Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাত্রী চাই

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাত্রী চাই

    ইসলাম জিন্দা হুতাহে হার কারবালা কে বাদ:
    অগোছালো কিছু কথা, নবী যুগের কিছু বার্তা :
    রাসূলে কারীম সাঃ তের বৎসর পর্যন্ত মক্কার জমিনে দাওয়াতের কাজ করেন। কিন্তু অধিকাংশ মুশরিক তাঁর দাওয়াতে সাড়া দেয়নি। বরং তাকে নানাবিধ কষ্ট দিয়েছে। অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছে তাঁর উপর। শেষ পর্যন্ত হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মক্কার কাফেররা। অবশেষে আল্লাহর হুকুমে হিজরত করলেন মদিনার দিকে।
    রাসূল সাঃ এর পূর্বাপর অনেক সাহাবায়ে কেরাম হিজরত করেছেন। যারা হিজরত করেছেন, হয়ত তারা স্বপরিবারে হিজরত করেছেন অথবা শুধু পুরুষ , নতুবা শুধু মহিলা।
    তাঁরা কেন হিজরত করলেন?
    মনের মাঝে প্রশ্ন আসতে পারে।
    উওর সহজ, নিজেদের ঈমান-আমল হেফাজতের জন্য।
    যাদের কাছে হিজরত করে যাওয়া হল তাদেরকে বলা হয় আনসার। আনসারদের করনীয় কি? যারা হিজরত করেছেন তাদেরকে নিয়ে চিন্তা-ফিকির করা।
    আনসারগণ কী চিন্তা-ফিকির করবে?
    ★মুহাজিরিনে ইসলামের মধ্যে যারা স্বপরিবারে হিজরত করেছেন তাদের নিরাপত্তা,বাসস্থান, খাদ্য ইত্যাদি বিষয়ে চিন্তা-ফিকির করবে।
    ★শুধু পুরুষ মুহাজির হলে নিরাপত্তা, খাদ্য, বাসস্থান, স্ত্রী তথা জীবন সঙ্গীনির ব্যবস্থা করে দেবে।
    ★শুধু মহিলা হলে,তাঁর জন্য নিরাপত্তা, খাদ্য, বাসস্থান ও পছন্দসই দ্বীনদার স্বামীর ব্যবস্থা করবে। কেননা স্বামী ছাড়া মহিলাদের জীবন চালনা কষ্টকর।
    প্রিয় মুসলিম ভাই বোনেরা,
    আসুন দেখে নেই আনসারদের ভ্রাতৃত্বের নমুনা :- ইমাম বুখারী রহ.বর্ণনা করেন। মুহাজিরগন যখন হিজরত করে মদিনায় চলে আসলেন। রাসূল সাঃ তখন আব্দুর রহমান ও সাদ ইবনে রবী র: এর ভ্রাতৃত্ব বন্ধন সৃষ্টি করে দিলেন। সাদ বিন রবী আব্দুর রহমানকে বললেন, আমি আনসারদের মধ্যে সর্বপেক্ষ ধনবান ব্যক্তি। সুতরাং আমার ধন-সম্পদকে আমি দুই ভাগ করে অর্ধেক তোমাকে দেব। আমার দুজন স্ত্রী রয়েছে। যাকে তোমার অধিক পছন্দ হয় আমাকে বলো। আমি তাকে তালাক দিয়ে দেব। ইদ্দত শেষ হলে পরে তুমি তাকে বিবাহ করে নেবে। ( আর রাহীকুল মাখতুম)
    হে আমার মা: আপনি কি আপনার মেয়েকে একজন মুজাহিদা হিসেবে তৈরী করেছেন?
    যে নাকি নিজের জীবনকে বিলিয়ে দেবে দ্বীনের তরে। প্রতি নিয়ত অপেক্ষা করবে সেই কাঙ্খিত পুরুষের, যে নিজেকে দ্বীনের জন্য বিলিয়ে দিচ্ছে ।
    হে আমার বোন : আপনি কি কখনও নিজেকে নিয়ে ভেবেছেন?
    কখনও নিজেকে দাঁড় করেছেন দ্বীন বিজয়ী মুজাহিদের পাশে?
    কখনও কি ভেবেছেন আমিও হব একজন মুজাহিদা, কোন মুজাহিদের সহযোগী?
    যার সাথে,নির্যাতিত, নিপিড়িত, অসহায় মুসলিমের সেবায় অংশ নেবো।

