Announcement

Collapse
No announcement yet.

একজন Mojahid ভাইয়ের চব্বিশঘণ্টা।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • একজন Mojahid ভাইয়ের চব্বিশঘণ্টা।

    বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
    সমস্ত প্রশংসা মহান রাব্বুল আলামীনের জন্য, লক্ষকোটি দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোউক প্রাণপ্রিয় রাসূল মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম এর উপর।
    প্রিয় দ্বীনী ভাইয়েরা,প্রিয় মুজাহিদ ভাইয়েরা,অধমের আজকের লিখার বিষয় হলো :একজন মুজাহিদ ভাইয়ের চব্বিশঘণ্টা :
    ফজরের আযানের পূর্বে ঘুম থেকে ওঠা,দুয়া পড়া,ইস্তিঞ্জায় বাম পা দিয়ে প্রবেশ করা, মেসওয়াক করা,ওজু করা, দুই চার রাকাত তাহাজ্জুদ পড়া, আল্লাহর কাছে দুয়া করা,দুয়াতে সব কিছু উল্লেখ্য করা,এমনকি জুতার ফিতাটুকুও। আমাদের রব প্রতিদিন শেষ রাত্রে প্রথম আসমানে অবতরণ করেন, বান্দাদের হাজাত পুরা করার জন্য, দুয়া কবুল করার জন্য, পাপীদের গুনাহ মাফ করার জন্য, আর আমরা পাপীরা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকি। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন,ও তাওফীক দান করুন, আমীন। ফজরের আযান হলে হলে নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়া, সালাতের পরে তাসবিহ ও জিকির আযকার পড়া,ও তিলাওয়াত করা। সূরা ইয়াসিন তিলাওয়াত করা। ফজরের পরে না ঘুমানো, এটি সুন্নার পরিপন্থী।
    নাস্তার পালা। নাস্তার সময় সুন্নার প্রতি লক্ষ রাখা, নাস্তার খাবার এমন হওয়া যা সহজে পাওয়া যায়,সহজ লভ্য হয়। সব ধরণের খাবারের উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা, অর্থাৎ সব ধরণের খাবার খেতে পারা। এমন যেনো না হয় এটা খায় না, ওটা খায়, যা সামনে আসবে তাই বিসমিল্লা বলে খেয়ে ফেলা।
    কম খাওয়া, কম খাওয়া এটি মুজাহিদ ভাইদের জন্য ওয়াজিব। মাঝেমধ্যে সকালের নাস্তা পরিহার করা। দুপুরে সুন্না অনুযায়ী খাওয়া,ও রাতে অল্প খাওয়া। মাঝেমধ্যে রাতের খাবার পরিহার করা। মনে রাখা চাই এসব কিছুই হচ্ছে জিহাদের জন্য প্রশিক্ষণ সরুপ।
    ভাত,রুটি, সালাত, এসব কিছুর উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা। এমন যেনো না হয় আমি শুধু ভাত খেতে পারি, রুটি খেতে পারি না, আবার এমনও যেনো না হয় আমি শুধু রুটি খেতে পারি, ভাত খেতে পারি না।এককথাই যখন যেটা সামনে আসবে খেতে পারা।
    চায়ের অভ্যাস, পানের অভ্যাস, পরিহার করা,কারণ আপনার একটা অভ্যাসই গ্ররফতারের কারণ হতে পারে, গ্রেফতার হতে সাহায্য করতে পারে। ছোট্র একটা ঘটনা আছে, একটা ত্বাগুত গুয়েন্দা ইউনিট সংদেহজনক একটা বাড়ির ডাস্টবিনে আরবীয় খাবারের পেকেট খুজতে থাকে, তারা প্রতিনিয়ত কাজটি করতে থাকে, এক পর্যায়ে পেকেট পেয়ে যায় এবং বাড়িটিকে রেড করে একজন আরবীয় মুজাহিদ ভাইকে গ্রেফতার করে।
    এমনিভাবে খাবারের হোটেলগুলোর ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা, সব সময় নির্দিষ্ট একটি হোটেলে খেতে না যাওয়া, যখন সামনে যেটা আসে ঢোকে পড়া।
    পরনের জামা, জুতো, জামা বানানোর ট্রেইলার্স, সব সময় একটি না হওয়া। এক ধরণের স্টাইলের পোশাক পরিধান না করা, বিভিন্ন ধরণের পড়া। বাজারে যাওয়া, চায়ের দোকা বসা, এসব কিছুর উপরই আপনার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এক কথাই পরাধীন হওয়া যাবে না। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না যাওয়া। ত্বাগুতের গুয়েন্দারা প্রয়োজন ছাড়া বেরাক থেকে বের হয় না।
    চলবে.......।
    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

