Announcement

Collapse
No announcement yet.

মাদ্রাসাছাত্রীর গণধর্ষণের ঘটনাকে পাঁচ লাখ টাকায় ধামাচাপা দিয়েছে নরসিংদী সদর মডেল থ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মাদ্রাসাছাত্রীর গণধর্ষণের ঘটনাকে পাঁচ লাখ টাকায় ধামাচাপা দিয়েছে নরসিংদী সদর মডেল থ

    এন টিভি, ও বাংলা নিউজ২৪ সহ অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমে ৭ সেপ্টেম্বরের প্রকাশিত রিপোর্টে জানা যায়, নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান চতুর্থ শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে গণধর্ষণের ন্যক্কারজনক ঘটনাকে বিচারবিহীন ঘুষের টাকায় সমঝোতা করেছে । পিতৃহারা প্রবাসী মায়ের এতিম ওই ছাত্রী এখন পুলিশ ও প্রভাবশালীদের চাপে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। ভয়ে তটস্থ তার পুরো পরিবার। পুলিশের সহায়তায় ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে গোটা চরাঞ্চলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
মেয়েটির বাড়ি সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলে। তাঁর মামার বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করে। সে স্থানীয় মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী।
সরেজমিনে জানা যায়, গত রোববার সন্ধ্যায় সে পাশের কালাই গোবিন্দপুর বাজারে কসমেটিক্স কিনতে যায়। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে কালাই গোবিন্দপুর নওয়াব আলী স্কুলের পাশ থেকে একই গ্রামের সাদ্দাম মিয়া (২৫), সজিব (২২) ও ফরহাদ (২৩) তাকে অপহরণ করে নৌকায় তুলে মেঘনা নদীর মাঝখানে নিয়ে যায়। সেখানে নৌকায় তারা মেয়েটি ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর মেয়েটিকে বিবস্ত্র অবস্থায় নদীতে ফেলে দেয়। পরে সাতরিয়ে গভীর রাতে বিবস্ত্র অবস্থায় মরণাপন্ন হয়ে বাড়ি ফেরে সে। এদিকে ধর্ষকরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লাগে ইউপি সদস্য মোস্তফা। সে সাবেক ইউপি সদস্য কামাল, আলী নূর ও ফজলুকে নিয়ে নির্যাতিত মেয়েটির পরিবার ও ধর্ষকদের মধ্যে সালিশের মাধ্যমে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আয়োজিত গ্রাম্য সালিশে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় প্রত্যেককে নামেমাত্র দেড় লাখ টাকা করে মোট সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে এই ঘটনায় কোনো মামলা না করার জন্য নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর পরিবারকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

    কিন্তু কথামতো জরিমানার টাকা না দেওয়ায় বুধবার সকালে নরসিংদী সদর থানা পুলিশের কাছে যায় মাদ্রাসাছাত্রীর পরিবার। কিন্তু বিধিবাম, পুলিশও তাদের অভিযোগ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত না করে উল্টো পাঁচ লাখ টাকায় ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়ে দেয়।
পিতৃহীন প্রবাসী মায়ের মেয়েটি পুলিশ ও প্রভাবশালীদের চাপে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। ভয়ে তটস্থ পুরো পরিবার। 
গণধর্ষণের মতো ঘটনা পুলিশের হস্তক্ষেপে ধামাচাপা দেওয়ার খবরে চরাঞ্চলজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। পুলিশ ও প্রভাবশালীদের ভয়ে এই ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি হয়নি নির্যাতিত ছাত্রী ও তার স্বজনরা। মাদ্রাসাছাত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও তাকে বাধা দেন তার মামা।
পুলিশের অপর একটি সূত্রে জানা যায়, সদর মডেল থানার ওসি সৈয়দুজ্জামান পাঁচ লাখ টাকায় গণধর্ষণের ঘটনাটি সমঝোতা করেন। এর মধ্যে নির্যাতিত ছাত্রীর পরিবারকে দেওয়া হয়েছে আড়াই লাখ টাকা। আর বাকি টাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) শাহারিয়ার আলম ও থানা পুলিশের মধ্যে ভাগভাটোয়ারা হয়। এদিকে সাংবাদিকরা সরব হওয়ায় বেকায়দায় পড়ে পুলিশ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তড়িগড়ি করে বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় মাদ্রাসাছাত্রীর নানির দায়ের করা অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করতে বাধ্য হয় পুলিশ।( সূত্র: এন টিভি)
আরেকটি সূত্রে জানা গেছে, নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামানসহ অন্যান্যরা প্রচন্ড ইসলাম বিদ্বেষী। চরাঞ্চলে যেসমস্ত পিতা মাতা তাঁদের সন্তানদের মাদ্রাসায় পড়ান তারা তাদের ভয়ে আতঙ্কিত থাকেন। দাড়ি-টুপি ওয়ালা মাদ্রাসাছাত্রদের নামে মিথ্যা অভিযোগ এনে নিরীহ বাবা মাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ তাঁদের সন্তানদের ক্রসফায়ারে হত্যা করার হুমকী দিয়েছে বলেও বিশ্বস্তসূত্রে জানা গেছে।
    যারা আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় শহিদ হয় তাদের কে তোমরা মৃত্যু ধরানাও করোনা বরং তারা জিবিত
Working...
X