Announcement

Collapse
No announcement yet.

বিশেষ আর্কাইভ || গণতন্ত্র, ভোট ও তাগুত সম্পর্কে উলামা-মাশায়েখদের রচনাবলী || আল ফিরদাউস আর&

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বিশেষ আর্কাইভ || গণতন্ত্র, ভোট ও তাগুত সম্পর্কে উলামা-মাশায়েখদের রচনাবলী || আল ফিরদাউস আর&

    সম্মানিত ভাই ও বোনেরা! আমরা জানি সামনে কুফরি গণতন্ত্রের নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসছে... এবং অতিসম্প্রতি বাংলাদেশের বরেণ্য উলামাদের মুখপাত্র মাসিক আল কাউসারে ভোট প্রদান সম্পর্কিত প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ফলে দ্বীনদার মহলে বিভ্রান্তি ছড়ানোর সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে, তাই আমরা গণতন্ত্র, ভোট ও তাগুত সম্পর্কে উলামা-মাশায়েখদের রচনাবলীর একটি সংকলন আপনাদের কাছে পেশ করছি। আমরা আশা করছি বিভ্রান্তি, অজ্ঞতা দূরীকরণে এই সংকলনটি কাজে আসবে ইনশা আল্লাহ। এই সংকলনের বাইরে কোন রচনা, প্রবন্ধ, বই, অডিও বা ভিডিও রয়ে গেলে আমাদের জানানোর সবিনয় নিবেদন করছি। আল্লাহ আমাদের কাজগুলোকে উম্মাহর জাগরণের জন্য কবুল করে নিন! আমিন ইয়া রাব্বাল আলামিন।


    ইসলামের দৃষ্টিতে গণতন্ত্রের সংশয়সমূহ
    – শাইখ আবু মুহাম্মাদ আসিম আল মাকদিসি হাফিজাহুল্লাহ




    ডাউনলোড করুন

    https://archive.org/download/DoubtsR...muhotibyan.pdf



  • #2
    গণতন্ত্র একটি জীবনব্যবস্থা
    – শাইখ আবু মুহাম্মাদ আল মাকদিসি হাফিজাহুল্লাহ




    ডাউনলোড করুন

    https://archive.org/download/Democra...racy-ADeen.pdf

    Comment


    • #3

      বর্তমান মুসলিম দেশসমূহের শাসকবর্গ ও তাদের শাসন
      – শাইখ আবু মুহাম্মাদ আল মাকদিসি হাফিজাহুল্লাহ




      ডাউনলোড করুন


      অনলাইনে পড়ুন-
      ১ম পর্ব



      ২য় পর্ব


      ৩য় পর্ব



      Comment


      • #4
        যদি কেউ পার্লামেন্টে অংশ নিতে চায়, তবে সেটা কি কুফর হিসাবে গণ্য হবে? এ কাজ কি কাউকে মুরতাদ বানিয়ে ফেলে?
        -শায়খ আবু ক্বাতাদা আল-ফিলিস্তিনী হাফিজাহুল্লাহ




        প্রশ্নঃযদি কেউ পার্লামেন্টে (জাতীয় সংসদে) অংশ নিতে চায়, তবে সেটা কি কুফর হিসাবে গণ্য হবে? এ কাজ কি কাউকে (ইসলাম) ধর্মত্যাগী বানিয়ে ফেলে অথবা ইসলাম ত্যাগ করতে বাধ্য করে ?

        উত্তরঃ

        এ প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আগে, আমাদের প্রথমে কিছু ব্যাপারে আলোকপাত করা উচিত।

        আগেও বলা হয়েছে, উম্মাহর সমস্যা হল তারা শরীয়াতের পরিভাষাগুলো গ্রহণ করে তা যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে ভুল করে। তারা ‘তাওহীদ নুসুখ’ কে শুধুমাত্র সালাত আদায় করা, যাকাত প্রদান করা , দাড়ি রাখা প্রভৃতির মাঝেই সীমাবদ্ধ রাখে।

        তাওহীদ রুবুবিয়্যাহকে স্বীকার করাকেই তারা ইলাহ শব্দটির একমাত্র অর্থ বলে মনে করে।

        গণতন্ত্র একটি ধর্ম। জনগণ এই ধর্মের উপাসনা করে। একটি ধর্ম তৈরি করার উপাদানগুলো আমরা আগেও আলোচনা করেছি। মূলত মানুষ সেই ধর্মের আদেশ-নিষেধ মেনে চলে এবং যেকোনো বিষয়কে সেই ধর্মের আলোকে বিচার করে।

