শায়খ জিয়াউল হককে যদি এভূমির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ মুজাহিদ নেতা বলা হয়, তাহলে ইনশাআল্লাহ তাতে অতিরঞ্জন নেই। আর আল্লাহই প্রকৃত হিসাবগ্রহীতা।
.
আমাদের ভূমি তথা উপমহাদেশেই তিনি ইতিমধ্যে অবিস্মরণীয় ও বহুল আলোচিত এক চরিত্র সাব্যস্ত হয়েছেন। পরিণত হয়েছেন জীবন্ত কিংবদন্তিতে। সুবহানআল্লাহ!
.
ইসলামের ইতিহাসে এককভাবে সবচেয়ে বেশী সংখ্যক শাতিমে রাসুল সাঃ হত্যায় নের্তৃত্ব দানের ঈর্ষনীয় সাফল্য অর্জনের পাশাপাশি আরো কিছু বিরল ও অনুসরণীয় বৈশিষ্ট্য আল্লাহর ইচ্ছায় প্রকাশ পেয়েছে।
কেমন যেন আল্লাহ চেয়েছেন, এই ভূমি তথা উম্মাহর যুবকরা যেন এই মহান ব্যাক্তিকে জানতে ও চিনতে পারেন এবং তার হাকিকি ও রুহানি অনুসারী হতে পারেন। তাই শায়খের কিছু বিষয় দীনের শত্রুদের মাধ্যমেই প্রকাশ ও প্রচার পেয়েছে।
.
শায়খের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত যা জানা যায় সেদিকে সংক্ষেপে আলোকপাত করা হচ্ছে,
.
শায়খ ১৯৭৮ ঈসায়ী সনে সিলেট বিভাগের মৌলভিবাজার জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। সিলেট ক্যাডেট কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করে ৪১তম বিএমএ লং কোর্সে যোগ দিয়ে সেনাবাহিনীতে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি।
.
ক্যাডেট কলেজে পড়াকালীন সময় থেকেই ইসলামী আকিদা ও অনন্য চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের শক্তিশালী ধারম হিসেবে শায়খের পরিচয় প্রকাশ পায়।
.
দেখুন,
.
সৈয়দ জিয়াউল হককে ছোটবেলা থেকে দেখেছেন এমন এক ব্যক্তি গত মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন,
"জিয়াউল হককে ধরতে তাঁর থেকে অন্তত দুই ধাপ এগিয়ে থাকতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিছুটা পিছিয়ে আছে। তাঁর ভাষায়, জিয়া শৈশবে অনেকের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন।
.
জিয়ার ওই সহপাঠী প্রথম আলোকে বলেন, জিয়াকে তিনি চেনেন সিলেট ক্যাডেট কলেজে পড়ার সময় থেকে। তাঁর বাবা সৈয়দ জিল্লুল হক পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে সৌদি আরবে থাকতেন।
জিয়া ক্যাডেট কলেজে ভর্তির আগেই ছয় থেকে সাতবার ওমরাহ করেছেন।
.
কলেজে ছুটির সময় জিয়া সৌদি আরবে বাবা–মায়ের কাছে চলে যেতেন। তাঁর মতে, জিয়াকে তাঁদের কিছুটা ‘আশীর্বাদপুষ্ট’ও মনে হতো। জিয়া পড়তেন কম, কিন্তু এসএসসিতে মেধাতালিকায় স্থান করে নিয়েছিলেন। ছিলেন সিলেট ক্যাডেট কলেজের সেরা অ্যাথলেট।
.
মাসে ২০০ টাকার কুপন দিয়ে ক্যানটিন থেকে ইচ্ছেমতো খাবার কিনে খাওয়া যেত, সবাই কোক ও চিপস খেলেও জিয়া খেতেন না। বন্ধুদের কুপন দিয়ে দিতেন। খুব জনপ্রিয় ছিলেন ছাত্রদের মধ্যে।
.
