Announcement

Collapse
No announcement yet.

“সব মুসলিম সন্ত্রাসী নয়, কিন্তু সব সন্ত্রাসী মুসলিম”

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • “সব মুসলিম সন্ত্রাসী নয়, কিন্তু সব সন্ত্রাসী মুসলিম”

    কিন্তু ইতিহাস পর্যালোচনা করলে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়—
    ► উনবিংশ শতাব্দীতে মুসলিম সন্ত্রাসী আক্রমনের কথা খুব কমই শোনা গেছে।
    ► ১৮৮১ – Tsar Alexander বোমা বিস্ফোরণের মারা যান। সাথে প্রায় ২১ জন নিরাপরাধ লোক মারা যায়। এই হত্যাকান্ডটি করেছিল Ignacy Hryniewiecki. এবং সে ছিল একজন Anarchists.
    ► ১৮৮৬ – Haymarket Square, শিকাগো তে লেবার র্যালিতে বোমা হামলা করা হয়। ১২ জন মারা যায়। তার মধ্যে ৭ জন পুলিস ছিল। এ ঘটনার সাথে ৮ জন Anarchists জড়িত ছিল যারা সবাই অমুসলিম।
    ► ৬ সেপ্টেম্বর ১৯০১ – আমেরিকান প্রেসিডেন্ট William McKinley কে হত্যা করা হয়। হত্যা করে Leon Czolgosz নামের একজন Anarchists যে অমুসলিম।
    ► ১ অক্টোবর ১৯১০ – লসএঞ্জেলসে টাইম নিউজপেপার বিল্ডিঙে বোমা হামলা করা হয় এবং ২১ জন মারা যায়। এই কাজটি ২ জন খ্রিস্টান করে যাদের নাম জেমস ও জোসেপ। যারা ছিল union leaders.
    ► ২৮ জুন ১৯১৪ – অস্ট্রেলিয়ার Archduke ও তার স্ত্রী কে হত্যা করা হয়। হত্যা করে বসনিয়ান সার্ভরা। তারা সবাই অমুসলিম।
    ► ১৬ এপ্রিল ১৯২৫ – বুলগেরিয়ার রাজধানি সোফিয়ায় St. Nedelya চার্চ এ বোমা হামলা করা হয়। ১০০৫০ জন মারা যায় এবং ৫০০ জন আহত হয়। এটা বুলগেরিয়ার মাটিতে সংঘটিত সবচেয়ে বড় হত্যাকান্ড। বুলগেরিয়ান কমুনিস্ট পার্টি এটা করে। তারা সবাই অমুসলিম।
    ► ৯ অক্টোবর ১৯৩৪ – Yugoslavia’র কিং আলেকজান্ডার ১ কে Vlada Georgieff হত্যা করে। সে অমুসলিম।
    ► ১ মে ১৯৬১ – প্রথম একটা আমেরিকান প্লেন হাইজাক করা হয় Ramierez Ortiz দ্বারা। সে অমুসলিম।
    ► ২৮ আগস্ট ১৯৬৮ – Guatemala তে আমেরিকান রাস্ট্রদুতকে হত্যা করা হয়। হত্যাকারী একজন অমুসলিম।
    ► ৩০ জুলাই ১৯৬৯ – জাপানে আমেরিকান রাস্ট্রদুতকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এটাও একজন অমুসলিমের দ্বারা।
    ► ৩ সেপ্টেম্বার ১৯৬৯ – ব্রাজিলে আমেরিকান রাস্ট্রদুতকে অমুসলিমরা কিডন্যাপ করে।
    ► ১৯ এপ্রিল ১৯৯৫- ওকলাহোমা ফেডারেল বিল্ডিঙে গাড়ি বোমা হামলা করা হয়। ১৬৬ জন নিহত ও ১০০ জন আহত হয়। প্রথমে একে মধ্যপ্রাচ্য ষড়যন্ত্র বলা হয়। কিন্তু পরে দেখা যায় এ ঘটনার জন্য Thimothy ও Terry নামের দুইজন খ্রিস্টান দায়ী।
    ► ২য় বিশ্বযুদ্ধের পরে ১৯৪১ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত জুইস সন্ত্রাসীরা ২৫৯ টি সন্ত্রাসী আক্রমন করে।
