শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরি হাঃ পক্ষ থেকে আমীরুল মু’মিনীন মুল্লাহ আখতার মুহাম্মাদ মানসূর হাঃ কে বায়াত প্রদান
শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরি হাঃ পক্ষ থেকে আমীরুল মু’মিনীন মুল্লাহ আখতার মুহাম্মাদ মানসূর হাঃ কে বায়াত প্রদান
“বিসমিল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ, ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু ‘আলা রাসূলিল্লাহ, ওয়া আ-লিহী, ওয়াসহা-বিহী ওয়া মাওয়ালাহ।
আমীরুল মু’মিনীন মুল্লাহ আখতার মুহাম্মাদ মানসূর এর প্রতি, আল্লাহ তাকে হেফাযত করুন, হক্বের মাধ্যমে তাকে এবং হক্বকে তার মাধ্যমে সাহায্য করুন, এবং আল্লাহ তাঁর দ্বীনকে তার মাধ্যমে বিজয় দান করুন।
আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ।
আমি আশা করি যে, আপনি, আপনার ভাইয়েরা, আপনার সৈন্য ও সাহায্যকারীগণ দুনিয়ার মর্যাদা ও আখিরাতের শ্রেষ্ঠত্বের বিচারে সেই সর্বোত্তম অবস্থাতেই আছেন যেমনটা আল্লাহ তাআলা ভালবাসেন । আর আল্লাহ তাআলা আপনাদের সেদিকে পরিচালিত করুন, যা তিনি ভালবাসেন এবং যার দ্বারা তিনি সন্তুষ্ট হন । আর আল্লাহ তাআলা আপনাদেরকে সকল খারাবী ও ক্ষতি থেকে দুনিয়া ও আখিরাতে হেফাযত করুন ।
আমাদের এবং মুসলিম উম্মাহ, মুজাহিদীন, মুহাজিরীন, মুরাবিতীন এর সাথে আমাদের আমীর, আমীরুল মু’মিনীন মুল্লাহ্* মুহাম্মাদ উমার মুজাহিদ (আল্লাহ্* তাকে তাঁর রহমতের চাদরে ঢেকে রাখুন, আমাদেরকে আল্লাহ্* তাআলা নিজ অনুগ্রহে তার সাথে সর্বোচ্চ জান্নাতে মিলিত হওয়ার তাওফীক দিন, তাদেরকে বাদ দিয়ে, যারা তার প্রতিস্থাপনকারী হিসেবে বা আক্রমণকারী হিসেবে তার মর্যাদাহানী করে) এর ইহলৌকিক বিচ্ছেদের সর্বাধিক বিষাদময় খবর আমাদের কাছে পৌঁছানোর পর আমরা এই সত্য দ্বারা সান্ত্বনা লাভ করেছি যে,
• তিনি একজন মুজাহিদ, মুরাবিত, সিপাহসালার, এবং মুজাহিদদের আমীর হিসেবে হক্বের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকেছেন, যতক্ষণ না তিনি তাঁর রবের সাক্ষাৎ লাভ করেন।
• এবং আমরা তার জন্য সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি যখন কিছু বলতেন, সত্য বলতেন, যখন ওয়াদা করতেন, তা পালন করতেন, এবং কখন দ্বীন বা আক্বীদার বিষয়ে কোন ছাড় দেন নি,
• এবং তিনি ইসলামের ইতিহাসে সত্যবাদিতা, তাওয়াক্কাল ইলাল্লাহ এর উৎকর্ষ, আল্লাহর কাছে যা আছে তাতে বিশ্বাস স্থাপন করা, দুনিয়ার চেয়ে আখিরাতকে প্রাধান্য দেয়া, এবং এক আল্লাহকে নিজের জন্য যথেষ্ট মনে করার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন । তাই তিনি ছিলেন একটি উত্তম ইমারাহ’র উত্তম আমীর।
