Announcement

Collapse
No announcement yet.

বাংলাদেশ হবে আগামীর উইঘুর সেই সাথে বাংলার জনগণ হবে অঘোষিত দাস

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বাংলাদেশ হবে আগামীর উইঘুর সেই সাথে বাংলার জনগণ হবে অঘোষিত দাস

    بسم الله الرحمٰن الرحيم
    বেশকিছু দিন যাবৎ একটি নিউজ বার-বার সামনে আসছে এবং বিভিন্ন জন এই নিয়ে কথাও বলছে। আর তা হল চীন-বাংলাদেশ এর সম্পর্ক ও ভারত-বাংলাদেশ এর বিচ্ছেদ।

    আমরা জানি যে, বিশ্বের বিশাল বড় একটি অংশের আমদানী-রপ্তানী হয়ে থাকে সমুদ্রের মাধ্যমে। এশিয়ায় বিশেষ করে মধ্য এশিয়ায় চীনের ব্যবসা করতে দীর্ঘ সমুদ্র পথ পাড়ি দিতে হয়; যেমনটা ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন। যা চীনাদের সময়, অর্থ ও বিভিন্ন দিককে ক্ষতি করে থাকে। তাই তারা মায়ানমার, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান সহ বিভিন্ন দেশের সাথে সুসম্পর্ক করছে।

    সুসম্পর্ক করার উদ্দেশ্যঃ
    একঃ চীন থেকে মায়ানমারে স্থলপথ দিয়ে এসে মায়ানমারের সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করা। আপনি কি জানেন সেই সমুদ্র বন্দরটি কোথায়?


    সেই সমুদ্র বন্দরটি আর কোথাও না সেটি আরাকান তথা রাখাইনে! এই জন্যই কি রোহিঙ্গাদের তাড়ানো হয়েছে?
    মিয়ানমারের রাখাইনে গভীর সমুদ্র-বন্দর তৈরি করছে চীন
    https://www.kalerkantho.com/online/w...8/10/01/686321
    দুইঃ চীন থেকে মায়ানমার হয়ে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করা।

    তিনঃ চীন থেকে আফগানিস্তান হয়ে পাকিস্তানের সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করা।



    মায়ানমারের সমুদ্র বন্দর --- সিত্তে বন্দর

    বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর
    এক. চট্টগ্রাম বন্দর --- (চট্টগ্রাম)
    দুই. মংলা বন্দর --- (খুলনা)
    তিন. পায়রা বন্দর --- (পটুয়াখালী)
    চার. মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর
    পাঁচ. মিরসরাই ইকোনমিক জোন সংলগ্ন প্রথম বেসরকারি সমুদ্রবন্দর

    পাকিস্তানের সমুদ্র বন্দর
    এক. করাচী বন্দর
    দুই. গদর বন্দর
    তিন. মুহম্মদ বিন কাসিম বন্দর
    চার. Port Ormara
    পাঁচ. Port Pasni
    ছয়. Jiwani Port
    এছাড়াও হয়তো আরো রয়েছে .......
    Top 6 Sea Ports and Harbours in Pakistan
    https://www.pakistancargo4u.co.uk/bl...ours-pakistan/


    বাংলাদেশকে চীন চায় আবার যুক্তরাষ্ট্রও চায় আর এই জন্যই যুক্তরাষ্ট্র আফগান থেকে সৈন্য সরিয়েছে। এটা এক ব্যক্তির কাছে শোনলাম। অথচ খোদ আমেরিকা নিজেই স্বীকার করেছে যে, তারা আফগানে গিয়ে ভুল করেছে। কিন্তু চাটুকারদের চাটামি আর গেল না।
    দেখুন এই কথা থেকে কি বুঝা যায়?
    এক. বাংলাদেশকে নিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই সিরিয়াস।
    দুই. প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র সৈন্য পাঠাবে।

