Announcement

Collapse
No announcement yet.

...একটি জরুরি বিষয়ে বিজ্ঞদের ফতোয়া চাচ্ছি।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • #16
    ভাই এই বিশয় টা ধিক্কার দিবেন কারন এই বিষয় আমাদের অনেকেরিই জানা নাই কারন ইমামা মালেক রহঃ বলেন যে আল্লাহ তায়ালা আরশের উপর সমসীন কেউ যদি এই বিশয় নিয়ে ইখতেলাফ করেন আর তাহল যে আল্লাহ তায়ালা কি আমাদের মত বসেন আর তার কুরছি আমাদের মত তাহলে তার ইমান চলে যাওয়ার আশংকা আছে
    যদি রাসুলকে কটুক্তি করা হয়, ওদের বাক সাধিনতার অংশ
    তাহলে ওদেরকে ধারালো চাপাতির আঘাতে হত্যা করা আমাদের
    দিনের অংশ। (আনওয়কর আল-আওরাকি রহি

    Comment


    • #17
      [quote=হক তালাশ;54515]সুবহানাল্লাহ, ভাইয়েরা এই বিষয়টাকে ইখতেলাফি বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন অথচ এটা আকিদার বিষয় আল্লাহ তায়ালার ব্যাপারে স্পষ্ট ধারনা থাকা প্রয়োজন। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।[/quote
      আখি ফিল্লাহ,ভাইয়েরা ইখতিলাফি বলে বিষয়টা উড়িয়ে দিচ্ছেন- এভাবে বলাটা ঠিক হবনা।মডারেটর ভাইয়েরা কিন্তু আমাদের আকীদা ও সিফাতের ক্ষেত্রে ভুল আকীদাও অনুসরণ করতে বলছেননা।
      তারা শুধু বলতে চাচ্ছেন(আমার বুঝ অনুযায়ী) আকীদার শাখাগত সুক্ষ্ম ও জটিল বিষয়গুলোতে একাধিক মাযহাব রয়েছে।এবং উম্মাহর আহলুস সু্ন্নাহ ওয়াল জামাআর আলেমদের মাঝেই এই বিষয়গুলোতে অনকেক আগে থেকে ইখতিলাফ চলে এসেছে।আর এই ফোরাম এসব নিয়ে আলোচনার জায়গা না।
      এই বিষয়ে নুরুদ্দীন ভাইয়ের উদ্দেশ্য আরেকটা কমেন্ট করেছি।সেখানেও এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা আছে।

      মতবরোধহীন সাধারণ ফিকহী মাসআলাও তো ফোরামে আলোচিত হয়না,আকীদার ঐক্যমতপূর্ণ মাসআলাওনা।তাহলে আকীদার ইখতেলাফি মাসআলা আলোচনার জায়গা যে ফোরাম নয় তা তো সহজেই অনুমেয়।

