Announcement

Collapse
No announcement yet.

প্রিয় মুজাহিদ ভাইয়েরা। একটি সুওয়াল।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • প্রিয় মুজাহিদ ভাইয়েরা। একটি সুওয়াল।

    বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। প্রিয় মুজাহিদ ভাইয়েরা। ঈমান আনার কোন ইবাদত মুমিনের উপর সবার আগে ফরজ? প্লিজ যদি যদি উত্তর দিতেন উপকৃত হতাম। উল্লেখ্য, শাইখ আব্দুল্লাহ আয্যাম রহ এর লিখিত একটি বই (( ঈমান আনার পর প্রথম ফরজ মুসলিম ভূমীর প্রতিরক্ষা)) এই বইটি নিয়েই সমস্যাটা হয়েছে। উলামাদের এক মজলিসে এ নিয়ে কথা হয়েছে, এই বইটিকে নিয়ে কেউকেউ বিদ্রূপ করেছে! নাউজুবিল্লা। উপস্থিত আলেমদের অনেকেই বলছিলো ঈমান আনার পর প্রথম ফরজ হলো নামায আর বই কি বলছি। প্লিজ ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিবেন যাতে বিরোধের জবাব দেওয়া যায়। জাযাকুমুল্লাহ।
    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدة ولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القاعدة
    سورة توبة ٤٦

  • #2
    ভাই আমার যতটুকু জানা আছে, ঈমান আনার পর নামাযই হচ্ছে প্রথম ফরয। এবং এটা তখন, যখন কিতাল ফরযে আঈন থাকেনা। কিন্তু যখন কিতাল ফর*যে আঈন হয়ে যায় তখন কিতাল প্রাধান্য পাবে। যেমনটি আমরা দেখতে পাই এক সাহাবীর ক্ষেত্রে। তিনি ঈমান আনার পর জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এখন আমার কাজ কী? তখন নবিজী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন জিহাদ করা। তখন সাহাবী সাথে সাথে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। আমার কাছে এই মুহুর্তে কোন কিতাব নেই তাই হাওলা দিতে পারলাম না। এবং বিস্তারিতও লিখতে পারলাম না। আর সঠিকতা সম্পর্কে আল্লাহই ভালো জানেন।

    Comment


    • #3
      وأما قتال الدفع فهو أشد أنواع دفع الصائل عن الحرمة والدين فواجب إجماعا فالعدو الصائل الذي يفسد الدين والدنيا لا شيء أوجب بعد الإيمان من دفعه فلا يشترط له شرط بل يدفع بحسب الإمكان وقد نص على ذلك العلماء أصحابنا وغيرهم. الفتاوى الكبرى (4\ 608)
      আর প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধঃ এটি সর্বপ্রকারের মধ্যে প্রচন্ডতম, মানসম্মান ইজ্জত এবং দ্বীনের উপর আগ্রাসন পরিচালনাকারিকে প্রতিহত করা এটি সর্ব সম্মত মতে ওয়াজিব।
      যেই আগ্রাসী শত্রু দ্বীন দুনিয়া ধ্বংস করে, ঈমানেরপর তাদের প্রতিহত করার চেয়ে বড় আর কোন কর্তব্য নেই, এই কারনেই এর জন্য কোন শর্তও প্রযোজ্য নয় বরং যতটুকু সম্ভব তাদেরকে প্রতিহতো করতে হবে । এর উপর আমাদের উলামাদের এবং অন্যান্য উলামায়ে কিরামের স্পষ্ট বক্তব্য রয়েছে ।(আল-ফাতাওয়াল কুবরা ৬০৪/৪)
      সাভাবিক অবস্থায় নামাজ ফরজ কিন্তু হাঙ্গামি /জরুরি অবস্থায় জিহাদই ফরজ , যদি অবস্থা এমন হয়ে যায় যে জিহাদের কাজে না থেকে নামাজে লিপ্ত হয়ে গেলে শত্রুর আক্রমনের কারনে দ্বীন দুনিয়া তসনস হয়ে যেতে পাড়ে , তখন জরুরত সারে পরিমানে নামাজলে পিছিয়ে দিয়ে জিহাদের কাজচাল রাখতে হবে। যেমন গাজওয়ায়ে আহযাব/খন্দকের যুদ্ধে রাসুল সাল্লাহু আলাইহি ও্যাসাল্লাম এবং সাহাবায়ে কিরাম একাধিকবার নামাজ কে ছেড়ে দিয়ে শত্রু প্রতিহত করার যুদ্ধ করতে থেকে ছেন।
      আর একটি বাস্তবতা ও এমন যে সব নামধারি মুসলমান জিহাদ কি বুঝেনা তাদের অনেকেই কাফেরদের প্ররোচনায় কাফেরদের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে জিহাদকে সন্ত্রাস মুজাহিদীনকে জঙ্গিবাদি বলে নিন্দা ও বিরোধিতা করছে, অথচ এদের অনেকেই নামাজ কালাম পড়ে , আচ্ছা বলোন কেহ যদি বলে
      'জিহাদীদের ঘৃণা করি, তবে ইসলাম আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সুন্দর দিক যদিও এটি শুনতে গতানুগতিক মনে হয় তবুও এটি বলা ছাড়া আর কোনো উত্তর নেই যে, যারা ইসলামী জিহাদের নাম করে নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে তারা ইসলামকে পুরোপুরিই ত্যাগ করেছে। এটি বলতেও অনেক কষ্ট হয় যে আমার মত বিশ্বাসী মুসলিমদের কেমন খারাপ লাগে যখন তারা দেখে যে, কিছু ধর্ম ত্যাগী আল্লাহর প্রতি এবং নবীর(সাঃ) প্রতি বিশ্বাসকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে সন্ত্রাস চালিয়ে যায়। এটি খুবই হৃদয়বিদারক।
      কিন্তু শুধুমাত্র সন্ত্রাসীরাই ইসলামকে বিকৃত করছে তা নয়, তারাও ইসলামকে বিকৃত করছে যারা ইসলামের নাম করে নারীদেরকে অধীন করতে চায়। ইসলাম নারীদের বিষয়ে একেবারেই পরিষ্কার আর তা হচ্ছে নারীরা পুরুষদের মত একই বিশ্বাস এবং একই ভাবেই প্রার্থনা করে। নারীরা পুরুষদের মতই সমানভাবে অধিকারী, তারা তাদের বিবাহের ক্ষেত্রে এবং তালাকের ক্ষেত্রেও স্বাধীন, তারা সম্পদ অর্জন এবং তা অধিকার করে রাখা এবং অন্য অনেক কিছুর ক্ষেত্রেই স্বাধীন।
      এটি সেই ইসলাম যাকে আমি ভালোবাসি, যা আমাকে পুরোপুরি স্বাধীনতা দিয়েছে।'
      দ্যা স্পেকটাটর ডট কমে প্রকাশিত ডা. কানতা এ. আহমেদের কলাম থেকে।