    ► ২২ জুলাই ১৯৪৬- কিং ডেভিড হোটেলে সন্ত্রাসী হামলা করে Menachem Begin। ৯১ জন মারা যায়। হামলা করার সময় হামলাকারীরা আরব পোশাক পরে হামলা করে, এটা প্রমান করার জন্য যে মুসলিমরা এ ঘটনার সাথে জড়িত।
    ► ১৯৬৮-১৯৯২, জার্মানীতে Baader Meinhoff গ্যাং প্রচুর লোক হত্যা করে।
    ► ইতালীর সাবেক প্রধানমন্ত্রী Aldo Moro কে Red Brigade কিডন্যাপ করে ও হত্যা করে।
    ► ২০ মার্চ ১৯৯৫- Aum Shinrikyo নামের একজন বৈদ্ধ টোকিয় সাবওয়েতে নার্ভ গ্যাস ছেড়ে দেয়। যার ফলে ১২ জন মারা যায় এবং ৫৭০০ জন শারীরিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
    ► IRA (The Irish Republican Army) আইরিশ রিপাব্লিকান আর্মী
    UK তে IRA শত বছর ধরে সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে। তারা ক্যাথোলিক। কিন্তু তাদের ক্যাথোলিক সন্ত্রাসী বলা হয় না। ১৯৭২ সালে IRA তিনটি বোমা হামলা চালায়। প্রথমটায় ৭, ২য় টায় ১১ ও ৩য় টায় ৯ জন মারা যায়।
    — ১৯৭৪ সালে IRA দুটি বোমা হামলা করে। প্রথমটি হয় Guildford Pub এ, ৫ জন নিহত ও ৪৪ জন আহত। ২য় টি হয় Birmingham Pub এ, ২১ জন নিহত ও ১৮২ জন আহত।
    — ১৯৯৬ সালে IRA লন্ডনে বোমা হামলা চালায়। এতে ২ জন নিহত ও ১০০ জন আহত হয়। একই বছরে ম্যানচেস্টার শপিং সেন্টারে তারা বোমা হামলা করে। এতে ২০৬ জন মারা যায়।
    — ১ আগস্ট ১৯৯৮, Banbridge বোমা হামলা। IRA ৫০০ পাউন্ড এর গাড়িতে ফিট করে। ৩৫ জন আহত হয়।
    — ১৫ আগস্ট ১৯৯৮, Omagh বোমা হামলা। IRA ৫০০ পাউন্ড এর গাড়িতে ফিট করে। ২৯ জন মারা যায় এবং ৩৩০ জন আহত হয়।
    — ৪ মার্চ ২০০১, IRA বিবিসি তে বোম্বিং করে।
    IRA কে কখনও ক্যাথোলিক সন্ত্রাসী বলা হয়না। আজ UK সরকার মুসলিম সন্ত্রাসী নিয়ে বেশী ভীত। কিন্তু IRA সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসী হামলা করেছে UK তে।
    ► স্পেন ও ফ্রান্সে ETA ৩৬ টি সন্ত্রাসী হামলা করেছে।
    ► আফ্রিকায় অনেক সন্ত্রাসী সংগঠন আছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী কুখ্যত উগান্ডার Lord’s Salvation Army. এরা বাচ্চাদের ট্রেনিং দেয় সন্ত্রাসী হামলার জন্য।
    ► শ্রীলঙ্কার LTTE (Liberation Tigers of Tamil Elam) সবচেয়ে বেশী কুখ্যত। এরা পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি হিংস্র সন্ত্রাসী সংগঠন। তারা আত্নঘাতী বোমা হামলায় ছিল পারদর্শী। এমনকি একাজে তারা বাচ্চাদের ব্যাবহার করত।
    সাধারনত মানুষ ফিলিস্তিনে আত্নঘাতী বোমা হামলার সাথে পরিচিত। কিন্তু LTTE তাদের আত্নঘাতী বোমা হামলার জন্য বিখ্যত। তারা ছিল হিন্দু।
