Announcement

Collapse
No announcement yet.

জিহাদ উত্তম না নামায উত্তম?

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জিহাদ উত্তম না নামায উত্তম?

    আদনারমারুফ ভাইয়ের পোস্টের উপর এক ভাইয়ের প্রশ্ন:

    আমরা সাধারণত জানি যে, একজন মানুষ নাবালেগ বা অন্য ধর্ম থেকে ইসলাম গ্রহণের পর প্রথম যে ফরজ তার উপর অবশ্যক হয় তা হলো, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া। এই বিষয়ে কোন দলিল আছে? ঈমান আনর পর প্রথম ফরজ নামাজ, জিহাদ, নাকি অন্য কোন ফরজ ইবাদত? আপনার লেখা থেকে বুঝলাম, ঈমানের পর প্রথম ফরজ জিহাদ। শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম রহ. এর কিতাবেও আছে, ঈমান আনার পর প্রথম ফরজ মুসলিম ভূমির প্রতিরক্ষা। প্রিয় ভাই বিষয়টা একটু ক্লিয়ার করে দিলে ভালো হতো।

    উত্তর:
    বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম


    আরকানে খামসা তথা ঈমান এবং ফরয নামায, ফরয রোযা, ফরয হজ্ব ও ফরয যাকাত- এগুলোর গুরুত্ব শরীয়তে সবচেয়ে বেশি। এগুলো শরীয়তের মূল ভিত্তি এবং ফরযে আইন। এগুলোর সমকক্ষ অন্য কোন ইবাদাত নেই। এমনকি ফরযে কিফায়া জিহাদও না। তবে স্বাভাবিক অবস্থায় আমর বিল মা’রূপ, নাহি আনিল মুনকার ও জিহাদ সকল নফল ইবাদাতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। নফল নামায, নফল রোযা, নফল হজ্ব ও নফল যাকাতসহ অন্য যত নফল ইবাদাত রয়েছে, সেগুলোর চেয়ে জিহাদ উত্তম। এজন্য যদি বলা হয়, ‘ঈমানের পর প্রথম ফরয জিহাদ’ কিংবা ‘ঈমানের পর সর্বোত্তম ইবাদাত জিহাদ’- তাহলে আপাত দৃষ্টিতে কথাটা কুরআন সুন্নাহর বিপরীত হয়। কেননা, ঈমানের পর সর্বোত্তম আমল ফরয নামায। এটি কুরআন সুন্নাহয় সুস্পষ্ট। তবে যদি বলা হয়, ‘সকল নফল ইবাদাতের চেয়েও উত্তম ইবাদাত জিহাদ’ তাহলে কথাটি ঠিক আছে। এ হল স্বাভাবিক অবস্থার কথা।


    পক্ষান্তরে যদি শত্রু আক্রমণ করে বসে এবং নামায রোযার মতো জিহাদও ফরযে আইন হয়ে যায়, তাহলে ফরযে আইন হওয়ার দিক থেকে জিহাদ-নামায একই সারিতে চলে এল। তবে এ ক্ষেত্রেও জিহাদ ফরয নামাযের চেয়ে উত্তম বলা মুশকিল। কুরআন সুন্নাহয় নামাযকে সর্বপ্রথম রাখা হয়েছে। ফরয নামাযের চেয়ে জিহাদ উত্তম এমন কোন হাদিস আছে বলে আমার জানা নেই। তবে এটা সত্য যে, তখন যদি নামায এবং জিহাদের মধ্যে তাআরুজ দেখা দেয় যে, একটা করতে গেলে আরেকটা ছুটে যাবে, তাহলে জিহাদ অগ্রাধিকার পাবে। অর্থাৎ নামায পিছিয়ে দিয়ে জিহাদ চালিয়ে যেতে হবে। তবে এটা জিহাদ নামাযের চেয়ে শ্রেষ্ট- এ কারণে নয়। বরং এর কারণ হচ্ছে, নামায এমন ইবাদাত যা কাযা করা সম্ভব, পরে আদায় করা সম্ভব। কিন্তু জিহাদ এমন যে, এটি পিছিয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। এটি পিছিয়ে দিতে গেলে শত্রু দখলদারিত্ব কায়েম করবে। ইসলাম ও মুসলমানদের শেষ করে দেবে। এ দৃষ্টিকোণ থেকে জিহাদ অগ্রাধিকার পাবে। জিহাদ চালিয়ে যেতে হবে আর নামায পিছিয়ে দিতে হবে। যেমন খন্দকের যুদ্ধে রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন ওয়াক্ত নামায পিছিয়ে দিয়েছিলেন। পিছিয়ে দেয়ার সুযোগ না থাকায় জিহাদ অগ্রে রাখা হচ্ছে। এতে জিহাদ নামাযের চেয়ে শ্রেষ্ঠ সাব্যস্ত হয় না।