        আইন প্রণয়নকারী সংসদগুলোই মূলত একটি দেশে গণতন্ত্র বাস্তবায়ন করে। ধর্মনিরপেক্ষতা, পুঁজিবাদ এবং গণতন্ত্র -এর প্রত্যেকটি একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই তত্ত্বগুলো মিলিতভাবে মানুষকে ‘স্বাধীনতা’ দান করে।

        ধর্মনিরপেক্ষতা মানুষকে নিজের বিধান নিজেই তৈরি করার ক্ষমতা দেয়। এর মূলনীতি হল একজন মানুষ কীভাবে জীবন যাপন করবে, এ ব্যাপারে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত নয়। তারা মানুষকে আইন প্রণয়নের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রদান করে।

        এটি এমন একটি গুণ যা একচ্ছত্রভাবে আল্লাহর জন্য নির্ধারিত। নিজস্ব বিচার ব্যবস্থা গড়ে তুলে সেটার মাধ্যমে ভুল-ঠিক নির্ধারণ করাকেই আইন প্রণয়ন করা বলে ।

        যেসব ব্যক্তি আইন প্রণয়ন করে, তারা বলে জিহাদ নিষিদ্ধ অথচ যিনাহ বৈধ! আর একারণেই মানবরচিত এসব বিধান আল্লাহর আইনের পরিপন্থী।



        তিন রকমের প্রধান সংস্থা সাধারণত ক্ষমতাগুলো ভাগ করে নেয়ঃ

        ১. নির্বাহী সংস্থাঃ যারা নির্দেশ পালন করে, উদাহারণ: পুলিশ।

        ২. আইন প্রণয়নকারী সংস্থাঃ তারা আইন প্রণয়ন করে। এ কাজটি করে জাতীয় সংসদ।

        ৩. বিচার বিভাগীয় সংস্থাঃ এটি আদালতের দায়িত্ব।



        সংসদে নির্বাচিত ব্যক্তির এ কথা বলার অধিকার আছে যে ইসলামি বিধানগুলি ভুল এবং তা সংশোধন করা প্রয়োজন।

        তাই গণতন্ত্র দ্বীনের ভিত্তিকেই ধ্বংস করে দেয়।

        এর কারণ হচ্ছে আমরা বলে থাকি যে আল্লাহই একমাত্র আইন প্রণেতা, পক্ষান্তরে তারা বলতে চায় যে আইন প্রণেতা হচ্ছেন সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ (সুপ্রিম কোর্ট)। তাই তাদের সংসদ থেকে উৎসরিত সবকিছুই কুফর, এমনকি গণতন্ত্রের কিছু আইন যদি শরীয়াহভিত্তিক হয়, তারপরেও।

        জাতীয় সংসদ আল্লাহর পরিবর্তে মানুষের শাসন কায়েম করার জন্যেই ব্যবহৃত হয়।

        ‘ইলাহ’ শব্দটির সবচেয়ে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হল আপনি আপনার কাজ দ্বারা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে আপনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। সংসদও এ কাজই করে থাকে,কিন্তু পরিবর্তে তারা সর্বোচ্চ আইন প্রণেতাকে সন্তুষ্ট করতে চেষ্টা করে।

        তারা শাসককে ঐশ্বরিক ক্ষমতা (গুণ)প্রদান করে। আল্লাহ আমাদের কি বলেছেন এবং কি কি বিধান জারি করেছেন সেটা জানার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করাটা ইবাদাতের অংশ। এরপরেও ভুল হয়ে গেলে আমরা বলি, ইনশাল্লাহ আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন।

        কারণ আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকু করেছি। সুতরাং এতে প্রতীয়মান হয় যে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় প্রবেশ করা বড় কুফর। যখন আপনি প্রবেশ করবেন, আপনাকে স্বীকার করতেই হবে ও স্বীকৃতি দিতে হবে যে, এটাই আইন প্রণয়ন করার একমাত্র উৎস।

        দুটি ক্ষেত্রে ভুলের কারণে এই বিষয়ে তা’ওয়ীল করা হয়:

