Announcement

Collapse
No announcement yet.

নয়-এগারো কী শিখালো! কাদের স্বার্থে হামলা হলো!? -খালিদ মুন্তাসির

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • নয়-এগারো কী শিখালো! কাদের স্বার্থে হামলা হলো!? -খালিদ মুন্তাসির


    নয়-এগারো কী শিখালো! কাদের স্বার্থে হামলা হলো!?

    -খালিদ মুন্তাসির



    ডাউনলোড করুন:
    PDF:

    http://www.mediafire.com/file/f2aql2...82%29.pdf/file
    https://archive.org/details/Masum_tuta_2

    https://mega.nz/#!DvB0iQIZ!2qRCSPxkb...bjQkTnUmcZU8xM
    DOCX:

    http://www.mediafire.com/file/b8c9ro...2%29.docx/file

    https://archive.org/details/Masum_tuta_2_201809

    https://mega.nz/#!OzAEgQob!KhUjWC-Of...F1o6nKKUzQS-3k


    অনলাইনে পড়ুন- https://justpaste.it/9-11_ki_shikhalo

    Last edited by আবুল ফিদা; 09-14-2018, 03:51 AM.
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    নয়-এগারো কী শিখালো! কাদের স্বার্থে হামলা হলো!?

    -খালিদ মুন্তাসির

    ইতিহাসের মোড় ঘুরানো হামলা বলে অবহিত করেন অনেকে। অনেকে বলে থাকেন মুসলিম জাতির পক্ষ থেকে এ ছিল এক চরম প্রতিশোধ। যে যাই বলুক না কেন, ৯/১১ হামলা যে মুসলিম জাতিকে পুনর্জাগরিত করতে অসামান্য অবদান রেখেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। চতুর্দিকে নির্যাতনের কবলে থাকা মুসলিমদের অন্তরাত্মা কুফফার জাতির ভয়ে যখন ভীত ছিল, ৯/১১-এর বরকতময় হামলা সেই অন্তরগুলোতে ইমানের নূরকে জ্বালিয়ে দিয়েছিল। এ এক বরকতময় হামলা, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অনুগ্রহে অল্প কয়েকজন জানবায মুজাহিদ উক্ত হামলায় সফলতা লাভ করেন। এটা কারো ব্যক্তিগত সফলতা নয়, বরং সমগ্র মুসলিমজাতির সফলতা। এ সফলতার পথ ধরেই পরবর্তীতে মুসলিম সিংহশাবকরা জেগে ওঠেছে বিশ্বব্যাপী। কুফরের অন্ধকারে নিমজ্জিত, ধর্মনিরপেক্ষ শাসকগোষ্ঠীর হাতে নির্যাতিত মাজলুম উম্মাহকে পুনরুজ্জীবিত করেছে এই হামলা। অতঃপর, কুফুরী বিধান দ্বারা মুসলিম ভূমি পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে হাতে অস্ত্র তুলে নিতে সহায়তা করেছে। গোলামীর জিঞ্জির ভেঙ্গে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নেওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছে। কেবল স্বপ্নই দেখায়নি, বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রতিষ্ঠা করেছে।
    ৯/১১-কে যারা যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিমবিরোধী আগ্রাসনের জন্য দায়ী করে থাকে, মুসলিমদের পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিন হারানোর ইতিহাস তাদের জানা নেই, যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক অবরোধে লাখ লাখ মুসলিম শিশুর মৃত্যুবরণ সম্পর্কে তাদের জানা নেই। আল্লাহর কসম! তারা জানে না যে- এই যুক্তরাষ্ট্রই মুসলিমদের ভূমিগুলোকে আদর্শিকভাবে দখল করে রেখেছিল, আর মুসলিমদের উপর তাদের পুতুল শাসকদের চাপিয়ে দিয়েছিল, যারা মুসলিমদের রক্ত চুষে খেত! আরব ভূমিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সমাবেশ সম্পর্কেও যারা অজ্ঞ, যারা জানে না যুক্তরাষ্ট্রের ইসলাম ধ্বংসের পরিকল্পনা সম্পর্কে; কেবল তাদেরই ধারণা হলো- ৯/১১-এর জন্যই যুক্তরাষ্ট্র মুসলিমদের উপর আগ্রাসী হয়েছে। বিপরীতে বাস্তবতা হলো- এই যুক্তরাষ্ট্র মুসলিমদের বিরুদ্ধে পূর্ব থেকেই আগ্রাসী, ইসলামকে ধ্বংসের প্রধান পরিকল্পনাকারী! আর ৯/১১-এর হামলা তো ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইসলামের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের একটি জবাবমাত্র! সে আঘাত যুক্তরাষ্ট্র সহ্য করতে পারেনি, মুসলিমদের প্রতি তার বিদ্বেষ তখন প্রকাশিত করে দিল বিশ্ববাসীর সামনে! তার দম্ভ তাকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সামরিক হামলা করতে প্ররোচিত করেছে। অতঃপর, সেই হামলার ফলাফল আজ আমাদের সামনে, আমরা প্রত্যক্ষ করছি কীভাবে আমেরিকা ইরাক থেকে পলায়ন করেছে! আফগানিস্তান থেকে লেজগুটিয়ে পালানোর পথ খুঁজছে! তার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এ পর্যায়ে এসেছে যে, বিশ্বের কুফফার জাতির মুখপাত্র মিথ্যাবাদী হলুদ মিডিয়াগুলো পর্যন্ত তা প্রকাশ করতে বাধ্য হচ্ছে!! যদিও, এই মুখপাত্রগুলোই পাত্রের মুখকে ঢেকে ৯/১১ এর বাস্তবতা সম্পর্কে লোকদেরকে অন্ধকারে রেখেছে! পূর্বে যুদ্ধ অনেকটা একমুখী ছিল, কেবল কাফেররাই মুসলিমদের উপর নির্যাতন করে এসেছে, হত্যা করেছে; কিন্তু ৯/১১ এর পর যুদ্ধ উভয়মুখী রূপ লাভ করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মাজলুম উম্মাহ জালিমের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে, কেননা অত্যাচারীর হুংকারকে ভয় পাওয়ার দিন শেষ হয়ে গেছে! তারা এখন প্রতিশোধ নিতে শিখেছে।
