Announcement

Collapse
No announcement yet.

বাবরি মসজিদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, হিন্দুত্ববাদীদের চক্রান্ত এবং বর্তমান পরিস্থিতি!

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বাবরি মসজিদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, হিন্দুত্ববাদীদের চক্রান্ত এবং বর্তমান পরিস্থিতি!

    বাবরি মসজিদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, হিন্দুত্ববাদীদের চক্রান্ত এবং বর্তমান পরিস্থিতি!




    ভিডিও ডাউনলোড লিংক:

    https://archive.org/download/ezri_58...0%A6%BF%21.mp4
    https://bit.ly/2FGDSZE
    https://mega.nz/#!PLYxAQyI!3WGD0pUsd...9oenMwqmh1FHN8


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    বাবরি মসজিদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, হিন্দুত্ববাদীদের চক্রান্ত এবং বর্তমান পরিস্থিতি!


    বাবরি মসজিদ! হিন্দুস্তানে মুসলিমদের প্রাচীন স্থাপত্যকলার অন্যতম নিদর্শন। ভারতের উত্তর প্রদেশের ফৈজাবাদ জেলার অযোধ্যা শহরের রামকোট হিলের উপর অবস্থিত এই মসজিদটি ১৫২৮ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের প্রথম মুঘল সম্রাট বাবরের আদেশে নির্মিত হয়! আর, তাঁর নামানুসারেই মসজিদটির নাম রাখা হয় বাবরি মসজিদ! দীর্ঘকাল যাবৎ ভালোই চলছিল মসজিদের ব্যবস্থাপনা। কিন্তু, কে জানে এই মসজিদকে ঘিরেও ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে ইসলামের শত্রুরা! মসজিদ ধ্বংস করে দেওয়ার গোপন চক্রান্তে লিপ্ত হিংসুক গোষ্ঠী!?

    মসজিদ নির্মাণের প্রায় ৫০ বছর পর “রামচরিত মানস” লিখে সাধারণ হিন্দুদের মাঝে রামায়নের রামের গল্পের প্রচলন ঘটায় তুলসি দাস। ধীরে ধীরে অযোধ্যা নগরী রাম মন্দিরে ভরে যেতে শুরু করে।
বাবরি মসজিদ নির্মিত হবার প্রায় ৩০০ বছর পর, ১৮২২ সালে প্রথমবারের মত হিন্দুরা দাবি করতে শুরু করে, যে জমিতে রামের জন্ম হয়েছিল সেখানেই বাবরি মসজিদ নির্মিত হয়েছে।

