Announcement

Collapse
No announcement yet.

যারা দুনিয়ার প্রতি মুহাব্বাত রাখে, তাদের কি কি ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়.............. ?

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • যারা দুনিয়ার প্রতি মুহাব্বাত রাখে, তাদের কি কি ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়.............. ?

    যারা দুনিয়ার প্রতি মুহাব্বাত রাখে , তাদের কি কি ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয় ?
    আমি আমার অনুসন্ধান অনুযায়ি ও অভিজ্ঞতার আলোকে যা জেনেছি বুঝেছি , তা আমি এখানে উল্লেখ করলাম ... ভুল হলে সংশোধন করে দিবেন ... ইনশা-আল্লাহ ...
    * হযরত ঈসা (আঃ) বলেছেন , যার অন্তরে দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা স্থান পাবে , তার অন্তর তিন বিষয়ে ফেসে যায় ।
    ১- সার্বক্ষণিক ব্যস্ততা , যার থেকে সে কোন সময় নিস্তার পাবে না......
    ২- সার্বক্ষণিক অভাই বোধ করবে , কখনো অভাব মুক্ত হবে না...।
    ৩- বিরাট বিরাট আসা করবে , যা কখনো পূরণ হবে না......।
    ৪- যে ব্যক্তি দুনিয়াকে ভালোবাসে , সে ব্যক্তি আল্লাহর মুহাব্বাত থেকে দূরে থাকে ...।
    হযরত কাতাদা বিন নু”আমান (আঃ) থেকে বর্ণিত , তিনি বলেন , নবী কারীম (সঃ) এরশাদ করেন , আল্লাহ তায়ালা যখন কাউকে ভালোবাসেন , তখন তাকে দুনিয়া হতে ঐ ভাবে দূরে রা খেন , যেমন ভাবে তোমরা অসুস্থ ব্যক্তিকে পানি হতে দূরে রাখ ... মুসনাদে আহমাদ ও ইবনে মাযাহ
    ৫- যার অন্তরে দুনিয়ার মুহাব্বাত থাকে , সে সঠিক জ্ঞানবুদ্ধি হাড়িয়ে ফেলে
    হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন , (পরকালে) যার কোন ঘর নেই , দুনিয়াই তার ঘর আর যার মাল নেই , দুনিয়াই তার মাল । যার জ্ঞান নেই সেই দুনিয়া নিয়ে পরে থাকে । মুসনাদে আহমাদ
    ৬- যার অন্তরে দুনিয়ার ভালোবাসা থাকে , তার পেরেশানী শেষ হয় না বরং দিনের দিন পেরেশানী বৃদ্ধিই পায় ...
    হযরত ঈসা (আঃ) তার সাথীদেরকে বলেছিলেন , প্রত্যেক অনিষ্টের মূল হলো দুনিয়ার মুহাব্বাত । দুনিয়াতে এমন অনেক চাহিদা বা আশা আছে , যা কোন দিন শেষ হয় না বরং পেরেশানী ভারিয়ে দেয়......।
    ৭- যার অন্তরে দুনিয়ার ভালবাসা থাকে , সে দুনিয়াতে সবচেয়ে বেশী নিকৃষ্ট ও খারাব ......।
    হযরত নবী কারীম (সঃ) বলেছেন , আল্লাহ তায়ালা দুনিয়া হতে অধিক নিকৃষ্ট আর কোন কিছু সৃষ্টি করেননি দুনিয়া এত নিকৃষ্ট ও বিকৃত যে , তাকে সৃষ্টি করার পর , একটি বারের জন্যও দুনিয়ার দিকে ফিরে তাকান নি ...।
    আল-জামিউস-ছগীর ও ফাইজুল কাদীর
    ৮- যার অন্তরে দুনিয়ার ভালোবাসা থাকে , তার অন্তর কঠোর ও শক্ত হয়ে যায় , অন্তরে কোন ধরণের মায়া-মুহাব্বাত থাকে না ...।
    ৯- যে দুনিয়াকে মুহাব্বাত করে , তার প্রতি আল্লাহ তায়ালার , রসূল (সঃ) এর ও সমস্ত ফেরেস্তাদের অভিসাপ ......।
    ১০- যে ব্যক্তি দুনিয়াকে মুহাব্বাত করে , তার বন্ধু হলো শয়তান ...।
    ১১- যারা দুনিয়াকে মুহাব্বাত করে , তাদের বেশীর ভাগই ধোকাবাজ , পতারক , বাটপার-ছিটার , লম্পট , সার্থবাজ ও সুভিদাবাদী হয় ...।
    ১৩- প্রত্যেক পাপের ও অনিষ্টের মূল হলো দুনিয়ার মুহাব্বাত ও ভালোবাসা । যেমন –
    (ক) মানুষ হারাম খায় ।
    (খ) সুদ খায় ।
    (গ) ঘোষ খায় ।
    (ঘ) অন্যের সম্পদ অন্যায় ভাবে দখল করে নিজের বানিয়ে নেয় ।
    (ঙ) চুরি করে , ডাকাতি করে ।
    (চ) অন্যায় ভাবে মানুষ হত্যা করে ।
    (ছ) মাপে ও ওজুনে কম দেয় ।
    (জ) আমানতের খেয়ানত করে ।
