Announcement

Collapse
No announcement yet.

একাধিকবার ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির তদন্ত হলেও সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রকাশ হতে দেয়নি

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • একাধিকবার ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির তদন্ত হলেও সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রকাশ হতে দেয়নি

    একাধিকবার ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির তদন্ত হলেও সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রকাশ হতে দেয়নি



    বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির কোনো তদন্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি। সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিলেও শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করেনি।

    রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। কিন্তু একটি রিপোর্টও প্রকাশ করা হয়নি। সবার দাবি উপেক্ষা করে প্রতিবেদনগুলো ফাইলবন্দি করে রাখা হয়েছে।

    বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদরা বলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের অবহেলার কারণে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ পায়নি। কারণ প্রতিবেদন প্রকাশ পেলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে। প্রকাশ হয়ে যাবে আসল চোর কারা !


    প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশিত না হওয়ায় অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ‘ক্ষোভ’ প্রকাশ করা হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠান বিষয়ক সংসদীয় কমিটিও তদন্ত প্রতিবেদন দেখতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের দেখানো হয়নি।

    জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তিনি প্রতিবেদন প্রকাশের পক্ষে মত দিয়েছিলেন। অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিও তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি জানিয়েছিল।

    পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ মহল ও অর্থনীতিবিদরাও এ প্রতিবেদন প্রকাশের পক্ষে জোরালো মতামত দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনোটাই আমলে নেয়নি সাবেক অর্থমন্ত্রী। তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করার জন্য একাধিকবার ঘোষণা দিয়েও তা প্রকাশ করেনি।


    আলোর মুখ দেখেনি তদন্ত প্রতিবেদন : রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে কমিটি হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কীভাবে, কার বরাবরে ভুয়া পেমেন্ট ইন্সট্রাকশন পাঠানো হয়েছিল, অবৈধ পরিশোধ ঠেকাতে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল কিনা, রিজার্ভ চুরির ঘটনা প্রায় এক মাস গোপন রাখা যৌক্তিক ছিল কিনা, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের অবহেলা ছিল কিনা এবং অর্থ উদ্ধারের সম্ভাবনা, গৃহীত কার্যক্রমের পর্যাপ্ততা ও পুনরাবৃত্তি রোধে গৃহীত ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল ফরাসউদ্দিন কমিটিকে।

    ২০১৬ সালের ৩০ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট অর্থমন্ত্রীর কাছে জমা দেন ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। সে বছর ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্বেক এই গভণর্নরকে প্রধান করে সরকার তিন সদস্যের কমিটি করে। কমিটি প্রথম ৩০ দিনের একটি অন্তর্বর্তীকালীন এবং ৭৫ দিনের মাথায় পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেয়।

    সেই রিপোর্ট প্রকাশের জন্য একাধিকবার ঘোষণা দিয়েও সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তা প্রকাশ করেনি। তদন্তের স্বার্থে ওই প্রতিবেদনটি ফিলিপাইনও বাংলাদেশ সরকারের কাছে চাচ্ছে। কিন্তু আইনগত কারণে সেটি তাদেরকেও দেয়া হচ্ছে

    যেভাবে রিজার্ভের অর্থ চুরি হল : ২০১৬ সালের ৪ ফেব্র“য়ারি সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে ৩৫টি ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (ফেড) রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে একটি মেসেজের মাধ্যমে শ্রীলংকায় ‘ভুয়া’ এনজিওর নামে ২ কোটি ডলার সরিয়ে নেয়া হলেও বানান ভুলের কারণে সন্দেহ হওয়ায় শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়।

    ওই অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক দু’দিনের মধ্যেই ফেরত আনতে সক্ষম হয়। বাকি চারটি মেসেজের মাধ্যমে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার সরিয়ে নেয়া হয় ফিলিপিন্সের মাকাতি শহরে রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিট শাখায়।

    ইতিমধ্যে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার দেশে ফেরত এসেছে। বাকি ৬ কোটি ৬৫ লাখ ডলার এখনও ফেরত আনা সম্ভব হয়নি। সে সময় ওই শাখার ব্যবস্থাপক ছিল দিগুইতা। পরে সেই অর্থ ফিলিপিন্সের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ফিলরেমের মাধ্যমে দেশটির তিনটি ক্যাসিনোতে যায়। তারপর থেকে সেই অর্থের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।

  • #2
    চোর তন্ত্র-মন্ত্র দিয়ে যেই দেশ পরিচলিত হয় , কুফরী তন্ত্র যেই দেশের গাইড লাইন হয় সেই দেশের অভিভাবকরা চোর হবে এটাই স্বাভাবিক । এই বাংলাদেরশের মানুষ নিজকর্মের ফলশ্রুতিতে আজ এই চোরের লিডারদের হাতে জিম্মী । যে নিজেই সবচেয়ে বড় চোর সে আবার কার তদন্ত করতে যাবে ? শিয়ালের কাছে মুরগী রাখলে যেমন মুরগীর মালিক তা আর কোনো দিন ফেরৎ পাবার আশা করা যেমন মূর্খতা ঠিক তেমনিভাবে চোরের লিডারদের হাতে রাষ্ট্রীয় সম্পদ আমানত রেখে তা চুরি হলে তার উদঘাটন ও চোরের শাস্তি কায়েম হওয়ার আকাঙ্খা করাটাও বোকামী,মূর্খতা।

    Comment

    Working...
    X