Announcement

Collapse
No announcement yet.

সে দ্বিগুণ সওয়াব পাবে

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সে দ্বিগুণ সওয়াব পাবে

    সে দ্বিগুণ সওয়াব পাবে

    হযরত সালামাহ বিন আকওয়া' রাযি.
    বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে খাইবার অভিযানে বের হলাম।* রাতের বেলা চলছিলাম। তখন এক ব্যক্তি আমের রাযি. কে বলল,* আমের! তোমার সমরসঙ্গীত থেকে আমাদেরকে কিছু শোনাবে কি? আমের রাযি. ছিল একজন কবি।
    তখন তিনি সওয়ারী থেকে নামলেন এবং সঙ্গীতের তালে তালে কাফেলাকে এগিয়ে
    নিয়ে চললেন।
    তিনি বলতে লাগলেন,

    اللهُمَّ لَوْلَا أَنْـتَ مَا اهْتَدَيْنـَا - وَلَا تَصَدَّقْنَا وَلَا صَلَّيْنَـا
    فَاغْفِرْ فِدَاءً لَـكَ مَا أَبْقَيْـنَا - وَأَلْقِيَنْ سَكِيْنَـةً عَلَـيْـنَا
    وَثَبِّتْ الْأَقْـدَامَ إِنْ لَاقَـيْـنَا - إِنَّا إِذَا صِيْحَ بِنَـا أَبَـيْنَـا
    وَبِالصِّيَاحِ عَوَّلُوْا عَلَيْنَا

    হে আল্লাহ! তুমি না হলে আমরা না হেদায়েত লাভ করতাম,
    না সদাকাহ দিতাম, আর না সালাত আদায় করতাম।
    তুমি আমাদেরকে ক্ষমা করো, যতদিন আমরা তোমার প্রতি সমর্পিত হয়ে থাকব।
    আমাদের উপর শান্তি বর্ষণ করো এবং শত্রুর মোকাবেলায় আমাদেরকে দৃঢ়পদ রাখ।
    আমাদেরকে যখন (কুফরের দিকে) ডাকা হয় তখন আমরা তা প্রত্যাখ্যান করি।
    আর এ কারণে তারা চিৎকার করে আমাদের বিরুদ্ধে লোক-লস্কর জমা করে।

    রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, এ সঙ্গীতের গায়ক কে ?
    কাছের ক'জন বললেন, 'আমের বিন আকওয়া'। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, *يَرْحَمُهُ اللهُ
    আল্লাহ তাঁর প্রতি রহম করুন।
    এ দোয়া শুনে কাফেলার একজন বললঃ* وَجَبَت
    ْ يَا نَبِيَّ اللهِ لَوْلَا أَمْتَعْتَنَا بِهِ
    *হে আল্লাহর রসূল ! তার জন্য তো শাহাদাত নিশ্চিত হয়ে গেল। আমাদেরকে যদি তার দ্বারা আরো উপকৃত হওয়ার সুযোগ দিতেন !

    ... ...* এরপর সবাই যুদ্ধের জন্য সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে গেল।* 'আমের বিন আকওয়া' রাযি.র তলোয়ারটা ছিল একটু ছোট। তা দিয়ে তিনি এক ইহুদির পায়ের গোছায় আঘাত করলে তলোয়ারের অগ্রভাগ ঘুরে এসে তাঁর নিজের হাঁটুতে লেগে যায়। এতেই তিনি মারা যান। সালামাহ বিন 'আকওয়া' রাযি. বলেনঃ তারপর সবাই খাইবার থেকে ফিরতে শুরু করলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে দেখে আমার হাত ধরে বললেন, কী খবর ? আমি বললামঃ আমার পিতামাতা আপনার জন্য উৎসর্গিত হোক, লোকজন ধারণা করছে, (নিজের আঘাতে মারা যাওয়ার কারণে) 'আমেরের আমল নষ্ট হয়ে গেছে। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,
    كَذَبَ مَنْ قَالَهُ إِنَّ لَهُ لَأَجْرَيْنِ إِنَّهُ لَجَاهِدٌ مُجَاهِدٌ
    *قَلَّ عَرَبِيٌّ مَشَى بِهَا مِثْلَهُ .
    যে এ কথা বলেছে সে মিথ্যা বলেছে।
    বরং সে দ্বিগুণ সাওয়াব পাবে।
    (এ কথা বলে তিনি দু'টি আঙ্গুল একত্রিত করে দেখালেন) অবশ্যই সে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী। তাঁর মত গুণের অধিকারী আরব* কমই আছে।
    - সহি বুখারী, হাদিস- 4196
    - সহি মুসলিম, হাদিস- 4560


