Announcement

Collapse
No announcement yet.

অজ্ঞাত আমীরের হাতে বাইয়াত: ইমামের পরিচয় কতটুকু জরুরী?

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • #16
    আমাদের বাংলা ভাষা বাসি কোনো শাইখ যদি এ নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বয়ান দিতেন! আরো উপকৃত হওয়া যেতো।
    والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

    Comment


    • #17
      এখানে আরেকটি বিষয় মনে করিয়ে দেয়া মুনাসিব মনে করছি। সেটি হল, এ যে বাইয়াতের কথা গেল, সেটা হল খেলাফতের বাইয়াত। যে বাইয়াত ফরয। যে বাইয়াত না দিয়ে মারা গেলে জাহিলি মরা মরবে বলে হাদিসে ধমকি এসেছে। পক্ষান্তরে আমাদের বর্তমান যে বাইয়াত সেটা খেলাফতের বাইয়াত না। সেটা মূলত জিহাদের বাইয়াত। খেলাফতের বাইয়াতের বেলায়ই যখন এতটুকু যথেষ্ট, তখন জিহাদের বাইয়াতের জন্য এর চেয়ে বেশির কি আবশ্যকতা আছে?
      সন্মানিত ইলম ও জিহাদ ভাই!
      আমি আপনাদের একজন। ভিন্ন কেউ নই । আমি আপনাদের কল্যানকামী। আপনারা আমরা হকের সন্ধানী।

      তবে মাফ করবেন, আমি অন্ধধভাবে আপনার এই কথাকে সমর্থন দিতে পারছি না।
      কারন,
      আপনি খিলাফতের জামাতবদ্ধ হওয়ার দলিলগুলোকে যেমনি ভাবে (আরেক পোষ্টে) ভুল যায়গায় (ফিরিকার পক্ষে) ব্যাবহার করে প্রমান করার ... প্রচেষ্টা করেছিলেন। তেমনিভাবে এখানেও তাই করেছেন বলেই মনে হচ্ছে অবস্থাদৃষ্টে।

      দয়া করে কোরআন হাদিস থেকে একটা নস দেখান যেখানে খলিফা ছাড়া বাইয়াত দেওয়া ওয়াজিব বলা হয়েছে । ইবনে তাইমিয়া খেলাফতের আমিরের গুরুত্ব তুলে ধরেছে সেখানে। ভিন্ন আমীরের কথা বলেন নি।

      ঠিক এখানেও আপনি তাই করেছেন। .....
      ........................
      আমরা জানি উসুলুল ফিকহের নীতি অনুযায়ী যে, কিয়াস করতে হয় সরাসরি কোরআন ও হাদিসের নস থেকে। আর আপনি এখানে কিয়াস করতেছেন আহকামুস-সুলতানিয়ার ইবারত থেকে??!!! .......

      ..........
      .........................
      ..........

      আপনি যেই দলিল দিয়েছেন তা খেলাফতের ইমাম ের বিষয় যাকে আইনিভাবে না চিনলেও তিনি প্রকাশ্যে থাকেন ও জনসাধারনের হক আদায় করেন। আপনি কি তালেবান প্রধানকে খলিফা মনে করেন?! যেভাবে বলেছেন তা তো খলিফার হালতই প্রকাশ করেছেন সরাসরি দাবি না করলেও। খলিফার বাইয়াত দেওয়া ওয়াজিব বিষয়। এটা সর্বস্বীকৃত বিষয় এটা কেউ অসীকার করে না আমার জানা মতে। কিন্তু সেই খলিফার মত কি আপনি অন্য কোন জিহাদি তাঞ্জীমকে বায়াত দেওয়া ওয়াজিব বঝাতে ছাচ্ছেন?! তাহলে এটার পক্ষ্যে দয়া করে সরাসরি কোরআন -সুন্নাহ থেকে নস দ্বারা ছাবেত করলে ভালো হয়। ইমাম মাওারদির কিতাবের ইবারত বা ফিকহের ইবারত থেকে কিয়াস করে নয়। কারন কিতাব সুন্নাহর নস ব্যতীত ওয়াজিব ফরজ-ওয়াজিব সাব্যাস্ত হয় না।

      আর সালাত সিয়াম এর মত ইবাদত আদায়ের জন্যে খলিফা শর্ত না। কিন্তু দিফায়ী জিহাদ ব্যতীত ইকদামী জিহাদ ফরজে কেফায়া। তা খলিফার উপর ন্যাস্ত। দেখুন ইবনে কুদামা রাহি বলেনঃ-

      " وأمر الجهاد موكول إلى الإمام واجتهاده ، ويلزم الرعية طاعته فيما يراه من ذلك " انتهى .
      "المغني" ( 10 / 368 ) .

      শাইখ মুহাম্মাদ বিন উসাইমিন রাহি বলেনঃ-

      " لا يجوز غزو الجيش إلا بإذن الإمام مهما كان الأمر ؛ لأن المخاطب بالغزو والجهاد هم ولاة الأمور وليس أفراد الناس , فأفراد الناس تبع لأهل الحل والعقد , فلا يجوز لأحد أن يغزو دون إذن الإمام إلا على سبيل الدفاع ، إذا فاجأهم عدو يخافون شره وأذاه فحينئذ لهم أن يدافعوا عن أنفسهم , لتعين القتال إذًا .
      وإنما لم يجز ذلك لأن الأمر منوط بالإمام , فالغزو بلا إذنه افتيات عليه , وتعد على حدوده , ولأنه لو جاز للناس أن يغزوا بدون إذن الإمام لأصبحت المسألة فوضى , كل من شاء ركب فرسه وغزا , ولأنه لو مكن الناس من ذلك لحصلت مفاسد عظيمة , فقد تتجهز طائفة من الناس على أنهم يريدون العدو وهم يريدون الخروج على الإمام , أو يريدون البغي على طائفة من الناس , كما قال الله تعالى : ( وَإِنْ طَائِفَتَانِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ اقْتَتَلُوا فَأَصْلِحُوا بَيْنَهُمَا ) الحجرات/9 ، فلهذه الأمور الثلاثة ولغيرها – أيضاً – لا يجوز الغزو إلا بإذن الإمام " انتهى .
      " الشرح الممتع " ( 8 / 22 ) .

      বিঃ দ্রিঃ সন্মানিত মডারেটোর ভাইয়ায়ের নিকট অনুরোধ থাকবে আমার সবগুলো পোষ্ট যেন পাবলিশ করা হয়। যাতে আমি সংশয়গুলো ভাইয়দের থেকে সাফ হয়ে নিতে পারি। আর যদি না দেওয়া হয় তাহলে তো অন্য ফেরকার মত আমরাও একটা ফেরকা এটাই প্রমান হবে। এটা বলার কারন আমি আগেও পোষ্ট/ কমেন্ট করেছিলাম সেগুলো পাবলিশ করা হয় নি। আরেকজন ভাই ই একই অভিযোগ করেছেন।
      Last edited by আবুল ফিদা; 10-15-2018, 05:52 PM.

