ফোরামে ইলম ও জিহাদ ভাইয়ের নিকট কয়েকটি প্রশ্ন??💙💙💚💚💛💛

[usama alhindi]

1 : কোন মুজাহিদ ভাই কোন কাফেরকে হত্যা করে পালানোর সময় কোন (চাই আলেম, সাধারণ যে কোন ধরনের এক বা একাধিক) ব্যক্তি ধরার চেষ্টা করে তাহলে তাদেরকে কি হত্যা করতে পারবে??
2 : কোন ভাই হিজরতের জন্য টাকা জমা করতে লাগলো এমতঅবস্থায় তার জাকাতের নেসাব পরিমান মাল হয়ে গেল তাহলে কি তার উপর জাকাত দেয়া ওয়াজিব হবে? পরে যদি এই ভাই যেতে না পারেন তাহলে কি করবেন??
3 : হলি আর্টিজেনের আক্রমন কিভাবে বৈধ হলো ??
4 : বর্তমান যে সমস্ত আলেমগন স্পষ্ট কুফুরিতে লিপ্ত কিন্তু তাদেরকে আমরা বিভিন্ন তাবিলের কারনে কাফের বলছি না কিন্তু সে হাকিকতান কুফুরী করছে ( যেমন শাইখ হারেস আননাজ্জারি তার কিতাব কালিমাতুত তাওহীদে পরকালে মুক্তির জন্য 7 টি সর্ত উল্লেখ করেছেন এর মধ্যে সাত নাম্বার টি হচ্ছে المحبة ) তাহলে কি সে আল্লাহর সামনে কাফের হিসেবে উপস্থিত হবে নাকি মুসলিম হিসেবে??
5 : العذر بالجهل বর্তমান গ্রহণ করা হবে কিনা ??
উপরের বিষয়গুলো দলিল ভিত্তিক বিস্তারিত আলোচনা করার অনুরোধ জানাচ্ছি । আল্লাহ আপনার মেহনতকে কবুল করুন আমীন

[ফানা ফিল্লাহ]

ভাই
আমারও একটা উত্তর দিলে ভাল উপকৃত হতাম।
প্রশ্নটা হলঃ কোন মুজাহিদ যদি বন্দি হয়, আর সীমাতিক্রম নির্যাতনের স্বীকার হয়,তাহলে কি তার জন্য আত্মহত্যা জায়েয হবে?

এটা নিয়ে অনেক ভুগান্তিতে আছি ভাই ।জানালে ভাল হত...

[ইলম ও জিহাদ]

1 : কোন মুজাহিদ ভাই কোন কাফেরকে হত্যা করে পালানোর সময় কোন (চাই আলেম, সাধারণ যে কোন ধরনের এক বা একাধিক) ব্যক্তি ধরার চেষ্টা করে তাহলে তাদেরকে কি হত্যা করতে পারবে??
2 : কোন ভাই হিজরতের জন্য টাকা জমা করতে লাগলো এমতঅবস্থায় তার জাকাতের নেসাব পরিমান মাল হয়ে গেল তাহলে কি তার উপর জাকাত দেয়া ওয়াজিব হবে? পরে যদি এই ভাই যেতে না পারেন তাহলে কি করবেন??
3 : হলি আর্টিজেনের আক্রমন কিভাবে বৈধ হলো ??
4 : বর্তমান যে সমস্ত আলেমগন স্পষ্ট কুফুরিতে লিপ্ত কিন্তু তাদেরকে আমরা বিভিন্ন তাবিলের কারনে কাফের বলছি না কিন্তু সে হাকিকতান কুফুরী করছে ( যেমন শাইখ হারেস আননাজ্জারি তার কিতাব কালিমাতুত তাওহীদে পরকালে মুক্তির জন্য 7 টি সর্ত উল্লেখ করেছেন এর মধ্যে সাত নাম্বার টি হচ্ছে المحبة ) তাহলে কি সে আল্লাহর সামনে কাফের হিসেবে উপস্থিত হবে নাকি মুসলিম হিসেবে??
5 : العذر بالجهل বর্তমান গ্রহণ করা হবে কিনা ??
উপরের বিষয়গুলো দলিল ভিত্তিক বিস্তারিত আলোচনা করার অনুরোধ জানাচ্ছি । আল্লাহ আপনার মেহনতকে কবুল করুন আমীন

