Announcement

Collapse
No announcement yet.

সংগঠনে যুক্ত সম্মানিত ভাইদের প্রতি , আপন হৃদয় কুটিরে জমে থাকা রসকষহীন কিছু কথা......

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সংগঠনে যুক্ত সম্মানিত ভাইদের প্রতি , আপন হৃদয় কুটিরে জমে থাকা রসকষহীন কিছু কথা......

    শুরুতেই জেনে রাখা ভালো উক্ত লিখাটিতে আমি আম মুসলিমদের নয় বরং জ্বিহাদী জামাতে যুক্ত বা জ্বিহাদের ব্যাপারে পাকাপোক্ত এমন ভাইদেরকে ফোকাস করেছি । আর আমি মনে করি এর বিষয়বস্তুর ফরজিয়াত/ফযিলত কিংবা গুরুত্বর বিষয়ে সম্মানিত ভাইয়েরাই অধিক জ্ঞানী । আর তাই আমি উক্ত লিখাটির মূল বিষয়বস্তুর প্রেক্ষিতে কুরআন-হাদিসের তেমন কোন দলিল/আদিল্লা কোড করিনি বরং বাস্তবতার নিরিখে আপন হৃদয় কুটিরে জমে থাকা কিছু আকুতি পেশ করেছি মাত্র । তাই একটু বড় মনে হলেও সকল ভাইদেরকে ধৈর্যের সাথে পুরোটা পড়ার জন্য বিনয়ের সহিত অনুরোধ করছি ।


    রাহমান ও রাহিম অদ্বিতীয় আল্লাহ্*র নামে
    ইন্নাল হামদালিল্লাহ , ওয়াসসালাতু ওয়াসসালামু আলা রসুলিল্লাহ
    পটভূমি :

    দুনিয়ার এই ক্রান্তিলগ্নে বিশ্বায়নের মূর্তিরূপে নব্য আইয়ামে জাহিলিয়াতে ধরার বুকে বিশেষ করে আমাদের এ উপমহাদেশে এমন কোন ব্যক্তি বা যুবক-যুবতী কিংবা আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা পাওয়া হয়তো আমাবস্যার চাঁদ হয়ে দাঁড়াবে , যাদের কর্ণকুহরে ঝিঁঝিঁ পোকা তথা ক্রিকেট নামক হারাম খেল-তামাশার চার-ছক্কা আর উইকেট ভাঙ্গার বিশৃঙ্খল ও চেতনাহীন ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হয়নি বা হচ্ছেনা । হারাম-বেহায়াপনা আর অশ্লীলতায় আচ্ছাদিত এই ক্রীড়াতে প্রতিটি দেশের খলনায়ক নামক খেলোয়াড়দের পারফর্ম করার কয়েকটি ডিপার্টমেন্ট থাকে , যার ব্যাপারে আমরা প্রায় সবাই শামস-উল-উলামা [ জ্ঞানীদের মধ্যে সূর্য ] । ব্যাটিং , বোলিং এবং ফিল্ডিং হল যার মৌলিক বিভাগ । প্রত্যেককেই অন্তত একটি বিভাগে খুব দক্ষ হয়ে উঠতে হয় দলে টিকে থাকার জন্য । আর যে এই সকল বিভাগেই খুব দক্ষ থাকে তাকে বলা হয় অলরাউন্ডার । আর যখন সে উল্লেখিত এই সর্ব ডিপার্টমেন্টেই অসাধারণ পারফর্ম করে থাকে , তখন তাকে অধিষ্ঠিত করা হয় মহানায়কের আসনে কিংবা গলায় শোভা পায় দুনিয়ার তুচ্ছ সম্মান-যশ-খ্যাতির মহামাল্য । দক্ষ এই পারফর্মার অলরাউন্ডার এর কি পরিমাণ কদর ও সম্মান তা আমরা দেখতে পাই গো-মুত্র পানকারী নাপাক মালাউন্দের দেশের নিকৃষ্ট আর অভিশপ্ত আইপিএল নামক বিশ্বের বৃহৎ জুয়ার আসরে । যেখানে একজন দক্ষ অলরাউন্ডারের মূল্য থাকে দুনিয়ার তুলনায় আকাশচুম্বী। আর যখন সে পূর্বপাতানো অভিশপ্ত এ জুয়ার আসর তথা আইপিএল মাঠে দেখাতে পারে অসাধারণ কোন পারফর্মেন্স তখন তার আর কিছুর অভাব হোক বা নাহোক দিল্লির আর মুম্বাইয়ের সস্তা পতিতাদের ন্যায় নারী আর ফ্যানের অভাব হয় না , যদিও ক্ষণস্থায়ী মূল্যহীন টাকা-যশ-খ্যাতি-সম্মান লাভ তো আছেই । এই হল দুনিয়ার নাপাক ক্রীড়া-কৌতুকের এক তুচ্ছ অলরাউন্ডারের মর্যাদা বা মূল্য , যার তীব্র আকাঙ্ক্ষায় সে দেহ-মন উজাড় করে দেয় মাঠে-ময়দানে কোন কিছুর পরোয়া না করে। হ্যাঁ কোন কিছুর পরোয়া না করেই । দেখুন বর্তমান বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম অধিনায়ক মাশরাফির পায়ে ১১ বার অস্ত্রপচার হওয়া সত্ত্বেও সে দিব্যি খেলে যাচ্ছে , অথচ ডাক্তারগণ বলে থাকেন কারো পায়ে ২/৩ বার অস্ত্রপচার হলেই তার পক্ষে খেলা চালিয়ে যাওয়া খুব ঝুঁকিপূর্ণ । তাই তাকে অবসরে যাওয়া উচিৎ । অথচ ১১ বার হওয়া সত্ত্বেও সে খুব উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথেই খেলে যাচ্ছে সকল বিপদ-ঝুঁকি উপেক্ষা করে । কিসের টানে ? সেই ক্ষণস্থায়ী মূল্যহীন টাকা-যশ-খ্যাতি-সম্মান লাভ আর অভিশপ্ত দেশ বা জাতীয়তাবাদের টানে । তাহলে আল্লাহ দয়া করে যাঁদেরকে দ্বীন আল ইসলাম বা ইসলামের হাকিকত কিতাল ফি সাবিলিল্লাহর বুঝ দিয়েছে , তাঁদের এ পথে কি পরিমাণ কুরবানি ও আত্মত্যাগ আবশ্যক তা আবার নতুন করে মুসাহাবা করা উচিৎ । সেই সাথে এটাও চিন্তা-ভাবনা করা আবশ্যক যে , এ পথের জরুরত বা দাবী অনুযায়ী আত্মত্যাগ বা কুরবানি কি আমরা সাধ্যমতো করতে পারছি বা করছি !!