    তারপর ১৮৫৩ সালে নির্মোহী আখরার সশস্ত্র হিন্দু সন্ন্যাসীদের একটি দল বাবরি মসজিদ দখল করে নিয়ে কাঠামোর মালিকানা দাবি করে! পরবর্তী কয়েকবছর পর্যায়ক্রমিক সহিংসতার পর ১৮৫৯ সালে ব্রিটিশ শাসক সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে ২টি আঙ্গিনায় বিভক্ত করে ফেলে মসজিদটি! মুসলিমরা ভেতরের প্রাঙ্গণে নামাজ আদায় করবে এবং হিন্দুরা বাইরের প্রাঙ্গণে ‘‘রাম ছবুতারা’’ নামে পরিচিত একটি প্লাটফর্মে প্রার্থনা করবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়! কিন্তু, ১৯৩৪সালে আবারও হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা বাঁধে! যার ফলে মসজিদটির দেয়ালের অনেক ক্ষতি সাধিত হয়! ১৯৪৭ সালে হিন্দুস্তান বিভক্ত হয়ে আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতের আত্মপ্রকাশ ঘটে! আর তারপরই শুরু হয় নতুন চক্রান্ত! ১৯৪৯ সালের ডিসেম্বরে মসজিদটির বাহিরে হিন্দু সংগঠন অখিল ভারতীয় রামায়ণ মহাসভা ৯দিন ব্যাপী রামচারিতমানাস পাঠের আয়োজন করে! অনুষ্ঠানের শেষে ২২ ডিসেম্বরের রাতে বেশ কয়েকজন উগ্র হিন্দু মসজিদে প্রবেশ করে এবং মসজিদের ভেতরে রাম ও সিতা মূর্তি স্থাপন করে! ২৩শে ডিসেম্বর সকালে অনুষ্ঠানের আয়োজকরা লাউডস্পিকারে ঘোষণা দেয় যে, মূর্তিগুলো অলৌকিকভাবে উপস্থিত হয়েছে! এবং সবাইকে ঐ মূর্তিগুলো দেখারও আহ্বান জানায়! এ সময় বিষয়টি জাতীয় পর্যায়ে চলে গেলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরু মূর্তিগুলো স্থাপনের মূল উৎস বুঝতে পেরে সেগুলো মসজিদ থেকে সরানোর আদেশ দেয়। কিন্তু, হিন্দুদের পৃষ্ঠপোষকতা করে উত্তর প্রদেশের মূখ্যমন্ত্রী আদেশ পালনে অপারগতা প্রকাশ করে! পরে ১৯৫০ সালে একদিকে হিন্দুসংস্থাগুলো মসজিদের জমি দখল নেওয়ার জন্য আদালতে মামলা করতে থাকে, অন্যদিকে সুন্নি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ড মসজিদ থেকে মূর্তিগুলো সরানোর জন্য আবেদন জানাতে থাকে! দীর্ঘ চার দশক যাবৎ এভাবেই চলে বাবরি মসজিদ ইস্যু! ১৯৮৬ সালে কংগ্রেস নেতা ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজিব গান্ধির সিদ্ধান্তে বাবরি মসজিদকে হিন্দুদের জন্য খুলে দেওয়া হয়! ফলে হিন্দু পুরোহিতরা মসজিদে প্রবেশ করতে পারার সুযোগ পেয়ে যায়! মুসলমানরা বাবরী মসজিদ একশন কমিটি গঠন করলেও তা হিন্দুদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়। তারপর, শুরু হয় মসজিদের পবিত্র প্রাঙ্গনে শিরকের ঘৃণ্য উৎসব।
১৯৮৯ সালে বিজেপির পৃষ্ঠপোষকতায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ মসজিদের পাশেই মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করে।

    অতঃপর ১৯৯২সালে ঘটে বাবরি মসজিদকে কেন্দ্র করে সবচেয়ে নিকৃষ্ট ঘটনাটি! উইকিপিডিয়ার তথ্যানুযায়ী, ১৯৯২ সালে হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক সমাবেশের উদ্যোক্তারা, ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাবরি মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় একটি রাজনৈতিক সমাবেশ শুরু করে। কিন্তু, পরবর্তীতে তারা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ১৫০,০০০ লোক মুসলিমদের প্রাচীন স্থাপত্যকলার নিদর্শন ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদটি সম্পূর্ণরূপে ভূমিস্যাৎ করে দেয়!! মসজিদটি হঠাৎ করেই ধ্বংস করা হয়নি, বরং বহু পূর্ব থেকেই বাবরি মসজিদকে শহীদ করে দেওয়ার চক্রান্ত করেছিল হিন্দুত্ববাদীরা! সাবেক গোয়েন্দা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক মালয় কৃষ্ণ ধর ২০০৫ সালের একটি বইয়ে দাবি করেছে, আরএসএস, বিজেপি, ভিএইচপি এবং বজরং দলের সিনিয়র নেতারা মসজিদ ধ্বংসের ১০ মাস আগে থেকেই পরিকল্পনা শুরু করেছিল! আর, মসজিদ ধ্বংসের নীল নকশা বাস্তবায়নে সম্ভাব্য সকল বাঁধার সমাধানও করে রেখেছিল!

