Announcement

Collapse
No announcement yet.

মোল্লা উমর রাহিঃ এর দৃপ্ত আহবান

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মোল্লা উমর রাহিঃ এর দৃপ্ত আহবান

    মোল্লা উমর রাহিঃ এর দৃপ্ত আহবান

    “দেখুন, ধারাবাহিক ভাবে আফগানিস্তানের মত ছোট একটি রাষ্ট্রের সাথে লড়াই কখনই রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে একতাবদ্ধ হওয়া ব্যতিত হয় নি, যদিও তাদের নিজেদের মধ্যে বড় পার্থক্য রয়েছে।

    তবে আল্লাহর প্রতি আমাদের আস্থা ও নির্ভরতা অনেক বেশি। শুধু তারা নয় বরং সমগ্র বিশ্ব যদি আমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় তবুও আমরা আমাদের নীতি ও বিশ্বাসের সাথে আপোষ করব না বা আমরা আমাদের এই যুদ্ধের পথ থেকে বিচ্যুত হব না, ইনশাআল্লাহ্ । কারণ আমরা বিশ্বাস করি আমাদের ধর্ম এই ক্ষেত্রে আপোষ করে না, আর ধর্মের ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া তো একজন মুসলমানের জন্য মৃত্যু।

    প্রত্যেক মুসলমানদের প্রকৃত মৃত্যু হচ্ছে তার ধর্মের সাথে আপোষ করা, ঘৃণা করা বা দ্বীনের বিধান অনুযায়ী আমল না করা। বাহ্যিক মৃত্যু কিছুই না যখন আমরা এটাকে বিশ্বাসের অপমৃত্যুর সাথে তুলনা করি। যদি আমরা জীবন চাই, তাহলে দ্বীনের প্রতি আমাদের আনুগত্যই হচ্ছে জীবন। যদি আমাদের এই জীবন না থাকে, তাহলে আমরা বাস্তবেই মৃত।

    মৃত্যু হল এমন এক পেয়ালা যা প্রত্যেকেরই পান করতে হবে, তাই সব মুসলমানের উপর অবশ্যক নিজেকে সংশোধন করে নেয়া, দ্বীনের জন্যে নিজেকে উৎসর্গ করে দেয়া এবং তাঁর পালনকর্তার প্রতি তার বিশ্বাসকে আরও শক্তিশালী করা। এবং এর মাধ্যেমেই সে ইহকাল ও পরকালের বিজয় ও সাফল্য অর্জন করতে পাবে।

    - আফগানিস্তানের ইসলামী ইমারাতের সাবেক আমীরুল মুমিনীন

    @আমিনকে বলতে দাও



  • #2
    অবশ্যই তিনি সত্য কথায় বলেছেন, আল্লাহ হজরতকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুন
    সর্বোত্তম আমল হলো
    আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এবং মহান মহীয়ান
    আল্লাহর পথে জিহাদ করা।নাসায়ী,শরীফ

    Comment


    • #3
      Originally posted by তাহরীদ মিডিয়া View Post
      [CENTER][SIZE=4]
      শুধু তারা নয় বরং সমগ্র বিশ্ব যদি আমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় তবুও আমরা আমাদের নীতি ও বিশ্বাসের সাথে আপোষ করব না বা আমরা আমাদের এই যুদ্ধের পথ থেকে বিচ্যুত হব না, ইনশাআল্লাহ্ ।
      [CENTER][SIZE=4]

      এটাই প্রত্যেক মুমিনের শান হওয়া উচিত, আল্লাহ তায়ালা বলেন,
      يَاأَيُّهَا النَّبِيُّ اتَّقِ اللَّهَ وَلَا تُطِعِ الْكَافِرِينَ وَالْمُنَافِقِينَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا (1) وَاتَّبِعْ مَا يُوحَى إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرًا (2) وَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ وَكَفَى بِاللَّهِ وَكِيلًا

      আল্লাহ তায়ালা এখানে কাফের ও মুনাফিকদের আনুগত্য করতে নিষেধ করছেন,এবং বলছেন, যদিও তোমরা কাফের মুশরিকদের আনুগত্যে সাময়িক কোন মাসলাহাত-কল্যাণ দেখতে পাও কিন্তু বাস্তবে তা কল্যাণ নয়, বস্তুত ভালো-মন্দের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালাই সর্বজ্ঞ, তিনি যে আদেশ দেন তাতেই হিকমত নিহিত, কেননা তিনিই সবচেয়ে বড় হাকিম, সবচেয়ে বেশি প্রজ্ঞাবান, এরপর তিনি শুধুই ওহীর অনুসরণ করার আদেশ দিয়েছেন, এখন যদি কারও মনে প্রশ্ন জাগে কাফের-মুনাফিকদের কথা না শুনে যদি শুধুই ওহি অর্থাৎ কুরআন-সুন্নাহর অনুসরণ করা হয় তাহলে তো কাফেররা ওদের সব শক্তিসামর্থ্য নিয়ে আমাদের বিপক্ষে ঝাপিয়ে পড়বে, সম্মিলিতভাবে আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে দিবে, এর উত্তর দেওয়ার জন্যই আল্লাহ তায়ালা পরের আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি আল্লাহর উপর ভরসা কর, আর আল্লাহ তায়ালা কর্মবিধায়ক হিসেবে যথেষ্ট’। (সুরা আহযাব, ১-৩ মর্মার্থ)


