Announcement

Collapse
No announcement yet.

ক্বওমি ভাইদের সমিপে!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ক্বওমি ভাইদের সমিপে!

    ক্বওমি ভাইদের সমিপে!!

    আমার এ লেখা সে সকল ক্বওমি ভাইদের জন্যে,
    যারা মাদ্রাসায় ১৫/১৬ বছর পর্যন্ত লেখা-পড়া করেছেন।
    অথচ কোরান-হাদীস বা কোন কিতাবে জঙ্গীবাদের আলোচনা নজরে পড়েনি।
    যাদের কেউ কেউ আবার চলমান স্রোতের সাথে তাল মিলিয়ে বলেন,
    ইসলামে কোন জঙ্গীবাদ নেই,
    যারা জিহাদের নামে মানব হত্যা করছে, তারা জঙ্গী,
    আর জঙ্গীদের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই।
    ভাই আপনাকে উদ্যেশ্য করেই আমার দুটি কথা.......

    ভাই আমার!
    আপনি যদি সত্যিকার অর্থেই কাওমি মাদ্রাসায় পড়ে থাকেন,
    তাহলে নাহভেমীর জামাতে "সীরাতে খাতামুল আম্বিয়া"
    নামক উর্দু কিতাবটি (বাংলায় বিশ্ব নবীর জীবনী) এবং হিদায়াতুন্নাহু জামাতে "খেলাফতে রাশেদা" নামক কিতাবটিও পড়েছেন।
    এবং নিচের দিকে এমন আরো কিছু উর্দু কিতাবাদী পড়েছেন।
    যে কিতাবগুলোতে জং আর জঙ্গী শব্দের ব্যাবহার বহুবার হয়েছে।
    বিশ্বাস নাহয় আরেকবার পড়ে দেখুন,
    তাতে লিখা আছে,
    আল্লাহর রাসুল সাঃ এর তার প্রিয় সাহাবায়ে কিরামকে নিয়ে জঙ্গে বদর,
    জঙ্গে উহুদ,জঙ্গে তাবুক,জঙ্গে খন্দক সহ আরো কত জঙ্গে সরব উপস্থিতির কথা।
    রাসুল সাঃ এর জঙ্গী টুপি,জঙ্গী বর্ম সহ জঙ্গের আরো নানান অস্র-সস্রের কথা।
    খেলাফতে রাশেদাতে দেখুন,
    চার খলিফার প্রত্যকেই বহু জঙ্গে হাজির ছিলেন,
    বহু জঙ্গে আর্থিক সহায়তার ক্ষেত্রে উল্যেখযোগ্য ভুমিকা পালন করেছেন।
    শুধু তাইনা এই কিতাব সমুহে তাদের জীবন চরিত্র নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে,
    যাতে তাদের জিবনের অনেক বড় একটি অংশই দেখা যায় ময়দানে জঙ্গে ব্যয় করেছন।

    হে ভাই আমার!!
    কি পেলেন?
    আল্লাহর রাসুল সাঃ ও তাঁর সাহাবায়ে কিরাম জঙ্গে অংশগ্রহন করেছেন,তার অর্থ কি এই নয় যে,
    তারাও জঙ্গী ছিলেন??
    বরং তাঁরা শ্রেষ্ঠ ও সবচেয়ে বড় জঙ্গী ছিলেন।
    এখন হয়ত আপনি বলতে পারেন,
    তারা যে জিহাদ নামের জঙ্গ করেছেন সেই জঙ্গ আর বর্তমানের জঙ্গ এক নয়।
    তাহলে আপনার কাছে আমার প্রশ্ন হলো,
    হে আমার মুসলিম ভাই!!!
    তাদের জং আর আমাদের বর্তমান জঙ্গের মাঝে কত টুকু পার্থক্য??
    আসলেই কি কোন পার্থক্য আছে???
    নাকি আপনিও বর্তমান বিশ্বের জিহাদ বিরোধী স্রোতে ভাসছেন???
    মাদ্রাসায় কি হাদীসের কিতাব সমুহে আল্লাহর রাসুল সাঃ এর হাদীস পড়েন নি??
    যে, আল্লাহর রাসুল সাঃ বলেছেন,
    মুসলিমদের একটি দল হকের উপর জিহাদ চালিয়ে যেতে থাকবে,যারা কিয়ামত পর্যন্তউপর বিজয়ী থাকবে।
    আবুদাউদের এক হাদীসে আল্লাহর রাসুল সাঃ বলেন,
    আমাকে প্রেরনের পর থেকে ততক্ষন পর্যন্ত জিহাদ চলতে থাকবে,যতক্ষন পর্যন্ত
    আমার সর্বশেষ উম্মত দাজ্জালকে হত্যা না করবে।
    অন্য হাদীসে বলেছেন,
    জিহাদ কিয়ামত পর্যন্ত চলবে।