    ইমাম ক্বারাফি রহ. (৬৮৪ হি.) এর উদাহরণ দিয়েছেন কুরআন তিলাওয়াত এবং আযানের জওয়াব দিয়ে। কুরআন তিলাওয়াত আযানের জওয়াবের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। কিন্তু মুআযযিন আযান শুরু করে দিলে কুরআন তিলাওয়াত বন্ধ করে আযানের জওয়াব দিতে হয়। কারণ, কুরআন তিলাওয়াত পরেও করা যাবে, কিন্তু আযানের জওয়াব আযান শেষ হয়ে গেলে আর দেয়া যাবে না। ইমাম ক্বারাফি রহ. বলেন,
    إذا تعارضت الحقوق قدم منها المضيق على الموسع ... ويقدم الفوري على المتراخي... ولذلك يقدم ما يخشى فواته على ما لا يخشى فواته، وإن كان أعلى رتبة منه كما تقدم حكاية قول المؤذن على قراءة القرآن؛ لأن قراءة القرآن لا تفوت. اهـ

    “একাধিক হকের মাঝে যদি তাআরুজ দেখা দেয় (যে, একটা করতে গেলে আরেকটা করা যাবে না) তাহলে যেটা পিছিয়ে দেয়ার সুযোগ আছে সেটাকে পিছিয়ে দিয়ে যেটা পিছিয়ে দেয়ার সুযোগ নেই সেটা করা হবে। ... যেটা এখনই করা জরুরী সেটাকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে, যেটা পরে করার সুযোগ আছে সেটার উপর। ... এ কারণেই যেটা ছুটে যাবার আশঙ্কা সেটা অগ্রাধিকার পাবে সেটার উপর, যেটা ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা নেই; যদিও তা (যেটা আগে করা হচ্ছে সেটার তুলনায়) উচ্চ মার্যাদার হয়। যেমন, কুরআন তিলাওয়াত রেখে আযানের জওয়াব দেয়া হবে। কেননা, কুরআন তিলাওয়াত ছুটে যাবার ভয় নেই।”- আলফুরুক্ব: ২/২০৩


    লক্ষ করুন- “যদিও তা (যেটা আগে করা হচ্ছে সেটার তুলনায়) উচ্চ মার্যাদার হয়।”


    জিহাদ ও নামাযের বিষয়টাও এমনই। নামায পরে কাযা করা যাবে হিসেবে পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, নামাযের চেয়ে জিহাদ উত্তম।


    ইবনে তাইমিয়া রহ., জাসসাস রহ. বা আব্দুল্লাহ আযযাম রহ.- তাদের কেউ জিহাদকে ফরয নামাযের চেয়ে উত্তম বলেছেন বলে আমার জানা নেই। তারা এটা বলেছেন যে, ক্ষেত্র বিশেষে ফরযে আইন জিহাদের গুরুত্ব ফরযে আইন নামাযের চেয়ে বেশি। অর্থাৎ নামায ছুটে গেলেও জিহাদ বন্ধ রাখা যাবে না। জিহাদ চালিয়ে যেতে হবে আর নামায পরে কাযা করে নিতে হবে। যেখানে তারা জিহাদকে নামাযের চেয়ে উত্তম বলেছেন, সেখানে নফল নামায উদ্দেশ্যে। অনেক জায়গায় স্পষ্ট করেই বলা আছে। আর যেখানে স্পষ্ট বলা নাই, সেখানে উদ্দেশ্য এটাই। আশাকরি বিষয়টা স্পষ্ট হয়েছে। এ বিষয়ে শায়খ আব্দুল কাদির বিন আব্দুল আজিজ (ফাক্কাল্লাহু আসরাহ) এর একটি সুন্দর লেখা আছে। আরবি জানা ভাইদের উচিৎ সেটা পড়ে নেয়া। মাত্র পনের পৃষ্ঠার। শিরোনাম-
    رد على سفر الحوالي وتعليقه على كتاب الشيخ المجاهد عبد الله عزام "الدفاع عن أراضى المسلمين أهم فروض الأعيان"



