Announcement

Collapse
No announcement yet.

আমাদের ভবিষ্যত মুসলিম প্রজন্ম কিভাবে বেড়ে উঠছে? আমরা কি করছি?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আমাদের ভবিষ্যত মুসলিম প্রজন্ম কিভাবে বেড়ে উঠছে? আমরা কি করছি?

    প্রিয় ভাইগণ!

    কয়েকদিন ধরেই ভাবছিলাম যে ভাইদেন থেকে একটি মাসআলাহ জিজ্ঞেস করবো ও সে বিষয়ে কিছু মাশওয়ারাই চাইবো।

    যাদের বাড়িতে ছোট ভাই-বোন/ভাতিজা/ভাগিনা/ছেলে-মেয়ে/পাড়া-প্রতিবেশীর সন্তান আছে তাদের জন্য বিষয়টি হয়তো দরকার হতে পারে।

    বাংলাদেশ সহ পুরো হিন্দুস্থানকে একটি রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠায় নিরলস মেহনত চালিয়ে যাচ্চে ভারত। কখন বা রাষ্ট্রীয় ভাবে কখন বা মিডিয়ার কূটনৈতিক চালের মাধ্যমে। ভারতের সমস্ত চ্যানেলের ৮০%ই বাংলাদেশে চলে।

    এই মালাউনেরা বুড়ো-বুড়িদেরকে ঘায়েল করছে নাটকের মাধ্যমে। যুবক-যুবতী ও তরুণ-তরুণীদেরকে ঘায়েল করছে পর্ণ ও হিন্দি ফিল্মের মাধ্যমে। আর বাচ্চাদেরকে ঘায়েল করছে কার্টূনের মাধ্যমে।

    আমরা জানি যে, বচ্চাদের মন হচ্ছে একটি কাঁদা মাটির মত, ছোট অবস্থাতে যে বিষয়টি দিয়ে তার মেমোরি লোড করা হয় চির জীবন সে সেটি নিয়েই থাকে। বুড়ো/যুবকদেরকে যদি আপনি দাওয়াত দেন তাহলে তারা ফিরে যাবে। কিন্তু বাচ্চারা যদিও হয়তো তৎক্ষনাত আপনার আদরে বা ভয়ে ফিরে যাবে, কিন্তু তার মনে বিষয়টি গেথে যাবে। সে আপনার অনুপস্থিতিতে আগের কাজটিই করতে চেষ্টা করবে।

    ভারতের এই মালাউন মুশরিকরা তাদের ভ্রান্ত আক্বীদা ও বিশ্বাসগুলো মুসলিম শিশুদের অন্তরে ঢুকিয়ে দিচ্ছে বিভিন্ন কার্টুন সিরিজের মাধ্যমে।

    বিশেষ করে আমরা জনি যে, ভারত কতৃক চালিত বাংলাদেশে অনেকগুলো কার্টুন সিরিজ আছে।
    যেমনঃ
    ১-গোপাল ভাঁর
    ২-নিক্স
    ৩-মোটু পাতলু
    ৪-ফ্যাব 5
    ৫-ভুঁত বস
    ৬-নন্টে ফন্টে
    ৭-ঠাকুমার ঝুলি
    ৮-নাট বল্টু
    ৯-ছোটাভিম
    ১০-বটুল দ্যা গ্রেট
    ১১-চাঁদের বুড়ি ম্যাজীক ম্যান
    ১২-হানি বানি
    ১৩-ডোরিমন
    আরো অনেক! অনেক!! অনেক!!! প্রায় ৩০-৪০টির মত। হয়ত এর চেয়েও বেশী।

    আপনি যদি এসমস্ত কার্টুন সিরিজ সম্পর্কে সামান্য ধারণাও রাখেন তাহলেও আপনার তাদের এই ভয়ঙ্কর ফাঁদ সম্পর্কে জানা থাকার কথা। এদের প্রত্যেকটি কার্টুন সিরিজেই রয়েছেঃ