• আল্লাহ্* তাআলা তাকে সাহায্য করেছিলেন এবং তার শক্তিকে বৃদ্ধি করেছিলেন এই জন্য যে, তিনি কখনো দুনিয়াব্যপী কুফফার জাতিসমূহের মাথা নোয়ান নি বা আত্মসমর্পন করেন নি, এবং তার সালেহীন যোদ্ধাদের কে নিয়ে এক আল্লাহ্* সুবহানা ওয়া তাআলার উপর ভরসা রেখে সারিবদ্ধভাবে তাদের মোকাবিলা করেছেন।
• তিনি সেই আমীর ছিলেন যিনি ইব্রাহিম খালিলুল্লাহ আলাইহিস সালামের অনুকরণে পৌত্তলিকতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন, তাই তিনি মুর্তি ধ্বংস করেছিলেন ( বামিয়ানের বৌদ্ধ মূর্তির কথা বলা হচ্ছে ) ।
তাই এই উম্মাহর একজন হিসেবে, তার তাক্বদীর নির্ধারিত মৃত্যু পর্যন্ত তিনি সত্যের উপরে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন- আল্লাহ তাআলা তাঁকে তার রহমতের চাদরে ঢেকে রাখুন এবং তাকে জান্নাতে দাখিল করুন । আমরা যদি আল্লাহর তাআলার বিচারে সন্তুষ্ট থাকি, নিজেদেরকে তাঁর ক্ষমতার কাছে সমর্পন করি যিনি মহিমান্বিত ও গৌরবান্বিত, আসুন তাঁর নিকট প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমাদেরকে হক্ব ও সৎকর্মশীলতার পথে, তাঁর দ্বীন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহর উপরে এবং তাঁর পক্ষ থেকে সফলতা ও সাহায্যের সাথে জিহাদের এই পথে প্রতিষ্ঠিত রাখেন।
তাই জিহাদের এই পথের ধারাবাহিকতায় মুজাহিদীনের কথাগুলোকে একত্রিত করতে এবং আমাদের পূর্বসুরী শাহাদাৎপ্রাপ্ত সৎকর্মশীল সিপাহসালার, আমাদের আমীর ইসলামের সিংহ উসামা বিন লাদেন এবং আমাদের ভাই আবু মুসআব আয যারক্বাউয়ি, আবু হামযা আল মুহাজির, মুস্তাফা আবু আল ইয়াযিদ, আবু আল লাইস, আতিয়াতুল্লাহ আল লিবী ও আবু ইয়াহিয়া আল লিবী এবং বাদবাকী শাইখুল জিহাদদের (রাহিমাহুমুল্লাহ) অনুসরণে, যাদেরকে আমরা গণ্য করি কিন্তু আল্লাহ তাআলার উপরে স্থান দেই না, আমি যথার্থভাবে, ক্বাইদাতুল জিহাদের আমীর হিসেবে আমাদের আনুগত্যের বায়াত আপনাকে প্রদান করলাম, যা আমীরুল মু’মিনীন মুল্লাহ মুহাম্মাদ উমার এর প্রতি শাইখ উসামা বিন লাদেন রঃ এবং তার সালেহীন শহীদ ভাইদের (আল্লাহ তাদের সবার উপর রহম করুন) যে আনুগত্য ছিল, সে পথেরই নবায়ন।
• তাই আমরা আপনার প্রতি আল্লাহর কিতাব রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ, ও খুলাফায়ে রাশেদার সুন্নাতের উপর আনুগত্যের বায়াত প্রদান করছি।
• এবং শারী’আহ কায়েমের উপর, যতক্ষণ না মুসলিম ভূমিসমূহ বিজয়ী হয়, শাসিত না হয়ে শাসন করে, অনুগত না থেকে নেতৃত্ব দেয়, অন্য কোন দ্বীন বিজয়ী থাকে এবং কোন ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের সাথে এর দ্বন্দ না থাকে, আমরা আপনার প্রতি আমাদের আনুগত্যের বায়াত প্রদান করছি ।