    যুক্তরাষ্ট্র চীনের বিরোধীতা করতে দুইটি বা তারও বেশি পদক্ষেপ নিতে পারে-
    এক. যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে মায়ানমার তথা আরাকানে আক্রমণ চালাবে, ফলাফল দাঁড়াবে মায়ানমারে ব্যবসা বন্ধ সেই সাথে বাংলাদেশেও। কিন্তু কই? আপনারাই বলুন এর নাম কি সিরিয়াসলি? এখানে কিছু মানুষ বলবে দুইটি শক্তিধর রাষ্ট্রের মাঝে এমন যুদ্ধ গ্রহণ যোগ্য হবে না, কেননা এই অস্থিতিশীলতা বিশ্বকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যাবে।
    তাহলে দুই. রোহিঙ্গাদের ট্রেনিং দিয়ে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া। তবে এমনটা হয়তো আমেরিকা করবে না।
    তাহলে তিন. পাহাড়ি ও আঞ্চলিক ডাকাত, বিদ্রোহীদের কাছে অস্ত্র তুলে দেওয়া সেই সাথে আমেরিকার গোয়েন্দা ও কমান্ডো রাখা। কেননা মায়ানমারে অলরেডি এমন বিদ্রোহী আছে যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে।

    এই পদক্ষেপগুলো নিলে বুঝা যেতো যে, আমেরিকা সিরিয়াস। নাকি তারা করোনার ভেক্সিনের ব্যবসা করে অর্থনৈতিকভাবে সাবল্বী হয়ে পদক্ষেপ নিবে।

    আমার কাছে ভিন্ন কিছু মনে হচ্ছে, আর তা হলঃ বাংলাদেশ হবে আগামীর উইঘুর সেই সাথে বাংলার জনগণ হবে অঘোষিত দাস!
    কারণ একঃ বাংলাদেশের বিশাল বড় একটি অংশ মুসলিম আর সেটা নামে হউক বা কাজে!
    কারণ দুইঃ যখন আমেরিকা, জাপান, ভারত, বাংলাদেশ সম্পর্কে ছিল তখন চীনের চাপে মায়ানমার রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করিয়েছে আর আমেরিকাও রোহিঙ্গাদের জায়গা দেওয়ার কথা বলে। ফলে আরও মুসলিমদের এক জায়গায় আনা হল। তখন বাংলাদেশ চীনকে বলতে পারেনি মায়ানমারের কাছে সুপারিশ করতে বরং আমেরিকা ও জাপান নাম মাত্র সুপারিশ করেছিল।
    কারণ তিনঃ এখন ভারত তার দেশের মুসলিমদের বাংলাদেশে প্রবেশ করাবে আর চীন বলবে ওদেরকে জায়গা দাও, ফলে আরও মুসলিমদের এক জায়গায় আনা হল! তখন মিডিয়া বলবে, বাংলাদেশ ভারত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় ভারত বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে এমন করেছে।
    সব মিলিয়ে বাংলাদেশে 25-30 কোটি মুসলিম হবে।
    কারণ চারঃ বাংলাদেশের ব্যাংক গুলো দেউলিয়া তথা বাংলাদেশে এই মুহূর্তে তেমন কোন সম্পদ নেই, তাহলে এই দেশের জনগণ দাস হতে বাধ্য।
    কারণ পাঁচঃ বাংলাদেশের সর্বমহলের কাছে গ্রহণযোগ্য আলেমগণও এক এক করে চলে যাচ্ছেন। বাংলার জনগণের বিচ্ছিন্নতাও একটি কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

    আমেরিকা ও চীন মূলত একসাথেই, আর আমরা যে ভাগাভাগি দেখতে পাই তা মূলত রাজনীতি। কেননা তিনটি পার্টি ছাড়া যে খেলা জমে না (আমেরিকা-বাংলাদেশ-চীন)।

