Announcement

Collapse
No announcement yet.

তালেবানের বিজয়: মুনাফিক চরিত্রের চিরাচরিত রূপ এবং হিন্দের জিহাদের ভবিষ্যত

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • তালেবানের বিজয়: মুনাফিক চরিত্রের চিরাচরিত রূপ এবং হিন্দের জিহাদের ভবিষ্যত

    তালেবানের বিজয়: মুনাফিক চরিত্রের চিরাচরিত রূপ এবং হিন্দের জিহাদের ভবিষ্যত

    তালেবান বনাম আমেরিকা যুদ্ধে আমেরিকার প্র্রধান সহযোগী ছিল পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মুনাফিকরা।

    ২০০১ সালে আমেরিকা আফগানে হামলা করার সময় থেকেই পাকিস্তান আমেরিকার অন্যতম প্রধান সহযোগী হিসেবে ছিল। পাকিস্তানের মুনাফিক শাসকগোষ্ঠী পাকিস্তানকে আমেরিকার ঘাঁটিতে পরিণত করে। সৈন্য-রসদ সব কিছু দিয়ে সর্বোতভাবে আমেরিকাকে সহায়তা করে।

    আর আফগানি মুনাফিকদের কথা তো বলাই বাহুল্য। এরা আমেরিকার পথ প্রদর্শক ও প্রধান সহযোগী। বরং বলতে গেলে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রথম সারিতে এরাই ছিল।

    আমেরিকার যতদিন শক্তি ছিল, মুনাফিকের দল আমেরিকার সাথে ছিল। যে-ই আমেরিকার শক্তি শেষ, অমনি চিত্রটা উল্টে গেল।

    যে আশরাফ গনি তালেবানদের এতো হুমকি ধমকি দিতো- মাত্র দশদিনের মাথায় সে শিয়ালের মতো কাবুল ছেড়ে পালিয়েছে। কোথায় গেল তার তিন লাখ প্রশিক্ষিত অত্যাধুনিক বাহিনির বাহাদুরি?!

    যে পাকিস্তান ২০ বছর আমেরিকার গোলামি করে এসেছে, আজ তার সুর পাল্টে গেছে। আমেরিকার পক্ষ নিয়ে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে, আমরা আর আমেরিকাকে জায়গা দেবো না … ইত্যাদি ইত্যাদি।


    যতদিন আমেরিকা অস্ত্রের জোরে এদের ব্যবহার করতে পেরেছে তো ব্যস। অস্ত্রের জোর শেষ তো- পল্টি মারল।


    এই হলো মুনাফিকের চরিত্র: সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ।


    মুনাফিকদের আসলে কোনো আদর্শ নেই। এরা যা কিছু করে স্বার্থের জন্য করে। এদের ওয়ালা বারার ভিত্তি স্বার্থ। স্বার্থ বদলে গেলে ওয়ালা বারা বদলে যায়।

    মুনাফিকরা মুমিনদের সাথে যেমন মুনাফিকি করে, কাফেরদের সাথেও মুনাফিকি করে। কোনো গ্রুপের সাথেই সে মুখলিস না।


    সে নিজেকে মুমিন দাবি করে যেমন দুনিয়ার স্বার্থে, কাফেরদের সাথেও হাত মিলায় এই দুনিয়ার স্বার্থে।
    সে মুমিনদের নিকটও সাধু থাকতে চায়, কাফেরদের কাছেও সাধু থাকতে চায়। এক্ষেত্রে কথার ফুলঝুড়ি আর মিথ্যা ওয়াদা-অঙ্গিকারই তার প্রধান হাতিয়ার। কাজের চেয়ে কথায় সে বেশি পটু। সে প্রতিশ্রুতি দেয় মূলত বাঁচার জন্য; পূর্ণ করার জন্য নয়।

    কিন্তু বাস্তব এটাই যে, দুই নৌকায় পা দিলে কোথাও জায়গা হয় না। এমনিভাবে মুনাফিকের মুনাফিকিও এক সময় প্রকাশ হয়ে পড়ে। ধরা পড়ে যায় যে, সে আসলে একনিষ্ট সাথী নয়; স্বার্থবাজ।