• এবং আমরা আপনার প্রতি আনুগত্যের বায়াত প্রদান করছি এমন প্রত্যেক শাসন, পদ্ধতি, স্বীকৃতি, সন্ধি, চুক্তি বা অঙ্গীকারপত্র বাতিল করার উপরে, যা শারী’আহ লঙ্ঘন করে, তা মুসলিমদের ভূমির মধ্যেই হোক অথবা এর বাইরে কোন ব্যবস্থা, কমিটি বা সংস্থার মধ্যেই হোক, যারা এর শারী’আহ সম্মত পদ্ধতিসমূহ লঙ্ঘন করে, যেমন জাতিসঙ্ঘ ও তাদের পাশাপাশি, তাদের মতই অন্যরা।
• আমরা আপনার প্রতি মুসলিমদের ভুমিসমূহকে মুক্ত করার জন্য সেই পর্যন্ত জিহাদ চালিয়ে যাওয়ার উপরে আনুগত্যের বায়াত প্রদান করছি, যতক্ষণ পর্যন্ত
o কাশগাড় থেকে আন্দালুসিয়া,
o ককেশাস থেকে সোমালিয়া ও মধ্য আফ্রিকা,
o কাশ্মীর থেকে আল-ক্বুদস (জেরুযালেম), এবং
o ফিলিপাইন থেকে কাবুল, বুখারা ও সমরখান্দ পর্যন্ত
... এক বিঘত পরিমাণ ভূমিও পরাধীন থাকবে এবং সীমানা লঙ্ঘিত হবে ।
• এবং আমরা আপনার প্রতি সেই শাসকদের বিরুদ্ধে জিহাদ চালিয়ে যাওয়ার উপরে আনুগত্যের বায়াত প্রদান করছি, যারা দ্বীনি ব্যবস্থা কে বদলে দিয়েছে, যারা শারী’আহর বিধানে ব্যঘাত ঘটিয়ে শাসনক্ষমতা লাভ করেছে, মুসলিমদের উপর কাফিরদের বিধি-বিধান চাপিয়ে দিয়েছে, দুর্নীতি ও অবমুল্যায়নের বিস্তার ঘটিয়েছে, মুসলিমদের উপর দ্বীনত্যাগী ব্যাবস্থা ও কার্যাবলী চাপিয়ে দিয়েছে যা শারী’আহকে অবজ্ঞা করে আর কাফিরদের বিশ্বাস ও দর্শনকে সর্বোচ্চ করে, যারা মুসলিমদের ভূমি ও সম্পদ শত্রুর হাতে তুলে দেয়।
• আমরা আপনার প্রতি আনুগত্যের বায়াত প্রদান করছি মাযলুম মুসলিমদের সহায়তা করার উপরে, তারা যেখানেই থাকু না কেন।
• এবং আমরা আপনার প্রতি আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধের উপর আনুগত্যের বায়াত প্রদান করছি।
• এবং আমরা আপনার প্রতি ইমারাতে ইসলামিয়্যাহকে প্রতিরক্ষা করার উপর আনুগত্যের বায়াত প্রদান করছি, আল্লাহর কিতাব ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ অনুযায়ী যার নেতৃত্বাধীনে আমরা আছি।
• এবং আমরা আপনার প্রতি খিলাফাহ প্রতিষ্ঠার উপরে আনুগত্যের বায়াত প্রদান করছি, যার উত্থান ঘটে মুসলিমদের পক্ষ থেকে সন্তুষ্টির সাথে ইখতিয়ার প্রদানের ভিত্তিতে, ন্যায়বিচার ও পরামর্শ, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, যুলুমের উৎখাত, আর অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার সাথে, সেই সাথে জিহাদের পতাকা উড্ডীন থাকে।
• এবং আমরা এই সকল বিষয়ের উপরে আপনার প্রতি আমাদের আনুগত্যের বায়াত প্রদান করছি যে, “ ‘আলাস সাম‘ঈ ওয়াত ত্ব’আতি ফিল মা’রূফ, ফিল মানশাতি ওয়া মাকরাহ ওয়াল উসরি ওয়াল ইউসরা মাসত্বতা’তু” এর অর্থ হচ্ছে, “আমরা সৎকাজে আপনার নির্দেশ আমাদের সাধ্যানুযায়ী শুনব ও মানব, স্বেচ্ছায় বা বলপ্রয়োগে, কষ্ট বা স্বস্তিতে”
তাই আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমাদেরকে ত্যাগ-কুরবানীর উৎকর্ষ সাধনে এবং আপনাকে আপনার দায়িত্বভার গ্রহণে সাহায্য করেন।
