Announcement

Collapse
No announcement yet.

জঙ্গি বলে কাকে অপবাদ (গালি) দেন। ভেবেছেন কী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জঙ্গি বলে কাকে অপবাদ (গালি) দেন। ভেবেছেন কী

    জঙ্গি শব্দের পরিভাষা ব্যবহার করে আমরা যাদেরকে সন্ত্রাসী (terrorist) অপবাদ দেই আসলে উনারা কী জঙ্গি? মানে উনারা কী সন্ত্রাসী, নাকি এরা জঙ্গি নামের দ্বীনের মুজাহিদ? আমরা যাদেরকে জঙ্গি বলে মিথ্যা অপবাদ দেই মূলত উনারাই হলেন মানবতার আসল কর্ণধার। উনারাই হলেন জাতির আসল কাণ্ডারি। প্রশ্ন জাগতে পারে মনে তাহলে উনারাদেরকে জঙ্গি (terrorist) বলা হয় কেন?
    ভাই এই জঙ্গিরা কিন্তু আল্লাহর যমীনে আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন করার জন্যই এমনটা করে থাকেন। অবাক হচ্ছেন?
    না, অবাক হওয়ার কোন কারণ নাই এটাই চরম বাস্তব। আসুন সেই বাস্তবতাটা কী একটু তালাশ করে দেখি।
    তাহলে শুরুতে আমাদেরকে জঙ্গি শব্দের সাথে পরিচিত হতে হবে এবং এর পারিভাষা ব্যবহার করে কেমনে এর অপব্যবহার করা হচ্ছে সে সম্পর্কে কিছু জানতে হবে


    দেখুন, "জঙ্গি" এই শব্দটা হচ্ছে ফার্সি।তার মূল ধাতু হচ্ছে "জঙ্গ"। যার বাংলা অর্থ যুদ্ধ। আর যারা যুদ্ধ করেন তাদেরকেই বলে জঙ্গি অর্থাৎ বাংলায় মুক্তিযোদ্ধা। বাংলা ভাষায় কোন জাতি যদি অন্যের পরাধীনতা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিজের দেশ,দেশের জনগণ, সার্বভৌমত্ব রক্ষা, অধিকার আদায়, জনগণের মাল-সম্পদ, ইজ্জত-আব্রু রক্ষার জন্য পরদেশীয় আগ্রাসনবাদীদের বিরুদ্ধে কোন সশস্ত্র সংগ্রাম গড়ে তুলে সেটাকে বলে মুক্তিযুদ্ধ। যেমন আমরা আমাদের এই সোনার বাংলাকে পাক-হানাদার বাহিনীর জুলুম-নির্যাতন থেকে উদ্ধার করার জন্য কৃষক-শ্রমিক, ধনী-গরীব, জুয়ান-বুড়ো সবাই একসাথে মিলে একটা সশস্ত্র সংগ্রাম করেছিলাম। সেটাকে আমরা বলে মুক্তিযুদ্ধ। আর যারা এই মহান কাজ আঞ্জাম দিয়েছিলেন তাদেরকে আমরা বলি মুক্তিবাহিনী বা যুদ্ধা। তেমনিভাবে আরবীতে 'আল-জুহুদু' বা 'আল-ইজতেহাদু' মাসদার থেকে একটি শব্দ নির্গত হয় যাকে বলে জিহাদ। আর যারা এই জিহাদের মহান কাজটা সম্পাদন করেন তাদেরকে বলে মুজাহিদ। তেমনিভাবে ফার্সি ভাষায় একটি ধাতু আছে "জাঙ্গিয়ু"।অর্থাৎ যারা দ্বীন ক্বায়েমের জন্য আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করে, যুদ্ধ করে ফার্সীতে তাদেরকে বলে জঙ্গি। তাহলে তো ভাল কথা। আমরা যারা না বুঝে জঙ্গিদেরকে জঙি বলে অপবাদ দেই মূলত তারা সন্ত্রাস নয়।তারা মূলত দ্বীনের মুজাহিদ! তারপরও তাদেরকে জঙ্গি বলে গালি দেওয়া হয় কেন? এখানেও একটু মাথা খাটাতে হবে। আর তাহল হলো, এই অপব্যবহার বা পরিভাষা আসল কোত্থেকে? দেখুন, এখানেও ইয়াহুদি,খ্রিস্টনদের গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। পাশ্চাত্যের এক শ্রেণীর তথাকথিত বুদ্ধিজীবি ইসলামে জিহাদের অনুমোদন করা হয়েছে এই ভিত্তিতে ইসলামকে সন্ত্রাসী চেতনার ধারক বলে অপব্যাখ্যা করছে। বস্তুত ইসলামের জিহাদনীতি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা না থাকাই এর মূল কারণ কিংবা তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই এরুপ অপব্যাখ্যার আশ্রয় নিয়ে ইসলামকে বিশ্বের দরবারে হেয় করে তোলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
    বস্তুত মুসলমানদের আদর্শচ্যুত করে নিজেদের কৃষ্টি ও কালচারের অনুসারী বানিয়ে ফেলা পাশ্চাত্যের ইয়াহুদি ও খ্রিস্টানচক্রের আজীবনের লালিত স্বপ্ন। ওরা গবেষণা করে দেখেছে, মুসলিম মুজাহিদদেরকে যদি মুজাহিদ বলে গালি দেওয়া হয় তাহলে এটা গালিতে ব্যবহার হবে না।বরং মুসলমানরা মুজাহিদ শব্দের তাৎপর্য বুঝে জিহাদের প্রতি আরো ঝুকে পড়বে। তাই তারা এই জঙ্গি শব্দটাকে terror এর পারিভাষিক অর্থ জঙ্গি হিসাবে ব্যবহার করেছে। terror অর্থ ত্রাস। আরা যারা ত্রাস সৃষ্টি করে তারাই হলো terrorist। আর যারা এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে সেই কাজটাকে বলে terrorism। মূলত এখানে ইয়াহুদি,বেঈমানেরা জঙ্গি শব্দকে terrorism অর্থে ব্যবহার করছে। এবার আপনারাই একটু চিন্তা করুন জঙ্গি বলে আমরা কাদেরকে গালি দিচ্ছি ?

