Announcement

Collapse
No announcement yet.

নারী ফেৎনা সম্পর্কে কিছু কথা

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • নারী ফেৎনা সম্পর্কে কিছু কথা

    আস্ সালামু আলাইকুম, ভাইয়েরা, আমি ফোরামে নতুন, পোস্টে কোন ত্রুটি থাকলে, আশা করি পরামর্শ দিবেন। পরবর্তীতে ঠিক করে নেব। ইনশাআল্লাহ..

    নারী ফেৎনা সম্পর্কে কিছু কথা

    আজ আমাদের মা-বোনদেরকে নিয়ে বড়ই টেনশন হয়। তারা আজ ইসলামকে ভুলে যেভাবে চলাফেরা করছে, তারা তো ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাচ্ছে। আজ নারীদের ফেৎনা চরম মাত্রায় পৌছে গেছে। রাস্তায় বের হলেই এসব ফেৎনা চোখে পড়ে। বিভিন্ন জায়গায় যেমন- বাসায়, বাজারে, সাধারণ দোকান পাটে, হোস্টেল, গেস্টরুম আর রিক্সা থেকে শুরু করে অন্যান্য ভিআইপি যানবাহনও আজ নারী ফেৎনায় ভরপুর। এখন তো তরকারী কিনতে গেলেও নারীদেরকে বেপর্দা অবস্থায় দেখা যায়। স্কুল, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, পার্ক সহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী জায়গাগুলোতে নারীদের ফেৎনা ছেয়ে গেছে। আর গণমাধ্যমগুলো তো নারী ফেৎনা ছড়িয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এখন তো মুত্তাকী ব্যক্তিদের চলাফেরা করাটায় মুশকিল হয়ে গেছে। একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন, ফজরের নামাযের পর অনেক মহিলারা হাটতে বের হয়, কেউ চর্বি কমানোর জন্য, কারো ডায়াবেটিস আছে, কেউ ফিটনেস ঠিক রাখার জন্য আবার কেউ কেউ এমনিতেই অথবা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে নানা উজুরে হাটতে বের হন। বিশেষ করে শীতকালে এটা একধরণের ফ্যাশনে পরিনত হয়েছে। বলুনতো মুক্তাকী ব্যক্তিরা কোন সময়ে কোন দিকে তাকিয়ে চলাফেরা করবে?
    হে মা-বোনেরা, আপনাদেরকে বলছি…

    আল্লাহ তা’আলার ফরজ বিধানকে মেনে নিন, রাসূলের সুন্নতকে মেনে চলুন, মহিলা সাহাবীদের থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন। ইসলামকে আঁকড়ে ধরে সম্মানের জীবনকে বেছে নিন। দুনিয়ার বিলাসিতায় মত্ত হয়ে, আল্লাহকে ভুলে গিয়ে, আল্লাহর রাসূলের আদর্শকে ভুলে গিয়ে, কাফেরদেরকে অনুসরণ করে ক্ষতিগস্থদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাবেন না। মৃত্যুর ডাক আসার আগেই নিজেকে সঠিক পথে পরিচালনা করুন। নয়তো মৃত্যু, কবর, হাশর, মীযান, পুলসিরাত কোনটাই আপনার জন্য সম্মানের হবে না। বরং ঠিকানা হবে চিরস্থায়ী জাহান্নাম, যা অত্যন্ত ভয়াবহ।

    পরিশেষে, আল্লাহ তা’আলা আপনাকে আমাকে এবং আমাদের মা-বোনেদেরকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুন এবং সকল প্রকার ফেৎনা থেকে আমাদের হেফাজত করুন। আমীন। আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামীন।
    আপনাদের নেক দু‘আয় মুজাহিদীনে কেরামকে ভুলে যাবেন না

  • #2
    আখি, আপনাকে ধন্যবাদ। প্রিয় আখি,আপনি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে এনেছেন! আজ পরিস্থিতি এত খারাপের দিকে গিয়েছে যে, ভাষায় প্রকাশ করা মুশকিল! আজকের বোনেরা প্রথমে নিজেদেরকে ছেলেদের সামনে ভোগ্যপণ্য হিসেবে পেশ করে আর ভোগবাদী ছেলেরা তাদের লোলুপ দৃষ্টিতে সেই বোনটি শয়তানের সুখে হারিয়ে ফেলে! ফলে কিছুদিন পরপর আমরা কিছু নবজাতক দেখতে পায় ডাস্টবিনে / ময়লার স্তুপে!প্রিয় বোনেরা, আপনাদের অনুরোধ করে বলছি, কারো ভোগ্যপণ্য না হয়ে আল্লাহর ইবাদতে মনোযোগ দিন।
    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

    Comment


    • #3
      প্রতিটি আদম সন্তানই ইসলামে'র ফিতরাতের উপর জম্ম গ্রহণ করে, পরে তার/ তাদের পিতা মাথা তাদের ইয়াহুদী বানায় নাছারা বানায়!!!!
      আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
      আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

      Comment


      • #4
        প্রিয় ভাই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন। আল্লাহ আপনি আমাদেরকে এই ফেতনা থেকে হেফাজত করুন, আমিন