আমাদের অভিভাবক আমীরুল মু’মিনীন মুল্লাহ আখতার মুহাম্মাদ মানসূর হাফিযাহুল্লাহ, আল্লাহ সুবহানু ওয়া তাআলা আপনাকে, আমাদের আমীর আমীরুল মু’মিনীন মুল্লাহ মুহাম্মাদ উমার রাহিমাহুল্লাহ কে, ইমারাতে ইসলামিয়্যাহ কে উসমানীয় খিলাফাহ’র পর প্রথম শারী’আহ সম্মত ইমারাতের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মর্যাদাবান করেছেন । এবং সেই সময় থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ইমারাতে ইসলামিয়্যাহ্*'র পাশাপাশি শারী’আহ’র দৃষ্টিতে বৈধ আর কোন ইমারাহ্* নেই, যে কারণে ইমারাতে ইসলামিয়্যাহ সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ এবং শারী’আহ প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে জিহাদের দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেছে ।
মুহাজির এবং মুজাহিদগণ এর মাঝে সত্যবাদিতা এবং ইখলাস অনুভব করতে পেরেছিলেন, তাই তারা ইমারাতে ইসলামিয়্যাহ’র প্রতি আনুগত্যের বায়াত প্রদান করেছিলেন যেমনটা করেছিলেন, মুজাদ্দিদ ইমাম উসামা বিন লাদেন রাহিমাহুল্লাহ, এবং তিনি মুসলিমদের কে আহবান করেছিলেন এর প্রতি আনুগত্যের বায়াত প্রদান করতে । আর তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে তার আনুগত্যের বায়াত ছিল বায়াতুল উযমা [ বৃহত্তর বায়াত, ক্ষুদ্রতর বায়াতের বিপরীত], এবং তারাও যারা উসামা বিন লাদেন রাহিমাহুল্লাহ’র প্রতি আনুগত্যের বায়াত প্রদান করেছিলেন এবং এই আনুগত্যের ভিত্তিতে ক্বাইদাতুল জিহাদে দাখিল হয়েছিলেন ।
এরপর আল্লাহ সুবহানু ওয়া তাআলা আপনাদেরকে মর্যাদাবান করলেন এই ক্রুসেড অভিযানের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে এবং আপনাদেরকে মর্যাদাবান করলেন আপনাদের মাধ্যমে আপনাদের মুহাজির ভাইদের নিরাপত্তা দান করা ও রক্ষা করার মাধ্যমে, আর তাদের নিরাপত্তা দেয়ার স্বার্থে আপনাদের কুরবানী করতে হয়েছে আপনাদের কর্তৃত্ব, আপনাদের শাসন, সম্পদ এবং নিজেদেরকে।
তাই এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন এবং এতে আল্লাহ তাআলা যেন আপনাদের কে সাহায্য এবং বিজয় দান করেন। আর আমরা আপনার সৈন্য, আপনার সাহায্যকারী এবং আপনার বাহিনীগুলোর মধ্যে একটি, মহান আল্লাহ সত্যই বলেছেন :
“আর যে কেউ আল্লাহকে ভয় করবে, তিনি তার জন্য একটি পথ বের করে দেবেন, এবং তাকে এমন জায়গা থেকে দান করবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারেনি । আর যে কেউ আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করবে, তাই তার জন্য যথেষ্ট হবে।
