Announcement

Collapse
No announcement yet.

আমি কি শুধু যিকির-তিলাওয়াতেই সন্তুষ্ট? তাহলে আমি কতটুকু দ্বীনদার?

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আমি কি শুধু যিকির-তিলাওয়াতেই সন্তুষ্ট? তাহলে আমি কতটুকু দ্বীনদার?

    যদি আমি দ্বীনের কষ্টসাধ্য কাজগুলো- যেমন, জিহাদ, আমর বিল মা’রূফ ও নাহিল মুনকার ইত্যাদি- পরিত্যাগ করে যিকির-তিলাওয়াতজাতীয় নরম নরম ইবাদাতে লিপ্ত থাকি, তা সত্ত্বেও সমাজে বিশিষ্ট দ্বীনদার পরিগণিত হয়ে যাই, তাহলে যেন আমি ধোঁকায় না পরি। আসলে আমি কতটুকু দ্বীনদার- একটু যাচাই করা দরকার। এ সম্পর্কে ইবনুল কায়্যিম রহ. (৭৫১ হি.)-এর মহা মূল্যবান এ বাণীটি আমার স্মরণ রাখা উচিৎ। তিনি বলেন,
    وقد غر إبليس أكثر الخلق بأن حسن لهم القيام بنوع من الذكر والقراءة والصلاة والصيام والزهد في الدنيا والانقطاع، وعطلوا هذه العبوديات، فلم يحدثوا قلوبهم بالقيام بها، وهؤلاء عند ورثة الأنبياء من أقل الناس دينا؛ فإن الدين هو القيام لله بما أمر به، فتارك حقوق الله التي تجب عليه أسوأ حالا عند الله ورسوله من مرتكب المعاصي؛ فإن ترك الأمر أعظم من ارتكاب النهي من أكثر من ثلاثين وجها ذكرها شيخنا - رحمه الله - في بعض تصانيفه؛ ومن له خبرة بما بعث الله به رسوله - صلى الله عليه وسلم - وبما كان عليه هو وأصحابه رأي أن أكثر من يشار إليهم بالدين هم أقل الناس دينا، والله المستعان، وأي دين وأي خير فيمن يرى محارم الله تنتهك وحدوده تضاع ودينه يترك وسنة رسول الله - صلى الله عليه وسلم - يرغب عنها وهو بارد القلب ساكت اللسان؟ شيطان أخرس، كما أن المتكلم بالباطل شيطان ناطق، وهل بلية الدين إلا من هؤلاء الذين إذا سلمت لهم مآكلهم ورياساتهم فلا مبالاة بما جرى على الدين؟ ، وخيارهم المتحزن المتلمظ، ولو نوزع في بعض ما فيه غضاضة عليه في جاهه أو ماله بذل وتبذل وجد واجتهد، واستعمل مراتب الإنكار الثلاثة بحسب وسعه. وهؤلاء - مع سقوطهم من عين الله ومقت الله لهم - قد بلوا في الدنيا بأعظم بلية تكون وهم لا يشعرون، وهو موت القلوب؛ فإنه القلب كلما كانت حياته أتم كان غضبه لله ورسوله أقوى، وانتصاره للدين أكمل.
    وقد ذكر الإمام أحمد وغيره أثرا «أن الله سبحانه أوحى إلى ملك من الملائكة أن اخسف بقرية كذا وكذا، فقال: يا رب كيف وفيهم فلان العابد؟ فقال: به فابدأ؛ فإنه لم يتمعر وجهه في يوما قط» .
    وذكر أبو عمر في كتاب التمهيد «أن الله سبحانه أوحى إلى نبي من أنبيائه أن قل لفلان الزاهد: أما زهدك في الدنيا فقد تعجلت به الراحة، وأما انقطاعك إلي فقد اكتسبت به العز، ولكن ماذا عملت فيما لي عليك؟ فقال: يا رب وأي شيء لك علي؟ قال: هل واليت في وليا أو عاديت في عدوا» ؟. اهـ اعلام الموقعين 2\120-121


    “ইবলিস অধিকাংশ মানুষকে ধোঁকায় ফেলে দিয়েছে যে- নির্দিষ্ট কিছু যিকির, তিলাওয়াত, নামায, রোযা, যুহদ ও দুনিয়াত্যাগের মতো আমলসমূকে তাদের সামনে সুসজ্জিত করে দেখিয়েছে। আর তারা (আমর বিল মা’রূফ, নাহি আনিল মুনকার, জিহাদ ও দ্বীনর পথের কষ্টসাধ্য) এসব আমল পরিত্যাগ করেছে। বাস্তবে নবীগণের প্রকৃত উত্তরসুরিদের দৃষ্টিতে এরাই সবচেয়ে কম দ্বীনদার শ্রেণীর লোক। কেননা দ্বীন তো হলো আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আল্লাহর আদেশ পালন করা। সুতরাং যে ব্যক্তি তার উপর আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত আবশ্যকীয় হকগুলো আদায় করে না, সে আল্লাহ ও রাসূলের দৃষ্টিতে গুনাহে লিপ্ত ব্যক্তির চেয়েও নিকৃষ্ট। কেননা আদেশ পালন না করা ত্রিশ দিক দিয়ে নাফরমানী করার চেয়েও গুরুতর অপরাধ। আমাদের শায়েখ (ইবনে তাইমিয়া) রহ. তার এক কিতাবে সেগুলো উল্লেখ করেছেন।


    রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ তায়ালা যে দ্বীন দিয়ে প্রেরণ করেছেন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরাম যে দ্বীন পালন করে গেছেন, সে সম্পর্কে যারা অভিজ্ঞতা রাখেন, তারা দেখতে পান, দ্বীনদ্বার বলে প্রসিদ্ধ ব্যক্তিদের অধিকাংশই (এখন) সবচেয়ে কম দ্বীনদ্বার শ্রেণীর লোক। আল্লাহর পানাহ! আল্লাহ তায়ালার নিষিদ্ধ বস্তুগুলো পদদলিত হতে দেখেও, আল্লাহর বেঁধে দেয়া সীমা লঙ্ঘিত হতে দেখেও, আল্লাহর দ্বীন পরিত্যক্ত হতে দেখেও এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহর প্রতি বিমুখতা দেখেও যার অন্তর প্রশান্ত, যবান নিশ্চুপ- তার মধ্যে আবার কিসের দ্বীনদ্বারি? কিসের কল্যাণ? সে তো বোবা শায়তান, যেমন বাতিল বলনেওয়ালা সবাক শয়তান। দ্বীনের ধ্বংস তো এদের কারণেই হচ্ছে; উদরপূর্তির ব্যবস্থা আর গদি ঠিক থাকলে দ্বীনের কি হল না হল সে নিয়ে যাদের কোন মাথা ব্যথা নেই। তাদের মধ্যে যাদের দ্বীনদারি সবচেয়ে ভালো, তাদের অবস্থা হল: একটু চিন্তিত হয় আর হালকা সমালোচনা করেই ক্ষান্ত হয়। পক্ষান্তরে যদি এদের সম্মান ও সম্পদে কোন আঘাত লাগে, তাহলে রেগে আগুন হয়ে যায়। সর্বসামর্থ্য দিয়ে নাহি আনিল মুনকারের (???) তিনো স্তর (হাত, যবান ও অন্তর) প্রয়োগ করে।


    এরা যে শুধু আল্লাহর (রহমতের) দৃষ্টি থেকে পড়ে গেছে এবং আল্লাহ তাআলা তাদের উপর অসন্তুষ্ট হয়েছন তা-ই নয়, বরং নিজেদের অজান্তেই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মুসিবতের শিকার হয়েছে। আর তাহলো- অন্তরের মৃত্যু। কেননা অন্তর যতটা প্রাণবন্ত হয় আল্লাহ ও তার রাসূলের জন্য তার ক্রোধ তত বেশি হয়; দ্বীনের জন্য তত বেশি প্রতিশোধ পরায়ণ হয়।


    ইমাম আহমদ রহ. সহ আরো অনেকে একটি আছার উল্লেখ করেছেন: আল্লাহ তায়ালা এক ফেরেশতাকে আদেশ দিলেন, অমুক অমুক জনপদ ধ্বসিয়ে দাও। ফেরেশতা আরজ করল, হে রব! কিভাবে ধ্বংস করবো, সেখানে তো অমুক ইবাদতগুজার বান্দা আছে? আল্লাহ তায়ালা জওয়াব দেন, তাকে দিয়েই শুরু করো। (অন্যায় কাজ দেখেও) আমার জন্য কোন এক দিনও তার চেহারায় অসন্তুষ্টি দেখা দেয়নি।


    আবু উমার (ইবনে আব্দুল বার) রহ. ‘তামহিদ’ গ্রন্থে উল্লেখ করেন, আল্লাহ তায়ালা এক নবীর নিকট ওহী পাঠান, তুমি অমুক যাহেদকে বলো, দুনিয়াবিমুখতার দ্বারা তুমি দুনিয়াতে অগ্রিম প্রশান্তি বেছে নিয়েছো। আমার ইবাদতে নিমগ্ন হওয়ার দ্বারা তুমি সম্মান লাভ করেছো। কিন্তু তোমার উপর আমার যে হক রয়েছে, তার জন্য তুমি কি করেছো? যাহেদ আরজ করল, হে রব! আমার উপর আপনার কোন্ হক পাওনা আছে? আল্লাহ তায়ালা জওয়াব দিলেন, আমার সন্তুষ্টির জন্য কি কোন বন্ধুকে তুমি মহব্বত করেছো? কিংবা আমার সন্তুষ্টির জন্য কি কোন শত্রুর সাথে শত্রুতা করেছো?”- ই’লামুল মুওয়াককিঈন ২/১২০-১২১

  • #2
    ভাই খুব সুন্দর হয়েছে মাশাল্লাহ অনেক ভালো লেগেছে
    বাস্তবেই আমাদের সমাজে আজ এরকম ঘটছে যে কিছু মানুষ কিছু আারামদায়ক আমল করে নিজেকে
    অনেক বড় অলি ভাবছে এবং তার দিকে মানুষ কে ডাকছে
    জিহাদই হলো মুমিন ও মুনাফিকের মাঝে
    পার্থক্যকারী একটি ইবাদাহ

    Comment

    Working...
    X