    আল্লাহ তাআলা মুনাফিকদের এ চরিত্রটি তুলে ধরেছেন সূরা হাশরে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

    { أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ نَافَقُوا يَقُولُونَ لِإِخْوَانِهِمُ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ لَئِنْ أُخْرِجْتُمْ لَنَخْرُجَنَّ مَعَكُمْ وَلَا نُطِيعُ فِيكُمْ أَحَدًا أَبَدًا وَإِنْ قُوتِلْتُمْ لَنَنْصُرَنَّكُمْ وَاللَّهُ يَشْهَدُ إِنَّهُمْ لَكَاذِبُونَ (11) لَئِنْ أُخْرِجُوا لَا يَخْرُجُونَ مَعَهُمْ وَلَئِنْ قُوتِلُوا لَا يَنْصُرُونَهُمْ وَلَئِنْ نَصَرُوهُمْ لَيُوَلُّنَّ الْأَدْبَارَ ثُمَّ لَا يُنْصَرُونَ (12)} [الحشر: 11، 12]

    হে রাসূল! আপনি কি সেসব মুনাফিকের আচরণ লক্ষ্য করেনিনি, তারা তাদের কাফের আহলে কিতাব ভাই (ও বন্ধু)দের বলে, আল্লাহর কসম (আমরা সব সময় আপনাদের সাথে আছি যদি কখনও আপনাদেরকে (এ জনপদ থেকে) বের করে দেয়া হয়, আমরাও (একাত্মতা দেখিয়ে) আপনাদের সাথে (এখান থেকে) বেরিয়ে যাব এবং আপনাদের স্বার্থের প্রশ্নে আমরা কখনও কারও কথা মানবো না (অর্থাৎ কেউ আপনাদের সঙ্গ ত্যাগ করার পরামর্শ দিলে বা আপনাদের সঙ্গ দেয়ার কারণে কেউ আমাদের তিরস্কার করলে আমরা তার কথায় কান দেবো না)। আর কারও সাথে আপনাদের যুদ্ধ বেঁধে গেলে আমরা অবশ্যই আপনাদের নুসরত করবো।

    কিন্তু আল্লাহ তাআলা সাক্ষ্য দিচ্ছেন, এসব (মুনাফিক) লোক (তাদের কথায়) বিলকুল মিথ্যাবাদী। আল্লাহর কসম! (সত্য কথা হচ্ছে) এদের বের করে দেয়া হলে এসব (মুনাফিক) লোক এদের সাথে বেরিয়ে যাবে না। এদের সাথে যুদ্ধ বাঁধলে এরা এদের (কোনো প্রকার) নুসরত করবে না। যদি (একান্ত বাধ্য হয়ে) নুসরতে যায়ও, কোনো সন্দেহ নেই যে, এরা পৃষ্ট প্রদর্শন করে (ময়দান ছেড়ে) পালাবে। এরপর (মুনাফিকরা পালিয়ে যাওয়ার পর) সেই (আহলে কিতাব) লোকদের আর কোনো নুসরত হবে না (ফলে তারা পরাজিত হবে)। -সূরা হাশর ১১-১২

    অর্থাৎ তাদের মদদগার মুনাফিকরাও তাদের ছেড়ে যাবে, এরপর আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকেও তাদের কোনো নুসরত করা হবে না, ফলে তাদের পরাজিত হওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।

    মদীনার ইয়াহুদি গোত্র বনী নজীরের বেলায় এমনটাই হয়েছিল। মুনাফিকরা এদেরকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। পরে যখন সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনী নজীরের উপর অবরোধ আরোপ করলেন, তখন মুনাফিকরা প্রতিশ্রুতির সম্পূ্র্ণ বিপরীতে চুপটি মেরে ঘরে বসে রইলে। ইয়াহুদিরা খালি মাঠে শেষে মদীনা ছাড়ার চুক্তিতে আবদ্ধ হতে বাধ্য হলো।