    আসুন জেনে নেই এই জঙ্গিদের কর্মপন্থা কী।
    দেখুন, এই জঙ্গিরা (মুজাহিদরা) আল্লাহর নির্দেশেই জঙ্গি কর্মকাণ্ড করে থাকেন। দেখুননা তাদের মহান কাজগুলো। এই ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে। যেমন দেখুন,
    এ ব্যাপারে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেনঃ

    "হে নবী! আপনি কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করুন এবং তাদের প্রতি কঠোর হোন।
    সূরা :তাওবাঃ ৭৩।

    "আর যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে
    তোমরা ও আল্লাহর পথে তাদের
    বিরুদ্ধে জিহাদ করো, তবে কারো
    প্রতি সীমালঙ্গন করোনা। নিশ্চই
    আল্লাহ্ সীমালঙ্গনকারীদের
    ভালবাসেন না"।

    সূরাঃবাকারা ১৯০

    "আর যেখানে পাও তাদের হত্যা করো
    এবং যেখানে থেকে তোমাদের বের
    করে দিয়েছে তোমরা ও তাদেরকে
    সেখান থেকে বের করে দাও।ফিতনা
    হত্যার চেয়ে গুরুতর।আর তোমরা
    মাসজিদে হারামের নিকট যুদ্ধ করো
    না, যতক্ষণ না তারা তোমাদের সাথে
    সেখানে যুদ্ধ করে। যদি তারা
    তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তবে
    তাদের হত্যা করবে। এটাই কাফিরদের পরিণাম"।
    সূরাঃ বাকারা ১৯১।

    "যদি তোমরা জিহাদে বের না হউ তবে
    তিনি তোমাদের কঠিন শাস্তি দেবেন
    এবং অন্য জাতিকে স্থলাভিষিক্ত
    করবেন এবং তোমরা তার কোনই ক্ষতি
    করতে পারবে না"। সূরা তওবা

    "আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর,
    যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং
    আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়। অতঃপর
    যদি তারা নিবৃত হয়ে যায় তাহলে
    কারো প্রতি কোন জবরদস্তি নেই,
    কিন্তু যারা যালেম (তাদের ব্যাপারে আলাদা)"। সুরা বাকারা ১৯৪

    "আর তোমাদের কী হলো যে, তোমরা আল্লাহর রাস্তায় অসহায় নর-নারি ও শিশুদের জন্য জিহাদ করছো না? যারা বলছে, হে আমাদের প্রতিপালক! এ জালেম শাসকের দেশ থেকে বের করে আমাদের অন্যত্র নিয়ে যাও এবং তোমার নিকট থেকে কাউকে অভিভাবক নিযুক্ত করো"।
    সূরাঃ নিসা ৭৬

