Announcement

Collapse
No announcement yet.

খোরাসানের খবর || ১০ জুলাই, মঙ্গলবার, ২০১৮ ইং

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • খোরাসানের খবর || ১০ জুলাই, মঙ্গলবার, ২০১৮ ইং

    ১| আল-খন্দক অপারেশনঃ নিমরোজ প্রদেশের খাস রোড জেলার রাজি এলাকায় ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের তালেবান মুজাহিদগণ জাঞ্জির চেকপোস্টে হামলা চালালে কমান্ডারসহ ৪ পুতুলসেনা নিহত এবং আরও ৩ জন মারাত্মক আহত হয়। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুতুলসেনা আসলে তাদের ২ টি apc যান রকেট লঞ্চার হামলায় ধ্বংস করে দেওয়া হয়। এতে গাড়ির ভেতরে থাকে সব পুতুলসেনা হতাহত হয়। ১ টি কম্যুনিকেশন রেডিও, ১ টি মর্টার টিউব, ১ টি rpg লঞ্চার, ৪ টি মোবাইল ফোন এবং অন্যন্য যুদ্ধসরঞ্জাম জব্দ।

    অপারেশনে এক মুজাহিদ আহত হন।

    ২| আল-খন্দক অপারেশনঃ ফারইয়াব প্রদেশের শিরিন তাগাব জেলায় চেকপোস্ট পদদলিত করা হলে ২ পুতুলসেনা নিহত সহ আহত হয় আরও ২ জন। ১৬ টি রাউন্ড সহ ১ টি rpg লঞ্চার, ১ টি pk মেশিনগান, ২ টি ক্লাসনিকোভ রাইফেল এবং অন্যন্য যুদ্ধসরঞ্জাম জব্দ।

    একই প্রদেশের গুরজিওয়ান জেলায় চলমান আল-খন্দক অপারেশনে কমান্ডারসহ ৪ জন নিহত। আহত আরও ৪ জন। ১ টি rpg লঞ্চার, ১ টি pk মেশিনগান, ২ টি রাইফেল এবং অন্যন্য যুদ্ধসরঞ্জাম জব্দ। উক্ত অপারেশনে এক মুজাহিদ আহত এবং আরেকজন শাহাদাৎ বরণ করেন।

    ৩| বিদেশী দখলদার ক্রুসেডার বাহিনী ও তাদের স্থানীয় দোসরদের সহযোগিতায় গতকাল খোরাসানের বিভিন্ন স্থানে ১ শিশুসহ কমপক্ষে ৩৫ জন বেসামরিক লোক শাহাদাৎ বরণ করেছেন। আহত ৭ জন এবং অপহৃত হয়েছেন আরও ৮ জন। এছাড়া স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি।

    ৪| কান্দাহার প্রদেশের দামান জেলায় রাস্তায় পুতে রাখা ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ট্যাংক ধ্বংস হলে ভেতরে থাকা বিদেশী দখলদার ক্রুসেডার বাহিনীর সকল সদস্য হতাহত হয়।

    ৫| হেলমান্দ প্রদেশের গেরিস্ক জেলার মুহাজারো বাজার এলাকায় স্নাইপার আক্রমণে ২ বন্দুকধারী নিহত। একই প্রদেশে একটি চেকপোস্ট পদদলিত করা হলে আরও ৩ পুতুলসেনা নিহত হয়।

    ৬| নাংগাহার প্রদেশে বাঘি শাহ্ নামে আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা অধিদপ্তরের এক প্রভাবশালী গুপ্তচর নিহত। একই প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় পৃথক পৃথক হামলায় পুতুলবাহিনীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি।

    ৭| বাঘলান প্রদেশের রাজধানীতে পুতুলসেনাবহরে হামলা করা হলে ২ টি ট্যাংক ধ্বংস হয়। এতে যারঘন নামে কমান্ডা কমান্ডার সহ ৩ পুতুলসেনা নিহত। আহত আরও ২ জন।

    ৮| হেলমান্দ প্রদেশের রাজধানী লশকরগাহ্ জেলায় ২ পুতুলসেনা স্নাইপার আক্রমণে নিহত। একই প্রদেশের নাওয়া জেলায় আরও ২ পুতুলসেনা নিহত।

