Announcement

Collapse
No announcement yet.

জিহাদের সামর্থ্য না থাকলে তিনটি করণীয়

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জিহাদের সামর্থ্য না থাকলে তিনটি করণীয়

    জিহাদ বিরোধী আলেম ও শায়েখদের জিহাদ থেকে মানুষকে বিরত রাখার জন্য একটি বড় হাতিয়ার হলো, জিহাদের শক্তি না থাকার দাবী করা, তাদের মতে এখন যেহেতু আমাদের জিহাদের শক্তি নেই তাই হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হবে, কিন্তু জিহাদের শক্তি না থাকলেও যে আরো কিছু করনীয় আছে তা তারা একেবারেই ভুলে বসেছে। তাই সামর্থ্য না থাকলে আমাদের উপর যে সব দ্বায়িত্ব বর্তায় তা হতে তিনটি দ্বায়িত্বের ব্যাপারে আলোচনা করছি, বলাবাহুল্য এই তিনটি কাজই পালন করা শরিয়তের হুকুম অনুযায়ী ফরয, কিন্তু জিহাদ-বিরোধী শায়েখ ও আলেমরা এর কোনটিই পালন করছেন না, কাউকে পালন করতে আদেশও করছেন না।

    এক. যুদ্ধের জন্য যথাসম্ভব প্রস্তুতি গ্রহণ করা, শক্তি অর্জন করা, ঈমানী ও আসকারী অর্থাৎ আধ্যাত্মিক ও সামরিক উভয় প্রকার শক্তি।

    আল্লাহ তায়ালা বলেন,
    وَأَعِدُّوا لَهُمْ مَا اسْتَطَعْتُمْ مِنْ قُوَّةٍ وَمِنْ رِبَاطِ الْخَيْلِ تُرْهِبُونَ بِهِ عَدُوَّ اللَّهِ وَعَدُوَّكُمْ وَآخَرِينَ مِنْ دُونِهِمْ لَا تَعْلَمُونَهُمُ اللّهُ يَعْلَمُهُمْ
    “আর তাদের মোকাবেলার জন্য তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী শক্তি ও অশ্ববাহিনী প্রস্তুত কর, যার দ্বারা তোমরা আল্লাহর দুশমন ও তোমাদের নিজেদের দুশমনদেরকে ভীত সন্ত্রস্ত্র রাখবে এবং ঐ সব দুশনমনকেও যাদেরকে তোমরা জাননা কিন্তু আল্লাহ জানেন।” –সুরা আনফাল, আয়াত: ৬০

    এর ব্যাখ্যায় ইমাম জাসসাস রহিমাহুল্লাহু (মৃত্যু: ৩৭০ হি.) বলেন:
    أمر الله تعالى المؤمنين في هذه الآية بإعداد السلاح والكراع قبل وقت القتال إرهابا للعدو والتقدم في ارتباط الخيل استعدادا لقتال المشركين .اهـ

    দুশমনদেরকে ভীত সন্ত্রস্ত্র রাখার জন্য যুদ্ধের সময় আসার পূর্বেই আল্লাহ তাআলা মুমিনদেরকে অস্ত্রপাতি ও ঘোড়া প্রস্তুত করতে এবং এবং কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতিস্বরুপ পূর্ব থেকেই অশ্ববাহিনী প্রস্তুত করতে আদেশ দিয়েছেন।” -আহকামুল কুরআন: ৩/৮৮

    অন্যত্র বলেন:
    قوله تعالى: {ولو أرادوا الخروج لأعدوا له عدة} العدة ما يعده الإنسان ويهيئه لما يفعله في المستقبل ... وهذا يدل على وجوب الاستعداد للجهاد قبل وقت وقوعه، وهو كقوله: {وأعدوا لهم ما استطعتم من قوة ومن رباط الخيل}.اهـ

    আল্লাহ তাআলার বলেন, যদি তারা যুদ্ধে বের হওয়ার ইচ্ছা করতো, তবে তার প্রস্তুতিস্বরুপ সরন্জাম গ্রহণ করত) العدة বলা হয় ঐ জিনিসকে যা মানুষ ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করে রাখে। এ আয়াত প্রমাণ করে, জিহাদের সময় আসার পূর্বেই তার জন্য ই’দাদ-প্রস্তুতি গ্রহণ করে রাখা ফরয। এ আয়াত ঐ আয়াতের মতো যেখানে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন:
    وَأَعِدُّوا لَهُمْ مَا اسْتَطَعْتُمْ مِنْ قُوَّةٍ وَمِنْ رِبَاطِ الْخَيْلِ
    ‘তাদের মোকাবেলার জন্য তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী শক্তি ও অশ্ববাহিনী প্রস্তুত কর’। -আহকামুল কুরআন: ৩/১৫৪