    " আমরা হব তালেবান বাংলা হবে আফগান"
    (হে আমার মুজাহিদ-মুজাহিদা ভাই বোনেরা! কমেন্টে আমরা লিখি বা দেখি " আমরা হব তালেবান বাংলা হবে আফগান"
    প্রশ্ন হবে! আমরা বাস্তবে মুজাহিদ না শুধু দ্বাবীদার:
    কারন আমরা কি আমাদের বোন, ভাগিনি, ভাতিজি, পাড়া-প্রতিবেশী মেয়েদেরকে এভাবে গড়তে পেরেছি। তাদের আদর্শ গ্রহণ করেছি?
    প্রশ্ন হতে পারে! তাদের আদর্শ বা নমুনা কি?
    উওর সহজ সাহাবাদের আদর্শ বা নমুনাই হল তাদের আদর্শ বা নমুনা ।
    আফগান মেয়েরা !মুহাজির মুজাহিদ কোন ছেলে বিবাহের ইচ্ছা পুষণ করলে, তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে দ্বীনী খেদমতে সদা প্রস্তুত থাকে।
    আমরা কি এভাবে গড়তে পেরেছি , বা তৈরী করতে পেরেছি।


    হে আমার সম্মানীত মুহতামিম সাহেব/ প্রধান শিক্ষক ও মুহতারামা শিক্ষিকা! আপনি কি আপনার ছাত্রীদেরকে দ্বীনের কাজে উৎসাহ দিয়েছেন কখনো?
    গড়তে চেয়েছেন তাদেরকে দ্বীনের ছাঁচে?
    যে ভাবে তৈরী হয়েছিল হযরত খাওলা রা: যিনি মুজাহিদে ইসলামের সেবা করার পাশা-পাশি কাফের -মুশরিকের ঘাড়ে তরবারীর আঘাত হেনেছিলেন। আপনি কি আপনার ছাত্রীদেরকে উৎসাহ দিয়েছিলেন দ্বীনদার পুরুষের সাথি হবার। একটু ভাবুন -একটু ভাবান। দ্বীনদার পুরুষের দ্বীনের কাজের জন্য দ্বীনদার নারীর প্রয়োজন।
    বলতে পারেন পুরুষের জন্য নারীর প্রয়োজন কি?
    আল্লাহ তাআলা বলেন: هن لباس لكم و انتم لباس لهن
    (মহিলারা তোমাদের জন্য পোশাক সরুপ, তোমরাও তাদের জন্য পোশাক সরুপ )
    আসুন দেখে নেই আবরন কিভাবে? সর্বপ্রথম ওহী অবতরণ কালে রাসুল সাঃ অনেক ভয় পেয়ে যান,স্ত্রী খাদিজা রাঃ এর কাছে চলে গিয়ে বলতে লাগলেন আমাকে কম্বলাবৃত করে দাও। তিনি তাঁকে কম্বল দিয়ে ঢেকে দিলেন। তাঁর ভয় দুরীভূত হওয়ার পর বলতে লাগলেন: আমার কী হলো আমি নিজের উপর আশংকা করছি। তাকে শান্তনা দিতে গিয়ে তার স্ত্রী খাদিজা রাজ: কি ভুমিকা ছিল? তিনি কসম করে বললেন, আল্লাহর শপথ তা কখনই হতে পারে না। আল্লাহ আপনাকে লাঞ্ছিত করবেন না। কেন লাঞ্ছিত করবেন না? কারণ: আপনি আত্বীয়তা সম্পর্ক বজায় রাখেন, বিপদ গ্রস্ত ব্যক্তিদের উদ্ধার করেন, ক্ষুধার্তদের খাবারের ব্যবস্থা করেন, মেহমানদারি করেন, বিপদগ্রস্তদের সাহায্য করেন।সর্ব প্রথম শান্তনা নিজ স্ত্রী খাদিজার কাছ থেকে পেয়েছেন।