    এ গেল ফজিলতের কথা। আর ঈমানের পর প্রথম ফরয কোনটি- এ ব্যাপারে কথা হল, ঈমানের পর প্রথম ফরয একেক জনের জন্য একেকটি। যার তাওহিদের জ্ঞান নেই, ঈমান আনার পর প্রথম ফরয তাওহিদের জ্ঞানার্জন। যদি নামাযের সময়ে ঈমান এনে থাকে, তাহলে প্রথম ফরয নামায পড়ে নেয়া। যদি শত্রু আক্রমণের সময় ঈমান এনে থাকে, তাহলে প্রথম ফরয শত্রু প্রতিহত করা। এভাবে একেক জনের জন্য একেকটা প্রথম ফরয।

    যদি আমার ভুল হয়, তাহলে শুধরে দিলে ইনশাআল্লাহ খুশি হবো।
    ***

    এ ব্যাপারে নিচের লেখাটাও দেখা যেতে পারে-
    জিহাদ ও অন্যান্য ফরযের সমন্বয় সাধনই মধ্যমপন্থা
    https://my.pcloud.com/publink/show?code=XZfmdE7ZlqIurUqtijmNW5mSWAg5WRWuTmrk






  • #2
    অনেক উপকারী পোস্ট।
    মাশা আল্লাহ!
    আল্লাহ তায়ালা ভাইকে ইলম,আমাল,ইখলাস ও তাকওয়া পরিপূর্ণরুপপে দান করুন।
    আমীন!
    إن الله معنا

    Comment


    • #3
      ভাই, অনেক উত্তম
      ভাবে তাত্ববিক দিয়েছেন আল্লাহ কবুল করুন, আমীন।
      ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

      Comment


      • #4
        Originally posted by ইলম ও জিহাদ View Post
        এজন্য যদি বলা হয়, ‘ঈমানের পর সর্বোত্তম ইবাদাত জিহাদ’ তাহলে আপাত দৃষ্টিতে কথাটা কুরআন সুন্নাহর বিপরীত হয়। কেননা, ঈমানের পর সর্বোত্তম আমল ফরয নামায। এটি কুরআন সুন্নাহয় সুস্পষ্ট। তবে যদি বলা হয়, ‘সকল নফল ইবাদাতের চেয়েও উত্তম ইবাদাত জিহাদ’ তাহলে কথাটি ঠিক আছে।


        মুহতারাম ইলম ও জিহাদ ভাই, আপনি খুব সুন্দর ও উপকারী আলোচনা করেছেন, আল্লাহ আপনাকে জাযায়ে খায়ের দান করুন। তবে ঈমানের পরে সর্বোত্তম আমল জিহাদ এটা তো নিচের হাদিসের সুস্পষ্ট বক্তব্য,
        عن أبي هريرة، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم سئل: أي العمل أفضل؟ فقال: «إيمان بالله ورسوله». قيل: ثم ماذا؟ قال: «الجهاد في سبيل الله» قيل: ثم ماذا؟ قال: «حج مبرور». صحيح البخاري: (26) صحيح مسلم: (83)

        কেননা এখানে ثم শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, সুতরাং হাদিসে কোন বিষয় স্পষ্টভাবে আসার পর সে কথাটা বলা সম্ভবত আপাতদৃষ্টিতেও কুরআন-হাদিসের খেলাফ নয়। এ ধরণের বক্তব্য আলেমদের থেকেও পাওয়া যায়, ইবনে তাইমিয়া মাজমুউল ফাতাওয়ায় (৩৫/১৬০) বলেন,
        ومعلوم أن الجهاد والأمر بالمعروف. والنهي عن المنكر: هو أفضل الأعمال كما قال صلى الله عليه وسلم " {رأس الأمر الإسلام وعموده الصلاة وذروة سنامه الجهاد في سبيل الله تعالى} " وفي الصحيح عنه صلى الله عليه وسلم أنه قال: {إن في الجنة لمائة درجة ما بين الدرجة إلى الدرجة كما بين السماء إلى الأرض أعدها الله عز وجل للمجاهدين في سبيله} " وقال صلى الله عليه وسلم " {رباط يوم وليلة في سبيل الله خير من صيام شهر وقيامه} " ومن مات مرابطا مات مجاهدا وجرى عليه عمله وأجري عليه رزقه من الجنة وأمن الفتنة. والجهاد أفضل من الحج والعمرة كما قال تعالى: {أجعلتم سقاية الحاج وعمارة المسجد الحرام كمن آمن بالله واليوم الآخر وجاهد في سبيل الله لا يستوون عند الله والله لا يهدي القوم الظالمين} {الذين آمنوا وهاجروا وجاهدوا في سبيل الله بأموالهم وأنفسهم أعظم درجة عند الله وأولئك هم الفائزون} {يبشرهم ربهم برحمة منه ورضوان وجنات لهم فيها نعيم مقيم} {خالدين فيها أبدا إن الله عنده أجر عظيم} . والحمد لله رب العالمين وصلاته وسلامه على خير خلقه سيدنا محمد وعلى آله وصحبه أجمعين.


