Announcement

Collapse
No announcement yet.

দারুল আমান-আমলী আমান-কিবতি হত্যা ও একটি সংশয়

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • দারুল আমান-আমলী আমান-কিবতি হত্যা ও একটি সংশয়

    সালাহউদ্দিন আইয়্যূবী ভাই জানতে চেয়েছেন-

    [তাকি উসমানী সাহেব ও আরো কয়েকজন উর্দু ফাতওয়ার প্রণেতাগণ নতুন একটি দার আবিষ্কার করেছেন। তা হল: “দারুল আমান”। দারুল হরবে যদি মুসলিমরা নিরাপদে থাকতে পারে, তাহলে সেটা দারুল আমান। সেটার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা যাবে না। তিনি নবী যুগে এর উদাহরণ দিয়েছেন হাবশাকে দিয়ে। যেহেতু সেখানে মুসলিমগণ নিরাপদে ছিলেন।

    আরেকটি ব্যাপার হল: মুফতি শফী সাহেহবের মারিফুল কুরআনে সূরা কাসাসের একটি আয়াতের প্রাসঙ্গিক আলোচনায় তিনি বলেছেন: নিরাপত্তা চুক্তি দুই ধরণের; একটা হল: লিখিত বা ঘোষিত, আরেকটি হল: অঘোষিত বা অলিখিত। সূরা কাসাসের উক্ত আয়াতটি হল:
    وَدَخَلَ الْمَدِينَةَ عَلَى حِينِ غَفْلَةٍ مِنْ أَهْلِهَا فَوَجَدَ فِيهَا رَجُلَيْنِ يَقْتَتِلَانِ هَذَا مِنْ شِيعَتِهِ وَهَذَا مِنْ عَدُوِّهِ فَاسْتَغَاثَهُ الَّذِي مِنْ شِيعَتِهِ عَلَى الَّذِي مِنْ عَدُوِّهِ فَوَكَزَهُ مُوسَى فَقَضَى عَلَيْهِ قَالَ هَذَا مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ عَدُوٌّ مُضِلٌّ مُبِينٌ (15) قَالَ رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي فَغَفَرَ لَهُ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ (16)
    “১৫ ) তিনি শহরে প্রবেশ করলেন, যখন তার অধিবাসীরা ছিল বেখবর। তথায় তিনি দুই ব্যক্তিকে লড়াইরত দেখলেন। এদের একজন ছিল তাঁর নিজ দলের এবং অন্য জন তাঁর শত্রু দলের। অতঃপর যে তাঁর নিজ দলের সে তাঁর শত্রু দলের লোকটির বিরুদ্ধে তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করল। তখন মূসা তাকে ঘুষি মারলেন এবং এতেই তার মৃত্যু হয়ে গেল। মূসা বললেন, এটা শয়তানের কাজ। নিশ্চয় সে প্রকাশ্য শত্রু, বিভ্রান্তকারী।
    ১৬ ) তিনি বললেন, হে আমার পালনকর্তা, আমি তো নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি। অতএব, আমাকে ক্ষমা করুন। আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করলেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু।”- কাসাস ১৫-১৬

    তিনি এভাবে দলিল দেন যে: মূসা আলাইহিস সালাম যেই কিবতীকে হত্যা করেছিলেন, সে তো হারবীই ছিল। তাকে হত্যা করাতে দোষের কি? তথাপি কেন মূসা আলাইহিস সালাম এটাকে নিজের নফসের উপর জুলুম বিবেচনা করলেন?

    এর উত্তরে তিনি বলেন: কিবতীদের সাথে যদিও লিখিত নিরাপত্তা চুক্তি হয়নি কিন্তু একসাথে পরস্পর মিলে মিশে নিরাপদে থাকার কারণে অলিখিত নিরাপত্তা চুক্তি হয়ে গেছে। এ কারণে এই হত্যার মাধ্যমে অনিচ্ছাকৃতভাবে মূসা আলাইহিস সালাম এই চুক্তিটি ভঙ্গ করেছেন।

    এ হিসাবে তো ধরা হবে যে, আমাদের দেশে এবং সকল দেশে বসবাসকারী মুসলিমগণ ঐ দেশের কাফেরদের সাথে অলিখিত অঘোষিত চুক্তি করে ফেলেছে। তাই তাদেরকে হত্যা করা বৈধ হবে না।
    এ দু’টি বিষয়ের সুন্দর উত্তর প্রয়োজন।]