      অবশ্য তাত্ত্বিকভাবে এ বিষয়টি বুঝা আর বাস্তবে তা পালন করার মাঝে আকাশ-পাতাল তফাৎ, অধিকাংশ মানুষ তো মুমিন হওয়া সত্ত্বেও এ বিষয়টি বুঝছে না, আর আমরা যারা জিহাদের সাথে সম্পর্কের কল্যাণে বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারছি তারাও বাস্তবে ময়দানে তা পালন করতে পারবো কিনা আল্লাহই ভালো জানেন, জাবহাতুন নুসরা (হাইয়াতু তাহরিরিশ শাম) কাফের-মুনাফিকদের কিছু কিছু কথা মানতে থাকে, এতে ধীরে ধীরে তারা সরল পথ থেকে বিচ্যূত হয়ে যায়, মোল্লা উমর রহিমাহুল্লাহর কৃতিত্ব এখানেই যে তিনি বিষয়টি শুধু *উপলব্ধিই করেননি, বরং তার দৃষ্টান্তমূলক আমলী রুপরেখা আমাদের সামনে পেশ করেছেন। আল্লাহ তায়ালা তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।

      আসলে এক্ষেত্রে আমাদের আদর্শ তো হলো আম্বিয়া আলাইহিস সালামা, যারা পুরো মুশরিকগোত্রের বিপক্ষে একা দাড়িয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন,

      يَاقَوْمِ إِنْ كَانَ كَبُرَ عَلَيْكُمْ مَقَامِي وَتَذْكِيرِي بِآيَاتِ اللَّهِ فَعَلَى اللَّهِ تَوَكَّلْتُ فَأَجْمِعُوا أَمْرَكُمْ وَشُرَكَاءَكُمْ ثُمَّ لَا يَكُنْ أَمْرُكُمْ عَلَيْكُمْ غُمَّةً ثُمَّ اقْضُوا إِلَيَّ وَلَا تُنْظِرُونِ

      হে আমার জাতি, যদি তোমাদের জন্য আমার অবস্থান এবং আল্লাহর আয়াতসমূহদ্বারা উপদেশ প্রদান কষ্টকর মনে হয় তাহলে আমি আল্লাহর উপর ভরসা করলাম, তোমরা এবং তোমাদের দেবতারা মিলে আমার বিরুদ্ধে কি করবে তার সিদ্ধান্ত নাও, এবং তোমাদের এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে নিজেদের মাঝে কোন অস্পষ্টতাও রেখ না, এরপর (সকলে মিলে) আমার উপর হামলে পড় এবং আমাকে কোন অবকাশও দিয়ো না। (কিন্তু আল্লাহ চাইলে তোমাদের হামলায় আমার কিছুই হবে না। এবং বাস্তবেই নুহ আলাইহিস সালামের এরুপ ঘোষণার পরেও আল্লাহ তায়ালা তাকে রক্ষা করেছিলেন) সুরা ইউনুস, আয়াত, ৭১

      এরুপ ঘোষণা হুদ আলাইহিস সালামও দিয়েছিলেন, সুরা হুদ, আয়াত ৫৪-৫৬ নং আয়াতেে এসেছে,
      قَالَ إِنِّي أُشْهِدُ اللَّهَ وَاشْهَدُوا أَنِّي بَرِيءٌ مِمَّا تُشْرِكُونَ (54) مِنْ دُونِهِ فَكِيدُونِي جَمِيعًا ثُمَّ لَا تُنْظِرُونِ (55) إِنِّي تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ رَبِّي وَرَبِّكُمْ مَا مِنْ دَابَّةٍ إِلَّا هُوَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهَا إِنَّ رَبِّي عَلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ

      মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকেও আল্লাহ তায়ালা এরুপ ঘোষণা দিতে বলেছিলেন, সুরা আরাফের ১৯৫-১৯৬ নং আয়াতে এসেছে,
      قُلِ ادْعُوا شُرَكَاءَكُمْ ثُمَّ كِيدُونِ فَلَا تُنْظِرُونِ إِنَّ وَلِيِّيَ اللَّهُ الَّذِي نَزَّلَ الْكِتَابَ وَهُوَ يَتَوَلَّى الصَّالِحِينَ
      الجهاد محك الإيمان

      জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

      Comment


      • #4
        আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
        ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

        Comment


        • #5
          সুবহানাল্লোহ ॥
          খুবই তাৎপর্যপূর্ণ
          নাসিহা আল্লাহ্ তায়ালা আমাদেরকে
          আমালের তৌফিক দান করুন!!

          Comment


          • #6
            আল্লাহ হজরত কে জান্নাত নসিব করুক। আমিন।আমাদেরও তার সাথে মেলার তাউফিক দান করুক।আমিন।।।
            আসুক না যত বাধাঁ যত ঝর সাইক্লোন কিতালের পথে মোরা চলবোই

            Comment

            Working...
            X