    এ বিষয়ে ‘বিবিসি বাংলা’ ২০১৪ সালের ৪ঠা এপ্রিল ‘পরিকল্পনা করেই বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা হয়েছিল’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, ভারতীয় একটি অনুসন্ধানী সংবাদ সংস্থা এক স্টিং অপারেশনে দাবি করেছে, বিজেপির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা কল্যাণ সিং এমনকি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিমহা রাও-ও জানত যে সেদিনই বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা হবে।

    অনুসন্ধানী সংবাদসংস্থা কোবরা পোস্ট একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার জন্য রীতিমতো আত্মঘাতী দল তৈরি করা হয়েছিল, দেশীয় অস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছিল আর সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেলে ডায়নামাইট দিয়ে বাবরি মসজিদ ধ্বংস করার পরিকল্পনা করেছিল হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির নেতারা।

    অতঃপর, সকল প্রস্তুতি শেষে চূড়ান্ত আঘাত আনার লক্ষ্যে বাবরি মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় দেড় লক্ষাধিক হিন্দুত্ববাদীদের সমাগম ঘটে। বিবিসি বাংলার ২০১৭ সালের ৬ই ডিসেম্বরে প্রকাশিত একটি সংবাদ থেকে জানা যায়, হিন্দুত্ববাদীরা বাবরি মসজিদ ধ্বংস করার ৪-৫দিন আগে থেকেই মুসলিমদের কয়েকটি ঘর-বাড়িতে আগুন লাগিয়ে নিজেদের আক্রমণাত্মক ভঙ্গিমার পরিচয় দিচ্ছিল। আগেই বলা হয়েছে, ভারতের তৎকালীন কংগ্রেস সরকার থেকে নিয়ে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত সকল হিন্দুত্ববাদীরা জানতো যে, মুসলিমদের ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হবে। তাই, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকারের বাঁধার আশংকা ছিল না হিন্দুত্ববাদীদের।

    তাই, আর দেরি কেন!? ১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর সকাল সাড়ে দশটার দিকে মসজিদকে ঘিরে রাখা হিন্দুত্ববাদীরা বাবরি মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করতে আরম্ভ করে! বিবিসি বাংলার তথ্যানুযায়ী, মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে ১৫০০০ উগ্র হিন্দু। কিছু হিন্দুত্ববাদী যখন মসজিদের গম্বুজে উঠে গিয়েছিল, তখন চারদিকে আওয়াজ উঠলো- ‘এক ধাক্কা অউর দো, বাবরি মসজিদ তোড় দো।’ অর্থাৎ, আরো একটা ধাক্কা দাও, বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে দাও। মুরলী মনোহর জশি, উমা ভারতি ও আদভানিসহ হিন্দু নেতা ও পুরোহিতরা বক্তৃতার মাধ্যমে ক্রমাগত উপস্থিত হিন্দুদের উত্তেজিত করতে থাকে। আর, কাঁধে রাইফেল ঝুলিয়ে পাশে দাড়িয়ে বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার দৃশ্য নিরবে দেখছিল জনতার সেবক পুলিশ বাহিনী! অবশেষে বিকেল পাঁচটা নাগাদ বাবরি মসজিদ ধ্বংসের কাজ শেষ করে মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং ইস্তফা জমা দিয়েছিল - ততক্ষণে বাবরি মসজিদের তিনটি গম্বুজই ভাঙ্গা হয়েছে। মুসলিমদের স্বপ্নকে চুরমার করে দিয়েছে হিন্দুত্ববাদীরা, কুঠারাঘাত করেছে মুসলিমদের হৃদয়রাজ্যে। বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার পাশাপাশি হিন্দুত্ববাদীরা তৎক্ষণাৎ ধ্বংসস্তুপের উপরই অস্থায়ী রাম মন্দির নির্মাণ করে। আর, পরের দিন সকালে হিন্দুত্ববাদী সেনারা এসে সেখানে খুব ভক্তি ভরে আশির্বাদ নেয়।