      Comment


      • #18
        বিঃ দ্রিঃ সন্মানিত মডারেটোর ভাইয়ায়ের নিকট অনুরোধ থাকবে আমার সবগুলো পোষ্ট যেন পাবলিশ করা হয়। যাতে আমি সংশয়গুলো ভাইয়দের থেকে সাফ হয়ে নিতে পারি। আর যদি না দেওয়া হয় তাহলে তো অন্য ফেরকার মত আমরাও একটা ফেরকা এটাই প্রমান হবে। এটা বলার কারন আমি আগেও পোষ্ট/ কমেন্ট করেছিলাম সেগুলো পাবলিশ করা হয় নি। আরেকজন ভাই ই একই অভিযোগ করেছেন।
        সম্মানিত ভাই, আমার কাছে আপনার পুরো পোস্ট সেভ আছে, এখানে আপনার মোটামোটি পুরোপোস্টই পাবলিশ করেছি তবে আপনার পোস্টে অনেকগুলো আক্রমাণাত্তক বাক্য ছিলো, আমি খুজে খুজে কিছু কেটে দিয়ে ডট (.......) দিয়ে দিয়েছি, আরো থাকতে পারে, আমি শুধু বেশি অাক্রমণাত্তকগুলোই কেটে দিয়েছি, কারণ, এটা কোন মুসলিম ভাইকে কথার মাধ্যমে আক্রমণ করার ময়দান না,
        যাই হোক, আপনার এই কমেন্ট এর ব্যাপারে আমি বলতে চাই যে, আপনি আগে আক্রমণাত্তক মেযায দূর করুন, আপনি আপনার কমেন্টে ভাইদেরকে আক্রমণাত্তক শব্দ ব্যবহার করে দলীয় অন্ধ অনুসরণের সবক দিচ্ছেন কিন্তু আপনারও মনে হয় বিষয়টা খেয়াল করা উচিৎ যে, কথাটা যেভাবে বলেছেন এভাবে না বলে অন্যভাবেও বলতে পারতেন যাতে সকলে গ্রহণ করে, আপনার লেখা সেগুলো যদি পাবলিশ করতাম তাহলে ফেৎনার সম্ভাবনা ছিলো।
        আপনি যদি সত্যিই আমাদের কল্যাণকামী হোন তাহলে আপনার কথায় আক্রমণাত্তক শব্দ কেন!!?? এটা পরিহার করা চাই।

        সর্বশেষ আপনি লিখেছেন,
        আর যদি না দেওয়া হয় তাহলে তো অন্য ফেরকার মত আমরাও একটা ফেরকা এটাই প্রমান হবে।
        আচ্ছা ভাই আমার এই কথাটির উত্তর দিবেন অনুগ্রহ করে, হক্ব-বাতিল ফিরকা কি দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরামের পোস্ট এপ্রোভ করার মাধ্যমে নির্ণয় করা হয়ে থাকে? নাকি কোরআন সুন্নাহ দলিল দ্বারা? আপনার কথার দ্বারা তো এমনই মনে হচ্ছে যে, ফোরামে আপনার পোস্ট এপ্রোভ না করলে আমরা গোমরাহ বা বাতিল, আর আপনি এই কথাটি বলার দ্বারা আসলে আপনার উদ্যেশ্য কি তা ঠিক বুঝতে পারতেছি না, তবে হয়ত খুব দ্রুতই বুঝতে পারবো ইনশাআল্লাহ, সংশয় সাফ করার জন্য কি আক্রমাণাত্তক শব্দ ব্যবহার করতে হয়? যেখানে ভাইদেরকে আপনি উল্টো সবক দিচ্ছেন দলীয় গোড়ামি থেকে বের হয়ে যাওয়ার সেখানে আমরা কি করে বুঝতো আপনি নিজের সংশয় নিরশন করতে চাচ্ছেন!!?
        আপনি একটি অভিযোগ এনেছেন মডারেট ভাইদের ব্যাপারে,
        আমি আগেও পোষ্ট/ কমেন্ট করেছিলাম সেগুলো পাবলিশ করা হয় নি। আরেকজন ভাই ই একই অভিযোগ করেছেন।
        আপনি জানেন আমাদের ফোরাম কিছু নিয়মের ভিত্তিতে চলে সেই নিয়মের বাহিরে যে কোন পোস্ট বা কমেন্ট আমরা এপ্রোভ করিনা, এখন আপনার কোন পোস্ট এপ্রোভ করা হয়নি পোস্টি আবার করলে হয়তো কারণটা বলা যেত কিন্তু এই ভাইবে মডারেট ভাইদের ব্যাপারে অভিযোগ আনা আমি কিছুতে সমিচিন মনে করছিনা।
        আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে সকল প্রকারের গোড়ামি ত্যাগ করে সত্য ও সঠিককে সঠিকভাবে অনুধাবন করার তাওফিক দান করুক, আমীন!!
        দ্বীনকে আপন করে ভালোবেসেছে যারা,
        জীবনের বিনিময়ে জান্নাত কিনেছে তারা।

        Comment


        • #19

          “সন্মানিত ইলম ও জিহাদ ভাই!
          আমি আপনাদের একজন। ভিন্ন কেউ নই । আমি আপনাদের কল্যানকামী। আপনারা আমরা হকের সন্ধানী।
          তবে মাফ করবেন, আমি অন্ধভাবে আপনার এই কথাকে সমর্থন দিতে পারছি না।
          কারন, আপনি খিলাফতের জামাতবদ্ধ হওয়ার দলিলগুলোকে যেমনি ভাবে (আরেক পোষ্টে) ভুল যায়গায় (ফিরিকার পক্ষে) ব্যাবহার করে প্রমান করার ... প্রচেষ্টা করেছিলেন। তেমনিভাবে এখানেও তাই করেছেন বলেই মনে হচ্ছে অবস্থাদৃষ্টে।
          দয়া করে কোরআন হাদিস থেকে একটা নস দেখান যেখানে খলিফা ছাড়া বাইয়াত দেওয়া ওয়াজিব বলা হয়েছে। ইবনে তাইমিয়া খেলাফতের আমিরের গুরুত্ব তুলে ধরেছে সেখানে। ভিন্ন আমীরের কথা বলেন নি।”