“বিসমিল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ, ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু ‘আলা রাসূলিল্লাহ, ওয়া আ-লিহী, ওয়াসহা-বিহী ওয়া মাওয়ালাহ।
আমীরুল মু’মিনীন মুল্লাহ আখতার মুহাম্মাদ মানসূর এর প্রতি, আল্লাহ তাকে হেফাযত করুন, হক্বের মাধ্যমে তাকে এবং হক্বকে তার মাধ্যমে সাহায্য করুন, এবং আল্লাহ তাঁর দ্বীনকে তার মাধ্যমে বিজয় দান করুন।
আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ।
আমি আশা করি যে, আপনি, আপনার ভাইয়েরা, আপনার সৈন্য ও সাহায্যকারীগণ দুনিয়ার মর্যাদা ও আখিরাতের শ্রেষ্ঠত্বের বিচারে সেই সর্বোত্তম অবস্থাতেই আছেন যেমনটা আল্লাহ তাআলা ভালবাসেন । আর আল্লাহ তাআলা আপনাদের সেদিকে পরিচালিত করুন, যা তিনি ভালবাসেন এবং যার দ্বারা তিনি সন্তুষ্ট হন । আর আল্লাহ তাআলা আপনাদেরকে সকল খারাবী ও ক্ষতি থেকে দুনিয়া ও আখিরাতে হেফাযত করুন ।
আমাদের এবং মুসলিম উম্মাহ, মুজাহিদীন, মুহাজিরীন, মুরাবিতীন এর সাথে আমাদের আমীর, আমীরুল মু’মিনীন মুল্লাহ্* মুহাম্মাদ উমার মুজাহিদ (আল্লাহ্* তাকে তাঁর রহমতের চাদরে ঢেকে রাখুন, আমাদেরকে আল্লাহ্* তাআলা নিজ অনুগ্রহে তার সাথে সর্বোচ্চ জান্নাতে মিলিত হওয়ার তাওফীক দিন, তাদেরকে বাদ দিয়ে, যারা তার প্রতিস্থাপনকারী হিসেবে বা আক্রমণকারী হিসেবে তার মর্যাদাহানী করে) এর ইহলৌকিক বিচ্ছেদের সর্বাধিক বিষাদময় খবর আমাদের কাছে পৌঁছানোর পর আমরা এই সত্য দ্বারা সান্ত্বনা লাভ করেছি যে,
• তিনি একজন মুজাহিদ, মুরাবিত, সিপাহসালার, এবং মুজাহিদদের আমীর হিসেবে হক্বের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকেছেন, যতক্ষণ না তিনি তাঁর রবের সাক্ষাৎ লাভ করেন।
• এবং আমরা তার জন্য সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি যখন কিছু বলতেন, সত্য বলতেন, যখন ওয়াদা করতেন, তা পালন করতেন, এবং কখন দ্বীন বা আক্বীদার বিষয়ে কোন ছাড় দেন নি,
• এবং তিনি ইসলামের ইতিহাসে সত্যবাদিতা, তাওয়াক্কাল ইলাল্লাহ এর উৎকর্ষ, আল্লাহর কাছে যা আছে তাতে বিশ্বাস স্থাপন করা, দুনিয়ার চেয়ে আখিরাতকে প্রাধান্য দেয়া, এবং এক আল্লাহকে নিজের জন্য যথেষ্ট মনে করার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন । তাই তিনি ছিলেন একটি উত্তম ইমারাহ’র উত্তম আমীর।
• আল্লাহ্* তাআলা তাকে সাহায্য করেছিলেন এবং তার শক্তিকে বৃদ্ধি করেছিলেন এই জন্য যে, তিনি কখনো দুনিয়াব্যপী কুফফার জাতিসমূহের মাথা নোয়ান নি বা আত্মসমর্পন করেন নি, এবং তার সালেহীন যোদ্ধাদের কে নিয়ে এক আল্লাহ্* সুবহানা ওয়া তাআলার উপর ভরসা রেখে সারিবদ্ধভাবে তাদের মোকাবিলা করেছেন।
• তিনি সেই আমীর ছিলেন যিনি ইব্রাহিম খালিলুল্লাহ আলাইহিস সালামের অনুকরণে পৌত্তলিকতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন, তাই তিনি মুর্তি ধ্বংস করেছিলেন ( বামিয়ানের বৌদ্ধ মূর্তির কথা বলা হচ্ছে ) ।