    এ কারনেই আল্লাহ তাআলা বলেন -هن لباس لكم و انتم لباس لهن
    হে আমার বোন! হে আমার মা: আমরা কি এমন মহিয়সী মহিলা হতে পারি না ,যে মুহাজির ভাইদের সঙ্গিনী হয়ে দ্বীনের কাজ আন্জাম দেবে।
    আমি ঈমানদার না ঈমানের দাবিদার:
    একজন মা তাঁর মেয়েকে বিয়ে দেবে, তিনি ছেলে খোঁজতে গিয়ে খবর নেন, ছেলে আগে কোন বিয়ে করেছে কি না, ছেলের মাসিক ইনকাম কত, আর কত কি? খুব কম মা আছেন ছেলের দ্বীনদারি নিয়ে প্রশ্ন করেন। কনে যদি শুনতে পায় ছেলে বিবাহিত তাহলে বিবাহ বসতে রাজি হয়না। মুফতী সাহেব, আলেম সাহেব সবার একই অবস্থা , ছেলে বিবাহিত হলে মেয়ে বিয়ে দেওয়া যাবে না।
    সবার নিকট একটা প্রশ্ন চলে আসে।
    আমরা কি ঈমানদার না ঈমানের দাবিদার? অামি امنت بالله বলে ঈমান আনলাম। অথচ আল্লাহর বাণী فانكحوا ماطاب لكم من النساء مثني و ثلث وربع এ আয়াতের উপর আমল করলাম না। আমল করাকে পছন্দ করলাম না। বরং বাস্তবায়নে বাধসাধলাম। তার পর ও(و افوض امرى الى الله ) কি আমি সমর্পিত মুসলিম।
    সমাজ আজ পচনশীল:-
    হে জাতির কর্ণধার উলামায়ে কেরাম! আপনারা যদি সোচ্চার হতেন, আল্লাহর বাণী وانكحوا الامى منكم والصالحين من عبادكم এ আয়াতের উপর আমল করতেন, সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতেন। তাহলে আজ সমাজে যিনা-ব্যবিচারে সয়লাব হতনা। অবিবাহিত নারী পুরুষের বিবাহের ব্যবস্থা হয়ে যেত।
    আয়াতে বর্ণিত ايامى শব্দটি ايمএর বহুবচন
    ঐ মহিলাকে বলা হয় যার স্বামী নেই, অথবা ঐ পুরুষকে বলা হয় যার স্ত্রী নেই। চাই পূর্বে বিবাহ হয়ে থাক বা না থাক ।
    যদি সমাজে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হত। তাহলে ...
    ★যে সকল পুরুষের স্ত্রী মারা গেছে বা অসুস্থ, কিংবা তার চাহিদা এক স্ত্রী দ্বারা পূর্ণ হচ্ছে না।তাদের বিবাহর ব্যবস্থা করত।
    এতে করে সমাজ অবাধ যিনা-ব্যবিচার থেকে রক্ষা পেত।
    ★যে সকল মহিলার স্বামী মারা গেছে বা মহিলা তালাকপ্রাপ্তা, অথবা বিভিন্ন কারনে বিবাহ হচ্ছে না।
    এ দুই শ্রেণীর পুরুষ মহিলার জন্য কুরআন-হাদীসের আলোকে বিবাহের ব্যবস্থা করা হত তাহলে সমাজ থেকে যিনা-ব্যবিচারসহ নানাবিধ অপকর্ম দূর হয়ে যেত।

