Announcement

Collapse
No announcement yet.

জীবিতদের প্রশংসা:- জাকারিয়া আব্দুল্লাহ ভাইয়ের আপত্তির আলোকে চিন্তা...

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জীবিতদের প্রশংসা:- জাকারিয়া আব্দুল্লাহ ভাইয়ের আপত্তির আলোকে চিন্তা...

    وَٱتَّبِعْ سَبِيلَ مَنْ أَنَابَ إِلَىَّۚ ثُمَّ إِلَىَّ مَرْجِعُكُمْ فَأُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ

    "যে আমার অভিমুখী হয়, তার পথের অনুসরণ করো।
    তারপর আমার কাছেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন। তখন আমি তোমাদেরকে জানিয়ে দেব, যা তোমরা করতে।"

    সম্প্রতি শায়খ সৈয়দ জিয়াউল হক (হা) এর মুখতাসার পরিচিতি সংক্রান্ত একটি পোস্টে, ফোরামের গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাজ্ঞ সদস্য মুহতারাম জাকারিয়া আবদুল্লাহ ভাই আপত্তি তুলেছেন। এবং ভাইয়ের আপত্তির উপর ভিত্তি করে, মডারেটর ভাইদের কেউ তা মুছে দিয়েছেন।

    ভাইয়ের বক্তব্য ছিলঃ-
    ১) শায়খ হারিস আন নাজ্জারি রহঃ জীবিতদের প্রশংসা করতে না করেছেন।

    ২) এতে শায়খ জিয়াউল হক ফিতনায় পরতে পারেন।

    ৩) সেক্যুলার মিডিয়ার বক্তব্য উপেক্ষা করা কাম্য।


    মুহতারাম জাকারিয়া আবদুল্লাহ ভাইয়ের সাথে বিনয় সহকারে দ্বিমত পোষণ করছি-

    স্থান ও ব্যাক্তিভেদে এটা ইখতিলাফপূর্ণ বিষয়। কেননা, আল্লাহর রাসুল সাঃ, আবু বকর রাঃ, উমার রাঃ জীবিত অনেকের প্রশংসাই করেছেন।

    ১) শায়খ হারিস আন নাজ্জারি রহঃ, কায়েদাতুল জিহাদ জাজিরাতুল আরবের অফিশিয়াল মিডিয়া আল মালাহিম থেকে জীবিতদের প্রশংসার ব্যাপারে প্রকাশনা বের করতে না করেছেন।
    ফোরাম ওপেন একটি প্ল্যাটফর্ম। অফিশিয়াল মিডিয়া আউটলেট না। তাই এজাতীয় পোস্ট রেস্ট্রিক্ট করাটা সঠিক মনে হচ্ছে না।

    ২) শায়খ আবু মুনযির আশ শানকিতি উনার লেখায় শায়খ যাওয়াহিরির বিশেষভাবে প্রশংসা করেছেন।

    শায়খ উসামার প্রশংসা ২০০১ থেকে ২০১১ পর্যন্ত কয়েক হাজার প্রকাশনায় প্রকাশ পেয়েছে বললেও ভুল নাও হতে পারে।

    শায়খ আবু মুসআব যারকাউয়ি রহঃ সুস্পষ্ট ভাষায় শায়খ আবু মুহাম্মাদ আল মাকদিসির প্রশংসা করেছেন।

    ৩) পত্রিকার বক্তব্য ঢালাওভাবে বাদ দেয়া হলে আমাদের পক্ষে কোনো কিছুই আলোচনার সুযোগ নেই। ফোরামের আরো কয়েকশ পোস্টও ডিলিট করা প্রয়োজন সেক্ষেত্রে।
    এছাড়াও সমসাময়িক জিহাদের ইমামদের ব্যাপারে আমাদের অনেক কথাবার্তা বলার সুযোগও নেই, যা ইতিমধ্যেই আমরা ব্যাপকভাবে করেছি, করে থাকি বা করব।

    ৪) সমসাময়িক জিহাদের নেতাদের সীরাত না জানলে উম্মাহ কিভাবে দিকনির্দেশনা খুজে নিবে? সবার পক্ষে বা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কারো পক্ষে তো এমন বিশেষ ব্যাক্তিদের সহবত পাওয়া সম্ভব না।