তাই এই উম্মাহর একজন হিসেবে, তার তাক্বদীর নির্ধারিত মৃত্যু পর্যন্ত তিনি সত্যের উপরে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন- আল্লাহ তাআলা তাঁকে তার রহমতের চাদরে ঢেকে রাখুন এবং তাকে জান্নাতে দাখিল করুন । আমরা যদি আল্লাহর তাআলার বিচারে সন্তুষ্ট থাকি, নিজেদেরকে তাঁর ক্ষমতার কাছে সমর্পন করি যিনি মহিমান্বিত ও গৌরবান্বিত, আসুন তাঁর নিকট প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমাদেরকে হক্ব ও সৎকর্মশীলতার পথে, তাঁর দ্বীন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহর উপরে এবং তাঁর পক্ষ থেকে সফলতা ও সাহায্যের সাথে জিহাদের এই পথে প্রতিষ্ঠিত রাখেন।
তাই জিহাদের এই পথের ধারাবাহিকতায় মুজাহিদীনের কথাগুলোকে একত্রিত করতে এবং আমাদের পূর্বসুরী শাহাদাৎপ্রাপ্ত সৎকর্মশীল সিপাহসালার, আমাদের আমীর ইসলামের সিংহ উসামা বিন লাদেন এবং আমাদের ভাই আবু মুসআব আয যারক্বাউয়ি, আবু হামযা আল মুহাজির, মুস্তাফা আবু আল ইয়াযিদ, আবু আল লাইস, আতিয়াতুল্লাহ আল লিবী ও আবু ইয়াহিয়া আল লিবী এবং বাদবাকী শাইখুল জিহাদদের (রাহিমাহুমুল্লাহ) অনুসরণে, যাদেরকে আমরা গণ্য করি কিন্তু আল্লাহ তাআলার উপরে স্থান দেই না, আমি যথার্থভাবে, ক্বাইদাতুল জিহাদের আমীর হিসেবে আমাদের আনুগত্যের বায়াত আপনাকে প্রদান করলাম, যা আমীরুল মু’মিনীন মুল্লাহ মুহাম্মাদ উমার এর প্রতি শাইখ উসামা বিন লাদেন রঃ এবং তার সালেহীন শহীদ ভাইদের (আল্লাহ তাদের সবার উপর রহম করুন) যে আনুগত্য ছিল, সে পথেরই নবায়ন।
• তাই আমরা আপনার প্রতি আল্লাহর কিতাব রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ, ও খুলাফায়ে রাশেদার সুন্নাতের উপর আনুগত্যের বায়াত প্রদান করছি।
• এবং শারী’আহ কায়েমের উপর, যতক্ষণ না মুসলিম ভূমিসমূহ বিজয়ী হয়, শাসিত না হয়ে শাসন করে, অনুগত না থেকে নেতৃত্ব দেয়, অন্য কোন দ্বীন বিজয়ী থাকে এবং কোন ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের সাথে এর দ্বন্দ না থাকে, আমরা আপনার প্রতি আমাদের আনুগত্যের বায়াত প্রদান করছি ।
• এবং আমরা আপনার প্রতি আনুগত্যের বায়াত প্রদান করছি এমন প্রত্যেক শাসন, পদ্ধতি, স্বীকৃতি, সন্ধি, চুক্তি বা অঙ্গীকারপত্র বাতিল করার উপরে, যা শারী’আহ লঙ্ঘন করে, তা মুসলিমদের ভূমির মধ্যেই হোক অথবা এর বাইরে কোন ব্যবস্থা, কমিটি বা সংস্থার মধ্যেই হোক, যারা এর শারী’আহ সম্মত পদ্ধতিসমূহ লঙ্ঘন করে, যেমন জাতিসঙ্ঘ ও তাদের পাশাপাশি, তাদের মতই অন্যরা।
• আমরা আপনার প্রতি মুসলিমদের ভুমিসমূহকে মুক্ত করার জন্য সেই পর্যন্ত জিহাদ চালিয়ে যাওয়ার উপরে আনুগত্যের বায়াত প্রদান করছি, যতক্ষণ পর্যন্ত