    হাদিস থেকে শিক্ষা

    1 - ঈমানের পর বান্দার প্রতি আল্লাহর সবচে' বড় রহমত ও করুনার প্রকাশ ঘটে শাহাদাতের মর্যাদা দান করার মাধ্যমে।
    সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে সবারই জানা ছিল, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কারো ব্যাপারে আল্লাহর রহমতের দোয়া করলে এর অর্থ হতো, আল্লাহ তাঁকে শাহাদাতের মর্যাদা দান করবেন। তাই ওই সাহাবী এ দোয়া শুনে বললেন, তার জন্য তো শাহাদাত নিশ্চিত হয়ে গেল।
    এক বর্ণনায় এসেছে,*এ দোয়া শুনে হযরত উমর রাযি.ও বলে উঠলেন , হে আল্লাহর রসূল ! আমাদেরকে যদি তাঁর দ্বারা আরো কিছু দিন* উপকৃত হওয়ার সুযোগ দিতেন!

    আত তারগীব' কিতাবের এক হাদিসে এসেছে, একবার* রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক সাহাবীকে নিম্নোক্ত দোয়াটি পড়তে শোনলেন,

    *اَللّٰھُمَّ اٰتِنِیْۤ اَفْضَلَ مَا تُؤْتِیْ عِبَادَکَ الصّٰلِحِیْنِ

    হে আল্লাহ! আপনি আপনার নেককার বান্দাদেরকে যে সব নেয়ামত দিয়ে থাকেন তার মধ্যে 'সর্বোকৃষ্ট নেয়ামত' টি আমাকে দান করুন।

    তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম* তাঁকে লক্ষ্য করে বললেন,
    اذا يُعقر جوادك وتُستشهد
    তাহলে তো তুমি 'শাহাদাত' বরণ করবে এবং তোমার ঘোড়াটিও মারা যাবে।

    এ হাদিস থেকে বুঝা যাচ্ছে, (ঈমানের পর) শাহাদাতই হল, বান্দার প্রতি আল্লাহর 'সর্বোকৃষ্ট নেয়ামত'।
    হযরত উমর রাযি. দোয়া করতেন,*
    *
    اللهم انّي أَسْأَلُكَ شهادَةً في بَلَدِ رسولك صلى الله عليه وسلم ۔
    হে আল্লাহ ! আমি আপনার কাছে আপনার রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শহরে শহীদ হওয়া কামনা করি।

    2 - ইখলাসের সাথে আল্লাহর পথে জিহাদ করার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর একজন মুজাহিদ যে ভাবেই মারা যাক অবশ্যই শহীদ হবে।
    স্বাভাবিক ভাবে মারা যাক বা নিজের কোন সাথীর আঘাতে মারা যাক (যেমন উহুদের যুদ্ধে হোযাইফা বিন ইয়ামান রাযি.র* আব্বা ইয়ামান রাযি. ভুলক্রমে কয়েকজন সাহাবীর হাতে শাহাদাত বরণ করেন) কিংবা ভুলক্রমে নিজেই নিজের আঘাতে মারা যাক। (যেমন এ হাদিসে এসেছে)

    3 - শহীদদের নিয়ে অন্যরা কোন ধরনের সমালোচনা করলে এর দ্বারা তাদের পুরস্কার বৃদ্ধি পায়।*
    (আজকের মিডিয়ার বিষাক্ত প্রোপাগান্ডা আর সরকারি 'মৌ-লোভী'দের সমালোচনা* মুজাহিদদের জন্য দিগুণ সওয়াবের রাস্তা খুলে দিচ্ছে)
    হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সবাইকে সাআদাতের জীবন এবং শাহাদাতের মৃত্যু দান করুন।

  • #2
    যাজাকাল্লাহ

    Comment


    • #3
      যাজাকাল্লাহ

      Comment

      Working...
      X