জিয়ার ওই সহপাঠী বলেন, ক্যাডেটরা দুপুরে খাবার খাওয়ার পর থেকে বিকেলে খেলতে যাওয়ার আগপর্যন্ত বিশ্রামের একটা সময় পায়। সন্ধ্যায় যার যার ধর্মমতে প্রার্থনা করার বাধ্যবাধকতা থাকে।
জিয়া শাহজালাল হাউসে থাকতেন। তিনি যখন একাদশ শ্রেণির ছাত্র, তখন জোহরের নামাজ জামাতে পড়ার চল শুরু করেন। প্রথম নামাজে ইমামতি করলেও পরে তিনি তালিম দিতে শুরু করেন।
.
কলেজ কর্তৃপক্ষের বিষয়টি ভালো লাগেনি। তাঁকে নিরস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এতে তাঁর অনুসারীরা তো বটেই, সাধারণ ছাত্ররাও খেপে যায়।
.
কারণ, তিনি কারও ওপর কিছু চাপিয়ে দিতেন না। বাগ্মী ছিলেন, ছাত্ররা তাঁর কথায় আকৃষ্ট হতেন। কোনোভাবেই জিয়াকে আটকাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত তাঁকে হাউস অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রিফেক্ট করা হয়।
.
যদিও কলেজের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে তিনি গেমস প্রিফেক্ট হবেন—এমনটাই ধারণা ছিল সবার। এ সময়ও ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ির জন্য তাঁকে সতর্ক করা হয়।
অ্যাসিস্ট্যান্ট হাউস প্রিফেক্ট পদ থেকে সরানোর আলোচনাও ওঠে। এবারও তাঁর সহপাঠীরা বেঁকে বসেন।
.
সৈয়দ জিয়াউল হক সম্মানের সঙ্গেই ১৯৯৭ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে কলেজ ছাড়েন। যোগ দেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে।
সেখানেও সোর্ড অব অনার পান। তখনো তাঁর ওপর নজরদারি ছিল। জিয়া পাত্তা দিতেন না।"
.
সুবহানআল্লাহ যে বয়সে এদেশের অধিকাংশ ছাত্রই শিশুসুলভ চলাফেরা আর বালখিল্যতায় ব্যস্ত থাকে সে বয়সেই শায়খ ছিলেন ইসলাম ও উত্তম আখলাকের দাবীতে স্বীয় নফসের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী এক অনন্য ব্যাক্তিত্ব!!!
কিংবা হয়তো আল্লাহ তা আলার ইচ্ছায় শায়খের এটা তবিয়তই ছিল!
.
ছাত্রজীবন শেষ করে সেনাবাহিনীতে তিনি যোগ দেন সোর্ড অব অনার পেয়ে। দ্রস্টব্য যে, সেনাবাহিনীতে এই পদক অত্যন্ত সম্মান ও বীরত্বের প্রতীক। পাসিং আউটে সবচেয়ে মেধাবী ও দক্ষ অফিসার ক্যাডেটকেই মূলত এই পদক দেয়া হয়।
.
সেনাবাহিনীতে চাকুরীকালীন মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (mist) থেকে তিনি কম্পিউটার প্রকৌশল (সিএসই) এ স্নাতক সম্পন্ন করেন অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে।
.
এর পরপরই ভারতের দালাল মুরতাদ আওয়ামি প্রশাসনের পতনের মাধ্যমে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সামরিক ক্যুর প্রচেষ্টা গ্রহণ করেন তিনি ২০১১ সালে। কিন্তু আল্লাহর ফয়সালা ছিল ভিন্ন।
মূলতঃ আল্লাহ তা আলা উনাকে আরো বিরল ও মহান সম্মানে ভূষিত করতে চাইলেন।
.
ক্যু প্রচেষ্টা নস্যাৎ হওয়া সত্ত্বেও তিনি সফলতার সাথে মুরতাদদের ধোঁকা দিয়ে ব্যারাক থেকে বেরিয়ে এসে জামা-আত কা-য়ে-দাতুল জিহাদের উপমহাদেশীয় শাখায় যোগদান করতে সক্ষম হোন। ফা লিল্লাহিল হামদ।
.