        দলীল বুঝতে ভুল করা
        বাস্তবতা বুঝতে ভুল করা

        দলীল বোঝার ক্ষেত্রে ভুল বিভিন্ন রকমের হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ: কেউ একটি দুর্বল হাদিসকে সহীহ মনে করতে পারে।

        যখন আপনি পার্লামেন্টে যোগ দেয়া সমর্থন করেন এমন কোন শাইখ বা আলেমকে জিজ্ঞেস করবেন, যে আইন প্রণয়নের অধিকার কার? তিনি জবাব দিবেন এটি তো আল্লাহর জন্যেই। উনার বিবৃতি প্রমান করে তিনি শাহাদাহকে স্বীকৃতি দেন।

        তিনি বলবেন তিনি আইন প্রণয়নের জন্য সংসদে যান না। বরং তিনি তো শুধু তাদেরকে সত্যের সন্ধান দিতে এবং সংসদের অন্যদেরকে এটি জানাতে যান যে সকল আইন প্রণয়নের মালিক আল্লাহ। এই বিবৃতিও শাহাদাহ কে সমর্থন করে।

        তিনি যুক্তি দেখাবেন যে উনার তা’ওয়ীল আছে এবং প্রমাণ হাজির করবেন যে নবী (সা) মুশরিকদের কাছে ইসলামের দাওয়াত দিয়েছিলেন। তিনি এই উদাহারণ দেখিয়ে যুক্তি খাড়া করেন যে তিনি যা করছেন তা ইসলাম অনুমোদন করে।



        আরেকটি ব্যাপার মনে রাখা উচিত, গনতন্ত্র যে কুফর এই জ্ঞানটি কী আমাদের সমাজে প্রচলিত?

        হাজার হাজার শায়খ আছেন যারা বলবেন যে পার্লামেন্ট মাসলাহা দ্বারা অনুমোদনযোগ্য, এবং এটার একটা সুফলও আছে। তাই আমরা বলতে পারব না যে এ ব্যাপারটি কুফর হিসেবে সুপরিচিত। তাই আমরা তাকে সরাসরি কাফের বলতে পারব না।



        যদি কোন ব্যক্তি অপর একজনকে সালাত ছেড়ে দিতে বলে, তারপরেও সে মুসলিম থাকবে। এ কথা বলার কারণে আপনি তার উপর তাকফীর করতে পারবেন না, কারণ সে হয়ত নিজের ভুল তা’ওয়ীল দ্বারা এমন কোন হাদীস নিয়ে আসবে যা তার মতবাদকে সমর্থন দেবে।

        তবে যদি তার কথা শুনে কেউ সালাত ছেড়ে দেয় তাহলে আমরা সালাত ত্যাগকারীর উপর তাকফির করি। তাই এখানে এ দুই ব্যক্তির মধ্যে পার্থক্য আছে। যে ব্যক্তি আহবান করছে আর যে ব্যক্তিটি তা পালন করছে, তাদের মধ্যে পার্থক্য আছে।

        একইভাবে যখন কোন ব্যক্তি পার্লামেন্ট বা সংসদে যোগ দেয়ার আহবান জানায় আমরা তার উপর তাকফীর করি না, বরং আমরা বলি সে তার পন্থায় ভুল করেছে। কিন্তু যদি কেউ পার্লামেন্টে যোগ দেয়, আমরা তার উপর তাকফীর করি।

        তাই কুফর হয় মানুষের কাজের দ্বারা, তার ফতোয়ার দ্বারা নয়। তবে সবগুলো ব্যপার মাথায় রেখে যখন কোন শায়খ ফতোয়া জারি করেন যে সর্বোচ্চ বিচারকের আইন প্রণয়নের অধিকার আছে,তখন আমরা তাঁর উপর তাকফির করি, কারণ এটি তার দ্বীনের ভিত্তিকে বাতিল করে।

        কিন্তু তিনি যদি বলেন, আপনি সেখানে ভালো আদেশ দিতে এবং মন্দকে অপসারণ করতে যেতে পারবেন, তখন তাকফির করা যাবে না।

        তাদের আরেকটি প্রিয় বিতর্ক হল, তারা মুখে বলে যে যদি কোন কাফির শক্তি আমাদের ভূমিতে ক্ষমতা দখল করে, আমাদেরকে অবশ্যই যুদ্ধ করতে হবে। কিন্তু এটার মানে কিন্তু এই না যে আপনি দাওয়াহ করতে পারবেন না।