1 : কোন মুজাহিদ ভাই কোন কাফেরকে হত্যা করে পালানোর সময় কোন (চাই আলেম, সাধারণ যে কোন ধরনের এক বা একাধিক) ব্যক্তি ধরার চেষ্টা করে তাহলে তাদেরকে কি হত্যা করতে পারবে??

উত্তর: হত্যা না করে পালানোর চেষ্টা করবে। যদি জখম করে নিজেকে বাঁচানো সম্ভব হয়, তাহলে হত্যায় যাবে না। একান্ত যদি হত্যা ছাড়া উপায় না থাকে, তাহলে জীবন বাঁচানোর সর্বশেষ অবলম্বন হিসেবে হত্যা করতে পারবে। [যেসব কারণে একজন মুসলমান হত্যার উপযুক্ত হয়ে পড়ে] শিরোনামের পোস্টগুলো পড়লে বিস্তারিত জানতে পারবেন।


2 : কোন ভাই হিজরতের জন্য টাকা জমা করতে লাগলো এমতাবস্থায় তার জাকাতের নেসাব পরিমান মাল হয়ে গেল তাহলে কি তার উপর জাকাত দেয়া ওয়াজিব হবে? পরে যদি এই ভাই যেতে না পারেন তাহলে কি করবেন??

উত্তর: নেসাব পরিমাণ হয়ে গেলে এবং যাকাতের শর্ত পাওয়া গেলে যাকাত দিতে হবে।

3 : হলি আর্টিজেনের আক্রমন কিভাবে বৈধ হলো ??

প্রশ্নটা একটু বুঝিয়ে করুন।

4 : বর্তমান যে সমস্ত আলেমগন স্পষ্ট কুফুরিতে লিপ্ত কিন্তু তাদেরকে আমরা বিভিন্ন তাবিলের কারণে কাফের বলছি না কিন্তু সে হাকিকতান কুফুরী করছে ( যেমন শাইখ হারেস আননাজ্জারি তার কিতাব কালিমাতুত তাওহীদে পরকালে মুক্তির জন্য 7 টি সর্ত উল্লেখ করেছেন এর মধ্যে সাত নাম্বার টি হচ্ছে المحبة ) তাহলে কি সে আল্লাহর সামনে কাফের হিসেবে উপস্থিত হবে নাকি মুসলিম হিসেবে??

উত্তর: আমাদের দেশের আলেমগণের অনেকে বিভিন্ন প্রকার গোমরাহি ও বিদআতে লিপ্ত হলেও, কুফরে লিপ্ত অনেক কম। অনেকে তাগুতদের বিষয়াশয় বুঝে না। বুঝিয়ে দিলে তখন বুঝে। এ জন্য আলেমদের তাকফিরের পেছনে না পড়াই ভাল। তাকফিরের বিষয় অনেক জটিল। এক জন মুসলমানকে দ্বীন থেকে বহিষ্কৃত ঘোষণা দিতে অনেক কিছুর প্রয়োজন। আমাদের উচিৎ তাগুতদের বিরুদ্ধে কাজ করা। আলেম উলামাদেরকে দলীল প্রমাণ দিয়ে বুঝানো এবং তাদের ভ্রান্তিগুলো তুলে ধরা।
আর যাদেরকে আমরা তাবিলের কারণে তাকফির করি না, তাদের মাঝে স্বাভাবিক এটাই যে, তারা আখেরাতেও কাফের হবে না। তবে কারো অন্তরে যদি নিফাকে আকবার থাকে, তাহলে সে মুনাফিক। কাফের। তবে আমরা যেহেতু অন্তরের খবর জানি না, তাই কে মুনাফিক তা জানাও সম্ভব নয়। তাদের ব্যাপারটা আল্লাহ তাআলার দায়িত্বে।


5 : العذر بالجهل বর্তমান গ্রহণ করা হবে কিনা ??