    “যুদ্ধের সময় আসার পূর্বেই” “যা মানুষ ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করে রাখে” এ সকল বাক্য থেকে বুঝে আসে যুদ্ধের ক্ষমতা না থাকলে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা ফরয।

    শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন:

    يجب الاستعداد للجهاد بإعداد القوة ورباط الخيل في وقت سقوطه للعجز، فإن ما لا يتم الواجب إلا به فهو واجب.اهـ

    “সামর্থ্য না থাকার কারণে জিহাদ করা সম্ভব না হলে, শক্তি ও অশ্ববাহিনী প্রস্তুত করার মাধ্যমে জিহাদের প্রস্তুতি গ্রহণ ফরয হবে। কেননা, যে জিনিস ব্যতীত ফরয আদায় করা সম্ভব না হয় সেটাও ফরয হয়ে থাকে। -মাজমুউল ফাতাওয়া: ২৮/২৫৯

    আল্লামা আলাউদ্দীন কাসানী রহিমাহুল্লাহু (মৃত্যু: ৫৮৭ হি.) বলেন,

    ان الاصل في الامان أن لا يجوز لان القتال فرض والامان يحرم القتال الا إذا وقع في حال يكون بالمسلمين ضعف وبالكفرة قوة لوقوعه وسيلة إلى الاستعداد للقتال في هذه الحالة فيكون قتالا معنى إذ الوسيلة إلى الشئ حكمها حكم ذلك الشئ .اهـ

    “মূলত কাফেরদেরকে আমান-নিরাপত্তা দেয়া জায়েয নেই। কেননা, কিতাল ফরয। আর আমান কিতালকে নিষিদ্ধ করে। তবে মুসলমানরা দুর্বল এবং বিপরীতে কাফেররা শক্তিশালী হলে তা জায়েয হবে। কেননা, তখন তা কিতালের ই’দাদ-প্রস্তুতি গ্রহণের ওসীলা হচ্ছে। ফলে সেটি তখন অর্থগতভাবে কিতালের নামান্তর। কারণ, কোন বস্তুর যে বিধান, উক্ত বস্তু পর্যন্ত পৌঁছতে যেটি ওসীলা হয়, সেটির বিধানও তা-ই।” -বাদায়েউস সানায়ে: ৯/৩১১

    আল্লামা কাসানীর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয় যে, দূর্বলতার সময়ে মুসলমানদের জন্য শক্তিঅর্জন করা ফরয। তাহলে এই শক্তিঅর্জন জিহাদের হুকুমে হবে এবং এর দ্বারা সর্বদা জিহাদ চালিয়ে যাওয়ার দ্বায়িত্ব পালন হবে। শরিয়তের মূলনীতী হলো, কোন ফরয কাজ পুরোপুরি আদায় করা সম্ভব না হলে যতটুকু সম্ভব ততটুকু আদায় করাই ওয়াজিব হয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, فَاتَّقُوا اللَّهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ (তোমরা আল্লাহকে ভয় কর যতটুকু পারো। –সূরা তাগাবুন, আয়াত: ১৬ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, وما أمرتكم به فافعلوا منه ما استطعتم আমি তোমাদের কোন কাজের আদেশ করলে তোমরা সাধ্যনুযায়ী তা পালন করো। -সহীহ বুখারী: ৭২৮৮ সহীহ মুসলিম: ১৩৩৭

    শায়েখ ইযযুদ্দীন বিন আব্দুস সালাম বলেন,

    من كلف بشيء من الطاعات فقدر على بعضه وعجز عن بعضه فإنه يأتي بما قدر عليه ويسقط عنه ما عجز عنه مكتبة الكليات الأزهرية: 2/7

    যাকে কোন কাজের আদেশ করা হয়, কিন্তু সে তার কিছু অংশ পালন করতে সক্ষম, আর কিছু অংশ পালন করতে অক্ষম তাহলে তার জন্য সামর্থ্যের অংশটুকু আদায় করা তার উপর ওয়াজিব হবে, আর যা পালন করতে অক্ষম তা তার থেকে রহিত হয়ে যাবে।

