Announcement

Collapse
No announcement yet.

রিবাতের ভূমি থেকে চিঠি ।। তাকওয়া-ই ইলমের মূল ভিত্তি ।। মাওলানা ক্বারী আব্দুল আজিজ শহিদ

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • রিবাতের ভূমি থেকে চিঠি ।। তাকওয়া-ই ইলমের মূল ভিত্তি ।। মাওলানা ক্বারী আব্দুল আজিজ শহিদ

    রিবাতের ভূমি থেকে চিঠি- ১৬
    ।। তাকওয়া-ই ইলমের মূল ভিত্তি ।।


    -মাওলানা ক্বারী আব্দুল আজিজ শহিদ রহিমাহুল্লাহ




    [মানব জীবনে, ভাষায়, সাহিত্যে ও ইতিহাসে চিঠির রয়েছে অনেক বড় ভূমিকা। এই ধারাবাহিক কলাম (রিবাতের ভূমি থেকে চিঠি) খুবই উপকারী। নিম্নোক্ত চিঠির লেখক হলেন- আল কায়দা উপমহাদেশের অর্থ বিভাগের জিম্মাদার, প্রবীণ আলেম, মুজাহিদ ও খোদাভীরু মাওলানা ক্বারী আবু হাফছা আব্দুল হালিম। জিহাদের ময়দানে যিনি ‘ক্বারী আব্দুল আজিজ’ নামে সুপরিচিত। তিনি নিজ জীবনকে জিহাদের ময়দানে অতিবাহিত করেছেন। ২০১৫ সালে কান্দাহারে আমেরিকার এক হামলায় তিনি শাহাদাত বরণ করেন। আল্লাহ তাঁর উপর রহমত বর্ষণ করুন। ক্বারি সাহেব জিহাদের ময়দান থেকে সময় সময় নিজ আত্মীয়-স্বজনদের উদ্দেশ্যে চিঠি লিখতেন। পরে তিনি তা সংকলনও করেছিলেন। "নাওয়ায়ে গাজওয়ায়ে হিন্দ" ম্যাগাজিন কর্তৃপক্ষ তাঁর চিঠিসমূহ প্রকাশ করার সৌভাগ্য অর্জন করছেন। আল্লাহ তা‘আলা উক্ত চিঠিসমূহকে লেখক, পাঠক ও প্রকাশক সবার জন্যে পরকালের পাথেয় বানিয়ে দিন, আমীন! -ম্যাগাজিন কর্তৃপক্ষ]



    ********************


    بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
    الحمد لله وحده، والصلاة والسلام على من لا نبي بعده


    প্রিয় ভাই,
    ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।


    কাজের ব্যস্ততা এবং আপনার প্রথম চিঠিটা এদিক সেদিক হওয়ায় যথাসময়ে প্রথম চিঠির উত্তর দেওয়া হয়নি। তাই প্রথমে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। এদিকে আপনার কথা মনে পড়ছে। আপনার চিঠিটা সত্যি কোন চিঠি ছিল না, বরং তা ছিল সুসংবাদের একটি পুঁটলি। আপনি তাতে অনেক সুসংবাদ বর্ণনা করেছেন, তন্মধ্যে অনেক কিছুর সুন্দর বিশ্লেষণও করেছেন। অধ্যয়ন সম্পর্কেও বলেছেন, অসংখ্য দু‘আও করেছেন। আপনার কৃত সমস্ত দু‘আ কবুল হোক। আমীন!

    আপনি অনেক পরিস্থিতির সঠিক বিশ্লেষণ করেছেন, তাই আপনাকে জানাচ্ছি অনেক অনেক মোবারকবাদ। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি- তিনি যেন আপনার ইলম বাড়িয়ে দেন। আপনার হায়াতে বারাকাহ দান করেন, যাতে আপনি চিঠিতে উল্লিখিত ৩টি রণাঙ্গনের প্রস্তুতি নিতে পারেন। আমীন!