        তাছাড়া প্রস্তুতি স্বল্পতার দরুণ আপনি যদি জিহাদ না করতে পারেন, সে সময়টা আপনি তাদেরকে ইসলামের পথে ডাকতে তো পারেন। কিছু ব্যক্তি আছে যারা বলবেন FIS নব্বইয়ের দশকে তো আলজেরিয়াতে এটা করেছিল। তারা যুক্তি দেখাবে যে তারা পার্লামেন্টে যোগ দিয়েছে ভালকে প্রতিষ্ঠা করতে ও খারাপকে অপসারণ করতে।

        তাদের কাছে তো অস্ত্র বা ক্ষমতা ছিল না। তাই আল্লাহর পক্ষ থেকে ইসলাম ত্যাগকারী সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ করার আদেশ থাকার পরেও তারা তা’ওয়ীল দ্বারা নিজেদের পার্লামেন্টে যোগ দেয়াকে বৈধ করবে।

        তারা বলে যে উপরোক্ত বিষয়গুলো সংসদে যোগদানকারীদের তাকফির করা থেকে বিরত থাকার জন্য যুক্তি হিসাবে কাজ করে। যদিও অন্যরা প্রতিবাদ করে যে এই যুক্তিগুলো গ্রহণযোগ্য নয় কারণ তাদের জানানো হয়েছে যে এটি কুফর।

        কিছু লোক পার্লামেন্টে প্রবেশ করে কিছু বিবৃতি দেয় যা তা’ওয়ীল দ্বারা গ্রহণযোগ্য করা যায় না। যেমন, ‘আমরা সর্বোচ্চ শাসক কর্তৃক প্রণীত সকল আইনের অনুগত থাকব । কারণ একমাত্র তারই আইন প্রণয়নের অধিকার আছে।’ তখন তারা কাফির হয়ে যায়, তাদের তা’ওয়ীল আর গ্রহণ করা হয় না।

        কেউ যদি সংসদে যোগদান করে এবং পরবর্তীতে আইন প্রণয়ন করে তবে এটি স্পষ্ট কুফর এবং এর জন্য কোনো তা’ওয়ীল গ্রহণযোগ্য হবে না।

        কিছু লোক এমনও বলে থাকে যে, তারা ভেতর থেকে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করতে চায়। তারা দাবী করে তারা ভেতরে দাওয়াহ করতে ইচ্ছুক। যদিও পার্লামেন্ট দা’ওয়াহর জায়গা না। উদাহারণস্বরূপ, সত্য জানানোর জন্য কিংবা কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে ইসলামের বক্তব্য জানানোর জন্য একজন শায়খ সংসদের অধিবেশনে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দিতে পারেন না।

        কারণ, পার্লামেন্টের সদস্যরা ঐ লোকের কথা অনুসরণ করতে বাধ্য নয়। অন্যান্য সাংসদদের মতো উনার কথাগুলোও শুধুই একটি মত হিসাবে গৃহীত হবে।। তাই আল্লাহ কি বলেন তা বিবেচনায় না নিয়েই এই শায়খের বক্তব্যকে একটি সাধারণ মতামত হিসাবে বিবেচনা করা হবে ।

        তাই সাংসদরা হয়তো ঘন্টার পর ঘন্টা খুঁটিনাটি নিয়ে গবেষণা করে শেষমেষ শায়খের পরিবর্তে অন্য কারো ‘মত’কেই গ্রহণ করবে।

        কিছু পথভ্রষ্ট দল যুক্তি দেখায়, শায়খরা শুধু উপদেশ দিতেই প্রবেশ করেন, সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রক্রিয়ার সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতা নেই।

        কিন্তু সংসদীয় ব্যবস্থা অনুযায়ী, যেকোনো আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সকল সাংসদের নিজস্ব মত প্রকাশের অধিকার থাকে কিন্তু একটি নির্দিষ্ট মত আইন হিসাবে গৃহীত হলে এই মতের বিরোধীদেরকেও সেটিকে আইন হিসাবে স্বীকৃতি দিতে হবে।

        সকল সদস্যের বিতর্ক-বিশ্লেষণশেষে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াই এই আইনকে বৈধতা দান করে। তাই বিরোধীদলীয় এমপিরাও কার্যত আইন প্রণয়নে ভূমিকা রাখেন। এর কারণ হলো একটি আইন প্রণীত হওয়ার ক্ষেত্রে সরকার এবং বিরোধীদল উভয়পক্ষের সাংসদদের সেটিকে বৈধতা দিতে হয়।