    বিশেষ্ট সাহাবী আবু সালামার মৃত্যুর পর বড় বড় সাহাবী পর্যন্ত বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি তাদের প্রস্তাবে সম্মত হলেন না। অতঃপর রাসুল সাঃ প্রস্তাব পাঠালে সেচ্ছায় রাজি হয়ে গেলেন।
    উপকার:- উম্মে সালমাকে রাসুল সাঃ বিয়ে করায় স্বামী হারা মহিলার আশ্রয়স্থল হল।
    শিক্ষা :- এই বিয়ের দ্বারা রাসুল সাঃ আমাদেরকে শিক্ষা দিলেন, যে বিধবা, অসহায় এবং শহিদদের পরিবারকে যেন আমরা ভূলে না যাই। এবং তাদের দেখাশোনা সহ দায়িত্ব কাধে তুলে নেই।

    বিঃদ্রঃ হযরত আয়েশা রা.ব্যতিত রাসুল সাঃ এর সকল স্ত্রী বিধবা ছিলেন।
    এমনকি কাহারো একাধিক বিবাহও হয়েছিল।
    এতে বোঝা গেল বিধবা, অসহায় বলে কাউকে ঘৃনা না করা। বরং পূণ্যের কাজে প্রতিযোগিতা করা উচিৎ।
    দায়িত্বে অবহেলা
    যদি আমরা দায়িত্বে অবহেলা করি তাহলে কোন ক্ষতি হবে কি?
    অধীনস্তরা কোন অভিযোগ করবে কি?
    হাঁ অবশ্যই
    আল্লাহ তাআলা বলেন
    و قال الذين كفروا ربنا ارنا الذين اضلنا من الجن والانس نجعلهما تحت اقدمنا ليكون من الاسفلين
    আর কাফেররা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে সেসব জ্বিন ও মানুষ উভয়কে দেখিয়ে দিন,যারা আমাদের বিপথগামী করেছিলো,আমরা তাদের উভয়কে আমাদের পদতলে দলিত করবো,যাতে তারা খুব অপদস্থ হয়।

    كلكم راع و كلكم مسءول عن رعيته
    তোমরা প্রত্যাকেই রক্ষক ,প্রত্যাককে রক্ষনাবেক্ষণ সম্পর্কে জিঙ্গাসা করা হবে।
    রাজাকে তার প্রজা সম্পর্কে, মুহতামিম/প্রধান শিক্ষককে নিজ ও অন্যান্য শিক্ষক ও তার ছাত্র/ছাত্রীদের সম্পর্কে জিঙ্গাসা করা হবে।
    হে ভাই! আমি জিঙ্গাসিতদের অন্তরভুক্ত হবো কি?
    যদি তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে তাহলে উওরের ব্যবস্থা আছে কি?

  • #2
    আল্লাহ পাক উত্তম পাত্রির ব্যবস্থা করে দিন!!
    বিবাহের ক্ষেত্রে সকলে সকলকে উদার মনে সহযোগীতা করা উচিত। অনেকে নিজে জঙ্গী, কিন্তু নিজের মেয়েকে বা বোনকে কোন জঙ্গীর কাছে বিয়ে দেওয়ার মত ঈমানী সততা দেখাতে পারে না। তাই শুধু দ্বীনদারী ও উত্তম চরিত্রের ক্ষেত্রে পছন্দনীয় হলেই অন্য কিছু না দেখে বিয়ে দেওয়া উচিত।

    আল্লাহ আমাদর স্ত্রীহীন ভাইদেরকে স্ত্রী ওয়ালা বানিয়ে দিন!!!

    Comment


    • #3
      ছালাহুদ্দীন আইয়ুবী ভাই আপনি আসলেই সত্য বলেছেন। নিজে তো ঠিক কিন্তু নিজের বোন কে দিতে গেলে শত ভেজাল সামনে এসে যায়। আল্লাহ তাদের সকলের দিলি হালত কে ভাল করুক! আমিন
      অবিরাম করাঘাতে বদ্ধ দরজাও খুলে যায়।

      Comment


      • #4
        বহুত বহুত শুকরিয়া ভাইজান। আপনি খু-ব-ই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা আপনাকে ভরপুর জাযা দান করুন। ..,আমীন
        আসলে সমাজ পরিবর্তনের জন্য আগে আমাদের পরিবর্তন হওয়া উচিত। সমাজের অনেক পুরুষ আছে; যারা দ্বিতীয় বিবাহ করতে চায় বা জরুরত আছে, কিন্তু মানুষের লজ্জার ভয়ে বা পারিবারিকভাবে মেনে না নেওয়ার ভয়ে করতে পারেন না। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সবাইকে সুমতি দান করুন। আমীন
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment


        • #5
          ভাই, কিছু বলার নাই। আসলে আমরা এক ভিন গ্রহের প্রাণীর মত জীবন যাপ। করছি। আল্লাহ আপনি আমাদের হিদায়তের উপর অটল রাখুন,আমীন।
          ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

          Comment


          • #6
            মাশাআল্লাহ!
            খুব সুন্দর হয়েছে। পোস্টটি মা, বোনদেরকে বেশী বেশী পড়ে শুনানো দরকার।
            আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে শরীয়াতের নীতীমালা বাস্তবায়ন করার তাওফীক দিন।
            হক্বের মাধ্যমে ব্যক্তি চিনো,
            ব্যক্তির মাধ্যমে হক্ব চিনো না।

            Comment


            • #7
              আল্লাহ আমাদরকে হেদায়াত দান করুন,আমিন।

              Comment


              • #8
                আল্লাহ আমাদের সকল কে বিষয়গুলোর উপর আমল করার তাওফিক দান করুক আমীন
                জিহাদই হলো মুমিন ও মুনাফিকের মাঝে
                পার্থক্যকারী একটি ইবাদাহ