    ১-সর্বদা হিন্দুদের নামের প্রচলন।
    ২-তারাই সুপার হিরো, এমন একটি ম্যাসেজ।
    ৩-পুজা শিক্ষা।
    ৪-পুণ্যিমা শিক্ষা।
    ৫-হিন্দু আক্বিদার প্রচার প্রসার।
    ৬-ইসলাম ধর্মের চেয়েও হিন্দু ধর্ম ভাল, এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি।
    ৭-মুসলিমদের ইতিজাস বিকৃতি।
    ৮-বিভিন্ন শিরকি স্লোগান, যেমনঃ "নিক্স যে সব পারে"।
    ৯-বাবা মা সকলের চেয়েও বন্ধু প্রিয়তার চিন্তাধারা।
    ১০-ভৌতিক কার্টুনের মাধ্যমে ভিতু বানানো।
    এতো হল মাত্র সামান্য কয়েকটি বিষয়।


    এবার আপনিই ভাবুন বিষয়টি কতটা মারাত্মক।
    আপনি যদি এসমস্ত কার্টুনের youtube চ্যানেলগুলো দেখেন তাহলে দেখবেন একেকটি চ্যানেলের প্রায় ৪-৫ লক্ষ সাব্সক্রাইবার

    আমি অনেক আলেমকে দেখেছি যারা একটি টিভির এডভ্রাইসও দেখেনা এমনকি টিভির সামনে বসে খবরটি পর্যন্ত শুনেনা কিন্তু এরা এসমস্ত কার্টুন নিজে দেখতে ও নিজের সন্তানদেরকে দেখাতে কোন দিধা বোধ করে না। ছেলে মেয়েদেরকে কার্টুন দেখতে না দিলে ভাত খায়না/প্রাইভেট পরতে যায়না ইত্যাদী ইত্যাদী।

    এহেন পরিস্থিতিতে আমি ভাইদের থেকে

    ১-এসমস্ত কার্টুন দেখার ব্যপারে শরীয়তের হুকুম আহকাম দলিল ভিত্তিক বিস্তারিত জানতে চাচ্ছি...
    আশা করি ভায়েরা এই মাসআলাহটির গুরুত্ব বুঝতে পারছেন।

    ২-যদি এগুলো না যায়েজ হয় তাহলে কি এমন কোন কার্টুন দেখা/দেখানো যাবে যেগুলো সম্পুর্ণটাই মুসলিমদের বানানো এবং ভাল?
    যেমনঃ সুলতান মাহমুদের কন্সট্যন্টেনোপোল বিজয়,
    আন্দোলোসিয়ার অশ্বারোহী। যেগুলোতে ঈমানী যযবা বাড়ে।

    ৩-যদি এরকম ভাল কার্টুন যায়েজ থাকে তাহলে এসমস্ত কার্টুনগুলো কোথা থেকে + কিভাবে পেতে পারি?

    ৪-যদি এগুলো যায়েজ না থাকে তাহলে বাচ্চদের জন্য কি করা যায়?
    কেননা তারাতো অবসর সময়টি অবশ্যই মজাতে কাটাতে চায়। আর আপনি তো তাকে সর্বদাই পেশার দিয়ে রাখবেন না তাইনা? যদি ভালটির মজা ও খারাপটির অনিষ্টতা সম্পর্কে না জানে তাহলে তো তারা খারাপটির দিকেই ধাপিত হবে।

    আল্লাহ আমাদেরকে ও আমাদের প্রজন্মকে হিফাজত করুণ। এদেরকে মুয়াজ ও মায়াজ রাঃগণের মত হওয়ার তাওফীক দান করুণ!
    আমীন, সুম্মা আমীন, ওয়াস্সালাম।


    Last edited by Taalibul ilm; 04-05-2019, 11:04 AM.
    আমি হব মুহাম্মাদ বিন আতিক,
    আমার চাপাতি্র টার্গেট হবে শাতিম ও নাস্তিক

  • #2
    ধন্যবাদ ভাই ! খুব গূরত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন।
    অপেক্ষা করুন অভিজ্ঞ ভায়েরা উত্তর দিবেন।

    Comment


    • #3
      ভাই,খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এনেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ।

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহ ভাই একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের আলোচনার জন্য।

        Comment


        • #5
          যথার্থ ^বলেছেন ভাই চালিয়ে যান
          সর্বোত্তম আমল হলো
          আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এবং মহান মহীয়ান
          আল্লাহর পথে জিহাদ করা।নাসায়ী,শরীফ

          Comment


          • #6
            মাসাআল্লাহ ভাই আপনাকে আল্লাহ উত্তম প্রতি দান দান করুন আমিন
            আমাদের বাচ্ছাদের কে তাদের এই সমস্ত খারাপ কু চিন্তা চেতনা থেকে হেফাজত করুন আমিন

