Announcement

Collapse
No announcement yet.

ঈমান মজবুত করার অযুহাত আর চলবে না

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ঈমান মজবুত করার অযুহাত আর চলবে না

    ঈমান মজবুত হবে কবে?
    যদি কেউ ফজরের নামাজ আদায় না করে । পরে সে চাইল জুহর নামাজ পড়তে ,তখন কি আমরা বলি যে, “ভাই! উমি ফজরেরে নামাজ পড়নি, তোমার ঈমান মজবুত হয়নি, তাই তোমার জুহরের নামাজ হবে না?

    কেউ যদি নামাজের ব্যাপারে খুব উদাসীন থাকে এমনকি সাপ্তাহে জুমুয়া ছাড়া আর কোন নামাজই পড়ে না। এখন সে হজ্ব করতে চায়, তখন কি আমরা বলি যে, “ভাই! তুমি তো নামাজের ব্যাপারে খুব উদাসীন তোমার ঈমান দুর্বল, তাই তোম আর হজ্ব আদায় হবে না?
    যদি কেউ নামাজ ও রোযার ব্যাপারে খুব উদাসীন থাকে কিন্তু সে মাদ্রাসায় দান-খায়রাত করতে চায়, তখন কি আমরা বলি যে, “দোস্ত! তোমার নামাজ-রোযার ক্ষেত্রে খুব উদাসীনতা আছে তোমার ঈমান এখনো পাকা হয়নি, তাই তোমার সাদাকাহ হবে না?এ দানে মাদ্রাসার ক্ষতি হবে?, এই কথা কি বলি?
    আমরা অবশ্যই এমনটা বলি না। কেন এরকম বলি না?কারন উপরের কোন ইবাদতই অন্য ইবাদাতেরউপর নির্ভরশীল নয়।
    কিন্তু কেউ যদি বলে, আমি জিহাদ করতে চাই, তখন দেখবেন আমাদের অনেকেই বলে উঠবে, “এই মিয়া!!! তোমার ঈমান এখনো দুর্বল, তুমি কিভাবে জিহাদ করবে?আগে ঈমান মজবুত করো।
    যারা এরকম বলেন, তাদের প্রতি পুর্ন শ্রদ্বা রেখেই বলছি। আচ্ছা! জিহাদ করতে হলে ঈমান মজবুত করতে হবে এটা কোথায় পেলেন?কুরয়ান-হাদিস থেকে একটু উদৃতি দেন তো দেখি !(?) আমরাও শিখি। কতটুকু আ,আল করলে একজন মুসলমানের ঈমান মজবুত হয়? ঈমান তো আমাল দ্বারাই মজবুত হয়, তাই না? জিহাদ তো জিজেই একটা আমাল , বরং শ্রেষ্ট আমালগুলোর একটি । এর দ্বারাও তো ঈমান মজবুত হতে পারে। তাহলে এ ক্ষেত্রে এত বাধা কেন?
    এবার আসুন!!!
    রাসুলের সঃ কিছু সীরাত পাঠ করি। তাহলে আমরা দেখতে পাব যে, আল্লাহর রাসুল সঃ যখন ৮ম হিজরির রামাদান মাসের ১৭ তারিখ মক্কা বিজয় করেন তখন মুসলিম সংখ্যা ছিল ১০ হাজার। আর যখন মক্কা বিজয়ের ১৯দিন পর ৮শাওয়াল হুনাইন যুদ্বের উদ্দেশ্যে বের হন, তখন মুসলিমদের সংখ্যা ছিল ১২হাজার। মক্কা বিজয়ী মুসলমানদের সংখ্যা থেকে ২হাজারের বেশি যাদেরে প্রায় সবাই নমুসলিম ছিলেন। এখানে আমাদের প্রশ্ন হল, এইম২হাজার মুসলিম তারা কখন ঈমান মজবুত করার সময় পেলেন? মাত্র ১৯দিনেই তাদের ঈমান ্মজবুত্ হয়ে গেল? যে ঈমান মজবুত করতে আবু বকর,উমর,উসমান ,আলী প্রমুখ সাহাবিদের রাঃ লেগে ছিল প্রায় ১৮ বছর । আর সে ঈমান তারা মাত্র ১৯দিনেই মজবুত করে ফেললেন? তাহলে কি এই সাহাবিদের ইমানের চেয়েও বেশি মজবুত ছিল তাদের ঈমান?
    উহুদ যুদ্বের পুর্বমুহুর্তে ‘উসাইরিম’ নামের এক সাহাবি ইসলাম গ্রহন করেন,এর পরেই তিনি উহুদ যুদ্বে তিনি শহিদ হয়ে গেলেন। নবী কারীম সঃ বলেন, সে আমাল কম করলেও তার সওয়াব অনেক বেশি। আর-রাহিকুল-মাখতুম।
    আচ্ছা , এই সাহাবী ঈমান মজবুত করতে কতটুকু সময় পেলেন?
    দেখুন, আমরা এই কথা বলছি না যে, জিহাদের জন্য আমাল দরকার নেই। আমরা বলি, যেভাবে একজন ফাসেকের নামাজ আর নেকেকারের নামাজের মধ্যে পার্থক্য আছে, ঠিক তদ্রুপ একজন ফাসেকের জিহাদ আর নেকেকারের জিহাদের মধ্যে পার্থক্য আছে। যেভাবে নামাজের রিয়ার সম্ভাবনা আছে ঠিক তদ্রুপ জিহাদের মধ্যেও রিয়ার আশংকা আছে। রিয়ার দরুন কি আমরা নামাজ বাদ দিয়ে দেই? তাহলে রিয়ার জন্য হলেও কেন আমরা জিহাদের ক্ষেত্রে এত আপত্তি করি?
    আমরা শুধু বলতে চাই, জিহাদ করতে হলে যে, হাসান বসরী ও রাবেয়া বসরী রাহিমাহুমাল্লাহু তায়ালা দের মত ঈমান আনতে হবে, এটা কোথায় আছে?
    মনে রাখুন!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
    জিহাদ না করা বা না করতে পারা এক বিষয়, আর জিহাদের বিরোধিতা করা ও এর বাধা দেওয়া আর বিকৃত করা অন্য বিষয়। পাকিস্তানের মাওলানা ইলিয়াস গুম্মান হাফিজাহুল্লাহ( যিনি আপনাদের মতই একজন মুবাল্লিগ) কত চমৎকারই না বলেছেনঃ ‘যদি মৌলভি জিহাদের বিরোধিতা করে, তাহলে বেচারা কাদিয়ানি কী দোষ করেছিল যে, সে জিহাদকে অস্বীকার করে?



    হেদায়াতের মালিক আল্লাহ্* আমি শুধু তুলে দিলাম।
    নেক দুয়াই আমাদের শামিল রাখাবেন।
    আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করার তৌফিক দান করুক।

  • #2
    আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ। আল্লাহ আপনার মেহনত কবুল করুন আমিন।
    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

    Comment


    • #3
      খুব সুন্দর লিখেছেন।
      والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ, অত্যন্ত চমৎকার বলেছেন।
        আল্লাহ আমাকে মাফ করুন ও ক্ষমা করে দিন।
        হয়তো শরীয়াহ নয়ত শাহাদাহ।

        Comment

        Working...
        X