    এ আয়াতে কারীমা দু’টিতে আল্লাহ তাআলা কাফেরদের সাথে মুনাফিকদের মুনাফিকির চিত্রটি তুলে ধরেছেন। তারা কসম খেয়ে খেয়ে অত্যন্ত জোর গলায় তাদের কাফের বন্ধুদের প্রতিশ্রুতি দেয় যে, আমরা তোমাদের সাথে সাথে আছি এবং থাকবো। কোনো কিছুতেই তোমাদের ত্যাগ করবো না। কিন্তু আল্লাহ তাআলা জানিয়েছেন, এরা মিথ্যাবাদী। যদি মুমিনরা ঐক্যবদ্ধভাবে মুনাফিকদের বন্ধু কাফেরদের মার দিতে শুরু করে, তাহলে মুনাফিকরা তাদের চিরাচরিত রূপ প্রকাশ করবে। বিপদের সময় বন্ধুদের ফেলে নিজেদের আখের গোছাবে।


    একান্ত অস্ত্রবলে যতদিন রাখা যায় তো গেল, অন্যথায় সুযোগ পেলেই পল্টি দেবে। সে তো হাত মিলিয়েছিল স্বার্থের জন্য। স্বার্থ যখন শেষ তখন আর অনর্থক নিজেকে ঝুঁকিতে ফেলে লাভ কি!! পাকিস্তান ও আফগানের মুনাফিকদের আমরা এমনই দেখতে পাচ্ছি।


    আল্লাহ তাআলা সামনে বলেন,

    {لَأَنْتُمْ أَشَدُّ رَهْبَةً فِي صُدُورِهِمْ مِنَ اللَّهِ ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لَا يَفْقَهُونَ (13) لَا يُقَاتِلُونَكُمْ جَمِيعًا إِلَّا فِي قُرًى مُحَصَّنَةٍ أَوْ مِنْ وَرَاءِ جُدُرٍ بَأْسُهُمْ بَيْنَهُمْ شَدِيدٌ تَحْسَبُهُمْ جَمِيعًا وَقُلُوبُهُمْ شَتَّى ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لَا يَعْقِلُونَ (14} [الحشر: 13، 14]

    (আসলে) তোমাদের ভয় এদের (এসব মুনাফিক ও আহলে কিতাবদের) অন্তরে আল্লাহর চেয়েও বেশি। এর কারণ, এরা এমন একটি জাতি যে, তাদের (আল্লাহ তাআলার আজমতের) বুঝ নেই (ফলে খালিকের পরিবর্তে মাখলুককে ভয় করে বেশি)।

    (এই যাদের হাল, তারা পৃথক পৃথক তো দূরের কথা) ঐক্যবদ্ধভাবেও তারা তোমাদের বিরুদ্ধে কিতালে আসতে পারবে না; হাঁ, কোনো সুরক্ষিত জনপদের ভিতরে বসে কিংবা (নিরাপদ) প্রাচীরের আড়ালে থেকে করতে পারে (সম্মুখ সমরে আসতে সাহস পাবে না)। (কিভাবেই বা তারা তোমাদের বিরুদ্ধে এক থাকবে যেখানে) তাদের নিজেদের ভিতরকার দ্বন্ধ-দুশমনি অত্যন্ত ভয়ানক। (বাহ্যত তো) তুমি তাদের ঐক্যবদ্ধ দেখছো, আসলে (প্রচণ্ড অন্তর্দ্বন্ধে) তাদের অন্তর শতধা বিভক্ত। আর এ (বিভক্তি)র কারণ হচ্ছে, এদের কোনো (সহীহ দ্বীনের) বুঝ নেই। -সূরা হাশর ১৩-১৪


    অর্থাৎ তারা সকলে একক কোনো সহীহ দ্বীনে বিশ্বাসী না, যার বন্ধনে তারা শক্তভাবে আবদ্ধ হয়ে এক হতে পারে। বরং তারা একেক দল একেক আদর্শ লালন করে। একে অপরকে বিভ্রান্ত মনে করে। তারা সাময়িক জোট গঠন করেছে শুধু স্বার্থের কারণে। নতুবা সুযোগ পেলে তো এরা নিজেরাই ভয়ানক মারামারিতে লিপ্ত হয়ে পড়ে। এক দল আরেক দলকে হত্যা করে দখলদারিত্ব কায়েমের ফিকিরে থাকে। তাহলে এরা কিভাবে এক হতে পারে?