    ৯| হেলমান্দ প্রদেশে পৃথক পৃথক হামলায় ৬ আরবাকি নিহত।

    ১০| কান্দাহার প্রদেশের জেলাহর বাওরী এলাকায় রাস্তায় পুতেরাখা মাইন বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৩ পুতুলসেনা নিহত। আহত আরও ৪ জন।

    ১১| বাদঘিস প্রদেশে ৩ জন এবং কুন্দুজ প্রদেশে কমান্ডারসহ আরও ৫ জন প্রাক্তন আরবাকি সেনা ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের মুহাহিদদের কাছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ যুদ্ধসরঞ্জাম সহ আত্মসমর্পণ করেছেন।

    অন্যান্যঃ
    ♦️লাঘমান প্রদেশে গতকাল সকাল ৮ টায় করিম নামে এক পুতুলসেনা কমান্ডার ২ সহযোগীসহ নিহত। আহত একজন

    ♦️ লোগার প্রদেশের মোহাম্মদ আগা জেলার দাস্তাক এলাকায় ied বোমা বিস্ফোরণে ৩ পুতুলসেনা নিহত ও ২ জন আহত।

    ♦️ঘোর প্রদেশের দাওলিনা জেলায় মুজাহিদদের হামলার ভয়ে চেকপোস্ট ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে পুতুলসেনারা। পৃথক আপারেশননে চেকপোস্ট পদদলিত হয়ে ২ পুতুলসেনা নিহত এবং ১ জন আহত হয়।

    ♦️ফারইয়াব প্রদেশের পশতুন কোট জেলায় রেঞ্জার বিস্ফোরণে ১ আরবাকি নিহত, আহত ২ জন।

    ♦️পাকটিয়া প্রদেশের রাজধানী গারদেজে মুহম্মদ নবী নামে এক কুখ্যাত পুলিশ অফিসার অতর্কিত হামলায় নিহত।

    ♦️হেরাত প্রদেশের শিন্দান্দ জেলার আজিজ আবাদ এলাকায় চেকপোস্ট হামলায় ২ পুতুলসেনা নিহত।

    ♦️ওয়ারদাক প্রদেশের রাজধানী মাইদান ওয়ারদাকে গতকাল বিকালে চালানো এক অপারেশনে ১ পুতুলসেনা নিহত। আহত আরও ১ জন।

    ♦️কাবুল প্রদেশের পাঘমান জেলায় অ্যাম্বুশে ১ আরবাকি পুতুলসেনা নিহত।

    ♦️পাকটিয়া প্রদেশের সৈয়দ কারাম জেলায় চেকপোস্টে হামলা করা হলে ১ পুতুলসেনা নিহত, আরেকজন গুরুতর আহত হয়।

    ♦️কাপিসা প্রদেশে ৩ পুতুলসেনা মারাত্মক আহত।
    ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

  • #2
    ��জিহাদে যাকাত প্রদান��

    ۞ إِنَّمَا الصَّدَقٰتُ لِلفُقَراءِ وَالمَسٰكينِ وَالعٰمِلينَ عَلَيها وَالمُؤَلَّفَةِ قُلوبُهُم وَفِى الرِّقابِ وَالغٰرِمينَ وَفى سَبيلِ اللَّهِ وَابنِ السَّبيلِ ۖ فَريضَةً مِنَ اللَّهِ ۗ وَاللَّهُ عَليمٌ حَكيمٌ

    যাকাত কেবল ফকীর, মিসকীন, যাকাত আদায়কারীও যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক, এবং দাসমুক্তির জন্য বাণ। গ্রস্তদের জন্যআল্লাহর পথে জিহাদ কারী মুজাহিদদের জন্য এবং মুসাফিরদের জন্য। এ হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (তাওবা-৬০)