      এই মার্কা নামাজি মুসলিমের কি আজ কোন অভাব আছে? কিন্তু কতজন মুজাহিদ এমন আছে যে ইসলামের অকাট্য কোন বিষয় অস্বীকার করার কারনে বে-ঈমান ।

      নামাজ মগজ কিন্তু জিহাদ মাথার খুলি , বাহিরের আক্রমন থেকে বাচতে হলে আগে কোনটি রক্ষার কাজ করতে হবে । জিহাদ; নামাজ সহ সব আমলের রক্ষাকবচ। এটিই বলেছেন আল্লামা ইবনে তাইমিয়া রাঃ শায়খ আব্দুল্লাহ আযযাম রহঃ এখানে শ্রেষ্টত্বের তোলনা করা হয়নি , আগে কোনটি করনীয় সেটি বলা হচ্ছে, আগে ওযু না নামাজ? ওজু না করে এর পরিবর্তে চার রাকাত নামাজ বেশী পড়ে নিলে কী অবস্থা হবে? এই মার্কা বেশীনামাজিদেরদ্বারা সমাজ ভরে গিয়েছে। আল্লাহ সহীহ বুঝ দিন আমল করার তাওফীক নছীব করেন।

      Comment


      • #4
        জাযাকুমুল্লাহ।
        والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

        Comment


        • #5
          প্রশান্তিকারী জবাব জাযাকাল্লাহ, ভাই এ বিষয়ে আরো তথ্য সহ একটি পিডিএফ করা প্রয়োজন।

          Comment


          • #6
            জাযাকাল্লাহ ভাইয়েরা।
            والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

            Comment


            • #7
              গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। জাযাকুমুল্লাহ ভাইয়েরা।
              ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

              Comment


              • #8
                প্রিয় ভাইয়েরা, নামাযির কতটুকু সামনে দিয়ে গেলে ব্যক্তি গোনাহগার হবে???
                ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

                Comment


                • #9
                  Massaallaha vai khuv sundor vaba uposthapon korasan.

                  Comment


                  • #10
                    হে আল্লাহ! তুমি ভাইদের ইল্মি বারাকা আরো বাড়িয়ে দাও আমিন!
                    فمن یکفر بالطاغوت ویٶمن بالله فقد استمسک بالعروت الوثقی'
                    کم من فاة قلیلة غلبت فاة کثیرة باذن الله

                    Comment


                    • #11
                      সবাইকে ধন্যবাদ
                      ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدة ولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القاعدة
                      سورة توبة ٤٦

                      Comment


                      • #12
                        আল্লাহ তা‘আলা আসান করে দিন। আমীন
                        এই বিষয়ে ইলম ও জিহাদ ভাইয়ের একটি লেখা ইতিপূর্বে ফোরামে দেখেছিলাম মনে হচ্ছে...যদি মুহতারাম ভাই একটু এগিয়ে আসতেন ভালো হত। জাযাকুমুল্লাহ
                        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                        Comment


                        • #13
                          চমৎকার জবাব আলহামদুলিল্লাহ!
                          আমরা হয়তো বাঁচি, নয়তো শহীদ হই!

                          Comment

                          Working...
                          X