                Comment


                • #9
                  আজো সৈই কাংখিত পাত্রীর খোজ পেলাম না। হ্যা ভাই তবে নিরাশ নই।
                  কারণ আল্লাহ তাআলার বাণী
                  لاتقنطوا من رحمة الله...(الزمر/٧٣)

                  তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়োনা।
                  তবে আশা রাখি মাদ্রাসা,স্কুল ,কলেজ, ভার্সিটি যে যেখানেই আছি ঐখানে থেকেই আমাদের মেহমত করার দরকার। পাশা-পাশি একটু জরিপ করার দরকার আমি কতটুকু কাজ করলাম।
                  হে বোন! আপনি চাননা জান্নাতের অধিভাষী হতে?
                  তাহলে আজ থেকেই নিজেকে নিজে প্রস্তত করুন?
                  আপনি কি চাননা আপনার বোন জান্নাতিদের অন্তভুক্ত হতে?
                  তাহলে আজ থেকেই তাকে প্রস্তত করতে চেষ্টা করুন।
                  আপনি কি চাননা আপনার বান্ধবী জান্নাতে বসবাস করুক?
                  সবুজ পাখি হয়ে ঘোরাফেরা করুক?
                  তাহলে আর দেরি কেন?
                  আজ থেকেই তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে প্রস্তত করার চেষ্টা করুন?
                  আপনি কি চাননা আপনার আশপড়শির মেয়েরা ও আপনাদের দলের অন্তভুক্ত হোক?
                  তাহলে তাদের প্রতিও একটু নজর রাখুন?
                  তাহলে তারাও আপনাদের দলের অন্তভুক্ত হয়েযাবে ইনশাআল্লাহ।
                  তাহলেত এরদ্বারা আপনিও বিশাল সাওয়াবের অধিকারী হবেন ইনশাআল্লাহ।
                  আর হ্যা ! আজ থেকে ইনশাআল্লাহ রিপোর্টের অপেক্ষা করা যায় কি?

                  Comment


                  • #10
                    Originally posted by আল কিতাব View Post
                    আজো সৈই কাংখিত পাত্রীর খোজ পেলাম না। হ্যা ভাই তবে নিরাশ নই।
                    কারণ আল্লাহ তাআলার বাণী
                    لاتقنطوا من رحمة الله...(الزمر/٧٣)

                    তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়োনা।
                    তবে আশা রাখি মাদ্রাসা,স্কুল ,কলেজ, ভার্সিটি যে যেখানেই আছি ঐখানে থেকেই আমাদের মেহমত করার দরকার। পাশা-পাশি একটু জরিপ করার দরকার আমি কতটুকু কাজ করলাম।
                    হে বোন! আপনি চাননা জান্নাতের অধিভাষী হতে?
                    তাহলে আজ থেকেই নিজেকে নিজে প্রস্তত করুন?
                    আপনি কি চাননা আপনার বোন জান্নাতিদের অন্তভুক্ত হতে?
                    তাহলে আজ থেকেই তাকে প্রস্তত করতে চেষ্টা করুন।
                    আপনি কি চাননা আপনার বান্ধবী জান্নাতে বসবাস করুক?
                    সবুজ পাখি হয়ে ঘোরাফেরা করুক?
                    তাহলে আর দেরি কেন?
                    আজ থেকেই তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে প্রস্তত করার চেষ্টা করুন?
                    আপনি কি চাননা আপনার আশপড়শির মেয়েরা ও আপনাদের দলের অন্তভুক্ত হোক?
                    তাহলে তাদের প্রতিও একটু নজর রাখুন?
                    তাহলে তারাও আপনাদের দলের অন্তভুক্ত হয়েযাবে ইনশাআল্লাহ।
                    তাহলেত এরদ্বারা আপনিও বিশাল সাওয়াবের অধিকারী হবেন ইনশাআল্লাহ।
                    আর হ্যা ! আজ থেকে ইনশাআল্লাহ রিপোর্টের অপেক্ষা করা যায় কি?
                    আল্লাহ আমাদের বোনদের সঠিক ভাবে আমল করার তাওফিক দিন!
                    فمن یکفر بالطاغوت ویٶمن بالله فقد استمسک بالعروت الوثقی'
                    کم من فاة قلیلة غلبت فاة کثیرة باذن الله