    যাইহোক, এদিকে মুসলিমদের চলমান পবিত্র জিহাদকে ‘সন্ত্রাসী’ অপবাদ লাগাতে পশ্চিমা মিডিয়াগুলো চেষ্টার কোন ত্রুটি করছে না! মুজাহিদীন সম্পর্কে মুসলিমদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে তারা নানা প্রকারের চক্রান্ত করে থাকে, যার কতগুলো হয় অতি নিকৃষ্ট প্রকারের মিথ্যাচার, আর কতগুলো হয় অধিকমাত্রায় হাস্যকর ও লজ্জাজনক!! সবমিলিয়ে মুসলিমদের চলমান জিহাদকে নিয়ে তাদের প্রকাশিত প্রায় প্রতিটা প্রকাশনায়ই থাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতারণাপূর্ণ! এর একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো- সম্প্রতি আফগানিস্তানের তালেবান মুজাহিদগণ সম্পর্কে ‘প্রথম আলো’ নামক একটি সংবাদমাধ্যমের করা মন্তব্য! পত্রিকাটির অনলাইন ভার্সনে ‘ নয়-এগারো কী শেখাল?' শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে তালেবান মুজাহিদীন সম্পর্কে বলেছে-
    ‘ অথচ আফগানিস্তানের তালেবানদের পেলে-পুষে বড় করেছিল যুক্তরাষ্ট্রই। অভিযোগ আছে, আফগানিস্তানে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের আগ্রাসনের পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবেই তালেবানকে দুধকলা দিয়েছিল ওই সময়কার মার্কিন প্রশাসন। ’ [প্রথম আলো]
    কথিত ঐ সংবাদমাধ্যমটি সর্বজ্ঞ ভাব ধরতে গিয়ে খুব মারাত্মক একটি মিথ্যাচার করে ফেলেছে!! বরং, বিজ্ঞ লোকদের নিকট এটা হাস্যকরও মনে হতে পারে। কেননা, ‘ প্রথম আলো’ র উপরোক্ত মন্তব্যটি কোন সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে হওয়ার আশা করা যায় না। ‘প্রথম আলো’র দাবি হলো- তালেবান মুজাহিদীনকে রুশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করেছিল। অথচ, মাথামোটা মিডিয়াটি মিথ্যাচার করার পূর্বে এ কথাটি একটিবারও ভাবেনি যে, তালেবান প্রতিষ্ঠাই তো হয়েছে ১৯৯৪ সালে, আর রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ হয়েছে ১৯৮৯ সালে! তাহলে, ঐ যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কী করে তালেবানদের সাহায্য করলো!?!
    এই সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতি আমার আরো কিছু প্রশ্ন, সংশয় রয়ে যায়! আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদন বিষয়ে সম্পৃক্ত করেও বিভিন্ন সময় তালেবানদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার-মিথ্যাচার করতে দেখেছি কথিত ‘প্রথম আলো’ নামক সংবাদমাধ্যমটিকে! তারা বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলেছে যে, আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদনে তালেবান মুজাহিদগণ জড়িত এবং আফিম রপ্তানি করে উপার্জিত অর্থ তালেবান মুজাহিদগণ কাজে লাগান!! (নাউযুবিল্লাহ) কেবল ধারণা করে এরকম জঘন্য অপবাদ, মিথ্যাচার তারা তালেবানদের নামে প্রচার করে। তাদের মিথ্যাচারের জবাবে আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও যৌক্তিক বিশ্লেষণ তুলে ধরার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
    আফগানিস্তানে সর্বপ্রথম আফিম সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ! যদিও এর পূর্বে স্বল্প মাত্রায় আফিমের চাষ হতো বলে জানা যায়। দক্ষিণ এশিয়ায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার কোন ত্রুটি ছিল না কখনোই! কেননা, এই অঞ্চল থেকে যুগে যুগে লুটেরার দল, যা পেরেছে নিজ দেশে পাচার করেছে! যুক্তরাষ্ট্রেরও সেরকম একটা ধ্যান-ধারণা অবশ্যই ছিল বলে বিশ্লেষকগণ মনে করেন। আর, সেজন্য প্রয়োজন এই অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার এবং এ ভূমির মানুষদেরকে শোষণ করার ক্ষমতা অর্জন! সে লক্ষ্যেই যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান অভিযান শুরু করে। তার এই অভিযান কিন্তু ২০০১ সালে আফগানে হামলা করার মাধ্যমে নয়, বরং আরো পূর্ব থেকেই শুরু! যাইহোক, সিআইএ-এর আফিম সরবরাহের পর আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদন শুরু হয় এবং সেগুলো পাচার হতো পশ্চিমা দেশগুলোতে! বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে!! তারপর, রাশিয়ার পলায়নের পর ক্ষমতালোভী জালিম সরকারের কবল থেকে আফগান জাতিকে উদ্ধারে অস্ত্র ধরেন তালেবান মুজাহিদগণ। খুব দ্রুতই দেশটিতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন তালেবানরা। ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক শাসনকার্য পরিচালনা করা শুরু করেন। কিন্তু, দীর্ঘ সময়ের যুদ্ধে বিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে উত্তম অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে সময়ের প্রয়োজন। তালেবান সরকার অতি অল্প সময়ে জনসাধারণের মন জয় করে নিতে সক্ষম হন এবং কেবল বছরখানেকের মধ্যেই পশ্চিমাদের সরবরাহ করা আফগানজাতির জন্য বিষস্বরূপ আফিম উৎপাদনকে শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসেন। যা স্বীকার করতে বাধ্য হয় জাতিসংঘও! কিন্তু, যুক্তরাষ্ট্রের আফগান হামলার পর তালেবান সরকারের পতন ঘটলে আবারও সুযোগ সৃষ্টি হয় আফিম উৎপাদনের। আর, সে কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ‘সিআইএ’ পুনরায় ফিরে আসে আফিম উৎপাদনে! তারা পাকিস্তান বর্ডারসহ আফগানিস্তানের বিশাল ভূমিতে পুনরায় আফিম উৎপাদন শুরু করে। দ্যা গার্ডিয়ান’এর সূত্রানুসারে, ২০০৩ সালে আফগানিস্তানের জিডিপি’র ৬২% আসে আফিম থেকে!! [সূত্র: https://www.theguardian.com/news/201...n-afghanistan]