    খ্রিস্টান বিশ্বের মারামারি তো আমাদের চোখের সামনেই। এই সেদিনই তো হিটলার ইয়াহুদিদের কচুকাটা করেছিল। আজ শুধু স্বার্থের প্রশ্নে ক্রুসেডার-জায়নিস্ট জোট গঠন হয়েছে। যে ইয়াহুদিরা খ্রিস্টানদের নবীকে জারজ সন্তান মনে করে (নাউজুবিল্লাহ!) আর যে খ্রিস্টানরা মনে করে ইয়াহুদিরা তাদের নবীকে হত্যা করেছিল- এদের মাঝে কিভাবে আত্মীক ঐক্য সম্ভব?!

    এদের ঐক্য শুধু স্বার্থের ঐক্য। ভাসা দৃষ্টিতে এদের এক দেহ এক প্রাণ মনেও হলেও প্রকৃতপক্ষে ভিতরে ভিতরে এদের কোন্দলের কোনো সীমা নেই।


    এর বিপরীতে সকল মুমিন এক আল্লাহ, এক নবী ও এক দ্বীনে বিশ্বাসী। তাদের বন্ধন আসলেই বন্ধন, যাতে কখনও ফাঁটল ধরতে পারে না। তারা কোনো স্বার্থের প্রশ্নে এক নয়, তারা তাদের আকীদার কারণে এক। এই যাদের অবস্থা, তাদের সামনে কিভাবে শতধা বিভক্ত ঘুনে ধরা জাতিগোষ্ঠীগুলো টিকতে পারে?! মুমিনদের শুধু প্রয়োজন ঐক্যের। এ জন্যই কাফেররা বিভিন্ন ছুতা তুলে মুমিনদের বিভক্ত করার প্রয়াসে থাকে।


    এ আয়াতে কারীমা দু’টিতে আল্লাহ তাআলা আমাদের সামনে আরও কয়েকটি হাকিকত তুলে ধরেছেন,

    - কাফের ও মুনাফিকদের অন্তর সব সময় মুমিনদের ভয়ে ভীত। মুমিনদের তারা এমনই ভয় পায়, যে ভয় তারা আল্লাহকেও পায় না।

    - মুমিনদের ভয়ে তারা এমনই ভীত যে, সামনাসামনি মোকাবেলা করার হিম্মতটকু পর্যন্ত নেই। নিরাপত্তার আচ্ছাদনে বেষ্টিত সুদৃঢ় দুর্গ ও প্রতিরক্ষা ব্যূহের বাইরে আসার সাহস তাদের নেই।

    - বাহ্যত তাদের ঐক্যবদ্ধ দেখা গেলেও আসলে তাদের অন্তর বিক্ষিপ্ত। হরেক রকম স্বার্থের চরম অন্তর্দ্বন্ধে তারা নিপতিত। তাদের ঐক্যের শক্তি ঘুনে খাওয়া একটি বার্নিশ করা কাষ্ঠখণ্ড বা বাঁশের চেয়ে বেশি নয়। উপর থেকে শক্ত দেখা গেলেও আসলে ভিতরে কিছু নেই।


    তো দেখতে পাচ্ছি, বাহ্যত এরা ঐক্যের প্রতিশ্রুতিতে আবদ্ধ একটা সুবিশাল বাহিনি হলেও, বাস্তবে তা ঘুনে খাওয়া। স্বার্থের কারণে বাহ্যত আহলে ঈমানের বিরুদ্ধে ঐক্যের প্রতিশ্রুতিতে আবদ্ধ হয়েছে বটে, কিন্তু অন্তর বিক্ষিপ্ত। একে অপরের চরম দুশমন। তাদের বন্ধন এমন নয় যে, স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে হলেও, জীবন বিপন্ন করে হলেও পাশে থাকবে।

    অপর দিকে তাদের অন্তরে আল্লাহ তাআলা ঢেলে দিয়েছেন এক অদৃশ্য ভীতি। মুখে হুমকি ধমকি দিতে থাকলেও আসলে হৃদয় ভয়ে কম্পমান। মুমিনের একটি হুংকারে সে পেশাব করে দেবে। যেমন হঠাৎ সিংহের সামনে পড়ে যাওয়া কোনো ব্যক্তি ঢুক গিলতে গিলতে সিংহকে হুংকার দিচ্ছে, অ্যা…ই, আমার দিকে আসবি না! আসবি না কিন্তু! আসলে কিন্তু খারাপ হবে!