العذر بالجهل সব সময়ই গ্রহণযোগ্য। বিশেষত বর্তমানে যখন কুফর শিরিকের ছড়াছড়ি, তখন العذر بالجهل এর বিষয়টা মাথায় রাখা জরুরী। তবে ব্যক্তি, বিষয় ও পরিবেশ হিসেবে বিধানে ভিন্নতা আসবে। সবার ক্ষেত্রে সব ধরণের জাহালত গ্রহণযোগ্য নয়। কারো ক্ষেত্রে একটা গ্রহণযোগ্য হবে, আরেকজনের ক্ষেত্রে আরেকটা। তবে শাসকরা কিছুতেই জাহেল নয়। দীর্ঘ যামানা পর্যন্ত তাদেরকে সতর্ক করা হচ্ছে। তাকফির করা হচ্ছে। তারা এ দিকে ফিরেই তাকায় না। উল্টো আল্লাহর শরীয়ত ধ্বংসে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায়। হুকুম বি গাইরি মা আনযালাল্লাহর ক্ষেত্রে তাদের জাহালত নেই।

[ইলম ও জিহাদ]

ভাই
আমারও একটা উত্তর দিলে ভাল উপকৃত হতাম।
প্রশ্নটা হলঃ কোন মুজাহিদ যদি বন্দি হয়, আর সীমাতিক্রম নির্যাতনের স্বীকার হয়,তাহলে কি তার জন্য আত্মহত্যা জায়েয হবে?

এটা নিয়ে অনেক ভুগান্তিতে আছি ভাই ।জানালে ভাল হত...

নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা জায়েয নয়। আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে সবর করে থাকবে। আপনি নিচের মাকালাটি দেখতে পারেন,

সম্ভ্রমহানির ভয়ে আত্মহত্যা বৈধ নয়
প্রশ্ন:-
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ!
আমার জানার বিষয় হল- কাফেরদের নির্যাতনের ভয়ে বা নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কোনো মুসলিম মহিলার জন্য আত্মহত্যা করা বৈধ হবে কি?