            Comment


            • #7
              জাঝাকাল্ললাহ আখি! অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন! হয়ত অভিজ্ঞ ভায়েরা দৃষ্টি দিবেন !!
              كتب عليكم القتال وهو كره لكم

              Comment


              • #8
                জাযাকাল্লাহ

                ভাই আপনি খুবই গুরুত্তপুর্ন বিশয় আলোচনা করেছেন ।
                আমারও জানার প্রজন ।

                Comment


                • #9
                  এ বিষয়ে মাসিক আল কাউসারে প্রকাশিত একটি আর্টিক্যাল।
                  তিনটি গল্প তিনটি কথা
                  রিদওয়ান
                  গল্প এক : মুসফিরা। একজন বিবাহিতা। বছর চারেক হল তার একটি ফুটফুটে ছেলে হয়েছে। আদর করে নাম রাখে- সোহাগ। বয়স চার। সোহাগ জন্মাবার পর থেকেই মুসফিরার একটা অভিযোগ- ‘বাচ্চাকে খাওয়াতে তার জান বের হবার দশা। ওকে নিয়ে সে আর পারছে না।’ বাধ্য হয়েই মুসফিরা এখন তার বাচ্চাকে টিভি ছেড়ে খাওয়ায়। টিভিতে কার্টুন চলতে থাকে; লাল-নীল-হলুদ-সবুজ নানা রঙের কার্টুন নড়তে চড়তে থাকে। সোহাগ খুব আগ্রহ নিয়ে টিভির দিকে তাকিয়ে থাকে। এ সুযোগে মুসফিরা ওর মুখে খাবার পুরে দেয়। সোহাগ যে কার্টুনটাকে বড্ড পছন্দ করে তা হচ্ছে ডোরেমন। এ কার্টুন শুরু হলেই সোহাগ একদম পুতুলের মতো হয়ে যায়। ডোরেমনের বুকে থাকে ছোট্ট একটি পকেট। পকেট থেকে সে বের করে হরেক রকমের জিনিস। অত ছোট্ট পকেটে এতো কিছু থাকে কীভাবে? অনেক সময় পকেট থেকে দশগুণ বড় জিনিসও ডোরেমন বের করে ছাড়ে। সোহাগের মা এগুলোকে কিছুই মনে করে না।
                  একদিন সে বায়না ধরে- আম্মু! আমাকে ওরকম একটা প-প-প-পকেট দাও। আমি তা থেকে অনেক অনেক খেলনা বের করব। ওই পকেট সব দিতে পারে। সোহাগের কচি মুখে এ কথা শুনে ওর মা ‘থ’ হয়ে যায়।
                  গল্প দুই : আলাউদ্দিন। ছোট্ট দুটো পুত্রসন্তানের জনক- মাহফুজ ও মাহবুব। বয়স দশ ছুঁই ছুঁই। স্কুল সেরে বাসায় এসেই রিমোর্ট হাতে নিয়ে ঠাকুমার ঝুলি দেখে। প্রতিটি পর্বই খুব মনোযোগ দিয়ে টা-ন চোখে গেলে। সুস্থ মানুষ হঠাৎ রাক্ষস হচ্ছে। কখনো একজন মানুষ কোনো ফুল বা কোনো জন্তুতে রূপান্তরিত হচ্ছে। এরপর নানা কিসিমের চড়াই-উতরাই পার করে আবার মানুষের রূপ ধরছে।
                  তারা যে শুধু ঠাকুমার ঝুলিই দেখে, তা নয়। বেন টেনসহ আরো হাবিজাবি কী কী দেখে। তাদের স্কুল ব্যাগেও বেন টেন-এর ছবি আছে। ‘বেন’ তাদের মতোই ছোট। নানা পরিস্থিতিতে সে মানুষ-শ্রেণি থেকে বের হয়ে অন্য শ্রেণিতে রূপান্তরিত হয়। কখনো দৈত্য কখনো...। একদিন বিজ্ঞান-টিচারের কাছে তারা ডারউইনের সেই প্রসিদ্ধ থিউরিটা শুনে- ‘মানুষ একসময় বানর ছিল। বিবর্তনের মাধ্যমে মানুষ হয়েছে।’ মাহফুজের মাথায় কথাটি গেড়ে বসে।
                  একদিন মাহফুজ মাহবুবকে বলে- আমরা মনে হয় আগে বানরই ছিলাম!
                  মাহবুব- নাহ! মানুষ আবার বানর থেকে কীভাবে হয়?