    ৫) এই স্তরের কোনো শায়খের ব্যাপারে আগ বাড়িয়ে উত্তম কিছুর খেলাফ ধারণা করা উচিৎ হবে না। প্রয়োজনে পোস্টের শুরুতে শায়খের উদ্দেশ্যে ২/১ লাইন লিখে দেয়া যেতে পারে।
    এছাড়া, ব্যাক্তি মাসলাহাতের উপর উম্মাহর উপকৃত হওয়ার মাসলাহাত আমাদের কাছে অগ্রগণ্য হওয়ার কথা।

    বাকি, আল্লাহ তা আলাই ভালো জানেন।

    তাই, আমার নিবেদন এই যে, সার্বিক বাস্তবতা বিবেচনায় লেখাটি ফিরিয়ে আনা হোক। এবং প্রত্যেকে জায়গা থেকেই শায়খের সীরাতের ব্যাপ্তি ও প্রসারের চেস্টা করা হোক।

    আল্লাহ তা আলা আমাদের কথা ও কাজে ইখলাস দান করুন। সকল প্রকার ফিতনা থেকে হেফাজত করুন। আমিন।

  • #2
    মা শা আল্লাহ, মুহতারাম Hasan Abdus Salam ভাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ মতামত পেশ করেছেন।
    আল্লাহ তা‘আলা মুহতারাম ভাইয়ের ইলম, আমল ও ফাহম এবং চিন্তাশক্তিতে ভরপুর বারকাহ নসীব করুন।
    মুহতারাম ভাইয়েরা- এ ব্যাপারে আপনাদের কারো কোন মতামত থাকলে পেশ করতে পারেন।
    মানে জীবিতদের প্রশংসা করা নিয়ে।
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      সুবহানাল্লাহ! মুহতারাম ভাই, যারপর নাই বিস্মিত হলাম - কি দারুণ কাকতাল! মনে হল যেন আআমার মনের কথাই আপনি বলে দিলেন (অবশ্য বেশ দালিলিক ও দৃষ্টিনন্দন ভাবে)। ওদিকে আমি পোস্ট টি পরে একটি মন্তব্য লিখে পোস্ট করতে গিয়ে দেখি পোস্ট ই নেই :'(
      আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তা'আলা আপনার পোস্টের সুবাদে মন্তব্য খানা প্রকাশের সুযোগ করে দিলেন। অনেক অনেক জাজাকাল্লাহু খাইরান।

      আমারও বিনীত নিবেদন রইল, সার্বিক বাস্তবতা বিবেচনায় এনে লেখাটি ফিরিয়ে আনা হোক। এবং প্রত্যেকের জায়গা থেকেই শায়খের সীরাতের ব্যাপ্তি ও প্রসারের চেস্টা করা হোক।

      পোস্ট টি ছিলঃ https://dawahilallah.com/showthread.php?24400

      মন্তব্যে দেওয়ার জন্য যা লিখেছিলামঃ

      পোস্টকারি ( Zayed Ibn Ali) ভাইকে আল্লাহ তা'আলা উত্তম উত্তম জাজাহ দান করুন। আলহামদুলিল্লাহ সম্মানিত শাইখ সম্পর্কে আরও অনেক কিছু জানা হল।
      উল্লেখযোগ্য যে বিষয়টি জানা হলঃ
      " অত্যল্প সময়ের মধ্যেই তাকওয়া, উত্তম আখলাক, ধীশক্তি, আসকারি ও সিয়াসি ইলমের ব্যুৎপত্তিসহ সাংগঠনিক ও সামরিক উৎকর্ষতার বিরল সমন্বয়ের ফলাফল হিসেবে জামাআতের শীর্ষ নেতৃত্বে পৌছে যান তিনি।"

      মা শা আল্লাহ, জামাআতের শীর্ষ নেতৃত্বের মাঝে এমন সকল ( উপোরল্লিখিত ৫টি) গুণাবলির সমন্বয় ঘটবে এমনটাই তো আন্তরিক চাওয়া এবং বলাই বাহুল্য এ সমন্বয় বিরল। গুরুত্বপূর্ন ৬ষ্ঠ আর একটি কোয়ালিফিকেশনও সম্ভবতঃ তার রয়েছে বলে জানা যায় - দ্বীনি ইলম। শাইখ 'দাওরা' পরীক্ষাতেও কৃতিত্বের সাথে পাশ করা! এছাড়া আরবি ভাষাতেও তার কার্যকরী দখল রয়েছে বলে জানি।