    কাট,ধরো,মারো,লড়াই করো, জিহাদ করো, সংশোধন করো, ফিৎনা দূর করো, গর্দানে মারো,বেধে ফেলো,বের করে দাও এভাবে আল্লাহ সমস্ত কোরআন জুড়ে সাড়ে ছয়'শোরও বেশি জিহাদের আয়াত ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রেখেছেন।
    এখন প্রশ্ন জাগতে পারে, আল্লাহ তায়ালা কেন এমন নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা যদি লক্ষ্য করি তাহলে অবশ্যই দেখতে পাবো, প্রতিটা আয়াতেই কিন্তু আল্লাহ এর কারণও বর্ণনা করেছেন।যেমন দেখুন, সূরা বাকারার ১৯৪ নং আয়াতে আল্লাহ ,বলেছেন
    " আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর,
    যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং
    আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়"। উপরোক্ত আয়াতের প্রতি লক্ষ্য করলে দেখা যায় আল্লাহ জিহাদ করার কথা বলছেন,ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ পর্যন্ত না ফিতনা দূর হয়।আমরা লক্ষ্য করলে এ ও দেখতে পাই যে, ইসরাইল, আমেরিকা,রাশিয়া, ইন্ডিয়া,চীন,ফ্রান্স ইত্যাদি জালিমেরা আফগান,ইরাক,লেবানন,সিরিয়া,আফ্রিকা, কাশ্মীর, ফিলিস্তিন, চেচনিয়া,বসনিয়া, ইত্যাদি মুসলিম দেশে আগ্রাসন চালিয়ে ফাসাদ সৃষ্টি করেছে।আর সেই ফাসাদকে দূর করার জন্যই তো আল্লাহ কোরআনে এমন বিধান জারি করেছেন।সেই বিধানকেই কায়েম করতে অর্থাৎ জুলুম,ফাসাদ দূর করার জন্য শহিদ ড.আব্দুল্লাহ আযযাম, শায়খ শহিদ উসামা, শায়খ মোল্লা মোহাম্মাদ ওমর, শায়খ আইমান আল-জাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহু তায়াল প্রমুখ হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন। এরদ্বারা সুস্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে, জঙ্গি নামের দ্বীনের মুজাহিদীনগণ আল্লাহর যমীন থেকে ফিৎনা-ফাসাদ দূর করার জন্যই জঙ্গি হয়েছেন। এভাবে বাংলাদেশের কথা চিন্তা করলেও সমান হয়। যেমন: নাস্তিক্যবাদী শাতিমরা যদি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল, কোরআন, সাহাবায়ে কেরাম এবং ইসলামের অন্যান্য বিধান নিয়ে কটাক্ষ্য করতো না, তাহলে এদেশীয় আল-কায়েদা তথা (aqis) এর সাথীরা ধারালো চাপাতি হাতে নিয়ে তাদের কুপিয়ে কুপিয়ে জাহান্নামের টিকিট দিত না। শাতিমরা ইসলাম অবমাননা করে ফাসাদ সৃষ্টি করেছে ফলে আল-কায়েদার মুজাহিদরা তা চাপাতি থেরাপি দ্বারা দূর করার চেষ্টা করেছে।আর এখানেও দেখা যায় কোরআনের সেই বিধান খাপেখাপ মিলে গেছে।
    তাছাড়া খুদ কোরআনেই আল্লাহ তায়ালা আরো সুন্দরভাবে এর কারণ বর্ণনা -করেছেনঃ
    আর যখন তাদেরকে বলা হয়, তোমরা পৃবিবীতে ফাসাদ (সন্ত্রাসবাদ) সৃষ্টি করো না। তখন তারা বলে, আমরাই তো সংশোধনকারী।
    জেনে রেখো ওরাই সন্ত্রাসবাদ (ফাসাদ) কায়েমকারী,কিন্তু তারা তা বুঝে না।
    সুরা বাকারা ১৩

    উপরোক্ত আয়াতের ভাষ্য অনুযায়ী বুঝা যায় পৃথিবীতে এমন কিছু লোক আছে, যারা বিভিন্ন পদ্বদিতে এই ধরাদামে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়ায়।অথচ যখনি তাদেরকে বলা হয় সন্ত্রাসী করো না, তখন তারা বলে, আমরা সন্ত্রাসী করছি? আরে না না, আমরাই তো মনবতার কাণ্ডারি। আসুন দেখে নেই তাদের সন্ত্রাসী কর্ম-কান্ডগুলো, যা করেও তারা অস্বীকার করে।