                  মাহফুজ- হতেও তো পারে। দেখিস না কার্টুনে- মানুষ এটা-ওটা জন্তু-জানোয়ার কত কিছু হয়। তো বানর থেকে মানুষ হওয়া আর অসম্ভব হবে কেন?
                  মাহবুব চুপ হয়ে যায়। আসলেও তো! বানর থেকে মানুষ হওয়া তো খুবই সম্ভব!
                  তার চোখে ঠাকুমার ঝুলি ও বেন টেন-এ মানুষের বিভিন্ন জন্তুতে রূপান্তর আবার সেই জন্তু থেকে মানুষ হওয়ার চিত্রগুলো ভাসতে থাকে।
                  গল্প তিন : প্রফেসর আবিদ। তার একটি মেয়ে। নাম- জোছনা। বয়স বারো পেরিয়ে তেরতে এল। প্রিয় কাজ- হিন্দি ছবি দেখা। বয়স যখন সাত-আট তখন থেকেই সে বাবা-মা’র সঙ্গে হিন্দি ছবি দেখতে থাকে। তার পরিবারটি শুধুই ইসলামের নাম নিয়ে বেঁচে আছে। দেখতে দেখতে আবেদ সাহেবের মেয়ে বেশ বড় হয়ে উঠেছে। যতই বড় হচ্ছে ততই যেন তার পোশাক-আশাকে শালীন ভাবটা হারিয়ে যাচ্ছে। ভারতের নায়িকাদের মতো ড্রেস পরা শুরু করেছে। জামা-কাপড়ের ব্যাপার তো আছেই। মেয়ে কথায় কথায় হিন্দি শব্দ বলে। দশটির মধ্যে দুটি শব্দই হিন্দি। আবেদ সাহেব মনে মনে বলেন-
                  এমন হিন্দি-বাংলার জন্যই কি আমরা ভাষা-আন্দোলন করেছিলাম? আমার মেয়ের কথা এমন হিন্দি শব্দের কাগজে মোড়ানো কেন? তার পোশাক এমন ছোট ছোট কেন? আবেদ সাহেব তার এমন হতাশাজড়ানো প্রশ্নের উত্তর খুঁজে ফেরেন। তিনটি গল্প বললাম। এবার তিনটি কথা বলি :
                  এক. আমাকে আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমার সন্তানের কোমল হৃদয়ের উর্বর ভূমিতে আমি কেমন ফসল ফলাতে চাই। আমি তাওহীদের শিক্ষার বীজ রোপণে ইচ্ছুক, নাকি শিরকের। ইসলামের একটি মৌলিক শিক্ষা- সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা ‘আল্লাহ’। এটাকে মন থেকে বিশ্বাস করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন-
                  .وَ خَلَقَ كُلَّ شَیْءٍ
                  তিনিই সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। -সূরা আনআম (৬) : ১০১
                  اَللهُ خَالِقُ كُلِّ شَیْءٍ
                  আল্লাহ প্রতিটি বস্তুর সৃষ্টিকর্তা। -সূরা যুমার (৬৪) : ৬২
                  শিশু যখন কোনো অপ্রত্যাশিত স্থান থেকে একের পর এক নানারকমের জিনিস বের হতে দেখবে, তখন তার শিশুমনে এর কী প্রভাব পড়বে? সে ভাববে, ডোরেমনের মতো কার্টুন পর্যন্ত পকেট থেকে কত কিছু সৃষ্টি করে বের করতে পারে! আমরা হয়ত বলব, ‘কার্টুনচরিত্র’ তো সত্য নয়। এসব সত্য হলে একটি কথা ছিল। কিন্তু এ যে ‘অসত্য’ তা আপনি ক’টা বাচ্চাকে বুঝাতে পারবেন? সে কি বুঝে সত্য-অসত্যের ধাঁধাঁ? তারা যদি বুঝতই- এসব ভাওতাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়, তাহলে তো কার্টুন দেখে তারা আর এত মজা পেত না।
                  এ ধরনের কার্টুনের মাধ্যমে খুব সুচারুভাবে আল্লাহ্র একক গুণ সৃষ্টিক্ষমতার সঙ্গে অন্য কাউকে জড়ানো হচ্ছে। এ বিষক্রিয়া একদিনে ধরা পড়বে না। এর প্রতিক্রিয়া আপনার সন্তানের মননে মানসে আস্তে আস্তে ফুটে উঠবে।