      দেখা যাচ্ছে দ্বীনি ও দুনিয়াবি উভয় দিকের কোয়ালিফিকেশনেই আমাদের প্রিয় শাইখ কোয়ালিফাইড মা শা আল্লাহ।
      ১। দাওরা পাশ, আরবি ভাষায় ( কোরআন-হাদিসের ভাষায় ) পারদর্শি,
      ২। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার ( তাও এম আই এস টি'র মত রেপুটেড ইন্সটিটিউট থেকে, বুয়েটের পরই যাকে গোনা হয় সম্ভবতঃ ), এস এস সি / এইচ এস সি তে মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া, ক্যাডেট কলেজে পড়া,
      ৩। সামরিক অফিসার ( মেজর), মিলিটারী একাডেমীতে ২ বছর ট্রেইনিং শেষে ১ম স্থান অধীকার করে 'সোর্ড অফ অনার' পাওয়া। এরপর প্রায় ১৩/১৪ বছর চাকরি করেছেন- বিভিন্ন ইউনিট / ট্রেইনিং সেন্টারে। নিজেও কোর্স করেছেন। তার মধ্যে আর্মিতে সব চেয়ে অভিজাত কোর্স ধারা হয় 'স্টাফ কলেজ' ( মাস্টার্স সমমানের একটি কোর্স)। উনি এটিতেও সম্ভবতঃ ফার্শট হয়েছেন এবং স্কলারশিপ পেয়ে উচ্চতর 'কানাডিয়ান স্টাফ কলেজ' ও করা !
      ৪। শারীরিক যোগ্যতা - বেস্ট এ্যাথলেট পুরষ্কার পাওয়া
      ৫। অরগানাইজিং ক্যাপাসিটি এবং লিডারশীপ - ক্যাডেট কলেজে সাধরনত একজন ক্যাডেট সপ্তম শ্রেণীতে ঢোকে এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে বের হয় - কতই বা বয়স। এসময়ই তার সেখানে প্রিফেক্টশিপ এর পাশাপাশি জামাতে সালাত ও বয়ান এর মত একটি দ্বীনি কাজ কে আম ক্যাডেটদের মাঝে জনপ্রিয় করে তোলা চারটি খানি কথা নয় ঐ জাহেলি সিস্টেমের বিপরীতে গিয়ে!
      ৬। আর দেখা যাচ্ছে তার সম্পর্কে এই মূল্যায়ন মূলক লেখাটি এল প্রায় সুদীর্ঘ ৯/১০ বছর পর - " শাইখ ২০১১ সালে সামরিক ক্যু প্রচেষ্টা নস্যাৎ হওয়া সত্ত্বেও তিনি সফলতার সাথে মুরতাদদের ধোঁকা দিয়ে ব্যারাক থেকে বেরিয়ে এসে জামা-আত কা-য়ে-দাতুল জিহাদের উপমহাদেশীয় শাখায় যোগদান করতে সক্ষম হোন। ফা লিল্লাহিল হামদ।"
      অতএব তাকওয়া, উত্তম আখলাক, ধীশক্তি এই সকল যে গুণাবলির কথা লেখক ভাই উল্লেখ করেছেন সেগুলো ১০ বছর ধরে টেস্টে পাশ করা ফলাফল নিশ্চয়ই !

      শাইখ এর মত একজন ক্যারিশমাটিক লিডার কে পেয়ে আমরা নিশ্চয়ই ধন্য, আল্লাহ'র দরবারে অসংখ্য অসংখ্য শুকরিয়া। যুগে যুগে ক্যারিশম্যাটিক লিডার জন্ম নেন হাতে গোনা , তারা ফাউন্ডেশন গড়েন, পথ দেখান বাকিরা তাকে ফলো করেন মাত্র। তারা হন মৌলিক চিন্তার জনক ও ইনিশিয়েটিভ হোল্ডার (উদ্যোগগ্রহী)। আল কায়েদা সেন্ট্রাল এর সাথে যোগাযোগ ও মেইন্টেইন থেকে শুরু করে + মানহাযকে সাপোর্টিং ল্যান্ড বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ফিট ইন করে + সংগঠনের কাঠামো নির্মান + সামরিকায়ন + অপরেশন + রন্ধ্রে রন্ধ্রে নিরাপত্তা মনন তৈরি + গবেষণা ও উন্নয়ন + সম সাময়িক জামাত গুলোকে একিভূত করার প্রচেষ্টা তথা দ্বীন ও দুনিয়াবি আসবাব এর ভারসাম্যপূর্ন সমন্বয় শাইখের অনেক অনেক মৌলিক কন্ট্রিবিউশন গুলোর মধ্যে অন্যতম বলে জানা যায়।