          মুহতারাম ভাই, আপনি আমার লেখাটা হয়তো গুরুত্ব দিয়ে পড়েননি। আমি খলিফা ছাড়া কাউকে বাইয়াত দেয়া ওয়াজিব বলিনি। বলতে গেলে বরং আমার আলোচনাটা বাইয়াত নিয়ে ছিলোই না। আমার আলোচনাটা ছিল জামাতবদ্ধ হওয়া নিয়ে। জিহাদের জন্য জামাতবদ্ধ হওয়া আবশ্যক। এজন্য কোনো জিহাদে জামাতের সাথে মিলে যেতে হবে বলেছি। আমার লেখাটা ছিল,


          “এ বিধান হল তখন, যখন খেলাফত কায়েম থাকবে এবং একজন শরয়ী ইমাম বিদ্যমান থাকবেন। তখন তার কাছে বাইয়াত না দিয়ে বিচ্ছিন্ন থাকা গোমরাহি।
          পক্ষান্তরে যদি খেলাফত কায়েম না থাকে, তাহলে খেলাফত কায়েম করতে হবে। এজন্য যুদ্ধ-জিহাদ যা কিছু লাগে করতে হবে। যেমন বর্তমান মুজাহিদ কাফেলাগুলো খেলাফত কায়েমের জন্য জিহাদ করে যাচ্ছেন।
          স্পষ্ট যে, খেলাফত কায়েমের জিহাদে নামতে হলে জামাতবদ্ধ হওয়া আবশ্যক। জামাত ছাড়া জিহাদ সম্ভব না। ব্যক্তিকেন্দ্রিক প্রচেষ্টার দ্বারা দ্বীনের কিছু খেদমত হলেও দ্বীন কায়েম সম্ভব না। খেলাফত প্রতিষ্ঠাও সম্ভব না। শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. জামাতের গুরুত্বটা এভাবে তুলে ধরেছেন-
          يجب ان يعرف ان ولاية أمر الناس من أعظم واجبات الدين بل لاقيام للدين ولا للدنيا إلا بها فان بنى آدم لا تتم مصلحتهم إلا بالاجتماع لحاجة بعضهم الى بعض ولابد لهم عند الاجتماع من رأس حتى قال النبى إذا خرج ثلاثة فى سفر فليؤمروا أحدهم رواه أبو دواد من حديث أبى سعيد وابى هريرة
          وروى الامام أحمد فى المسند عن عبد الله بن عمرو ان النبى قال لا يحل لثلاثة يكونون بفلاة من الأرض إلا أمروا عليهم أحدهم فأوجب تأمير الواحد فى الاجتماع القليل العارض فى السفر تنبيها بذلك على سائر أنواع الاجتماع ولأن الله تعالى اوجب الأمر بالمعروف والنهى عن المنكر ولا يتم ذلك إلا بقوة وإمارة وكذلك سائر ما أوجبه من الجهاد والعدل وإقامة الحج والجمع والأعياد ونصر المظلوم وإقامة الحدود لا تتم إلا بالقوة والامارة.اهـ
          “জানা আবশ্যক যে, জনগণের নেতৃত্ব দেয়া দ্বীনের অন্যতম সুমহান আবশ্যক দায়িত্ব। শুধু তাই নয়, নেতৃত্ব-কর্তৃত্ব ব্যতীত বরং দ্বীন-দুনিয়া কোনটাই চলতে পারে না। কেননা, পারস্পরিক ঐক্যবদ্ধ হওয়া ব্যতীত মানব জাতির মাসলাহাতসমূহের পরিপূর্ণতা সম্ভব নয়। কারণ, তারা একে অপরের মুখাপেক্ষী। আর ঐক্যবদ্ধ হতে গেলে তাদের একজন নেতা আবশ্যক। রাসূল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তো এমনটি পর্যন্ত বলেছেন:
          إذا خرج ثلاثة فى سفر فليؤمروا أحدهم
          ‘তিন ব্যক্তি সফরে বের হলে তারা যেন তাদের একজনকে তাদের আমীর বানিয়ে নেয়।’
          ইমাম আবু দাউদ রহ. হাদিসটি হযরত আবু সায়িদ রাদিয়াল্লাহু আনহু এবং হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন।
          ইমাম আহমদ রহ. মুসনাদে আহমদে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন:
          لايحل لثلاثة يكونون بفلاة من الأرض إلا أمروا عليهم أحدهم
          ‘যে কোন তিন ব্যক্তির জন্য কোন মরু ময়দানে অবস্থান করা জায়েয হবে না, যতক্ষণ না তারা তাদের একজনকে তাদের আমীর বানিয়ে নেয়।’
          সফরের হালতে সৃষ্টি হওয়া ছোট্ট একটি জামাআতের বেলায়ও একজনকে আমীর বানিয়ে নেয়ার আদেশ দিয়েছেন একথা বুঝানোর জন্য যে, সব ধরণের জামাআতের ক্ষেত্রেই আমীর বানিয়ে নেয়া আবশ্যক।
          তাছাড়া আল্লাহ তাআলা ‘আমর বিল মা’রুফ ও নাহি আনিল মুনকার’ ফরয করেছেন। আর তা প্রভাব প্রতিপত্তি ও নেতৃত্ব ব্যতীত পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
          তদ্রূপ: জিহাদ, ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠা; হজ্ব, জুমআ ও ঈদ কায়েম করা; মাজলুমকে সাহায্য করা, হদসমূহ কায়েম করা ইত্যাদিসহ আল্লাহ তাআলার ফরযকৃত যাবতীয় বিধান প্রভাব প্রতিপত্তি ও নেতৃত্ব ব্যতীত পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।” (মাজমুউল ফাতাওয়া: ২৮/৩৯০)
          জামাতবদ্ধ হওয়ার গুরুত্বের ব্যাপারে হযরত উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর বক্তব্য সর্বদা স্বরণ রাখা চাই। তিনি বলেন:
          لا إسلام إلا بجماعة ولا جماعة إلا بإمارة ولا إمارة إلا بطاعة
          “জামাআতবদ্ধ হওয়া ব্যতীত দ্বীনে ইসলামের প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। আর জামাআত হয় না নেতৃত্ব (তথা আমীর নির্ধারণ) ব্যতীত। আর (আমীরের) আনুগত্য ব্যতীত নেতৃত্বের কোন ফায়েদা নেই।” (জামিউ বয়ানিল ইলম: ১/২৬৩)
          অতএব, কোন এক জিহাদি কাফেলার সাথে মিলে যেতে হবে। জিহাদি কাফেলা না থাকলে কাফেলা গঠন আবশ্যক। আর আগে থেকেই থেকে থাকলে তার সাথে মিলে যাওয়া আবশ্যক।”

