Announcement

Collapse
No announcement yet.

বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা আবশ্যক কেন? [ চার ধারা ]

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা আবশ্যক কেন? [ চার ধারা ]

    বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা আবশ্যক কেন?
    *********


    ১. কারণ তারা কুফরী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অধীনে একটি সমন্বিত সামরিক বাহিনী। এই বাহিনী ইসলামী শারীয়াহ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধান বাধা। বাহিনীর ব্যবহার ছাড়া সর্বগ্রাসী তাগুত তার স্বৈরাচারী সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখতে মোটেই সক্ষম নয়।

    ২. কারণ তাদের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী বিভাজনকে অস্ত্র, পর্যবেক্ষণ ও চরবৃত্তির দ্বারা জিইয়ে রাখা হয় ফলতঃ ভারতের অভ্যন্তরে এবং কাশ্মীরে মুসলিমদের সাথে সংঘটিত জুলুমে মুশরিক ভারতের সাথে এ বাহিনীর পরোক্ষ অংশগ্রহণ। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ এমন মিথ্যা অনুমানের চক্র ভেঙে ভারতবিরোধী অবস্থান কার্যকরীভাবে পোক্ত করার জন্য গণতন্ত্রের প্রহরী সামরিক বাহিনী এবং মুজাহিদীনের মধ্যকার শক্তির ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করার বিষয়টি সাম্প্রতিক সময়ে প্রকটভাবে অনুভূত হচ্ছে। গোটা ভারতের অভ্যন্তরে এবং কাশ্মীরে হিন্দুত্ববাদী সেনা ও গো-পূজারীদের হাতে নির্মম পাশবিকতার শিকার মুসলিমদের সাহায্যে এই সামরিক বাহিনী মুশরিক ভারতের বিরুদ্ধে সামরিক চাপ ও সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা থেকে বিরত থেকেছে ও বিরত থাকাটাই বেঁছে নিয়েছে কিংবা তাদেরকে বিরত করে রাখা হয়েছে। অপরদিকে এখানকার মুসলিমরা গণতান্ত্রিক শাসনের বাধাদানকারী অনিষ্টতার জন্য তাদের নিপীড়িত মুসলিম ভাই-বোনদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে সক্ষম হচ্ছে না।

    ৩. কারণ তাদের দ্বারা কুফররূপ কথিত গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক পবিত্রতা রক্ষা করা হয়; তারা ইসলামের কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক মূলনীতিসমূহ ও সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন ও রক্ষায় দায়বদ্ধ নয়; ফলতঃ এদেশে বসাবসরত হিন্দুদেরকে তারা কোনপ্রকার শর্তারোপ বা চুক্তির অধীনে আনা ব্যতীত স্বাধীনভাবে ও স্বাভাবিকভাবে ছেড়ে দিয়েছে। [ফলে আজ এদেশে স্থানীয় হিন্দুদের উগ্র অভ্যুত্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।] এ প্রেক্ষিতে ইযযাহ-গাইরাহ এবং তাওহীদের চাহিদা হচ্ছে: ‘‘ধর্মের সমানাধিকার’’ নামক গণতন্ত্র ধর্মের স্বীকৃত কুফরী আকীদাকে- যা হল মহান আল্লাহ (ﺳﺑﺣﺎﻧﮫ وﺗﻌﺎﻟﻰ) এবং তাঁর দ্বীনের সাথে চরম বিদ্রোহ ও নিকৃষ্ট তাচ্ছিল্য, আর এর দ্বারা সেকুলারিস্ট মুরতাদরা ইসলামের অনুসারীদের বাছুর পূজারীদের তুল্য গণ্য করে- পিছনে ছুঁড়ে ফেলে দেয়া এবং স্থানীয় হিন্দুদের উপর মুসলিমদের সঠিক কর্তৃত্ব ফিরিয়ে আনতে সর্বপ্রথম তাগুতি গণতান্ত্রিক শক্তির উপর মুসলিমদের শক্তিশালী কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা।

    ৪. কারণ তারা হল অপরাধী সরকার প্রশাসনের রক্ষক।
    এনজিও কার্যক্রম পূর্ণ তদারকিতে মূলতঃ প্রশাসনিক ভূমিকাই মূখ্য। কিন্তু প্রশাসন যখন সেক্যুলার তখন অনিষ্টকারী এনজিও (ও ক্রুসেডারদের সহায়তাকারী, মন্দের প্রসারক সে সকল উন্নয়ন ও গবেষণাধর্মী সরকারী প্রতিষ্ঠান) এর কার্যক্রম কিভাবে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে? তাই এ বাহিনীকে আক্রমণের উদ্দেশ্য হল সরকার প্রশাসনকে কব্জায় আনার মাধ্যমে বিদেশী কুফফার চক্রান্ত রোধ করা। [অনিষ্টকর এনজিও কার্যক্রম পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের জন্য এটি দীর্ঘ ও সময়সাপেক্ষ পথ, এজন্য পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ সামরিক সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।]
    *****
    Last edited by Sa'd Ibn Abi Waqqas; 07-11-2021, 04:04 PM.

  • #2
    মাশা-আল্লাহ,, আল্লাহ আপনাদের কাজগুলো কবুল করুন আমীন। কিছু ভাবনাঃ আল কায়েদা ও বাংলার আলিম সমাজ। ইসলাম প্রতিষ্ঠা স্বপ্ন যারা দেখেন তাদের মধ্যেও আজ দু,দল। একদল হচ্ছেন, যারা সুন্নাহ পদ্ধতিতে দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে চান। আরেকদল হচ্ছেন, কুফরি তন্ত্রের মাধ্যমে) দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে চান। সত্যিকারভাবে যারা দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে চাই/ চাইবে, তাদের প্রতিটি সদস্যকেই এ-ই দ্বীনের মহান নেতার দেখানো পথেই ফিরে আসতে হবে। কারণ হচ্ছে, এ-ই পবিত্র দ্বীনের মহান নেতা যিনি উনার পদ্ধতির উপরে কোন পদ্ধতি আছে বা কেউ যদি মনে করে উনার পদ্ধতির উপর আরো সুন্দর পদ্ধতি আছে তাহলে সেই ব্যক্তি/ দলের প্রতিটি সদস্যই গোমরাহীর মধ্যে আছে। এখানে আমাদের ধোঁকা) দেওয়া হচ্ছে নানাভাবে। শান্তিপূর্ণ পদ্ধতি নাকি কিছু লোক গ্রহণ করেছে! নাউজুবিল্লাহ। এই কথাগুলো এতো নিকৃষ্ঠ যে, তা থেকে প্রতি মহূর্তে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আজ জিহাদকে এমন লোকেরাই সন্ত্রাস বলছে যারা নিজেদেরকে দ্বীনের ধারক বাহক মনে করছে।

    এখানে যেই বিষয়গুলো আমাদের ভাবতে হবে, দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে আমরা যেনো আমাদের প্রাণপ্রিয় রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ-র সুন্নাহ পরিত্যাগ না করি। যদি আমরা সুন্নাহ পরিত্যাগ (করি) তাহলে নিশ্চিত করে বলা যায় আমরা আমাদের লক্ষে পৌঁছতে পারব না।
    اللهم انی اسلک الهدی والتفی والعفافی والغناء

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ ভাই...খুব সুন্দরভাবে চারটি ধারা উল্লেখ করেছেন। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment

      Working...
      X