      পোস্ট টি আমার বেশ প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে ( যদিও জাকারিয়া আব্দুল্লাহ ভাই এর কমেন্ট টিও পড়লাম, ভাইকেও জাজাকাল্লাহ)। প্রাসংগিক কারণ, আমাদের লিডারদের সম্পর্কে জনমানুষের জানাও দরকার আছে ভাই। এতে একটি আস্থার জায়গা হয়ত তৈরি হয়। দুনিয়াকে ছুড়ে ফেলে দ্বীনকে আঁকড়ে ধরার রোল মডেলদের সামনে পাওয়া যায়। তাগুত মিডিয়া তাদের সম্পর্কে যে ভাষা ব্যবহার করে সেগুলো পড়লে জনমানুষের মাঝে নেগেটিভ ধারনাই তৈরি হয় বটে। অথচ দেখা যাচ্ছে - যে দুনিয়া তিনি অর্জন করেছিলেন (আল্লাহই দিয়েছিলেন বটে) সেগুলো অর্জনের যোগ্যতা তাদের অনেকের ই নেই, যেগুলো দিয়ে অনেক গ্লোরিয়াস ক্যারিয়ার গড়তে পারতেন আনায়াসে - লাখ লাখ / কোটি কোটি টাকার বেতন ও ব্যাঙ্ক ব্যাল্যান্স , জলসিড়িতে জমি, সিকিউরড লাইফ, পাইক পেয়াদা আরদালি সালাম স্যালুট স্ট্যাটাস কতকিছুই না পেতে পারতেন - কিন্তু সেগুলতে তিনি লাথি মেড়েছেন -ত্যাগের উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন - এই উদাহরন গুলো সামনে থাকলে আমাদের ভার্সিটি/মাদ্রাসা পড়ুয়া ক্যারিয়া পাগল ভাইগুলোকে দাওয়াহ দেওয়া কতইনা সহজ হয়ে যায়। বি ইযনিল্লাহ।
      Last edited by Abdul Muqaddim; 09-15-2021, 06:44 PM. Reason: বানান ও বাক্য শুদ্ধ করণ, পোস্টের ল
      "যতদিন পৃথিবীতে ফিতনা আছে, ততদিন জিহাদ প্রাসংগিক।
      আর যুগে যুগে কিছু মানুষের ফিতরাতই হচ্ছে ফিতনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, তাঁদের কোন যুক্তির প্রয়োজন পড়ে না
      "

      Comment


      • #4
        মা শা আল্লাহ, মুহতারাম Abdul Muqaddim ভাই অনেক সুন্দর মতামত পেশ করেছেন। যা আমার কাছে বেশ যৌক্তিক মনে হয়েছে।
        আল্লাহ তা‘আলা মুহতারাম ভাইয়ের ইলম, আমল ও ফাহম এবং চিন্তাশক্তিতে ভরপুর বারকাহ নসীব করুন।
        উম্মাহকেন্দ্রিক ভাবনা আমাদের সবারই আপন আপন জায়গা থেকে ভাবা উচিত।


        Last edited by Munshi Abdur Rahman; 09-15-2021, 05:48 AM.
        “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

        Comment


        • #5
          মা শা আল্লাহ, মুহতারাম আব্দুল মুকাদ্দিম ভাই। আল্লাহ তা আলা আপনাকে জাযায়ে খায়র দান করুন।

          এখানে একটি বিষয় না উল্লেখ করলেই নয়। শায়খের ইখলাস বা নিয়তের আলোচনার পরিবর্তে উনার জীবন ও কর্মের আলোচনাই অধিক কাম্য।
          আমাদের কারো জন্যই সঙ্গত হবেনা, আল্লাহর সীমা অতিক্রম করে, অজানা বিষয়ে মন্তব্য করে এমন বিষয়ে পবিত্রতা ঘোষণা করা; যার ইখতিয়ার আমাদের নেই।