অত্যল্প সময়ের মধ্যেই তাকওয়া, উত্তম আখলাক, ধীশক্তি, আসকারি ও সিয়াসি ইলমের ব্যুৎপত্তিসহ সাংগঠনিক ও সামরিক উৎকর্ষতার বিরল সমন্বয়ের ফলাফল হিসেবে জামাআতের শীর্ষ নেতৃত্বে পৌছে যান তিনি।
.
২০১৪ সালের শেষভাগ থেকে নিয়ে ২০১৬ এর এপ্রিল পর্যন্ত শায়খের সুযোগ্য নের্তৃত্ব ও অবিশ্রান্ত-সুকৌশলী সাংগঠনিক-সামরিক মেহনতের ফলাফল হিসেবে একে একে প্রায় এক ডজন শা-তি-মে রাসুল সাঃ ও আল্লাহদ্রোহীকে হত্যার মাধ্যমে মহান 'খতমে মুলহিদিন' আন্দোলন সফলতার সাথে সম্পন্ন করেন।
.
লক্ষনীয় যে, শায়খের দিকনির্দেশনা ও নের্তৃত্বে অল্পসংখ্যক মুজাহিদ ও সীমিত সামর্থ্যের মাধ্যমে এভূমিতে কুফর-ইলহাদ-নাস্তিকতা ও ইসলামদ্রোহীতার ঝান্ডা বহনকারী ঐসকল নাস্তিকদের নাক জমিন স্পর্শ করে, যাদের মৃত্যুর পর বাংলাদেশে নাস্তিকতা ও সমকামিতার ব্যাপক ঔদ্ধত্যের কবর রচিত হয়ে যায়!
আল্লাহু আকবার!
.
তাগুতি প্রশাসনকে নাকানিচুবানি খাইয়ে শায়খের অদম্য পথচলা গোটা দুনিয়ার মুমিনদের, বিশেষত মু-জা-হিদিনদের আত্মাকে খুশি আর গর্বে পরিপূর্ণ করে দেয়৷ একে একে শায়খ আইমান আয যা-ওয়া-হিরি, আল কায়েদা জা-জি-রাতুল আরবের আমির শায়খ খালিদ আল বাতারফি, আল কায়েদা উপমহাদেশের আমির মাও-লানা আসেম উমর প্রমুখ শায়খের এই মহান আন্দোলনের প্রশংসা ও শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন।
.
শায়খকে খুজে বের করতে বায়োমেট্রিক সিম, ভাড়াটিয়া ফরমসহ নানামুখী চেষ্টার পর হাল ছেড়ে দিয়ে এক পর্যায়ে তাগুতি প্রশাসন ২০লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করলেও তা আজো নিস্ফলই রয়েছে। এবং আশা করা যায় নিস্ফলই থাকবে।
.
সম্প্রতি ২০২১ সালে অভিজিৎ, দীপন ও জুলহাজ-তনয় হত্যা মামলায় শায়খকে তাগুতি আদালত তিনবার মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছে।
.
ঈমানী নিরাপত্তা ও মদদের সত্যায়ন করে এবং তা-গুত-মু-র-তাদদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে পরাজিত করে এই দুর্দদমনীয় মু-জা-হিদ শায়খ আলহামদুলিল্লাহ আজো নিরাপদ আছেন
ইয়া আল্লাহ! আপনি আমাদের চোখ ও অন্তরের প্রশান্তি শায়খ সৈয়দ জিয়াউল হককে ঈমান ও জি-হা-দের পথের উপর অটল রাখুন।
শায়খকে এমনভাবে হেফাজত করুন যেভাবে আপনি আপনার সালেহিন বান্দাদের হেফাজত করে থাকেন।
শায়খের মাধ্যমে এমন কাজ আঞ্জাম দেয়ার তাওফিক দিন যা মজলুম নর-নারীর চিত্ত স্থির হয় এবং বাতিলের মসনদ প্রকম্পিত হয়।
.
আমিন। ইয়া রব্বাল 'আলামিন!
.
(বিভিন্ন পত্রিকা ও মিডিয়া থেকে সংকলিত তথ্যের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা সম্পুর্ন লেখাটি, নিজ পরিচয় গোপন রাখতে আগ্রহী জনৈক ব্যাক্তিসূত্রে প্রাপ্ত।)
.
