Announcement

Collapse
No announcement yet.

আসুন শহিদদের কারামত পড়ে নিজেরাও শাহাদাতের পথে এগিয়ে চলি !!!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আসুন শহিদদের কারামত পড়ে নিজেরাও শাহাদাতের পথে এগিয়ে চলি !!!

    শহীদ শায়েখ ড. আবদুল্লাহ আয্যাম রহ. এর লিখিত কিতাব ‘‘আফগানিস্তানে আমার দেখা আল্লাহর নিদর্শন’’ থেকে কিছু কারামত কয়েক পর্বে উল্লেখ করব ইনশাআল্লাহ । আল্লাহর ইচ্ছায় আমাদের অন্তরেও যেন শাহাদাতের আগ্রহ যাগে সেই আশায় ।

    আফগান জিহাদের অলৌকিকতা
    আফগান জিহাদের যে ঘটনাগুলো আমি বর্ণনা করতে যাচ্ছি, তা প্রকৃতপক্ষে সচরাচর দৃষ্টিগোচর হওয়া অলৌকিকতা ও কল্পনার চেয়েও বেশি বাস্তব । ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজ কানেই এগুলো শ্রবণ করেছি এবং নিজ হাতেই তা রচনা করেছি, যা আমি যুদ্ধে উপস্থিত মুজাহিদদের কাছ থেকে প্রাপ্ত হয়েছি । এত অধিকসংখ্যক মুজাহিদ এগুলো বর্ণনা করেছেন, যাতে বর্ণনাগুলো ভিত্তিহীন সাব্যস্ত করার বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই । আমি বিপুলসংখ্যক বাস্তব ঘটনা শ্রবণ করেছি । কিন্তু সব উল্লেখ করার দৃঢ় সাহস বা সংকল্প কোনোটিই আমার হয়নি । আল্লাহ তায়ালা উত্তমগুলোকে আমাদের জন্য সৌভাগ্যেও কারণ বানিয়ে দিন, যেন অন্তরে প্রশান্তি লাভ করে ।
    অধিকাংশ শহীদের শরীর বিকৃত না হওয়া
    প্রচুর সংখ্যক শহীদের মৃতদেহ বিকৃত না হওয়ার বর্ণনা এত অধিক যে, বিষয়টি তাওয়াতুর পর্যায়ভুক্ত হয়ে গেছে । অর্থাৎ এত বিপুলসংখ্যক বর্ণনাকারী বর্ণনা করেছেন, যা ভিত্তিহীন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই । হানাফি ও শাফেয়ি উভয় মাজহাবেই শহীদের মৃতদেহ বিকৃত না হওয়ার সমর্থন রয়েছে । শাফেয়ি মাজহাবের প্রসিদ্ধ কিতাব ‘নিহায়াতুল মুহতাজ’-এ উল্লেখ করা হয়েছে , ‘যখন কোনো সাধারণ মানুষ কোনো ভূমিতে মৃত্যুবরণ করে এবং সেখানেই তাকে দাফন করা হয়, তবে সময়ের ব্যবধানে মৃতদেহ পরিবর্তিত হয়ে যায় । কিন্তু কোনো নবী বা শহীদের মৃতদেহকে মাটি কখনোই ক্ষয় করতে পারে না।’
    হানাফি মাজহাবের প্রসিদ্ধ ফকিহ ইবনে আবেদিন রহ. তাঁর পুস্তক ‘কিতাবুল জিহাদে’ উল্লেখ করেন, ‘একজন শহীদের শরীরকে ক্ষয় করা বা মাটিতে মিশিয়ে ফেলা মাটির জন্য নিষিদ্ধ ।’
    কিন্তু এ সম্পর্কিত কোনো মারফু হাদিস আমার দৃষ্টিগোচর হয়নি, তা সত্ত্বেও হযরত হামজা রা. এর শাহাদাত ও তার পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ এ বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ বহন করে ।