    তাছাড়া জিহাদ ওয়াজিব হোক বা না হোক, যুদ্ধের জন্য যথাসম্ভব প্রস্তুতি গ্রহণ করা মুসলমানদের জন্য একটি স্বতন্ত্র ফরয দ্বায়িত্ব। ফুকাহায়ে কেরাম একে ফরয কেফায়া বলেছেন, কেননা এ শক্তি অর্জনের উদ্দেশ্য হলো কাফেরদের অন্তরে ত্রাস সৃষ্টি করা, যেন তারা মুসলমানদের দিকে চোখ তুলে তাকানোর সাহস না পায় এবং মুসলমানরা তাদের সহজ শিকারে পরিণত না হয়। আল্লাহ তায়ালা প্রস্তুতির আদেশ দেওয়ার পর বলেন, تُرْهِبُونَ بِهِ عَدُوَّ اللَّهِ وَعَدُوَّكُمْ তোমরা এর দ্বারা কাফেরদের অন্তরে ভীতিসঞ্চার করবে। আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন,

    وَلْيَأْخُذُوا حِذْرَهُمْ وَأَسْلِحَتَهُمْ وَدَّ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوْ تَغْفُلُونَ عَنْ أَسْلِحَتِكُمْ وَأَمْتِعَتِكُمْ فَيَمِيلُونَ عَلَيْكُمْ مَيْلَةً وَاحِدَةً

    (সালাতুল খওফ বা যুদ্ধকালীন নামাযের সময়) তারা যেন নিজেদের আত্মরক্ষার অবলম্বন ও অস্ত্রসস্ত্র গ্রহণ করে, কাফেররা চায় তোমরা তোমরা তোমাদের অস্ত্রসস্ত্র ও সামানাদি থেকে অসর্তক হয়ে যাও, তাহলে তারা তোমাদের উপর একবারে ঝাঁপিয়ে পড়বে। –সূরা নিসা, আয়াত: ১০


    আল্লামা আবুস সাউদ রহিমাহুল্লাহু বলেন,

    {وَأَعِدُّواْ لَهُمْ} توجيهُ الخطاب إلى كافة المؤمنين لما أن المأمورَ به من وظائف الكلِّ{مَّا استطعتم مّن قُوَّةٍ} من كل ما يُتقوَّى به في الحرب كائناً ما كان

    “আল্লাহ তাআলার বাণী وَأَعِدُّوْا لَهُمْ (তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত কর…) এতে সকল ঈমানদারকে সম্বোধন করা হয়েছে। কেননা, আদিষ্ট বিষয়টি সকলেরই দায়িত্ব। ... مَّا استطعتم مّن قُوَّةٍ ( তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী শক্তি) অর্থাৎ যুদ্ধের ক্ষেত্রে শক্তিবর্ধক এমন সব কিছু, চাই তা যাই হোক না কেন।

    আল্লামা আলূসী রহিমাহুল্লাহু রুহুল মাআনীতে হুবহু একই কথা বলেছেন, ইমাম কুরতুবী রহিমাহুল্লাহু (মৃত্যু: ৬৭১ হি.) বলেন,

    {وَأَعِدُّوا لَهُمْ} أمر الله سبحانه المؤمنين بإعداد القوة للأعداء بعد أن أكد تقدمة التقوى. فإن الله سبحانه لو شاء لهزمهم بالكلام والتفل في وجوههم وبحفنة من تراب ، كما فعل رسول الله صلى الله عليه وسلم. ولكنه أراد أن يبتلي بعض الناس ببعض بعلمه السابق وقضائه النافذ. وكلما تعده لصديقك من خير أو لعدوك من شر فهو داخل في عدتك ...
    وتعلم الفروسية واستعمال الأسلحة فرض كفاية وقد يتعين.اهـ (تفسير القرطبي: 8/36 ط. دار عالم الكتب)

    আল্লাহ তায়ালা তাকওয়া অর্জনে গুরুত্বারোপ করার পর মুমিনদের শক্তি অর্জনের আদেশ দিয়েছেন, আল্লাহ চাইলে ওদেরকে কথা, চেহারায় থুথু নিক্ষেপ বা (ওদের দিকে) একমুষ্ঠি মাটি নিক্ষেপ করার দ্বারাই পরাজিত করতে পারতেন, যেমন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেছেন, কিন্তু তিনি তার ইলম ও ফয়সালা অনুযায়ী কিছু মানুষকে অপর কিছু মানুষের দ্বারা পরীক্ষা করতে চান। তুমি তোমার বন্ধুর জন্য যা কিছু ভালো, এবং শত্রুর জন্য যা কিছু মন্দ প্রস্তুত করে রাখো, তার সবই বা প্রস্তুতিগ্রহণের অন্তর্ভুক্ত। অশ্বচালনা শিক্ষা করা এবং অস্ত্রপাতির ব্যবহার রপ্ত করা ফরযে কিফায়া। তবে কখনো কখনো ফরযে আইন হয়ে যায়।” তাফসীরে কুরতুবী: ৮/৩৬

    ইমাম ফখরুদ্দীন রাযি রহিমাহুল্লাহু (মৃত্যু ৬০৬ হি.) বলেন,

    قال أصحاب المعاني: الأولى أن يقال: هذا عام في كل ما يتقوى به على حرب العدو، وكل ما هو آلة للغزو والجهاد فهو من جملة القوة … وهذه الآية تدل على أن الاستعداد للجهاد بالنبل والسلاح وتعليم الفروسية والرمي فريضة، إلا أنه من فروض الكفايات.