    অতঃপর সম্মানিত ভাই আমার , আপনার প্রতি...
    আপন হৃদয় কুটিরে জমে থাকা রসকসহীন কিছু কথা......

    আজ জ্বিহাদী ক্রীড়ার ময়দানে দক্ষ অলরাউন্ডারের বড়ই অভাব , যে সকল প্রকার ঝুঁকি কিংবা বাঁধা-বিপত্তি পিছু ফেলে দেহ-মন উজাড় করে সকল বিভাগেই অসাধারণ পারফর্ম করবে । আজ আমাদের এ মাঠে তেমন অলরাউন্ডারের বড়ই আবশ্যক যেমন অলরাউন্ডার ছিলেন আমাদের আদর্শ ও গৌরবদীপ্ত পূর্বপুরুষ মাদিনার সম্মানিত আনসারগণ । দ্বীন আল ইসলামের কেমন অলরাউন্ডার তাঁরা ছিলেন তা আমার থেকে আপনারাই ভালো অবহিত । তাঁরা একদিকে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসালাম ও তাঁর সহায়-সম্বল ও আশ্রয়হীন সাহাবীদের আশ্রয় তথা সেফ হাউস প্রদান করে হলেন দ্বীনের আনসার । অপরদিকে শুধু আশ্রয় দিয়েই বসে না থেকে বরং তাঁদের তরে অকাতরে নিজেদের সমুদয় অর্থ-সম্পদ ঢেলে দিয়ে হলেন দ্বীনের ডোনার । আর সকল আনসার সাহাবীই যখন সম্বলহীন মুহাজিরদের সাথে নিজেদের সমুদয় অর্থ-সম্পদ ও ঘর-বাড়ি ভাগ-বাটোয়ারা করে নিলেন , তখন সাদ ইবনুর রাবি রাদিআল্লাহু আনহু ইসলামের তরে আলরাউন্ডারের এমন অনন্য এক দৃষ্টান্ত স্থপন করেন যা গোটা মানব ইতিহাসে বিরল ।