    এই যাদের হাল; মুমিনের একটা হুংকারেই তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়বে, যদি মুমিনের ঐক্য থাকে।

    বিশেষত মুনাফিক শ্রেণী তো আরও আগেই পালাবে। কারণ, তারা হাত মিলিয়েছিল কোনো আকিদার কারণে নয়, নিছক স্বার্থের কারণে। পক্ষান্তরে এক নাসারা আরেক নাসারার সাথে হাত মিলানোর ক্ষেত্রে আকিদার একটা বন্ধনও আছে। তাই তারা যতক্ষণ টিকে থাকতে পারবে, মুনাফিকরা ততক্ষণও পারবে না।


    তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি, আহলে কিতাব ও মুশরিকদের সাথে মুনাফিকদের ঐক্যের বন্ধন আসলে অতি ভঙ্গুর একটি বন্ধন। এ বন্ধন টিকে থাকবে দু’টি শর্তে:

    ক. যতক্ষণ প্রভুদের সুদৃঢ় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

    খ. যতক্ষণ প্রভুরা অস্ত্র বলে মুনাফিকদের ব্যবহার করতে পারবে।


    এর ব্যতিক্রম হলেই বন্ধন ভেঙে যাবে। যেমনটা আমরা আফগানে দেখেছি। যতক্ষণ আমেরিকান নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ছিল এবং যতক্ষণ তারা স্থানীয় মুনাফিকদের হুমকি ধমকি দিয়ে অস্ত্রের জোরে ব্যবহার করতে সক্ষম ছিল, ততক্ষণ তারা পাশে ছিল। যেই প্রভুদের শক্তি শেষ, অমনি সব পণ্ড।

    কাবুল দখল করতে একটা বুলেটও খরচ করতে হলো না।

    তালেবান শুধু হুংকার দিল, ‘আমেরিকাকে ঘাঁটি করতে দিলে খুব একটা ভাল হবে না’। এরপর আর পাকিস্তানের সাহস হলো না। ২০ বছরের ঘনিষ্ট বন্ধুকে চোখের সামনে বিতাড়িত হতে দেখেও প্রকাশ্যে কিছু করার হিম্মত হলো না।


    হিন্দের জিহাদের ভবিষ্যত
    আমরা দেখলাম, প্রভুদের সাথে মুনাফিকদের বন্ধন কোনো শক্ত বন্ধন নয়। এটা সাময়িক এবং স্বার্থের বন্ধন। প্রভুরা দুর্বল হয়ে পড়লে মুনাফিকরা এমনিতেই সরে পড়বে। পক্ষান্তরে প্রভুদের যতদিন শক্তি থাকবে, অস্ত্রের জোরে হলেও তারা মুনাফিকদের ব্যবহার করবে। তাই সবচেয়ে উত্তম কাজ হয়, আগে প্রভুদের মাথায় আঘাত করা। এরপর মুনাফিকদের নিয়ে আর তেমন মাথা ঘামাতে হবে না।


    সম্ভবত এসব দিক বিবেচনা করেই আলকায়েদার নীতি সাজানো হয়েছে, স্থানীয় মুরতাদদের সাথে সংঘাতে না জড়িয়ে প্রভু আমেরিকা ভারতের মাথায় আঘাত হানা।

    মুজাহিদিনে কেরাম ভারত ও কাশ্মিরের মাটিতে জিহাদ ছড়িয়ে দেয়ার ছক আঁকছেন। এ কারণে বাংলার মাটিতে আমরা কোনো অপারেশন দেখতে পাচ্ছি না। যেসব ভাই এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্ধে আছেন, তাদের ইনশাআল্লাহ পেরেশানির কোনো কারণ নেই। বড় স্বার্থ সামনে রেখে সাময়িক স্বার্থ এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। ওয়াল্লাহু সুবহানাহু ওয়া তাআলা আ’লাম।