    উত্তর:
    বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম

     দারুল আমানের ব্যাপারে আপনি নিচের লেখাটা দেখতে পারেন:
    দারুল আমানের প্রহসনের কবলে মুসলিম উম্মাহ!
    https://my.pcloud.com/publink/show?c...Hy3j5XKS3YvzK7
     আর অলিখিত চুক্তি তথা আমলী চুক্তির যে বিষয়টি মুফতি শফি রহ. থানবী রহ. থেকে বর্ণনা করেছেন, সেটা আগ্রাসী কাফেরদের বেলায় প্রযোজ্য নয়। আগ্রাসী কাফেরদের বিধান কা’ব বিন আশরাফের মতো, যাকে সাহাবায়ে কেরাম নিরাপত্তা ও আমান দেয়ার পরও হত্যা করেছেন। এ ব্যাপারে ইবনে তাইমিয়া রহ. এর ফতোয়া আছে। আমাদের দেশের ও অন্যান্য দেশের কাফের ও মুরতাদ শাসকগুলো আগ্রাসী ও দখলদার কাফের। আমাদের উপর এরা চেপে বসেছে। যেকোন পন্থায় এদের কবল থেকে আমাদের নিজেদেরকে, নিজেদের ভূমি এবং দ্বীন ধর্মকে রক্ষা ও উদ্ধার করা আমাদের দায়িত্ব। এদের সাথে আমাদের কোন সময় কোন চুক্তি হয়নি। অধিকন্তু তাদের বিরুদ্ধে আমরা অনেক আগে থেকেই জিহাদের ঘোষণা দিয়ে রেখেছি। তারাও আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য সর্বদা প্রস্তুত। আমরা যেমন তাদের নিরাপদ মনে করি না, তারাও আমাদের নিরাপদ মনে করে না। তারা সর্বদাই আমাদের তরফ থেকে ভয়ে থাকে। সামান্য থেকে সামান্য কোন সম্পৃক্তি কারো মাঝে দেখলেই তাকে বন্দী করে। জেলে দেয়। অমানবিক নির্যাতন চালায়। তাহলে আমাদের সাথে তাদের কিভাবে আমানের চুক্তি হল? বরং তারা আমাদের প্রকাশ্য দুশমন, আমরা তাদের প্রকাশ্য দুশমন।

    অধিকন্তু যদি আমানের চুক্তি কখনও হয়েও থাকে- যদিও তা হয়নি কখনও- তবুও আমাদের উপর নির্যাতন করার কারণে, আমাদের শত হাজারো ভাই বোনকে বন্দী ও নির্যাতন করার কারণে আমান ভেঙে গেছে। এখন তাদের রক্ত আমাদের জন্য হালাল। থানবী রহ. বা শফি রহ. কেউই আগ্রাসী কাফের ও মুরতাদদের বেলায় এ ধরণের আমলী আমান গ্রহণযোগ্য হবে বলেননি। সেখানে শুধু এতটুকু আছে যে, কিছু কাফের ও কিছু মুসলমান যদি কোন হুকুমতের অধীনে পারস্পরিক আমান ও বিশ্বস্ততার সাথে একত্রে বসবাস করে, তাহলে একে অপরের উপর হামলা করা ও লুটপাট করা জায়েয হবে না। কারণ, এটাও গাদ্দারি। এটা আমরাও অস্বীকার করি না। এদেশের হিন্দুদের বেলায় হয়তো কথাটা কিছুটা প্রযোজ্য হতে পারতো- যদি তারা আমাদের উপর কোন জুলুম বা আমাদের নিয়ে কোন সমালোচনা না করতো। এরপরও একান্ত সাধারণ হিন্দু, যারা আমাদের কোন ধরণের ক্ষতি বা সমালোচনা করছে না এবং এদেশের মুরতাদ হুকুমতের পক্ষে বা ভারতের জুলুমের পক্ষে তাদের কোন সমর্থন নেই- তাদেরকে হত্যা করা আমরা ভাল মনে করি না। আর না এতে জিহাদের কোন ফায়েদা আছে। পক্ষান্তরে যারা আামদের দ্বীনি বা দুনিয়াবি কোন ক্ষতিতে বা সমর্থনে লিপ্ত, তাদের রক্ত হালাল। এ ব্যাপারে আপনি নিচের লেখাটি দেখতে পারেন-
    পথভ্রষ্ট রহমানীর ফতোয়া: ভারতের মুসলমানদের জন্য ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নাজায়েয!!
    https://my.pcloud.com/publink/show?c...9RfhUl57XkswI7
    ***