          ভাই, আপনি একটু ভাল করে খেয়াল করুন। আমি এখানে আলকায়েদা বা অন্য কোন নির্দিষ্ট জামাতকে বাইয়াত দিতে হবে বলিনি। আমি বলেছি, জিহাদের প্রয়োজনে কোন এক জামাতের সাথে জুড়তে হবে। আমার এ কথার উপর আপনার আপত্তিটা কোথায় বুঝতে পারছি না। যতটুকু মনে হচ্ছে, জিহাদের জন্য কোন জামাত গঠন বা কোন জিহাদি জামাতে যোগ দেয়াকে আপনি নাজায়েয মনে করছেন। যদি এমনটাই মনে করে থাকেন, তাহলে জিহাদের ফরয দায়িত্ব আপনি কিভাবে আদায় করবেন? ভাইয়ের কাছে প্রশ্নটা রইল। আর ভাইয়ের কাছে আবেদন, আপনি আপনার প্রত্যেক কথার সাথে দলীল উল্লেখ করবেন। কথা দলীল ছাড়া হলে ফায়েদা নেই।


          আর ইবনে তাইমিয়া রহ. এর যে ফতোয়ার দিকে আপনি ঈঙ্গিত করেছেন, সেটার পর্যালোচনা আমি ইনশাআল্লাহ সুযোগমত করবো।


          খেলাফতের হাদিসগুলোতে আমার প্রায়োগিক কি ভুল হল, ভাইকে চিহ্নিত করে দেয়ার আবেদন রইল।





          “আপনি যেই দলিল দিয়েছেন তা খেলাফতের ইমামের বিষয় যাকে আইনিভাবে না চিনলেও তিনি প্রকাশ্যে থাকেন ও জনসাধারনের হক আদায় করেন। আপনি কি তালেবান প্রধানকে খলিফা মনে করেন?! যেভাবে বলেছেন তা তো খলিফার হালতই প্রকাশ করেছেন সরাসরি দাবি না করলেও। খলিফার বাইয়াত দেওয়া ওয়াজিব বিষয়। এটা সর্বস্বীকৃত বিষয় এটা কেউ অসীকার করে না আমার জানা মতে। কিন্তু সেই খলিফার মত কি আপনি অন্য কোন জিহাদি তাঞ্জীমকে বায়াত দেওয়া ওয়াজিব বঝাতে ছাচ্ছেন?! তাহলে এটার পক্ষ্যে দয়া করে সরাসরি কোরআন -সুন্নাহ থেকে নস দ্বারা ছাবেত করলে ভালো হয়। ইমাম মাওারদির কিতাবের ইবারত বা ফিকহের ইবারত থেকে কিয়াস করে নয়। কারন কিতাব সুন্নাহর নস ব্যতীত ওয়াজিব ফরজ-ওয়াজিব সাব্যাস্ত হয় না।”




          মুহতারাম ভাই, এখানেও মনে হচ্ছে আপনি আমার লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়েননি। ভাই, আপনি আমার লেখার কোনো বাক্যে পেয়েছেন কি যে, আমি তালেবান প্রধানকে খলিফা বলেছি? আমি কি কোথাও বলেছি যে, তাদের হাতে কিংবা তাদের অধীনস্ত আলকায়েদার হাতে বাইয়াত দেয়া ওয়াজিব? আমি তো শুধু এতটুকু বুঝাতে চেয়েছি যে, জিহাদ যেহেতু আমার উপর ফরয, তখন জামাত গঠন করা বা জামাত খোঁজে বের করে তাতে যোগ দিয়ে জিহাদের কাজ করা আমার নিজের দায়িত্ব।

          অনেকে ওজর পেশ করে যে, কোনো জামাত নেই, কার সাথে মিলিত হবো? জিহাদ কিভাবে করবো? যদি বলা হয়, আলকায়েদা-তালেবান তো আছে, তাদের সাথে মিলিত হতে পারেন। তখন বলে, তাদেরকে তো চিনি না। কে তাদের আমীর? কি তাদের পরিচয়? .... ইত্যাদি।
          এ প্রশ্নের জওয়াবে আমি বুঝাতে চেয়েছি যে, সরাসরি আমীরকে বা উর্ধ্বতন মুজাহিদদেরকে চেনা আবশ্যক নয়। নিরাপত্তার স্বার্থে কিছুটা গোপনীয়তা অবলম্বন করা হয়েছে। এটা কোন ফেক্টর না। আপনার নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি, যাদের আপনি চেনেন-জানেন, যারা জিহাদের কাজ করে, যাদের কথায় আপনার বিশ্বাস আছে- আপনি তাদের মাধ্যমে তানজীমের সাথে মিলিত হয়ে জিহাদের কাজ শুরু করে দিন।

          মুহতারাম ভাই, সারা লেখার কোথাও এ দাবি করিনি যে, তালেবান প্রধান খলিফা কিংবা তার হাতে বাইয়াত দেয়া ওয়াজিব। আমি এতটুকু বলেছি যে, ইসলামী ইমারা আফগানিস্তানের আমীর আহলুল হল ওয়াল আকদের বাইয়াতের মাধ্যমে নির্ধারণ হয়েছে। তাদের অধীনে আলকায়েদার কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক আমীর নির্ধারণ হয়েছে। তাদের অধীনে দীর্ঘদিন যাবৎ জিহাদের কাজ চলছে। এতএব, জিহাদ করার জন্য যদি আপনি কোন জামাত খোঁজে থাকেন, তাহলে আলকায়েদা-তালেবান আছে। তাদের সাথে মিলিত হয়ে কাজ করা যাবে। তাদের উমারাদের সরাসরি না চেনলেও কোন সমস্যা নেই। আসলেই যদি আমি জিহাদের ফরয দায়িত্ব আদায় করবো বলে পাকা-পোক্তা নিয়ত করে থাকি, তাহলে জামাত নেই, চিনি না, জানি না- এগুলো কোন ওজর নয়। জানা শুনার চেষ্টা করলেই ইনশাআল্লাহ পাওয়া যাবে। তালেবান বা আলকায়েদাকে বাইয়াত দেয়া ওয়াজিব- এ কথা আমি কোথাও বলিনি। আমার শেষ কথাটা এমন ছিল,

          “আহলুল হল ওয়াল আকদের বাইয়াতের মাধ্যমে আফগানের সুপ্রসিদ্ধ আলেমে দ্বীনকে ইমারতে ইসলামিয়ার আমীর নির্ধারণ করা হয়েছে। ইমারতে ইসলামিয়ার অধীনে আলকায়েদার কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক আমীর নির্ধারণ করা হয়েছে। তাদের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন যাবৎ জিহাদ চলে আসছে। আমি একজন সাধারণ মুসলমান বা প্রাথমিক মুজাহিদ হিসেবে আমার দায়িত্ব তানজীমে জড়িত হয়ে জিহাদের ফরয আঞ্জাম দেয়া। জামাত নেই, আমীর নেই, আমীর চিনি না- এগুলো সব নিতান্তই বাহানা।”


