Announcement

Collapse
No announcement yet.

( e 300) ( ই_ ১২৩) ভাই!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ( e 300) ( ই_ ১২৩) ভাই!

    ( e 300) ( ই_ ১২৩)

    ভাই! !!
    যে সকল খাবারে এই চিনহ গুলো থাববে সে সকল খাবার তো খাওয়া যাবে না, ,,,
    ভায়েদের কাছে আবেদন হল!!!
    ভাই আমার জানা মতে!!!! এগুলার একটি লিষ্ট আছে

    আমার ওই টা দরকার

  • #2
    জি ভাই বিষয়টি অতীব জরুরী।
    আমি হব মুহাম্মাদ বিন আতিক,
    আমার চাপাতি্র টার্গেট হবে শাতিম ও নাস্তিক

    Comment


    • #3
      بسم الله الرحمن الرحيم

      হালাল-হারাম নিয়ে নানা কথা

      ইউরোপসহ পাশ্চাত্যের সবদেশে গোশতের প্রধান উৎস হচ্ছে শূকর। এই প্রাণীর প্রজন্মের জন্য রয়েছে অনেক ফার্ম। কেবল ফ্রান্সেই আছে ৪২০০০ ফার্ম। এই প্রাণীটির গায়ে থাকে প্রচুর পরিমাণ চর্বি। কিন্তু বেশি চর্বি দেহের জন্য ভালো নয় বলে ইউরোপিয়ান এবং আমেরিকানরা এই চর্বি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করে।

      কিন্তু এই চর্বি কোথায় যাবে? এই প্রাণীগুলো আবার সরকারের নিয়ন্ত্রণেই মারা হয়। ফলে সরকারের জন্য এই চর্বি ফেলে দেয়া এক মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রায় ৬০ বছর আগে এসব চর্বি পুড়িয়ে ফেলা হতো। পরে এগুলো সাবান তৈরিতে ব্যবহার হতে থাকে।

      পরবর্তীতে ব্যবসার নতুন এক ক্ষেত্র উন্মোচিত হয়। এই চর্বিগুলো রাসায়নিক উপাদান দ্বারা প্রক্রিয়াজাত করে প্যাকেটে ভরে বিপণনের ব্যবস্থা করা হয়। অন্য এক কোম্পানী কিনে নিয়ে বিক্রি করা শুরু করে।

      এরই মধ্যে ইউরোপে নতুন আইন চালু হয় যেন সকল খাদ্য, ওষুধ, ব্যক্তিগত ব্যবহারের সকল প্রোডাক্টের মোড়কে সব উপাদানের নাম উল্লেখ করা থাকে। ফলে লেখা হতে থাকে চরম ঋধঃ বা শূকরের চর্বি।

      চল্লিশ বছর আগে যারা ইউরোপ গিয়েছেন তাদের এই বিষয়টি জানা আছে। কিন্তু সকল মুসলিম দেশ তখন এ সকল প্রোডাক্টের ব্যবহার বন্ধ করে দেয়। ফলে দেখা দেয় ব্যবসার মধ্যে মন্দা ।

      ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের কথা আমাদের জানা আছে। তখন রাইফেলের বুলেট তৈরি হতো ইউরোপে আর সমুদ্র পথে তা ভারতবর্ষে আসতো। কিন্তু সাগর পথে বুলেট আসতে মাসের পর মাস সময় লাগতো। তাছাড়া বন্দুকের বারুদ সমুদ্রের আবহাওয়াতে নষ্ট হয়ে যেত বলে এই প্রাণীর চর্বি দিয়ে প্রলেপ দেয়া হতো। কিন্তু বুলেট ব্যবহারের পূর্বে দাঁত দিয়ে কামড়ে এই চর্বির আবরণ ছিঁড়ে ফেলতে হতো।

      যখন এ কথা প্রচার হয়ে যায়, তখন মুসলমান সৈনিকগণের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়, যা পরিণামে গৃহযুদ্ধ ডেকে নিয়ে আসে। ইউরোপিয়ানদের এই ইতিহাস জানা আছে। তাই তারা Pig Fat লেখা বন্ধ করে দিয়ে Animal Fat বা প্রাণীর চর্বি লেখা শুরু করলো। পরবর্তীতে তাদের যখন প্রশ্ন করা হতো- কোন্ প্রাণীর চর্বি, তখন বলা শুরু করলো- গরু, ভেড়া ইত্যাদি। তখন মুসলমান উনারা হালাল উপায়ে যবেহ না বলে আবারো ইউরোপিয়ানদের পণ্যের ব্যবহার বন্ধ করে দিলে কাফিররা নতুন ষড়যন্ত্র আঁটে। কারণ মুসলিম দেশ থেকে তাদের আয়ের প্রায় ৭৫ ভাগ আসতো।