      আখি ফিল্লাহ,"এটা আকীদার বিষয়,আল্লাহ তায়ালার ব্যাপারে সুস্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন" আপনার এই কথাগুলো সত্য।কিন্তু পাশাপাশি এটাও মনে রাখা জরুরী যে আল্লাহ তায়ালার জাত ও সিফাতের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় ও পরিপূর্ণ ধারণা লাভ করা অসম্ভব। আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার পরিচয় সেই সব মুহকাম ও সুস্পষ্ট সিফাতগুলো দিয়েই লাভ করতে হবে যেগুলো দিয়ে আল্লাহ তায়ালা তার নিজের পরিচয় দিয়েছেন।যেসব সিফাতি নামে আমরা তার তাসবীহ পড়ি।যেমন সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত,আলআসমাউল হুসনা,সুরা ইখলাস,রহমান রহীম......
      আর অনেক সিফাত আছে যেগুলোর ব্যাখ্যা ও কাইফিয়্যাত জানা আমাদের সাধ্যের বাইরে।যেমন ওয়াজহুন ইয়াদুন ইস্তিওয়া আলাল আরশ।
      এসব সিফাতের ক্ষেত্রে সালাফে সালেহীনের নীতি কি ছিল বলুন?
      ইজমালি ভাবে ইমান আনা, বিস্তারিত ব্যাখ্যায় না যাওয়া।এসব নিয়ে বিতর্কে লিপ্ত হওয়া বেশি বেশি আলোচনা করা সালাফ অপছন্দ করতেন।এমনকি সালাফ এ কথাও বলেছেন-و السوال عنها بدعۃ
      সুতরাং মডারেটর ভাইয়েরা যদি এ বিষয়ে ফোরামে আলোচনা করতে নিষেধ করে থাকেন তাহলে তো তারা কোন ভুল করছেন না।বরং সালাফের মানহাজ অনুসরণ করছেন।যদি এ বিষয়ে ফোরামে আলোচনার সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে দেখবেন বিতর্ক শুরু হবে কিন্তু শেষ হবেনা।
      অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়টাতে অনিচ্ছা সত্বেও আলোচনা করতে হল।ভুল থাকলে সংশোধন করে দেওয়ার অনুরোধ।
      আর ফোরামের নীতিমালা পরিপন্হী হয়ে থাকলে অবশ্যই যেন মডারেটর ভাইয়েরা এডিট বা ডিলিট করে দেন।
      ]

      Comment


      • #18
        {মডারেটর ও আলিম ভাইদের কাছে জোরদার অনুরোধ-আমার লেখায় যদি ইলমী কোন ভুল থাকে অথবা ফোরামের নীতিমালা পরিপন্হী কোন বিষয় এসে যায় তাহলে যেন অবশ্যই তাম্বীহ করেন।এডিট করে দেন,প্রয়োজনে লেখা ডিলিটও করতে পারেন।}