    মহান আল্লাহ তার অর্থশালী বান্দাদের যাকাতের বিধান দিয়ে। উল্লেখিত আয়াতে তার আটটি খাত (খরচের স্থান) উল্লেখ করেছেন।
    যাকাত প্রদানের সুস্পষ্ট খাত জিহাদ, যাকে ‘‘ফী
    সাবীলিল্লাহ’’ দ্বারা ব্যক্ত করা হয়েছে। সমস্ত মুসলমানকে এ বিষয়ে । সুস্পষ্ট জ্ঞান থাকা অপরিহার্য যে, কোন ফকীর, মিসকীনকে যাকাত প্রদান যেমন প্রয়োজন, জিহাদের জন্য
    যাকাত প্রদান তার চেয়েও অধিক প্রয়োজন কারণ, একজন ফকীর-মিসকিনকে যাকাত প্রদানের দ্বারা একজন মুসলমান
    উপকত ও যাকাত প্রদানের দায়িত্ব আদায় হয়। পক্ষান্তরে জিহাদে প্রদানের দ্বারা হেফাজতে ইসলাম ও আল্লাহর দ্বীন বুলন্দীর কার্যে ব্যবহৃত হয়, যা পূর্ব থেকে অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ।

    কারো অন্তরে এই সংশয় উদয় হতে পারে যে,‘‘ফী সাবিলিল্লাহ’’ তো ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ, কিন্তু এখানে বিশেষ করে জিহাদকে উল্লেখ করা হল কেন? উল্লেখিত সংশয় নিরসনের জন্য নিম্নে
    বিখ্যাত মুফাসসিরদের নির্ভরযোগ্য অভিমত তুলে ধরছি।

    ♦️১/তাফসীরে জালালাইন শরীফের ১৬১একশ’ একষষ্টি) পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে । ফী সাবলিল্লাহ’’ দ্বারা ঐ সমস্ত লোক উদ্দেশ্যযারা জিহাদী কার্যে নিমগ্ন।

    ♦️২/তাফসীরে কাশশাফের দ্বিতীয় খন্ড ৩৮৩ (তিনশ' তিরাশীপৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, ‘‘ফী সাবলিল্লাহ’’ দ্বারা উদ্দেশ্য ঐ সমস্ত দরিদ্র মুজাহিদ ও ঐ হাজী, যার যাতায়াত খরচ ও আহার্য শেষ হয়ে গেছে।

    ৩. তাফসীরে কাবীরের ষোলতম খন্ড ১১৩ (একশ’ তের) পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ফী সাবলিল্লাহ’’ দ্বারা উদ্দেশ্য হল ‘মুজাহিদ। ইমাম শাফী (রাহঃ) বলেন, যাকাতের টাকা। মুজাহিদকে প্রদান করা হবে চাই সে মুজাহিদ ধনাঢ্য হোক বা।
    দরিদ্র। এই অভিমতের সপক্ষে রয়েছেন ইমাম মালেক, ইমাম। ইসহাক ও ইমাম আবু উবায়দা (রহঃ) প্রমুখ। হযরত ইমাম আবু হানীফা ও সাহেবাইন (রাহঃ) বলেন, ঐ সমস্ত। মুজাহিদকে
    যাকাত প্রদান করা হবে, যারা দরিদ্র।

    ৪. তাফসীরে ইবনে কাছীরের দ্বিতীয় খন্ড ৩৬৬ (তিনশ’ ছিষটি) পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন, ‘‘ফী সাবলিল্লাহ’’ দ্বারা উদ্দেশ্য ঐ মুজাহিদ, যার জন্য কোন নির্ধারিত অংশ নেই। ইমাম আহমদ,
    ইমাম হাসান বসরী ও ইমাম ইসহাক (রাহঃ) একটি হাদীসের ‘ফী সাবলিল্লাহ এর মাঝে মুজাহিদের সাথে হজ পালনকারীকেও শামিল করেন।