    আয়াতের সঠিক ব্যাখ্যা
    উপরোক্ত আয়াতের যে তাফসীর থানবী রহ. করেছেন, আবুস সাউদ রহ. আয়াতের এক তাফসীরে সেটা উল্লেখ করেছেন। তবে বিভিন্ন কারণে এ তাফসীরের চেয়ে ঐ তাফসির সঠিক মনে হচ্চে, যা আবুস সাউদ রহ. সহ অন্যান্য মুফাসির করেছেন। সেটা হল, নবুওয়াতের দাওয়াত পৌঁছার আগে কোন কাফের হত্যাযোগ্য নয়। যেমন আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
    وَمَا كُنَّا مُعَذِّبِينَ حَتَّى نَبْعَثَ رَسُولًا
    “রাসূল না পাঠানো পর্যন্ত আমি কাউকে শাস্তি দেই না।”- ইসরা ১৫

    যেহেতু মূসা আলাইহিস সালাম তখন নবী হননি এবং কিবতিদের কাছে নবুওয়াতের দাওয়াত পৌঁছেনি, তাই তারা হত্যাযোগ্য ছিল না।



    দ্বিতীয়ত মূসা আলাইহিস সালাম কিবতিকে হত্যার জন্য আল্লাহর তরফ থেকে অনুমতি প্রাপ্ত ছিলেন না। কাফেরকে হত্যা করা সব শরীয়তের বিধান নয়। যেমন ধরুন, নূহ আলাইহিস সালাম, হুদ আলাইহিস সালাম বা সালেহ আলাইহিস সালামের শরীয়তে জিহাদের বিধান ছিল না। তাদের হত্যার বিধান ছিল না। এ কারণে সেসকল নবীর কেউই তাদের উম্মতের কাউকে হত্যা করেননি- যদিও উম্মত তাদের অনেক কষ্ট দিয়েছে।


    মোটকথা- কোন কাফেরকে হত্যার জন্য দু’টি বিষয় আবশ্যক:
    ক. তার কাছে নবুওয়াতের দাওয়াত পৌঁছা।
    খ. উক্ত শরীয়তে ঈমান আনয়নে অস্বীকারকারী কাফেরদের হত্যার বিধান থাকা।

    উক্ত কিবতির বেলায় এর কোনটিই পাওয়া যায়নি। হ্যাঁ, কিবতি যেহেতু বনি ইসরাইলের লোকটার উপর জুলুম করছিল তাই তাকে বাধা দেয়া যেত। তবে হত্যা করা উচিৎ হয়নি। ভুলক্রমে হলেও হত্যাটা অনুচিত হয়েছে। মূসা আলাইহিস সালাম বুঝতে পেরেছেন, এ কাজটা শয়তানের তরফ থেকে হয়েছে। তাকে অত্যধিক রাগান্বিত করে কিবতিকে হত্যা করিয়েছে। এজন্য তিনি আল্লাহ তাআলার কাছে মাফ চেয়েছেন। ইনশাআল্লাহ এটাই এ আয়াতের সঠিক তাফসির। অধিকন্তু আগের তাফসিরও যদি ধরা হয়, তবুও সেটা আগ্রাসী কাফেরের বেলায় প্রযোজ্য নয়।
    আল্লাহ তাআলার তাওফিক হলে এ বিষয়টি অন্য সময় বিস্তারিত আলোচনা করবো।

  • #2
    আসলেই ভাই!আমি সব সময় একটা বিষয় লক্ষ্য করেছি। জুমহুর ফুকাহায়েকেরামের সমস্ত মাসয়েলই কখনো আমাদের মুজাহিদীনদের খিলাফ প্রমাণিত হয় না।
    অবিরাম করাঘাতে বদ্ধ দরজাও খুলে যায়।

    Comment


    • #3
      মাশা-আল্লাহ!
      বারাকাল্লাহু ফী ইলমিক...
      বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
      কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

      Comment


      • #4
        আখি,আপনাকে ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনার কাজ কবুল করুন, আমীন।
        আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
        আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

        Comment


        • #5
          জাযাকাল্লাহ ভাই! আপনার বিস্তারিত আলোচনার অপেক্ষায় রইলাম, যদি বিস্তারিত সুস্পষ্ট কোন ইবারত থাকে। অন্যথায় এমনিতেই বিষয়টির উত্তর চলে এসেছে, যে আগ্রাসী কাফেরদের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নয়।