    অতঃপর ঘটে গেল অদ্ভুত ঘটনা!!!! যারা আফিম উৎপাদন বন্ধ করে শূন্যের কোঠায় নিয়ে এসেছিল, সেই তালেবানদের *বিরুদ্ধেই অপবাদ দিল আফিম উৎপাদনের!! আর, যারা আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদনের শুরু করেছে, মিডিয়া তাদেরকে বানিয়ে দিল আফিম উৎপাদনে বাধাদানকারী রূপে!!! খুবই অদ্ভুত!! এভাবে চলতে থাকলো, আর দিনে দিনে আফিম উৎপাদন এত বেশি বেড়ে গেল যে আফগানিস্তান উঠে গেল আফিম উৎপাদনে শীর্ষে!
    আর, এদিকে আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদন বন্ধ করার দাবিদারদের নিজের দেশে মাদকাসক্তদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেল! ক্ল্যারি ফেল্টার নামক এক আমেরিকান বিশ্লেষকের মন্তব্য হলো- যুক্তেরাষ্ট্রে মাদকাসক্ত মহামারী আকার ধারণ করেছে! ২০১৭ সালের ২৬শে ডিসেম্বর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রকে ঝাঁপটে ধরা সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মাদক! প্রতি সপ্তাহে আফিম সংক্রান্ত মাদকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা লোকের সংখ্যা ৮ শতাধিক!! প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়, মিলিয়ন মিলিয়ন আমেরিকান আফিমে আসক্ত!! [ সূত্র: https://www.cfr.org/backgrounder/us-opioid-epidemic]
    সুবহানাআল্লাহ! একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের ভূমি আফগানিস্তান আফিম উৎপাদনে শীর্ষে! আরেকদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে আফিমে আসক্ততা মহামারী আকার ধারণ করেছে!! কত মিল দুই জায়গায়!
    তাহলে কারা আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদনের নেপথ্যে অবদান রাখছে!!! ??? জবাব চাই কথিত সংবাদমাধ্যমগুলোর থেকে। আজ যারা আফগানিস্তানের অধিকাংশ এলাকা তালেবানদের নিয়ন্ত্রাধীন বিবেচনায় আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদনের সমস্ত দোষারূপ তালেবানদের করে থাকে তাদের এই আফিম উৎপাদনের পূর্ব ইতিহাস জানা উচিত। আফিম উৎপাদনের সাথে মিথ্যাচার করে তালেবানকে জড়ানো যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম কূটচালগুলোর একটি! এতে, তাদের দুইটা ফায়দা আছে বলে মনে হয়- এক. যুক্তরাষ্ট্র যে এই আফিম উৎপাদনের শীর্ষ উদ্যোক্তা, তা যেন ঢাকা পড়ে যায়! আর, দুই. তালেবানদের দোষারূপ করার মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বিশেষ করে মুসলিমবিশ্বে তালেবানদের প্রতি বিদ্বেষ এবং ঘৃণা ছড়ানোর অপচেষ্টা!
    কিন্তু, তাদের কূটচালের বিপরীতে আল্লাহও পরিকল্পনা করেন। আর আল্লাহই সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী। এতসব কূটচালের পরেও আফগানিস্তানে কুফফার যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোটের পরাজয়ের বিষয়টি সুস্পষ্ট, এখন তারা পলায়নের পথ খুঁজছে! আর, তালেবানরা তাদের বিরুদ্ধে আরোপ করা শত অপবাদে কর্ণপাত না করে সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর ভরসা রেখে লড়াই চালিয়ে গেছেন এবং যাচ্ছেন। ফলাফলে কাফেরদের সকল কূটচালকে আল্লাহ ব্যর্থ করে দিয়েছেন এবং মুজাহিদীনের বিজয়ের পথকে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন, আর উন্মোচিত করেছেন মুসলিম উম্মাহর শত্রুর মুখোশকে!
    ৯/১১ হামলার পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের হিংস্র চেহারা বিশ্ববাসী দেখতে পেয়েছে, দেখতে পেয়েছে প্রতারক পশ্চিমাদের আসল রূপ! ৯/১১ হামলার পরে আমেরিকার পাশাপাশি মুসলিম ভূমিগুলোকে কুফুরীবিধান দিয়ে পরিচালনাকারী কুফফারদের দালাল নামধারী মুসলিম শাসকগোষ্ঠীর মুখোশও উন্মোচিত হয়েছে। মুসলিমদেরকে জীবন বিলিয়ে ইমান রক্ষার শিক্ষা দিয়েছে, লাঞ্চিত উম্মাহকে সম্মানের পথ দেখিয়েছে, জালিমের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিয়েছে; সর্বোপরি, ৯/১১ এর বরকতময় হামলা ছিল মুসলিমদের স্বার্থে এবং ইসলামের পুনর্জাগরণের জন্য। জালিমের শাসনকে ধ্বংস করে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার সাহসী পদক্ষেপ ছিল ৯/১১ ইতিহাসের মোড় ঘুরানো হামলা বলে অবহিত করেন অনেকে। অনেকে বলে থাকেন মুসলিম জাতির পক্ষ থেকে এ ছিল এক চরম প্রতিশোধ। যে যাই বলুক না কেন, ৯/১১ হামলা যে মুসলিম জাতিকে পুনর্জাগরিত করতে অসামান্য অবদান রেখেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। চতুর্দিকে নির্যাতনের কবলে থাকা মুসলিমদের অন্তরাত্মা কুফফার জাতির ভয়ে যখন ভীত ছিল, ৯/১১-এর বরকতময় হামলা সেই অন্তরগুলোতে ইমানের নূরকে জ্বালিয়ে দিয়েছিল। এ এক বরকতময় হামলা, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অনুগ্রহে অল্প কয়েকজন জানবায মুজাহিদ উক্ত হামলায় সফলতা লাভ করেন। এটা কারো ব্যক্তিগত সফলতা নয়, বরং সমগ্র মুসলিমজাতির সফলতা। এ সফলতার পথ ধরেই পরবর্তীতে মুসলিম সিংহশাবকরা জেগে ওঠেছে বিশ্বব্যাপী। কুফরের অন্ধকারে নিমজ্জিত, ধর্মনিরপেক্ষ শাসকগোষ্ঠীর হাতে নির্যাতিত মাজলুম উম্মাহকে পুনরুজ্জীবিত করেছে এই হামলা। অতঃপর, কুফুরী বিধান দ্বারা মুসলিম ভূমি পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে হাতে অস্ত্র তুলে নিতে সহায়তা করেছে। গোলামীর জিঞ্জির ভেঙ্গে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নেওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছে। কেবল স্বপ্নই দেখায়নি, বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রতিষ্ঠা করেছে।
