Announcement

Collapse
No announcement yet.

জিহাদ সংক্রান্ত কিছু মাসয়ালা (পার্ট ১)

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জিহাদ সংক্রান্ত কিছু মাসয়ালা (পার্ট ১)

    জিহাদ সংক্রান্ত কিছু মাসয়ালা
    ১.শত্রু যদি কোন মুসলিম জনপদে অনুপ্রবেশ করে তবে সকল ফুকাহায়ে কেরাম মুফাসসিরীন এবং মুহাদ্দেছীনদের মতানুযায়ী জিহাদ ফরযে আইন হয়ে যায়।

    ২.জিহাদ ফরজে আইন হয়ে গেলে তিন ইমামের নিকট সে অবস্থায় জিহাদ ও নামাজের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকে না। আর হাম্বলী মাযহাবের অনুসারীদের নিকট নামাজ হচ্ছে জিহাদের চেয়ে গুরুত্বপূর্ন ।

    ৩.ইমাম মালেক রহ. এর মাযহাবের কিতাব “বলাগাতুস সালেক লিআকরাবিল মাসালিক ”-এ
    লিখা আছে যে, প্রতি বছর এ'লায়ে কালিমাতুল্লাহর জন্যে আল্লাহর পথে জিহাদ করা ফরজে কেফায়া, যদি কিছু সংখ্যক মানুষ এ দ্বায়িত্ব পালন করে তবে সকলের পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে।
    যদি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান জিহাদ ফরযে আইন হওয়ার ঘোষণা প্রদান করে অথবা শত্রু যদি কোন মুসলিম জনপদে আক্রমণ করে বসে, তখন জিহাদ নামাজ রোজার মতই ফরজে আইন হয়ে যায়।

    ৪.হানাফি মাযহাবের কিতাব “মাজমাউল আনহার ”
    -এ এসেছে যে, যদি সকল মানুষের জিহাদে অংশগ্রহণ ব্যতীত আর কোন উপায় না থাকে, তখন নামাজের মতই জিহাদ ফরযে আইন হয়ে যায়।
    ইমাম ইবনুল আবেদীন আল হানাফি স্বীয় হাশিয়ার তৃতীয় খন্ডের ২৩৮নং পিষ্টায় লিখেছেন, শত্রু যদি কোন মুসলিম সীমান্তে আক্রমণ করে, তখন নামাজ
    রোজার মতই জিহাদ ফরযে আইন হয়ে যায়, যা ত্যাগ করার কোন সুযোগ নেই।

    ৫.যদি জিহাদ ফরযে আইন হয়ে যায়, তখন পিতা-মাতা থেকে অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন নেই ঠিক তদ্রূপ, যেমন নামাজ বা রোযা আদায় করার জন্য তাদের অনুমতির প্রয়োজন পড়ে না।

    ৬.শরিয়তের কোন ওজর ব্যতীত ফরজে আইন জিহাদকে ত্যাগকারী এবং ওজর ব্যতীত রমজানের রোযা ভংগকারীর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।

    ৭.আল্লাহর পথে সম্পদের বিহদাংশ দান করার পরও স্বশরীরে জিহাদের যিম্মাদারী পূর্ণ হয় না, বরং
    এই হুকুম তার উপর ফরজে আইন হিসাবে ঐরূপ বাকী থাকে, যেমন রোযার বদলে রোযা এবং নামাজের বদলে নামাজ।
    যেমনিভাবে ফকিরদের মাঝে সম্পদ বিলি করার দ্বারা নামাজের ফরজ হুকুম সমূহ আদায় হয় না, স্বশরীরে জিহাদের হুকুমও অনুরূপ।

    ৮.জিহাদ নামাজ রোজার মতই পুরো জীবনই ফরজ, সুতরাং যেমন ইহা জায়েয নেই যে, এক বছর রোজা রাখবে অপর বছর ছেড়ে দিবে এবং একদিন নামাজ পড়বে এবং অন্যদিন ছেড়ে দিবে, ঠিক তেমনি ইহাও জায়েয নয় যে, কয়েক বছর জিহাদ করবে অতঃপর কয়েক বছর ছেড়ে দিবে।

    ৯.আজ যে সকল দেশ কাফের কর্তৃক অবৈধ আগ্রাসনের শিকার, সেই সকল দেশে জান ও মাল দিয়ে জিহাদ করা শুধু মাত্র ফরজই নয় বরং ফরজে আইন হয়ে গেছে এবং এই ফরজে আইন ঐসময়
    পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত প্রিথিবীর ঐসকল এলাকা কাফের বাহিনীর আগ্রাসন থেকে স্বাধীন না হব, যেসকল এলাকা একদিনের জন্যে হলেও মুসলিম দেশের অংশ ছিল।

    ১০.যখন সাধারণভাবে জিহাদ শব্দ বলা হবে, তখন তার দ্বারা অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করা উদ্দেশ্যে হবে।
    এটা ইবনে রুশদ এর অভিমত এবং এই মতের উপর
    চারো ইমাম একমত।

    ১১.ফি-সাবিলিল্লাহ শব্দের সর্বপ্রথম অর্থ হবে জিহাদ। যেমন করেছেন আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানি রহ. তাঁর “ফাতহুল বারী ” নামক গ্রন্থে ।


    (শায়খ ড. আব্দুল্লাহ আজ্জাম এর
    তাওহীদ আল-আমালী থেকে সংগৃহীত)

  • #2
    মাশাআল্লাহ ভাই আলো আলোচনার অপেক্ষাই থাকবো
    ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

    Comment


    • #3
      ভাই,রেফারেন্স/হাওলা উল্লেখ করে দিলে আরো ভালো হতো ইনশাআল্লাহ।
      বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
      কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

      Comment


      • #4
        মাশাল্লাহ । খুব ভাল লেগেছে পোষ্টটি । এগিয়ে চলুন আল্লাহর নামে । কিতাবের নাম সহ হলে ভাল হয় । আল্লাহ তায়ালা যা চান ।

        Comment

        Working...
        X