    আফগানিস্তানের শহীদরা
    ওমর হানিফ, যিনি জারমা শহরের একজন সেনাপতি ছিলেন, তিনি নাসরুল্লাহ মনাসুরের (ইসলামী বিপ্লবী সংস্থার নেতা)ভাষায় আমাকে বর্ণনা করেন -
    ১. আমি একজন শহীদকেও দেখিনি, যাঁর শরীর পরিবর্তিত হয়েছে বা বিকৃতি ঘটেছে ।
    ২. আমি এমন কোন শহীদকেও দেখিনি, যাঁর শরীর কোনো হিংস্র কুকুর স্পর্শ করেছে, যদিও তাঁর শরীর শত্রুবাহিনীর কাছে ছিন্নভিন্ন অবস্থায় পড়েছিল ।
    ৩. আমি নিজেই দীর্ঘ তিন বা চার বছর পর ১২ জন শহীদের কবর উম্মুক্ত করেছি । তাঁদের শরীরে কোন পরিবর্তন দেখতে পাইনি ।
    ৪. আমি এক বছর পর একজন শহীদের কবর খনন করে দেখেছি , তাঁর ক্ষতচিহ্ন দিয়ে তাজা রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে ।
    একজন ইমাম আমাকে বলেছেন- আমি শহীদ আব্দুল মাজিদ মুহাম্মদকে তার শাহাদাতের তিন মাস পরে দেখেছি । সে আগের মতোই ছিল এবং তার শরীর থেকে মেশকের ঘ্রাণ বের হচ্ছিল ।
    হাজি আব্দুল মাজেদ আমাকে বলেছেন আমি লাইকি শহরের ইমামকে শাহাদাতের সাত মাস পরে দেখেছি, তিনি আগেই মতোই ছিলেন। শুধু নাকের উপরিভাগ কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছিল ।
    শায়েখ মুয়াজিন ( জিহাদি সংগঠনের মজলিসে সূরার সদস্য ) আমাকে বলেন-
    শহীদ নেসার আহমাদকে শাহাদাতের সাত মাস পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। তিনিও অপরিবর্তিত ছিলেন ।
    আবদুল জব্বার নিয়াজি আমাকে বলেন- আমি চারজন শহীদকে তাঁদের শাহাদাতের চার মাস পর দেখেছি । তিনজন আগের মতোই ছিলেন , শুধু হাতের নখ ও মাথার চুল বৃদ্ধি পেয়েছে । কিন্তু চতুর্থ জনকে দেখে আমি উদ্বিগ্ন হলাম । কারণ তাঁর চেহারার কিছু অংশ বিকৃত হয়ে গিয়েছিল ।

    বাবার সঙ্গে শহীদি সন্তানের হাত মেলানো
    ১৯৮০ সালে ওমর হানিফ আমাকে বলেন, বিপুলসংখ্যক রাশিয়ান বাহিনীর একটি দল যুদ্ধের ময়দানে উপস্থিত হয় , যাদের কাছে ছিল ৭০টি ভারী ট্যাংক, যাকে ১২টি যুদ্ধবিমান ওপর থেকে পাহারা দিচ্ছিল । অন্যদিকে মুজাহিদরা সংখ্যায় ছিল মাত্র ১১৫ জন । একপর্যায়ে তীব্র লড়াই শুরু হলো । ঘটনাক্রমে শত্রুবাহিনী পরাজিত হলো । আমরা ১৩টি ট্যাংক ধ্বংস করলাম । সেই যুদ্ধে আমাদের মধ্যে মাত্র চারজন শহীদ হয়েছিলেন । তাদের মধ্যে একজনের নাম ছিল ইবনে জান্নাতে জাল । যুদ্ধের ময়দানেই আমরা তাকে সমাধিস্থ করলাম । তিনদিন পর কবর থেকে উত্তোলন করে তার বাবার কাছে হস্তান্তর করি , যাতে বাড়ির আঙ্গিনায় তাকে পুনরায় দাফন করা যায় । তার বাবা শহীদ সন্তানের মৃতদেহকে উদ্দেশ্য করে বলেন , ‘হে আমার প্রিয় সন্তান, যদি তুমি প্রকৃতই শহীদ হও তবে আমাকে আমাকে একটি নিদর্শন দেখাও ।’ হঠাৎ সে তার ডান হাত উত্তোলন করে বাবাকে সালাম দিল এবং মুসাহাফা করল । প্রায় ১৫ মিনিট সে তার বাবার হাত ধরে রাখলো । এরপর স্বীয় হাত নিচে নামিয়ে শরীরের ক্ষত চিহ্নের ওপর রাখল । তার বাবা বলেন , ‘আমি সেই হাতের কোমলতা এখনো অনুভব করি ।’ ওমর হানিফ বলেন, এই ঘটনা আমি নিজ চোখে দেখেছি ।

    মাওলানা আরসালান আমাকে বলেন, আব্দুল বাসির নামে একজন ছাত্র আমাদের সঙ্গে থাকা অবস্থায় শহীদ হন । তখন ছিল চারদিকে ভীষণ অন্ধকার । ফতুল্লাহ (একজন মুজাহিদ) ও আমি তার শরীর খুঁজতে লাগলাম । সে আমাকে বলল, অনেক লাশের ভিড়ে যখনই আমি একজন শহীদের মৃতদেহের নিকটবর্তী হলাম, হঠাৎ বাতাসে ঘ্রাণ অনুভব করলাম । ঘ্রাণ অনুসরণ করতে করতে এক নির্জন প্রান্তে পৌঁছে দেখি সেই শহীদের মৃতদেহ । ঘন অন্ধকারে তার শরীর হতে আলো বিচ্ছুরিত হচ্ছিল । এ আলো আসছিল তাঁর শরীর থেকে গড়িয়ে পড়া তাজা রক্ত হতে ।

