Announcement

Collapse
No announcement yet.

আমার সাধ্য কতটুকু !!!!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আমার সাধ্য কতটুকু !!!!

    জুলফিকার – আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
    এক ভাই – ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ
    জুলফিকার- ভাই আপনি কেমন আছেন , পরিবারের সবাই কেমন আছে ? দ্বীনের দাওয়াত কেমন চলছে ?
    এক ভাই- আলহামদুলিল্লাহ্* ! তবে ভাই দ্বীনের দাওয়াতের অবস্থা তেমন ভালো নয় , কীভাবে কি করব তা কিছুই বুঝে আসছে না আবার রয়েছে অর্থনৈতিক সমস্যা , ঢাকা শহরে তো ঘর থেকে বের হলেই অনেক খরচ। সাধ্যমত যতটুকুই পারছি করার চেষ্টা করছি ।
    জুলফিকার- সাধ্যমত !!! সাধ্যমত আবার কিসের ! আপনার সাধ্য কতটুকু আছে তা আপনি বুঝলেন কীভাবে ?
    এক ভাই – ভাই সাধ্যমত মানে আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব আমি করে থাকি ।
    জুলফিকার- যেমন –
    এক ভাই – যেমন – আমি দৈনিক অন্যান্য কাজ করার পর ১ ঘণ্টা কয়েকজন ভাইকে দ্বীনের বিষয়ে তালিম দেই , এর পর আমি আমার অন্যান্য কাজে সময় দিয়ে থাকি ।
    জুলফিকার- ভাই আপনি আপনার সাধ্যমত করেন নাই , আপনি আরও সময় দিতে পারতেন ।
    এক ভাই – ভাই আমি এই ১ ঘণ্টা সময় ও বের করেছি , অন্যান্য কাজের মধ্য থেকে কিছু কাজ বাদ দিয়ে , তাহলে আমি কীভাবে আমার সাধ্যমত কাজ করি নাই , একটু বুঝিয়ে বলুন তো ?
    জুলফিকার- ভাই আপনি হয়তো জানেন যে , ইব্রাহিম (আঃ) কে নমরুদ আগুনে নিক্ষেপ করেছিল , এবং ইব্রাহিম (আঃ) এর সাধ্য আর ছিল না তাই তিনি আল্লাহ্*র কাছে সাহায্য চায় , এবং আল্লাহ্* তাকে হেফাজত করেন । ভাই এখানেই একটু চিন্তার বিষয় । আমরা মনে করি ইব্রাহিম (আঃ) সাধ্যমত চেষ্টা করেছে , চেষ্টা করেছিল মুসা (আঃ) যখন ফেরাউনের বাহিনী তাদের পিছনে ছিল আর এক পর্যায়ে তাদের সামনে থাকে সমুদ্র , তখন আল্লাহ্* মুসা (আঃ) ও তাঁর সাথীদের সমুদ্র পার হওয়ার জন্য রাস্তা করে দিয়েছিলেন , অর্থাৎ মুসা (আঃ) তাঁর সাধ্যমত চেষ্টা করেছে আর তাঁর সাধ্য যখন শেষ তখন আল্লাহ্* সাহায্য করেছেন , একই ভাবে ইউনুস (আঃ) সহ আরও অনেক নবি – রসুলগণ ।
    এবার মূল কথায় আসি , ইব্রাহিম (আঃ), মুসা (আঃ) কি জানতেন তাঁর সাধ্য অতটুকু বা এর পরে তাঁর আর সাধ্য নেই , কেন মুসা (আঃ) তাঁর সাথীদের নিয়ে তো সমুদ্রে সাঁতার দেওয়া পর্যন্ত ও যেতে পারতেন কিন্তু এখানেই আমার কথা মনোযোগ দিয়ে বুঝার চেষ্টা করেন , মুসা (আঃ) এর কিন্তু সেই সাধ্য ছিল অর্থাৎ সমুদ্রে ঝাপ দেওয়ার পর কি আল্লাহ্* মুসা (আঃ) ও তাঁর সাথীদের বাঁচাতে পারতেন না ? অবশ্যই পারতেন । অনেক অজ্ঞ নাস্তিক রয়েছে তারা হয়তো বলবে পারতেন না , ওদের জন্য ও আল্লাহ্* উদাহরন দিয়ে রেখেছেন , ইউনুস (আঃ) কে শুধু পানি থেকে নয় , পানির মধ্যে মাছের পেটের থেকে ও বাঁচিয়ে । আমার কথার হয়তো এখনো কিছু বুঝে আসে নি তাই না , এবার ইনশা-আল্লাহ বুঝে আসবে । কার সাধ্য কতটুকু রয়েছে তা বান্দা ঠিক করতে পারবে না আর বান্দা তার নিজের সাধ্য কতটুকু রয়েছে তা সে নিজেও জানে না । বান্দার সাধ্য শেষ কোথায় তা জানা যাবে যখন আল্লাহ্*র নুসরাহ অর্থাৎ সাহায্য আসবে ।
    যখন আগুন ইব্রাহিম (আঃ) কে গ্রাস করতে নিবে তার আগেই আল্লাহ্*র সাহায্য আসে আর ইব্রাহিম (আঃ) এর সাধ্যের লিমিট সেখানেই শেষ হয় একই ভাবে মুসা (আঃ) , ইউসুফ (আঃ) এর ক্ষেত্রে ও দেখতে পাবেন । তাই এক কথায় বলা যায় আল্লাহ্*র সাহায্য না আসা পর্যন্ত আপনার সাধ্য শেষ হয় নি , অর্থাৎ আরও রয়েছে ।
    প্রশ্নঃ ভাই আমি তো দৈনিক ১ ঘণ্টা সময় দ্বীনের দাওয়াত দিয়ে থাকি তাহলে আমি এখানে কীভাবে বুঝব যে আমার আর ও সাধ্য রয়েছে দাওয়াত দেওয়ার জন্য , তাহলে কি আমি ঘটার পর ঘণ্টা দাওয়াত দিতে থাকবো ? বিষয়টা একটু বুঝিয়ে বলুন ----
    { চলবে ......... ইনশা-আল্লাহ }