          আমর লেখার সারকথা- জিহাদের প্রয়োজনে কোন না কোন হক তানজীমে মিলিত হতে হবে। আলকায়েদার সাথেই মিলিত হতে হবে- এমন কথাও আমি বলিনি; তাদের হাতে বাইয়াত দেয়া ওয়াজিব- এমন কথাও আমি বলিনি। এরপরও ভাইয়ের আপত্তিটা কোন জায়গায় তা স্পষ্ট না। আমার যতদূর বুঝে আসছে, জিহাদের জন্য কোন তানজীম গঠন করতে হবে বা কোন তানজীমে যোগ দিতে হবে- একথাটাকে ভাই শরীয়ত বিরোধী মনে করছেন। যদি এমনই মনে করে থাকেন, তাহলে শরীয়তের দলীলের আলোকে একে শরীয়ত বিরোধী প্রমাণ করতে ভাইয়ের কাছে আবেদন রইল।


          “আর সালাত সিয়াম এর মত ইবাদত আদায়ের জন্যে খলিফা শর্ত না। কিন্তু দিফায়ী জিহাদ ব্যতীত ইকদামী জিহাদ ফরজে কেফায়া। তা খলিফার উপর ন্যাস্ত। দেখুন ইবনে কুদামা রাহি বলেনঃ-
          " وأمر الجهاد موكول إلى الإمام واجتهاده، ويلزم الرعية طاعته فيما يراه من ذلك " انتهى .
          "المغني" ( 10 / 368 )
          শাইখ মুহাম্মাদ বিন উসাইমিন রাহি বলেনঃ-
          " لا يجوز غزو الجيش إلا بإذن الإمام مهما كان الأمر ؛ لأن المخاطب بالغزو والجهاد هم ولاة الأمور وليس أفراد الناس , فأفراد الناس تبع لأهل الحل والعقد , فلا يجوز لأحد أن يغزو دون إذن الإمام إلا على سبيل الدفاع ، إذا فاجأهم عدو يخافون شره وأذاه فحينئذ لهم أن يدافعوا عن أنفسهم , لتعين القتال إذًا
          وإنما لم يجز ذلك لأن الأمر منوط بالإمام , فالغزو بلا إذنه افتيات عليه , وتعد على حدوده , ولأنه لو جاز للناس أن يغزوا بدون إذن الإمام لأصبحت المسألة فوضى , كل من شاء ركب فرسه وغزا , ولأنه لو مكن الناس من ذلك لحصلت مفاسد عظيمة , فقد تتجهز طائفة من الناس على أنهم يريدون العدو وهم يريدون الخروج على الإمام , أو يريدون البغي على طائفة من الناس , كما قال الله تعالى : ( وَإِنْ طَائِفَتَانِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ اقْتَتَلُوا فَأَصْلِحُوا بَيْنَهُمَا ) الحجرات/9 ، فلهذه الأمور الثلاثة ولغيرها – أيضاً – لا يجوز الغزو إلا بإذن الإمام " انتهى
          "الشرح الممتع " (8 / 22)



          ভাই এখানে এ বিষয়টা কেন টেনে এনেছেন বুঝতে পারছি না। ভাই তো মনে হয় এতটুকু মানেন যে, বর্তমানে জিহাদ ফরযে আইন। যদি তাই হয়, তাহলে তো আর ইমামের দরকার পড়ছে না। ইমাম ছাড়াই জিহাদের দায়িত্ব আঞ্জাম দিতে হবে। কিন্তু কোনো জামাত ছাড়া ভাই জিহাদের দায়িত্ব কিভাবে আঞ্জাম দেবেন- কুরআন হাদিস থেকে বুঝিয়ে দিলে ভাল হতো। আর যদি জিহাদ ফরযে আইন না মানেন, তাহলে আপনার সাথে কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। জিহাদের বিধান কি? কখন ফরযে কেফায়া আর কখন ফরযে আইন- এসব বিষয় আগে শরীয়তের দলীল দিয়ে বুঝুন, তারপর কথা হবে।


          দ্বিতীয় যে বিষয়টা *উল্লেখ করেছেন যে, ফরযে কেফায়া জিহাদের দায়িত্ব ইমামের উপর ন্যস্ত- এতে তো আমরা কোন সময় আপত্তি করিনি। আমরা তো সব সময়ই বলে আসছি যে, ইমামের আনুগত্য ফরয। ফরযে কেফায়া জিহাদের বেলায় ইমামের আনুগত্য করতে হবে, তার অনুমতি ছাড়া করা যাবে না- এগুলো আমরা বলেই আসছি। আমরা কোন সময় এগুলোতে আপত্তি করিনি। বরং আমরা আনুগত্যের উপর জোর দিই।


          ভাই হয়তো বুঝাতে চাচ্ছেন, ইমাম না থাকলে ফরযে কেফায়া জিহাদ করা যাবে না। কিন্তু মনে হয় ভাই লেখাটা কপি-পেস্ট করেছেন। নিজে মুরাজাআত করে দেখেননি। অন্যথায় ইবনে কুদামা রহ. ঐ জায়গাতেই কয়েক লাইন পর বলে দিয়েছেন,
          فان عدم الامام لم يؤخر الجهاد لان مصلحته تفوت بتأخيره، وان حصلت غنيمة قسموها على موجب الشرع، قال القاضي وتؤخر قسمة الاماء حتى يقوم إمام احتياطا للفروج.اهـ
          “যদি ইমাম না থাকে তাহলে এ কারণে জিহাদ পিছিয়ে দেয়া যাবে না। কেননা, পিছিয়ে দেয়ার দ্বারা জিহাদে নিহিত মাসলাহাত ও কল্যাণসমূহ হাতছাড়া হয়ে যাবে। গনীমত লাভ হলে হকদারদের মাঝে শরীয়তে বর্ণিত নিয়মানুযায়ী বণ্টন করে নেবে। তবে কাজী রহ. বলেন, ইমাম নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত সতর্কতাবশত দাসীদের বণ্টন স্থগিত রাখবে। ”