উত্তর:-
ওয়াআলাইকুমুস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ!
আত্মহত্যা কবীরা গুনাহ। নির্যাতনের ভয়ে বা নির্যাতন থেকে মুক্তির জন্যও আত্মহত্যা করা জায়েয নয়।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
وَلَا تَقْتُلُوا أَنْفُسَكُمْ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا
“তোমরা নিজেদের হত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তোমাদের প্রতি অতিশয় দয়ালু।” (নিসা- ২৯)
এ আয়াতের নিষেধাজ্ঞায় অন্য মুসলিমকে হত্যা করা এবং নিজেকে হত্যা করা উভয়ই অন্তর্ভুক্ত। তদ্রূপ রাগ, মান-অভিমান, জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা, শাস্তি বা মানহানি ইত্যাদির ভয়ে আত্মহত্যাও অন্তর্ভুক্ত। অতএব, এসবের কোন অবস্থাতেই আত্মহত্যা জায়েয হবে না।
উক্ত আয়াতের তাফসীরে শায়খ সা’দী রহ. বলেন,
{ولا تقتلوا أنفسكم} أي: لا يقتل بعضكم بعضا، ولا يقتل الإنسان نفسه. اهـ
“তোমাদের পরস্পর যেন একে অপরকে হত্যা না কর এবং কোনো ব্যক্তি যেনো নিজেকে নিজে হত্যা না করে।” (তাফসীরে সা’দী: ১৭৫)
ইমাম কুরতুবী রহ. বলেন,
وأجمع أهل التأويل علي أن المراد بهذه الاية النهي أن يقتل بعض الناس بعضا. ثم لفظها يتناول أن يقتل الرجل نفسه... ويحتمل أن يقال: {ولا تقتلوا أنفسكم} في حال ضجر أو غضب فهذا كله يتناوله النهي. اهـ
“মুফাসসিরিনে কেরাম একমত যে, এ আয়াত দ্বারা উদ্দেশ্য- মানুষের একে অপরকে হত্যার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা। আয়াতের শব্দ আত্মহত্যার নিষেধাজ্ঞাকেও শামিল করে।... এও অবকাশ আছে যে, অসন্তোষ বা ক্রোধের বশবর্তী হয়ে তোমরা আত্মহত্যা করো না। এ সবই নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত।” (তাফসীরে কুরতুবী; খণ্ড: ৫, পৃষ্ঠা: ১৩৫)
শায়খ আবু উসামা আশশামী বলেন,
لا يجوز للمرأة المسلمة أن تقتل نفسها حتى لو تعرضت لتدنيس عرضها على يد أعداء الدين مهما بلغت مرارة الألم الذي تشعر به وهي لا شك عظيمة ولكنها لا تبيح لها قتل نفسها لأن الله سبحانه قال " ولا تقتلوا أنفسكم إن الله كان بكم رحيما " فهذا النص القطعي الثبوت القطعي الدلالة بحاجة إلى مخصص له لإباحة قتل النفس في مثل هذه الحالة أو غيرها؛ وذلك لا يكون إلا بمصلحة قطعية كلية ضرورية كما في العمليات الاستشهادية بضوابطها الشرعية المعروفة، وقتل المرأة نفسها لأجل أنها تعرضت لما تعرضت له ليس فيه أي مصلحة حتى يقال بجوازه. ومعلوم أن أمثال هذه المرأة مكره والمكره معذور مرفوع عنه الحرج والمؤاخذة، فما الداعي إذن لأن تقتل هذه المرأة نفسها. اهـ
“কষ্ট যতই হোক না কেন, দ্বীনের দুশমনদের হাতে কোন মুসলিম নারী সম্ভ্রমহানির শিকার হলে তার জন্য আত্মহত্যা জায়েয হবে না। যদিও তা অনেক বড় বেদনাদায়ক যন্ত্রণা, তথাপি তা আত্মহত্যার বৈধতা দেবে না। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘তোমরা নিজেদের হত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তায়ালা তোমাদের প্রতি অতিশয় দয়ালু’। এ নস কাত্বঈয়্যুস সুবূত ও কাত্বঈয়্যুদ দালালাহ্। এ ধরনের বা অন্য কোন পরিস্থিতিতে আত্মহত্যার বৈধতা দিতে হলে এ নসের কোন মুখাসসিস (مخصص) –তথা বিশেষ পরিস্থিতিতে আত্মহত্যার বৈধতার স্বপক্ষে বিশেষ দলীল- আবশ্যক। আর তা একান্ত অপারগ অবস্থায় ব্যাপক ও অবশ্যম্ভাবী মাসলাহাত ছাড়া হবে না। যেমনটা শরয়ী নিয়মনীতির অধীনে -যেগুলো সকলেরই জানা- সম্পন্ন ইস্তিশহাদি হামলার ক্ষেত্রে হয়। মসিবতের শিকার হয়ে কোন নারী নিজেকে হত্যা করে দেয়ার মাঝে এমন কোন মাসলাহাত নেই, যার ভিত্তিতে তা জায়েয বলা যেতে পারে। সকলের জানা যে, এ ধরনের মহিলা ‘মুকরাহ’ তথা বাধ্য। এমন ব্যক্তি (শরীয়তের দৃষ্টিতে) মা’জূর। তার কোন গুনাহ নেই। একারণে তাকে পাকড়াও করা হবে না। সুতরাং সে আত্মহত্যা করবে কেন?” (আস-ইলাতু মুনতাদাল মিম্বার, প্রশ্ন নং ৫৮৮)
এক হাদীসে এসেছে,
عن أنس بن مالك عن النبي صلى الله عليه وسلم قال أكبر الكبائر الإشراك بالله وقتل النفس وعقوق الوالدين وقول الزور أو قال وشهادة الزور (صحيح البخاري 6871)
“হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, সবচেয়ে বড় কবীরা গুনাহ: আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা, কাউকে বা নিজেকে হত্যা করা, মাতা-পিতার অবাধ্য হওয়া, মিথ্যা বলা বা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া।” (সহীহ বুখারী: ৬৮৭১)