    তারপর ইসলামপ্রেমী মুসলিমদের সাথে দাঙ্গা বাঁধে সন্ত্রাসী হিন্দুদের। একের পর এক লাশ পড়তে থাকে মাঠে-ময়দানে। সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের বর্বরতায় সারাবিশ্ব হতবাক হয়ে যায়! ১৯৯২সালের সেই দাঙ্গায় প্রায় ২০০০ জন নিহত হয়েছিল বলে জানায় উইকিপিডিয়া। অতঃপর, মুসলিমদের মসজিদ ধ্বংস করে, মুসলিমদেরকে গণহারে হত্যা করে, সমাধানের নামে মামলা-মোকদ্দমা, তদন্ত ইত্যাদি চলতে থাকে দীর্ঘসময়। শেষ পর্যন্ত ২০১০ সালে মুসলিমদেরকে ঠকিয়েই এলাহাবাদ হাইকোর্টের তিনজন বিচারক এই রায় দিয়েছিল যে, বাবরি মসজিদের জমির অংশ তিন ভাগে ভাগ করা হবে, এক তৃতীয়াংশ রাম লাল্লা বা শিশু রামকে দেওয়া হবে যার প্রতিনিধিত্ব করবে হিন্দু মহাসভা, আরেকভাগ ইসলামী সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের হবে এবং বাকি একভাগ হিন্দু ধর্মীয় গোষ্ঠী নির্মোহী আখরা পাবে। কিন্তু, চির অকৃতজ্ঞ হিন্দু জাতি কি এটুকুতেই সন্তুষ্ট হবে?! না, তারা সন্তুষ্ট হলো না! বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণের জঘন্য চক্রান্ত চালিয়ে যেতে থাকলো। আর এই বাবরি মসজিদের প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করেই ক্ষমতায় আসলো বিজেপি! তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ছিল বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দির নির্মাণ! কেমন জঘন্য চিন্তা তারা অন্তরে পোষণ করে এই ইশতেহার থেকেই তা বুঝা যায়। আর রামমন্দির নির্মাণের লক্ষ্য বাস্তবায়নে তাদের চক্রান্তের ধারা অব্যহত রাখে। সেই লক্ষ্যেই একের পর এক বিতর্কিত ইসলামবিদ্বেষী আইন পাস হয় ভারতের সুপ্রিম কোর্টে! ১৯৯৪ সালে তৈরি করা রাম মন্দির নির্মাণের অন্যতম সহায়তাকারী একটি আইন চলতি বছরের ২৭শে সেপ্টেম্বরের রায়ে বহাল রাখে ভারতের হিন্দুত্ববাদী সুপ্রিম কোর্ট! সে আইনটি হলো- ‘নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদ অপরিহার্য নয়, প্রয়োজনে মসজিদের জমি দখল করতে পারবে সরকার!’ এই আইন নতুনভাবে ঘোষণায় হিংস্রতা যেন হিন্দুত্ববাদীদের মাঝে কয়েক গুণে বেড়ে যায়! আর তাদের নেতৃত্বের ভার হাতে তুলে নেয় বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বিজেপির উগ্র নেতৃবৃন্দ! উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ হলো তাদের মুখপাত্র! এমনটাই মনে হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে হিন্দুত্ববাদীদের উস্কানিমূলক বক্তব্যে। বাবরি মসজিদ ইস্যু নিয়ে করা মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার পর গত ৩০শে অক্টোবর বিকল্প পথ ধরার হুশিয়ারি দেয় হিন্দুত্ববাদী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সে বলে, সহমতে যদি বিষয়টা মিটে যায় তবে ভালো, আর না মিটলে হিন্দুত্ববাদীরা বিকল্প পথ ধরবে বলে হুংকার ছাড়ে আদিত্যনাথ। তার অনুগামী হয়, হিন্দুত্ববাদী ক্ষমতাসীনদের আরো কয়েক মন্ত্রী! এর মধ্যে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলে, কোটি কোটি হিন্দুদের সম্মান জড়িয়ে আছে রাম মন্দিরকে ঘিরে, তাই রাম মন্দির নির্মাণে কেউ বাঁধা দিতে পারবে না। কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেয়ার সময় বিজেপি’র সিনিয়র নেতা সুব্রমনিয়াম স্বামী বলেছে, ‘রাম রাষ্ট্রীয় ভগবান। দেশের কোনও শক্তিই রাম মন্দির নির্মাণে বাধা দিতে পারবে না।' এমনিভাবে, হিন্দু ধর্মগুরু রামদেব সাম্প্রতিক এক সভায় বলেছে, ‘রাম মন্দির তৈরি না হলে দেশ জুড়ে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টি হবে। মন্দির এখনই তৈরি করতে হবে, নয়ত তা আর কখনই হবে না।’