        Comment


        • #5
          ১৮ বছর হলো বিবাহের বয়স। তার আগে হলো পালানোর বয়স।
          আর ছেলেদের ক্ষেত্রে ছেলের পিতার কথা হলো বিয়ে করে বউকে খাওয়াবে /পরাবে কিভাবে। তার নিজেরই তো আয় রোজগার কম (অঢেল সম্পত্তি হওয়া দরকার)।

          [অতএব = সমান সমান = প্রেম করে আর পালায়, লাইভটাকে কলঙ্কিত করে]

          Comment


          • #6
            ১৮ বছর হলো বিবাহের বয়স। তার আগে হলো পালানোর বয়স।


            জী,ভাই! ঠিক বলেছেন। আজকের পৃথিবী এমনিই চলছে।
            আল্লাহ আমাদেরকে নারী ফিৎনা থেকে পবিত্র রাখুন,আমীন।
            যোদ্ধা হব, যুদ্ধ করব,
            ক্বিতালের জন্য দাওয়াত দিব, ইনশাআল্লাহ।

            Comment


            • #7
              Originally posted by আল-কোরআনের সৈনিক View Post
              আস্ সালামু আলাইকুম, ভাইয়েরা, আমি ফোরামে নতুন, পোস্টে কোন ত্রুটি থাকলে, আশা করি পরামর্শ দিবেন। পরবর্তীতে ঠিক করে নেব। ইনশাআল্লাহ..

              নারী ফেৎনা সম্পর্কে কিছু কথা

              আজ আমাদের মা-বোনদেরকে নিয়ে বড়ই টেনশন হয়। তারা আজ ইসলামকে ভুলে যেভাবে চলাফেরা করছে, তারা তো ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাচ্ছে। আজ নারীদের ফেৎনা চরম মাত্রায় পৌছে গেছে। রাস্তায় বের হলেই এসব ফেৎনা চোখে পড়ে। বিভিন্ন জায়গায় যেমন- বাসায়, বাজারে, সাধারণ দোকান পাটে, হোস্টেল, গেস্টরুম আর রিক্সা থেকে শুরু করে অন্যান্য ভিআইপি যানবাহনও আজ নারী ফেৎনায় ভরপুর। এখন তো তরকারী কিনতে গেলেও নারীদেরকে বেপর্দা অবস্থায় দেখা যায়। স্কুল, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, পার্ক সহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী জায়গাগুলোতে নারীদের ফেৎনা ছেয়ে গেছে। আর গণমাধ্যমগুলো তো নারী ফেৎনা ছড়িয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এখন তো মুত্তাকী ব্যক্তিদের চলাফেরা করাটায় মুশকিল হয়ে গেছে। একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন, ফজরের নামাযের পর অনেক মহিলারা হাটতে বের হয়, কেউ চর্বি কমানোর জন্য, কারো ডায়াবেটিস আছে, কেউ ফিটনেস ঠিক রাখার জন্য আবার কেউ কেউ এমনিতেই অথবা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে নানা উজুরে হাটতে বের হন। বিশেষ করে শীতকালে এটা একধরণের ফ্যাশনে পরিনত হয়েছে। বলুনতো মুক্তাকী ব্যক্তিরা কোন সময়ে কোন দিকে তাকিয়ে চলাফেরা করবে?
              হে মা-বোনেরা, আপনাদেরকে বলছি…

              আল্লাহ তা’আলার ফরজ বিধানকে মেনে নিন, রাসূলের সুন্নতকে মেনে চলুন, মহিলা সাহাবীদের থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন। ইসলামকে আঁকড়ে ধরে সম্মানের জীবনকে বেছে নিন। দুনিয়ার বিলাসিতায় মত্ত হয়ে, আল্লাহকে ভুলে গিয়ে, আল্লাহর রাসূলের আদর্শকে ভুলে গিয়ে, কাফেরদেরকে অনুসরণ করে ক্ষতিগস্থদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাবেন না। মৃত্যুর ডাক আসার আগেই নিজেকে সঠিক পথে পরিচালনা করুন। নয়তো মৃত্যু, কবর, হাশর, মীযান, পুলসিরাত কোনটাই আপনার জন্য সম্মানের হবে না। বরং ঠিকানা হবে চিরস্থায়ী জাহান্নাম, যা অত্যন্ত ভয়াবহ।

              পরিশেষে, আল্লাহ তা’আলা আপনাকে আমাকে এবং আমাদের মা-বোনেদেরকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুন এবং সকল প্রকার ফেৎনা থেকে আমাদের হেফাজত করুন। আমীন। আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামীন।
              জাযাকাল্লাহু খাইরান।
              ভাই! অনেক সুন্দর লিখছেন,মাশাআল্লাহ।
              আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সকল গুনাহ থেকে দূরে রাখুন,আমীন।
              মুমিনদেরকে ক্বিতালের জন্য উদ্বুদ্ধ করুন।

              Comment


              • #8
                জাযাকাল্লাহু খাইরান।
                ভাই! অনেক সুন্দর লিখছেন,মাশাআল্লাহ।
                আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সকল গুনাহ থেকে দূরে থাকুন,আমীন।

                Comment

                Working...
                X