                    Comment


                    • #11
                      আজো সৈই আশা ছাড়িনি।
                      তবে এখনো তা পূরণ হয়নি।
                      অর্থাৎ বাস্তবায়ন হয়নি।
                      কিভাবে হবে?
                      কারন আমাদের অধিকাংশই তো দাবিদার।

                      আশা কেন ছাড়ব?
                      কারন আল্লাহ তাআলার বাণী
                      انه لا ييئس من روح الله الا القوم الكافرون (يوسف/٨٧)
                      অবশ্যই আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হয়না তবে কাফের সম্পদায়। অর্থাৎ মুমিনগণ আল্লাহর রহমত নিরাশ হয়না ।শুধু কাফেররাই আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হয়।
                      তবে রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি।
                      রিপোর্ট পাব কি?
                      আপনি বলতে পারেন রিপোর্ট দেবে কে?
                      তাহলে শুনোন!
                      1)স্কুল পড়ুয়া
                      2)মাধ্যমিক স্কুল
                      3) কলেজ
                      4) ভার্সিটি
                      5) মাদ্রাসা(পুরুষ শাখা)
                      6) মাদ্রাসা(মহিলা শাখা)
                      এগুলোর মাঝে শিক্ষারত ছাত্র , ছাত্রী
                      7)গার্মেন্টস
                      8)ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
                      9) চাকুরীজীবী (সরকারী)
                      10) চাকুরীজীবী (বেসরকারী )
                      11) ব্যাংক
                      12) সাধারণ (পুরুষ/মহিলা)
                      13)জনগণ
                      ইত্যাদি
                      সকলস্তরের লোকদের মেহনত করতে হবে কি?
                      হ্যা! অবশ্যই সকলস্তরের লোকদেরই মেহনত করতে হবে।
                      কোনস্তরে বাকি থাকলে ঐস্তরের লোক প্রশ্নের সম্মুখীন হবে কি?
                      হ্যা! অবশ্যই ঐস্তরের লোক সকলেই প্রশ্নের সম্মুখীন হবে।
                      ঐসময় বাচার কোন সুরত থাকবে কি?
                      বিঃদ্রঃ ঃ গাজওয়াতুল হিন্দ তো অতি নিকটে। এরজন্য দ্রুত প্রস্ততি আবশ্যক নয় কি?
                      আপনি প্রস্ততি নিয়েছেন কি?



                      ★হে জাতির কর্ণধার উলামায়ে কেরাম! আপনারা যদি সোচ্চার হতেন, আল্লাহর বাণী وانكحوا الامى منكم والصالحين من عبادكم এ আয়াতের উপর আমল করতেন, সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতেন। তাহলে আজ সমাজে যিনা-ব্যবিচারে সয়লাব হতনা। অবিবাহিত নারী পুরুষের বিবাহের ব্যবস্থা হয়ে যেত।
                      আয়াতে বর্ণিত ايامى শব্দটি ايمএর বহুবচন
                      ঐ মহিলাকে বলা হয় যার স্বামী নেই, অথবা ঐ পুরুষকে বলা হয় যার স্ত্রী নেই। চাই পূর্বে বিবাহ হয়ে থাক বা না থাক ।*
                      যদি সমাজে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হত। তাহলে ...
                      ★যে সকল পুরুষের স্ত্রী মারা গেছে বা অসুস্থ, কিংবা তার চাহিদা এক স্ত্রী দ্বারা পূর্ণ হচ্ছে না।তাদের বিবাহর ব্যবস্থা করত।
                      এতে করে সমাজ অবাধ যিনা-ব্যবিচার থেকে রক্ষা পেত।
                      ★যে সকল মহিলার স্বামী মারা গেছে বা মহিলা তালাকপ্রাপ্তা, অথবা বিভিন্ন কারনে বিবাহ হচ্ছে না।
                      এ দুই শ্রেণীর পুরুষ মহিলার জন্য কুরআন-হাদীসের আলোকে বিবাহের ব্যবস্থা করা হত তাহলে সমাজ থেকে যিনা-ব্যবিচারসহ নানাবিধ অপকর্ম দূর হয়ে যেত।




                      ★বিশেষ্ট সাহাবী আবু সালামার মৃত্যুর পর বড় বড় সাহাবী পর্যন্ত বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি তাদের প্রস্তাবে সম্মত হলেন না। অতঃপর রাসুল সাঃ প্রস্তাব পাঠালে সেচ্ছায় রাজি হয়ে গেলেন।