    ► ৫ জুন ১৯৮৪, ইন্ডিয়ান সিকিউরিটি ফোর্স শিখদের স্বর্ণমন্দির পুড়িয়ে দেয়। এতে ১০০ জন মারা যায়।
    Abdullah Yousuf, [20.10.18 23:18]
    — ৩১ অক্টোবর ১৯৮৪, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে তার শিখ দেহরক্ষীরা হত্যা করে।
    — ত্রিপুরায় খ্রিস্টানদের ATTF (All Tripura Tiger Force) এবং NLFT (National Liberation Front of Tripura) নামের দুটি সন্ত্রাসী সংগঠন আছে। ২ অক্টোবর এ তারা ৪৪ জন হিন্দুকে হত্যা করে।
    — আসামে আছে ULFA (United Liberation Front of Assam). ১৯৯০ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ১৬ বছরে তারা ৭৪৯ টি নিশ্চিত সন্ত্রাসী হামলা করে। ULFA কে ট্রেনিং করা হয়েছে মুসলিমদের হত্যা করার জন্য। কিন্তু এ নিউজ আমরা মিডিয়ায় পাইনা।
    — ইন্ডিয়ায় সবচেয়ে বেশী সন্ত্রাসী হামলা করেছে মাওবাদীরা।
    — কাশ্মীরে ভারতের সেনাবাহিনী প্রতিনিয়ত মুসলিমদের হত্যা করছে।
    ► এডলফ হিটলার, সবচেয়ে বেশী মানুষ হত্যাকারী। ৬ মিলিয়ন ইহুদিকে সে গ্যাস চেম্বারে হত্যা করেছে। সে ছিল খ্রিস্টান।
    ► জোসেফ স্টালিন ২০ মিলিয়ন মানুষ হত্যা করেছে। তারমধ্যে ১৪.৫ মিলিয়ন মানুষ খাদ্যাভাবে মারা গেছে।
    ► মাও সেতুং চিনে ১৪ থেকে ২০ মিলিয়ন মানুষ হত্যা করেছে। সে ছিল অমুসলিম।
    ► মুসোলিনি ইতালিতে ৪ লাখ মানুষ হত্যা করেছে।
    ► অশোকা কলিংগ যুদ্ধে একাই ১ লাখ মানুষ হত্যা করেছে। সে ছিল হিন্দু।
    ► সাদ্দাম হোসেন ইরাকে ১০০ জনের মত মানুষ হত্যা করেছে। কিন্তু বুশ ইরাকে শিশু সহ ৫ লাখ মানুষ হত্যা করেছে।
    ► ১৯ শতাব্দীতে আমেরিকান বিপ্লব সংগঠিত হয়। তখন ব্রিটিশ সরকারের ভাষ্যমতে বিশ্বের এক নাম্বার সন্ত্রাসী ছিল বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিঙ্ক ও জর্জ ওয়াশিংটন।
    ► ২০১২, মায়ানমারের বৈদ্ধরা মুসলিমদের উপর গণহত্যা চালাচ্ছে। কিন্তু বিশ্বমিডিয়া নিরব।
    উপরের আলোচনা থেকে আমরা কি দেখতে পাই? মুসলিমরা কি সন্ত্রাসী? ইসলাম সন্ত্রাসবাদকে কখনও সমর্থন করে না।
    বরং, সন্ত্রাসবাদ দমনে ইসলাম জিহাদকে ফরজ করেছে। তাই, যেখানেই সন্ত্রাসবাদ চলবে শরীয়তের নীতি অনুযায়ী জিহাদের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদকে দমন করতে হবে।
    ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

  • #2
    মুমিন ও কাফিরের মাঝে যুদ্ধ চলবেই। এ যুদ্ধ কেও বন্ধ করতে পারবে না।
    والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

    Comment


    • #3
      মুমিন ও কাফেরের যুদ্ধ অতি নিকঠে।
      আমরা পুরুষ, যারা মৃত্যুকে ততটাই ভালোবাসি
      যতটা তোমরা তোমাদের জীবনকে ভালোবাসো৷

      Comment

      Working...
      X