        বিরোধীদলও সংসদের অপরিহার্য অংশ এবং আইন প্রণয়নে তাদের ভূমিকা সরকারী দলের সমান। উভয়ের অবদান সমান। মিশরের ইখওয়ান এবং অন্যান্য ‘গণতান্ত্রিক ইসলামি দল’ গুলো নিজেদের বিরোধীদল বলে দাবী করে । তাদের দাবী সত্য।

        কিন্তু যখন আইন বাস্তবায়িত হয়, তখন তারা তা গ্রহণ ও মান্য করতে বাধ্য থাকে। ফলে প্রকৃতপক্ষে তারা সেই মানবরচিত আইনকে বৈধতা দান করে।



        আল্লাহ আমাদের শরীয়াহ দ্বারা জানিয়ে দিয়েছেন, কী গ্রহণযোগ্য আর কী গ্রহণযোগ্য নয়। যদি সংসদ আইন করে যে এলকোহল নিষিদ্ধ, তাহলে তো সরকার শরীয়াহর মত একই উপসংহারে আসল, তখন আমরা এটিকে কীভাবে দেখব? আমাদের প্রথমে দেখতে হবে তারা এই সিদ্ধান্তে কীভাবে উপনীত হল?

        তারা কি কুরআন ও সুন্নাহ ব্যাবহার করেছিল? না কি তারা নিজেদের বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে এ সিদ্ধান্তে আসলো? তাই যদিও সরকার এখানে শরীয়াহর সাথে একমত, ইসলাম তখনো এটিকে শিরক বলবে। কারণ তারা আল্লাহর সিদ্ধান্তকে গ্রহণ করেনি, বরং মানুষেরটা করেছে।

        তাই এখানে আসল বিষয় হল সবকিছুই একান্তভাবে আল্লাহর উপর অর্পণ করা। তাই যদিও কিছু অংশ শরীয়াহ সমর্থন করে, তারপরেও এটি শিরক।তাই আমাদের দেখতে হবে কোথা থেকে এবং কীভাবে তারা এ সিদ্ধান্তে এল, এবং কোথা থেকে তারা তা প্রাপ্ত হল।

        যতক্ষণ পর্যন্ত কেউ মহান আল্লাহর সিদ্ধান্ত খুঁজছে, যদিও সে কোনো ভুল করে, তারপরেও সে পুরস্কৃত হবে। একইভাবে যদি আইন আল্লাহর হুকুম সমর্থন করে, কিন্তু সংসদ থেকে আসে, তবে তা শিরক।

        কারণ, সরকারের মাধ্যমে আংশিকভাবে শরীয়াহ প্রয়োগ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহর আইনের কাছে আত্মসমর্পণ করা।

        তা’ওয়ীলের ভুল দেখিয়ে দিয়েই আমরা কারও উপর তাকফির করতে পারি না। কারণ, আমরা জানিনা তারা আমাদের যুক্তি মন থেকে গ্রহণ করবেন কিনা, তাই তারা তখনো নিজ তা’ওয়ীলে বিশ্বাস করে থাকতে পারেন।

        এ কারণে ইবনে তাইমিয়াহ আল্লাহর বৈশিষ্ট্য অস্বীকারকারীদের তাকফির করা থেকে বিরত থেকেছিলেন।

        _____ ______________________________________________

        অনুবাদ করা হয়েছেঃ শায়খ আবু ক্বাতাদা আল ফিলিস্তিনি রচিত ‘ঈমান সিরিজ’ থেকে। মহান আল্লাহ যেন তাঁকে অটল রাখেন এবং তাঁকে হেফাজত করেন।


        অনলাইনে পড়ুন-
        https://justpaste.it/parlament_vot



        Comment


        • #5
          গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, ভোটদানের তীব্র সমালোচনা এবং এই বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি
          -শাইখ আবু কাতাদাহ উমর ইবনে মাহমুদ আবু উমর আল ফিলিস্তিনি হাফিজাহুল্লাহ