          আমার মনে হচ্ছে, এর সমর্থনে হেদায়া কিতাবের একটি ইবরাত উল্লেখ করা যায়, তা হল:
          وإذا دخل المسلم دار الحرب تاجرا فلا يحل به أن يتعرض لشيء من أموالهم ولا من دمائهم لأنه ضمن أن لا يتعرض لهم بالاستئمان فالتعرض بعد ذلك يكون غدرا والغدر حرام................. بخلاف الأسير لأنه غير مستأمن فيباح له التعرض وإن أطلقوه طوعا

          ّ কোন মুসলিম ব্যবসার উদ্দেশ্যে দারুল হরবে প্রবেশ করলে তার জন্য কাফেরদের জান-মালে কোনরূপ হস্তক্ষেপ করা হালাল হবে না। কারণ নিরাপত্তা প্রার্থনার মাধ্যমে সে এই যিম্মাদারি নিয়েছে যে, সে তাদের উপর কোন হামলা করবে না। তাই এরপরও হামলা করা হবে গাদ্দারি। আর গাদ্দারি হারাম।........ তবে বন্দি মুসলিমের ব্যাপারটি ভিন্ন। কারণ সে তো নিরাপত্তা গ্রহণ করেনি। তাই তার জন্য তাদের উপর (দারুল হরবের জনগণের উপর) হামলা করা বৈধ হবে। যদিও হারবীরা তাকে অনুগ্রহপূর্বক সেচ্ছায় ছেড়ে দেয়।

          এখানে দেখা যাচ্ছে, সে অনিচ্ছায় কাফেরদের হাতে বন্দি হওয়ার কারণে, এখন যদি কাফেররা তাকে অনুগ্রহপূর্বক স্বেচ্ছায়ও ছেড়ে দেয়, তথাপি সে নিরাপত্তাচুক্তিকারী বলে গণ্য হচ্ছে না।

          তাই কাফেররা আমাদের মুসলিম দেশগুলোতে আগ্রাসন চালিয়ে আমাদের অনিচ্ছায় আমাদেরকে তাদের ক্ষমতাধীন রাখার কারণে, আমাদের সাথে তাদের বা তাদের জনগণের কোন নিরাপত্তা *চুক্তি হয়েছে বলে ধর্তব্য হবে না।

          Comment


          • #6
            সালাহ উদ্দিন ভাই,, তাহলে টুয়িনটাওয়ারের আক্রমণ যারা করেছে তাদের প্রবেশ করাটার হুকুম কী????
            ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

            Comment


            • #7
              জাযাকাল্লাহু খইরন আহসানাল জাযা......৷ বারাকাল্লহু ফি ইলমিক.......!!
              হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