    বাংলাদেশের অনেক মানুষ খুশী এই জন্য যে, বাংলাদেশ ভারতের কবল থেকে চীন অভিমুখী হচ্ছে। কিন্তু আমরা তাওহীদবাদীগণ না ভারতকে পছন্দ করি আর না চীনকে। পাকিস্তানের টিটিপির মুজাহিদ, আরাকানের মুজাহিদ ও চট্টগ্রামের মুজাহিদ ভাইদের এই বিষয়ে স্বরব হওয়া উচিত।
    বি.দ্র. তালেবানের সাথে চীনের সম্পর্ক নবী (সা.)-এর হুদাইবিয়া সন্ধিচুক্তির মত বলা চলে আর আল-কায়দার সাথে চীনের সম্পর্ক সাহাবী আবুল বাছীর (রাঃ) ও তার সাথীদের পন্থার মত বলা চলে। সুতরাং এই বিষয়ে সংশয়ে পতিত হওয়া যাবে না।
    হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

  • #2
    ---------------
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      বিষয়টি নিয়ে আরো গবেষণার প্রয়োজন মনে করছি ৷
      আল্লাহ আমাদেরকে সকল চক্রান্ত থেকে হেফাজত করুন ৷ আমিন
      গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

      Comment


      • #4
        কায়দার সাথে চীনের সম্পর্ক
        ভারী মনে হল। ভাই, এটা কীভাবে ?

        Comment


        • #5
          Originally posted by Sa'd Ibn Abi Waqqas View Post
          ভারী মনে হল। ভাই, এটা কীভাবে ?
          কোন বিষয়টি আপনার কাছে ভারী মনে হয়েছে?

          সম্পর্ক তো বিভিন্ন ধরণের হতে পারে, সম্পর্ক শব্দের অর্থ তো শুধু মাত্র এক দিকে নির্দেশ করে না!
          ভাতৃত্বের সম্পর্ক হতে পারে
          মাতৃত্বের সম্পর্ক হতে পারে
          রাজনৈতিক সম্পর্ক হতে পারে
          কূটনৈতিক সম্পর্ক হতে পারে
          শত্রুতার সম্পর্ক হতে পারে
          ইত্যাদি... ইত্যাদি... ইত্যাদি...

          সম্পর্কের কি কোন শেষ আছে?


          খায়বারের যুদ্ধের পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনায় অবস্থান করছিলেন। তখন আবুল বাছীর (রাঃ) মক্কা থেকে পালিয়ে মদীনায় পৌঁছেন। এদিকে কুরাইশরা তাকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য দু'জন লোক পাঠাল। তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এসে বলল, সন্ধিচুক্তি অনুযায়ী আমরা আবুল বাহীরকে ফিরিয়ে নিতে চাই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন আবুল বাছীর (রাঃ)কে তাদের সাথে ফিরিয়ে দিলেন। আবুল বাছীর রোঃ) রাসূলকে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে তাদের নিকট ফিরিয়ে দিচ্ছেন! তারা তো আমাকে নির্যাতন-নিপীড়ন করে ধর্ম থেকে ফিরাতে চাইবে । রাসূল তখন সান্তনা দিয়ে বললেন-
          اصبر فإن الله جاعل لك و لمن معك مخرجا
          অর্থ : ধৈর্য ধারণ কর! নিশ্চয় আল্লাহ তোমার ও তোমার মত অন্যান্যদের জন্য মুক্তির পথ সৃষ্টি করবেন।

          দু'জন কাফেরের সাথে আবুল বাছীর (রাঃ) ফিরে চললেন। পথে তাদের একজন এক বাগানে খেজুর খেতে গেল আরেকজন তার সাথে বসে ছিল। তখন আবুল বাছীর (রাঃ) তার পাশের লোকটিকে বললেন, আরে তোমার তরবারীটি তো ভারী চমৎকার! একটু দেখি তো। দেখার জন্য আবুল বাছীর (রাঃ) তরবারিটি হাতে নিয়েই কাফেরের গর্দানে আঘাত করলেন এবং অপরজনকেও আঘাত করতে উদ্যত হলেন। কিন্তু সে অক্ষত অবস্থায় পালিয়ে মদীনায় ফিরে গেল এবং রাসূলকে ঘটনা শুনাল। ঘটনা শুনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিস্মিত হয়ে বললেন-