অন্য হাদীসে এসেছে,
عن أبي هريرة رضي الله عنه : عن النبي صلى الله عليه و سلم قال ( من تردى من جبل فقتل نفسه فهو في نار جهنم يتردى فيه خالدا مخلدا فيها أبدا ومن تحسى سما فقتل نفسه فسمه في يده يتحساه في نار جهنم خالدا مخلدا فيها أبدا ومن قتل نفسه بحديدة فحديدته في يده يجأ بها في بطنه في نار جهنم خالدا مخلدا فيها أبدا ) (صحيح البخاري 5442، صحيح مسلم 313)
“হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি পাহাড় হতে পড়ে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামের আগুনে সর্বদা পাহাড় হতে পড়তে থাকবে। এভাবেই সে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ কাল শাস্তি ভোগ করতে থাকবে। যে বিষপানে আত্মহত্যা করবে, তার বিষ তার হাতে দেওয়া হবে। সে জাহান্নামের আগুনে সর্বদা তা পান করতে থাকবে। এভাবেই সে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ কাল শাস্তি ভোগ করতে থাকবে। যে ধারালো কোন অস্ত্রের আঘাতে আত্মহত্যা করবে, তার হাতে সেই অস্ত্র ধরিয়ে দেয়া হবে। সে তা দ্বারা জাহান্নামের আগুনে সর্বদা নিজের পেটে আঘাত করতে থাকবে। এভাবেই সে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ কাল শাস্তি ভোগ করতে থাকবে।” (সহীহ বুখারী: ৫৪৪২, সহীহ মুসলিম: ৩১৩)
খায়বার যুদ্ধে মুসলিম দাবিদার এক ব্যক্তি সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘সে জাহান্নামী’। পরে দেখা গেল সে কাফেরদের আঘাতে মারাত্মক আহত হয়। কষ্ট সহ্য করতে না পেরে নিজের পেটে নিজে ছুরি ঢুকিয়ে আত্মহত্যা করে। (সহীহ বুখারী: ৬৬০৬, সহীহ মুসলিম: ৩১৯ (
সুতরাং আল্লাহ না করুন, কোনো মুসলিম নারী যদি নির্যাতন বা ইজ্জত-আব্রুর উপর হামলার শিকার হন, তাহলে তিনি আক্রমণকারীকে তার সম্ভ্রমহানির সুযোগ দেবেন না; বরং যথাসাধ্য মোকাবালা করে যাবেন। প্রয়োজনে অস্ত্র প্রয়োগ করে তাকে হত্যা করবেন। কোনো অবস্থায়ই নিজে আত্মহত্যা করবেন না। যদি তিনি আক্রমণকারীকে হত্যা করতে সক্ষম হন, তবে তিনি ফরজ আদায়ের সওয়াব পাবেন। আক্রমণকারী থেকে নিজের ইজ্জত আব্রু রক্ষা করা ফরজ। যদি আক্রমণকারী তাকে হত্যা করে ফেলে, তাহলে তিনি ইনশাআল্লাহ শহীদদের কাতারে শামীল হবেন। আর যদি সর্বাত্মক চেষ্টার পরও তিনি নিজের ইজ্জত রক্ষায় অক্ষম হন, তবে আল্লাহ তাআলার ফয়সালা মনে করে সবর করবেন। এজন্য তার কোনো গোনাহ হবে না; বরং আল্লাহ তাআলার কাছে অবশ্যই তিনি এর মহা প্রতিদান পাবেন।
মুফতি রশীদ আহমাদ লুধিয়ানবি রহ. বলেন,
بچّوں اور عورتوں كو خودقتل كرنا جائز نهيں ،عورتوں پر خودكشي بھي حرام هے ،منجانب الله پيش آنے والے هرقسم كے حالات پر صبر كرنا اور دين پر قائم رهنا ان كے ليۓ بهت بڑا جهاد هے –
“(সম্ভ্রমহানির ভয়ে) মুজাহিদদের জন্য যেমন তাদের স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করা হারাম, তেমনি এ অবস্থায় নারীদের জন্যও আত্মহত্যা করা হারাম। আল্লাহর পক্ষ হতে আসা সকল পরিস্থিতির উপর ধৈর্যধারণ করা এবং দ্বীনের উপর অটল থাকা তাদের জন্য অনেক বড় জিহাদ।” (আহসানুল ফাতওয়া; খণ্ড: ৬, পৃষ্ঠা: ২২)
শায়খ আবুল মুনযির আশশানকিতি রহ. বলেন,
الخوف على العرض لا يبيح قتل النفس بل الواجب على الأخت المجاهدة حفظها الله من كل سوء أن تدفع عن عرضها بكل ما يسر الله من وسائل مشروعة فإن وقع شيء مما تخافه فينبغي الصبر والاحتساب والرضى بما كتب الله من البلاء. ففي الصبر على ذالك الأجر والمثوبة إن شاء الله والدنيا زائلة والأجر باق بإذن الله. اهـ
“সম্ভ্রমহানির ভয় আত্মহত্যার বৈধতা দেয় না। বরং একজন মুজাহিদ বোনের কর্তব্য হল -আল্লাহ তাকে সব রকমের মন্দ থেকে হেফাজত করুন- সামর্থ্যানুযায়ী শরীয়তসম্মত সকল পন্থায় নিজের সম্ভ্রম রক্ষার চেষ্টা করা। তবে যে ভয় সে করছিল, তার কোন কিছু যদি ঘটেই যায়, তাহলে তার করণীয় হবে- সওয়াবের আশায় ধৈর্য ধারণ করা এবং আল্লাহ তাআলা তাকদিরে যে মসিবত লিখে রেখেছেন, তাতে সন্তুষ্ট থাকা। ইনশাআল্লাহ এই সবরের বিনিময়ে সওয়াব ও প্রতিদান মিলবে। বিইযনিল্লাহ দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে, কিন্তু সওয়াব রয়ে যাবে।” (আস-ইলাতু মুনতাদাল মিম্বার, প্রশ্ন নং ৩৮৬৯)
والله تعالى أعلم