    মুফাসসিরগণ বলেন, এখানে قوة শব্দ দ্বারা যুদ্ধের ক্ষেত্রে শক্তিবর্ধক সব কিছু উদ্দেশ্য, সুতরাং যা কিছুই যুদ্ধের মাধ্যম হয় তাই قوة বা শক্তির অন্তর্ভূক্ত। … এ আয়াত থেকে বুঝে আসে জিহাদের জন্য তীর, অস্ত্র ইত্যাদি দ্বারা প্রস্তুতি গ্রহণ করা এবং অশ্বচালনা ও তীরন্দাজী শিক্ষা করা ফরয, তবে তা ফরযে কেফায়াহ।

    দুই. মুরতাদ শাসকের সাথে সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করা। তার অধীনে কোন প্রকার চাকুরী না করা। বিশেষকরে এমন চাকুরী যা শাসককে টিকিয়ে রাখা এবং তার শক্তি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

    عن أبي سعيد وأبي هريرة، قالا: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ليأتين عليكم أمراء يقربون شرار الناس، ويؤخرون الصلاة عن مواقيتها، فمن أدرك ذلك منكم، فلا يكونن عريفا ولا شرطيا ولا جابيا ولا خازنا. رواه ابن حبان في صحيحه: (4586)

    ‘আবু সাইদ ও আবু হুরাইরা রাযিআল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের শাসক হবে এমন কিছু লোক যারা মন্দ লোকদেরকে আপন বানাবে, নামায বিলম্ব করে পড়বে । যারা ঐ যমানা পাবে তারা যেন গোত্রের সর্দার, কোতোয়াল, খাজনা উসূলকারী ও কোষাধ্যক্ষ না হয়’। –সহিহ ইবনে হিব্বান, ৪৫৮৬

    عن أبي سعيد الخدري رضي الله عنه قال: قام فينا رسول الله صلى الله عليه وسلم خطيبا، فكان من خطبته أن قال: «ألا إني أوشك أن أدعى فأجيب فيليكم عمال من بعدي، يقولون بما يعلمون، ويعملون بما يعرفون، وطاعة أولئك طاعة، فيلبثون كذلك دهرا، ثم يليكم عمال من بعدهم، يقولون ما لا يعلمون، ويعملون ما لا يعرفون، فمن ناصحهم، ووازرهم، وشد على أعضادهم فأولئك قد هلكوا، خالطوهم بأجسادكم، وزايلوهم بأعمالكم، واشهدوا على المحسن بأنه محسن، وعلى المسيء بأنه مسيء». رواه البيهقي في الزهد الكبير: رقم الحديث: 191 ورواه الطبراني في المعجم الأوسط: 6988 وقال الهيثمي في مجمع الزوائد: (رواه الطبراني في الأوسط عن شيخه محمد بن علي المروزي، وهو ضعيف). قال الراقم عفا الله عنه: والإسناد الذي رواه البيهقي في الزهد الكبير ليس فيه محمد بن علي، ولهذا صححه الألباني في السلسلة الصحيحة.

    ‘শোনো, অচিরেই আমার ডাক এসে যাবো এবং আমি তাতে সাড়া দিবো। আমার পরে তোমাদের শাসক হবে এমন লোকেরা যারা নিজেদের কথাকে কাজে পরিণত করবে এবং ভালো কাজ করবে। তোমাদেরকে তাদের আনুগত্যের আদেশই করা হয়েছে। এ অবস্থা চলবে কিছুকাল। অতপর এমন লোকেরা তোমাদের শাসক হবে যারা কাজ না করেই তা করার দাবী করবে এবং মন্দ কাজ করবে। সুতরাং যারা তাদের কল্যাণকামী হবে, তাদের পরামর্শদাতা হবে এবং তাদেরকে শক্তি যোগাবে তারা ধ্বংস হল। তোমরা (বাধ্য হলে) তোমাদের দেহ দ্বারা তাদের সাথে মিশতে পারো, কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে তাদের থেকে পৃথক থাকবে এবং ভালো শাসকের ব্যাপারে ভালো হওয়ার ও মন্দ শাসকের ক্ষেত্রে মন্দ হওয়ার সাক্ষ্য প্রদান করবে’। -বাইহাকী, আযযুহদুল কাবীর, হাদীস নং: ১৯১