        মুহতারাম নুরুদ্দীন ভাই,
        আল্লাহ তায়ালা আপনাকে পূর্ণ সুস্হতা দান করুন।
        ভাই,সুস্হতা লাভের জন্য আপনাকেও কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে।আপনি বিষয়টাকে আরেকটু স্বাভাবিক করে ভাবুন।এত কঠিনভাবে বিষয়টাকে দেখবেননা।
        সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এসব নিয়ে এত পেরেশান হবেননা,নিজের উপর চাপ প্রয়োগ করবেননা।
        আপনাকে হালকা করার জন্য আমি কিছু বিষয় লিখছি। আশা করি আপনি এতে চিন্তার খোরাক পাবেন।
        আপনি ওই ইমাম সাহেব যদি আশআরী বা মাতুরিদী মাসলাকের অনুসারী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি তাকে আশআরী মাতুরিদী মাজহাব অনুযায়ী লেখা কিতাব শরহে আকায়েদ দেখাতে পারেন।ওটাতে স্পষ্ট লেখা আছে-تعالي عن المكان والزمان..,.,.,
        আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সময় ও স্হানের উর্ধে।আশা করি এতে তিনি "সর্বত্র বিরাজমান" কথাটা থেকে সরে আসবেন।কারণ ওটা আশআরী মাতুরিদী বা সালাফী- মোটকথা আহলুস সুনৃনাহ ওয়াল জামাআর কারো মাজহাবই নয়।শরহে আকায়েদ ছাড়াও আশআরী মাতুরিদী মাসলাকের সব কিতাবেই এটা আছে।
        হ্যা,এরপর হয়তো তার সঙে আপনার ইস্তেওয়া আলাল আরশ( আক্ষরিক অনুবাদ-আরশে সমাসীন হওয়া)ইয়াদুন ওয়াজহুন ইত্যাদী বিষয়ে মতানৈক্য থাকতে পারে।থাকলে থাকুক,আপনি জামাতে নামাজ পড়তে কোন অসুবিধা নেই।মনে রাখতে হবে এসব সুক্ষ্ম ও জটিল বিষয়গুলোতে উম্মাহ কখনই একমত হবেনা,একটি প্লাটফর্মে এসে দাড়াবেনা।
        কারণ অনেক আগে থেকে এসব বিষয়ে মতানৈক্য বিদ্যমান,শতশত পৃষ্ঠা লেখা হয়েছে।কিন্তু সমাধান আসেনি।
        আকীদার মাজহাবগুলোর ক্ষেত্রে একদিকে আছেন ইবনে তাইমিয়া,ইবনুল কায়্যিম,ইবনে কাসীর,জাহাবী, ইবনে আব্দুল হাদী এবং আরো কেউ কেউ এবং সকলেই মনীষী।[সালাফি মাসলাক]
        আবার অন্যদিকে আছেন আবুল হাসান আশআরী থেকে ইবনে হাজার আসকালানী,ইমাম নববী থেকে তাজুদ্দীন সুবকী,ইবনুল জাওযী থেকে ইবনে কুদামা,ইবনে আব্দুল বার থেকে কুরতুবী
        আবু মানসুর মাতুরীদী থেকে ইবনুল হুমাম,রাজি,গাজালী থেকে সাদুদ্দীন তাফতাজানী,ইউসুফ বিন তাশফিন থেকে সালাউদ্দীন আইয়ুবী, এমনকি ইবনে হজম জাহেরী(!)র মতো মনীষীরা।(আশআরী ও মাতুরিদী)।
        ইমাম ইবনে তাইমিয়া ও তার অনুসারীরা তাদের বিপরীত মাজহাবটিকে ভুল মনে করতেন,তখনকার বাদশা ছিলেন তার বিপরীত মাসলাকের অনুসারী।যার কারণে ইমাম ইবনে তাইমিয়াকে জেলে যেতে হয়েছে। কিন্ত তার পরও ইমাম ইবনে তাইমিয়া সুলতানের প্রতি অানুগত্যশীল ছিলেন,তার সঙে মিলে জিহাদ এবং তার পিছনে সালাত আদায় করার নির্দেশ দিতেন।অর্থাত আকীদার মৌলিক ও ঐক্যমতপূর্ণ বিষয়গুলোকে কেন্দ্র করে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন,সেগুলোকে ওয়ালা বারার ভিত্তি বানিয়েছিলেন আর মতানৈক্যপূর্ণ বিষয়গুলোকে কেন্দ্র করে বিভক্ত হননি।ল,সেগুলোকে ওয়ালা বারার মূল ভিত্তি বানাননি।
        আবার ইবনে হাজার ইবনুল হুমামরাও আকীদার ক্ষেত্রে ইবনে তাইমিয়া রহ:কে ভুল মনে করতেন,কিন্তু তবু তাকে গোমরাহ বলেননি। বরং শ্রদ্ধার সঙে তার নাম উচ্চারণ করেছেন,শাইখুল ইসলাম সম্বোধনে ভূষিত করেছেন।
        নববী ইবনে হাজররা সিফাতের ক্ষেত্রে তাবীল করতেন।কেউ কেউ তাদেরকে অনুসরণ করেছেন আবার কেউ কেউ তাদের এই মাসলাককে ভুল বলেছেন।কিন্তুু কেউই তাদেরকে গোমরাহ বলেননি,পরিত্যাগও করেননি।