    Last edited by সায়েমা খাতুন; 01-12-2019, 07:58 PM.

  • #2
    প্রিয় আখি, ফোরামে আমাদের সাথীদের দুর্বলতাগুলো আলোচনা না করলে হয় না!?? এর দ্বারা লাভ ক্ষতি দুটোই আছে। কেও উৎসাহ পাবে,আর কেও কষ্ট পাবে। আবার কেও ভাগতেও পারে। দ্বীনের এই অঙ্গনের কাজ বিরাট আলিমও বুঝতে পারে না কখনো।
    والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

    Comment


    • #3
      মাশা-আল্লাহ!
      চালিয়ে যান ইনশাআল্লাহ....
      বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
      কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

      Comment


      • #4
        Ma sha Allah ..!
        মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি

        Comment


        • #5
          Originally posted by সায়েমা খাতুন View Post

          , ইউসুফ (আঃ) কে শুধু পানি থেকে নয় , পানির মধ্যে মাছের পেটের থেকে ও বাঁচিয়ে । আমার কথার হয়তো এখনো কিছু বুঝে আসে নি তাই না
          বোন, মনেহয় তথ্যটা সঠিক নয়।

          Comment


          • #6
            বোন!! আপনি হয়ত ইউনুস আঃ লিখতে গিয়ে ইউসুফ হয়ে গেছে!!তাই ইডিট করে নিতে পারেন।জাযাকিল্লাহু।
            আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
            আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