    এসকল উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে হিন্দুদের উৎসাহিত করা এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক পরিবেশ সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে হিন্দুত্ববাদীরা। আর, এক্ষেত্রে প্রকাশ্যে ভূমিকা পালন করছে আরএসএস, বজরং দল, শিবসেনা ইত্যাদি নামে-বেনামে বহু হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠন। আর, তারা কেবল উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদানের মধ্যেই ক্ষান্ত হয়নি, বরং রামমন্দির নির্মাণের বিষয়টিকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এখন আর সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপেক্ষা করতেও নারাজ হিন্দুত্ববাদীরা। ইতিমধ্যেই, রামমন্দির নির্মাণের লক্ষ্যে অযোধ্যায় ৭০ ট্রাক ইট পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এতটুকুতেই থেমে নেই বাবরি মসজিদের স্থলে রামমন্দির নির্মাণের ইস্যুটি। মুসলিমদের বিরুদ্ধে চরম আঘাত হানার লক্ষ্যে অযোধ্যায় ছুটে চলেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা যায়, আসন্ন লোকসভাকে কেন্দ্র করে রামমন্দির নির্মাণে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে চাচ্ছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো। এরই লক্ষ্যে, ২৫শে নভেম্বর অযোধ্যায় এক মহাসভা আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। একই দিনে অযোধ্যাতে সভা করার ঘোষণা দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠন শিবসেনা নেতা উদ্ভব ঠাকরেও। ২৫শে নভেম্বরের পরিস্থিতি অযোধ্যার সংখ্যালঘু মুসলিমদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। এমনই আশংকা প্রকাশ করছেন স্থানীয় মুসলিমরা। ইকবাল আনসারী নামে একজন বলেছেন, ‘‘১৯৯২ সালে আমাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। তখন যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করা হয়েছিল, ২৫শে নভেম্বর সেই পরিস্থিতি আবারও ফিরে আসতে চলেছে।’’ তিনি এই আশংকা প্রকাশ করে বলেন, ‘‘আমাদেরকে নিরাপত্তা না দেওয়া হলে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে, এর ছাড়া আর কোন উপায় নেই।’’ কিন্তু, মুসলিমদেরকে নিরাপত্তা দেওয়ার কোন চিন্তাই করছে না অযোধ্যা সরকার! বরং, উত্তর প্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য সরাসরি ঘোষণা করেছে, ‘‘ সাধু-সন্তরা যদি রামের নামে এক হতে চান, তাতে আপত্তি কীসের! আমরা ওদের সম্পূর্ণ সমর্থন করছি!’’

    উগ্রবাদী উপ-মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণাই প্রমাণ করে যে হিন্দুদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম থেকে মুসলিমদেরকে নিরাপত্তা দিবে না রাজ্য। তাই, বাধ্য হয়ে এলাকা ছাড়তে চাচ্ছেন সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়। সকলে এখন ২৫শে নভেম্বরের অপেক্ষায় । কী ঘটতে যাচ্ছে ২০১৮ সালের ২৫শে নভেম্বরে অযোধ্যায়?!
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আল্লাহ আপনি আমাদের তাওফিক দান করুন,আমরা যেনো আপনার ঘরের সম্মান রক্ষা করতে পারি।
      والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

      Comment


      • #4
        একটি পরামর্শ
        খোরাসানের সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে একটি কথা প্রায় সময় আসে ' মুজাহিদদের দাওয়াতি অভিযানে এত জনের আত্মসমর্পণ ' এখানে দাওয়াতের সাথে অভিযান শব্দটি কেমন যেন লাগে ।এর পরিবরতে দাওয়াতি কার্যক্রম শব্দটা মনে হয় সুন্দর হয় । দাওয়াতি মেহনতে শব্দটা আরেকটূ বেশি সুন্দর মনে হয় ।

        Comment


        • #5
          জাযাকাল্লাহ ভাই হিন্দু দের আসল মুখোশ উন্মোচন করার জন্য
          ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