    ৯/১১-কে যারা যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিমবিরোধী আগ্রাসনের জন্য দায়ী করে থাকে, মুসলিমদের পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিন হারানোর ইতিহাস তাদের জানা নেই, যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক অবরোধে লাখ লাখ মুসলিম শিশুর মৃত্যুবরণ সম্পর্কে তাদের জানা নেই। আল্লাহর কসম! তারা জানে না যে- এই যুক্তরাষ্ট্রই মুসলিমদের ভূমিগুলোকে আদর্শিকভাবে দখল করে রেখেছিল, আর মুসলিমদের উপর তাদের পুতুল শাসকদের চাপিয়ে দিয়েছিল, যারা মুসলিমদের রক্ত চুষে খেত! আরব ভূমিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সমাবেশ সম্পর্কেও যারা অজ্ঞ, যারা জানে না যুক্তরাষ্ট্রের ইসলাম ধ্বংসের পরিকল্পনা সম্পর্কে; কেবল তাদেরই ধারণা হলো- ৯/১১-এর জন্যই যুক্তরাষ্ট্র মুসলিমদের উপর আগ্রাসী হয়েছে। বিপরীতে বাস্তবতা হলো- এই যুক্তরাষ্ট্র মুসলিমদের বিরুদ্ধে পূর্ব থেকেই আগ্রাসী, ইসলামকে ধ্বংসের প্রধান পরিকল্পনাকারী! আর ৯/১১-এর হামলা তো ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইসলামের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের একটি জবাবমাত্র! সে আঘাত যুক্তরাষ্ট্র সহ্য করতে পারেনি, মুসলিমদের প্রতি তার বিদ্বেষ তখন প্রকাশিত করে দিল বিশ্ববাসীর সামনে! তার দম্ভ তাকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সামরিক হামলা করতে প্ররোচিত করেছে। অতঃপর, সেই হামলার ফলাফল আজ আমাদের সামনে, আমরা প্রত্যক্ষ করছি কীভাবে আমেরিকা ইরাক থেকে পলায়ন করেছে! আফগানিস্তান থেকে লেজগুটিয়ে পালানোর পথ খুঁজছে! তার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এ পর্যায়ে এসেছে যে, বিশ্বের কুফফার জাতির মুখপাত্র মিথ্যাবাদী হলুদ মিডিয়াগুলো পর্যন্ত তা প্রকাশ করতে বাধ্য হচ্ছে!! যদিও, এই মুখপাত্রগুলোই পাত্রের মুখকে ঢেকে ৯/১১ এর বাস্তবতা সম্পর্কে লোকদেরকে অন্ধকারে রেখেছে! পূর্বে যুদ্ধ অনেকটা একমুখী ছিল, কেবল কাফেররাই মুসলিমদের উপর নির্যাতন করে এসেছে, হত্যা করেছে; কিন্তু ৯/১১ এর পর যুদ্ধ উভয়মুখী রূপ লাভ করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মাজলুম উম্মাহ জালিমের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে, কেননা অত্যাচারীর হুংকারকে ভয় পাওয়ার দিন শেষ হয়ে গেছে! তারা এখন প্রতিশোধ নিতে শিখেছে।
    যাইহোক, এদিকে মুসলিমদের চলমান পবিত্র জিহাদকে ‘সন্ত্রাসী’ অপবাদ লাগাতে পশ্চিমা মিডিয়াগুলো চেষ্টার কোন ত্রুটি করছে না! মুজাহিদীন সম্পর্কে মুসলিমদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে তারা নানা প্রকারের চক্রান্ত করে থাকে, যার কতগুলো হয় অতি নিকৃষ্ট প্রকারের মিথ্যাচার, আর কতগুলো হয় অধিকমাত্রায় হাস্যকর ও লজ্জাজনক!! সবমিলিয়ে মুসলিমদের চলমান জিহাদকে নিয়ে তাদের প্রকাশিত প্রায় প্রতিটা প্রকাশনায়ই থাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতারণাপূর্ণ! এর একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো- সম্প্রতি আফগানিস্তানের তালেবান মুজাহিদগণ সম্পর্কে ‘প্রথম আলো’ নামক একটি সংবাদমাধ্যমের করা মন্তব্য! পত্রিকাটির অনলাইন ভার্সনে ‘ নয়-এগারো কী শেখাল?' শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে তালেবান মুজাহিদীন সম্পর্কে বলেছে-
    ‘ অথচ আফগানিস্তানের তালেবানদের পেলে-পুষে বড় করেছিল যুক্তরাষ্ট্রই। অভিযোগ আছে, আফগানিস্তানে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের আগ্রাসনের পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবেই তালেবানকে দুধকলা দিয়েছিল ওই সময়কার মার্কিন প্রশাসন। ’ [প্রথম আলো]
    কথিত ঐ সংবাদমাধ্যমটি সর্বজ্ঞ ভাব ধরতে গিয়ে খুব মারাত্মক একটি মিথ্যাচার করে ফেলেছে!! বরং, বিজ্ঞ লোকদের নিকট এটা হাস্যকরও মনে হতে পারে। কেননা, ‘ প্রথম আলো’ র উপরোক্ত মন্তব্যটি কোন সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে হওয়ার আশা করা যায় না। ‘প্রথম আলো’র দাবি হলো- তালেবান মুজাহিদীনকে রুশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করেছিল। অথচ, মাথামোটা মিডিয়াটি মিথ্যাচার করার পূর্বে এ কথাটি একটিবারও ভাবেনি যে, তালেবান প্রতিষ্ঠাই তো হয়েছে ১৯৯৪ সালে, আর রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ হয়েছে ১৯৮৯ সালে! তাহলে, ঐ যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কী করে তালেবানদের সাহায্য করলো!?!
    এই সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতি আমার আরো কিছু প্রশ্ন, সংশয় রয়ে যায়! আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদন বিষয়ে সম্পৃক্ত করেও বিভিন্ন সময় তালেবানদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার-মিথ্যাচার করতে দেখেছি কথিত ‘প্রথম আলো’ নামক সংবাদমাধ্যমটিকে! তারা বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলেছে যে, আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদনে তালেবান মুজাহিদগণ জড়িত এবং আফিম রপ্তানি করে উপার্জিত অর্থ তালেবান মুজাহিদগণ কাজে লাগান!! (নাউযুবিল্লাহ) কেবল ধারণা করে এরকম জঘন্য অপবাদ, মিথ্যাচার তারা তালেবানদের নামে প্রচার করে। তাদের মিথ্যাচারের জবাবে আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও যৌক্তিক বিশ্লেষণ তুলে ধরার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