    তিন. স্বেচ্ছায় তার শাসক হওয়ার স্বীকৃতি না দেওয়া, তার বিধান মেনে না নেওয়া এবং এমন কোন শব্দ ব্যবহার না করা যা তার শাসক হওয়ার স্বীকৃতি প্রদান করে, যেমন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মহামান্য রাষ্ট্রপতি বা এজাতীয় কোন সম্মানসূচক বাক্য ব্যবহার না করা।

    عن بريدة، أن نبي الله صلى الله عليه وسلم قال: لا تقولوا للمنافق: سيد، فإنه إن يك سيدكم فقد أسخطتم ربكم. رواه أبو داود: (22939) وصححه النووي في الأذكار ص 455 ط. دار الريان للتراث، والعراقي في تخريج أحاديث الإحياء: ص 836 ط. مكتبة طبرية.

    ‘বুরাইদাহ রাযিআল্লাহু আনহু বর্ণণা করেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা মুনাফিককে ‘সর্দার’ বলোনা। কেননা যদি মুনাফিক তোমাদের সর্দার হয় তাহলে তোমরা তোমাদের প্রভুকে অসন্তুষ্ট করলে’। -সুনানে আবু দাউদ, ৪৯৭৭

    ইমাম নববী রহিমাহুল্লাহু (মৃত্যু: ৬৭৬ হি) বলেন,

    لا بأس بإطلاق فلان سيد، ويا سيدي، وشبه ذلك إذا كان المسوَّد فاضلاً خيّراً، إما بعلم، وإما بصلاح، وإما بغير ذلك، وإن كان فاسقاً، أو متهماً في دينه، أو نحو ذلك، كُره له أن يقال سيّد. الأذكار للنووي ص 455 ط. دار الريان للتراث.

    ‘নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি যদি ইলম বা আমলের ক্ষেত্রে ফযীলতের অধিকারী হয় তাহলে তাকে নেতা-সর্দার বা ‘হে আমার সর্দার’ এবং এজাতীয় অন্যান্য শব্দ বলাতে কোন সমস্যা নেই, কিন্তু যদি সে ফাসেক হয় বা বেদ্বীন হওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে তাহলে তাকে সর্দার বলা মাকরুহ হবে,। -আলআযকার, পৃ: ৪৫৫

    الجهاد محك الإيمان

    জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

  • #2
    জাযাকাল্লাহু খাইরান। উত্তম পোস্ট। আল্লাহ তায়ালা আপনার ইলম ও আমলের মধ্যে বরকত দান করুন। আপনার ইলম দ্বারা আমাদের উপকৃত করুন।
    আপনার নিকট অারো এমন তাহকীকী পোস্ট চাই। আল্লাহ আপনাকে তৌফিক দান করুন।

    ভাই নিয়মিত থাকবেন কিন্ত।।।।।।
    ফিরে এসো দ্বীনের পথে।

    Comment


    • #3
      ভাই,আপনার লিখাগুলো ফেইজবুকেও পোস্ট করুন। জাযাকাল্লাহ
      ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

      Comment


      • #4
        খুব গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা
        আমরা সবাই তালিবান, বাংলা হবে আফগান।

        Comment


        • #5
          মাশা-আল্লাহ!
          খুব উপকারী ও তাহকিকি পোষ্ট।
          আল্লাহ সুব. আপনার মেহনতগুলো কবুল করুন,আমীন।
          বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
          কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

          Comment


          • #6
            মাশাআল্লাহ, অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট, আল্লাহ তায়ালা আপনার ইলমে বারাকাহ দান করুন, উম্মাহ কে উপকৃত করুন, আমিন।

            Comment


            • #7
              মাশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা আপনার ইলমে বারাকাহ দান করুন,আমিন।
              এবং আপনার ইলম দ্বারা উম্মাহকে উপকৃত হওয়ার তাওফিক দান করুন,আমিন।
              ভাই এরকম আরো পোষ্ট চাই, আল্লাহ তায়ালা আপনাকে শহীদি মৃত্যু দান করুন,আমিন।

              Comment


              • #8
                আল্লাহ আমাদের এই আচরণবিধি মেনে চলার তৌফিক দিক| Amin

                Comment


                • #9
                  মাশা আল্লাহ্। আল্লাহ্ আপনার ইলমে বরকত দান করুন আমীন। ভাই আরো চাই......

                  Comment

                  Working...
                  X