        মনে রাখতে হবে
        আকীদার মৌলিক ও সুস্পষ্ট বিষয়গুলো পুরো উম্মাহ একমত এবং এসব বিষয়ে কারো কোনো ইখতেলাফ নেই।যেমন- আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার উলুহিয়্যত,রুবুবিয়্যত, রহমত, খলক,ইত্যাদী সিফাত।মুমিনের সঙে বন্ধুত্ব আর কাফিরের সাথে শত্রুতা।....
        আল্লাহ তায়ালার মুহকাম বা সুস্পষ্ট গুনবাচক নামসমূহ।
        আর আকীদার কিছু শাখাগত বিষয় আছে সুক্ষ্ম ও জটিল।যেমন আল্লাহ তায়ালার "ইয়াদ"(যার শাব্দিক অর্থ হাত)ওয়াজহুন(যার শাব্দিক অর্থ চেহারা)...
        এসব সুক্ষ্ম ও জটিল বিষয়ে আকীদার একাধিক মাজহাব ও মাসলাক রয়েছে।আশআরী, মাতুরীদী সালাফি...
        মৌলিকভাবে আমাদেরকে ঐক্যমতের বিষয়গুলো বেশি বেশি আলোচনায় আনতে হবে,এগুলোকে কেন্দ্র করে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে,এগুলোকে ওয়ালা বারার মূল ভিত্তি বানাতে হবে।
        আর মতবিরোধপূর্ণ সুক্ষ্ম ও জটিল মাসআলাগুলোর ব্যাপারে ইজমালি ইমান আনতে হবে,তাফসিলি আলোচনায় মশগুল হওয়া,বিতর্ক ও মুনাজারায় লিপ্ত হওয়া, একে কেন্দ্র করে বিভক্ত হওয়া, এগুলোকে ওয়ালা বারার মূল ভিত্তি বানানো ইত্যাদী থেকে বেচে থাকতে হবে।
        এসব বিষয়ে সাহাবায়ে কেরাম যেমন নিশ্চুপ থাকতেন আমাদেরও উচিত চুপচাপ থাকা।

        শেষ করছি শায়েখ আবু কাতাদার একটা আলোচনা থেকে আমার কিছু দৃষ্টিভঙি তুলে ধরার মাধ্যমে।
        ইউটিউবে আবু কাতাদা শায়েখের একটা আলোচনা দেখলাম শাইখুল ইসলাম জাহেদ কাউসারী রহ: প্রসঙে।যেখানে তিনি জাহেদ কাউসারীর "এনসাইক্লোপিডিক" সুবিস্তৃত ইলমের স্বীকৃতি দিয়েছেন।এবং তুরস্কে কামাল আতাতুর্কের বিরুদ্ধে তার ঐতিহাসিক প্রতিবাদী ভুমিকারও প্রশংসা করেছেন।মনে রাখতে হবে জাহেদ কাউসারী কিন্তু এ যুগের আশআরী মাতুরিদী মাদরাসার সবচেয়ে বড় প্রতীক।তো ইসলাম ও আহলে ইসলামের প্রতি আন্তরিকতা,মুমিনের সাথে ওয়ালা কাফের থেকে বারা,ইমানের মৌলিক বিষয়গুলোতে ঐক্যমত এবং জাহেলি মতবাদগুলোর প্রতি তিব্র ঘৃণা এগুলোই হল সেই মহার্ঘ্য মৌলিক বিষয় যাকে কেন্দ্র করে আমরা শাখাগত সুক্ষ্ম ও জটিল ইখতেলাফগুলো ভুলে থাকতে পারি,এবং মতভিন্নতার মাঝেও সম্প্রিতীর বন্ধনে আবদ্ধ থাকতে পারি।এর কারণেই বহু সালাফি কাউসারীকে আর বহু আশআরী ইবনে তাইমিয়া রহ:কে ভালবাসে।
        এবং এই কারণেই শায়খ আবু মুসআব আযযারকাবী বলেছেন আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়া বিদআতপন্হীর দুই পা আমার কাছে ঘরে বসে থাকা সহীহ আকীদার লোকদের চেয়ে উত্তম।
        শেষ কথা হল,আখি আপনি জামাতে সালাত আদায় করতে পারেন।এটাই আপনাকে আমরা পরামর্শ দিব।প্রয়োজনে আপনি ফতোয়ার কিতাবগুলোতে বিদআতী ইমামের পিছনে নামাজ আদায়ের বিধান দেখে নিন। যদি সেখানে এদের পিছনে নামাজ আদায়ের কথা বলা থাকে তাহলে আদায় করুন।আর যদি একাকী সালাত আদায়ের কথা থাকে তাহলে তো আপনার পেরেশানী কেটে গেল।কারন আপনি ফতোয়া অনুযায়ী আমল করছেন।
        আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদেরকে বোঝার তাওফিক দান করুন এবং আমাদেরকে ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করেন।
        আমীন

        Comment

        Working...
        X