    ♦️৫/ তাফসীরে রুহুল মা'আনীর চতুথ খন্ড ১২৩ (একশ’ তেইশ) পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন ‘‘ফী সাবীলিল্লাহ’’ দ্বারা উদ্দেশ্য ঐ সমস্ত মুজাহিদ ও যোদ্ধা যাদের পথ খরচ সমাপ্ত হয়ে যায়। এ
    অভিমত কাজী ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) এর। ইমাম মুহাম্মদ (রাহঃ) বলেন, ঐ হাজীযার নিকট পথ খরচ নেই। কারো কারো অভিমত তালেবে ইলমও এতে শামিল হবে। আল্লামা আলুসী (রাহঃ) বর্ণনা করেন,এসম্পর্কে ওলামায়ে কেরামের যত
    অভিমত রয়েছে, তন্মধ্যে সর্বোৎকৃষ্টও গ্রহণযোগ্য অভিমত হল। আল্লামা জাসাস (রাহঃ)-এর আহকামুল কোরআনে উল্লেখিত অভিমত। তিনি বলেন, মুজাহিদ আপন গৃহে অনেক দাস-দাসী
    বাহন ও সম্পদের অধিকারীতার জন্যযাকাত গ্রহণ জায়েজ নয়। কিন্তু এই ব্যক্তি-ই যদি জিহাদের সফরে বস্ত্র, আহার্য ও অস্ত্র-শস্ত্রের প্রতি মুহতাজ হয়, তবে যাকাত গ্রহণ করতে পারবে। আপণ গহে অধিক সম্পদ কোন প্রতিবন্ধক হবে না। এ কথার প্রমাণ হল নবী কারীম (সাঃ)-এর বাণী ‘‘ বিত্তশালী মুজাহিদ ও গাজীর জন্য যাকাতের মাল হালাল।’”

    ♦️৬/ তাফসীরে কুরতুবীর অষ্টম খন্ড ১৮৫ (একশ’াঁচাশী পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, মুজাহিদ, যোদ্ধা ও সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত প্রহরীদেরকে যাকাত প্রদান করা যাবে, চাই সে বিত্তশালী হোক
    বা দরিদ্র হোক। সমস্ত। ওলামা কেরামের অভিমত তা-ই। আল্লামা কুরতুবী (রহঃ) আল্লামা শায়েখ কাশেম (রাঃ) থেকে যায়েদ (রাঃ) সহ অন্যন্যদের বর্ণনা উদৃত করে বলেন, মুজাহিদকে যাকাতের অর্থ প্রদান কর যদিও তার ময়দানে পর্যাপ্ত
    পরিমাণ সম্পদ থাকে এবং ঘরে অধিক সম্পদশালী হয়। কারণ, এ ব্যাপারে নবী কারীম (সাঃ)-এর হাদীস সুস্পষ্ট “ কোন সম্পদশালী ব্যক্তিকে যাকাতের টাকা প্রদান করো না, পাঁচ শ্রেণী ব্যতীত। তন্মধ্যে সর্ব প্রথম হল, আল্লাহর পথের গাজী। ’’ আল্লামা ইবনে ওহাব (রাহঃ) ইমাম মালেক (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, যাকাতের সম্পদ ঐ সমস্ত মুজাহিদ ও পাহারাদারদের প্রদান কর। বাবে, চাই সে ধনী হোক বা গরীব।

    ♦️৭/তাফসীরে ক্লাশেমী (রাহ এর অষ্টম খন্ডে উল্লেখ রয়েছে , উল্লেখিত আয়াতে মুজাহিদদের অর্থ প্রদানকে ‘ফী সাবলিল্লাহ’ দ্বারা ব্যক্ত করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য ঐ সব মুজাহিদ, যারা অর্থের অভাবে জিহাদ করতে অক্ষম। ইবনে কাসীর (রাহঃ) ইবনে দাক্
    ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

    Comment


    • #3
      🌹জিহাদে যাকাত প্রদান🌹

      ۞ إِنَّمَا الصَّدَقٰتُ لِلفُقَراءِ وَالمَسٰكينِ وَالعٰمِلينَ عَلَيها وَالمُؤَلَّفَةِ قُلوبُهُم وَفِى الرِّقابِ وَالغٰرِمينَ وَفى سَبيلِ اللَّهِ وَابنِ السَّبيلِ ۖ فَريضَةً مِنَ اللَّهِ ۗ وَاللَّهُ عَليمٌ حَكيمٌ

      যাকাত কেবল ফকীর, মিসকীন, যাকাত আদায়কারীও যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক, এবং দাসমুক্তির জন্য বাণ। গ্রস্তদের জন্যআল্লাহর পথে জিহাদ কারী মুজাহিদদের জন্য এবং মুসাফিরদের জন্য। এ হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (তাওবা-৬০)