আমাদের ভূমি তথা উপমহাদেশেই তিনি ইতিমধ্যে অবিস্মরণীয় ও বহুল আলোচিত এক চরিত্র সাব্যস্ত হয়েছেন। পরিণত হয়েছেন জীবন্ত কিংবদন্তিতে। সুবহানআল্লাহ!
.
ইসলামের ইতিহাসে এককভাবে সবচেয়ে বেশী সংখ্যক শাতিমে রাসুল সাঃ হত্যায় নের্তৃত্ব দানের ঈর্ষনীয় সাফল্য অর্জনের পাশাপাশি আরো কিছু বিরল ও অনুসরণীয় বৈশিষ্ট্য আল্লাহর ইচ্ছায় প্রকাশ পেয়েছে।
কেমন যেন আল্লাহ চেয়েছেন, এই ভূমি তথা উম্মাহর যুবকরা যেন এই মহান ব্যাক্তিকে জানতে ও চিনতে পারেন এবং তার হাকিকি ও রুহানি অনুসারী হতে পারেন। তাই শায়খের কিছু বিষয় দীনের শত্রুদের মাধ্যমেই প্রকাশ ও প্রচার পেয়েছে।
.
শায়খের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত যা জানা যায় সেদিকে সংক্ষেপে আলোকপাত করা হচ্ছে,
.
শায়খ ১৯৭৮ ঈসায়ী সনে সিলেট বিভাগের মৌলভিবাজার জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। সিলেট ক্যাডেট কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করে ৪১তম বিএমএ লং কোর্সে যোগ দিয়ে সেনাবাহিনীতে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি।
.
ক্যাডেট কলেজে পড়াকালীন সময় থেকেই ইসলামী আকিদা ও অনন্য চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের শক্তিশালী ধারম হিসেবে শায়খের পরিচয় প্রকাশ পায়।
.
দেখুন,
.
সৈয়দ জিয়াউল হককে ছোটবেলা থেকে দেখেছেন এমন এক ব্যক্তি গত মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন,
"জিয়াউল হককে ধরতে তাঁর থেকে অন্তত দুই ধাপ এগিয়ে থাকতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিছুটা পিছিয়ে আছে। তাঁর ভাষায়, জিয়া শৈশবে অনেকের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন।
.
জিয়ার ওই সহপাঠী প্রথম আলোকে বলেন, জিয়াকে তিনি চেনেন সিলেট ক্যাডেট কলেজে পড়ার সময় থেকে। তাঁর বাবা সৈয়দ জিল্লুল হক পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে সৌদি আরবে থাকতেন।
জিয়া ক্যাডেট কলেজে ভর্তির আগেই ছয় থেকে সাতবার ওমরাহ করেছেন।
.
কলেজে ছুটির সময় জিয়া সৌদি আরবে বাবা–মায়ের কাছে চলে যেতেন। তাঁর মতে, জিয়াকে তাঁদের কিছুটা ‘আশীর্বাদপুষ্ট’ও মনে হতো। জিয়া পড়তেন কম, কিন্তু এসএসসিতে মেধাতালিকায় স্থান করে নিয়েছিলেন। ছিলেন সিলেট ক্যাডেট কলেজের সেরা অ্যাথলেট।
.
মাসে ২০০ টাকার কুপন দিয়ে ক্যানটিন থেকে ইচ্ছেমতো খাবার কিনে খাওয়া যেত, সবাই কোক ও চিপস খেলেও জিয়া খেতেন না। বন্ধুদের কুপন দিয়ে দিতেন। খুব জনপ্রিয় ছিলেন ছাত্রদের মধ্যে।
.