    (পর কথা হলো-) উম্মাহর উলামা এবং মুজাহিদদের জন্য একই সাথে অস্ত্র ও ইলম সাথে নিয়ে চলা সময়ের দাবি। উম্মাহর নেতৃত্ব তারাই গ্রহণ করার যোগ্যতা রাখেন, যাদের রয়েছে উভয় বস্তুর (দ্বীনের সঠিক জ্ঞান ও তরবারি) সমষ্টি। জ্ঞান আর অস্ত্র রণাঙ্গন ব্যতিত একত্রিত হওয়া অসম্ভব। রণাঙ্গনে আল্লাহর এক বিশেষ রহমত রয়েছে। কেননা, রণাঙ্গনে বিশুদ্ধ তাকওয়া অর্জন হয়, আর তাকওয়া ইলম অর্জনের মূল ভিত্তি। আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে তাকওয়াকে ইলমের মূল ভিত্তিরূপে বর্ণনা করেছেন।

    وَاتَّقُوا اللّٰهَ وَيُعَلِّمُكُمُ اللّٰهُ
    তাকওয়া অবলম্বন করো, আল্লাহ তোমাদের শিখিয়ে দিবেন।(সূরা বাকারা: ২৮২)


    অন্যত্রে আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন-

    وَمَنْ يَتَّقِ اللّٰهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا،وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبْ وَمَنْ يَّتَوَكَّلْ عَلَي اللّٰهِ فَهُوَ حَسْبُهْ إِنَّ اللّٰهَ بَالِغُ أَمْرِهٖ قَدْ جَعَلَ اللّٰهُ لِكُلِّ شَيْءٍ قَدْرًا.(سورة الطلاق: ٣،٢)
    যে-কেউ আল্লাহকে ভয় করবে, আল্লাহ তার জন্য সংকট থেকে উত্তরণের কোন পথ তৈরি করে দেবেন। এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন। আল্লাহ সবকিছুর জন্যে একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন। (সূরা ত্বালাক:২-৩)


    আল্লাহ তা‘আলা আরো ইরশাদ করেন-

    یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنۡ تَتَّقُوا اللّٰهَ یَجۡعَلۡ لَّکُمۡ فُرۡقَانًا وَّیُکَفِّرۡ عَنۡکُمۡ سَیِّاٰتِکُمۡ وَیَغۡفِرۡ لَکُمۡ ؕ وَاللّٰهُ ذُو الۡفَضۡلِ الۡعَظِیۡمِ.
    হে মু’মিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর তবে আল্লাহ্ তোমাদেরকে ন্যায়-অন্যায় পার্থক্য করার শক্তি দিবেন, তোমাদের পাপ মোচন করবেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন আর আল্লাহ্ অতিশয় মঙ্গলময়। (সূরা আনফাল:২৯)