          ইমাম না থাকলে জিহাদ বন্ধ রাখতে বলা হয়নি। জিহাদ করে যেতে বলা হয়েছে। গনিমত লাভ হলে বণ্টন করে নিতে বলা হয়েছে।
          অধিকন্তু ইমাম থাকাবস্থায় যদি ইমাম জিহাদ ছেড়ে বসে থাকেন, তাহলে জনসাধারণকে ইমামের অনুমতি ছাড়াই জিহাদ করে নিতে বলা হয়েছে। খতীব শারবিনী রহ. বলেন,
          [ فصل ] فيما يكره من الغزو ، ومن يحرم أو يكره قتله من الكفار ، وما يجوز قتالهم به ( يكره غزو بغير إذن الإمام أو نائبه ) تأدبا معه ، ولأنه أعرف من غيره بمصالح الجهاد ، وإنما لم يحرم ؛ لأنه ليس فيه أكثر من التغرير بالنفوس وهو جائز في الجهاد ...
          تنبيه : استثنى البلقيني من الكراهة صورا .
          إحداها : أن يفوته المقصود بذهابه للاستئذان .
          ثانيها : إذا عطل الإمام الغزو وأقبل هو وجنوده على أمور الدنيا كما يشاهد .
          ثالثها : إذا غلب على ظنه أنه لو استأذنه لم يأذن له . اهـ
          “ইমাম বা তার নায়েবের অনুমতি ছাড়া জিহাদ মাকরুহ। ... তবে বুলকিনি রহ. কয়েক সূরতকে এর ব্যতিক্রম বলেছেন। ... (এর মধ্যে তৃতীয়টি হল,) যদি ইমাম ও তার সৈন্য-সামন্ত জিহাদ ছেড়ে দুনিয়ার ভোগ বিলাসিতায় লিপ্ত হয়ে যায়।” – মুগনিল মুহতাজ: ১৭/২৮৭


          অতএব, ফরযে কেফায়া জিহাদের জন্য ইমাম শর্ত কথাটা ঢালাওভাবে প্রযোজ্য নয়। ইমাম থাকলে যদি তিনি ঠিকমতো জিহাদের দায়িত্ব আদায় করেন, তাহলে জনসাধারণ ইমামের অনুমতি ছাড়া কিছু করবে না। কিন্তু যদি ইমাম না থাকে তাহলে জনসাধারণকেই জিহাদ করতে হবে (যেমনটা ইবনে কুদামা রহ. এর বক্তব্য)। তদ্রূপ, ইমাম জিহাদ ছেড়ে দুনিয়ার ভোগ বিলাসিতায় মত্ত হয়ে পড়লে জনগণ ইমামের অনুমতি ছাড়া নিজেরাই জিহাদ করে নেবে (যেমনটা খতীব শারবিনী রহ. এর বক্তব্য)। কারণ, জিহাদের দায়িত্ব মূলত উম্মাহর সকলের। ইমাম শুধু শৃংখলার জন্য। যদি ইমাম না থাকে কিংবা না করে, তাহলে উম্মাহকে তার নিজ দায়িত্ব নিজেকেই আদায় করতে হবে।


          আশাকরি বিষয়টা স্পষ্ট। ভাইয়ের উচিৎ ছিল এগুলো দেখে কথা বলা। অধিকন্তু ভাই আমাকে বার বার কুরআন হাদিসের নস উল্লেখ করতে বলছেন। কিন্তু তিনি কোন কথাই কুরআন হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে বলছেন না। ভাইয়ের উচিৎ অন্যকে উৎসাহ দেয়ার সাথে সাথে নিজেও আমল করা।


          যাহোক, আমি যতদূর বলেছি দলীল প্রমাণ দিয়েই বলেছি। অবশ্য ব্যস্ততাবশত এবং দীর্ঘ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় লম্বা চওড়া আলোচনায় যাইনি। এ কারণে হয়তো কোন কোন বিষয় অস্পষ্ট রয়ে গেছে। আল্লাহ তাআলা আমাকে মাফ করুন। হেদায়াতের উপর চলার তাওফিক দান করুন। সবর, তাকওয়া ও হিম্মতের সাথে উম্মাহর খেদমতের তাওফিক দান করুন। আমীন।

          Comment


          • #20
            ওনার কমেন্টগুলো আমি ভালো করেই পড়েছি, ওনি দল গঠনের পক্ষে নয়। পরে ভাইয়ের প্রতি প্রশ্ন করলাম কিন্তু উত্তর এখনো পাইনি। ওনার একটি কমেন্ট এর দ্বারা আমি যা বুঝেছি ওনি ত্বাফাইয়ে মানছুরার জন্য খলিফা শর্ত বুঝাতে চাচ্ছেন। তাহলে এখন খলিফা নাই, তাই ত্বাইফা ও নাই। আর এব্যাপারে শাইখের বক্তব্য আছে চাইলের শুনে নিতে পারেন।
            যদি খলিফা ছাড়া ত্বইফা না হয় তাহলে ইসলাম সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে। বাস্তব কথা হলো এই বিষয়গুলো শাইখের বয়ানের দ্বারা অনেক আগেই ক্লিয়ার করে রেখেছি।
            والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

            Comment


            • #21
              সন্মানিত ভাই!
              মাফ করবেন। আপনার প্রশ্নটা একটু গুরিয়ে বলিঃ
              জিহাদি দলের আমীর গোপনে লুকিয়ে থাকার কি দলিল পাওয়া যায়?!
              ঊত্তরঃ- যেখানে আমাদের আমীরদের নিরাপত্তা নেই সেখানে কিভাবে জিহাদ সম্ভব বাস্তবে?! আর জিহাদের কিছু কাজ করা সম্ভব হলেও আল্লাহর কালিমা বুলন্দ হয়ে মাজলুমদের উপর জুলম বন্দ হচ্ছে না তেমন। (আল্লাহ তায়ালা মাজলুমদেরকে এই হালত থেকে উদ্ধার করুন।মুসলিমদের শক্তি বাড়িয়ে দিনা আমীন। )

              আল্লামা ওমর ইবনে আব্দুল আযীয রাহ বলেছেনঃ-
              قال عمر بن عبد العزيز – رحمه الله - : إذا رأيت قوماً يتناجون في دينهم بشيء دون العامة فاعلم أنهم على تأسيس ضلالة " أخرجه اللالكائي (1/135)و أحمد في الزهد ص 48و الدارمي في سننه (1/91).
              و الاجتماعات السرية من لوازم الجماعات المتحزبة .
              তুমি যখন দেখবে যে, কোন সম্প্ররদায় আম জনসাধারন কে বাদ দিয়ে কোন বিষয়ে গোপনে গোপনে নিজেদের মধ্যে আলাপন করে , তখন জে নে রাখবে যে, তাঁরা গোমরাহির ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত।
              নাউজুবিল্লাহ! কত ক্লিয়ার কথা বলেছেন শাইখ।