        হা, অন্যান্য হাদিসের আলোকে নিসন্দেহে ফরয নামায জিহাদের চেয়ে উত্তম, এবং রোযা ও অন্যান্য আরকানের গুরুত্বও জিহাদের চেয়ে বেশি, তবে আমার মতে হাদিসের এই ব্যাখা করা ঠিক নয় যে, হাদিসে উল্লেখিত আমল দ্বারা নফল আমল উদ্দেশ্য। কারণ এ ধরণের ব্যাখায় হাদিসের মূল আবেদন হারিয়ে যায়, এ কারণেই সালাফ তারগীব ও তারহীবের হাদিসে তা’বীল করার বিরোধীতা করেছেন এবং সেগুলোকে যেভাবে হাদিসে এসেছে সেভাবেই বর্ণণা করতে বলেছেন, কাশ্মিরী রহিমাহুল্লাহ ফয়যুল বারীতে (৫/৫২৩) বলেন,
        وهذا هو الطريق في جميع أحاديث الوعد والوعيد، فإنها ترد مرسلة عن القيود والشروط لتكون أرغب، وأهيب. ومن لا يراعيه يزعم الكلام ناقصا، ثم يزيد عليه القيود من قبله كالإصلاح له. وهذا السلف لم يكونوا يتقدمون إلى مثله، بل كانوا يكرهون التأويل

        এর হাশিয়ায় বদরে আলম মিরাঠী বলেন,
        أخرج الترمذي في أبواب البر والصلة، في باب ما جاء في رحمة الصبيان: قال علي بن المديني: قال يحيى بن سعيد: كان سفيان الثوري ينكر هذا التفسير: ليس منا، ليس مثلنا. وقال النووي: وكان سفيان بن عيينة يكره قول من يفسر: ليس على هدينا، ويقول: بئس هذا القول، يعني بل يمسك عن تأويله ليكون أوقع في النفوس، وأبلغ في الزجر.

        তাছাড়া হাদিসে জিহাদকে ইমানের পরে সর্বোত্তম আমল বলা হয়েছে, আর ইমান তো কোন নফল আমল নয়, সুতরাং হাদিসে আমল দ্বারা কিভাবে নফল আমল উদ্দেশ্য হবে? আর আরকানে খমসার পরে অন্যান্য ফরযের চেয়ে জিহাদ (বিশেষকরে ফরযে আইন জিহাদ) উত্তম হতে বাধা কোথায়? দেখুন, আমরা জানি, হালাল রিযিক অন্বেষণ করা ফরযে আইন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
        «طلب الحلال واجب على كل مسلم»
        قال الهيثمي: رواه الطبراني في الأوسط، وإسناده حسن:

        অথচ জিহাদের ফযিলত হালাল রিযিক অন্বেষণ করার চেয়ে অনেক অনেক বেশি। আর কোন আমল অন্য আমলের চেয়ে উত্তম হওয়ার অর্থ তো এটাই যে তার ফযিলত বেশি। আর করাফী রহিমাহুল্লাহু যে ফরযে আইনকে ফরযে কেফায়ার উপর مقدم বা অগ্রগণ্য বলেছেন, তো এর উদ্দ্যেশ্য শায়েখ আব্দুল কাদের স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি বলেছেন, কোন আমল অগ্রগণ্য হওয়া তা শ্রেষ্ঠ হওয়ার দলিল নয় التقديم لا يعني التفضيل بالضرورة

