Announcement

Collapse
No announcement yet.

হুরের সাথে সাক্ষাৎ!

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • হুরের সাথে সাক্ষাৎ!

    এবার চলুন জান্নাতী স্ত্রী প্রসঙ্গে আসি।
    আপনি যখন জান্নাতে আপনার রাজপ্রাসাদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ করে একটি দৃশ্য আপনার হার্টবিট বাড়িয়ে দিলো, আপনার জান্নাতী স্ত্রী আপনার সামনে দাঁড়িয়ে, তিনি আপনার দিকে তাকিয়ে হাসছেন, আপনার পা যেন জান্নাতের যমীনে আটকে গেলো। আপনি তার রুপে মুগ্ধ হয়ে থেমে গেলন। সে আপনার জান্নাতের স্ত্রী হউক প্রথিবির স্ত্রী হউক না কেন, উভয় ক্ষেত্রেই তাঁরা আপরুপ সুন্দরী হবেন। আপনি বসে থাকবেন তার রুপে মুগ্ধ হয়ে, এমন রুপ যা পৃথিবীর কোন কিছুর সাথে তুলনা করা যায় না। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাʼআলা বলেন,
    ``আমি তাদের (হুরদের) বানিয়েছি চমৎকারভাবে বানানোর মতো করেই। আমি তাদের চির কুমারী করে রেখেছি। তারা হবে সম বয়সের প্রেম সোহাগিনী ʼ ʼ। (সূরা ওয়াকিয়া, ৩৫-৩৭)
    জান্নাত সম্পর্কে একজন আলেম বলেন, একজন মানুষ তাঁর স্ত্রীর রুপে মুগ্ধ হয়ে ৪০ বছর তাঁর দিকে অপলক তাকিয়ে থাকবে।
    আর এই সুন্দরীরা এই কারনে সুন্দর নয় যে, পৃথিবীর কিছু মানুষ তাদেরকে কোন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ঘোষনা করেছে, বরং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাʼআলা তাদেরকে বলেছেন আর এটাই আমাদের জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাʼআলা বলেন,
    ``সেখানে থাকবে সৎস্বাভাবের অনিন্দ্য সুন্দরী রমনীগনরা। ʼʼ (সূরা আর রহমান, আয়াত ৭০)
    সুতরাং তাঁরা শুধু সুন্দরীই নন, বরং সৎ স্বাভাবেরও এবং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাʼআলা যখন তাঁদেরকে সুন্দরী বলেছেন, তখন বুঝতেই পারছেন. তাঁদের সৌন্দর্য নিয়ে আর কোন সন্দেহ থাকার কোনো নূন্যতম অবকাশও নেই। আর এই সৌন্দর্য আমাদের পক্ষে কল্পনা করাও সম্ভব নয়।
    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে বোঝানোর জন্য উদাহরণ পেশ করে বলেন,
    (হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
    ``জান্নাতের একজন নারী যদি পৃথিবীতে আসতো, তাহলে আসমান - যমিন আলোয় ভরে যেতো। আসমান জমীনের মধ্যবর্তী অংশ সুঘ্রাণে ভরে যেতো আর সেই নারীর মাথার দোপাট্রা এই পৃথিবী আর তাঁর ওপর যা কিছু আছে সব কিছুর চাইতেও উওম। "-সহীহ বুখারী, হাদিস নং ৬৫৬৮)
    দেখুন সূর্য আমাদের থেকে অনেক দূরে থাকা সত্ত্বেও তা এই পৃথিবীকে আলোকিত করে, কিন্তু আমার যদি এই সৌরজগতের বাইরে যাই তাহলে দেখবো যে সূর্যের আলো সেখান নেই। কিন্তু জান্নাতের একজন নারী তাঁর আলো দিয়ে আসমান - যমীন আলোকিত করে ফেলব, নূর! কল্পনা করুন তাঁর সৌন্দর্য। তাঁর মাথার এক টুকরো কাপড় এই পৃথিবীর সবকিছুর চাইতে উওম। সুবহানআল্লাহ!
    একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি কাপড় উপহার হিসেবে পান, সেই কাপড় দেখে সাহাবারা তা বারবার ছুঁয়ে দেখিলেন। তাদের দেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, জান্নাতে সাʼদ বিন মুয়াযের রুমালও এর চাইতে উওম। '
    মুল কথা হচ্ছে জান্নাতের সবকিছু, পৃথিবীর সবকিছুই থেকে উওম।

  • #2
    মাশাআল্লাহ আখি চম্তকার হইছে, আল্লাহ আমাদের হুরদের সাথে সাক্ষাত করার তাওফিক দান করুন, আমিন।
    আমি হতে চাই খালেদ বিন ওয়ালিদ (রা এর মত রণকৌশল ও ওমর (রা এর মত কাফেরদের প্রতি কঠোর।