          ডাউনলোড করুন


          পিডিএফ


          ওয়ার্ড

          Comment


          • #6
            ইসলাম ও গণতন্ত্র
            – মাওলানা আসিম উমর হাফিজাহুল্লাহ




            ডাউনলোড করুন
            http://www.mediafire.com/file/xyu74i...ashem_umar.pdf

            Comment


            • #7
              মানব রচিত আইন দ্বারা বিচার করাঃ ছোট কুফর না বড় কুফর?
              – শাইখ আবু হামযা আল মিশরি ফাক্কাল্লাহু আসরাহ




              ডাউনলোড করুন

              https://archive.org/download/RulingB...eLawbangla.pdf

              Comment


              • #8
                মাশা-আল্লাহ্।
                খুব জরুরি,সময়োপযোগী পোষ্ট।
                আল্লাহ সুবঃ আপনাদের উত্তম যাঝা দান করুন,
                আমীন ইয়া রব্বাশ শুহাদায়ী ওয়াল মুজাহিদীন।
                বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
                কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

                Comment


                • #9
                  বিশেষ আর্কাইভ
                  || গণতন্ত্র, ভোট ও তাগুত সম্পর্কে উলামা-মাশায়েখদের রচনাবলী ||
                  আল ফিরদাউস আর্কাইভ



                  সম্মানিত ভাই ও বোনেরা! আমরা জানি সামনে কুফরি গণতন্ত্রের নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসছে... এবং অতিসম্প্রতি বাংলাদেশের বরেণ্য উলামাদের মুখপাত্র মাসিক আল কাউসারে ভোট প্রদান সম্পর্কিত প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ফলে দ্বীনদার মহলে বিভ্রান্তি ছড়ানোর সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে, তাই আমরা গণতন্ত্র, ভোট ও তাগুত সম্পর্কে উলামা-মাশায়েখদের রচনাবলীর একটি সংকলন আপনাদের কাছে পেশ করছি। আমরা আশা করছি বিভ্রান্তি, অজ্ঞতা দূরীকরণে এই সংকলনটি কাজে আসবে ইনশা আল্লাহ। এই সংকলনের বাইরে কোন রচনা, প্রবন্ধ, বই, অডিও বা ভিডিও রয়ে গেলে আমাদের জানানোর সবিনয় নিবেদন করছি। আল্লাহ আমাদের কাজগুলোকে উম্মাহর জাগরণের জন্য কবুল করে নিন! আমিন ইয়া রাব্বাল আলামিন।

                  গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে উলামায়ে দেওবন্দ
                  সংকলন
                  মাওলানা ইবরাহীম হুসাইন দাঃ বাঃ
                  পিডিএফ

                  ওয়ার্ড

                  অনলাইনে পড়ুন



                  গণতন্ত্রকে বর্জন করুন | শাইখ আবু আব্দুল্লাহ আল-হিন্দি (হাফি | মুখপাত্র, জামা‘আতুল মুজাহিদীন
                  পিডিএফ


                  ওয়ার্ড

                  অনলাইনে পড়ুন



                  গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, ভোটদানের তীব্র সমালোচনা এবং এই বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি
                  -শাইখ আবু কাতাদাহ উমর ইবনে মাহমুদ আবু উমর আল ফিলিস্তিনি হাফিজাহুল্লাহ
                  পিডিএফ

                  ওয়ার্ড


                  গণতন্ত্রের মিথ্যাচার- শরীফ আব্দুল্লাহ
                  পিডিএফ


                  ওয়ার্ড

                  অনলাইনে পড়ুন-


                  পৃথিবীর বুকে আল্লাহর শাসন~ লেখক শাইখ আবু হামজা আল-মিশরী


                  গণতন্ত্র নয় পূর্ণাঙ্গ বিপ্লব- মওলানা আব্দুর রহিম


                  প্রচলিত রাজনীতি নয় জিহাদই কাম্য- মওলানা আব্দুর রহিম


                  বাংলাদেশের মুসলমানরা মজলুম ও মাহরুম- মওলানা আব্দুর রহিম


                  গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও শুরায়ী নিজাম- মওলানা আব্দুর রহিম


                  ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য- মওলানা আব্দুর রহিম


                  ইসলাম এবং গণতন্ত্র -শাইখ আব্দুর রহীম গ্রীন
                  ডাউনলোড

                  পিডিএফ

                  ওয়ার্ড



                  শুকনো খেজুর দিয়ে তৈরি গনতন্ত্রের মূর্তি


                  ইসলাম ও গনতন্ত্র - আসিম উমর


                  গণতন্ত্র একটি দ্বীন - শায়খ আবু মুহাম্মাদ আসিম আল মাকদিসি (হাফিজাহুল্লাহ)