    “ আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত – আব্দুর রাহমান ইবনে আউফ হিজরত করে মাদিনায় এলে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাদ ইবনে রাবির সাথে তাঁর ভ্রাতৃসম্পর্ক কায়েম করে দেন । সাদ ছিলেন মাদিনার খাজরাজ গোত্রের নেতা ও ধনাঢ্য ব্যক্তি । তিনি আব্দুর রাহমান ইবনে আউফকে বললেন – আনসারদের সকলে জানে আমি একজন ধনী ব্যক্তি । আমি আমার সকল সম্পদ [ আপনার সাথে ] সমান দুভাগে ভাগ করে দিতে চাই । আমার দুজন স্ত্রী আছে । আমি চাই আপনি তাদের দুজনকে দেখে একজনকে পছন্দ করুন । আমি তাকে তালাক দিব । তারপর আপনি তাকে বিয়ে করে নিবেন । ” [ আসহাবে রাসুলদের জীবনকথা – প্রথম খণ্ড – পৃষ্ঠা – ৭২ ] আল্লাহু আকবর ! আমার ভাই , একটু থমকে দাঁড়ান । আর একটু মন খুলে চিন্তা করুন আত্মত্যাগের এই বিরল দৃষ্টান্ত নিয়ে ।


    অতঃপর জান বা রক্ত , সময় কিংবা শ্রম দেওয়ার ডিপার্টমেন্টেও ছিলেন তাঁরা অগ্রগণ্য । সত্য-মিথ্যার মাঝে পার্থক্যকারী প্রথম যুদ্ধ গাযওয়ায়ে বদরে যেই ৩১৩ জন সাহাবী অংশগ্রহন করেন তার মধ্যে ২৩০ জনই হলেন আনসার। এবং উক্ত যুদ্ধে শহীদ হওয়া ১৪ জনের মধ্যে ৮ জনই আনসার । অতঃপর গাযওয়া উহুদে শহীদ হওয়া ৭০ জন সাহাবীর মধ্যে ৬৬ জনই হলেন আনসার সাহাবী। আবার ভাবুন ৭০ জন শহীদের মধ্যে ৬৬ জনই আনসার সাহাবী । দ্বীন আল ইসলামের কেমন পাগল তাঁরা ছিলেন বুঝতে পারছেন ! বি’রে মাউনার শহীদদের মধ্যেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছিলেন আনসার । [ আসহাবে রাসুলদের জীবনকথা – খণ্ড – ৩ – পৃষ্ঠা – ১১ ] হুনাইনের যুদ্ধের প্রতিকূল পরিস্থিতির সময়েও যুদ্ধের মোড় ঘুড়িয়ে দেন এই আনসার অলরাউন্ডারগণই । এভাবেই ইসলামের প্রায় সকল যুদ্ধ মাঠেই আনসার বা সেফ হাউস – ডোনার কিংবা অর্থ-সম্পদ - সময় বা শ্রম – জান বা রক্ত সবকিছু দিয়েই অসাধারণ পারফর্ম করেছেন এই অলরাউন্ডারগণ । যাঁদের আত্মত্যাগ আর কুরবানির বদৌলতেই আল্লাহ্* এই দ্বীনকে বিজয়ী করেছেন ।

    আজ যদি আমরাও পারি আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী কিতালের অলরাউন্ডার হতে তাহলে আমাদের এই ভূখণ্ডেও ইনশাআল্লাহ্* দ্বীন আল ইসলামের পকাতা আর বেশী দিন ধুলোয় ধূসরিত থাকবেনা । আর আমাদের কাঙ্ক্ষিত তামকিনও আল্লাহ আমাদের দান করবেন অতি শিগ্রই যদি আমরা বর্তমানের কিতালের চাহিদা অনুযায়ী অলরাউন্ডার হতে পারি যাদের সেই সামর্থ্য রয়েছে । ইতিহাস সাক্ষী এই দ্বীন গালেব হওয়ার জন্য খুব বেশী ভাইয়ের প্রয়োজন হয়না ইনশাআল্লাহ্* । অল্প কিছু সামর্থ্যবান ভাইও যদি ইখলাসের সাথে নিজেদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করে যায় এই দ্বীনের জন্য তাহলে তাদের বরকতেই আল্লাহ এই দ্বীনকে বিজয় দান করেন বা করবেন ইনশাআল্লাহ্* । হ্যাঁ যদি আমরা আমাদের প্রত্যেকের সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বচ্চো আত্মত্যাগ করি । আর আমাদের প্রত্যেকের সামর্থ্যের ব্যাপারে আমরা নিজেরাই খুব ভালো ওয়াকিবহাল , এখন আমরা যতই অজুহাত পেশ করিনা কেন । আল্লাহ্* সুবহানাহু বলেন –

    “ বরং মানুষেরা (মূলত ) নিজেদের ব্যাপারে নিজেরাই সম্যক অবগত , যদিও সে নিজের ( স্বপক্ষে ) বিভিন্ন অজুহাত পেশ করতে চাইবে । [ আল কিয়ামাহ – ১৪-১৫ ] ”