    Comment


    • #3
      আখি,আপনাকে ধন্যবাদ।আল্লাহ কবুল করুন,আমীন।
      والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

      Comment


      • #4
        আখি সোন্ধর লেখেছেন, আল্লাহ পাক যাতে আমাদেরকে জন্নাতে হুরদের সাথে থাকার তাওফিক দান করেন ৷
        মৃত্যু ও বন্দিত্বের ভয় ঝেড়ে ফেলে চলুন ঝাঁপিয়ে পড়ি ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে।

        Comment


        • #5
          (হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
          ``জান্নাতের একজন নারী যদি পৃথিবীতে আসতো, তাহলে আসমান - যমিন আলোয় ভরে যেতো। আসমান জমীনের মধ্যবর্তী অংশ সুঘ্রাণে ভরে যেতো আর সেই নারীর মাথার দোপাট্রা এই পৃথিবী আর তাঁর ওপর যা কিছু আছে সব কিছুর চাইতেও উওম। "-সহীহ বুখারী, হাদিস নং ৬৫৬৮)
          ওহে প্রিয় ভাই! চমৎকার কথা শুনালেন, তবে নফসে শয়তান প্রতি দিনই একটা না একটা নজরের গুনাহে লিপ্ত করেন। যদি আমার আব্বু জানতো ছেলেকে বিয়ে না করানোর কারণে কত গুনাহের অধিকারী হচ্ছে, তবে তারা এমনটা করতো, আজ ইচ্ছে থাকা সত্যেও আজ বিয়ের মত এত মূল্যবান ফরজ আদায় করতে পারছি না। ফরজ বললাম মানুষ যখন বিয়ে না করার কারণে গুনাহে লিপ্ত হয়, তখন বিয়ে করা ফরজ। আর পিতা- মাতার অতি মহাব্বতের কারণে জিহাদে যেতে পারছি না,,,
          হে আম্মু!!! হে আব্বু!! আল্লাহর পথে তোমরা বাধা হয়ে দাড়িও না।আমি সব আব্বু আম্মুকে কিন্তু বলছি না, এখনো দুনিয়াতে এমন আব্বু আছেন যাদের অবদানে আজ ইমারতে ইসলামিয়া আফগান আলোর পথ দেখছে। ধন্য হে উম্মে উসামা গণ।। মনে অব্যক্ত ব্যাথা।

          Comment


          • #6
            আমিন,,, ভাই আপনি এইটা পরকালের পথে যাত্রা লেকচারের ২২নং পর্ব থেকে নিয়েছেন।। আসলে এই লেকচার সিরেজটা খুব্ই চমপৎকার আমাদের সবার অবসর সময়ে এইটা শোনা উচিত।।। যারা শুনেন নাই দয়া করে শুনেন,, বার বার শুনতে মন চাইবে।। ইনশাআল্লাহ।

            Comment


            • #7
              মাশা-আল্লাহ আঁখী...!
              বারাকাল্লাহু ফি 'ইলমিক..!
              খুব সুন্দর হয়েছে,আল্লাহ সুবঃ আমাদেরকে তাঁর পথে লড়াই করে শহিদী মৃত্য বরণ করে হুরদের সাথে সাক্ষাত করার তাওফিক্ব দান করুন।
              আমীন ইয়া রব্বাশ শুহাদায়ী ওয়াল মুজাহিদীন।
              বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
              কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

              Comment


              • #8
                মাশা-আল্লাহ আঁখী...!
                বারাকাল্লাহু ফি 'ইলমিক..!
                খুব সুন্দর হয়েছে,আল্লাহ সুবঃ আমাদেরকে তাঁর পথে লড়াই করে শহিদী মৃত্য বরণ করে হুরদের সাথে সাক্ষাত করার তাওফিক্ব দান করুন।
                আমীন

                Comment


                • #9
                  খুব সুন্দর হয়েছে।
                  বিলাসিতা জিহাদের শুত্রু,শাইখ উসামা রাহ।

                  Comment


                  • #10
                    আল্লাহ সুবহানআল্লাহ তায়ালা আমাদের কে এই নেয়ামত দান করুন
                    আমিন....................................
                    যদি রাসুলকে কটুক্তি করা হয়, ওদের বাক সাধিনতার অংশ
                    তাহলে ওদেরকে ধারালো চাপাতির আঘাতে হত্যা করা আমাদের
                    দিনের অংশ। (আনওয়কর আল-আওরাকি রহি

                    Comment

                    Working...
                    X