      তারপর থেকে সরাসরি উপাদানের নাম না লিখে ই-কোড ব্যবহার শুরু হয়। টুথপেস্ট, চকলেট, ক্যান্ডি, চুইং গাম, মিষ্টি, বিস্কিট, কর্ন ফ্লেক্স, টফি, ক্যান জাতীয় দ্রব্য ইত্যাদিতে ই-কোড লেখা হতে থাকে। তাহলে আমাদের এই ই-কোড সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন।

      অনলাইনে অনেক লেখা পাওয়া যায় কিন্তু সব লেখা সত্য নয়। আবার অনেক তথ্যের অনেক ব্যাখ্যা প্রয়োজন। তাই আমরা চেষ্টা করবো এমন একটি ধারণা দিতে, যাতে আপনি নিজেই হালাল হারামের ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্তে আসতে পারেন।

      প্রথমেই মনে রাখতে হবে- যা শূকরের চর্বি থেকে তৈরি হয়, তা গরুর চর্বি থেকেও তৈরি করা সম্ভব। কিন্তু কোনো গরু হালাল উপায়ে যবেহ না হলে সেই প্রাণীর চর্বি থেকে বানানো যা; শূকররে চর্বি থেকে বানানোও তা। দুটোই হারাম হবার কথা। আর এ নিয়ে যদি আমরা হালাল হারাম বাছতে যাই- আমাদের জীবন হয়ে পড়বে কঠিন। দেখা যবে- এটা খাওয়া যাবে না, ওটা খাওয়া যাবে না, জীবন প্রায় দুঃসহ। কিন্তু পবিত্র দ্বীন ইসলাম মানুষকে সহজ সমাধান দিয়েছেন। ফলে আমাদের সেই সমাধানের পথটা জানতে হবে।

      এছাড়াও অনেক উপাদান আছে, যা প্রাণীর উৎস থেকে তৈরি হয়; একইভাবে ভেষজ উৎস থেকেও তৈরি হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই উৎস উল্লেখ থাকে না। সেক্ষেত্রে প্রাণীর উৎস মনে করেই এগিয়ে যেতে হবে।

      অনেক ক্ষেত্রে উল্লেখিত উপাদানসমূহের মধ্যে হারাম কোনো উপাদান না থাকলেও দেখা যায়- যে ফ্লেভারিং এজেন্ট যোগ করা হয়, সেখানে হারাম উপাদান মিশ্রিত থাকে। আর সে কারণে দ্রব্যটি ব্যবহারের বা খাবারের অনুপযুক্ত হয়ে উঠে।

      এসব দিক মাথায় রেখে আমরা আমাদের আলোচনা চালিয়ে যাবো।

      নিচের চার্ট থেকে ধারণা পাবেন- কোন্ নম্বরগুলো কি উপাদান হিসেবে ব্যবহার হয়।

      ১। E100–E199 (রং-এর কাজে ব্যবহার হয়)

      ২। E200–E299 (প্রিজারভেটিভ হিসেবে ব্যবহার হয়)

      ৩। E300–E399 (এন্টিওক্সিডেন্ট এবং এসিডিটি রেগুলেটর হিসেবে ব্যবহার হয়)

      ৪। E400–E499 (ঘন, দীর্ঘস্থায়ী ও ইমালসিফায়ার হিসেবে ব্যবহার হয়)

      ৫। E500–E599 (এসিডিটি রেগুলেটর এবং এন্টি কেইকিং এজেন্ট হিসেবে ব্যবহার হয়)

      ৬। E600–E699 (সুগন্ধি দ্রব্য হিসেবে ব্যবহার হয়)

      ৭। E700–E799 (এন্টিবায়োটিক হিসেবে ব্যবহার হয়)

      ৮। E900–E999 (চকলেট, মিষ্টির চকচকে ভাব আনার জন্য ব্যবহার হয়)

      ৯। E1000–E1599 (বাড়তি উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়)

      Comment


      • #4
        আল্লাহ তায়ালা মুলিমদের কে হেফাজত করুন,আমিন।

        Comment


        • #5
          জামীল ভাই! মনে হচ্ছে, লেখাটা অসম্পূর্ণ। পূর্ণ করলে সবার ফায়েদা হবে ভাই। আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দান করেন।
          হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সবাইকে সাআদাতের জীবন এবং শাহাদাতের মৃত্যু দান করুন।

          Comment


          • #6
            আল্লাহ তায়ালা মুমিনদের কে এজাতীয় খাবার থেকে হিফাজত করুক
            আমীন
            জিহাদই হলো মুমিন ও মুনাফিকের মাঝে
            পার্থক্যকারী একটি ইবাদাহ

            Comment


            • #7
              আসুন কাফিরদের পণ্য বর্জন করি, মুসলিমদের পণ্য ব্যবহার করি
              ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

              Comment

              Working...
              X