          বাকি, জীবন ও কর্মের আলোচনা জরুরী ও প্রাসঙ্গিক। কেননা, আমাদের এই ভূমি বিশেষ ব্যাক্তিত্ব কমই প্রসব করেছে।
          অধমের ব্যাক্তিগত অধ্যায়ন ও অভিজ্ঞতা সাক্ষ্য দেয়, বাহ্যিক অবস্থার আলোকে বলা যায়,
          শায়খের মত ব্যাক্তি শুধু বাংলাদেশ নয়, উপমহাদেশেও সাম্প্রতিক কালে এসেছেন কি না তা আরো ভাবা প্রয়োজন। সম্প্রতি বিগত ২৫০ বছরের উপমহাদেশীয় ইতিহাসের অধ্যায়নের পর এটাই আমার অনুসিদ্ধান্ত।

          এমনকি সেক্যুলার-ইসলামী মিলিয়েও, বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে এমন বৈচিত্র্যপূর্ণ ব্যাক্তির আবির্ভাব ঘটেছে কি না আমি নিশ্চিত না।


          বাকি, আল্লাহ তা আলা উনাকে সালামত রাখুন, নিয়ত-ইখলাসের পরিশুদ্ধতা দান করুন।

          আর একটি সাধারণ সমস্যা এটাও যে, যুগ তার সমসাময়িক ব্যাক্তিদের অবমূল্যায়ন করে আর মানুষ তার সামনে সবসময় দেখা লোকদের হাল্কা মনে করে, যদিও তাদের অবস্থা পাহাড়ের চেয়েও বিশাল হোক না কেন!

          আরো বড় সমস্যা উত্তম নেতারা এমন অনুসারী কমই পান, যারা নিঃস্বার্থভাবে স্বীয় মুর্শিদকে যথাযথ স্থানে রাখতে সক্ষম হয়।

          সাধারণত, তোষামোদি আর তৈলাক্ত অতিরঞ্জনের ফলে সঠিক উপস্থাপনা সম্ভব হয়না।
          আমাদের দেশে এজাতীয় 'সরকারি সাহিত্য' ইসলামী লেখার অঙ্গনে এত বেশী যে, নৈর্ব্যাক্তিক লেখা দুস্প্রাপ্যই বটে।
          এসব ক্ষেত্রে ৫ লাইন মূল কথা হলে, ২০ লাইন অতিপ্রশংসাই বলা চলে।

          তাই উত্তমটা গ্রহণ করে, অতিরিক্ত অংশ উপেক্ষা করে অগ্রসর হওয়া যেতে পারে। প্রান্তিকতাবাদ বর্জনীয়।


          হাকীম ইবন আসাকির থেকে, যথাক্রমে... ইয়াযীদ ইবন হারুন থেকে বর্ণনা করেছেন,

          'এক লোক হযরত আলী (রা) এর দরবারে এসে বলল,
          "আমিরুল মুমিনীন! আপনার নিকট আমার কিছু চাওয়ার ছিল৷ তবে আপনার নিকট তা পেশ করার আগে তা আল্লাহর নিকট পেশ করছি৷
          এখন আপনি যদি আমার সেই চাহিদা পুরণ করেন,
          অভাব মােচন করেন তবে আমি আল্লাহর প্রশংসা করব৷ এবং আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করব৷
          আর আপনি যদি তা পুরণ করতে না পারেন তবে আমি আল্লাহর প্রশংসা করব এবং আপনার অক্ষমতা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে মেনে নিব৷"

          হযরত আলী (রা) বললেন, "ঠিক আছে তুমি তোমার অভাব ও চাহিদার কথা মাটিতে লিখে দাও৷
          কারণ তোমার মুখে ভিখারীর বিনয় দেখলে আমার ভাল লাগবে না৷'

          লোকটি মাটিতে লিখে দিল যে, 'আমি অভাবগ্রস্ত’৷

          আলী (বা) তার কর্মচারীকে নির্দেশ দিলেন একটি দামী জামা উপস্থিত করতে৷ জামা আনীত হল। হযরত আলী (রা) সেটি লােকটিকে দিলেন ৷

          সে সেটি পরিধান করল, তারপর নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করলো,