          Comment


          • #6
            জাযাকুমুল্লাহ খাইরান, আল্লাহ তা‘আলা ভাইদের কাজে বারাকাহ দান করুক, আর সকল ভাইদের বলবো আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি বেশি বেশি শেয়ার করি ইনশাআল্লাহ
            দ্বীনকে আপন করে ভালোবেসেছে যারা,
            জীবনের বিনিময়ে জান্নাত কিনেছে তারা।

            Comment


            • #7
              প্রিয় ভাইয়েরা,আসুন এদেশের কাফেরদের বর্জন করি। তাহলে কীভাবে বর্জন করবেন? কাফেরদেরকে সাহায্য করা বন্ধ করে দিতে হবে। কাফেরদের সমতা/ সমান অধিকার মেনে নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কাফেরদের ব্যবসা থেকে দূরে থাকতে হবে। কাফেরদের দোকান, তাদের দাতব্য প্রতিষ্ঠান থেকে নিজেদেরকে আলগ রাখতে হবে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে কিছুই ক্রয় করা যাবে না। আমরা যদি তাদের অর্থনীতিতে আঘাত করতে পারি তাহলে তারা এত ধুমধামের সাথে আল্লাহর নাফরমানি করতে পারবে না, ইনশাআল্লাহ।এদেশে খ্রিষ্টানদের একটি হসপিটাল আছে( হলি ল্যাব/ মিশন হসপিটাল) এধরনের হসপিটাল থেকে চিকিৎসা নেওয়া থেকে বিরত থাকা মুমিনদের জন্য একান্ত কর্তব্য। তাহলে তাদের প্রতিষ্ঠানগুলি ধসে পড়বে। হিন্দুদের দোকান থেকে নিজেদেরকে নিরাপদ দূরত্বে রাখা এটিও মুমিনদের জন্য কর্তব্য। একটি ঘটনাঃ সাইদ আহমদ পালনপুরি হুজুর এক হিন্দু লোকের দোকান থেকে পান ও তার সাথে যা যা লাগে সব সময় ক্রয় করতেন। একদিন দেখা গেলো হুজুরের মুখের ঘটনাঃআমি দেখছি দূর থেকে সে চুনের সাথে গরুর পেশাব মিশ্রণ করছে!!(নাউজুবিল্লাহ)তারপর তার কাছে এসে জিজ্ঞেস করলাম তুমি চুনের সাথে কি মিশিয়েছ?? সে তারমত করে উত্তর দিলো। কিন্তু বুঝে নিলো যে এটি গরুর পেশবই। কারণ বোতলের লিখা ছিলো গো........। আল্লাহ আমাদের নাপাক সম্প্রদায় থেকে হিফাজত করুন, আনিন।
              والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

              Comment


              • #8
                মাশাআল্লাহ খুব চমৎকার!! সকল ভাইরা ভিডিওটি বেশি বেশি করে প্রচার করার অনুরোধ।
                দ্বীনকে আপন করে ভালোবেসেছে যারা,
                জীবনের বিনিময়ে জান্নাত কিনেছে তারা।

                Comment


                • #9
                  মাশাআল্লাহ ভাই
                  ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

                  Comment


                  • #10
                    Originally posted by আবুল ফিদা View Post
                    মাশাআল্লাহ খুব চমৎকার!! সকল ভাইরা ভিডিওটি বেশি বেশি করে প্রচার করার অনুরোধ।
                    জি ইংশাআল্লাহ
                    চিঠিটি তাদেরকে পৌঁছে দাও, দূরে থেকে দেখো তারা কি জবাব দেয় … (নামল, ২৮)

                    Comment


                    • #11
                      হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে বাবরী মসজিদ পুণ:প্রতিষ্ঠার তাওফিক দান করেন।

                      Comment


                      • #12
                        হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে বাবরী মসজিদ পুণ:প্রতিষ্ঠা করার তাওফীক দান করুন, আমীন।
                        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                        Comment


                        • #13
                          জাযাকাল্লাহ,
                          আল্লাহ আপনাদের কাজের বারাকাহ আরো বাড়িয়ে দিন।

                          Comment

                          Working...
                          X