    আর যখন জিহাদ ফরদুল আইন হয়ে যায় তখন এই উম্মাহর , বিশেষ করে উম্মাহর যুবাদের আর কোন ক্যারিয়ার থাকতে পারেনা কিতাল ব্যতিত । আর স্বীয় ক্যারিয়ারের একমাত্র গোল বা লক্ষ্য শাহাদাহ ছাড়া আর কিছুই হতে পারেনা । কারণ স্বীয় অস্তিত্তের সাথে মিশ্রিত দ্বীন আল ইসলামের পতাকা যখন থাকে ধুলোয় ধূসরিত , তখন এই উম্মাহর থাকেনা কোন সম্মান-ইজ্জত লাঞ্ছনা ব্যতিত । যেমনটাই পুরো পৃথিবী জুড়ে আজ স্পষ্ট পরিলক্ষিত । আর এহেন অবস্থায় নিজেকে জ্বিহাদের ফরজিয়াত থেকে এবং সামর্থ্যবানদের উদার হস্তে কিতালের পথে ব্যয় করা থেকে বিরত থাকার কোন সুযোগ বা অজুহাত থাকতে পারেনা ।

    আচ্ছা যদি আমি প্রশ্ন করি – সম্মানিত ভাই আপনার নিকট সবচেয়ে মূল্যবান বস্তুটির নাম কি যা নিজের সমস্ত সম্পদ , নিজ জীবন এবং পরিবারের সকলের জীবনের চাইতেও অধিক দামী ? আপনার অন্তর যদি ঈমানি বলে বলিয়ান থাকে তাহলে কিন্তু আপনি খুব দিঢ়ভাবেই বলে উঠবেন দ্বীন , এরপর দ্বীন , এরপরও দ্বীন । কেননা উইথআউট দ্বীন আমার অস্তিত্বই মূল্যহীন ।
    কি ঠিক বললাম ? যদি আমার সাথে আপনি একমত থাকেন তাহলে এবার আসুন একটু বাস্তবতা নিয়ে মুজাকারা করি । তার আগে আরেকবার স্মরণ করিয়ে দেই – একটু আগেই কিন্তু আপনি উপরে বলে এসেছেন যে নিজের সমস্ত সম্পদ এবং নিজ ও নিজ পরিবারের সকলের জীবন এসমস্ত কিছু থেকে দ্বীন-ই আপনার নিকট সবচেয়ে দামী ।

    ডক্টর আবদুল্লাহ আজ্জাম রহিমাহুল্লাহ তাঁর তাওবার তাফসীর কিতাবে অ্যামেরিকান এক ধনাঢ্য ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেন । যে ছিল প্রচুর ধন-সম্পদ এর মালিক । কোন কিছুর অভাব তার ছিল না । শুধুমাত্র তার একটি সমস্যা ছিল , তার মোটেও ঘুম হতো না । এটাই হল তার একমাত্র সমস্যা । সে এর জন্য অনেক ডক্টর দেখিয়েছে এবং অনেক টাকাও খরচ করেছে কিন্তু কোন ডক্টর-ই তার চোখে ঘুম আনতে পারলনা । অবশেষে সে বাধ্য ঘোষণা দেয় যে – “ যে ব্যক্তি আমার চোখে ঘুম এনে দিতে পারবে তাকে আমি আমার সমস্ত সম্পত্তি দিয়ে দিবো । ” এতোটুকুই আমার প্রাসঙ্গিক কথা । তার ঘোষণাটি নিয়ে আবার ভাবুন - “ যে ব্যক্তি আমার চোখে ঘুম এনে দিতে পারবে তাকে আমি আমার সমস্ত সম্পত্তি দিয়ে দিবো । ” খেয়াল করুন ঘুম হল মানব জীবনের জাস্ট একটি পার্ট । যেই ঘুমের নিকট তার এতো বছরের তিলে তিলে গড়ে তোলা সমস্ত সম্পত্তি আজ মূল্যহীন তুচ্ছ । স্রেফ ঘুমের নিকট সারাজীবনের সমস্ত সম্পত্তি যদি এতো মূল্যহীন হয়ে থাকে তাহলে আপনার আর আমার জীবনের নিকট আমাদের সমস্ত অর্থ-সম্পদ কতো মূল্যহীন বা তুচ্ছ তা কি বুঝতে পারছেন ! আর তা যথাযথ উপলব্ধি করার জন্য চলুন আরেকটি বাস্তব উদাহারন দেখি যা আমাদের সামান্য কদিনের এই পৃথিবীতে অহরহ ঘটে থাকে ।