                  বলছিলাম ডোরেমন কার্টুনের কথা। সমস্যা শুধু ডোরেমন কার্টুন নিয়েই নয়। আমাদের চারপাশে অহর্নিশ এমন অনেক কিছুই নীরবে ঘটে যাচ্ছে, যা অত্যন্ত শান্তভাবে ইসলামী রুচি-সাংঘর্ষিক ধ্যান-ধারণা আমাদের মন-মানসে রোপণ করছে। এখন আমাদের মায়েরা হয়ত প্রশ্ন তুলবেন- তাহলে বাচ্চাকে খাওয়াব কীভাবে? হাঁ এটা একটা প্রশ্ন। বাচ্চাদের খাওয়ানো নিয়ে মায়েরা যে কষ্টে পড়েন তা হেলাফেলা করার মতো নয়। কিন্তু মমতাময়ী মাকেই তো চিন্তা করতে হবে তার আদরের সন্তানের রুচি ও বিশ্বাসের কথা। আমার বিশ্বাস, মায়েরাই পারেন এই সমস্যার উত্তম সমাধান বের করতে। শুধু প্রয়োজন বিষয়টির গুরুত্ব বোঝা।
                  দুই. মাহফুয ও মাহবুব। ডারউইনের হাস্যকর তথ্যটি তাদের অপক্ব বিবেকে যৌক্তিক মনে হয়েছে। এর মূল ইন্ধন ওই ঠাকুমার ঝুলি ও বেন টেন কার্টুন। এগুলো দেখেই তাদের হৃদয়ে বিবর্তনবাদের যৌক্তিকতার কালো রেখা অঙ্কিত হচ্ছে। আধুনিক বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় ধোকাগুলোর একটা- বিবর্তনবাদ। বস্তুবাদকে পৃথিবীতে সুপ্রতিষ্ঠিত করার একটি মোক্ষম অস্ত্রও বটে!
                  ধর্ম মানুষকে অন্যান্য প্রাণী থেকে আলাদা করে দেখায়। ধর্ম আমাদের শেখায়- পৃথিবীর সবকিছু মানুষের জন্য সৃষ্ট। আল্লাহ তাআলা বলেন-
                  هُوَ الَّذِیْ خَلَقَ لَكُمْ مَّا فِی الْاَرْضِ جَمِیْعًا
                  পৃথিবীর সবকিছুকে তিনি তোমাদের জন্যেই সৃষ্টি করেছেন। -সূরা বাকারা (২) : ২৯
                  পৃথিবীটাই আমাদের শেষ নয়। এর পাঠ চুকিয়ে আমাদের চলে যেতে হবে অনন্ত অসীম এক সময়ের অধীনে। অন্য একটি জগতে, একেই বলে আখিরাত।
                  বস্তুবাদ, বিবর্তনবাদ বা ডারউইনবাদ নিয়ে আলোচনায় আমরা যাব না। তবে এটুকু বলি- বস্তুবাদ তথা ডারউইনবাদ যা ধারণা দেয়, তা থেকে বোঝা যায়- মানুষ মূলত বিশেষ কোনো সৃষ্টি নয়। সে একটি ক্ষুদ্র এককোষী ব্যাকটেরিয়া থেকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিবর্তিত হতে হতে আজকের আধুনিক মানুষ বা ‘উন্নত পশুমাত্র’। এই বস্তুবাদের আরো ধারণা হলো- পরকাল বলতে কিছুই নেই। এ পৃথিবীই শেষ। এরপর আর কোনো জীবন নেই।
                  এই বস্তুবাদকে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে স্তরে স্তরে পৌঁছে দিতে বিবর্তনবাদকে তারা মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে গ্রহণ করেছে। আমরা একটু খেয়াল করলেই দেখব- বস্তুবাদের দখলে থাকা বিজ্ঞানী মহল এবং তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন চক্র খুব কৌশলে পাঠ্যবইয়ে, ম্যাগাজিনে, পত্রিকায় এমনকি ছবি বা কার্টুনে বিবর্তনবাদকে এমনভাবে উপস্থাপন করছে যেন তা পুব দিকে সূর্য ওঠার মতোই নিত্য।