    হে আমার ভাই!!
    হাদীসের আলোকে তো আপনার সামনে স্পষ্ট হলো যে,
    সশস্র জিহাদ কিয়ামত পর্যন্ত চলবে,
    এবং একটি দল তা কিয়ামত পর্যন্ত তা জারী রাখবেন।
    এখন আমি আপনার থেকে জানতে চাই,
    হাদীসে যে দলটির কথা বলা হয়েছে, তা যদি রাসুল সাঃ এর যামানা হতে কিয়ামত পর্যন্ত বিদ্যমানন থাকে,
    তাহলে আমাদের এ যামানাতেও তো তাদের থাকার কথা,
    তো তারা কোথায়???
    বর্তমান সময়ে গোটা বিশ্বে কি এমন কোন দল আছে,
    যারা ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্যে সশস্র লড়াই করছে,
    আর তাদেরকে জঙ্গী বলা হচ্ছেনা??
    যারা মাজলুমদের অধিকার আদায়ের জন্যে লড়াই করছে,
    আর তাদেরকে তাগুত কাফিরেরা জঙ্গী বলছে না???
    যারা ইসলামের পবিত্র ভূমি সমুহকে নাপাক কুফফারদের আগ্রাসন মুক্ত করার লড়ায়ে ব্যাস্ত,
    অথচ তাদেরকে জঙ্গী বলা হচ্ছেনা???
    ভাই আমার আবারো বলছি,
    রাসুল সাঃ এর হাদীসে উল্যেখিত সে দলটি আমাকে দেখান!!
    যারা কুফফারদের বিরোদ্ধে,ইসলামের পক্ষে লড়াই করছেন।

    আসলে ভাই!
    এই তাগুত কাফিরেরা ইসলামের পবিত্র বিধান জিহাদকেই জঙ্গীবাদ বলছে,
    বিশ্বাস নাহয় তাদের ব্যানার গুলোতে দেখুন,
    তারা সন্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদের বিরোদ্ধে মানব বন্ধন করছে।
    সন্রাসের সঙ্গা তো আমাদের কাছে স্পষ্ট,
    কিন্তু জঙ্গিবাদ কি??
    তাদেরকে প্রশ্ন করে দেখুন যে,জঙ্গীবাদ কাকে বলে???
    উত্তর আসবে "যারা ধর্মের নামে মানব হত্যা করে তারাই জঙ্গী"
    ভাই আমার!!
    আপনি রাসুল সাঃ এর বদর ওহুদ সহ প্রায় সাতাইশটি যুদ্ধে ইসলাম ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করার কথা পড়েন নি???
    সাহাবায়ে কিরামগন যত কাফিরকে জাহান্নামে পাঠিয়েছেন,
    তাদেরকে কি ইসলাম ধর্মের নামে হত্যা করেন নি???
    তো কি বুঝলেন??
    ইসলামের পবিত্র বিধান জিহাদই হলো,
    জঙ্গীবাদ।।


    তাই আসুন ঘোলাটে স্রোতে না ভেসে,
    ইসলামের সত্য কথা গুলো জাতির সামনে স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরি।
    আল্লাহ তাউফিক দান করুন!
    আমীন!!
    Last edited by Taalibul ilm; 09-18-2018, 12:52 PM.