    যখন কোন ব্যক্তির নিজের বা নিজ পরিবারের কারো এমন কোন রোগ হয় যার দরুন তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা একদম ক্ষীণ হয়ে যায় , তখন সেই সামর্থ্যবান বা সম্পদশালী ব্যক্তি কি করে ? সে কি একবারও ভাবে যে – সে তো একভাবে না একভাবে মারাই যাবে তাহলে শুধু শুধু এতো টাকা পয়সা খরচ করে লাভ কি যা আমার এতো বছরের কষ্টার্জিত অমূল্য সম্পদ ! না , তা কিন্তু সে ভাবে না বা করেও না । বরং সেই রোগ থেকে আরোগ্য লাভের জন্য যদি তার সারাজীবনের সমস্ত সম্পদ-ও ব্যয় করে দিতে হয় তাও কিন্তু সে করে । আপনি বা আমিও কিন্তু হয়তো এটাই করবো । কারণ সারা জিন্দেগীর রক্ত আর ঘামের বদৌলতে তিলে তিলে গড়ে তোলা কষ্টার্জিত সমস্ত সম্পদের মূল্যও আমার নিকট আমার প্রাণের চাইতে বেশী নয় । যেই অনিশ্চিত প্রাণ টাকে স্রেফ অল্প কিছু দিনের জন্য বাঁচিয়ে রাখার নিমিত্তে মানুষ তার সমস্ত সম্পদ বিসর্জন দিতেও প্রস্তুত বা দেয় , যা আমাদের স্পষ্ট চক্ষুষ্মান ।

    তাহলে আমাদের সবচাইতে প্রিয় বা দামী আমাদের প্রাণ বা আমাদের পরিবারের কারো প্রাণ যাকে বাচিয়ে রাখার জন্য আমরা আমাদের সমস্ত অর্থ-সম্পদ বিসর্জন দিয়ে দেই , সেই প্রাণের চাইতেও আমাদের নিকট অধিক মূল্যবান বা দামী হল স্বীয় দ্বীন। কি ঠিক তো ?

    তাহলে যেই অনিশ্চিত প্রাণ কে অল্প কিছুদিনের জন্য বাঁচিয়ে রাখার নিমিত্তে যেই পরিমাণ সম্পদ ব্যয় ও আত্মত্যাগ করতাম বা করি , সেই পরিমাণ সম্পদ ব্যয় বা আত্মত্যাগ কি আমরা করছি আমাদের দাবী অনুযায়ী আমাদের প্রাণের চাইতেও অধিক , আমাদের প্রাণের চাইতেও অধিক , আমাদের প্রাণের চাইতেও অধিক মূল্যবান দ্বীন আল ইসলামকে টিকিয়ে বা বাঁচিয়ে রাখার নিমিত্তে কিতাল ফি সাবিলিল্লাহতে !!! যেই দ্বীনের পতাকা আজ ধুলোয় ধূসরিত , যেই দ্বীন আজ মাজলুম । মুমূর্ষু এই দ্বীনকে পুনঃজাগরণের জন্য জ্বিহাদে তেমন সম্পদ বিসর্জন ও আত্মত্যাগ কি করছি আমরা , যেমন করতাম নিজ বা নিজ স্ত্রী-সন্তানের মুমূর্ষু প্রাণ বাঁচিয়ে তোলার জন্য ! আমি আবারো বলছি গভীর মনোযোগ দিয়ে একটু ভাবুন আমার ভাই - মুমূর্ষু এই দ্বীনকে পুনঃজাগরণের জন্য জ্বিহাদে কি আমরা তেমন সম্পদ বিসর্জন ও আত্মত্যাগ করছি , যেমন করতাম নিজ বা নিজ স্ত্রী সন্তানের মুমূর্ষু প্রাণ বাঁচিয়ে তোলার জন্য !!!