                  যে কার্টুনগুলোর কথা আমরা একটু আগে বলে এসেছি, আমরা বলছি না- এগুলো বিবর্তনবাদকে উসকে দেওয়ার জন্যেই তৈরি। আমরা বলি- এর মাধ্যমে কী জীবানু ছড়াচ্ছে, বোদ্ধামহল যদি একটু ভেবে দেখতেন!
                  তিন. মানুষের একটি সাধারণ অভ্যাস হলো- অনুকরণ। সে কাউকে না কাউকে অনুকরণ করে চলে। চলতে চায়। সৃষ্টিগতভাবে মানুষের মধ্যে অতি প্রশংসনীয় গুণ এটি। কিন্তু প্রাপ্ত এ নেয়ামতকে আমি কোন কাজে ব্যয় করছি ভেবে দেখা উচিত। আমাদের দেশে এখন হিন্দি সিরিয়ালের রমরমা অবস্থা। সাধারণ জনগণের ঝোঁক-মনোযোগ বহুলাংশে ওদিকেই। সমাজের প্রায় সব স্তরেই এসবের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সেমতে একটা চিত্রই ফুটে উঠেছে তৃতীয় গল্পে। এখানে জোছনার অশালীন কাপড় পরা, কথায় কথায় হিন্দি শব্দ প্রয়োগ, এসব দেখে আমরা কী বুঝি?
                  আমরা অনেক অভিভাবক এমনও আছি- সন্তানের সামনে টিভিতে হাবিজাবি অনেক কিছুই দেখি। এর মাধ্যমে আমার সন্তানের মধ্যে কী বাজে প্রভাব পড়ছে তা নিয়ে কখনো কি ভেবেছি? যে মেয়ে উঠতি বয়স থেকেই টাইটফিট জামা পরে সে যখন বড় হবে তার অবস্থা কেমন হবে? হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি যদি এখন থেকেই সে লালন করে তাহলে ভবিষ্যতে স্বধর্মত্যাগের কোন স্তরে গিয়ে সে ঠেকবে? যদি কোনো আদর্শ মুসলিম পুরুষ এর স্বামী হয় তখন সে স্বামীর অবস্থা কী হবে? তাত্থেকে আগত সন্তানদের দ্বীনি রূপ কেমন হবে? এমন আরো অনেক প্রশ্ন রইল আলাউদ্দিন সাহেবের মতো মানুষের কাছে।
                  ডোরেমন বা এ জাতীয় কার্টুন চাইনিজদের তৈরি। চাইনিজরা অধিকাংশই কমিউনিস্ট। তাদের তৈরি কার্টুন তাদের বিশ্বাসের উপর দাঁড়াবে- এই তো স্বাভাবিক। ঠাকুমার ঝুলি হিন্দুয়ানি কার্টুন। এতে হিন্দুদের হরেক রকমের বিশ্বাসের ছাপ থাকবে- এই তো যৌক্তিক। কখনো ভগবানের বিষয় আসবে। কখনো হিন্দুদের দেব-দেবি-মূর্তিদের নড়তে দেখা যাবে। কখনো যোগীদের হাতে নানা ঢঙের কা-ও চোখে পড়বে। এ ধরনের অগুণতি নির্ভেজাল কুফরি বিশ্বাসমিশ্রিত কার্টুন একের পর এক গিলছে আপনার আমার মুসলিম সন্তান। এ ধরনের কার্টুন ইত্যাদি যারা তৈরি করে তাদের কাছে এ বিষয়গুলি বিবেচ্য না-ও হতে পারে। তাই বলে আমরাও কি চোখবুজে তাদের ভেলায় চড়ব? আমার মনে হতে পারে- এগুলো ছাড়া বাঁচি কী করে? আমাদের সন্তানরা তাহলে কী নিয়ে থাকবে? এমন অনেক প্রশ্নজটলায় আমাদের বিবেকের গলিঘুচিতে এখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যাম আর জ্যাম। এ ধরণের কার্টুন-টার্টুন যখন ছিল না তখন কি মানুষ বাঁচেনি? তখন কি মানুষ সময় পার করেনি? আল্লাহর রাসূল, সাহাবায়ে কেরাম এবং তৎপরবর্তী মনীষীগণের জীবনচরিতে, আমার এসব প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর রয়েছে।
                  তাই আসুন! যোগ্য আলেমদের পরামর্শে তাঁদের বর্ণাঢ্য জীবনচরিত থেকে আমরা এসব প্রশ্নের সমাধান বের করি এবং সেগুলো বাস্তবজীবনে প্রয়োগ করি।