                  ইসলামি গণতন্ত্রের সংশয় নিরসন - শায়খ আবু মুহাম্মাদ আসিম আল মাকদিসি (হাফিজাহুল্লাহ)


                  গণতন্ত্র ও অধ্যাপক গোলাম আজম



                  গণতন্ত্রঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহঃর আশ্চর্য বক্তব্য




                  গণতন্ত্র নিয়ে ভারসাম্যপূর্ণ আলোচনার প্রয়োজনীয়তা
                  – মাওলানা সাঈদ ইউসুফ দাঃ বাঃ




                  গণতন্ত্রের পরিভাষাসমূহ না বুঝার কুফল
                  – মাওলানা সাঈদ ইউসুফ দাঃ বাঃ




                  গণতন্ত্র ও ইসলামি গণতন্ত্রের স্বরূপ
                  -মাওলানা সাঈদ ইউসুফ দাঃ বাঃ




                  ইসলামি গণতন্ত্র কি আসলে ইসলামি?
                  -মাওলানা সাঈদ ইউসুফ দাঃ বাঃ




                  ইসলাম ও গনতন্ত্র বিপরীত দুটি ধর্ম
                  শাইখ তামিম আল আদনানী (হাফিঃ)
                  audio- http://www.mediafire.com/file/sp9dm5...ono_1.mp3/file
                  vedio- http://www.mediafire.com/file/h32fd9...ontro.mp4/file

                  নিশ্চয় ঘরের মধ্যে মাকড়সার ঘরই সবচে' দুর্বল-
                  শাইখ তামিম আল আদনানী (হাফিঃ)





                  গণতন্ত্র সম্পর্কে বিবৃতি– শাইখ তামিম আল আদনানি


                  গণতন্ত্র শিরক



                  গণতন্ত্রের নোংরামী থেকে বাঁচুন!!!

                  ডাউনলোড
                  হাই কোয়ালিটি (48.4 MB)

                  মিডিয়াম কোয়ালিটি (18.1 MB)

                  লো কোয়ালিটি (8.7 MB)


                  “গণতন্ত্র ও ইসলামের পার্থক্য”
                  ডাউনলোড লিংকঃ
                  ভিডিও লিংক:




                  অডিও লিংক:




                  গণতান্ত্রিকদের প্রতি খোলা চিঠি


                  গণতন্ত্র দিয়ে কি ইসলামি বিপ্লব সম্ভব -



                  গণতন্ত্র একটি দ্বীন


                  ইসলামের দৃষ্টিতে গণতন্ত্র ও ভোটাভুটি


                  ইসলামি গণতন্ত্রের সংশয় নিরসন-


                  গণতান্ত্রিক ‘ইসলামি’ দল কর্তৃক সৃষ্ট সংশয় নিরসন – আলি আল খুদাইর ফা আ


                  সংসদ ও সংসদ সদস্যদের ব্যাপারে বিধান কি?


                  শরীয়তের বদলে অন্য বিধান গ্রহণকারীদের ব্যাপারে ইবনে কাসীর (রহঃ) এর ফতোয়া


                  শাসনকর্তৃত্ব


                  কোর্ট প্রাঙ্গনে গ্রিক দেবীর মূর্তি – পাথরের মূর্তি বড় না সংবিধান নামের মূর্তি?


                  যদি কেউ পার্লামেন্টে অংশ নিতে চায়, তবে সেটা কি কুফর হিসাবে গণ্য হবে? এ কাজ কি কাউকে মুরতাদ বানিয়ে ফেলে?


                  যারা আল্লাহর বিধান ব্যতীত অন্য বিধান দিয়ে শাসন করে তাদের ব্যাপারে শরীয়তের হুকুম কি?


                  শারিয়াহর পরিবর্তে আইন রচনাই কি ইসলাম ত্যাগের জন্য যথেষ্ট? নাকি অন্তর থেকেও অবিশ্বাস জরুরী?


                  আমরা কি পার্লামেন্টের সকল সদস্যকে কাফের গণ্য করব?


                  মানবরচিত আইন দ্বারা বিচার: ছোট কুফর না বড় কুফর?