    শহীদ ওমর ইয়াকুব ও তাঁর অস্ত্র
    ওমর হানিফ আমাকে বরণনা করেন, ওমর ইয়াকুব নামে একজন মুজাহিদ ছিলেন । জিহাদের প্রতি ছিল তাঁর প্রবল আকর্ষণ । তিনি শহীদ হওয়ার পর আমরা যখন তাঁর মৃতদেহের কাছে যাই তখনও তিনি ডান হাত দিয়ে অস্ত্র উঁচু করে ধরে রেখেছিলেন । আমরা তাঁর হাত থেকে অস্ত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না । কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে আমরা তাঁকে উদ্দেশ্য করে বললাম, হে ইয়াকুব, আমরা তোমার ভাই । তৎক্ষণাৎ তাঁর হাত থেকে অস্ত্র পড়ে গেল ।

    আলাখাল্লা জড়ানো সাইয়েদ শাহ
    ওমর হানিফ আমাকে বলেন, আমাদের মুজাহিদের মধ্যে একজন হাফেজে কুরআন ছিলেন । নাম সাইয়েদ শাহ । তিনি সর্বদা ইবাদতে লিপ্ত থাকতেন । প্রাঁয়ই তাঁর স্বপ্ন সত্যি হতো এবং তিনি অনেক কারামতেরও অধিকারী ছিলেন । একবার তিনি জানালেন, তাঁর কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ হতে যাচ্ছে । একপর্যায়ে তিনি শহীদ হন । দীর্ঘ আড়াই বছর পর আমরা তাঁর কবর জিয়ারত করতে যাই ।
    এ সময় নুরুল হক নামে তাঁর অন্য এক ভাই আমাদের সাথে ছিলেন । আমরা সাইয়েদ শাহের কবর উন্মুক্ত করলাম এবং তাঁকে আগের অবস্থায়ই পেলাম । শুধু দাড়ি বৃদ্ধি পেয়েছে । আমি নিজেই তাঁকে পুনরায় দাফন করলাম । সব চেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, তাঁর শরীরে একটি কালো রঙের রেশমি আলখাল্লা জড়ানো দেখতে পেলাম, যা এত সুন্দর যে, এর আগে কখনো আমি অনুরূপ আলখাল্লা পৃথিবীতে দেখিনি । আমি স্পর্শ করেছিলাম, যার থেকে মেশক-আম্বরের চেয়ে অধিক সুঘ্রাণ নির্ঘত হচ্ছিল ।
    আনসারকে ভালোবাসা ঈমানের অংশ।
    নিজে আনসার হব, অন্যকে আনসার বানানোর চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

  • #2
    jajakallah

    Comment


    • #3
      সুবহানআল্লাহ আল্লাহ হে আল্লাহ আমাদেরকে শহিদী মৃত্যু দান করেন আমিন আমিন আমিন আমিন ।

      Comment


      • #4
        সুবহানআল্লাহ আল্লাহ হে আল্লাহ আমাদেরকে শহিদী মৃত্যু দান করেন আমিন আমিন আমিন আমিন ।

        Comment


        • #5
          আল্লাহ আমাদের সকলকে শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করার তাওফিক দান করুন।আবু খালেদ ভাই আপনার কলম অব্যাহত রাখুন,আমরা এরকম পোষ্ট কামনা করি।

          Comment


          • #6
            মাশাআল্লাহ সুন্দর পোস্ট

            Comment


            • #7
              আল্লাহ তায়ালা আমাদের শহীদদের কাতারে শামিল হওয়ার তাওফিক দান করুন.. আমীন...!!!

              Comment


              • #8
                আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে শহীদ হিসাবে কবুল করুন,আমিন।

                Comment


                • #9
                  সুবহানআল্লাহ আল্লাহ হে আল্লাহ আমাদেরকে শহিদী মৃত্যু দান করেন, আমিন!

                  Comment


                  • #10
                    যাজাকাল্লাহ। আল্লাহ! তুমি আমাকে শহিদি মৃত্যু দান কর?

                    Comment


                    • #11
                      gooooooooooooooood post

                      Comment


                      • #12
                        আল্লাহু আকবার!হে আল্লাহ আমাদের সবাই কে আপনি আপনার পথে নিজের জান মাল কুরবানি দেয়ার মত তাওফিক দান করেন আমিন।

                        Comment


                        • #13
                          احسنت يا اخي الغالي
                          ✈✈জীবনে তুমি ঝুকি নাও, জিতলে তুমি নেতৃত্ব দিবে আর না জিতলে তুমি পরবর্তী কাউকে পথ দেখাবে🔫🔫 ।

                          Comment


                          • #14
                            allahuakbar! allah amaderkeo shohidi sudha pan korar tawfik dan koron amin!
                            আমি হব মুহাম্মাদ বিন আতিক,
                            আমার চাপাতি্র টার্গেট হবে শাতিম ও নাস্তিক

                            Comment

                            Working...
                            X