o কাশগাড় থেকে আন্দালুসিয়া,
o ককেশাস থেকে সোমালিয়া ও মধ্য আফ্রিকা,
o কাশ্মীর থেকে আল-ক্বুদস (জেরুযালেম), এবং
o ফিলিপাইন থেকে কাবুল, বুখারা ও সমরখান্দ পর্যন্ত
... এক বিঘত পরিমাণ ভূমিও পরাধীন থাকবে এবং সীমানা লঙ্ঘিত হবে ।
• এবং আমরা আপনার প্রতি সেই শাসকদের বিরুদ্ধে জিহাদ চালিয়ে যাওয়ার উপরে আনুগত্যের বায়াত প্রদান করছি, যারা দ্বীনি ব্যবস্থা কে বদলে দিয়েছে, যারা শারী’আহর বিধানে ব্যঘাত ঘটিয়ে শাসনক্ষমতা লাভ করেছে, মুসলিমদের উপর কাফিরদের বিধি-বিধান চাপিয়ে দিয়েছে, দুর্নীতি ও অবমুল্যায়নের বিস্তার ঘটিয়েছে, মুসলিমদের উপর দ্বীনত্যাগী ব্যাবস্থা ও কার্যাবলী চাপিয়ে দিয়েছে যা শারী’আহকে অবজ্ঞা করে আর কাফিরদের বিশ্বাস ও দর্শনকে সর্বোচ্চ করে, যারা মুসলিমদের ভূমি ও সম্পদ শত্রুর হাতে তুলে দেয়।
• আমরা আপনার প্রতি আনুগত্যের বায়াত প্রদান করছি মাযলুম মুসলিমদের সহায়তা করার উপরে, তারা যেখানেই থাকু না কেন।
• এবং আমরা আপনার প্রতি আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধের উপর আনুগত্যের বায়াত প্রদান করছি।
• এবং আমরা আপনার প্রতি ইমারাতে ইসলামিয়্যাহকে প্রতিরক্ষা করার উপর আনুগত্যের বায়াত প্রদান করছি, আল্লাহর কিতাব ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ অনুযায়ী যার নেতৃত্বাধীনে আমরা আছি।
• এবং আমরা আপনার প্রতি খিলাফাহ প্রতিষ্ঠার উপরে আনুগত্যের বায়াত প্রদান করছি, যার উত্থান ঘটে মুসলিমদের পক্ষ থেকে সন্তুষ্টির সাথে ইখতিয়ার প্রদানের ভিত্তিতে, ন্যায়বিচার ও পরামর্শ, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, যুলুমের উৎখাত, আর অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার সাথে, সেই সাথে জিহাদের পতাকা উড্ডীন থাকে।
• এবং আমরা এই সকল বিষয়ের উপরে আপনার প্রতি আমাদের আনুগত্যের বায়াত প্রদান করছি যে, “ ‘আলাস সাম‘ঈ ওয়াত ত্ব’আতি ফিল মা’রূফ, ফিল মানশাতি ওয়া মাকরাহ ওয়াল উসরি ওয়াল ইউসরা মাসত্বতা’তু” এর অর্থ হচ্ছে, “আমরা সৎকাজে আপনার নির্দেশ আমাদের সাধ্যানুযায়ী শুনব ও মানব, স্বেচ্ছায় বা বলপ্রয়োগে, কষ্ট বা স্বস্তিতে”
তাই আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমাদেরকে ত্যাগ-কুরবানীর উৎকর্ষ সাধনে এবং আপনাকে আপনার দায়িত্বভার গ্রহণে সাহায্য করেন।