    আফগানিস্তানে সর্বপ্রথম আফিম সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ! যদিও এর পূর্বে স্বল্প মাত্রায় আফিমের চাষ হতো বলে জানা যায়। দক্ষিণ এশিয়ায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার কোন ত্রুটি ছিল না কখনোই! কেননা, এই অঞ্চল থেকে যুগে যুগে লুটেরার দল, যা পেরেছে নিজ দেশে পাচার করেছে! যুক্তরাষ্ট্রেরও সেরকম একটা ধ্যান-ধারণা অবশ্যই ছিল বলে বিশ্লেষকগণ মনে করেন। আর, সেজন্য প্রয়োজন এই অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার এবং এ ভূমির মানুষদেরকে শোষণ করার ক্ষমতা অর্জন! সে লক্ষ্যেই যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান অভিযান শুরু করে। তার এই অভিযান কিন্তু ২০০১ সালে আফগানে হামলা করার মাধ্যমে নয়, বরং আরো পূর্ব থেকেই শুরু! যাইহোক, সিআইএ-এর আফিম সরবরাহের পর আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদন শুরু হয় এবং সেগুলো পাচার হতো পশ্চিমা দেশগুলোতে! বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে!! তারপর, রাশিয়ার পলায়নের পর ক্ষমতালোভী জালিম সরকারের কবল থেকে আফগান জাতিকে উদ্ধারে অস্ত্র ধরেন তালেবান মুজাহিদগণ। খুব দ্রুতই দেশটিতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন তালেবানরা। ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক শাসনকার্য পরিচালনা করা শুরু করেন। কিন্তু, দীর্ঘ সময়ের যুদ্ধে বিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে উত্তম অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে সময়ের প্রয়োজন। তালেবান সরকার অতি অল্প সময়ে জনসাধারণের মন জয় করে নিতে সক্ষম হন এবং কেবল বছরখানেকের মধ্যেই পশ্চিমাদের সরবরাহ করা আফগানজাতির জন্য বিষস্বরূপ আফিম উৎপাদনকে শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসেন। যা স্বীকার করতে বাধ্য হয় জাতিসংঘও! কিন্তু, যুক্তরাষ্ট্রের আফগান হামলার পর তালেবান সরকারের পতন ঘটলে আবারও সুযোগ সৃষ্টি হয় আফিম উৎপাদনের। আর, সে কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ‘সিআইএ’ পুনরায় ফিরে আসে আফিম উৎপাদনে! তারা পাকিস্তান বর্ডারসহ আফগানিস্তানের বিশাল ভূমিতে পুনরায় আফিম উৎপাদন শুরু করে। দ্যা গার্ডিয়ান’এর সূত্রানুসারে, ২০০৩ সালে আফগানিস্তানের জিডিপি’র ৬২% আসে আফিম থেকে!! [সূত্র: https://www.theguardian.com/news/201...n-afghanistan]
    অতঃপর ঘটে গেল অদ্ভুত ঘটনা!!!! যারা আফিম উৎপাদন বন্ধ করে শূন্যের কোঠায় নিয়ে এসেছিল, সেই তালেবানদের *বিরুদ্ধেই অপবাদ দিল আফিম উৎপাদনের!! আর, যারা আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদনের শুরু করেছে, মিডিয়া তাদেরকে বানিয়ে দিল আফিম উৎপাদনে বাধাদানকারী রূপে!!! খুবই অদ্ভুত!! এভাবে চলতে থাকলো, আর দিনে দিনে আফিম উৎপাদন এত বেশি বেড়ে গেল যে আফগানিস্তান উঠে গেল আফিম উৎপাদনে শীর্ষে!
    আর, এদিকে আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদন বন্ধ করার দাবিদারদের নিজের দেশে মাদকাসক্তদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেল! ক্ল্যারি ফেল্টার নামক এক আমেরিকান বিশ্লেষকের মন্তব্য হলো- যুক্তেরাষ্ট্রে মাদকাসক্ত মহামারী আকার ধারণ করেছে! ২০১৭ সালের ২৬শে ডিসেম্বর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রকে ঝাঁপটে ধরা সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মাদক! প্রতি সপ্তাহে আফিম সংক্রান্ত মাদকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা লোকের সংখ্যা ৮ শতাধিক!! প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়, মিলিয়ন মিলিয়ন আমেরিকান আফিমে আসক্ত!! [ সূত্র: https://www.cfr.org/backgrounder/us-opioid-epidemic]
    সুবহানাআল্লাহ! একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের ভূমি আফগানিস্তান আফিম উৎপাদনে শীর্ষে! আরেকদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে আফিমে আসক্ততা মহামারী আকার ধারণ করেছে!! কত মিল দুই জায়গায়!
    তাহলে কারা আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদনের নেপথ্যে অবদান রাখছে!!! ??? জবাব চাই কথিত সংবাদমাধ্যমগুলোর থেকে। আজ যারা আফগানিস্তানের অধিকাংশ এলাকা তালেবানদের নিয়ন্ত্রাধীন বিবেচনায় আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদনের সমস্ত দোষারূপ তালেবানদের করে থাকে তাদের এই আফিম উৎপাদনের পূর্ব ইতিহাস জানা উচিত। আফিম উৎপাদনের সাথে মিথ্যাচার করে তালেবানকে জড়ানো যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম কূটচালগুলোর একটি! এতে, তাদের দুইটা ফায়দা আছে বলে মনে হয়- এক. যুক্তরাষ্ট্র যে এই আফিম উৎপাদনের শীর্ষ উদ্যোক্তা, তা যেন ঢাকা পড়ে যায়! আর, দুই. তালেবানদের দোষারূপ করার মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বিশেষ করে মুসলিমবিশ্বে তালেবানদের প্রতি বিদ্বেষ এবং ঘৃণা ছড়ানোর অপচেষ্টা!