    এখানে যে একাগ্রতা থাকে, তা আল্লাহর পক্ষ থেকে মুজাহিদদের জন্যে এক বিশেষ নেয়ামত এবং হিজরত ও জিহাদের প্রতিদান। আমরা আল্লাহর যতই শুকরিয়া জ্ঞাপন করি না কেনো, তা অতি নগন্য। নিশ্চয় তিনি আমাদেরকে হিদায়াত দান করেছেন এবং হিজরতের নেয়ামত দান করেছেন। অন্যথায় আমরা গাফলতির সাগরে অবগাহনরত কোটি কোটি মানুষের মতো গোমরাহিতে নিমজ্জিত থাকতাম। ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
    এর জন্যে আমাদের বেশি বেশি শুকরিয়া জ্ঞাপন করা এবং আল্লাহর জিকিরে স্বীয় জিহ্বা সতেজ রাখা চাই।
    আমরা আল্লাহর শুকরিয়া তাঁর নেয়ামত স্বীকার করে, তাঁর প্রসংশায় পঞ্চমুখ হয়ে, বেশি বেশি রুকু সিজদার করে, আল্লাহর জিকির করে, তাঁর নিত্য নতুন সব নেয়ামতের শুকরিয়া স্বরূপ নম্রতা অবলম্বন করে, যাদের মাধ্যমে নেয়ামত লাভ করেছি, তাদের শুকরিয়া আদায় করে, দ্বীনের ক্ষেত্রে নিজের চেয়ে মর্যাদাবান ও বুজুর্গের দিকে, আর দুনিয়ায় ক্ষেত্রে দুর্বলদের দিকে থাকিয়ে, নেয়মাতরাজীর কথা মানুষের কাছে প্রকাশ করে, সমস্ত নেয়ামত একমাত্র আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা স্বীকার করে, আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভালোবেসে এবং সব সময় আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট থেকে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে পারি।
    বর্তমানে আমরা যে প্রতিষ্ঠিত এক রণাঙ্গনে অবস্থান করছি, এখানে শুধুমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করে, শত্রুর মোকাবেলায় সীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় দৃঢ়পদ থেকে এবং বেশি বেশি আল্লাহকে স্মরণ করে বিজয় অর্জন করি। আমাদের বেশি বেশি জিকির ও ফিকির এবং আল্লাহকে স্মরণ করা চাই। কারণ আমাদের প্রতিপক্ষ ও আমাদের মাঝে সামরিক ও মালি তারতম্য পিপড়া আর হাতির ন্যায়। এক আর কোটির ন্যায়। সুতরাং এই অবস্থায় আমাদের জন্য একজনই সাহায্যকারী, তিনি হলেন পরাক্রমশালী মহান আল্লাহ। যদি আমরা আল্লাহর উপর ভরসা করে পথ চলা শুরু করি। তাঁকে বেশি বেশি স্মরণ করি, তাহলে এই কণ্টকময় রাস্তা আমাদের জন্য আসান হয়ে যাবে।
    আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন-

    یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا لَقِیۡتُمۡ فِئَۃً فَاثۡبُتُوۡا وَاذۡکُرُوا اللّٰہَ کَثِیۡرًا لَّعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ ۚ
    হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কোন বাহিনীর (কাফেরদের) সাথে সংঘাতে লিপ্ত হও, তখন সুদৃঢ় থাক এবং আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ কর যাতে তোমরা উদ্দেশ্যে কৃতকার্য হতে পার।
    (সূরা আনফাল: ৪৫)


    যদি কোন মুমিন এই মোবারক রণাঙ্গনের হতাহতের খবর পায়, তখন অবশ্যই তাকে চিন্তিত হওয়া চাই এবং এর জন্যে ফিকির করা চাই। তবে আশাহত হওয়ার কোন কারণ নেই। কেননা আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন-

    وَلَا تَہِنُوۡا وَلَا تَحۡزَنُوۡا وَاَنۡتُمُ الۡاَعۡلَوۡنَ اِنۡ کُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ
    তোমরা হীনবল হয়ো না এবং দুঃখিতও হয়ো না; তোমরাই বিজয়ী যদি তোমরা মু’মিন হও। (সূরা আলে ইমরান: ১৩৯)


    সবকিছুর লাগাম আল্লাহর হাতে। তিনি অনিষ্ট থেকে কল্যাণ সৃষ্টি করেন। যদি আমরা উহুদ যুদ্ধের দিকে তাকায়, তাহলে আমরা এক পর্যায়ে মুমিনদের সাময়িক পরাজয় দেখতে পাই, কিন্তু এই বিপর্যয় কারো জন্যে নিয়ে এসেছে জান্নাতের সুসংবাদ। কারো জন্যে নিয়ে এসেছে এমন রহমত, যদ্দরুন হাত থেকে তরবারি পড়ে যাচ্ছে। কেউ তা থেকে পালাচ্ছে আর কেউ তার মধ্যে শাহাদাতের মর্যাদা খোঁজছে। এই বাহ্যিক বিপর্যয়ের পরও অবশেষে বিজয় মুমিনদেরই হয়েছে। والعاقبة للمتقين অর্থাৎ শেষ পরিণাম মুত্তাকিদের জন্যই।