  • #2
    আলহামদুলিল্লাহ,, আল্লাহ মুজাহিদ ভাইদের কাজগুলো কবুল করুন, আমীন। সম্মানিত ভাইজান, আফগানে আইএসের হামলার ব্যাপারে কিছু লিখার অনুরোধ করছি।
    والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

    Comment


    • #3
      আলহামদুলিল্লাহ পোষ্টটা পড়ে মনে আর একটু শান্তি পেলাম! আল্লাহ তায়া'লা শায়েখ কে উত্তম বিনিময় দান করুন.. জিহাদের পথে আমাদের সকল কে অটল অবিচল রাখুন, আমিন।

      Comment


      • #4
        আল্লাহু আকবার! ওয়া লিল্লাহিল হামদ!

        মুহতারাম ভাইয়ের আলোচনাটি অনেক সুন্দর হয়েছে। মুমিনের জন্য রয়েছে অন্তরের প্রশান্তি তথা সংশয় নিরসণ। আর কাফিররেদ ও মুনাফিকদের জন্য রয়েছে শিক্ষা। (কেউ চাইলে উপদেশ গ্রহণ করে আল্লাহর পথে ফিরে আসতে পারে)

        আল্লাহ মুহতারাম ইলম ও জিহাদ ভাইকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। ইলমে ও আমলে বারাকাহ দান করুন। নিরাপত্তার চাদরে আবৃত করে রাখুন। ভাইয়ের ছায়া আমাদের উপর দীর্ঘায়িত করুন। আমিন
        গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

        Comment


        • #5
          আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ!

          মুজাহিদিনে কেরাম ভারত ও কাশ্মিরের মাটিতে জিহাদ ছড়িয়ে দেয়ার ছক আঁকছেন। এ কারণে বাংলার মাটিতে আমরা কোনো অপারেশন দেখতে পাচ্ছি না। যেসব ভাই এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্ধে আছেন, তাদের ইনশাআল্লাহ পেরেশানির কোনো কারণ নেই। বড় স্বার্থ সামনে রেখে সাময়িক স্বার্থ এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। ওয়াল্লাহু সুবহানাহু ওয়া তাআলা আ’লাম।
          ইয়া আল্লাহ! আমাদের সকলকে দ্বীনের সহীহ বুঝ দান করুন! সমসাময়িক বাস্তবতা অনুধাবন করার তাওফীক দান করুন!
          ইয়া আল্লাহ! মুহতারাম ভাইয়ের ইলম, আমল ও ফাহমে ভরপুর বারাকাহ নসীব করুন ও উম্মাহকে উপকৃত করুন!
          “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

          Comment


          • #6
            যেসব ভাইয়েরা তানজিম কায়েদাতুল জিহাদ এবং তালিবানের সম্পর্কের ব্যাপারে সংশয়ে রয়েছেন তাদেরকে আমি একটি কবিতা আবৃত্তি করে শোনাতে চাই। আর তা হলো ;একই বৃন্তের দুটি ফুল আল-কায়েদা- তালিবান,আল-কায়েদা তালিবানের নয়নের মণি; তালিবান আল-কায়েদার প্রান(প্রাণ)!
            Last edited by Jihadi Molla; 09-12-2021, 03:05 PM.

            Comment


            • #7
              وَكَيْفَ تَصْبِرُ عَلَىٰ مَا لَمْ تُحِطْ بِهِۧ خُبْرًا
              ‘আপনি তাতে কীভাবে ধৈর্য ধরবেন, যে সম্পর্কে আপনি জানেন না’? (সূরা কাহাফ; ১৮ঃ৬৮)

              স্বাভাবিকভাবে যে বিষয়ে আমাদের জ্ঞান নেই সে বিষয়ে সবর করা কষ্টদায়ক। তা সম্মানির ভাইয়ের প্রতি আরজ, বাংলার ভূমি বর্তমান কাজের স্ট্রাটিজি নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা করলে আমরা সকলে উপকৃত হতাম। আল্লাহ আপনার মাকাম বুলন্দ করুন। আমিন।।।