                  আল্লাহর আইন বনাম মানবীয় আইনঃ গণতান্ত্রিক দাওয়ার মৌলিক ডিফেক্ট


                  মুরতাদ শাসকের বিরুদ্ধে সালাফদের অবস্থান




                  কুফূরি নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারী উলামাদের অবস্থান


                  জামাতী ইসলামের নিবন্ধ বাতিল, এখনো সময় আছে ফিরে আসুন পরিপূর্ণ তাওহীদের দিকে ফিরে আসুন ক্বিতালের পথে


                  গণতন্ত্রবাদীরা যে স্লোগানে মশগুল থাকে সর্বদা


                  মিছিল মিটিং হরতাল অবরোধ সবটাই আব্রাহামের পথ


                  কওমী দেওবন্দী উলামায়ে কিরামের গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান


                  জাতীয়তাবাদ এতো ঘৃণিত কাজ যে পিতার লিঙ্গ কামড়ে ধরার সমতুল্য


                  আল-কোরআন ও গণতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য




                  ইসলামের দৃষ্টিতে গণতন্ত্র


                  ইসলামপন্থী গণতান্ত্রিকদের উদ্দেশ্য, কিছু সংশয় এবং তার নিরসন!


                  গণতন্ত্র কুফফারদের খেজুরের তৈরি মূর্তি


                  যে কারণে আমি গণতন্ত্রের মানহায পরিত্যাগকারী


                  গণতন্ত্র দিয়ে কি মনজিলে মকসুদে পৌঁছা যাবে?



                  তথাকথিত গণতান্ত্রিক রাজনীতির মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে কুরআনী শাসন কায়েম করার দাবি একেবারে অযৌত্তিক


                  গণতন্ত্রের লাঞ্চনা থেকে ইসলমের জিহাদের পথে আসুন


                  কুফরী আইন দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার বিভিন্ন সূরত এবং তার বিধান


                  ইসলামে ভোট হালাল কি?


                  গণতন্ত্র নিয়ে একটি প্রশ্ন


                  ইসলামী দলের নামে পার্লামেন্টে যাওয়ার হুকুম কি ?


                  গণতন্ত্রের পক্ষে ইসলামি (!!) গণতন্ত্রিদের কিছু কঠিন যুক্তির সহজ জবাব


                  Democracy আমাদেরকে কি দিয়েছে? আসুন ভালো করে জেনে নিই


                  ভোট: ইসলামের নামে ধোঁকা!


                  ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ (Secularism) ও তার অনুসারি(সেকুলার)দের বিধান!!


                  ইসলামী আইন ও গনতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য


                  গণতন্ত্র, নির্বাচন ও অন্যান্য
                  https://justpaste.it/6zkow

                  Comment


                  • #10
                    বিশেষ আর্কাইভ
                    || গণতন্ত্র, ভোট ও তাগুত সম্পর্কে উলামা-মাশায়েখদের রচনাবলী ||
                    আল ফিরদাউস আর্কাইভ




                    সম্মানিত ভাইয়েরা! ডাউনলোড করুন ও এই লিংক দুটো ছড়িয়ে দিন

                    https://justpaste.it/Democracy_archive01
                    Last edited by আবু আব্দুল্লাহ; 12-30-2018, 01:49 PM.

                    Comment


                    • #11
                      জাযাকাল্লাহ খাইরান।
                      সকল ভাইদেরকে বলছি!
                      ভায়েরা এটার মার্কেটিং আম হওয়া এখন মিডিয়া এর গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা। কারণ এখনই এটা প্রচারের উপযুক্ত সময়। কারণ পুরো দেশ বাসী এখন গণতন্ত্রের হাকিকত বুঝার মতো উপযুক্ত মানসিকতায় আছে।
                      প্রয়োজণ শুধু আপনার ও আমার একটু কৌশল করে বিষয়গুলো ২/৪ লাইন লিখে একটা একটা করে ছড়িয়ে দেয়া। এবং এগুলার পিছনে যথেষ্ট সময় ও পরিশ্রম ব্যায় করা।

                      Comment


                      • #12
                        জী উত্তম পরামর্শ শুকরিয়া, আল্লাহ্ তা‘আলা যেন আমাদেরকে আমল করার তাওফিক দান করেন,,
                        আমিন ৷৷

                        Comment

                        Working...
                        X