জিয়ার ওই সহপাঠী বলেন, ক্যাডেটরা দুপুরে খাবার খাওয়ার পর থেকে বিকেলে খেলতে যাওয়ার আগপর্যন্ত বিশ্রামের একটা সময় পায়। সন্ধ্যায় যার যার ধর্মমতে প্রার্থনা করার বাধ্যবাধকতা থাকে।
জিয়া শাহজালাল হাউসে থাকতেন। তিনি যখন একাদশ শ্রেণির ছাত্র, তখন জোহরের নামাজ জামাতে পড়ার চল শুরু করেন। প্রথম নামাজে ইমামতি করলেও পরে তিনি তালিম দিতে শুরু করেন।
.
কলেজ কর্তৃপক্ষের বিষয়টি ভালো লাগেনি। তাঁকে নিরস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এতে তাঁর অনুসারীরা তো বটেই, সাধারণ ছাত্ররাও খেপে যায়।
.
কারণ, তিনি কারও ওপর কিছু চাপিয়ে দিতেন না। বাগ্মী ছিলেন, ছাত্ররা তাঁর কথায় আকৃষ্ট হতেন। কোনোভাবেই জিয়াকে আটকাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত তাঁকে হাউস অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রিফেক্ট করা হয়।
.
যদিও কলেজের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে তিনি গেমস প্রিফেক্ট হবেন—এমনটাই ধারণা ছিল সবার। এ সময়ও ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ির জন্য তাঁকে সতর্ক করা হয়।
অ্যাসিস্ট্যান্ট হাউস প্রিফেক্ট পদ থেকে সরানোর আলোচনাও ওঠে। এবারও তাঁর সহপাঠীরা বেঁকে বসেন।
.
সৈয়দ জিয়াউল হক সম্মানের সঙ্গেই ১৯৯৭ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে কলেজ ছাড়েন। যোগ দেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে।
সেখানেও সোর্ড অব অনার পান। তখনো তাঁর ওপর নজরদারি ছিল। জিয়া পাত্তা দিতেন না।"
.
সুবহানআল্লাহ যে বয়সে এদেশের অধিকাংশ ছাত্রই শিশুসুলভ চলাফেরা আর বালখিল্যতায় ব্যস্ত থাকে সে বয়সেই শায়খ ছিলেন ইসলাম ও উত্তম আখলাকের দাবীতে স্বীয় নফসের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী এক অনন্য ব্যাক্তিত্ব!!!
কিংবা হয়তো আল্লাহ তা আলার ইচ্ছায় শায়খের এটা তবিয়তই ছিল!
.
ছাত্রজীবন শেষ করে সেনাবাহিনীতে তিনি যোগ দেন সোর্ড অব অনার পেয়ে। দ্রস্টব্য যে, সেনাবাহিনীতে এই পদক অত্যন্ত সম্মান ও বীরত্বের প্রতীক। পাসিং আউটে সবচেয়ে মেধাবী ও দক্ষ অফিসার ক্যাডেটকেই মূলত এই পদক দেয়া হয়।
.
সেনাবাহিনীতে চাকুরীকালীন মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (mist) থেকে তিনি কম্পিউটার প্রকৌশল (সিএসই) এ স্নাতক সম্পন্ন করেন অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে।
.
এর পরপরই ভারতের দালাল মুরতাদ আওয়ামি প্রশাসনের পতনের মাধ্যমে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সামরিক ক্যুর প্রচেষ্টা গ্রহণ করেন তিনি ২০১১ সালে। কিন্তু আল্লাহর ফয়সালা ছিল ভিন্ন।
মূলতঃ আল্লাহ তা আলা উনাকে আরো বিরল ও মহান সম্মানে ভূষিত করতে চাইলেন।
.
ক্যু প্রচেষ্টা নস্যাৎ হওয়া সত্ত্বেও তিনি সফলতার সাথে মুরতাদদের ধোঁকা দিয়ে ব্যারাক থেকে বেরিয়ে এসে জামা-আত কা-য়ে-দাতুল জিহাদের উপমহাদেশীয় শাখায় যোগদান করতে সক্ষম হোন। ফা লিল্লাহিল হামদ।
.
অত্যল্প সময়ের মধ্যেই তাকওয়া, উত্তম আখলাক, ধীশক্তি, আসকারি ও সিয়াসি ইলমের ব্যুৎপত্তিসহ সাংগঠনিক ও সামরিক উৎকর্ষতার বিরল সমন্বয়ের ফলাফল হিসেবে জামাআতের শীর্ষ নেতৃত্বে পৌছে যান তিনি।
.