    জিহাদকে একটি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা বলা ঠিক হবে না। কেননা, জিহাদ একটি স্বতন্ত্র ইবাদত বরং সর্বোত্তম ইবাদত। এটা কোন অবস্থার প্রেক্ষিতে বা প্রতিরোধের জন্যে করা হয় এমন না। যাদের মধ্যে কল্যাণ রয়েছে একমাত্র তারাই এই মহান ইবাদতে যোগদানের সৌভাগ্য লাভে ধন্য হন। এরা আল্লাহ তা‘আলার আদেশে, কোন শিক্ষণীয় ঘটনায় প্রভাবিত হয়ে বা কোন নিদর্শন দেখে এই রাস্তার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায় এবং রণাঙ্গনের দিকে ছুটে আসে। এই মোবারক জিহাদে যারাই আসে, তারা দ্বীনের চিন্তা-ফিকির নিয়ে আসে। অর্থাৎ, সে দ্বীনের একটা বুঝ নিয়ে ময়দানে আসে। দীর্ঘদিন যাবত সাথীদের সাথে সময় কাটিয়ে আমার যা অভিজ্ঞতা হয়েছে, তার ভিত্তিতে বলতে পারি, আমাদের সাথে হিজরত করে আসা ছোট ছোট ছেলেদেরও দ্বীনের যে বুঝ থাকে, শাহাদাতের যে তামান্না তারা হৃদয়ে লালন করে, এর উপর ভিত্তি করে বলতে পারি, এটা নিছক কোন প্রতিরোধমূলক জিহাদ নয়। আর যে যুদ্ধ প্রতিরোধমূলক হয়, সেখানে লোকের হিড়িক থাকে। অথচ এই জিহাদে মুসলমানের সংখ্যা খুবই অল্প। মুসলিম বিশ্বের তুলনায় যা তরকারির মধ্যে লবনের সাদৃশ্যও নয়।

    এছাড়া আমরা যদি হযরত ওমর রাযি. এর ইসলাম গ্রহণের বিষয়টি নিয়ে একটু ফিকির করি, তাহলে বিষয়টি বুঝা অনেক সহজ হবে। হযরত ফারুকে আজম রাযি. প্রথম থেকেই সত্য অনুসন্ধিৎসু ছিলেন।
    আল্লাহ তা‘আলা তাকে তিনবার চিন্তা ফিকির করার অবকাশ দিয়েছেন। প্রথমবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সূরা শুরার তিলাওয়াত শ্রবণের মাধ্যমে আল্লাহর পবিত্র কালামের মহানুববতায় মুগ্ধ হয়েছিলেন। দ্বিতীয়বার, সাহাবাদের হাবশায় হিজরতকালীন এক মহিলার অসহায়ত্ব হযরত ওমরকে প্রভাবান্বিত করেছে। অবশেষে নিজ বোনের উপর চাপ প্রয়োগের পরও নিজ বোনের ঈমানের উপর অটল-অবিচলতা তাঁকে ঈমান আনার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছে।
    আপনি "আরবি কা মুআল্লিম" কিতাবটির ৩ খণ্ড শেষ করেছেন, তা অনেক খুশির খবর। ৪র্থ খণ্ডও খুব মূল্যবান, সেটাও পড়ে ফেলুন। আপনার অধ্যয়ন "যত দেরি তত ভালো" এই ছন্দের সত্যায়িত করছে। আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করুন। কারণ, এই অধ্যয়নের সখ যদি আগে সৃষ্টি হতো, তাহলে আপনি জিহাদের ময়দানে বড় বড় যা কাজ করেছেন, তা করতে অলসতা প্রকাশ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকতো। আল্লাহর কাজ নির্দিষ্ট সময়ে হয় এবং তাঁর প্রত্যেকটা কাজে কল্যাণ নিহিত রয়েছে।
    বর্তমানে আমলহীন জ্ঞান আল্লাহ প্রদত্ত একটি মুসীবত। যে এই আমলহীন জ্ঞান চর্চায় একবার হারিয়ে গেছে, সে আজীবন ঐ ধোঁকা থেকে আর বেরোতে পারেনি। উম্মাহর অতীত ইতিহাস আর বর্তমান অবস্থা তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। উম্মাহ আমলহীন জ্ঞান চর্চায় নিমজ্জিত হয়ে দাসত্বের শিকল গলায় ধারণ করেছে।
    রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আগমন দু’টি উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্যে হয়েছে। ১। কিতাব ও হিকমার শিক্ষাদান। ২। ইসলামকে অন্যান্য ধর্মের উপর বিজয়ী করা।
    আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন-