    তার মানে আমি এটা বলছিনা বা বুঝাচ্ছিও না যে আমি প্রাণ বাঁচাতে চিকিৎসা করতে নিরুৎসাহিত করছি । বরং আমি আমাদের বাস্তবতাটা বুঝাতে চেষ্টা করছি । আসলে এটাই হল আমাদের বাস্তবতা যে পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে আমি ঠিক-ই বেহিসাবি অঢেল অর্থ ব্যয় করে থাকি , এমনকি কঠিন না নাজুক পরিস্থিতিতে নিজ জীবনের সমস্ত অর্থ-সম্পদ-ও ব্যয় করে দিতে দ্বিধা বা কুণ্ঠাবোধ করিনা । তাহলে মুসলিম উম্মাহ কি আজ এক কঠিন থেকে কঠিনতর নাজুক পরিস্থিতির সম্মুখীন নয় ? নিজ বা নিজ পরিবারের ক্ষেত্রে যেমন চিন্তাহীনভাবে বেহিসাবি অকাতরে ব্যয় করি ঠিক তেমনিভাবে গোটা উম্মাহর কল্যাণে কিতাল ফি সাবিলিল্লাহতে চিন্তাহীনভাবে বেহিসাবি অকাতরে উদারহস্তে ব্যয় করতে তাহলে কেন আমি পারিনা ? ওহে সামর্থ্যবান বা বিত্তশালী ভাই আমার ! নিজ ছেলে-মেয়েদের অনিশ্চিত উজ্জ্বল ফিউচার এর বিবেচনা করে ঠিকই কিন্তু আমি দুনিয়ার ব্যাংক-ব্যালেন্স ফুল করে রাখি বা করতে থাকি , কিন্তু গারিব এই দ্বীনের গৌরবদীপ্ত ফিউচার বা স্বীয় পরকালিন সুনিশ্চিত চিরস্থায়ী ফিউচার এর জন্য কি এতোটুকু বা তার চাইতে পরিমাণে কিছুটা অধিক ব্যাংক-ব্যালেন্স জমা কি করেছি যতোটুকু করেছি স্রেফ অল্প কিছুদিনের এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার ব্যাংক-ব্যালেন্সে ?

    আসলে উম্মাহর দুর্যোগপূর্ণ এ ক্রান্তিলগ্নে আমাদের জ্বিহাদের পথে এমন এক ঝাঁক আত্মউৎসর্গকারী শক্তিশালী মজবুত দৃঢ় অলরাউন্ডারের প্রয়োজন যারা কিতালের মাঠে নিজ সাধ্যের সবটুকু ঢেলে দিবে । স্পেসিয়ালি – আমাদের এ ভূখণ্ডের বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী আমাদের এমন এক ঝাঁক মজবুত ও শক্তিশালী ডোনার এবং আনসারের প্রয়োজন যারা নিজ মানবিক মৌলিক চাহিদা বা একান্ত জরুরত পুরা করে অবশিষ্ট সব অর্থ বা সম্পদ জ্বিহাদ নামক ব্যাংকে সঞ্চয় করবে , যা একদিন আনলিমিতেড গুনে বর্ধিত হয়ে তার নিকট হাযিরা দিবে ইনশাআল্লাহ্* ।

    খাদ্য মানুষের মৌলিক চাহিদা ঠিক কিন্তু ব্যয়বহুল ভালো ভালো খাবার দ্বারা দেহ-মন-নফস কে হৃষ্টপুষ্ট করার নিমিত্তে নিজ বেতন বা ইনকাম এর এক বিশাল অংক খরচ করে দেওয়া হয়তো মৌলিক চাহিদা নয় । পোশাক গ্রহণ একান্ত জরুরী বটে কিন্তু প্রতিনিয়ত মূল্যবান দামী দামী পোশাক আর স্ত্রীর বৈধ শখ অলঙ্কার ক্রয় করে বৈধ বিলাসিতায় মত্ত থাকা হয়তো আমাদের মৌলিক চাহিদা নয় ।

    সুতরাং আমরা যদি কেবল আল্লাহ্*র সন্তুষ্টির জন্যে পুনরায় ধরণীর বুকে দ্বীন আল ইসলামের গৌরবদীপ্ত মানচিত্র অঙ্কনের তাগিদে একটু কষ্ট হলেও সংযমী হয়ে জীবনধারণ করতে পারি , তাহলে আমরা আমাদের বেতন বা মাসিক আয় থেকে একটা বড় অঙ্ক জ্বিহাদে ব্যয় করতে পারবো । আমরা সবাই তো জানি যে সম্মানিত সাবেকুন আউয়ালুন সাহাবিগণ নিজ সমস্ত অর্থ দিয়ে দিতেন জ্বিহাদের জরুরতে ।

    " তাবুক অভিযানে আব্দুর রাহমান ইবনে আউফ রাদিয়াল্লাহু আনহু রেকর্ড পরিমাণ অর্থ প্রদান করেন । আব্দুর রাহমান আট হাজার দিনার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাতে তুলে দিলে মুনাফিকরা কানাঘুষা শুরু করে দেয় । তারা বলতে থাকে সে একজন রিয়াকার , লোক দেখানই তাঁর উদ্দেশ্য । তাদের জবাবে আল্লাহ্* বলেন – এই তো সেই ব্যক্তি , যার উপর আল্লাহর রহমত নাযিল হতে থাকবে [ তাওবা- ৭১ ] । অন্য একটি বর্ণনায় আছে – উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর দান দেখে বলে ফেলেন – “ আমার মনে হচ্ছে আব্দুর রাহমান গুনাহগার হয়ে যাচ্ছে , সে তাঁর পরিবারের লোকদের জন্য কিছুই রাখেনি । একথা শুনে রাসুল জিজ্ঞেশ করলেন – আব্দুর রাহমান পরিবারের জন্য কিছু রেখেছো কি ? জবাবে তিনি বলেন – হ্যাঁ , আমি যা দান করেছি তার থেকেও বেশী ও উৎকৃষ্ট জিনিস তাদের জন্য রেখেছি । রাসুল জিজ্ঞেস করলেন – কতো ? তিনি জবাবে বললেন – আল্লাহ ও তাঁর রাসুল যে রিজিক , কল্যাণ ও প্রতিদানের অঙ্গীকার করেছেন , তাই । "


