Announcement

Collapse
No announcement yet.

| মাদার অফ মাফিয়ার দুঃশাসনে অতিষ্ঠ এদেশের জনগণ |

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • | মাদার অফ মাফিয়ার দুঃশাসনে অতিষ্ঠ এদেশের জনগণ |

    | মাদার অফ মাফিয়ার দুঃশাসনে অতিষ্ঠ এদেশের জনগণ |

    মাদার অফ মাফিয়া হাসিনার দুঃশাসনে এদেশ যেন একটা জেলখানায় পরিণত হয়েছে। দিনকে দিন মাদার অফ মাফিয়া হাসিনা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। নতুন নতুন আইন করে এদেশের আপামর জনসাধারণকে দমন করার সবধরনের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে এই উগ্র সরকার।

    সর্বশেষ প্রহসনের লক-ডাউনের নামে এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের করা হচ্ছে নানাভাবে হয়রানি। আওয়ামী ঘেঁষা মসজিদ কমিটি ধর্মমন্ত্রনালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনসমূহ মসজিদে বাস্তবায়ন করছে। সর্বশেষ তথাকথিত ধর্মমন্ত্রনালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন তারা বাস্তবায়ন করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের এই একপেশে আইনকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছে।

    এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এখন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মসজিদে জামায়াতের সহিত নামাজ আদায় করতে চায়। কিন্তু একটা সুবিধাভোগী স্বার্থান্বেষী মহল সর্বদাই মসজিদসমূহে হট্টগোল লাগানোর কাজে লিপ্ত আছে। তারা মুসল্লিদের নানাভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। কখনো বা মুরতাদ সরকারের আইনের দোহাই দিয়ে আবার কখনো বা মনগড়া ব্যাখ্যার মাধ্যমে সাধারণ মুসল্লিদের ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করছে। সুযোগ পেলেই তারা নিরীহ মুসল্লিদের সাথে ধমকের সুরে কথা বলছে আবার কখনো কখনো তাদেরকে হুমকি প্রদর্শন করছে। এ ধারায় এখন মসজিদের ইমাম, খতিব এবং মুয়াজ্জিন সাহেবরাও যুক্ত হয়েছে। তারা তাগুতের ভয়ে এবং চাকরি হারানোর ভয়ে একটা ঢু-শব্দও করে না। কত দিন আর চলবে এই নীরবতা?

    কথিত লক-ডাউনে সারা দেশে সবকিছুই ঢিলেঢালা-ভাবে চলছে। কিন্তু মসজিদ ও মাদ্রাসাসমূহে এত কড়াকড়ি আরোপ করার অপ-তৎপরতা কেন? মসজিদের চারপাশে শত শত সাদা পোশাকধারী পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনীর লোকেরা টহল দিচ্ছে। কিন্তু কেন এই একপেশে নীতি? ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কি এদেশের নাগরিক নয়? তাদের কি ধর্মীয় পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করার অধিকার নেই?

    সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা না করে এবং আয় রোজগারের বিকল্প ব্যবস্থা না করেই কেন এই তথাকথিত লক-ডাউন দেওয়া হল? কেন মানুষকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভাড়া প্রদান করে তার গন্তব্যে যেতে হচ্ছে? সরকারের কি এসব জানা ছিলো না? কেন সরকার করোনা মহামারী নিয়ে এতো বেশি সোচ্চার? অথচ অন্যান্য রোগে ও দুর্ঘটনায় এদেশে প্রতিদিন কয়েক হাজার লোক মারা যায়। কৈ তখন তো সরকারকে এতো বেশি সোচ্চার হতে দেখিনা। তাদের উদ্দেশ্য করোনা মহামারী দমন নাকি অন্য কিছু এটা মানুষের কাছে আজ স্পষ্ট হয়ে গেছে।

    কেন এই লক-ডাউনের মাঝে হেফাজতে ইসলামের নেতা কর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করা হচ্ছে? এর কারণ একটাই যাতে করে এদেশের নির্যাতিত মানুষেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাগুতের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে না পারে। মূলত বিরোধী মতকে দমনের উদ্দেশ্যেই এই কথিত লক-ডাউন দেওয়া হয়েছে। মূলত এদেশের নির্যাতিত আপামর জনসাধারণকে বিচ্ছিন্ন করে দিতেই এই প্রহসনের লক-ডাউন দেওয়া হয়েছে। যাতে করে মুরতাদ সরকারের গোলাম প্রশাসন খুব সহজেই আলেম উলামাদের গ্রেফতার করতে পারে। উপরন্তু তাদেরকে রিমান্ডের নামে করা হচ্ছে নির্যাতন। সরকারের জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বলাই কি তাদের অপরাধ?