            Comment


            • #7
              আল্লাহ,, আমাদের তার ইবাদত করার জন্য সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবীতে মানুষ প্রেরণের উদ্দেশ্যই হচ্ছে মানুষ একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে। বর্তমান বিশ্বে অধিকাংশ মানুষ ই হলো বেইমান! বাকী যারা মুসলিম / মুমিন আছেন তাদের মধ্যে কতজন একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করছেন?? এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কুয়েশ্বন। অথচ আল্লাহ তালা মুমিনদের জন্যই পৃথিবী এখনো কায়েম রেখেছেন। যখন মুমিন থাকবে না পৃথিবীর হায়াত শেষ হয়ে যাবে,এবং ধংস হয়ে যাবে। তাহলে কী বুঝা গেলো পৃথিবীর হায়াতই আল্লাহর ইবাদত জারি থাকা। তাহলে যারা আল্লাহর ইবাদত করবে তাদের মূল্য কত??? প্রিয় ভাইয়েরা,কাজে পিছিয়ে না থাকি, কারণ আপনার দাওয়াতি পিছিয়ে যাওয়া মানে হচ্ছে পৃথিবীর হায়াত/ বেচে থাকার উৎস মুমিনদের জম্ম কমে যাওয়া। কাজেই দাওয়াতি কাজ বন্ধ করা যাবে না।
              আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
              আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

              Comment


              • #8
                জাজাকাল্লাহু খইরান , ইউনুস (আঃ) এর স্থলে ভুলে ইউসুফ (আঃ) টাইপিং করেছিলাম , এডিট করে ঠিক করে দিয়েছি ।

                Comment


                • #9
                  Originally posted by bokhtiar View Post
                  বোন!! আপনি হয়ত ইউনুস আঃ লিখতে গিয়ে ইউসুফ হয়ে গেছে!!তাই ইডিট করে নিতে পারেন।জাযাকিল্লাহু।
                  জাজাকাল্লাহু খইরান , আমি টাইপিং এ ভুল করেছিলাম , এখন ঠিক করে নিয়েছি , ইনশা-আল্লাহ আমার ভুল টি ধরিয়ে দিয়ে এবং সঠিক তথ্য দিয়ে আপনি ও সওয়াবের অধিকারী হলেন ।

                  Comment


                  • #10
                    Originally posted by safetyfirst View Post
                    প্রিয় আখি, ফোরামে আমাদের সাথীদের দুর্বলতাগুলো আলোচনা না করলে হয় না!?? এর দ্বারা লাভ ক্ষতি দুটোই আছে। কেও উৎসাহ পাবে,আর কেও কষ্ট পাবে। আবার কেও ভাগতেও পারে। দ্বীনের এই অঙ্গনের কাজ বিরাট আলিমও বুঝতে পারে না কখনো।
                    জাজাকাল্লাহু খইরান , আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য । ভাই উপরোক্ত আলোচনাটি সাথীদের দুর্বলতা প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে পোস্ট করা হয় নি , বরং সাথীদের মনোবল আরও বৃদ্ধি , কাজের স্পৃহা বাড়ানো ও আল্লাহ্*র প্রতি সর্বদা নির্ভর থাকার উদ্দেশ্য পোস্ট করা হয়েছে । পোস্ট সেখানেই সম্পূর্ণ নয় , এর বাকি আরও আলোচনা রয়েছে । তারপর ও আমি মানুষ , আমার ভুল হতে পারে , ভুল গুলো ধরিয়ে দিবেন , ইনশা-আল্লাহ । কখনো কখনো হাবশি গোলাম বিলাল (রাঃ) এর মত মানুষদের দিয়েই আল্লাহ্* দ্বীনের আঞ্জাম দিয়ে থাকেন ।

                    Comment


                    • #11
                      এখনো বুঝা যাচ্ছে না যে, পোষ্টদাতার কী উদ্দেশ্য, তিনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন।তিনি কি আমাদেরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহ দিবেন, নাকি দায়িত্ব আরো বাড়িয়ে দিবেন?