    (ঝ) ওয়াদা দিয়ে , ওয়াদা আবার ভঈ করে ।
    (ঞ) মিথ্যা কথা বলে ।
    (ট) মদ ও নেসা জাতীয় দ্রব্য খায় ।
    (ঠ) জুয়া খেলে ও অন্যান্য হারাম খেলায় লিপ্ত থাকে ।
    (ড) জিনা করে ।
    (ঢ) গান-বাদ্য করে ও শুনে ।
    (ণ) পিতা-মাতার অবাধ্য হয় ।
    (ত) আপনজনদের সাথে সম্পর্ক চিন্ন করে ।
    (থ) আপন ধর্মের সাথে গাদ্দারী করে ।
    (দ) মুসলিম ভাইদের বিপরীদে অমুসলিমদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে ।
    (ধ) মুসলিম ভাই-বোনদের বিপক্ষে অমুসলিমদেরকে সাহায্য করে ।
    (ন) সত্য-মিথ্যা চিনার মত ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে ।
    (প) চাকরির ভয়ে , মৃত্যুর ভয়ে , সন্তান-সন্ততির ভয়ে ও জেল-জুলুমের ভয়ে হক্ব কথা বলা বন্ধ করে দেয় ।
    (ফ) হক্ব কথা শুনতে পারে না আর যারা হক্ব কথা বলে , তাদের বিরোধি করে এবং হক্ব কথা বলতে বাধা দেয় ।
    (ব) মানুষের উপর জুলুম-নির্যাতন করে ।
    (ভ) জিহাদের বিরোধিতা করে ।
    (ম) মানুষের উপর মিথা অপবাধ দেয় ।
    ১৪- যারা দুনিয়াকে মুহাব্বাত করে , তারা আল্লাহর জিম্মাদারী থেকে বের হয়ে যায় ।
    হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) বতে বর্ণিত , তিনি বলেন , রসূল (সঃ) বলেছেন , দুনিয়ার ফিকির নিয়ে যার সকাল হয় , সে আল্লাহ তায়ালার জিম্মাদারীর বাহিরে থাকে ( তার ব্যপারে আল্লাহ তায়ালার কোন দায়িত্ব থাকে না ) কানযুল উম্মাহ
    ১৫- যারা দুনিয়াকে মুহাব্বাত করে , তারা কখনো অল্পতে সন্তুষ্ট হয় না ।
    ১৬- তারা অহংকার কারী হয় ।
    ১৭- তারা হিংসা কারী হয় ।
    ১৮- তারা কৃপন ও বখিল হয় ।
    ১৯- তারা অভদ্র হয় ।
    ২০- তারা মৃত্যুর কথা ভুলে যায় ।
    ২১- তারা লজ্জা-শরম হারিয়ে ফেলে ।
    ২২- তারা সব সময় চিন্তা-ফিকেরে থাকে ।
    হযরত তাউস (রহঃ) বলেন , রসূল (সঃ) বলেছেন , দুনিয়া বিমুখতা শান্তি নিয়ে আসে আর দুনিয়ার ভালোবাসায় চিন্তা-ফিকির ও দুঃখ বৃদ্ধি করে । কানযুল উম্মাহ
    ২৩- তারা অকৃতজ্ঞ হয় ।
    ২৪- তারা সম্পদের লোভ করে ।
    ২৫- তারা নেতৃত্বের লোভ করে ।
    ২৬- তারা নারীর লোভ করে ।
    ২৭- তারা ক্ষমতার লোভ করে ।
    ২৮- তারা জিহাদ করা ছেড়ে দেয় ।
    ২৯- তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ।
    ৩০- তারা সৎ সাহস হারিয়ে ফেলে ।
    ৩১- তারা মানুষের কাছে হাত পাতে ।
    ৩২- তারা দুনিয়ার আদালত কে ভয় করে ।
    ৩৩- তারা আল্লাহকে ছাড়া মানুষের সামনে মাথা নত করে ।
    ৩৪- তারা আল্লাহকে ছাড়া মানুষকে ভয় করে ।
    ৩৫- তারা আল্লাহকে ছাড়া মানুষের গোলামী করে ।
    ৩৬- তারা আল্লাহ তায়ালাকে ভুলে যায় ।
    ৩৭- তারা মৃত্যুর কথা ভুলে যায় ।
    ৩৮- তারা কবরের কথা ভুলে যায় ।
    ৩৯- তারা জান্নাত-জাহান্নামের কথা , হাশর-নাশরের কথা , মিজানের কথা , ফুলসিরাতের কথা ভুলে যায় ।
    ৪০- তারা ঈমান কে বিক্রি করে দেয় ।
    ৪১- তাদের আল্লাহ তায়ালার প্রতি ভরসা কমে যায় বা ভরসা থাকে না ।
    ৪২- তাদের ধৌর্য কমে যায় বা থাকে না ।
    ৪৩- তারা হালালকে হারাম আর হারামকে হালাল বানিয়ে ফেলে ।
    ৪৪- তারা অহেতুক কথা-বার্তা বলে ।
    ৪৫- যারা দুনিয়াকে মুহাব্বাত করে , তারা আল্লাহ তায়ালার হুকুম পালান করার ও আল্লাহ তায়ালাকে স্বরণ করার সময় পায় না । যেমন
    (ক) নামাজ পড়ে না ।
    (খ) রোজা রাখে না ।
    (গ) হজ্জ করে না ।
    (ঘ) যাকাত দেয় না ।
    (ঙ) দ্বীনী ইলম শিখে না ও শিক্ষাও দেয় না ।