    কিন্তু, তাদের কূটচালের বিপরীতে আল্লাহও পরিকল্পনা করেন। আর আল্লাহই সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী। এতসব কূটচালের পরেও আফগানিস্তানে কুফফার যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোটের পরাজয়ের বিষয়টি সুস্পষ্ট, এখন তারা পলায়নের পথ খুঁজছে! আর, তালেবানরা তাদের বিরুদ্ধে আরোপ করা শত অপবাদে কর্ণপাত না করে সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর ভরসা রেখে লড়াই চালিয়ে গেছেন এবং যাচ্ছেন। ফলাফলে কাফেরদের সকল কূটচালকে আল্লাহ ব্যর্থ করে দিয়েছেন এবং মুজাহিদীনের বিজয়ের পথকে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন, আর উন্মোচিত করেছেন মুসলিম উম্মাহর শত্রুর মুখোশকে!
    ৯/১১ হামলার পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের হিংস্র চেহারা বিশ্ববাসী দেখতে পেয়েছে, দেখতে পেয়েছে প্রতারক পশ্চিমাদের আসল রূপ! ৯/১১ হামলার পরে আমেরিকার পাশাপাশি মুসলিম ভূমিগুলোকে কুফুরীবিধান দিয়ে পরিচালনাকারী কুফফারদের দালাল নামধারী মুসলিম শাসকগোষ্ঠীর মুখোশও উন্মোচিত হয়েছে। মুসলিমদেরকে জীবন বিলিয়ে ইমান রক্ষার শিক্ষা দিয়েছে, লাঞ্চিত উম্মাহকে সম্মানের পথ দেখিয়েছে, জালিমের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিয়েছে; সর্বোপরি, ৯/১১ এর বরকতময় হামলা ছিল মুসলিমদের স্বার্থে এবং ইসলামের পুনর্জাগরণের জন্য। জালিমের শাসনকে ধ্বংস করে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার সাহসী পদক্ষেপ ছিল ৯/১১ ।
    Last edited by আবুল ফিদা; 09-14-2018, 02:27 AM.
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      গত কিছুদিন আগে “প্রথম আলো” নামক মিথ্যাবাদী ও ধোঁকাবায পত্রিকা তাদের অনলাইন মাধ্যমে “নয়-এগারো কী শিখালো!” এই শিরোনামে একটি আরটিক্যাল পোস্ট করেছিলো, যেখানে তারা তালেবান মুজাহিদীনকে কথার মাধ্যমে আঘাত করে করে জঘন্য মিথ্যাচার করেছিলো, সংবাদ ও সাংবাদিকতার অন্যতম একটা বিষয় হলো নিরপেক্ষতা, অর্থাৎ নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে বাস্তব ও সত্য সংবাদটি মানুষের সামনে তুলে ধরা, কিন্তু এই “প্রথম আলো” নামক অন্ধকার বিস্তারকারী পত্রিকাটি বহুদিন যাবৎই ইসলাম, মুসলিম ও নবী রাসূলদের বিরুদ্ধে বেয়াদবী মূলক লেখালেখি করে যাচ্ছে, হিন্দু বা কাফেরদের পক্ষ হয়ে মুসলিমদেরকে আঘাত করে করে লেখালেখি করে যাচ্ছে, বহুবার প্রমাণিত হয়েছে প্রথম আলো ইসলাম ও মুসলিম বিদ্ধেষী।
      এই হচ্ছে সেই “প্রথম আলো” যার বিরুদ্ধে একাধিকবার মামলা হয়েছিলো, অপরাধ ছিলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে ব্যাঙ্গ কার্টুন প্রকাশ করা, প্রমাণ তাদের পত্রিকাতেই দেখুন-
      প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা
      প্রথম আলোর বিরুদ্ধে বরিশালে মামলা
      “প্রথম আলো”র বিরুদ্ধে এদেশের আলেমগণ বহুবার আন্দোলনও করেছিলেন, বহুবার আলেমদের কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়েছিলো, কিন্তু তাদের এই ক্ষমা চাওয়া ছিলো শুধুমাত্র লোক দেখানো ও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কৌশলমাত্র কিন্তু তাদের যে ইসলাম ও মুসলিম বিরোধী এজেন্ডা তা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা তারা ঠিকই অব্যাহত রেখেছে বিভিন্ন কৌশলে।
      এই সেই “প্রথম আলো” যারা ইসলামের বিভিন্ন হালাল বিষয়কে কাফের ও মুশরিকদের স্বার্থে এমনভাবে উপস্থাপন করে যাতে তাদের রিপোর্ট পড়ে মানুষ ঐ হালাল কাজটি থেকে বিরত থাকে যেমন, গরুর পোশ্ত খাওয়া নিয়ে “প্রথম আলো”র রিপোর্ট, তারা এমনভাবে রিপোর্ট করেছিলো যে কেহ সেটি পড়লে আর গরুর গোশ্ত খাইতে চাইবেনা, অর্থাৎ হিন্দুদের দেবতা, মা‘কে যেন জবাই না করা হয় সে জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবেই তারা এই ধরণের রিপোর্ট করেছিলো, আবার গরুর পশ্রাবের উপকারীতা বর্ণনার মাধ্যমে হিন্দু ধর্মের নোংড়ামিকে ভালোরূপে উপস্থাপন করার অপচেষ্টাও চালিয়েছে।
      এইভাবে কথিত বাল্যবিয়ে নিয়েও “প্রথম আলো” অদ্ভূত রিপোর্ট করেছিলো।
      আর মিথ্যাবাদী ও ইসলাম বিদ্ধেষী শুধু “প্রথম আলো”ই নয় বরং তাগুতের ত্বত্তাবধানে পরিচালিত সকল মিডিয়াই এমন মিথ্যবাদী, কিন্তু “প্রথম আলো” ইসলাম ও মুসলিমদের বিরোধীতায় সকলের শীর্ষে।
      সুতরাং বর্তমান সময়ের জন্য খালিদ মুন্তাসির ভাই এর এই লেখাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ, সকল ভাইদের কাছে অনুরোধ থাকলো আমরা এই লেখাটি ফেসবুক টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিভিন্ন ব্লগ ও বাংলা স্বাধারণ ফোরামগুলোতে শেয়ার করবো। এবং তাগুতের প্রধান সৈনিক ও মুসলিমদের সবচেয়ে বড় শত্রু কুফরী মিডিয়াগুলোর মিথ্যা প্রচারণার দাতভাঙ্গা জাওয়াব দিবো ইনশাআল্লাহ।
      Last edited by আবুল ফিদা; 09-14-2018, 06:41 AM.
      দ্বীনকে আপন করে ভালোবেসেছে যারা,
      জীবনের বিনিময়ে জান্নাত কিনেছে তারা।

