Announcement

Collapse
No announcement yet.

কাফেরদের সাথে মৈত্রী সংঘটিত হওয়ার আলোচনা।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কাফেরদের সাথে মৈত্রী সংঘটিত হওয়ার আলোচনা।

    আল্লাহ তায়ালা কুফফারদের সাথে মৈত্রী
    প্রতিষ্ঠাকে নিষিদ্ধ করেছেন।সাধারণভাবে
    ২০প্রকার মৈত্রী সংঘটিত হতে পারে, যার
    কিছু মানুষকে কাফের বানিয়ে দেয়, আর কিছু কঠিন গুনাহের কারন হয়।

    কাফেরদের সাথে মৈত্রী সংঘটিত হওয়ার ২০ টি কারন থেকে প্রথম ২টি কারণ হল এই, যথা,,,,
    ১//
    কুফফারদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকা:
    এই সন্তুষ্ট যদি তাদের ধর্মমতের প্রতি হয়,
    অর্থাৎ যদি কেউ কাফেরদের ধর্মকে সঠিক
    মনে করে , তাদের কাজকে সঠিক মনে করে এবং
    তা নিয়ে সন্তুষ্ট হয় , কিংবা তাদের ধর্মকে
    বাতিল বলতে দ্বিধা করে তাহলে সে ব্যক্তি
    নিজেও কাফের হয়ে যাবে।কেননা মূলনীতি
    হলো,, কুফফারদের যেকোনো ধর্ম বা ধর্মীয়
    কাজকে অনুমদন করা কুফুর।
    (মাজমুআতুত তাওহীদ,,পৃ:১২৯)
    আল্লাহ তায়ালা বলেন,,
    "তার চেয়ে অধিক বিচ্যুত আর কে আছে
    যে আল্লাহর পথনির্দেশকে অনুসরণ না করে
    নিজের প্রবৃত্তিকে অনুসরণ করে? "
    (সূরা কাসাস: ৫০)
    ২//
    কাফেরদের ভালবাসা কামনা করাঃ
    কাফেরদের ভালোবাসা বা স্নেহ -মমতা আশা
    করা মূলত তাদের সাথে এক প্রকার মৈত্রী করা,,
    যা আল্লাহ তায়ালা নিষেধ করেছেন।
    (শাইখ সাইদ বিন আলি আল কাহতানী হাফি.
    কৃত আল ওয়ালা ওয়াল বারা,,২/১১৭)
    আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,,,,
    "আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাসী এমন লোক তুমি খুঁজে
    পাবে না যারা আল্লাহ ও তার রাসূলের বিরোধিতাকারীর
    সাথে বন্ধুত্ব স্হাপন করে,, যদিও তারা তার বাবা,, সন্তান,
    ভাই কিংবা আত্মীয় হয়।"৷ (সূরা আল মুজাদালাহ-২২)

    শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ. লিখেছেন,,
    আল্লাহ তায়ালা আমাদের জানিয়েছন,, তুমি এমন মুমিন
    খুঁজে পাবেনা,, যে আল্লাহ ও তার রাসেলের বিরোধিতাকারীর
    ভালোবাসা কামনা করে,, কেননা ইমান নিজেই এটাকে প্রতিহত
    করবে যেভাবে ২টি বিপরীত বস্তু একে অপরকে প্রতিহত করে।

    কাজেই যতক্ষণ অন্তরে ঈমান আছে ততক্ষণ আল্লাহর দুশমনদের
    অনুগত্য করা অসম্ভব। যদি কেউ তার অন্তরকে কাফেরদের প্রতি
    আবদ্ধ করে ফেলে,, তা এটারই দলিল যে, তার অন্তর ইতিমধ্যেই
    ঈমানশূন্য হয়ে গেছে। (আল ঈমান, পৃ.১৩)
    আল্লাহ তায়ালা বলেছে,,,
    " হে ঈমানদারগন! আমার ও তোমাদের দুশমনদের প্রতি আকর্ষণ
    দেখিয়ে তাদের বন্ধু বানিয়ে নিও না,, যেহেতু তারা সে সত্য কে অস্বীকার
    করেছে,, যা তোমাদের নিকট এসেছে।(সূরা আল মুমতাহিনা:১)

    বর্তমানকালে এ প্রকারের প্রচলন খুব বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছ। সাধারণ
    মানুষ,, যারা ইসলাম সম্পর্কে জানেনা,, তারা যেমন না জানাবশত এ
    কাজে লিপ্ত; তেমনই আলেম শ্রেণির মাঝেও এর প্রবনতা লক্ষ করা যায়।

    বিশেষ করে পাশ্চাত্যের ধ্যনধারণায় প্রভাবিত এক শ্রেণির আলেম এরুপ
    কাজ করে যাচ্ছে,, তারা কাফেরদের ভালোবাসা লাভে ইসলামের মনগড়া
    ব্যখ্যা করতেও পিছপা হচ্ছে না!!

    হে আল্লাহ আপনি সবাইকে হেফাজত করুন। আমিন,, আমিন!!!

    প্রিয় সম্মানিত ভায়েরা ধারাবাহিকভাবে বাকি ১৮ টি দেওয়া হবে,,
    ইনশাআল্লা,,,,,।

  • #2
    ভাই,আপনি আলোচনাটি ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন,আল্লাহ কবুল, আমীন। আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফীক দান করুন, আমীন।
    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

    Comment


    • #3
      পুরোটা একবারে দিলে হয় না ভাই?

      Comment

      Working...
      X