              Comment


              • #8
                Originally posted by Bara ibn Malik View Post
                সালাহ উদ্দিন ভাই,, তাহলে টুয়িনটাওয়ারের আক্রমণ যারা করেছে তাদের প্রবেশ করাটার হুকুম কী????
                মুহতারাম ভাই, ভিসা মূলত কোন আমান নয়। কোন মুজাহিদ ভিসা নিয়ে কোন কাফেররাষ্ট্রে গেলে শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে কাফেররা তার পক্ষ থেকে আমানপ্রাপ্ত হবেনা। এ ব্যাপারে আপনি শায়খ আবুল মুনযির শানকিতির ফতোয়াটি দেখুন-
                أما الزعم بأن التأشيرة بمنزلة العهد فهذا مجرد تلبيس على المجاهدين لثنيهم عن القيام بأي عملية في أرض أعداء الإسلام.
                وهذا القول الذي ذكروا لا دليل عليه لأن حقيقة العهد هو: هدنة تكون بين طرفين يعرف كل منهما أن الآخر عدو له.فمن جاء من المجاهدين إلى إحدى البلاد الغربية وهم يعرفون أنه من المجاهدين وطلب الإذن بالدخول وتعهد بأن لا ينالهم بسوء فهذا هو العهد الذي يجب الوفاء به.وأما ورقة التأشيرة هذه فليست إلا مجرد إذن بالدخول يستوي فيه العدو والصديق.وما حال هذه التأشيرة إلا كأهل مدينة وقفوا على بابها وقالوا لا نأذن بالدخول إلا للصديق المسالم أما العدو المحارب فلا نأذن له، فلو أن عدوا تظاهر لهم بأنه صديق حتى يسمحوا له بالدخول كان هذا من قبيل الخدعة في الحرب لا العهد.ومن أجل هذا أفتى بعض أهل العلم بمشروعية لبس الصليب خداعا للكفار.
                والحقيقة أن الحرب لا مندوحة فيها من الخداع، ولهذا قال عليه الصلاة والسلام الحرب خدعة، والله أعلم.“ভিসাকে চুক্তির সমতুল্য দাবি করা মূলত ইসলামের দুশমনদের ভূমিতে যেকোন ধরণের অপারেশন থেকে মুজাহিদদেরকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যে তাদেরকে সংশয়ে ফেলার নামান্তরএই যে কথাটি তারা বলেছে এর স্বপক্ষে কোন দলীল নেইকেননা, চুক্তির বাস্তবতা হল যে, তা দু’টি পক্ষের মাঝে সংঘটিত হবে, যাদের প্রত্যেক পক্ষই জানে যে, অপর পক্ষ তার দুশমন অতএব, কোন মুজাহিদ যদি কোন পশ্চিমা রাষ্ট্রের কাছে গিয়ে প্রবেশের অনুমতি চায় আর তারাও জানে যে, তিনি মুজাহিদ এবং তিনি তাদের সাথে অঙ্গীকার করেন যে, তিনি তাদের কোন ক্ষতি করবেন না- তাহলে এটা হবে গ্রহণযোগ্য চুক্তি যা পালন করা আবশ্যকআর ভিসা নিছক প্রবেশের অনুমোদনপত্র ছাড়া কিছুই নয়এতে দোস্ত-দুশমন সকলেই বরাবর
                এই ভিসার অবস্থা হল- যেমন এক শহরবাসী শহরের ফটকে দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিচ্ছে, কেবল চুক্তিবদ্ধ দোস্তকেই প্রবেশের অনুমতি দেবমুহারিব দুশমনকে অনুমতি দেব নাএমতাবস্থায় যদি কোন দুশমন তাদের দোস্তের ভান ধরে আসে ফলে তারা তাকে প্রবেশের অনুমতি দেয়- তাহলে এটা যুদ্ধে কৌশল অবলম্বন শ্রেণীভুক্ত হবে, চুক্তি হবে নাএ কারণেই কতক আহলে ইলম কাফেরদের ধোঁকা দেয়ার উদ্দেশ্যে ক্রুশ পরিধান বৈধ হওয়ার ফতোয়া দিয়েছেনআর বাস্তবতা হল- যুদ্ধে কৌশলের কোন বিকল্প নেইএ কারণেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যুদ্ধের বুনিয়াদ হল কৌশল। ওয়াল্লাহু আ’লাম।” (শায়খের ফতোয়া: হালিত্ তা’শিরাতু আহদুন ওয়া আমান?)



                দ্বিতীয়ত যদি ভিসা আমান হয়ও, তথাপি আমেরিকার মতো ইমামুল কুফরের জন্য এ আমান প্রযোজ্য নয়। তাকে কৌশলবশত আমান দিয়েও হত্যা করা যাবে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত পাবেন শায়খ আইমান আযযাওয়াহিরি হাফিযাহুল্লাহর [ভিসা ও আমান] নামক কিতাবে। সবটুক পড়া সম্ভব না হলে সেখান থেকে শায়খ নাসির ইবনে হামদের ফতোয়াটা পড়ে নিন (পৃ. ৪৬-৫১)।



                Comment


                • #9
                  ইলম ও জিহাদ ভাই,,আল্লাহ আপনার ইলমে বারাকাহ দান করুন, আমীন। প্রিয় ভাই,আমার একটা অনুরোধ, আপনি পর্দা নিয়ে একটা একটি পোস্ট দিন। আমি দায়্যুস মহিলা ও দায়্যুস পুরুষ সম্পর্কে জানতে চায়।
                  আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
                  আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

                  Comment


                  • #10
                    মাশা আল্লাহ্। ইলম ও জিহাদ ভাই, আল্লাহ আপনার ইলমে বারাকাহ দান করুন। আমীন।
                    এই পোস্ট এ আমার বেশ কয়েকটি সংশয় দুর হয়েছে। জাযাকাল্লাহ খাইর।

                    Comment


                    • #11
                      জাজা কাল্লাহ আখি আপনার প্রশ্নে অনেক
                      অজানা বিষয় জানতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ

                      Comment

                      Working...
                      X