          "আপনি আমাকে একটি দামী জামা উপহার দিয়েছেন ৷ সেটির সৌন্দর্য এক সময় পুরাতন হয়ে যাবে৷
          আমি আপনাকে সুন্দরতম প্রশংসার উপহার দিব।

          আপনি যদি আমার সুন্দর প্রশংসা গ্রহণ করেন, তবে আপনি মর্যাদার বস্তুই গ্রহণ করবেন ৷
          আমি যা বলছি তার বিনিময়ে আমি কোন কিছু দাবী করব না ৷’

          প্রশংসা ও সুনাম সংশ্লিস্ট ব্যক্তির স্মরণকে সজীব ও দীর্ঘ করে, যেমন বৃষ্টির পানি সমতল ভূমি ও পাহাড়ী অঞ্চলকে নবজীবন দান করে৷

          আপনার দ্বারা যতটুকু কল্যাণ সাধন সম্ভব, তা থেকে কাউকে আপনি বঞ্চিত করবেন না,
          কারণ প্রত্যেকেই তার কৃতকর্মের জন্য পুরস্কার ও প্রতিদান পাবে।"


          এবার হযরত আলী (বা) তার কর্মচারীকে বললেন, আমার নিকট কিছু স্বর্ণমুদ্রা নিয়ে আস৷
          তার নিকট স্বর্ণমুদ্রা উপস্থিত করা হল৷ তিনি তা ওই আগন্তুককে প্রদান করলেন ৷

          আসবাগ বললেন, "হে আমীরুল মুমিনীন ! আপনি তাকে একটি দামী জামা এবং একশত স্বর্ণমুদ্রা দিয়ে দিলেন!"

          খলীফা রাঃ বললেন, "হ্যা, তাই করলাম৷ আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বলতে শুনেছি, 'প্রত্যেক মানুষকে তার সঠিক মর্যাদায় অধিষ্ঠিত কর৷’
          এটি হলো আমার নিকট এই ব্যক্তির সঠিক মর্যাদা।"
          ______

          আমার পরামর্শঃ- পূর্বের পোস্ট ও আব্দুল মুকাদ্দিম (দা বা) ভাইয়ের কমেন্টের সমন্বয়ে একটি মোটামুটি স্বয়ংসম্পূর্ণ শায়খ পরিচিতি প্রস্তুত করা হোক। আমি আব্দুল মুকাদ্দিম ভাইকেই এর জিম্মা নেয়ার অনুরোধ জানাব। পাশাপাশি মুহতারাম মডারেটর ভাইদের উদারতা কামনা করব।

          ইয়া আল্লাহ! আপনি আমাদের সঠিক কথা বলার তাওফিক দিন।

          Comment


          • #6
            Originally posted by Hasan Abdus Salam View Post
            কেননা, আমাদের এই ভূমি বিশেষ ব্যাক্তিত্ব কমই প্রসব করেছে।
            অধমের ব্যাক্তিগত অধ্যায়ন ও অভিজ্ঞতা সাক্ষ্য দেয়, বাহ্যিক অবস্থার আলোকে বলা যায়,
            শায়খের মত ব্যাক্তি শুধু বাংলাদেশ নয়, উপমহাদেশেও সাম্প্রতিক কালে এসেছেন কি না তা আরো ভাবা প্রয়োজন। সম্প্রতি বিগত ২৫০ বছরের উপমহাদেশীয় ইতিহাসের অধ্যায়নের পর এটাই আমার অনুসিদ্ধান্ত।
            এমনকি সেক্যুলার-ইসলামী মিলিয়েও, বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে এমন বৈচিত্র্যপূর্ণ ব্যাক্তির আবির্ভাব ঘটেছে কি না আমি নিশ্চিত না।[/B]
            ______
            আমার পরামর্শঃ- পূর্বের পোস্ট ও আব্দুল মুকাদ্দিম (দা বা) ভাইয়ের কমেন্টের সমন্বয়ে একটি মোটামুটি স্বয়ংসম্পূর্ণ শায়খ পরিচিতি প্রস্তুত করা হোক। আমি আব্দুল মুকাদ্দিম ভাইকেই এর জিম্মা নেয়ার অনুরোধ জানাব। পাশাপাশি মুহতারাম মডারেটর ভাইদের উদারতা কামনা করব।