                  লিংক: ttps://www.alkawsar.com/bn/article/2199/
                  কে আছো জোয়ান, হও আগোয়ান।

                  Comment


                  • #10
                    "নওজোয়ান" ভাই! আপনাকে অনেক অনেক শুকরিয়া। আল্লাহ আপনাকে উত্তম জাজা দান করুন। আপনার দেয়া সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়েছি। অনেক উপকারী। ভাই! আমি যে পরে চারটি প্রশ্ন করেছি, সেগুলো কোন ভাই বিশেষ ভাবে আলোচনা করলে ভাল হত। হতে পারে যে এক ভাইর হয়তো চারটি বিষয় নাও জানা থাকতে পারে। তাই যে ভাই যেটার সমাধান পারি সেটা দিলেই উত্তরটি সহযে হাসিল হবে ইনশাল্লাহ।
                    আমি হব মুহাম্মাদ বিন আতিক,
                    আমার চাপাতি্র টার্গেট হবে শাতিম ও নাস্তিক

                    Comment


                    • #11
                      আমার কাছে মনে হয় ভারতের বর্তমানের সবচেয়ে বড় ফাদ হচ্ছে এই কার্টুন।
                      কোন ভাই যদি ফাতিহুল হিন্দ ভাইর উত্তরগুলো দিতেন তাহলে ভাল হত। বাড়িতে আমার ছোট ভাতিজা ও ভাতিজীরা আছে। গেলেই মোটু-পাতলু দেখতে চায়। অন্য কোন জিনিষ দেখালেও দেখতে চায়না।
                      যদি রাসুলকে কটুক্তি করা হয়, ওদের বাক সাধিনতার অংশ
                      তাহলে ওদেরকে ধারালো চাপাতির আঘাতে হত্যা করা আমাদের
                      দিনের অংশ। (আনওয়কর আল-আওরাকি রহি

                      Comment


                      • #12
                        ভাই বাচ্চাদের জন্য ইসলামি শিক্ষামূলক এই কার্টুন গুলো দেখাতে পারেন ইংশাআল্লাহ
                        এই লিংকে ১৪ টি কার্টুন আছে পরবর্তীতে আরো আপলোড হবে ইংশাআল্লাহ
                        ডাওনলোড লিংক:
                        https://www.youtube.com/watch?v=GNNa...tEHGKLTVA482or
                        ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

                        Comment


                        • #13
                          আরো কিছু কার্টুন

                          দারুন ইসলামিক কার্টুন - Darun Islamic Cartoon - bangla islamic cartoon
                          https://www.youtube.com/watch?v=jiyR8O4WabM
                          ফেরাউন এবং হযরত মুসা (আঃ) এর ঘটনার আলোক বাংলা ইসলামিক কার্টুন
                          https://www.youtube.com/watch?v=ssfNavb0CQk
                          বাদশাহ ও বালক সূরা বূরুজ এর কাহিনীর উপর নির্মিত ইসলামিক কার্টুন পর্ব ২
                          https://www.youtube.com/watch?v=zFUWroCDqO8
                          আন্দালুসিয়ার অশ্বারোহী বাংলা ইসলামিক কার্টুন ভিডিও | Andalusiar Ossharohi Bangle Islamic Cartoon
                          https://www.youtube.com/watch?v=sxlXGguohsw
                          এছাড়াও ইউটিউবে ইসলামিক কার্টুন লেক সার্চ করলে অনেক কার্টুন পাবেন ইংশাআল্লাহ
                          ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

                          Comment


                          • #14
                            মাশাআল্লাহ, খুবই গুরত্বপূর্ণ বিষয়।
                            আশা করি সকল ভাই এতে এক্টিভলি মাশোয়ারাতে শরীক হবেন।
                            হে আল্লাহ, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক দ্বীনি পরিবেশে রাখার তাউফিক আমাদেরকে দান করুন। এই ব্যাপারে যথাযথ করণীয় অনুসরণের তাউফিক দিন। আমীন।
                            কথা ও কাজের পূর্বে ইলম

                            Comment


                            • #15
                              হেডিংটা একটু এডিট করে দিলাম ভাই...
                              কথা ও কাজের পূর্বে ইলম

                              Comment

                              Working...
                              X