                      ★উপকার:- উম্মে সালমাকে রাসুল সাঃ বিয়ে করায় স্বামী হারা মহিলার আশ্রয়স্থল হল।
                      ★শিক্ষা :- এই বিয়ের দ্বারা রাসুল সাঃ আমাদেরকে শিক্ষা দিলেন, যে বিধবা, অসহায় এবং শহিদদের পরিবারকে যেন আমরা ভূলে না যাই। এবং তাদের দেখাশোনা সহ দায়িত্ব কাধে তুলে নেই।

                      ★হে বোন ! আপনি তো জানেন , আপনাদেরই সন্তান খালেদ বিন অলিদ,*
                      মুহাঃ বিন কাসেম, টিপু সুলতান, সালাহুদ্দিন আয়ুবি। তারাত আপনারই মত মায়ের সন্তান,আপনারই মত বোনের ভাই।

                      তারা যদি নিজেদের গর্ভে এমন সন্তান ধারণ করে,তাহলে ফিকির করুন, আপনিও তো তাদেরই মত মা, তাদেই মত বোন, তাদেরই মত মেয়ে। তাদের সন্তান বীর-বাহাদুর হলে, আপনার সন্তান হবে না কেন? আপনি কি কোন দিন চিন্তা-ফিকির করেছেন, যদি আল্লাহ তাআলা জিঙ্গাসা করেন?

                      ★ ক্বিতালের প্রায় (288 )আয়াত কেন অন্তরে বসালে না। যদি বসাতে ,তাহলে তুমি প্রস্ততি নিতে। নিজে না হয় ছেলে, স্বামী, ভাই, ভাতিজা ও আত্মীয়-সজনকে তৈরী করতে। মেয়ে, বোন , ভাতিজি, ভাগিনি,ভাইজি প্রয়োজনে নিজেও মুজাহিদা হতে, বা মুজাহিদ ছেলের জন্য তৈরী করতে, তাহলে তারা মুজাহিদের সঙ্গীনি হয়ে দ্বীনের কাজে সহযোগীতা করত। কেন তুমি তা করলে না। ঐসময় কি উওর দিবেন ? প্রস্ততি নিয়েছেন তো?

                      ★হে মুজাহিদ ভাই! আপনি কি কখনো আপনার মা,আপনার বোন, ভাতিজি , ভাগিনি, পাড়া পড়শীর মেয়েদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করেছেন? যদি তারা আপনার ব্যপারে অভিযোগ করে যে, তারাতো হক্ব, সঠিক বিষয়গুলো স্পষ্ট ভাবে, সুন্দর করে খোলাখুলি বলেনি। ঐসময় উওর দিতে পারবেন তো?




                      ★হে আমার মা: আপনি কি আপনার মেয়েকে একজন মুজাহিদা হিসেবে তৈরী করেছেন?
                      যে নাকি নিজের জীবনকে বিলিয়ে দেবে দ্বীনের তরে। প্রতি নিয়ত অপেক্ষা করবে সেই কাঙ্খিত পুরুষের, যে নিজেকে দ্বীনের জন্য বিলিয়ে দিচ্ছে ।
                      ★হে আমার বোন : আপনি কি কখনও নিজেকে নিয়ে ভেবেছেন?
                      কখনও নিজেকে দাঁড় করেছেন দ্বীন বিজয়ী মুজাহিদের পাশে?
                      কখনও কি ভেবেছেন আমিও হব একজন মুজাহিদা, কোন মুজাহিদের সহযোগী?
                      যার সাথে,নির্যাতিত, নিপিড়িত, অসহায় মুসলিমের সেবায় অংশ নেবো।

                      " আমরা হব তালেবান
                      বাংলা হবে আফগান"