[Bara ibn Malik]

ইলম ও জিহাদ ভাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনার ইলম বাড়িয়ে দিক আমিন। ভাই আমাদের মাঝে আপনাদের মত ব্যক্তির উপস্থিতি খুবি প্রয়োজন।

[আবু মুহাম্মাদ]

2 : কোন ভাই হিজরতের জন্য টাকা জমা করতে লাগলো এমতঅবস্থায় তার জাকাতের নেসাব পরিমান মাল হয়ে গেল তাহলে কি তার উপর জাকাত দেয়া ওয়াজিব হবে? পরে যদি এই ভাই যেতে না পারেন তাহলে কি করবেন??

যাজাকাল্লাহ খাইরান, উত্তরদাতা ভাইকে আল্লাহ তায়ালা কবুল করুন। এই প্রশ্নের উত্তরে আমি একটু বৃদ্ধি করতে চাইঃ

টাকাতে শুধু হিজরতের নিয়াতের কারণে যাকাত মাফ হবে না। তবে যদি এই টাকা নিয়াত করে ওয়াকফ করে দেয়। এবং পরবর্তিতে জমানো টাকাও ওয়াকফের নিয়াতে জমা করে তাহলে যাকাত আসবে না। সেই সাথে এই টাকা অন্য কোন কাজে ব্যয় করতেও পারবে না। আল্লাহু আ'লাম।

[abu ahmad]

জাঝাকুমুল্লাহ খাইরান। অসংখ্য ধন্যবাদ ইলম ও জিহাদ ভাইকে। আল্লাহ তা‘আলা আপনাকে তার খাছ বান্দাদের মধ্যে গণ্য করে নিন।..আমীন