            ইয়া আল্লাহ! আপনি আমাদের সঠিক কথা বলার তাওফিক দিন।
            এই তানযীমের প্রায় সবাই দুনিয়া ছেড়ে অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা শিকার করে এই তানযীমে এসেছেন। স্বাভাবিক জীবন ও স্ত্রী-সন্তান ছাড়ার ক্ষেত্রে এবং প্রশাসনিক বিভিন্ন ঝামেলা সহ্য করার ক্ষেত্রে অনেক ভাইয়ের অনেক অনেক কুরবানী আছে। যে ভাই যে অবস্থার, তার জন্য সেটা পরিত্যাগ করাই অনেক বড় কিছু। তাই কেউ অনেক ধনী পরিবারের ছিল বা অনেক উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন ছিল, তারপর সেটা ছেড়ে আসার কারণে তার ত্যাগ ও কুরবানী বেশি হয়ে যাবে এমনটা নয়। অনেক সাহাবী বিশাল ধনী থাকার পর সবকিছু ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন, তারপর মৃত্যুর সময় কাফনের কাপড়টাও ছিল না, কিন্তু সেটার কারণে তাকে অন্যান্য মুহাজিরদের থেকে বেশি সম্মানিতি মনে করা হত না। যার জন্য যেটা একমাত্র সম্বল, তার জন্য সেটা ছাড়াই সর্বোচ্চ কুরবানী।

            শায়খ (আল্লাহ তাকে হেফাজত করুন এবং কল্যাণময় করুন) শাতিম হত্যার নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে উচ্চ দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। কিন্তু এটা একক দক্ষতা নয়। এখানে আরো অনেক ভাইয়ের দক্ষতাও যুক্ত। বিশেষ করে, এগুলো তো সম্মুখযুদ্ধ ছিল না যে, ভাই সরাসরি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আর শায়খ জিয়াউল হক (আল্লাহ তার মাঝে বারাকাহ দান করুন)কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাই তিনি ভালো পারফর্মেন্স দেখিয়েছেন, কিন্তু অন্য কেউ হলে যে পারতেন না বা অন্য কারো দ্বাারা হত না, এমন তো না। হয়ত পারতেন। তাই এগুলোর মধ্যে আল্লাহর সাহায্য ছিল। ইসলামের জয় হবেই। যার নেতৃত্বেই হোক। চাই নেতৃত্বে খালিদের মত কেউ থাকুক বা আবু উবায়দা বা সা’দ ইবনে আবি ওয়াক্কাসের মত কেউ থাকুক। রাযিয়াআল্লাহু আনহুম। তাই এগুলোর ক্ষেত্রে ব্যক্তিকে ফলাও করা ভিন্ন ভাবধারা সৃষ্টি করতে পারে। এটা উচিত নয়।

            Comment


            • #7

              وَمَن يُوقَ شُحَّ نَفْسِهِۦ فَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْمُفْلِحُونَ

              Comment


              • #8
                يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ

                আমি মধ্যমপন্থা বাস্তবায়নের জন্যই ওই কমেন্টের কথাগুলো লিখেছি। এছাড়া ভিন্ন কিছুই নয়। আল্লাহ হেফাজত করুন।

                Comment


                • #9
                  আমার পরামর্শঃ- পূর্বের পোস্ট ও আব্দুল মুকাদ্দিম (দা বা) ভাইয়ের কমেন্টের সমন্বয়ে একটি মোটামুটি স্বয়ংসম্পূর্ণ শায়খ পরিচিতি প্রস্তুত করা হোক। আমি আব্দুল মুকাদ্দিম ভাইকেই এর জিম্মা নেয়ার অনুরোধ জানাব। পাশাপাশি মুহতারাম মডারেটর ভাইদের উদারতা কামনা করব। ইয়া আল্লাহ! আপনি আমাদের সঠিক কথা বলার তাওফিক দিন।
                  মুহতারাম ভাইদেরকে আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিন.. জাতি উপকৃত হবার অপেক্ষায়..!!!... সাথে সাথে গুরুত্বপূর্ণ পুরাতন পোষ্ট'টিও আরেকবার সামনে চলে আসবে...
                  মিডিয়ার সাফল্য অনেকাংশেই তার প্রচারণার উপর নির্ভরশীল।

                  Comment

                  Working...
                  X