                      ★ হে আমার মুজাহিদ-মুজাহিদা ভাই বোনেরা! কমেন্টে আমরা লিখি বা দেখি " আমরা হব তালেবান বাংলা হবে আফগান"
                      প্রশ্ন হবে! আমরা বাস্তবে মুজাহিদ না শুধু দ্বাবীদার:
                      কারন আমরা কি আমাদের বোন, ভাগিনি, ভাতিজি, পাড়া-প্রতিবেশী মেয়েদেরকে এভাবে গড়তে পেরেছি। তাদের আদর্শ গ্রহণ করেছি?
                      প্রশ্ন হতে পারে! তাদের আদর্শ বা নমুনা কি?
                      উওর সহজ সাহাবাদের আদর্শ বা নমুনাই হল তাদের আদর্শ বা নমুনা ।*
                      ★আফগান মেয়েরা !মুহাজির মুজাহিদ কোন ছেলে বিবাহের ইচ্ছা পুষণ করলে, তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে দ্বীনী খেদমতে সদা প্রস্তুত থাকে।
                      আমরা কি এভাবে গড়তে পেরেছি , বা তৈরী করতে পেরেছি।
                      নিজেরা প্রস্তত হতে পেরেছি।

                      আমি ঈমানদার না ঈমানের দাবিদার:

                      ★একজন মা তাঁর মেয়েকে বিয়ে দেবে, তিনি ছেলে খোঁজতে গিয়ে খবর নেন, ছেলে আগে কোন বিয়ে করেছে কি না, ছেলের মাসিক ইনকাম কত, আর কত কি? খুব কম মা আছেন ছেলের দ্বীনদারি নিয়ে প্রশ্ন করেন। কনে যদি শুনতে পায় ছেলে বিবাহিত তাহলে বিবাহ বসতে রাজি হয়না। মুফতী সাহেব, আলেম সাহেব সবার একই অবস্থা , ছেলে বিবাহিত হলে মেয়ে বিয়ে দেওয়া যাবে না।*
                      সবার নিকট একটা প্রশ্ন চলে আসে।
                      আমরা কি ঈমানদার না ঈমানের দাবিদার? অামি امنت بالله বলে ঈমান আনলাম। অথচ আল্লাহর বাণী فانكحوا ماطاب لكم من النساء مثني و ثلث وربع এ আয়াতের উপর আমল করলাম না। আমল করাকে পছন্দ করলাম না। বরং বাস্তবায়নে বাধসাধলাম। তার পর ও(و افوض امرى الى الله ) কি আমি সমর্পিত মুসলিম।*

                      Comment


                      • #12
                        মাশাআল্লাহ,জাযাকাল্লাহ,আল্লাহ্* ভাইদের মেহনত কবুল করুন।

                        Comment


                        • #13
                          সুখবর! সুখবর! সুখবর!
                          আলহামদুলিল্লাহ সন্ধান পেয়েছি।
                          প্রশ্ন হতে পারে; কিসের সন্ধান পেয়েছেন?
                          তাহলে বলা হবে আল্লাহর বাণীর বাস্তবায়ন


                          يا بني اذهبوا فتحسسوا من يوسف واخيه ولا تيئسوا من روح الله انه لا ييئس من روح الله الا القوم الكافرون (ىوسف/٨٧)
                          শুধু সন্ধান পাওয়া নয়, আলহামদুলিল্লাহ বিবাহ ও হয়েছে।
                          এটা মূলত আপনাদেরই অবদান।
                          প্রশ্ন হতে পারে আপনারা কারা?
                          তাহলে শুনুন!
                          1)স্কুল পড়ুয়া
                          2)মাধ্যমিক স্কুল
                          3) কলেজ
                          4) ভার্সিটি
                          5) মাদ্রাসা(পুরুষ শাখা)
                          6) মাদ্রাসা(মহিলা শাখা)
                          এগুলোর মাঝে শিক্ষারত ছাত্র , ছাত্রী এবং কর্মরত শিক্ষক ও শিক্ষিকাগণ
                          7)গার্মেন্টস এর মালিক ও কর্মী
                          8)ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ও শ্রমিক
                          9) চাকুরীজীবী (সরকারী)
                          10) চাকুরীজীবী (বেসরকারী )
                          11) ব্যাংকের কর্মকর্তা
                          12) সাধারণ (পুরুষ/মহিলা)
                          13)জনগণ
                          ইত্যাদি
                          আপনাদের মেহনতের কারণেই আল্লাহ তাআলা সহজ করে দিয়েছেন। কোন এক শ্রেণির লোকজন বলতে পারে আমরাতো মেহনত করিনি।
                          তাহলে উত্তর আসবে আজ থেকেই আপনারা মেহনত শুরু করুন, না হয় মুনাফেকের তালিকায় আপনার /আপনাদের নাম চলে আসতে পারে।
                          আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে বুঝার ও এর উপর আমল করার তাওফিক দান করুক। আমিন।

                          Comment

                          Working...
                          X