              Comment


              • #22
                Originally posted by salman hindi View Post
                তুমি যখন দেখবে যে, কোন সম্প্ররদায় আম জনসাধারন কে বাদ দিয়ে কোন বিষয়ে গোপনে গোপনে নিজেদের মধ্যে আলাপন করে , তখন জে নে রাখবে যে, তাঁরা গোমরাহির ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত।
                নাউজুবিল্লাহ! কত ক্লিয়ার কথা বলেছেন শাইখ।
                এই কওল এখানে কিভাবে প্রযোজ্য হল? মুজাহিদিন কোন বিষয়টি জনসাধারনের কাছ থেকে গোপন রেখেছেন? তাঁরা জিহাদের বিষয়টি জনগনকে জানিয়েছেন, নেতৃত্বের বিষয়ে জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে শরীয়তের হুকুম বর্ণনা করেছেন, কোন দলিলের সাপেক্ষে তাঁরা কোন কোন কাজ করছেন তা জানিয়েছেন। বাকি থাকে তাঁদের যুদ্ধ কৌশলের কথা, এটি জনসাধারনের কাছ থেকে গোপন রাখার উদাহরন তো সীরাতসহ ইতিহাসে বহু জায়গায় আছে বরঞ্চ আকলমান যেকোন লোক এটা আপনাআপনিি বুঝে নিবে যে জিহাদের কৌশলগত খুঁটিনাটি সর্বসাধারনের সাথে আলাপ করা হবে না।

                ভাই আলিমগণ বলেন যে দলিলে অনুসরণ করো। নিজের মত প্রতিষ্ঠা করার জন্য দলীল খুজো না। আপনি এই কথাটি নিয়ে একটি ফিকির করতে পারেন।

                Comment


                • #23
                  এখানে আরো একটি বিষয় পরিষ্কার করে দেয়া জরুরী মনে হচ্ছে। সেটা হল, আমরা যখন বলছি, ‘আমীরের পরিচয় এর চেয়ে বেশি জরুরী নয়’- তখন এর অর্থ এই নয় যে, যে কেউ আলকায়েদার কথা বললে বা কোন জিহাদি তানজীমের কথা বললেই তাতে কোন তাহকীক ছাড়া যোগ দিয়ে দিতে হবে। বরং আমার উদ্দেশ্য, যখন আমি যথাযথ তাহকিকের পর তানজীমে যোগ দিতে চাচ্ছি বা যোগ দিয়েছি, তখন আর এর চেয়ে বেশি জানা জরুরী নয়। অতএব, তানজীমে যোগ দেয়ার আগে ভালভাবে তাহকিক করে নিতে হবে। তাহকিকের পর তানজীমে যোগ দেয়া হলে এরপর আর উমারাদের ব্যক্তিপরিচয়ের তেমন জরুরত নেই।


                  কথাটা আরেকটু খুলে বলি: আলকায়েদা কোন ব্যক্তিকে ততক্ষণ পর্যন্ত সদস্য বানায় না, যতক্ষণ না তার ব্যাপারে যাচাই বাছাইয়ের পর নিশ্চিত হওয়া যায় যে, তিনি জিহাদের এবং তানজীমের সাথী হওয়ার উপযুক্ত। হ্যাঁ, কখনোও যদি বাছাইয়ে ভুল হয়ে যায় সেটা ভিন্ন কথা। অতএব, যে কেউ জিহাদের যোগ দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেই তানজীম তাকে সদসদ্য বানিয়ে নেবে না। তার ব্যাপারে যাচাই বাছাই করবে যথেষ্ট। এ গেল এক দিক।


                  অপর দিকে যিনি তানজীমে যোগ দিতে চাচ্ছেন, তারও উচিৎ, যিনি তাকে জিহাদের দাওয়াত দিচ্ছেন, তার ব্যাপারে ভালভাবে তাহকিক করে নেয়া যে, তিনি আসলেই সত্য বলছেন কি’না? আসলেই তিনি হক জামাতের এবং তিনি যে তানজীমের কথা বলছেন, সেটার সদস্য কি’না? না’কি কোন গোয়েন্দা মুজাহিদের বেশ ধরে এসেছে? এসব বিষয় ভালভাবে যাচাইয়ের পরই কেবল তিনি তানজীমে যোগ দেবেন।


                  উভয় পক্ষ থেকে এভাবে যাচাইয়ের পর যখন কোন ব্যক্তি তানজীমে যোগ দেয়ার উপযুক্ত বিবেচিত হবেন এবং তিনিও তানজীমে যোগ দিতে মনস্থির করবেন, তখন তার জন্য তানজীমের উমারাদের ব্যাপারে অতিরিক্ত জানার প্রয়োজন নেই। তানজীমের উমারাদের সুনির্দিষ্টভাবে চেনেন না- এটা যেন তার তানজীমে যোগ দেয়ার পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। বরং মোটামুটি পরিচয়ই যথেষ্ট। আইমান আযযাওয়াহিরি, আসেম উমর, মোল্লা উমর, শায়খ উসামা সহ আরো যারা প্রসিদ্ধ, তাদের ব্যাপারে মোটামুটি জানা শুনা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। না থাকলে যতটুকু প্রয়োজন তাদের ব্যাপারে জেনে নিতে পারে। এই মূহুর্তে তারা কোথায় আছেন- ইত্যাদি অপ্রয়োজনীয় প্রশ্নে যাওয়া উচিৎ নয়। এটার না শরয়ী দিক থেকে দরকার আছে, না কাজের জন্য দরকার আছে। এরপরও এসব বিষয় মোটামুটি সবারই জানা থাকে। যেমন, ইমারাতে ইসলামী আফগানিস্তানের প্রধান আমীরুল মু’মিনীন যিনি হন, তিনি সাধারণত আফগানেই থাকেন। এটা মোটামুটি সকলেরই জানা। এ ধরণের বিষয়াদি এর চেয়ে অতিরিক্ত জানার তেমন কোন দরকার নেই। কাজের জন্য দরকার না পড়লে এসব বিষয় নিয়ে ঘাটাঘাটির দরকার নেই এবং এগুলো না জানার অজুহাতে তানজীমে যোগ দেয়া থেকে বিরত থাকারও কোন হেতু নেই।


                  যাহোক, এই আমার উদ্দেশ্য। অর্থাৎ- উভয় পক্ষ থেকে যাচাইয়ের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে গেলে, উমারাদের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট বা বিস্তারিত জানা না থাকার কারণে তানজীমে যোগ দেয়া থেকে বিরত থাকার কোন হেতু নেই। তদ্রূপ, যোগ দেয়ার পর কাজের জন্য বিশেষ দরকার না পড়লে সেগুলো নিয়ে ঘাটাঘাটিরও প্রয়োজন নেই। আমার উদ্দেশ্য এমনটাই। নতুবা, যে কেউ তানজীমে যোগ দিতে বললেই অন্ধভাবে তাহকিক ছাড়া তার কথা মেনে নিতে হবে- এটা আমার উদ্দেশ্য নয়। আল্লাহ তাআলা আমাদের সত্য সঠিক বুঝ দান করুন।

                  Comment


                  • #24
                    --------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

                    Comment


                    • #25
                      জিহাদী তানজিম বিরোধী যারা তারা মূলত সৌদির রিয়াল খুর। বর্তমান দুনিয়ায় প্রকাশ্যে খিলা ঘোষণা করে কেও আস্ত থাকতে পারবে?? কৌশলেই এগুতে হবে। জনসাধারণ! আজকের জনসাধারণ কি জিহাদ বুঝে?? কিছু ভাইয়ের প্রশ্ন দেখে হাসি পায়। এদের প্রতি আমার একটি প্রশ্ন মাজলুমদের বাচানোর জন্য আপনাদের কর্মসূচি কী????
                      ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

                      Comment


                      • #26
                        মাশাআল্লাহ অনেক চমৎকার হয়েছে৷ আল্লাহ পাক আরও বেশি বেশি দ্বীনী খেদমত আঞ্জাম দেওয়ার তাওফিক দানকরুন আমীন!!