  • #2
    একজন মুজাহিদ ভাইয়ের চব্বিশঘণ্টা (২)
    শহরে যাতায়তের সময় সাথে এমন কিছু না রাখা যা আপনার গ্রেফতারের কারণ হয়। সফরের সময় কাজের ফাইলগুলো hd কার্ডে রাখা,ফোন মেমোরিতে কিছুতেই না রাখা।
    দৈনিক পত্রিকাগুলোও পড়া, এর দ্বারা আপনার সামনে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সহজ হবে।
    গাড়ীতে চলাচলের সময় শুধু বাস,কিংবা শুধু সিএনজি,কিংবা শুধু টেক্সি ব্যবহার না করা। নির্দিষ্ট একটির উপর অভ্যস্ত না হওয়া। যখন যেটা আসে তাতেই আরোহণ হওয়া। পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে আদায় করা, আগে পরের সুন্নাহগুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়া।
    যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আছি সহকারীশিক্ষক, ছাত্রভাই, সকলের সাথে উত্তম ব্যবহার করা। একজন হয়ত আপনার দাওয়াত কবুল করেনি, তার সাথেও পূর্বের ন্যায় উত্তম আচরণ করা, কথা বলা উত্তমভাবে। সব সময় খেয়াল রাখা আমিকি শুধু আমার দলের লোকদের সাথেই ভালো ব্যবহার করছি, নাকী সবার সাথেই উত্তম ব্যবহার করছি? সকলের সাথেই উত্তম ব্যবহার করা।
    তানজিমের কাজকে প্রাধান্য দেওয়া।
    দ্বীন কায়েমের জন্য নিজের কাজের উপর তানজিমের কাজকে প্রাধান্য দেওয়া এটি প্রত্যেক মুজাহিদ ভাইয়ের কর্তব্য। দ্বীন কায়ের জন্য আমরা যদি তানজিমের কাজকে অপশনাল বানিয়ে রাখি তাহলে আদৌ এভূখন্ডে দ্বীন কায়েম হবে না, আমাদের নিজেদের কাজের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো তানজিমের কাজ। এখন প্রশ্ন করি নিজেকে আমি কতটুকু সময় দিচ্ছি তাবজিমকে????
    ব্যবহারিক আসবাব।
    নিজেত ব্যবহারিক আসবাবপত্রে নিজের নিয়ন্ত্রনের মধ্যে আনা। তানজিমে আসার পূর্বের অবস্থা আর পরের অবস্থা যেনো এক না হয়। জামাকাপড়, জুতো, খাবারদাবার, সবকিছুতে খরচ কমিয়ে আনা, ময়দানের ভাইদের কথা চিন্তা করে খরচ করা। বিলাসী জীবন পরিত্যাগ করা।
    আল্লাহ, আমাদের আমল করার তাওফীক দান করুন,আমীন।
    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ, আল্লাহ কবুল করুন এবং আমাদের সকলকে আমলের তৌফিক দান করুন।
      কথা ও কাজের পূর্বে ইলম

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহু খায়রান। আল্লাহ আমাদের সকলকে নিয়মিন এই কাজ গুলো করার তৌফিক দান করুন। আমিন

        Comment


        • #5
          জাযাকাল্লাহু খাইরান। অনেক ভাল লাগল ভাই। আমাদের প্রত্যেকের উচিত এই বিষয়গুলোর উপর আমল করা। ভাই সামনের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

          Comment


          • #6
            মাশাল্লাহ ভাই খুব সুন্দর পোস্ট
            আল্লাহ তায়াল আপনার কলম কে বাতিলের জন্য হুশিয়ারি আর মুজাহিদদেরর জন্য উপকারী বানাক আমীন আমীন
            জিহাদই হলো মুমিন ও মুনাফিকের মাঝে
            পার্থক্যকারী একটি ইবাদাহ

            Comment


            • #7
              মাশা-আল্লাহ!

              ভাই চালিয়ে যান..আল্লাহ সুব. আপনার মেহনাত কবুল করুন,আমীন।
              আমার নিদ্রা এক রক্তাক্ত প্রান্তরে,
              জাগরণ এক সবুজ পাখি'র অন্তরে।
              বিইযনিল্লাহ!

              Comment


              • #8
                মাশা আল্লাহ্। উপকৃত হলাম। জাযাকাল্লাহু খাইরান। খুব সুন্দর লিখেছেন ভাই । চালিয়ে যান। ইন শা আল্লাহ্।

                Comment

                Working...
                X