Announcement

Collapse
No announcement yet.

সৎ কাজের আদেশ, অসৎ কাজের নিষেধ এবং আমাদের নেফাকি

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সৎ কাজের আদেশ, অসৎ কাজের নিষেধ এবং আমাদের নেফাকি

    সৎ কাজের আদেশ, অসৎ কাজের নিষেধ এবং আমাদের নেফাকি

    আমরা সব সময়ই আমজনতাকে সৎ কাজের আদেশ আর অসৎ কাজের নিষেধ বুঝাতে এই বলে নসীহা করি যে, কোন অসৎ কাজ হতে দেখলে হতে দেখলে শক্তি থাকলে হাত দ্বারা তা প্রতিহত করবেন, না পারলে জবান দ্বারা তা প্রতিহত করবেন, না পারলে অন্তরে ঘৃণা করবেন।

    এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে - আমরা যারা রাজনীতি করি বিশেষ করে ইসলামের নামে রাজনীতি তারা সবাই সরাকার কোন গণবিরোধী বা রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বিরোধী বা অন্যকোন রাজনৈতিক দলের উপর কোন অন্যায়-আত্যাচার করলে মিছিল করি, মিটিং করি, মানববন্ধন করি, হরতাল-অবরোধ করি ।

    কিন্তু সরকার যে রাষ্ট্র থেকে কুরআনকে বিদায় করে মানব রচিত সংবিধান দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে এটা কি অন্যায় নয় ? শুধু কি অন্যায় নাকি জুলমে আজিম (শিরক) ? যদি এটা অন্যায় হয় এবং জুলমে আজিম (শিরক) হয় তাহলে আমাদের দেশের ইসলামী রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে কি আজ পর্যন্ত এই ব্যাপারে অর্থাৎ রাষ্ট্র থেকে কুরআনকে বিদায় করে মানব রচিত সংবিধান দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যাপারে কোন প্রতিবাদ হয়েছে ? বা এর প্রতিবাদে কেউ কি কখনো কোন মিছিল বা মিটিং বা মানববন্ধন বা হরতাল বা অবরোধ করেছে ?

    উত্তর যদি না হয় তাহলে আমরা কি নেফাকিতে লিপ্ত নই ?

    এখানে উল্লেখ্য যে দ্বীন কায়েম বা রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে মানব রচিত সংবিধান বাতিল করে কুরাআনী সংবিধান কায়েমের লক্ষ্যে একমাত্র নববী পন্থা তথা জিহাদের কথা বললে আমাদের ইসলামী রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক অঙ্গনের ভাইয়েরা বলেন যে, আমাদের জিহাদ করার শক্তি নেই, সামর্থ্য নেই, লোকবল নেই ইত্যাদি ইত্যাদি। তাদের এই দাবী {অর্থাৎ এই জুলমে আজিম (শিরক) হাত দ্বারা প্রতিহত করার ক্ষমতা বা জিহাদ করার শক্তি নেই, সামর্থ্য নেই, লোকবল নেই} তর্কের খাতিরে হলেও মেনে নেওয়া যেত যদি তারা সরকারের অন্যান্য জুলুম-অত্যাচারের ক্ষেত্রে যেভাবে রাজপথে মিছিল করে, মিটিং করে, মানববন্ধন করে বা হরতাল-অবরোধ করে অন্তত এই অতি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতেও যদি কখনো এই ধরনের কোন জবানী কর্মসূচী পালন করত।
    এসো জিহাদ শিখি

  • #2
    ------------
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ ভাই অনেক সুন্দর কথা বলছেন

      Comment


      • #4
        তাগুত সরকারের পা চাটতে চাটতেই তাদের সময় শেষ হয়ে যায়। তারা আবার করবে এরকম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আন্দোলন!!
        اللهم انی اسلک الهدی والتفی والعفافی والغناء

        Comment


        • #5
          মাশা-আল্লাহ,, ভাইজান গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আল্লাহ আপনি মুসলিমদের বুঝার তাওফিক দান করুন আমীন।
          ভাইয়েরা, আমাদের দেশে আমার জানা জিহাদী কার্যক্রম শুরু করেন রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ করা আফগান ফেরত মুজাহিদ ভাইয়েরা।[[ সংগঠনের নাম হরকাতুল জিহাদ]] হরকতের কার্যক্রম ভালোই এগুচ্ছিলো, কিন্তু ভাইদের দুইএকটা আক্রমণ এমন ছিলো যে, তাগুত এর দ্বারা জনগণ ও আলিমদের হৃদয় থেকে মুজাহিদ ভাইদের দূরে টেলে দেয়। আর এর দ্বারা তাগুত নিজেদের পক্ষকে শক্তিশালী করে জনবল ও অস্ত্রবলে। জিহাদী আন্দোলনগুলো সামনের দিকে এগুতে না পারার অনেকগুলো কারণ, কিছু তুলা ধরার চেষ্টা করবো।
          সাংগঠনিক শক্তির কমতি।
          জনগণ জিহাদ না বুঝা/ জিহাদকে ভুল বুঝা।
          স্থানীয় উলামারা মুজাহিদ ভাইদের বিরোধিতা করা।
          আমিলরা/ মুসলিমরা কুফুরি শাসনকে মেনে নেওয়া/ মানব রচিত বিধান দিয়ে দেশ পরিচালনা ব্যক্তিকে মুসলিম মনে করা/ মুসলিম শাসক মনে করা।
          আল্লাহ, আমাকে মুজাহিদ হিসেবে কবুল করুন আমীন।

          Comment

          Working...
          X