                        Comment


                        • #27
                          সাধ্যের বাহিরে কিছু নেই

                          Originally posted by Mujahid of Hind View Post
                          জিহাদী তানজিম বিরোধী যারা তারা মূলত সৌদির রিয়াল খুর। বর্তমান দুনিয়ায় প্রকাশ্যে খিলা ঘোষণা করে কেও আস্ত থাকতে পারবে?? কৌশলেই এগুতে হবে। জনসাধারণ! আজকের জনসাধারণ কি জিহাদ বুঝে?? কিছু ভাইয়ের প্রশ্ন দেখে হাসি পায়। এদের প্রতি আমার একটি প্রশ্ন মাজলুমদের বাচানোর জন্য আপনাদের কর্মসূচি কী????
                          যার যতটুকু সাধ্য রয়েছে সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে আর না হয় আল্লাহ তায়ালার কাছে জবাব দেহী করতে হবে,আল্লাহ তায়স্লা হেফাজত করুন।

                          Comment


                          • #28
                            মোহতারাম ইলম ও জিহাদ ভাই!
                            কিছুদিন পূর্বে দল, জামাত,খলিফা,এমারাত,বাইয়াত ,তায়েফায়ে মানছুরাহ,ইত্তাদি বিষয়ে আপনি যে মুল্যবান আরটিক্যাল গুলো লিখেছিলেন ।তা থেকে মূল মাসআলা এবং বিষয় গুলো তারতিব করে কিতাব আকারে দিলে অনেক অনেক উপকার হত। আশা করি আমার আবেদনের প্রতি একটু নজর দিবেন।
                            جزاکم اللہ ووفقکم اللہ!
                            واللہ ولی التوفیق والسداد۔

                            Comment


                            • #29
                              Originally posted by Odhom Bangali View Post
                              মোহতারাম ইলম ও জিহাদ ভাই!
                              কিছুদিন পূর্বে দল, জামাত,খলিফা,এমারাত,বাইয়াত ,তায়েফায়ে মানছুরাহ,ইত্তাদি বিষয়ে আপনি যে মুল্যবান আরটিক্যাল গুলো লিখেছিলেন ।তা থেকে মূল মাসআলা এবং বিষয় গুলো তারতিব করে কিতাব আকারে দিলে অনেক অনেক উপকার হত। আশা করি আমার আবেদনের প্রতি একটু নজর দিবেন।
                              جزاکم اللہ ووفقکم اللہ!
                              واللہ ولی التوفیق والسداد۔
                              এটা অবশ্য আমার ফিকিরেও আছে। দেখি কি করা যায়।

                              Comment


                              • #30
                                সালমান হিন্দি ভায়ের কথায় কেমন জানি ভাইদের প্রতি অবিশ্বাস/বিদ্বেষ ফুটে উঠছে। কারণ, যদি কারো থেকে প্রশ্ন করে কিছু জানার ইচ্ছা থাকে, বা সংশয় দূর করা উদ্দেশ্য হয়, তাহলে প্রশ্নের ধরণ এক রকম হয়। আর অবিশ্বাস/বিদ্বেষের বেলায় প্রশ্নের ধরণ অন্যরকম হয়। মুহতারাম ইলম ও জিহাদ ভায়ের কাছে অনেকেই জানার জন্য অনেক প্রশ্ন করে। কিন্তু তাদের প্রশ্নের শব্দ প্রয়োগের ধরণই বলে দেয় যে, তারা সত্যিই ইলম ও জিহাদ ভায়ের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে জানার জন্য ও সংশয় দূর করার জন্য প্রশ্ন করেছে। কিন্তু এই ভায়ের প্রশ্নের শব্দ প্রয়োগ অন্যকিছুর দিকে ইঙ্গিত করছে।

                                এতো গেল এক বিষয়। আরেকটি বিষয় হলো, ইলম ও জিহাদ ভায়ের প্রথম লেখাটির উপর এই ভায়ের যে ইশকাল ছিল, ইলম ও জিহাদ ভাই দ্বিতীয় আরেক পোষ্টে সে ইশকালের জবাব দিয়েছেন। এর দ্বারা কি ওনার ইশকাল দূর হলো কিনা তা না বলেই আরেক পোষ্টে এই ভাই আরেক ইশকালের উপস্থাপন করলেন। তাহলে কি এই ভায়ের মতলব হলো, সকলকে সংশয় সন্দেহের মধ্যে নিপতিত করা?

                                আমার এ কথাগুলোর উদ্দেশ্য এই নয় যে, কোন ইশকাল বা প্রশ্ন করা যাবেনা। বরং উদ্দেশ্য হলো , এই ভায়ের নমুনাটা প্রকাশ করা।

                                আর যদি এই ভায়ের প্রশ্নের জবাবে কিছু বলতে হয়, তাহলো বলবো, আপনি ওমর ইবনে আব্দুল আযীয রহি. এর এই কথাটির কি যথাস্থানে প্রয়োগ করেছেন? কোথায় বিদয়াতপন্থীদের ষড়যন্ত্র, আর কোথায় মুজাহিদগণেরর কুফফারদের মোকাবেলার কৌশল?
                                আপনি কি রেশমি রোমাল আন্দোলন, শাহ ওয়ালীউল্লাহ রহি. এর জিহাদী মিশন, ইমাম আবু হানিফা রহি. এর গোপনে মানুষকে খলিফার বিরুদ্ধে জিহাদ করার ফতুয়া, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সমগ্র জিন্দেগীর জিহাদী তৎপরতার গোপন কৌশল, এগুলোর সবগুলোকেই কি তাহলে গোপন কানাঘুষা হিসেবে গোমরাহী বুঝাতে চাচ্ছেন?
                                আপনি ওমর বিন আব্দুল আযীয রহি. এর ইবারত উল্যেখ করে নাঊযুবিল্লাহ বলার উপর আমার নাঊযুবিল্লাহ।
                                শত্রু অভিমুখী যুদ্ধা।

                                Comment

                                Working...
                                X