          ويح... إنه مسعر حرب ، لو كان معه رجال...
          অর্থ : হায়, হায়, সে তো যুদ্ধের আগুন জ্বালিয়ে দিল। হায়! নিহত ব্যক্তিটির সাথে যদি আরো লোক থাকত।

          তারপর সেই লোকটি মক্কায় ফিরে গেলেও আবুল বাছীর (রাঃ) আর মদীনায় ফিরে এলেন না । তিনি মদীনার পশ্চিমে লোহিত সাগরের উপকূলে ঈ‘সের জঙ্গলে গিয়ে আশ্রয় নিলেন। সেখানে একটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করলেন, যার সদস্য সংখ্যা মাত্র একজন। এ ঘাঁটির সেনাপ্রধান যিনি, সিপাহীও তিনি। তিনি হলেন আবুল বাছীর (রাঃ)।

          মক্কার নিপীড়িত মুসলমানদের নিকট সংবাদ পৌছল, আবুল বাছীর (রাঃ) ঈ'সের জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছেন। ব্যাস! আবু জানদাল (রাঃ)ও এসে তাঁর সাথে মিলিত হলেন। এভাবে একে একে বেশ কয়েকজন সাহাবী এসে একত্রিত হলেন। তারপর তারা প্রতিজ্ঞা করলেন, আমরা কুরাইশদের বাণিজ্য কাফেলার উপর আক্রমণ করব, শামের বাণিজ্যের পথ রুদ্ধ করে দিব। তারপর থেকে কুরাইশদের যে কাফেলাই শামে যেত বা শাম থেকে আসত, তার উপর আবুল বাছীর (রাঃ)-এর বাহিনী আক্রমণ করে অর্থ-সম্পদ ছিনিয়ে আনত । কুরাইশদের বাণিজ্যের পথ রুদ্ধ হয়ে গেল। খাদ্যের অনটন দেখা দিল। বাধ্য হয়ে মক্কার লোকেরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট দূত পাঠিয়ে আবেদন করল, হে মুহাম্মদ! আপনি তাদেরকে মদীনায় ফিরিয়ে আনুন। তাদের অনিষ্ট থেকে আমাদের মুক্তি দিন।

          ইয়া আল্লাহ! মাত্র অল্প কয়েকজন যুবক। অথচ একটি শহরকে শাসাচ্ছে। মক্কার সব কাফের তাদের ভয়ে কাঁপছে। এ যুগেও এমনটি সম্ভব ৷ কিছু লোক মৃত্যুর জন্য শপথ নিলে আল্লাহ তা'আলা তাদের সাহসী জীবন দান করবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন আবুল বাছীর (রাঃ)-এর নিকট চিঠি লিখে পাঠালেন, “তুমি এবং তোমার সঙ্গী-সাথীরা আমার নিকট চলে এসো।"

          ইতিপূর্বেই আবুল বাছীর রোঃ) কাফেরদের এক কাফেলায় হামলা করেছিলেন। কয়েকজনকে হত্যা করেছিলেন। কয়েকজনকে আহত করেছিলেন। নিজেও আহত হয়েছিলেন। মারাত্মক আঘাত পেয়েছিলেন। মৃত্যুশয্যায় শায়িত অবস্থায় তিনি রাসূলের পত্র পেলেন এবং পত্রটি বুকে রেখেই ইন্তেকাল করলেন।

          সূত্রঃ তাফসীরে সূরা তাওবা
          হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