        তাই আমাদের কাজ হলো হাদিসে নামায, জিহাদ, যিকর, কুরআন শিক্ষা দেওয়া ইত্যাদি যেসব আমলকে সর্বোত্তম আমল বলা হয়েছে আমরাও সেগুলোকে সর্বোত্তম আমল বলবো, যেন সবগুলোর প্রতিই আমাদের অন্তরে আগ্রহ সৃষ্টি হয়। আর এগুলোর মধ্যে কোনটি বেশি উত্তম তা নিয়ে আমাদের বেশি মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই। কেননা নামায ব্যতীত অন্যান্য যেসব আমলকে সর্বোত্তম আমল বলা হয়েছে তা স্থান-কাল-পাত্রের দাবী অনুযায়ী বলা হয়েছে, সুতরাং কোথাও জিহাদের ব্যাপারে শিথিলতা দেখা গেলে জিহাদকে সর্বোত্তম আমল বলে মানুষকে জিহাদের প্রতি উৎসাহিত করতে কোন বাধা নেই, যেমনিভাবে দূর্ভিক্ষের সময়ে ‘খাবার খাওয়ানো ইসলামের সর্বোত্তম আমল’ এ হাদিস বলে মানুষকে সাহায্যা-সহযোগিতার প্রতি উদ্বুদ্ধ করতেও কোন সমস্যা নেই। বরং কোন মুজাহিদ মা-বাবার আনুগত্য ও সেবায় ক্রটি করলে তাকে এটাও বলা দরকার যে, সহিহ বুখারী (৫২৭) ও সহিহ মুসলিমের (৮৭) হাদিসে মা বাবার আনুগত্য ও সেবাকে নামাযের পরে সর্বোত্তম আমল বলা হয়েছে এবং জিহাদকে তৃতীয় স্তরে রাখা হয়েছে, সুতরাং জিহাদের কাজের সাথে সাংঘর্ষিক না হলে মা-বাবার আনুগত্য ও সেবায় কোন ক্রটি করা যাবে না। এ বিষয়টি শায়েখ আব্দুল কাদের রহিমাহুল্লাহ আপনার উল্লিখিত রিসালায় হাফেয ইবনে হাযার থেকে নকল করেছেন,

        الأفضلية المطلقة لكل زمان ومكان هي التوحيد، والأفضلية المقيدة بزمان معين كيوم النحر هي الأضحية باعتبارها من خصائص هذا اليوم، وإن الإشارة لفضلها هي من باب التنبيه.

        ومن ذلك أيضاً أن رسول الله صلى الله عليه وسلم , سئل: أي الإسلام أفضل؟، قال: ((من سلم المسلمون من لسانه ويده)) رواه البخاري.
        وسئل صلى الله عليه وسلم: أي الإسلام خير؟ قال: ((تطعم الطعام , وتقرأ السلام على من عرفت ومن لم تعرف)) رواه البخاري الحديثان 11 و 12.
        ولا شكَّ أن أفضل الإسلام هو التوحيد والشهادتان , وكذلك بقية أركان الإسلام أفضل من إطعام الطعام، ولكن التفضيل ورد بحسب حال السائل أو الوقت كما قاله ابن حجر رحمه الله: وعلى تقدير اتحاد السؤالين جواب مشهور: وهو الحمل على اختلاف حال السائلين أو السامعين، فيمكن أن يراد في الجواب الأول: تحذير مَن خشي منه الإيذاء بيد أو لسان إلى الكف، وفى الثاني: ترغيب مَن رجي فيه النفع العام بالفعل والقول , فأرشد إلى ذلك، وخصَّ هاتين الخصلتين بالذكر لمسيس الحاجة إليهما في ذلك الوقت لِمَا كانوا فيه من الجهد لمصلحة التأليف


        আমার আলোচনার উদ্দেশ্যে বিষয়গুলো স্পষ্ট হওয়া, এতে কোন ভুল হলে ভাইদের কাছে শুধরে দেওয়ার অনুরোধ রইল, উমর রাযি. কতই না উত্তম কথা বলেছেন, رحم الله امرا أهدى إلي عيوبي
        الجهاد محك الإيمان

        জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

        Comment


        • #5
          Assalamo alaikom. mohtaram ilmOjihad O adnan maruf vai ! ekti bishoy jante cacchi.
          shohid howar jonno kono shorto ache ki na ? shohider shorto ki ki ?? ektu bistarito bornona dile upokar hobe.inshallah.

          allah apnderar ilm O amole borkot dan korun.amin
          jazakumullahkhair. amin

          Comment


          • #6
            হে আল্লাহ! আমাদের সবাইকে দ্বীনের সহীহ বুঝ দান করুন এবং গোমরাহীর রাস্তা থেকে হেফাযত করুন। আমীন
            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

            Comment


            • #7
              আসলে ভাই, ‘ঈমানের পর সর্বোত্তম আমল জিহাদ’ কিংবা ‘ঈমানের পর প্রথম ফরয জিহাদ’ এ কথা কোনক্রমেই বলা যাবে না- এটা আমার উদ্দেশ্য নয়। আমার উদ্দেশ্য: ‘ঈমানের পর সর্বাবস্থায় সকলের প্রথম ফরয বা সর্বোত্তম আমল জিহাদ’- এ ধারণার খন্ডন করা; যেন শরীয়তের অন্যান্য ফরযের ব্যাপারে গাফলত না হয়।