  • #2
    আমীন।

    ক্বওমী ভাইদের বেশীর ভা্গই এই সমস্যায় লিপ্ত। অনেক ভাই আছেন যারা ত্বলবে ইলমের পাশাপাশি এই মহান দ্বীনি ফরিজা অঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন। আলহামদুলিল্লাহ।
    আল্লাহ এই ভাইদের ক্ববুল করুন।

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ খুব সুন্দর পোষ্ট৷

      Comment


      • #4
        অনের উপকারী পোষ্ট৷ দরদমাখা ছিল কথাগুলো৷ মাদ্রাসা পরা ভাইদের অনেক কাজে লাগবে৷

        Comment


        • #5
          আখি, আপনাকে ধন্যবাদ, খুব গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। আল্লাহ আপনার মেহনত কবুল করুন, আমিন। কওমির ছাত্ররা জিহাদে না আসার যতগুলি কারণ আছে তার প্রত্যেকটি কারণ ফোরামে আলোচনা প্রয়োজন।
          আমার জানা মতে কওমির ছাত্র ভাইয়েরা জিহাদে না আসার কয়েকটি কারণ। ( কওমির বহু সংখক আমাদের দ্বীনি ভাই)
          ১/ ত্বাগুতের ভয়।
          ২/ দুনিয়ার প্রতি আসক্তি।
          ৩/ কোরিয়ার গঠন।
          ৪/তালিম তরবিয়্যাত দ্বীনের একটি খিফমত।
          ৫/ পীরমোরিদি।
          ৬/ভুল চেতনা।
          ৭/ ভুল ব্যাখ্যা।
          ৮/ হতাশা।
          ৯/ গোরামি।
          ১০/অন্ধভক্তি।
          ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

          Comment


          • #6
            ভাই একটি বিশেষ কারণ আছে তা হল তাওহীদ একেবারেই অস্পস্ট।

            Comment


            • #7
              সুন্দর পোস্ট

              Comment


              • #8
                মাশাআল্লাহ । মারহাবা। জাযাকাল্লাহ আখি ফিল্লাহ।
                চমৎকার আলোচনা করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ।

                আরো দলিলভিত্তিক আলোচনা আপনার নিকট হতে পেতে আমরা প্রত্যাশী । ইনশা আল্লাহ ।
                আল্লাহ তায়ালা আপনার কাজে বারাকাহ দান করুন । আমীন ।
                যারা ঈমানদার তারা যে, ক্বিতাল করে আল্লাহর রাহেই । আল-ক্বুরআনুল কারীম ।

                Comment


                • #9
                  জাযাকাল্লাহ। ভাই ।
                  আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

                  কেরিয়ার গঠন ।
                  ইলমে দ্বীন শিক্ষা করা ও শিক্ষা দেয়া দ্বীনের খেদমত।
                  পীর-মুরিদী ।

                  চমৎকার।
                  যারা ঈমানদার তারা যে, ক্বিতাল করে আল্লাহর রাহেই । আল-ক্বুরআনুল কারীম ।

                  Comment


                  • #10
                    জাযাকমুল্লাহু আহসানাল জাযা ফিদ্দারাইন!!!

                    Comment


                    • #11
                      মাশাআল্লাহ সুন্দর লিখেছেন৷

                      Comment


                      • #12
                        সম্মানিত ভাইয়েরা" আমাকে এক ভাই বললেন, কিছুদিন আগে চট্টগ্রামে একটা জঙ্গিবাদ বিরোদি সমাবেশে কিছু কওমি ছাত্র এবং সরকারি কর্মকর্তারা এবং মহিলারা এবং শিল্পিরা মিলে সংগঠিত হয় এই শেমিনার, ওখানে নাকি হিন্দুত্তবাদি জাতিয় সংগিত, শিল্পিরা গাহিয়াছে গানের সুরে এবং সকলে দারিয়ে হিন্দুত্তবাদির জাতিও সংগিতকে সম্মার করিয়াছে,,,
                        এই কাথাটা কতটুকু সত্য তা আমার জানা নাই, তাই কোন ভাই জদি দেখিয়ান থাকেন,তাহলে ফরমে পোষ্ট করলে ভাল হইতো,,,,
                        আমি হতে চাই খালেদ বিন ওয়ালিদ (রা এর মত রণকৌশল ও ওমর (রা এর মত কাফেরদের প্রতি কঠোর।

                        Comment

                        Working...
                        X