভগ্নিপতিকে সঙ্গে নিয়ে নিজ প্রতিষ্ঠান ও নিজ বাড়ি বাঁশতলায় ফেরার পথে সড়কে মোটরসাইকেল থামান হাসান মেম্বার। মাওলানা ওমর ফারুক বলেন, মাদকাসক্ত অবস্থায় প্রকাশ্যে সড়কের উপর আমাকে হাসান মেম্বার কিলঘুষি মারতে থাকেন। প্রতিরোধে এগিয়ে আসায় আমার ভগ্নিপতি জালালকেও মারধর করেন তিনি। হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিলে কিংবা এ ব্যাপারে থানায় মামলা করতে গেলে হেফাজত নেতা বানিয়ে উল্টো আমাকে মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে ইউপি সদস্যের লোকজন।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    মাস্ক পরে জনসমক্ষে ধর্ষণ ও খুনের পলাতক আসামি বসুন্ধরার এমডি আনভীর

    দীর্ঘদিন লোকচক্ষুর আড়ালে থাকার পর হঠাৎ করেই জনসমক্ষে এল বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর। শনিবার (২৯ মে) শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের (২০২১-২৪) নির্বাচন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় করে।

    এ বিষয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকাধীন ‘কালের কণ্ঠ’ ও ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ পত্রিকা দুটিতে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে খবরও প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে আনভীরকে ছাইরঙা টুপি, কালো সানগ্লাস, কালো মাস্ক, কালো টি-শার্ট ও গাঢ় নীল প্যান্ট পরিহিত বসা অবস্থায় দেখা যায়, যা খবরটির সঙ্গে প্রকাশিত হয়েছে।

    গত ১৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর গুলশানের অভিজাত ফ্ল্যাটে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় ‘আত্মহত্যার প্ররোচনা’ মামলায় একমাত্র অভিযুক্ত আসামি সায়েম সোবহান আনভীর। ঘটনার পর সে দেশে আছে নাকি বিদেশে পালিয়ে গেছে, সেই বিষয়ে কোনো তথ্যই দিতে পারেনি আওয়ামী পেটুয়া বাহিনী। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মুনিয়ার ফ্ল্যাটে আনভীরের যাতায়াতের প্রমাণ তারা পেয়েছে। এ ঘটনায় আনভীরের কোনো বক্তব্য কোনো গণমাধ্যমই পায়নি। অন্যদিকে আলোচিত এই মামলায় আনভীরকে গ্রেপ্তারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচি পালন করে অনেকগুলো সামাজিক সংগঠন।

    গত ২৬ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যার পর রাজধানীর গুলশানের ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে আসামি করে মামলা করেন মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান। মামলার এজাহারে বাদী বলেন, মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মোসারাত জাহান মুনিরা। দুই বছর আগে মুনিরা ও আনভীরের মধ্যে পরিচয় হয়। এরপর থেকে তারা বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় দেখা করতেন। তাদের প্রায় সময় মোবাইল ফোনে কথা বলতেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে আনভীরকে পাওয়া যাচ্ছে না, গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশ হয়। তিনি দেশ বা বিদেশে আছেন, সে বিষয়েও কেউ সঠিকভাবে অবগত নন।

    উল্লেখ্য, আনভীরের সাথে বর্তমান সরকারের হাত থাকায় শুরু থেকেই সরকারী বাহিনী ও মিডিয়া তার পক্ষ নিয়েছে। তার বিরুদ্ধে তেমন কোন ব্যবস্থাই নেয়নি।

    সূত্র:দৈনিক জাগরণ
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মোবাইল আসক্ত এসএসসি শিক্ষার্থীকে বকা দেয়ায় আত্মহত্যা

      রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাবা ও মায়ের সঙ্গে অভিমান করে ফাতেমা আক্তার (১৭) নামের এক এসএসসি শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

      শনিবার দুপুর ১২টার দিকে বেগুনবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

      ফাতেমার বাবা আবদুস সালাম যুগান্তরকে জানান, মেয়ে প্রায় সময়ই মোবাইল নিয়ে থাকতো। ঠিকমতো লেখাপড়া করতো না। এ নিয়ে তার মা তাকে অনেক বকাবকি করতো। আজ আমি নিজেও তাকে বকা দিয়েছি।

      ‘এরপর দুপুরে মেয়ের রুমের দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে ডাকাডাকি করি। কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে
      দরজা ভেঙে দেখি ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে।’

      পরে অচেতন অবস্থায় দুপুর ১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

      ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক এসআই বাচ্চু মিয়া যুগান্তরকে জানান, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

      ফাতেমা ভোলার বোরহানউদ্দিনের মাইনকারহাট গ্রামের গাড়িচালক আব্দুস সালামের মেয়ে। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার বেগুনবাড়িতে একটি ভাড়া বাসায় পরিবারের সঙ্গে সে থাকতো।

      দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল ছোট। তেজগাঁও আইডিয়াল স্কুল থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল ফাতেমার।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X