      মহান আল্লাহ তার অর্থশালী বান্দাদের যাকাতের বিধান দিয়ে। উল্লেখিত আয়াতে তার আটটি খাত (খরচের স্থান) উল্লেখ করেছেন।
      যাকাত প্রদানের সুস্পষ্ট খাত জিহাদ, যাকে ‘‘ফী
      সাবীলিল্লাহ’’ দ্বারা ব্যক্ত করা হয়েছে। সমস্ত মুসলমানকে এ বিষয়ে । সুস্পষ্ট জ্ঞান থাকা অপরিহার্য যে, কোন ফকীর, মিসকীনকে যাকাত প্রদান যেমন প্রয়োজন, জিহাদের জন্য
      যাকাত প্রদান তার চেয়েও অধিক প্রয়োজন কারণ, একজন ফকীর-মিসকিনকে যাকাত প্রদানের দ্বারা একজন মুসলমান
      উপকত ও যাকাত প্রদানের দায়িত্ব আদায় হয়। পক্ষান্তরে জিহাদে প্রদানের দ্বারা হেফাজতে ইসলাম ও আল্লাহর দ্বীন বুলন্দীর কার্যে ব্যবহৃত হয়, যা পূর্ব থেকে অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ।

      কারো অন্তরে এই সংশয় উদয় হতে পারে যে,‘‘ফী সাবিলিল্লাহ’’ তো ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ, কিন্তু এখানে বিশেষ করে জিহাদকে উল্লেখ করা হল কেন? উল্লেখিত সংশয় নিরসনের জন্য নিম্নে
      বিখ্যাত মুফাসসিরদের নির্ভরযোগ্য অভিমত তুলে ধরছি।

      ♦️১/তাফসীরে জালালাইন শরীফের ১৬১একশ’ একষষ্টি) পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে । ফী সাবলিল্লাহ’’ দ্বারা ঐ সমস্ত লোক উদ্দেশ্যযারা জিহাদী কার্যে নিমগ্ন।

      ♦️২/তাফসীরে কাশশাফের দ্বিতীয় খন্ড ৩৮৩ (তিনশ' তিরাশীপৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, ‘‘ফী সাবলিল্লাহ’’ দ্বারা উদ্দেশ্য ঐ সমস্ত দরিদ্র মুজাহিদ ও ঐ হাজী, যার যাতায়াত খরচ ও আহার্য শেষ হয়ে গেছে।

      ৩. তাফসীরে কাবীরের ষোলতম খন্ড ১১৩ (একশ’ তের) পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ফী সাবলিল্লাহ’’ দ্বারা উদ্দেশ্য হল ‘মুজাহিদ। ইমাম শাফী (রাহঃ) বলেন, যাকাতের টাকা। মুজাহিদকে প্রদান করা হবে চাই সে মুজাহিদ ধনাঢ্য হোক বা।
      দরিদ্র। এই অভিমতের সপক্ষে রয়েছেন ইমাম মালেক, ইমাম। ইসহাক ও ইমাম আবু উবায়দা (রহঃ) প্রমুখ। হযরত ইমাম আবু হানীফা ও সাহেবাইন (রাহঃ) বলেন, ঐ সমস্ত। মুজাহিদকে
      যাকাত প্রদান করা হবে, যারা দরিদ্র।

      ৪. তাফসীরে ইবনে কাছীরের দ্বিতীয় খন্ড ৩৬৬ (তিনশ’ ছিষটি) পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন, ‘‘ফী সাবলিল্লাহ’’ দ্বারা উদ্দেশ্য ঐ মুজাহিদ, যার জন্য কোন নির্ধারিত অংশ নেই। ইমাম আহমদ,
      ইমাম হাসান বসরী ও ইমাম ইসহাক (রাহঃ) একটি হাদীসের ‘ফী সাবলিল্লাহ এর মাঝে মুজাহিদের সাথে হজ পালনকারীকেও শামিল করেন।