    " নিঃসন্দেহে ফির'আউন তার দেশে উদ্ধত (পরাক্রমশালী ) হয়েছিল এবং সে দেশবাসীকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করে তাদের একটি দলকে দুর্বল করে দিয়েছিল।সে তাদের পুত্র-সন্তানদেরকে হত্যা করতো আর নারীদেরকে জীবিত (দাসী) বানিয়ে রাখতো। নিঃসন্দেহে সে ছিলো অশান্তি সৃষ্টকারী।
    সুরা ক্বাছাছ-৫

    "ফির'আউন বলল:... অবশ্যই আমি তোমাদের হাত-পা বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলবো, আমি তোমাদেরকে খেজুর গাছের কান্ডে শুলে চড়াব..."
    সূরা ত্ব-হা,৭১

    আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন, ভাই এটা তো সেই কতশত বছর আগের ফির'আউনের কথা।কিন্তু বর্তমান যুগে তালেবান, আল-কায়েদারা জিহাদ করছে কেন? হ্যাঁ, এটাই বলতে চাইছিলাম।

    বর্তমান মানবতার দাবিদার, আমেরিকা, ইসরাইল, চিন,রাশিয়া,ইন্ডিয়া,ফ্রান্স,ইতালি ও আন্যান্য জালিমরা কী মুসলমানদের মা-বোনদের নির্যাতন করছে না? তারা কী মুসলমানদের কচি কচি শিশুদেরকে জবাই করছে না? তারা কী মুসলমানদের নিরাপদ ভূমিতে আগ্রাসন চালিয়ে সেগুলোকে বিরান ভূমিতে পরিণত করছে না? অবশ্যই তারা এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে পৃথিবীর বুকে ফাসাদ সৃষ্টি করছে। তাই এইসব ত্রাস দূর করার জন্যই আল্লাহ বলেছেন,
    "আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর,
    যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং
    আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়"।
    অপর আরেকটি আয়াতে আছে,

    "আর যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে
    "তোমরা ও আল্লাহর পথে তাদের
    বিরুদ্ধে জিহাদ করো, তবে কারো
    প্রতি সীমালঙ্গন করোনা।
    এবং যেখানে থেকে তোমাদের বের
    করে দিয়েছে তোমরা ও তাদেরকে
    সেখান থেকে বের করে দাও।ফিতনা
    হত্যার চেয়ে গুরুতর।আর তোমরা
    মাসজিদে হারামের নিকট যুদ্ধ করো
    না, যতক্ষণ না তারা তোমাদের সাথে
    সেখানে যুদ্ধ করে। যদি তারা
    তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তবে
    তাদের হত্যা করবে। এটাই কাফিরদের পরিণাম"।
    বাকারা ১৯১
    এখন যদি আপনি আমেরিকা,ইসরাইল, ইন্ডিয়া,চিন, রাশিয়াকে জিজ্ঞাসা করেন কেন তোমরা, মুসলমানদের উপর জুলুম করছো, কেন তাদের ভূমি দখল করে তাদের স্ত্রী-পুত্রদের হত্যা করে ফাসাদ সৃষ্টি করছো? তারা বলবে, কই, আমরা তো মুসলমানদের উপর কোন জুলুম করছি না, তাদের ভূমি দখল করে তাদের স্ত্রী-পুত্রদের হত্যা করেও কোন ফাসাদ সৃষ্টি করছি না। বরং আমরা তো সন্ত্রাস দমন করছি। আরে আমরাই তো মানবতার কান্ডারি।যেমনিভাবে ফের'আউন বলেছিল, তোমরা ছাড় আমাকে,মূসাকে হত্যা করতে দাও,ডাকুক সে তার পালনকর্তাকে! আমি আশংকা করি যে, সে তোমাদের ধর্ম পরিবর্তন করে দেবে অথবা সে দেশময় বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। সূরা গাফির, ৪০:২৬.
    আবার "ফির'আউন বলল, আমি যা বুঝি তাই তোমাদেরকে বোঝাই,আর আমি তোমাদেরকে মঙ্গলের পথ দেখাই"
    সুরা গাফির, ৪০:২৯।
    এবার আপনারাই বলুন ফির'আউন কী মানুষকে ভাল পথ দেখিয়েছিল? ইতিহাস থেকে আমরা জানতে পারি তৎক্ষালীন সময়ে তার চাইতে বড় জালিম আর কেউ ছিল না। তারপরও সে দাবী করে বসেছিল সে নাকি সন্ত্রাস দমনকারী। তদ্রূপ এইযোগেও আমেরিকা বা অন্যান্য সন্ত্রাসীরা এমনটা দাবী করছে, যা ধোঁকাবাজি বৈ ছাড়া আর কিছু না।