              Comment


              • #8
                Originally posted by takmil View Post
                Assalamo alaikom. mohtaram ilmOjihad O adnan maruf vai ! ekti bishoy jante cacchi.
                shohid howar jonno kono shorto ache ki na ? shohider shorto ki ki ?? ektu bistarito bornona dile upokar hobe.inshallah.

                allah apnderar ilm O amole borkot dan korun.amin
                jazakumullahkhair. amin

                আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ ইলম ও জিহাদ ভাই,
                এই ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করলে ইনশাআল্লাহ উপকৃত হতাম। জাঝাকাল্লাহ খাইর।

                Comment


                • #9
                  শহিদ হওয়ার জন্য তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত রয়েছে,
                  ১/ জিহাদ ইখলাসের সাথে হওয়া, অর্থাৎ আল্লাহর দ্বীনের বুলন্দি এবং শরিয়ত কায়েমের উদ্দেশ্য জিহাদ করা। জাতীয়তাবাদ, গনতন্ত্র বা অন্য কোন কুফরী মতবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য কিংবা রাজ্যলাভ, বীরযোদ্ধা হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন ইত্যাদি দুনিয়াবী উদ্দেশ্যে যুদ্ধ করে মারা গেলে শহিদ হওয়া তো দূরের কথা বরং হাদিসের ভাষ্। (সহিহ মুসলিম: ১৯০৫), হাঁ, যদি দীন কায়েম করাই মূল উদ্দেশ্য হয়, সাথে গণিমত লাভেরও ইচ্ছা থাকে তাহলে কোন সমস্যা নেই।

                  ২/যুদ্ধক্ষেত্রে অটল থাকা, পলায়ন না করা, পলায়নরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে শহিদ হবে না। (সহিহ মুসলিম, ১৮৮৫)

                  ৩/গণীমতে খেয়ানত না করা। (সহিহ বুখারী, ৪২৩৪ সহিহ মুসলিম, ১১৫)

                  এখন সংক্ষিপ্তভাবে শর্তগুলো উল্লেখ করলাম, আগামীতে এই বিষয়গুলো দলিলসহ বিস্তারিত আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
                  الجهاد محك الإيمان

                  জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

                  Comment


                  • #10
                    বারাকাল্লাহু ফী আ'মালিকুম।
                    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

                    Comment


                    • #11
                      জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।
                      আল্লাহ তায়ালা আপনাদের মেহনতকে কবুল করুন। আমিন।
                      আনসারকে ভালোবাসা ঈমানের অংশ।
                      নিজে আনসার হব, অন্যকে আনসার বানানোর চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

                      Comment


                      • #12
                        আদনান মারুফ ভাইয়ের কাছে জানতে চাই,শেষ দুটো শর্ত এভাবে আলাদাভাবে দেয়ার কারণে কি "অন্য যে কোন গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা —অন্তত বাঁচার সংকল্প রাখা" এ-ই শর্তটি কি বাদ পড়ে গেলো না??যেমনটি ঐ হাদীস থেকে বোঝা যায় যেখানে নবীজি সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যাক্তির জান্নাত সম্পর্কে অনিশ্চয়তা ব্যক্ত করেছেন কেবল অযথা কাজে লিপ্ত হওয়ার কারণে। হাদিসের মান সম্পর্কে জানা নেই, তাই জানিয়ে ব্যাপারটা নতুনভাবে ঘেঁটে দেখলে ভালো হয়।আল্লাহ তা'আলা আপনার ইলমে বরকত দান করেন ||আমীন ||

                        Comment


                        • #13
                          জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাই অনেক উপকারী পোস্ট
                          আল্লাহ তায়ালা আপনাদের ইলম ও আমলে বারাকাহ আরো বাড়িয়ে দিক আমিন
                          জিহাদই হলো মুমিন ও মুনাফিকের মাঝে
                          পার্থক্যকারী একটি ইবাদাহ