    " রাসুল সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নবুওয়াতের প্রকাশ্য ঘোষণা দেন , তখন আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর নিকট চল্লিশ হাজার দিরহাম ছিল । ইসলামের জন্য তিনি তাঁর সমস্ত সম্পদ ওয়াকফ করে দেন । তেরো বছর পর যখন তিনি রাসুল এর সাথে মাদিনায় হিজরত করেন তখন তাঁর কাছে এ অর্থের মাত্র আড়াই হাজার দিরহাম অবশিষ্ট ছিল । অল্পদিনের মধ্যে অবশিষ্ট আড়াই হাজার দিরহাম-ও ইসলামের জন্য ব্যয় করে দেন । আমার ভাই , চিন্তা করুণ সেই চোদ্দশত বছর আগের চল্লিশ হাজার দিরহাম ! আর এ কারণে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন – আমি প্রতিটি মানুষের ইহসান পরিশোধ করেছি কিন্তু আবু বকরের ইহসান সমুহ এমন যে তা পরিশোধ করতে আমি অক্ষম । তার প্রতিদান আল্লাহ দেবেন । তার অর্থ আমার উপকারে যেমন এসেছে অন্য কারো অর্থ তেমন আসেনি । ( আসহাবে রাসুলদের জীবনকথা – প্রথম খণ্ড – পৃষ্ঠা – ২২ ) "


    আবার কেউ নিজ সমস্ত সম্পদকে সমান ২ ভাগে ভাগ করে একভাগ রেখেছেন পরিবারের জন্য আরেকভাগ দিয়েছেন জ্বিহাদে , যেমন উমর বিন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু । কেউ আবার নিজ সমস্ত সম্পদকে সমান তিন ভাগে ভাগ করে এক ভাগ দিয়েছেন জ্বিহাদে এবং বাকি ২ ভাগ রেখেছেন নিজেদের জন্য । যেমন উসমান ইবনে আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু ।

    এখন যদি আমি প্রশ্ন করি যে - আমরা কে কে ঠিক আল্লাহ্*র আরসের নিচে স্থান পেতে চাই ? কিংবা আমরা কে কে মর্যাদায় সাবেকুন আউয়ালুন বা প্রথম অগ্রগামীদের কাতারে শামিল হতে চাই ? তাহলে মনে হয়না ওয়াজ মাহফিলের প্যান্ডেল এর ন্যায় কারো হাত নিচে থাকবে ।

    কিন্তু এখন যদি আমি জানতে চাই – আমরা কে কে আমাদের বেতন বা মাসিক মোট আয়ের এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ তিন ভাগের এক ভাগ আল্লাহ্*র বিধান কায়েমের লক্ষে জ্বিহাদ ফি সাবিলিল্লাহতে দিয়ে দিতে প্রস্তুত আছি ? যদিও তাতে আমার জীবনধারণ করতে কিছুটা কষ্টও হয় । হ্যাঁ একটু কষ্ট হবে বটে কিন্তু দুই ভাগ দিয়ে জীবনধারণ অসম্ভব কিছু নয় যাদের বেতন বা আয় একটু ভালো । তো এখন কত জনের হাত উপরে উঠেছে ? বা কতজন এখনই মনে মনে পাক্কা ইরাদা করেছেন যে - এই মাস থেকেই আমি আমার পরিবারিক খরচে কিছুটা সংযমী হয়ে আমার মোট মাসিক বেতন বা আয়ের তিন ভাগের এক ভাগ আল্লাহ্*র রাস্তায় আল্লাহ্*কে কর্যে হাসানা দিয়ে দিবো , আর ইনশাআল্লাহ্* মহা দুর্যোগপূর্ণ সময়ে যার লাভ-আসল সহ আনলিমিটেড বুঝে নিবো ।