আমাদের অভিভাবক আমীরুল মু’মিনীন মুল্লাহ আখতার মুহাম্মাদ মানসূর হাফিযাহুল্লাহ, আল্লাহ সুবহানু ওয়া তাআলা আপনাকে, আমাদের আমীর আমীরুল মু’মিনীন মুল্লাহ মুহাম্মাদ উমার রাহিমাহুল্লাহ কে, ইমারাতে ইসলামিয়্যাহ কে উসমানীয় খিলাফাহ’র পর প্রথম শারী’আহ সম্মত ইমারাতের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মর্যাদাবান করেছেন । এবং সেই সময় থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ইমারাতে ইসলামিয়্যাহ্*'র পাশাপাশি শারী’আহ’র দৃষ্টিতে বৈধ আর কোন ইমারাহ্* নেই, যে কারণে ইমারাতে ইসলামিয়্যাহ সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ এবং শারী’আহ প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে জিহাদের দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেছে ।
মুহাজির এবং মুজাহিদগণ এর মাঝে সত্যবাদিতা এবং ইখলাস অনুভব করতে পেরেছিলেন, তাই তারা ইমারাতে ইসলামিয়্যাহ’র প্রতি আনুগত্যের বায়াত প্রদান করেছিলেন যেমনটা করেছিলেন, মুজাদ্দিদ ইমাম উসামা বিন লাদেন রাহিমাহুল্লাহ, এবং তিনি মুসলিমদের কে আহবান করেছিলেন এর প্রতি আনুগত্যের বায়াত প্রদান করতে । আর তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে তার আনুগত্যের বায়াত ছিল বায়াতুল উযমা [ বৃহত্তর বায়াত, ক্ষুদ্রতর বায়াতের বিপরীত], এবং তারাও যারা উসামা বিন লাদেন রাহিমাহুল্লাহ’র প্রতি আনুগত্যের বায়াত প্রদান করেছিলেন এবং এই আনুগত্যের ভিত্তিতে ক্বাইদাতুল জিহাদে দাখিল হয়েছিলেন ।
এরপর আল্লাহ সুবহানু ওয়া তাআলা আপনাদেরকে মর্যাদাবান করলেন এই ক্রুসেড অভিযানের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে এবং আপনাদেরকে মর্যাদাবান করলেন আপনাদের মাধ্যমে আপনাদের মুহাজির ভাইদের নিরাপত্তা দান করা ও রক্ষা করার মাধ্যমে, আর তাদের নিরাপত্তা দেয়ার স্বার্থে আপনাদের কুরবানী করতে হয়েছে আপনাদের কর্তৃত্ব, আপনাদের শাসন, সম্পদ এবং নিজেদেরকে।
তাই এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন এবং এতে আল্লাহ তাআলা যেন আপনাদের কে সাহায্য এবং বিজয় দান করেন। আর আমরা আপনার সৈন্য, আপনার সাহায্যকারী এবং আপনার বাহিনীগুলোর মধ্যে একটি, মহান আল্লাহ সত্যই বলেছেন :
“আর যে কেউ আল্লাহকে ভয় করবে, তিনি তার জন্য একটি পথ বের করে দেবেন, এবং তাকে এমন জায়গা থেকে দান করবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারেনি । আর যে কেউ আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করবে, তাই তার জন্য যথেষ্ট হবে।
আপনাদের ভাই,
আইমান আয যাওয়াহিরি
আমীর, ক্বাইদাতুল জিহাদ
শনিবার, ১৬ শাওয়াল ১৪৩৬ হিজরী ।
আইমান আয যাওয়াহিরি
আমীর, ক্বাইদাতুল জিহাদ
শনিবার, ১৬ শাওয়াল ১৪৩৬ হিজরী ।
ভিডিও লিঙ্কঃ http://anonym.to/?https://archive.or...ongwar11_gmail
আরবী লিঙ্কঃ http://anonym.to/?https://justpaste.it/mzqf
ইংলিশ লিঙ্কঃ http://anonym.to/?http://jihadintel....egiance-to-new
আল্লাহ্* (সুবঃ) অনুবাদককে উত্তম জাযা দান করুন। তাকে কবুল করুন। আমীন!
Comment