                          Comment


                          • #14
                            Originally posted by salman rumi View Post
                            আদনান মারুফ ভাইয়ের কাছে জানতে চাই,শেষ দুটো শর্ত এভাবে আলাদাভাবে দেয়ার কারণে কি "অন্য যে কোন গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা —অন্তত বাঁচার সংকল্প রাখা" এ-ই শর্তটি কি বাদ পড়ে গেলো না? যেমনটি ঐ হাদীস থেকে বোঝা যায় যেখানে নবীজি সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যাক্তির জান্নাত সম্পর্কে অনিশ্চয়তা ব্যক্ত করেছেন কেবল অযথা কাজে লিপ্ত হওয়ার কারণে। হাদিসের মান সম্পর্কে জানা নেই, তাই জানিয়ে ব্যাপারটা নতুনভাবে ঘেঁটে দেখলে ভালো হয়। আল্লাহ তা'আলা আপনার ইলমে বরকত দান করেন ||আমীন ||
                            না ভাই, শহিদ হওয়ার জন্য যে কোন গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা শর্ত নয়, বরং শাহাদাতের উচ্চমর্যাদা লাভের জন্য গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা শর্ত। কেননা হাদিসের সুষ্পষ্ট ভাষ্য অনুযায়ী শহিদের চার স্তর,

                            ১. মুত্তাকী ও বীর।
                            ২. মুত্তাকী তবে ভীরু।
                            ৩. বীর তবে মুত্তাকী নয়, ভালো মন্দ সব ধরণের আমলই করে।
                            ৪. ভীরু ও গুনাহগার। (সুনানে তিরমিযি, ১৬৪৪ ইমাম তিরমিযি হাদিসটিকে হাসান বলেছেন)

                            মুসনাদে আহমদের এক হাদিসে এসেছে,
                            القتل ثلاثة: رجل مؤمن جاهد بنفسه وماله في سبيل الله - عز وجل - حتى إذا لقي العدو قاتلهم حتى يقتل، فذلك الشهيد المفتخر في خيمة الله - عز وجل - تحت عرشه، لا يفضله النبيون إلا بدرجة النبوة، ورجل مؤمن قرف على نفسه من الذنوب والخطايا، جاهد بنفسه وماله في سبيل الله حتى إذا لقي العدو قاتل حتى قتل، فمصمصة محت ذنوبه وخطاياه، إن السيف محاء للخطايا، وأدخل من أي أبواب الجنة شاء، فإن لها ثمانية أبواب، ولجهنم سبعة أبواب، وبعضها أفضل من بعض، ورجل منافق جاهد بنفسه وماله حتى إذا لقي العدو قاتل في سبيل الله - عز وجل - حتى يقتل، فذلك في النار، إن السيف لا يمحو النفاق» ".

                            অর্থাৎ যুদ্ধে নিহত হওয়া লোকেরা তিন প্রকার,
                            ১. পূর্ণাঙ্গ ও মুক্তাকী মুমিন । এই শহিদ ও নবীদের মধ্যে শুধু একস্তরের ব্যবধান হবে।
                            ২. গুনাহগার মুমিন। শাহাদাতের মাধ্যমে এর গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। কেননা তরবারী গুনাহ মিটিয়ে দেয়।
                            ৩. মুনাফিক, সে তো জাহান্নামী। (কেননা শহিদ হওয়ার জন্য ইমান শর্ত) -মুসনাদে আহমদ, ৯৫১১ হাফেয হাইছামী হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন। (মাজমাউয যাওয়ায়েদ, ৫/২৯১ হাদিস, ৯৫১১)


                            তো বুঝা গেল মুক্তাকী ও গুনাহগার উভয়েই শহিদ, যদিও সকলের মর্যাদা সমান নয়, সুতরাং শহিদ হওয়ার জন্য সবধরণের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা শর্ত নয়। বরং জিহাদের সাথে সংশ্লিষ্ট গুনাহ অর্থাৎ সুখ্যাতির জন্য জিহাদ, জিহাদ থেকে পলায়ন, এবং গণীমতের মালে খেয়ানত না করা শর্ত। রাসূলের আযাদকৃত এক গোলাম এক যুদ্ধে নিহত হলে সাহাবায়ে কেরাম বলেন, তার শাহাদাত মুবারক হোক, তখন রাসূল বলেন, কক্ষণো না, সে যে চাদরটি গণিমতের মাল হতে চুরি করেছে সেটা তার উপর আগুন হয়ে জ্বলছে। সহিহ বুখারী, ৪২৩৪; ৬৭০৭

                            আর আপনি যে হাদিসটি বলেছেন, এটা সাধারণ মৃত্যুর ক্ষেত্রে, শাহাদাতের ক্ষেত্রে নয়, সুনানে তিরমিযিতে হাদিসটি সাধারণ মৃত্যুর ক্ষেত্রেই এসেছে, সুনানে তিরমিযির শব্দ দেখুন,
                            عن أنس، قال: توفي رجل من أصحابه فقال، يعني رجلا،: أبشر بالجنة، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: أولا تدري فلعله تكلم فيما لا يعنيه أو بخل بما لا ينقصه.
                            هذا حديث غريب.