              Comment


              • #8
                ভারত হল আঞ্চলিক সাপের মাথা। এর পতন হলে বাংলাদেশ সহ অন্যদের পতন হবে। তবে আফগানিস্তানের নিরাপত্তার জন্য পাকিস্তান কে প্রথম টার্গেট করা হয়। তাই আমাদের কাজ হল বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে লড়াই এড়িয়ে এটাকে সেফ জোন ও পাওয়ার হাউস হিসেবে ব্যবহার করে ভারতের অভ্যন্তরে যুদ্ধের ব্যবস্থা করা। তাহলে একে তো সে ডিফেন্সিভ অবস্থানে থাকবে, পরিস্থিতিও আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আর যদি আমরা এদেশে লড়াইয়ে জড়িয়ে যাই, ভারত চলে যাবে অফেন্সে। দেখতে আফগানের মত মনে হলেও বাংলাদেশ আফগান নয়। দীর্ঘ মেয়াদি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অবস্থা এখানে নেই। যা শেষ নাগাদ শত্রুকেই সুবিধা দিবে।

                আল্লাহ আমাদের জন্য সব কিছু সহজ করে দিন। আমিন!

                Comment


                • #9
                  আলহামদুলিল্লাহ, পোস্টটি পড়ে অনেক উপকৃত হলাম। জাযাকাল্লাহু আহসানাল জাযা।
                  ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                  Comment


                  • #10
                    মুনাফিকদের আসলে কোনো আদর্শ নেই। এরা যা কিছু করে স্বার্থের জন্য করে।
                    এদের ওয়ালা বারার ভিত্তি স্বার্থ।
                    স্বার্থ বদলে গেলে ওয়ালা বারা বদলে যায়।

                    Comment


                    • #11
                      ইয়া আল্লাহ
                      আমাদের সকলকে দ্বীনের সহী বুঝ দান করুন
                      বর্তমান বাস্তবতা অনুধাবন করার তাওফীক দান করুন
                      ইয়া আল্লাহ
                      মুহতারাম ভাইদের কবুল করুন
                      বারাকাহ নসীব করুন ও উম্মাহকে উপকৃত করুন
                      فَقَاتِلُوْۤا اَوْلِيَآءَ الشَّيْطٰنِ

                      Comment


                      • #12
                        প্রত্যেক যুগে মুনাফিকরা এমনই ছিলো, প্রকৃত তাওহীদ বাদিরা তাদের চিনতে ভুল করেনা।
                        রাব্বি কাবাহ আমাদের নিফাকী থেকে হেফাজত করুন।
                        সর্বোত্তম আমল হলো
                        আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এবং মহান মহীয়ান
                        আল্লাহর পথে জিহাদ করা।নাসায়ী,শরীফ

                        Comment


                        • #13
                          ‌হে আল্লাহ্ আপ‌নি আমা‌দের হি‌ন্দের জহো‌দে কবুল করুন। আ‌মিন
                          আল্লাহর জ‌মি‌নে, আল্লাহর সং‌বিধান প্রতিষ্ঠা করাই আমা‌দের লক্ষ‌্য।

                          Comment


                          • #14
                            আল্লাহু আকবার! ওয়া লিল্লাহিল হামদ!


                            মুহতারাম ভাইয়ের আলোচনাটি অনেক সুন্দর হয়েছে। মুমিনের জন্য রয়েছে অন্তরের প্রশান্তি তথা সংশয় নিরসণ। আর কাফিররেদ ও মুনাফিকদের জন্য রয়েছে শিক্ষা। (কেউ চাইলে উপদেশ গ্রহণ করে আল্লাহর পথে ফিরে আসতে পারে)

                            আল্লাহ মুহতারাম ইলম ও জিহাদ ভাইকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। ইলমে ও আমলে বারাকাহ দান করুন। নিরাপত্তার চাদরে আবৃত করে রাখুন। ভাইয়ের ছায়া আমাদের উপর দীর্ঘায়িত করুন। আমিন

                            Comment


                            • #15
                              ইয়া আল্লাহ
                              মুহতারাম ভাইদের কবুল করুন

                              Comment

                              Working...
                              X