      Comment


      • #4
        আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে প্রথম আলোর পত্রিকার মিত্থাচার থেকে হেফাজত করুন আমীন । আর তাদের বিরুধ্যে কঠিন পদেক্ষেপ নেওয়ার তাওফিক দান করুন আমীন
        যারা আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় শহিদ হয় তাদের কে তোমরা মৃত্যু ধরানাও করোনা বরং তারা জিবিত

        Comment


        • #5
          এক আরব মুজাহিদ একটি স্বপ্ন দেখেন তিনি বলেন,
          রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ঠিক সেই অবয়বে দেখেছি যা হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমাদের উপর কাফেরদের জুলুম নির্যাতনের কথা বললাম। শুনে তিনি বললেন, এটা নিয়ে তুমি দুঃচিন্তা করো না। কারণ, তুমি হকের উপর আছো। ওরা শীঘ্রই ধ্বংস হয়ে যাবে।
          রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতে তখন সাদা দুটি পাথর ছিল। তার একটি এই মাত্র কাফেরদের উপর নিক্ষেপ করেছেন। আরেকটি তাঁর হাতেই আছে।
          আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, ওদের উপর আমি প্রথম হামলাটি করেছি। এতেও তারা যদি সঠিক পথে না আসে তাহলে শীঘ্রই দ্বিতীয় হামলাটিও করবো। তখন তারা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাবে।

          ভিতরেরই এক মুজাহিদ ভাই স্বপ্নটির ব্যাখ্যায় বলেছেন, 9/11 এর হামলার মাধ্যমে কুফরের সরদার আমেরিকার অর্থনৈতিক অবস্থা অর্ধেক ভেঙে পড়েছে। বাকিটুকু ইনশাআল্লাহ ইমাম মাহদি এবং হযরত ঈসা আ.র সময় হবে।
          ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