    আরেকটা আয়াতেও এরুপ আছেঃ-

    "আর যখন তাদেরকে বলা হয়, তোমরা পৃবিবীতে ফাসাদ (সন্ত্রাসবাদ) সৃষ্টি করো না। তখন তারা বলে, আমরাই তো সংশোধনকারী।
    জেনে রেখো ওরাই সন্ত্রাসবাদ (ফাসাদ) কায়েমকারী,কিন্তু তারা তা বুঝে না।
    সুরা বাকারা ১৩

    ফির'আউনের কবল থেকে বনী ইসরাইলকে উদ্ধার করার জন্য হযরত মূসা (আ.সা) যেমন ফির'আউনের বিরুদ্ধে অবস্তান নিয়েছিলেন ,তেমনি আমাদের প্রিয় নবীও তৎকালীন মক্কার মুশরিকদের জুলুম থেকে সে সময়কার দুর্বল মুসলমানদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন। আর এটাকেই সহজ অর্থে জিহাদ বলে। আর এভাবেই যুগে যুগে নির্যাতিত মুসলমানদেরকে রক্ষা করার জন্য তলোয়ার উঠিয়েছিলেন, হযরত আবু-বকর,উমর,আলী, উসমান, খালিদ বিন ওয়ালিদ,তারিক বিন যিয়াদ, মোহাম্মদ বিন কাসিম। এভাবে নুরুদ্দিন জঙ্গি, সুলতান সালাহ উদ্দিন আইয়ুবী,সুলতান মাহমূদ গজনবী, শহিদ শায়খ আব্দুল্লাহ আযযাম,শায়খ উসামা বিন লাদেন,শায়খ শহিদ ইমাম আওলাকি, শহিদ খাত্তাব,মুসআব য্বারকায়ী, মোল্লা মোহাম্মাদ ওমর, মোল্লা আখতার রাহিঃ শায়খ আইমান আল-জাওয়াহিরী, আসেম ওমর, শায়খ মাক্বদাসি, শায়খ মুহাইসীনি হাফিযাহুমুল্লাহু প্রমুখ। এবার আমার প্রশ্ন হলো আপনারা যদি আজকের জঙ্গিদের (মুজাহিদদের) থেকে শুরু করে ধারাবাহিকভাবে উপর দিকে যান,তাহলে এই ধারাবাহিকতা ঠিক রাসূল পর্যন্ত গিয়ে পৌছাবে। তাহলে আপনি আজকের মুজাহিদদেরকে জঙ্গি বলে গালি দিয়ে আপনার আমার প্রিয় নবীকেও যে গালি দিচ্ছেন। তা কী ভেবে দেখেছেন কখনো?

  • #2
    জাযাকাল্লাহু খাইরান।
    #জঙ্গিরা ( মিজাহিদিনরা) বর্ত্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে মুত্তাকী লোকজন। কারণ যারা জঙ্গি হয় তারা আল্লাহর বিধান পুরোপুরি মেনে চলার চেষ্টা করেন, এবং আল্লাহর জমীনে আল্লাহ আইন কায়েমে সর্বদাই চেষ্টাই লিপ্ত থাকেন। কিছু লোকদের মত শুধু নছিহত করেই বসে থাকেন না। জঙ্গিরাই হলো নাস্তিকদেএ ভয়ের কারণ, কারণ পৃথিবীতে যতদিন জঙ্গি থাকবে ততদিন নাস্তিক মুরদাদরা সুখে থাকতে পারবে না। আমরা নাস্তিকদের সার্টিফিকেট আশা করি না।
    আল্লাহ আমাদের মুজাহিদ হিসেবে কবুল করুন।

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহ ইয়া আখিয়্যাল আযীয। উদয়ু লি ওয়ালি কুল্লি উম্মাতি মোহাম্ময়াদিন

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহ ইয়া আখিয়্যাল আযীয

        Comment


        • #5
          zajakallah

          Comment


          • #6
            জাজাকাল্লাহ

            Comment

            Working...
            X