২০১৪ সালের শেষভাগ থেকে নিয়ে ২০১৬ এর এপ্রিল পর্যন্ত শায়খের সুযোগ্য নের্তৃত্ব ও অবিশ্রান্ত-সুকৌশলী সাংগঠনিক-সামরিক মেহনতের ফলাফল হিসেবে একে একে প্রায় এক ডজন শা-তি-মে রাসুল সাঃ ও আল্লাহদ্রোহীকে হত্যার মাধ্যমে মহান 'খতমে মুলহিদিন' আন্দোলন সফলতার সাথে সম্পন্ন করেন।
.
লক্ষনীয় যে, শায়খের দিকনির্দেশনা ও নের্তৃত্বে অল্পসংখ্যক মুজাহিদ ও সীমিত সামর্থ্যের মাধ্যমে এভূমিতে কুফর-ইলহাদ-নাস্তিকতা ও ইসলামদ্রোহীতার ঝান্ডা বহনকারী ঐসকল নাস্তিকদের নাক জমিন স্পর্শ করে, যাদের মৃত্যুর পর বাংলাদেশে নাস্তিকতা ও সমকামিতার ব্যাপক ঔদ্ধত্যের কবর রচিত হয়ে যায়!
আল্লাহু আকবার!
.
তাগুতি প্রশাসনকে নাকানিচুবানি খাইয়ে শায়খের অদম্য পথচলা গোটা দুনিয়ার মুমিনদের, বিশেষত মু-জা-হিদিনদের আত্মাকে খুশি আর গর্বে পরিপূর্ণ করে দেয়৷ একে একে শায়খ আইমান আয যা-ওয়া-হিরি, আল কায়েদা জা-জি-রাতুল আরবের আমির শায়খ খালিদ আল বাতারফি, আল কায়েদা উপমহাদেশের আমির মাও-লানা আসেম উমর প্রমুখ শায়খের এই মহান আন্দোলনের প্রশংসা ও শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন।
.
শায়খকে খুজে বের করতে বায়োমেট্রিক সিম, ভাড়াটিয়া ফরমসহ নানামুখী চেষ্টার পর হাল ছেড়ে দিয়ে এক পর্যায়ে তাগুতি প্রশাসন ২০লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করলেও তা আজো নিস্ফলই রয়েছে। এবং আশা করা যায় নিস্ফলই থাকবে।
.
সম্প্রতি ২০২১ সালে অভিজিৎ, দীপন ও জুলহাজ-তনয় হত্যা মামলায় শায়খকে তাগুতি আদালত তিনবার মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছে।
.
ঈমানী নিরাপত্তা ও মদদের সত্যায়ন করে এবং তা-গুত-মু-র-তাদদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে পরাজিত করে এই দুর্দদমনীয় মু-জা-হিদ শায়খ আলহামদুলিল্লাহ আজো নিরাপদ আছেন
ইয়া আল্লাহ! আপনি আমাদের চোখ ও অন্তরের প্রশান্তি শায়খ সৈয়দ জিয়াউল হককে ঈমান ও জি-হা-দের পথের উপর অটল রাখুন।
শায়খকে এমনভাবে হেফাজত করুন যেভাবে আপনি আপনার সালেহিন বান্দাদের হেফাজত করে থাকেন।
শায়খের মাধ্যমে এমন কাজ আঞ্জাম দেয়ার তাওফিক দিন যা মজলুম নর-নারীর চিত্ত স্থির হয় এবং বাতিলের মসনদ প্রকম্পিত হয়।
.
আমিন। ইয়া রব্বাল 'আলামিন!
.
(বিভিন্ন পত্রিকা ও মিডিয়া থেকে সংকলিত তথ্যের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা সম্পুর্ন লেখাটি, নিজ পরিচয় গোপন রাখতে আগ্রহী জনৈক ব্যাক্তিসূত্রে প্রাপ্ত।)
Comment