    হে আল্লাহ্* ! যারা হাত তুলেছে বা ইরাদা করেছে আপনি তাঁদের কবুল করুন দয়া করে । আপনি আমাদেরকে এমন এক ঝাঁক অলরাউন্ডার বা ডোনার-আনসার-দায়ী তৈরি করে দিন জ্বিহাদ হবে যাঁদের নেশা এবং জ্বিহাদকে কেন্দ্র করেই যারা ঠিক করবে স্বীয় দুনিয়াবি পেশা । এমন ভাই – কিতাল হবে যাঁদের একমাত্র ক্যারিয়ার এবং শাহাদাহ হবে যাঁদের সেই ক্যারিয়ারে একমাত্র গোল বা অভীষ্ট লক্ষ্য । যা এচিব বা অর্জন করার জন্য তাঁরা হবে তুমুল প্রতিযোগিতায় লিপ্ত এবং সেই প্রতিযোগিতায় ফাস্ট ডিভিশনে পাশ করার লক্ষে যাঁদের কাজের গতি হবে অত্যন্ত ক্ষিপ্র ।

    সমস্ত প্রশংসা একমাত্র দয়াময় আল্লাহ্*রই জন্য , যিনি অত্যন্ত প্রাচুর্যময় ও প্রতাপশালী , বিধানদাতা ও সার্বভৌমত্তের অধিকারী ।

    প্রিয় ভাই , আশা করি আপনার আন্তরিক দুয়ায় আমাকে ভুলে জাবেন না , যেন অ্যাট ফার্স্ট আমি আমার কথাকে কাজে রূপ দিতে পারি ।
    ওয়াসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ...
    আর বহু নবী ছিলেন, যাঁদের সঙ্গী-সাথীরা তাঁদের অনুবর্তী হয়ে জেহাদ করেছে; আল্লাহর পথে-তাদের কিছু কষ্ট হয়েছে বটে, কিন্তু আল্লাহর রাহে তারা হেরেও যায়নি, ক্লান্তও হয়নি এবং দমেও যায়নি। আর যারা সবর করে, আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন। (আলে ইমরান ১৪৬)

  • #2
    আল্লাহ তায়ালা তাউফীক দান করুন, আমীন

    Comment


    • #3
      ভাই আমি কিভাবে ফোরামে পোস্ট করব? দয়াকরে জানাবেন

      Comment


      • #4
        মা'শা আল্লাহ - আল্লাহ আপনার এই আঞ্জাম কবুল করুন - আল্লাহ আপনাকে দ্বীনের জন্য কবুল করুন এবং আমাদের কেও - আমীন।
        মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি

        Comment


        • #5
          দুয়ার দরখাস্ত ভাই আল্লাহ যেন যে খরচে এখন মাস চলতে হয় তাঁর অন্তত ৩ ভাগের এক ভাগ কমানোর তৌফিক দেন।।

          Comment


          • #6
            মাশাআল্লাহ ভাই।

            খুবই সুন্দর ও হৃদয়গ্রাহী আলোচনা। আল্লাহ কবুল করুন।

            সকল ভাইকে এটি পড়ার আহবান করছি।
            কথা ও কাজের পূর্বে ইলম

            Comment


            • #7
              শুকরান...!!!
              আল্লাহ পাক আমাদের সে অনুযায়ী আমল করার তাওফিক দান করুন.. আমিন।

              Comment


              • #8
                মাশাআল্লাহ । মহান আল্লাহ আপনাকে কবুল করুন। ইনশাআল্লাহ আপনি আপনার কথাকে কাজে রূপ দিতে পারবেন । আমিন ।

                Comment


                • #9
                  orijinally posted by s_forayeji মা'শা আল্লাহ - আল্লাহ আপনার এই আঞ্জাম কবুল করুন - আল্লাহ আপনাকে দ্বীনের জন্য কবুল করুন এবং আমাদের কেও - আমীন।
                  আমিন ইয়া রাব্বাল আলামিন......

                  আর সম্মানিত দায়িত্বশীল ভাইয়েরা চাইলে আপনারা এই লিখাটিকে নিজ অধিনস্ত ভাইদের শেয়ার করতে পারেন । হয়তো আল্লাহ এর দ্বারা কিছু ফায়দা দান করতেও পারেন । আর আল্লাহই একমাত্র কবুলকারী ।
                  আর বহু নবী ছিলেন, যাঁদের সঙ্গী-সাথীরা তাঁদের অনুবর্তী হয়ে জেহাদ করেছে; আল্লাহর পথে-তাদের কিছু কষ্ট হয়েছে বটে, কিন্তু আল্লাহর রাহে তারা হেরেও যায়নি, ক্লান্তও হয়নি এবং দমেও যায়নি। আর যারা সবর করে, আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন। (আলে ইমরান ১৪৬)

                  Comment


                  • #10
                    জাযাকাল্লাহু খাইরান

                    Comment

                    Working...
                    X