      ♦️৫/ তাফসীরে রুহুল মা'আনীর চতুথ খন্ড ১২৩ (একশ’ তেইশ) পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন ‘‘ফী সাবীলিল্লাহ’’ দ্বারা উদ্দেশ্য ঐ সমস্ত মুজাহিদ ও যোদ্ধা যাদের পথ খরচ সমাপ্ত হয়ে যায়। এ
      অভিমত কাজী ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) এর। ইমাম মুহাম্মদ (রাহঃ) বলেন, ঐ হাজীযার নিকট পথ খরচ নেই। কারো কারো অভিমত তালেবে ইলমও এতে শামিল হবে। আল্লামা আলুসী (রাহঃ) বর্ণনা করেন,এসম্পর্কে ওলামায়ে কেরামের যত
      অভিমত রয়েছে, তন্মধ্যে সর্বোৎকৃষ্টও গ্রহণযোগ্য অভিমত হল। আল্লামা জাসাস (রাহঃ)-এর আহকামুল কোরআনে উল্লেখিত অভিমত। তিনি বলেন, মুজাহিদ আপন গৃহে অনেক দাস-দাসী
      বাহন ও সম্পদের অধিকারীতার জন্যযাকাত গ্রহণ জায়েজ নয়। কিন্তু এই ব্যক্তি-ই যদি জিহাদের সফরে বস্ত্র, আহার্য ও অস্ত্র-শস্ত্রের প্রতি মুহতাজ হয়, তবে যাকাত গ্রহণ করতে পারবে। আপণ গহে অধিক সম্পদ কোন প্রতিবন্ধক হবে না। এ কথার প্রমাণ হল নবী কারীম (সাঃ)-এর বাণী ‘‘ বিত্তশালী মুজাহিদ ও গাজীর জন্য যাকাতের মাল হালাল।’”

      ♦️৬/ তাফসীরে কুরতুবীর অষ্টম খন্ড ১৮৫ (একশ’াঁচাশী পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, মুজাহিদ, যোদ্ধা ও সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত প্রহরীদেরকে যাকাত প্রদান করা যাবে, চাই সে বিত্তশালী হোক
      বা দরিদ্র হোক। সমস্ত। ওলামা কেরামের অভিমত তা-ই। আল্লামা কুরতুবী (রহঃ) আল্লামা শায়েখ কাশেম (রাঃ) থেকে যায়েদ (রাঃ) সহ অন্যন্যদের বর্ণনা উদৃত করে বলেন, মুজাহিদকে যাকাতের অর্থ প্রদান কর যদিও তার ময়দানে পর্যাপ্ত
      পরিমাণ সম্পদ থাকে এবং ঘরে অধিক সম্পদশালী হয়। কারণ, এ ব্যাপারে নবী কারীম (সাঃ)-এর হাদীস সুস্পষ্ট “ কোন সম্পদশালী ব্যক্তিকে যাকাতের টাকা প্রদান করো না, পাঁচ শ্রেণী ব্যতীত। তন্মধ্যে সর্ব প্রথম হল, আল্লাহর পথের গাজী। ’’ আল্লামা ইবনে ওহাব (রাহঃ) ইমাম মালেক (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, যাকাতের সম্পদ ঐ সমস্ত মুজাহিদ ও পাহারাদারদের প্রদান কর। বাবে, চাই সে ধনী হোক বা গরীব।

      ♦️৭/তাফসীরে ক্লাশেমী (রাহ এর অষ্টম খন্ডে উল্লেখ রয়েছে , উল্লেখিত আয়াতে মুজাহিদদের অর্থ প্রদানকে ‘ফী সাবলিল্লাহ’ দ্বারা ব্যক্ত করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য ঐ সব মুজাহিদ, যারা অর্থের অভাবে জিহাদ করতে অক্ষম। ইবনে কাসীর (রাহঃ) ইবনে দাক্
      ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

      Comment


      • #4
        جزاك الله خيرا احسن الجزاء
        আল্লাহ আপনার সালাহিয়্যাত আরো বাড়িয়ে দিন। আমিন
        হক্বের মাধ্যমে ব্যক্তি চিনো,
        ব্যক্তির মাধ্যমে হক্ব চিনো না।

        Comment

        Working...
        X