    هُوَ الَّذِیۡ بَعَثَ فِی الۡاُمِّیّٖنَ رَسُوۡلًا مِّنۡہُمۡ یَتۡلُوۡا عَلَیۡہِمۡ اٰیٰتِہٖ وَیُزَکِّیۡہِمۡ وَیُعَلِّمُہُمُ الۡکِتٰبَ وَالۡحِکۡمَۃَ ٭  وَاِنۡ کَانُوۡا مِنۡ قَبۡلُ لَفِیۡ ضَلٰلٍ مُّبِیۡنٍ ۙ
    তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। (সূরা জুমুআহ: ২)


    দ্বীনকে বিজয়ী করা সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন-

    هُوَ الَّذِیۡۤ اَرۡسَلَ رَسُوۡلَہٗ بِالۡہُدٰی وَدِیۡنِ الۡحَقِّ لِیُظۡہِرَہٗ عَلَی الدِّیۡنِ کُلِّہٖ وَلَوۡ کَرِہَ الۡمُشۡرِکُوۡنَ .
    তিনিই তাঁর রাসূলকে প্রেরণ করেছেন হিদায়াত ও সত্য দীনসহ সকল দীনের ওপর একে বিজয়ী করার জন্যে, যদিও মুশরিকরা তা অপছন্দ করে। (সূরা আস-সাফ: ৯)


    রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরাম উভয় লক্ষ্য একই সময়ে পূর্ণ করেছেন। যদি মুসলিম উম্মাহ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরামের দেখানো পথের অনুসরণ করতো, তাহলে তাদের এই দুর্দিন দেখতে হতো না। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এই লাঞ্ছনা থেকে নাজাত দিন, আমীন! আমাদেরকেও রাসূলের পথ আঁকড়ে ধরে রাখার তাওফিক দিন,আমীন!
    আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি- যেন তিনি আমাদেরকে স্বাচ্ছন্দ্যের জীবন এবং শাহাদাতের মৃত্যু নসীব করেন, আমীন! দ্বীনকে সঠিকভাবে বুঝার এবং আমল করার তাওফিক দান করেন, আমীন!

    اللهم أحيانا سعيدا وأمتنا شهيدا. اللهم أرنا الحق حقا وارزقنا اتباعه وأرنا الباطل باطلا وارزقنا اجتنابه وصلي الله علي النبي الكريم وعلي آله وصحبه أجمعين

    পরিশেষে প্রিয়জনদের সালাম আর সন্তানদেরকে আমার পক্ষ থেকে দু‘আ এবং ভালোবাসা পৌঁছে দিবেন!

    ওয়াসসালামু আলাইকুম
    দোয়াপ্রার্থী আপনার হিতাকাঙ্খী
    ক্বারি আব্দুল আজিজ


    ********************


    সূত্র: নাওয়ায়ে গাজওয়ায়ে হিন্দ ম্যাগাজিন থেকে অনূদিত



    অনুবাদক:
    husam, জুনিয়র মেম্বার, দাওয়াহ ইলাল্লাহু ফোরাম
    আইডি লিঙ্ক: https://82.221.139.217/member.php?32761-husam
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

  • #2
    আল্লাহ আমাদেরকে তাকওয়া অর্জনের তাওফিক দিন ও গোনাহ থেকে বাঁচার তাওফিক দিন। আমীন
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      আলহামদুলিল্লাহ খুবই উত্তম পোষ্ট..আল্লাহ তা'য়ালা ভাইদের উভয় কে উত্তম বিনিময় দান করুন, আল্লাহুম্মা আমিন ইয়া রব্বাল আলামিন।

      Comment

      Working...
      X