  • #2
    আল্লাহ আপনার মেহনত কবুল করুন, আমীন।
    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

    Comment


    • #3
      Originally posted by tawsif ahmad View Post
      যারা দুনিয়ার প্রতি মুহাব্বাত রাখে , তাদের কি কি ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয় ?
      আমি আমার অনুসন্ধান অনুযায়ি ও অভিজ্ঞতার আলোকে যা জেনেছি বুঝেছি , তা আমি এখানে উল্লেখ করলাম ... ভুল হলে সংশোধন করে দিবেন ... ইনশা-আল্লাহ ...
      * হযরত ঈসা (আঃ) বলেছেন , যার অন্তরে দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা স্থান পাবে , তার অন্তর তিন বিষয়ে ফেসে যায় ।
      ১- সার্বক্ষণিক ব্যস্ততা , যার থেকে সে কোন সময় নিস্তার পাবে না......
      ২- সার্বক্ষণিক অভাই বোধ করবে , কখনো অভাব মুক্ত হবে না...।
      ৩- বিরাট বিরাট আসা করবে , যা কখনো পূরণ হবে না......।
      ji vai important akta bisoy tule daresen jajakallahu khairun
      ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

      Comment


      • #4
        আল্লাহ দুনিয়ার মহাব্বাত থেকে আপনি আমাদেরকে হেফাজত করুন, আমিন

        Comment


        • #5
          কমেন্ট এর দ্বারা পোস্টকারী ভাই উৎসাহিত হয়, তাই বেশি করে কমেন্ট করা প্রয়োজন।
          আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
          আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

          Comment


          • #6
            আল্লাহ তায়ালা আপনার কাজকে কবুল করুন,আমিন।

            Comment


            • #7
              আমাদের পরাজয়ের মূল কারন হলো- দুনিয়ার প্রতি ভালো বাসা তাই এই পোস্ট টি ভাইদের দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা দূর করার জন্য কার্য়করি হবে ইংশাআল্লাহ
              ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

              Comment


              • #8
                মাশাআল্লাহ ভাই খুব দরকারী লিখা। আল্লাহ আপনাকে কবুল করুন।

                Comment

                Working...
                X