                      Comment


                      • #12
                        Originally posted by salahuddin aiubi View Post
                        এখনো বুঝা যাচ্ছে না যে, পোষ্টদাতার কী উদ্দেশ্য, তিনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন।তিনি কি আমাদেরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহ দিবেন, নাকি দায়িত্ব আরো বাড়িয়ে দিবেন?
                        প্রিয় ভাই! আপনি যদি পোস্টদাতার উদ্দেশ্য না-ই বুঝতে পারেন, তাহলে এ ধরণের কমেন্ট করার কোন মানে হয় না! ভাই আমার! এটা তো ফেসবুক বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মত নয় যে, এখানে আগেই কাউকে সতর্ক করবেন, অথচ ওনার লেখাটিই এখনো শেষ হয়নি!(যদিও পর্ব আকারে লেখার ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি পর্বেই একটি নির্দিষ্ট বার্তা স্পষ্ট করা লেখকের উচিত বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি)। প্রিয় ভাই! এই ফোরামে কেউ তার ভুল ইলম জাহির করে ফেতনা সৃষ্টি করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। কিন্তু ভাই, অনেক সময় আমাদের কমেন্টগুলো এমন হয় যে অনেকের পক্ষে সেই কমেন্টের ভার সইতে পারা কষ্টকর হয়ে যায়! আর, নতুন কারো ক্ষেত্রে সেটা আরো বেশি অসহ্যকর হয়। যার কারণে, হয়তো কোন নতুন ভাই/বোন আমাদের আচরণে কষ্ট পেয়ে অজ্ঞতাবশত দ্বীন ইসলামের খেদমত থেকে দূরে সরে যেতে পারে বা তার আগ্রহ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
                        প্রিয় ভাই! যদি কেউ ভুল করে থাকে, তাহলে তার ভুলটা প্রথমে শুধরিয়ে দেওয়াই উত্তম বলে মনে করি। কারো সাথে খারাপ আচরণ করে তাকে বন্ধু বানানো যায় না। যাইহোক, আমরা নিজেদের সমালোচনা সহ্য করার মত ধৈর্য থাকতে হবে। যদি কারো সমালোচনার বিষয়বস্তু বাস্তবিকভাবেই আমাদের মধ্যে বিদ্যমান থাকে, তাহলে এর থেকে শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে এবং নিজেকে শুধরিয়ে নিতে হবে। আর, কেউ যদি সমালোচনার নামে মিথ্যাচার করে, তাহলে হয় তাকে উপেক্ষা করতে হবে আর না হয় তার মিথ্যাচারের সমুচিত জবাব দিতে হবে।

                        প্রিয় ভাই! আপনার কমেন্ট দ্বারা আমি যেমনটা বুঝেছি সেই অনুযায়ীই কিছু নসিহত করেছি! যদিও নসিহত করার যোগ্য আমি না, তারপরও আল্লাহর বাণী যেহেতু একে-অপরকে নসিহত করা তাই নিজেকে এই দায়িত্ব থেকে মাহরুম করতে পারিনি। যাইহোক, আমি দোয়া করি আল্লাহ যেন সর্বপ্রথমে আমাকে এই নসিহতের উপর আমল করার তৌফিক দান করেন, তারপর আমাদের সবাইকে তাঁর দ্বীনের সহিহ বুঝের উপর অটল রাখুন। আমীন ইয়া রাব্বুল আলামীন।
                        সর্বশেষে, প্রিয় ভাই! আপনি যদি আমার কথায় কষ্ট পান, তাহলে আমিও খুব কষ্ট পাব। দয়া করে আমার কথায় কষ্ট নিয়েন না, আর ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং শুধরিয়ে দিবেন ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ আমাদের পরস্পরের মাঝে ভালোবাসাকে বৃদ্ধি করে দিন। আমীন।

                        Comment


                        • #13
                          না ভাই, আমি কষ্ট পাইনি। যেহেতু আপনি সুন্দর ভাষায় বলেছেন। আর আমি আপনার উপদেশটা গ্রহণ করলাম খুশি মনে। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন! জাযকাাল্লাহ।

                          Comment

                          Working...
                          X