          Comment


          • #6
            ...বি.দ্র. তালেবানের সাথে চীনের সম্পর্ক নবী (সা.)-এর হুদাইবিয়া সন্ধিচুক্তির মত বলা চলে আর আল-কায়দার সাথে চীনের সম্পর্ক সাহাবী আবুল বাছীর (রাঃ) ও তার সাথীদের পন্থার মত বলা চলে।...
            ভাইজান, ঠিকই আছে।
            তবে দুই সংগঠনের বেলায়ই একই শব্দ ("সম্পর্ক") নিয়ে আসায় ভিন্ন বুঝেছি, যেহেতু
            তালেবান রাষ্ট্র হলেও আল-কায়েদা স্বতন্ত্র কোন রাষ্ট্র নয়; বরং আল-কায়েদা একটা আদর্শের নাম।
            হ্যাঁ, আদর্শের ভিত্তিতে বিশ্বের অনেকজায়গায় আল-কায়েদার ভূমি বা তামকীন আছে, এটা আমাদের জানা।
            কিন্তু চীনের সাথে আল কায়েদার কোনো শাখার জ্ঞাত-কোন চুক্তিবদ্ধতার কথা আমাদের জানা নেই অর্থাৎ নেইও।
            তাই দুই সংগঠনের বেলায়ই ‘সম্পর্ক’ শব্দের ব্যবহার বোঝার-ভুল সৃষ্টি করেছে। ঠিক একারণেই হয়ত আরবী পরিভাষায় চুক্তি বুঝতে ভিন্ন ভিন্ন শরয়ী পরিভাষার ব্যবহার হয়ে থাকে।
            যেহেতু আহদ ও ‘আদা তথা চুক্তি ও শত্রুতা-- সম্পূর্ণ বিপরীত,এবং চীনের সাথে আল কায়েদার সম্পর্কের প্রশ্নই যখন ওঠে না তখন আল-কায়েদার ক্ষেত্রে ‘সম্পর্ক’ শব্দে বিশেষায়িত করাও চলে না। তাই বলা যায়-- চীন বা তদ্রূপ সমপন্থীদের সাথে আল-কায়েদার বোঝাপড়া/লড়াইয়ের সম্পর্ক

            ধন্যবাদ ভাই।
            জাজাকাল্লাহু খাইরান।

            Comment


            • #7
              আর আল-কায়দার সাথে চীনের সম্পর্ক সাহাবী আবুল বাছীর (রাঃ) ও তার সাথীদের পন্থার মত বলা চলে।
              ( দুই সংগঠনের বেলায়ই ‘সম্পর্ক’ শব্দের ব্যবহার বোঝার-ভুল সৃষ্টি করেছে।)
              মুহতারাম সা’দ বিন আবি ওয়াক্কাস ভাই! এখানে সাহাবী আবুল বাছীর রা: ও তার সাথীদের দৃ্ষ্টান্ত থেকে খাস হয়ে গেছে যে, এখানে সাধারণ বা চুক্তির সম্পর্ক বোঝানো উদ্দেশ্য নয় বরং সত্রুতার সম্পর্ক বোঝানো উদ্দেশ্য। আমার কাছে উক্ত উদাহরণটি চমৎকার মনে হয়েছে। যদি উক্ত দৃষ্টান্ত না থাকতো তাহলো অবশ্যই বোঝার ভুল সৃষ্টি করত। যেমন টি আপনি বলেছেন। জাযাকাল্লাহ!
              এটা দোষারোপ করা নয় বরং আত্বসমালোচনা। আর যাদের জীবনে আত্বসমালোচনা নে্ই তাদের জীবনে উন্নতিও নেই।

              Comment


              • #8
                যাইহোক ভাইয়া, আমার প্রস্তাবনা হল:-
                বি.দ্র. তালেবানের সাথে চীনের সম্পর্ক নবী (সা.)-এর হুদাইবিয়া সন্ধিচুক্তির মত বলা চলে, আর আল-কায়দার চীনের ব্যাপারে পলিসি- সাহাবী আবুল বাছীর (রাঃ) ও তার সাথীদের পন্থার মত বলা চলে।
                |
                |


                Originally posted by ibne kasim View Post
                সা’দ বিন আবি ওয়াক্কাস ভাই!
                ...আর আমাকে সা’দ বললে ভাল হবে। (সা’দ ভাই)
                বিন আবি ওয়াক্কাস একজন সম্মানিত সাহাবী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) ছিলেন।

                অথবা আমার নাম মেনশন করা যেতে পারে এভাবে Sa'd Ibn Abi Waqqas;
                ( -Sa'd Ibn Abi Waqqas আপনার পোস্টের জবাবে যা বলতে চাই...)

                Comment

                Working...
                X