          Comment


          • #6
            9/11 এর হামলার এর হামলার পর লক্ষ লক্ষ কাফের মুসলিম হয়েছে এমন খবরও পাওয়া যায় আসলে মুজাহিদিন দের প্রত্যেক টা কাজই বরকতময় আল্লাহু আকবার খালিদ মুন্তাসির ভাই এর এই লেখাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ, সকল ভাইদের কাছে অনুরোধ থাকলো আমরা এই লেখাটি ফেসবুক টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিভিন্ন ব্লগ ও বাংলা স্বাধারণ ফোরামগুলোতে শেয়ার করবো। এবং তাগুতের প্রধান সৈনিক ও মুসলিমদের সবচেয়ে বড় শত্রু কুফরী মিডিয়াগুলোর মিথ্যা প্রচারণার দাতভাঙ্গা জাওয়াব দিবো ইনশাআল্লাহ।
            ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

            Comment


            • #7
              নয় এগারো কি ? ভাই

              Comment


              • #8
                Originally posted by munasir View Post
                নয় এগারো কি ? ভাই
                আখি আল্লাহ আপনাকে কবুল করুন, আমিন। আখি ৯/১১:---- মানি হল, ৯ মাসের ১১ তারিখ, এই দিনে আমাদের কিছু বরকতময় ভাই বর্তমান ফেরাউনদের হেড কোয়াটার,তা হল টুইন টাওয়ারকে ধ্বংশ করেছিল আমাদের ভাইয়েরা, কাফের মুশরিকদের সার্থে আঘাত হানার জন্য।
                Last edited by Umar Ibne Hanif; 09-23-2018, 08:35 AM. Reason: বানান সমস্যা
                আমি হতে চাই খালেদ বিন ওয়ালিদ (রা এর মত রণকৌশল ও ওমর (রা এর মত কাফেরদের প্রতি কঠোর।

                Comment


                • #9
                  Originally posted by munasir View Post
                  নয় এগারো কি ? ভাই
                  সুবহানাল্লাহ! ভাই নয় এগারো বুঝেন নি?
                  গাযওয়ায়ে মেনহাটন তথা ২০০১সালের ১১ই সেপ্টেম্বর শাইখ ওসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ এর নেতৃত্বে টুইন টাওয়ার হামলাকে নাইন ইলেভেন বা নয় এগারো এর হামলা বলে।

                  Comment


                  • #10
                    Originally posted by তানভির হাসান View Post
                    আখি আল্লাহ আপনাকে কবুল করুন, আমিন। আখি ৯/১১:---- মানি হল, ৯ মাসের ১১ তারিখ, এই দিনে আমাদের কিছু বরকতময় ভাই বর্তমান ফেরাউনদের হেড কোয়াটার,তা হল টুইন টাওয়ারকে ধ্বংশ করেছিল আমাদের ভাইয়েরা, কাফের মুশরিকদের সার্থে আঘাত হানার জন্য।
                    আল্লাহু আকবার । আল্লাহু আকবার । আল্লাহু আকবার।

                    ভাই জানতে পেরে খুব খুশি লাগছে মনে ।
                    জাজাকাল্লাহ খাইর। আমিন। সুম্মা আমিন ।

                    Comment


                    • #11
                      Originally posted by হিন্দের আবাবিল View Post
                      সুবহানাল্লাহ! ভাই নয় এগারো বুঝেন নি?
                      গাযওয়ায়ে মেনহাটন তথা ২০০১সালের ১১ই সেপ্টেম্বর শাইখ ওসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ এর নেতৃত্বে টুইন টাওয়ার হামলাকে নাইন ইলেভেন বা নয় এগারো এর হামলা বলে।
                      অসংখ্য শুকরিয়া ভাই ।

                      বুঝতে পেরে আনন্দ পাচ্ছি ভাই ।

                      জাজাকাল্লাহ খাইর।

                      Comment


                      • #12
                        মাশাআল্লোহ ॥
                        চমৎকার একটি সময়োপযোগী লেখা।তবে,
                        প্রবন্ধকারের কাছে আসন্ন 9/11
                        নিয়ে আরও বিস্তারিত ও গবেষণাধর্মী
                        প্রবন্ধের আবেদন রইল!!
                        জাঝাকুমুল্লোহ

                        Comment


                        • #13
                          আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ
                          সত্যি ই ৯/১১ছিল এক অবিশ্বাস্য হামলা যা কাফের লিডার দলের টনককে নাড়িয়ে দিয়েছিল
                          মাজলুম উম্মাহ কে বিজয়ের খাব দেখিয়েছিল
                          খালেদ মুনতাসীর ভাইয়ের তা পুনরায় ফুটে উঠল
                          আল্লাহ তায়ালা আপনার কলম কে তাগুতের বিরুদ্ধে হাতিয়ার বানাক আমীন
                          জিহাদই হলো মুমিন ও মুনাফিকের মাঝে
                          পার্থক্যকারী একটি ইবাদাহ

                          Comment


                          • #14
                            ৯/১১ হামলায় মুসলিমদের জিহাদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে, যেমনটি যুগিয়েছিল সাইফুদ্দিন কুতুজ মোঙ্গলদের দুত কল্লা কেটে রাজপথে ঝুলিয়ে রেখেছিল যাতে মুসলিমরা শক্তি অনুভব করতে পারে।

                            ধিক্কার প্রথম আলোর যে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে। তাদের মিথ্যাচার সবার কাছে প্রচার করা উচিত।
                            জাযাকাল্লাহ Al-Firdaws News কে এই ডকুমেন্ট উপহার দেয়ার জন্য

                            Comment

                            Working...
                            X