    অথচ এই তাগুতী শাসনযন্ত্রই একটা অপরাধী চক্রে পরিণত হয়েছে। সরকারের লাগামহীন দুর্নীতির কথা মানুষের অজানা নয়। জনগণের টাকা আত্মসাৎ, চাঁদাবাজি, বিদেশে টাকা পাচার, বিদেশে বিলাস বহুল জীবন যাপন, টেন্ডার-বাজি, মাস্তানি, খুন, গুম, হয়রানি, জেল জুলুম, নির্যাতন, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ পুরো দেশকে একটা বিরাট মাফিয়ার স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে সরকারী দলের প্রভাবশালীরা। মাঝে মাঝেই মিডিয়াগুলোতে তাদের অপকর্মের কথা আসে। কৈ তাদেরকে তো এভাবে গণহারে গ্রেফতার করা হয় না। কৈ তাদের নামে তো কোন রিমান্ড মঞ্জুর করা হয় না।

    আজ মাফিয়া হাসিনার দুঃশাসনে তার নিজ দলের লোকেরাই নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। আস্তে আস্তে হাসিনা ও তার চেলাচামুণ্ডাদের কুকর্মগুলো মানুষের সামনে ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। হাসিনা দিনকে দিন যত কঠোর হবে তার কুকর্মগুলোও ধীরে ধীরে প্রকাশ পেতে থাকবে এবং তার পতনও তরান্বিত হতে থাকবে। বর্তমানে মাফিয়া হাসিনার দিক থেকে যেভাবে আপামর জনসাধারণ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

    বিডিআর বিদ্রোহের মাধ্যমে খুনি হাসিনা এদেশের জনগণকে এতদিন যে ধোঁকা দিয়ে আসছিল তার বাস্তবতা আজ জনগণের সামনে পরিষ্কার। এদেশের জনগণ মাফিয়া হাসিনার দুঃশাসনে অতিষ্ঠ। মাফিয়া হাসিনাকে এদেশের জনগণ আর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় না। এদেশের মাটিতে মাফিয়া হাসিনার একটা বিচার হওয়া উচিত বলে মনে করে সর্বস্তরের জনগণ।

  • #2
    মাশা আল্লাহ, এ দেশের আপামর জনগণের হৃদয়ের কথাগুলোই যেন আপনার লিখনীতে উঠে এসেছে।
    আল্লাহ রব্বুল আলামীন আপনার লিখনী শক্তিতে বারাকাহ দান করুন ও তা দ্বারা উম্মাহকে উপকৃত করুন।
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      এখন মসজিদের ইমাম, খতিব এবং মুয়াজ্জিন সাহেবরাও যুক্ত হয়েছে। তারা তাগুতের ভয়ে এবং চাকরি হারানোর ভয়ে একটা ঢু-শব্দও করে না। কত দিন আর চলবে এই নীরবতা?
      তাগুত মাফিয়া সরকার ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করবে এটা মানা যায়। কিন্তু ইমাম, খতিব এবং মুয়াজ্জিন ওরা কেন বুঝতে চায় না।
      فَقَاتِلُوْۤا اَوْلِيَآءَ الشَّيْطٰنِ

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ, খুব সুন্দরভাবে বিষয়টি ফুটিয়ে তুলেছেন ভাই। জাযাকাল্লাহ
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment


        • #5
          Originally posted by nu'aim View Post
          এখন মসজিদের ইমাম, খতিব এবং মুয়াজ্জিন সাহেবরাও যুক্ত হয়েছে। তারা তাগুতের ভয়ে এবং চাকরি হারানোর ভয়ে একটা ঢু-শব্দও করে না। কত দিন আর চলবে এই নীরবতা?
          তাগুত মাফিয়া সরকার ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করবে এটা মানা যায়। কিন্তু ইমাম, খতিব এবং মুয়াজ্জিন ওরা কেন বুঝতে চায় না।
          ভাইজান আশ্চর্যের বিষয় হলো মসজিদের ইমাম, খতিব ও মুয়াজ্জিন সাহেবরাই এখন তাগুতের ইসলাম বিরোধী আইনসমূহ বাস্তবায়ন করছে। মুসলিম নামধারী তাগুতের গোলাম মুনাফিকরা এক্ষেত্রে সরাসরি কোনো কথা বলছে না। তারা মসজিদের ইমাম সাহেব, খতিব সাহেব এবং মুয়াজ্জিন সাহেবদের দিয়ে তাগুতের ইসলাম বিরোধী কাজগুলো করাচ্ছে। তারা মসজিদের মাইকে আল্লাহর রাসূল ﷺ এর সুন্নাহ বিরোধী আইন মানার জন্য সাধারণ মুসল্লিদের কাকুতি মিনতি করছে। বড় আশ্চর্যের বিষয় যে তারা এখন তাগুতকে বর্জনের পরিবর্তে খুব সুকৌশলে তাগুতের আনুগত্য করার সবোক দিচ্ছে।

          তারা তো তাগুতের জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে কোনো কথা তো বলছেই না বরং ক্ষেত্র বিশেষে তারা তাগুতের জন্য মসজিদে দোয়া করছে। এতে করে সাধারণ মুসল্লিরা বিভ্রান্ততে পতিত হচ্ছে। তারা তাগুতের সূক্ষ্ম ধোঁকাগুলো বুঝতে পারছে না। আমাদের সম্মানিত আলেম উলামা, খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন সাহেবদের এখন উচিত ছিল মানুষকে বিশুদ্ধ তাওহীদের দাওয়াহ পৌঁছে দেওয়া। তাদের উচিত ছিল তাগুতকে দৃঢ়ভাবে বর্জনের ঘোষণা দেওয়া। তাদের উচিত ছিল তাগুতের সূক্ষ্ম ধোঁকাগুলো সম্পর্কে সাধারণ মুসল্লিদের সতর্ক করা।

          তাদের উচিত ছিল তারা যেমন আল্লাহকে ভয় করবে তেমনি অন্যদেরকেও আল্লাহকে ভয় করার দাওয়াহ পৌঁছে দেওয়া। তার পরিবর্তে বরং তারা তাগুতের জুলুম নির্যাতনকেই বেশি ভয় করছে। বরং তাঁরা চাকরি হারানোরই বেশি ভয় করছে। কি আশ্চর্য বিষয় তাঁরা কি আল্লাহর কোরআন পড়ে না! নাকি তারা সত্য জেনেও তা গোপন করার চেষ্টা করছে! নাকি তাদের অন্তর তালাবদ্ধ! নাকি তারা আল্লাহর আয়াতসমূহই উপলব্ধি করতে পারে না!

          আমাদের প্রতিপালকই সবচেয়ে বেশি ভালো জানেন। হে আল্লাহ্ আপনি আমাদের এই জালিম অধ্যুষিত এলাকা থেকে উদ্ধার করুন। হে আল্লাহ্ আপনি জালিমদের বিরুদ্ধে আমাদের শক্তিশালী করুন। হে আল্লাহ্ আপনি জালিমদের কাউকে ছাড়বেন না। হে আল্লাহ্ আপনি আমাদের অন্তরকে প্রশান্ত করুন।

          Comment


          • #6
            Originally posted by Munshi Abdur Rahman View Post
            মাশা আল্লাহ, এ দেশের আপামর জনগণের হৃদয়ের কথাগুলোই যেন আপনার লিখনীতে উঠে এসেছে।
            আল্লাহ রব্বুল আলামীন আপনার লিখনী শক্তিতে বারাকাহ দান করুন ও তা দ্বারা উম্মাহকে উপকৃত করুন।
            আমিন! আমুন! আমিন!
            হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

            Comment

            Working...
            X