                            হাঁ, মুসনাদে আবু ইয়ালা ও বাইহাকীর শুয়াবুল ইমানে হাদিসটি শাহাদাতের ক্ষেত্রে এসেছে, কিন্তু হাফেয নুরুদ্দীন হাইসামী ও শায়েখ শুয়াইব আরনাউত সেই হাদিসটিকে যয়ীফ বলেছেন, (মাজমাউয যাওয়ায়েদ, ৩/৩০৩ হাদিস নং: ১৮১৮১ শরহু মুশকিলুর আছার, তাহকীক, শায়েখ শুয়াইব, ৬/২১০) শহিদের ব্যাপারে তো হাদিসে আছে ঋণ ব্যতীত তার সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে, (সহিহ মুসলিম, ১৮৮৬) বরং ইমাম সারাখসী বলেছেন, আশা করা যায়, আল্লাহ তায়ালা নিজের পক্ষ থেকে সওয়াব দিয়ে ঋণদাতাকে খুশি করে দিবেন এবং শহিদকে দায়মুক্ত করে দিবেন। (শরহুস সিয়ারুল কাবীর, পৃ: ২৫) সুতরাং অযথা কাজে লিপ্ত হওয়া গুনাহ হলেও আল্লাহ তায়ালা শহিদের জন্য তা ক্ষমা করে দিবেন।

                            আর বাস্তবে অযথা কাজে লিপ্ত হওয়া কোন গুনাহ নয়, সুনানে তিরমিযির হাদিসটিকে ইমাম তিরমিযি গরীব বলেছেন, আর আল্লাম আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী ও মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব বলেছেন, ইমাম তিরমিযির গরীব বলার অর্থ হলো হাদিসটি যয়ীফ। শায়েখ শুয়াইব আরনাউত বলেন, ইমাম যাহাবীও সিয়ারু আ’লামিন নুবালায় হাদিসটিকে গরীব বলেছেন এবং এটাকে উমর বিন হাফসের একক বর্ণণা বলে সাব্যস্ত করেছেন।

                            আর যদি হাদিসটি সহিহ হয় তাহলে এর ব্যাখা করতে হবে, মোল্লা আলী কারী ও অন্যান্য আলেম এর দুটি ব্যাখা করেছেন,
                            ১. অযথা কথা বলার জন্য তাকে হিসাব দিতে হবে, আর হাদিসে এসেছে, من حوسب عذب যাকে হিসাব দিতে হলো সে তো শাস্তি ভোগ করলো, (সহিহ বুখারী, ১০৩; সহিহ মুসলিম, ২৮৭৬) সুতরাং জান্নাত তো তার জন্য সহজ হলো না, জান্নাত সহজ তো ঐ ব্যক্তির জন্য যে বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করলো। (মেরকাত, ৭/৩০৪৩ দারুল ফিকর)
                            ২. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথাটা বলেছেন, মুমিনদের সতর্ক করার জন্য, যেন তারা গায়বের ব্যাপারে সংবাদ না দেয়, কারণ বাস্তবে কে জান্নাত আর কে জাহান্নামী সেটা তো কেউ জানে না। যেমন এক শিশু মৃত্যুবরণ করলে আয়েশা রাযিআল্লাহু আনহা বলেন, সে ধন্য হোক, সে তো জান্নাতের একটি চড়ুই, তখন রাসূল বলেন, বিপরীতটিও তো হতে পারে, হে আয়েশা, আল্লাহ তায়ালা পিতার ঔরসে থাকাবস্থায়ই কিছু মানুষকে জান্নাতের জন্য আর কিছুকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেন। -সহিহ মুসলিম, ২৬৬২। অথচ অধিকাংশ আলেমদের মতে মুমিনদের বাচ্চারা জান্নাতী। বরং সহিহ মতানুযায়ী কাফেরদের নাবালেগ বাচ্চারাও জান্নাতী। তাই এ হাদিসের ব্যাখায় আলেমগণ বলেন, হাদিসের উদ্দেশ্য হলো, গায়বের ব্যাপারে সংবাদ দিতে নিষেধ করা।
                            الجهاد محك الإيمان

                            জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

                            Comment

                            Working...
                            X